আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ০৯ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং
যখন তারা ঘর থেকে বের হচ্ছিল না, তখন যে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসেছিলেন তারা চলে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ সদস্য গুলো চলে যাওয়ার সময় ছেলের বাবা এবং মা কে এক অন্যরকম ভয় দেখিয়ে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে ছেলের বাবা এবং মা মেয়ে এবং ছেলে দুইজন রুম থেকে বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু তারা কাহারো কথা গায়ে মাখেননি। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের কথা হচ্ছে আমাদের কে বিয়ে না দেয়া অব্দি আমরা ঘর থেকে এক পা বাইরে ফেলবো না। ছেলের বাবা এবং মা ছাড়া ও আরো গ্ৰামের বেশ কয়েকজন মানুষ তাদের কে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা তবুও বের হননি। ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই জানতেন ঘর থেকে বের হলেই তাদের দুজন কে আলাদা করা হবে, মেয়ে কে মেয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।
ছেলে এবং মেয়ের উভয়ের বয়স ছিল খুবই কম। ছেলেটির বয়স প্রায় পনের থেকে ষোল হবে এবং অপরদিকে মেয়েটির বয়স প্রায় বারো থেকে চৌদ্দ বছর হবে। দিনটি ছিল শুক্রবার। যখন পুলিশ সদস্যরা তাদের কে ঘর থেকে বের করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েন, তখন তারা বিষয় টি থানায় গিয়ে ইউএনও কে জানান।আর মেয়ের বাবা মেয়ে কে বের করে নিয়ে আসার জন্য থানায় অনেক টা চাপ দিয়েছিল। মেয়ের বাবা একজন ভালো ক্ষমতাশালী লোক।তাই মেয়ের বাবার কথা শুনে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছেলেটার বাসায় বেশ কয়েকজন পুলিশ এবং ইউএনও চলে আসে। ইউএনও বিষয়টি প্রথম অবস্থায় একদম হালকাভাবে নিচ্ছিলেন। কিন্তু যখন ছেলেটির বাসায় এসে বিষয়টি দেখতে পারেন, তখন তার কাছে বিষয়টি কিছু টা কঠিন মনে হয়েছিল।
ইউএনও স্যার যখন ছেলে এবং মেয়ে কে রুম থেকে বের করার জন্য জানালায় গিয়ে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের সাথে কথা বলেন, তখন ও ছেলে মেয়ে উভয় রুম থেকে বের হতে অনিহা। ছেলে মেয়ে উভয়ের দাবি ছিল একটা, সেটা হচ্ছে বিয়ে। শেষ মুহূর্তে ইউএনও স্যার ছেলে মেয়ে কে রুম থেকে বের করার জন্য অনেক ধমক এবং ভয় দেখিয়েছিলেন, কিন্তু তারা তবুও তার কথা গায়ে মাখেননি। এভাবেই সন্ধ্যা নেমে আসে। কিন্তু কোনো ভাবেই তারা বিষয়টি সমাধান করতে পারছিলেন না।আমি সেদিন পুরো টা সময় ধরে তাদের সাথে ছিলাম। সেদিন আমাদের গ্ৰামের মধ্যে একদম থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আসলে এমন ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি আমাদের গ্ৰামের মধ্যে।তাই গ্ৰামের প্রতিটি মানুষ সেখানে ভীড় জমায়।
যাইহোক, সন্ধ্যা বেলায় সবাই ইফতারি করার জন্য বাসায় চলে যায়।মাস টি রমজান মাস।ইফতারি শেষে ইশারের পর পরই আমাদের খোঁড়া গাছ ইউনিয়নের এস আই, থানার ইউএনও স্যার এবং এমপি মহোদয় সহ চলে আসে ছেলের বাসায়। এছাড়া ও তাঁদের সাথে পুলিশ ছিল প্রায় বিশ জনের অধিক। তারা সকলেই ছেলের জানালায় গিয়ে ছেলে এবং মেয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। আমাদের এমপি মহোদয় তাদের কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুম থেকে বের করেন। তাদের কে রুম থেকে বের করে এলাকাবাসী কে নিয়ে একটি সুষ্ঠু সুন্দর ফয়সালা টানেন। যেহেতু তাদের উভয়ের কাহারো বিয়ের বয়স হয়নি, তাই তাদের শেষ মেষ আর বিয়ে হয়নি। ছেলে কে ছেলের বাবার হাতে তুলে দেন এবং মেয়ে কে মেয়ের চাচার হাতে তুলে দেন।এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভালোবাসা মানে না কোন বাঁধা।
সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Vote@bangla.witness as witness
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit