ভ্রমণ পোস্ট: আফতাবগঞ্জ মসজিদে একদিন

in hive-129948 •  6 months ago 

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
বৃহস্পতিবার, ১৬ ই মে ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে আফতাবগঞ্জ মসজিদে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


RIYAN_20240419_160952_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

বেশ কয়েকদিন আগে আমি আমার নানার বাসায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে এবার মামাতো ভাইয়ের সাথে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করা হয়েছে। তবে, অন্যান্য সময়ে এতো ঘোরাঘুরি হয়নি। ঘোরাঘুরি হলেও খুবই সীমিত।আমি এবার নানার বাসায় গিয়ে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ভ্রমন করেছি। আমার মামাতো ভাই আমাকে সব জায়গার মধ্যে নিয়ে ঘুরছে।আর ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। ঘোরাঘুরি করতে পারলেই মন মস্তিস্ক একদম ফ্রেশ থাকে।আর বাহিরে কোথাও ঘুরতে বের হলেই অনেক নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা যায় এবং বেশ কিছু নতুন বিষয় জানতে পারা যায়। ঘোরাঘুরি করার মাঝে রয়েছে এক আলাদা রকম শিক্ষা।তাই আমি একটু সময় সুযোগ পেলেই ঘুরতে বের হয়ে পড়ি। সারাক্ষণ চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকা টা আমার কাছে অসহ্য কর একটা ব্যাপার মনে হয়। আপনাদের কাছে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে কেমন লাগে তা আসলে সকলেই কমেন্ট বক্সের মধ্যে জানাবেন। আমার চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকা মোটেও ভালো লাগে না।

RIYAN_20240419_161251_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

বেশ কিছুদিন ধরে জানতে পেরেছিলাম আফতাবগঞ্জ বাজারের মধ্যে একটি সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। আমি বেশ কয়েকবার যাওয়ার জন্য প্লান পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম, কিন্তু কখনো যাওয়ার প্লান পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়নি। বেশ কয়েকদিন আগে আমি আমার নানার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমি আমার মামাতো ভাই কে বললাম এই মসজিদের মধ্যে ঘুরতে যাওয়ার কথা। আমার মামাতো ভাই এক কথায় রাজী হয়ে গেল। এরপর আমরা বিকাল বেলা যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমার নানার বাড়ি থেকে এই মসজিদের দুরুত্ব খুবই অল্প।সব মিলিয়ে চৌদ্দ থেকে পনের কিলোমিটার হবে। এরপর আমরা বিকাল বেলা আমার মামাতো ভাই সহ তার বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা গ্ৰামের অপরুপ দৃশ্যের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম, যেতে বেশ ভালোই লাগছিলো আমার কাছে।

RIYAN_20240419_160816_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

আমরা বেশ অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আফতাবগঞ্জ মসজিদের মধ্যে পৌঁছে গেলাম। পৌঁছাতে প্রায় আমাদের পনের থেকে বিশ মিনিট সময় লেগে যায়। এখন আমরা আমাদের গাড়ি টি একটি নিরাপদ স্থানের মধ্যে রেখে দিলাম। কেননা, বর্তমান সময়ে চোর ডাকাত সব সময় পিছু লেগেই থাকে।তাই একটু সাবধানতা অবলম্বন করা অনেক ভালো। যাইহোক অবশেষে আমরা বাহিরে জুতা রেখে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করলাম। মসজিদ টি প্রায় পাঁচ তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ। মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম, ভিতর টা দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি স্বর্ণের তৈরি মসজিদ। মসজিদের টাইলস এর কালার গুলো একদম দেখতে স্বর্ণের মতো। আমার কাছে মসজিদের টাইলস গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ভেতর টি বেশ বড় রয়েছে, অনেক মানুষের জায়গা‌ হবে।

RIYAN_20240419_160307_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

RIYAN_20240419_154735_🌈Sky Blue by Expert Mistry-3.jpg

আমরা ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি তলায় উঠে মসজিদের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। তবে, এই মসজিদের কাজ এখনো অনেক টা বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এখনো ছয় মাস লাগতে পারে পুরোপুরি কাজ শেষ হতে। পুরোপুরি কাজ শেষ হলে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগবে মসজিদ টি।এই মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে আমাদের সকলের পরিচিত দিনাজপুর জেলার এম পি শিবলী সাদিক। আমরা হয়তো সকলেই শিবলী সাদিক কে চিনে থাকি। শিবলী সাদিক তার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে এতো সুন্দর একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন, এটা আমাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। তিনি এই মসজিদ টি নির্মাণ করার মাধ্যমে তার এলাকার মানুষের কাছে অনেক ভালোবাসা পেয়েছেন। এই মসজিদ টি এখন আমাদের রংপুর বিভাগের একটি সেরা মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

