ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে একদিন

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে ঘোরাঘুরি করার অনুভূতি শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

ড্রাগন ফল আমাদের দেশের মধ্যে একটি জনপ্রিয় ফল। অতীত কালে আমাদের দেশে এই ফল টি ছিল না, কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের কৃষক এই ফলটি চাষ করছেন।এটি একটি নতুন ফল হলেও এর চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেশের কৃষক এই ফলটি চাষ করে অল্প সময়ের মধ্যেই লাভবান হতে পারছে।আর অন্যান্য ফলের তুলনায় এই ফল চাষ করতে একটু কম পরিশ্রম করতে হয়। এটা আসলেই আমাদের দেশের ফল চাষী কৃষক ভাইদের জন্য খুবই ভালো।আর অন্যান্য ফলের তুলনায় ড্রাগন ফলের দাম মোটামুটি বেশ ভালো। বাজারের মধ্যে ড্রাগন ফলের চাহিদা ও বেশ ভালো।দাম একটু বেশি হলেও সকলের উচিত এই ফলটি একটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কিছু কিছু মানুষ এই ফল সম্পর্কে অজানা রয়েছেন, যারা এখন পর্যন্ত কোন দিন এই ফল খাননি। তবে, যারা এখন পর্যন্ত এই ফল কোন দিন খাননি, তারা অবশ্যই এই ফল টি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আমাদের এলাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফল বাগান রয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রতিটি ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে ড্রাগন ফুল ফুটেছে এবং ড্রাগন গাছের ডালে ডালে ড্রাগন ফল দেখা যাচ্ছে। আমার কাছে ড্রাগন ফুল গুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে।আর ড্রাগন ফল বাগান গুলো দুর থেকে ও দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে আমার কাছে।এক সময় এই ড্রাগন ফল আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ চিনতো না। বেশ কয়েক বছর থেকে আমাদের দেশের মধ্যে এই ড্রাগন ফল চাষ করা হচ্ছে।আর এই অল্প কয়েক বছরের মধ্যে এই ড্রাগন ফল সকলের মনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পেরেছি। এখন আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ এই ড্রাগন ফল সম্পর্কে অবগত আছে।

আমাদের এলাকার মধ্যে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফল বাগান রয়েছে।আমি সেদিন হঠাৎ করে একটি ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিলাম। আসলে আমি মূলত ড্রাগন ফল বাগান ঘোরাঘুরি করার জন্য গিয়েছিলাম। তাছাড়া আমার আর কোন কাজ ছিল না এই ড্রাগন ফল বাগানে।আর এই ড্রাগন ফলের বাগান টি আমার এক আনকেলের তাই আমি সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম।আমি বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম, ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে খুবই সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটেছে, আর এই ফুলের সৌরভ উপভোগ করার জন্য এই ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে যাওয়া আমার মূল উদ্দেশ্য।আর এই ড্রাগন ফল বাগান টি আমার বাসা থেকে একদম কাছেই অবস্থিত। হেঁটে হেঁটে যেতে প্রায় দশ থেকে পনের মিনিট সময় লাগে।

তো আমি বিকাল বেলা হেঁটে হেঁটেই ড্রাগন ফল বাগানের উদ্যেশ্য হাঁটতে শুরু করলাম।আমি অল্প কিছু সময়ের মধ্যে ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে উপস্থিত হয়ে যাই। ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে প্রবেশ করে দেখতে পারলাম, ফলের গাছ গুলো বেশ বড় হয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে এসেছিলাম, কিন্তু তখন এই বাগানের ফল গাছ গুলো এতো বড় ছিল না। অল্প সময়ের মধ্যে এই ফল গাছ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।আর ড্রাগন ফলের গাছ গুলো বিভিন্ন ধরনের বাঁশের খুঁটি দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছে, যাতে করে ড্রাগন ফল গুলো মাটির মধ্যে না পড়ে যায়।আর পুরো বাগান টি বাঁশের খুঁটি দিয়ে গাছ গুলো কে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে।আর গাছ গুলো দেখতে ও অনেক বেশি ভালো লাগছে।

আপনারা হয়তো সকলেই অবগত আছেন যে, ড্রাগন ফল গাছের মধ্যে কাটা হয়।আর এই কাটা গুলো খুবই ভয়ংকর।আমি ড্রাগন ফল বাগানের মধ্য দিয়ে যখন হাঁটাচলা করছিলাম, তখন ড্রাগন ফল গাছের কাঁটা গুলো আমার কাপড়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার আটক হয়েছিল। আপনারা যদি কখনো ড্রাগন ফল বাগানের মধ্যে ঘুরতে যান, তাহলে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করে হাঁটাচলা করবেন, যাতে করে কোন ধরনের কাটা শরীরের মধ্যে লেগে না যায়। ড্রাগন ফল গাছের কাঁটা গুলো খুবই যন্ত্রনাদায়ক। এরপর আমি পুরো বাগান টি ঘোরাঘুরি করে দেখছিলাম।পুরো বাগান টি ঘোরাঘুরি করে দেখলাম কেবলমাত্র অল্প কিছু গাছের মধ্যে ড্রাগন ফুল এসেছে। আবার কিছু কিছু ফুল ফুটে ড্রাগন ফল বের হয়েছে। এরপর আমি বাগানের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সময় ঘোরাঘুরি করে বাসায় চলে আসি।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে রংপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।