স্টিমিট প্লাটফর্ম কী ফেসবুকের থেকে এগিয়ে?

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে ফেসবুক এবং স্টিমিট প্লাটফর্মের কিছু তথ্য শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

Canva apps

স্টিমিট হচ্ছে, স্টিম ব্লকচেইন ডাটাবেজের উপর তৈরি করা একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং ব্লগিং সাইট।স্টিমিট প্লাটফর্মের ইউটিলিটি টোকেন হচ্ছে স্টিম।আর এই স্টিম নেটওয়ার্কের উপর তাদের আরো একটি নিজস্ব টোকেন ডিপ্লয় করা হয়েছে, সেটি হচ্ছে স্টিম ডলার (এস বি ডি)। স্টিমিট ব্যবহারকারীরা তাদের আকর্ষণীয় কন্টেন্ট কিংবা মন্তব্য শেয়ার করার মাধ্যমে স্টিমিট প্লাটফর্ম থেকে স্টিম এবং এস বি ডি টোকেন অর্জন করতে পারে।স্টিমিট প্লাটফর্ম টি পুরোপুরি ডিসেন্ট্রালাইসড প্লাটফর্ম। একজন ব্যবহারকারী যখন স্টিমিট প্লাটফর্মের মধ্যে একটি একাউন্ট তৈরি করেন, তখন থেকে স্টিমিট একাউন্ট টি পুরোপুরি তার অধীনে চলে যায়। পরবর্তীতে স্টিমিট প্লাটফর্মের মালিক কিংবা স্টিমিট টিম চাইলে আপনার কোন ব্যবহারকারীর একাউন্ট নষ্ট করে দিতে পারবেন না। এটা পুরোপুরি একটি বিকেন্দ্রীকরণ সিস্টেম।

অন্যদিকে ফেসবুক ও হচ্ছে একটি জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া প্লাটফর্ম।আর ফেসবুক স্টিমিট প্লাটফর্মের থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। ফেসবুকের নিজস্ব কোন কয়েন কিংবা টোকেন নেই। তবে, ভবিষ্যতে ফেসবুক ও তাদের নিজস্ব টোকেন নিয়ে আসতে পারেন। ফেসবুক হচ্ছে একটি সেন্ট্রালাইসড সোসিয়াল মিডিয়া প্লাটফর্ম। ফেসবুক প্লাটফর্ম টি বিকেন্দ্রীকরণ নয়। সে জন্য ফেসবুক আইডি যে কোন সময় হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফেসবুক টিম চাইলে যে কোন সময় যে কোন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফেসবুক আইডি নষ্ট করে দিতে পারে। এদিক থেকে স্টিমিট প্লাটফর্ম অনেক দূরে এগিয়ে ফেসবুকের থেকে। ফেসবুকের প্রতিনিয়ত হ্যাকিং এবং অন্যান্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

স্টিমিট প্লাটফর্মের মধ্যে পে আউট হতে মোট সময় লাগে সাতদিন। স্টিমিট প্লাটফর্মের মধ্যে নেই কোন মনিটাইজেশন রিকুয়ারমেন্টের ঝামেলা। একজন নতুন স্টিমিয়ান চাইলে প্রথম দিন থেকেই স্টিমিট প্লাটফর্মের মধ্যে টাকা উপার্জন করতে পারেন। স্টিমিট প্লাটফর্মের মধ্যে নেই কোন ফলোয়ার এবং ভিউস এর কোন রিকুয়ারমেন্ট। আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করলেই স্টিমিট প্লাটফর্মের মধ্য থেকে উপার্জন করা যায়। স্টিমিট থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য নেই কোনো ধরনের লিমিট।স্টিমিট ওয়ালেটের মধ্যে সামান্য কিছু ডলার হলেই তা বিভিন্ন পদ্ধতিতে উত্তোলন করা যায়। এদিক থেকে স্টিমিট প্লাটফর্ম ফেসবুকের থেকে অনেক টা এগিয়ে রয়েছে।

ফেসবুকের মধ্যে পে আউট হতে সময় লাগে ত্রিশ দিনের অধিক। ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হলে তাদের নির্দিষ্ট কিছু রিকুয়ারমেন্ট পূর্ণ করে মনিটাইজেশন চালু করতে হয়।আর তাদের এই রিকোয়ারমেন্ট পূরণ করা একজন সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীর জন্য কখনোই সম্ভব নয়।মনিটাইজেশন চালু হ ওয়ার পর থেকে ফেসবুকের প্রতিটি কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে চলতে হয়।আর ফেসবুকের মধ্যে টাকা উত্তোলন করার জন্য মিনিমাম একশত ডলার কিংবা এর একটু কম এবং বেশি হলেই টাকা পে আউট হয়।এদিক থেকে আমাদের স্টিমিট প্লাটফর্ম অনেক এগিয়ে রয়েছে। সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কখনোই ফেসবুক থেকে কোনদিন টাকা উপার্জন করতে পারবে না।

সব দিক থেকেই বিবেচনা করে দেখে বোঝা যাচ্ছে, স্টিমিট প্লাটফর্ম ফেসবুক প্লাটফর্মের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। তবে, স্টিমিট প্লাটফর্মের থেকে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আশা করছি একদিন আমাদের স্টিমিট প্লাটফর্মের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে । নিরাপত্তার দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে, ফেসবুকের থেকে আমাদের স্টিমিট প্লাটফর্মের ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা পুরোপুরি বেশি রয়েছে। আসলে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তেমন একটা নিরাপত্তা নেই। ফেসবুক একাউন্ট যে কোন সময় হ্যাক কিংবা নষ্ট হয়ে যেতে পারে, অপরদিকে স্টিমিট একাউন্ট কখনো নষ্ট হওয়ার মতো নয়।তাই আমার মতে, বর্তমান সময়ে ফেসবুকের‌ থেকে স্টিমিট প্লাটফর্ম অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।