RIYAN_20240419_160938_🌈Sky Blue by Expert Mistry-2.jpg

আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় এই মসজিদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগছিলো। মসজিদের ভেতর টা একদম ঠান্ডা এবং মনোরম পরিবেশ। প্রতিদিন এই মসজিদ টি দেখার জন্য অনেকেই অনেক দূর দূরান্ত থেকে চলে আসে। বর্তমান এই মসজিদের মধ্যে ছেলে মেয়ে উভয়েই প্রবেশ করতে পারবে। মসজিদ টি ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।তবে, আবার আরেকদিন যাবো,যখন মসজিদের সকল কাজ সম্পন্ন হবে। এই মসজিদ টি দুর থেকে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মধ্য দিয়ে দেখা যায়।দূর থেকে দেখতেই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে এই মসজিদ। এই মসজিদ টি স্বপ্ন পুরী বিনোদন পার্কের একদম পাশেই অবস্থিত। আপনারা চাইলে ঘুরতে আসতে পারেন। আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করা শেষে বাসায় চলে আসি। বেশ ভালো একটি সময় উপভোগ করেছি এই মসজিদের মধ্যে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

DeviceRedmi 10C
Camera48 MP
CountyBangladesh
LocationRangpur, Bangladesh

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6HzJaoPE9n3kyXHpVFScAadwSCVJpY84M3wWWzLLzELtQK2rSJtUL9pTj98dwsm1MP47up86HvqkxNUfovt7kXVd7M4Hk9jft.jpeg

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAqqCDY5m5Sn.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1699613681956.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

মসজিদটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। মসজিদ আসলে প্রশান্তির একটি জায়গা।ক্লান্ত মনের জন্য বিশ্রামের ঠিকানা। যদি কখনো সম্ভব হয় মসজিদটি ঘুরে দেখে আসবো।

প্রতিটি মসজিদ হচ্ছে প্রশান্তির জায়গা। সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভাই আপনার আজকের পোস্ট দেখে কি আর বলবো বেশ ভালো লাগলো। আমরা অনেক জায়গায় ভ্রমণ করে থাকি কিন্তু আজকে আপনার ভ্রমণ করা পোস্ট দেখে মন থেকে বলছি মনটা ভরে গেল। আপনি ভ্রমণ করতে গিয়েছেন আল্লাহর ঘর মসজিদ। বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। পাঁচতলা বিশিষ্ট দেখতে তো মাশাআল্লাহ। আর আপনারা প্রতিটি ফ্লোরে গিয়েছেন এবং সেখান থেকে খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে মুগ্ধ হলাম। সত্যি কথা বলতে মসজিদটি দেখতে মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। আপনি আপনার মামাতো ভাইয়ের সাথে এখানে ভ্রমণ করেছেন এবং আমার কাছে অনুরোধ রইলো যেহেতু এই কাজ সম্পন্ন হতে এখনো ছয় মাস সময় লাগবে। তবে আপনি আবারো এই জায়গাটি ভ্রমণ করবেন সেই ভ্রমণটা হবে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে। আর সেটি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন তা দেখে যেন একটু ভালো লাগে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আসলে হঠাৎ করে এই মসজিদের মধ্যে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আগে থেকে‌ কোন প্লান পরিকল্পনা ছিল না আমাদের।এই মসজিদের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার মন্তব্য টি পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

অনেকদিন পর আফতাবগঞ্জ এই স্মৃতিময় মসজিদ দেখলাম। একটা সময় ছিল যখন প্রায় প্রতি সপ্তাহেই যাওয়া হতো এই আফতাবগঞ্জ মার্কেটে সেই সুবাদে প্রায় প্রতি সপ্তাহে জোহরের নামাজ এই মসজিদে আদায় করেছি। অসম্ভব সুন্দর দেখতে এই মসজিদ। আপনি কিন্তু দারুণ রকমের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মসজিদের কিছু চিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বর্ণনাও কিন্তু একদম সাবলীল ভাবে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে ,ধন্যবাদ।

আগে আপনি প্রতি সপ্তাহে এই মসজিদের মধ্যে গিয়েছিলেন, এটা জেনে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।আর আপনি প্রতিনিয়ত এই মসজিদের মধ্যে নামাজ পড়েছিলেন, এটা জেনে খুশি হলাম।

আসলে ভাইজান ভ্রমণ করতে ভালো লাগে না এমন মানুষের সংখ্যা হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যাবে না।আফতাবগঞ্জ মসজিদে একদিন। আসলে আপনি মহান আল্লাহ তাআলার ঘরে গিয়েছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মসজিদ দেখে আমার প্রাণ জুড়িয়ে গেল এত সুন্দর মসজিদ আপনি বেশ মসজিদের চারিপাশ ঘুরে ঘুরে দেখেছেন এবং ফটোর মাধ্যমে আমাদেরও দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।

ভ্রমণ করলে অনেক কিছু নতুন বিষয় জানতে পারা যায়।আর ভ্রমণ করতে সকলেই ভালোবাসে। আপনার মন্তব্য টি পড়ে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগলো।