জেনারেল রাইটিং: ভালোবাসা মানে না কোন বাঁধা (শেষ পর্ব)

in hive-129948 •  14 days ago  (edited)

আমি @riyadx2 বাংলাদেশ থেকে
রবিবার, ০৯ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।


W5LtFUPm6g7111bbdcuxu3bfUg5qaCq8seb5paCtrrT7zRmnFV9QJX5JsCPcSptbzgHnThgeVnPAFr7dq8HhcLizLctbtqyKyCC5HphRVa3L4bXnSxbu7owg6QZwTn92TfX68sjGCgBXThbgVRXMyUT5FUqgz.jpeg

সোর্স

যখন তারা ঘর থেকে বের হচ্ছিল না, তখন যে কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসেছিলেন তারা চলে যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ সদস্য গুলো চলে যাওয়ার সময় ছেলের বাবা এবং মা কে এক অন্যরকম ভয় দেখিয়ে চলে যায়। পরবর্তী সময়ে ছেলের বাবা এবং মা মেয়ে এবং ছেলে দুইজন রুম থেকে বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করি। কিন্তু তারা কাহারো কথা গায়ে মাখেননি। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের কথা হচ্ছে আমাদের কে বিয়ে না দেয়া অব্দি আমরা ঘর থেকে এক পা বাইরে ফেলবো না। ছেলের বাবা এবং মা ছাড়া ও আরো গ্ৰামের বেশ কয়েকজন মানুষ তাদের কে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তারা তবুও বের হননি। ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই জানতেন ঘর থেকে বের হলেই তাদের দুজন কে আলাদা করা হবে, মেয়ে কে মেয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হবে।

ছেলে এবং মেয়ের উভয়ের বয়স ছিল খুবই কম। ছেলেটির বয়স প্রায় পনের থেকে ষোল হবে এবং অপরদিকে মেয়েটির বয়স প্রায় বারো থেকে চৌদ্দ বছর হবে। দিনটি ছিল শুক্রবার। যখন পুলিশ সদস্যরা তাদের কে ঘর থেকে বের করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েন, তখন তারা বিষয় টি থানায় গিয়ে ইউএনও কে জানান।আর মেয়ের বাবা মেয়ে কে বের করে নিয়ে আসার জন্য থানায় অনেক টা চাপ দিয়েছিল। মেয়ের বাবা একজন ভালো ক্ষমতাশালী লোক।তাই মেয়ের বাবার কথা শুনে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছেলেটার বাসায় বেশ কয়েকজন পুলিশ এবং ইউএনও চলে আসে। ইউএনও বিষয়টি প্রথম অবস্থায় একদম হালকাভাবে নিচ্ছিলেন। কিন্তু যখন ছেলেটির বাসায় এসে বিষয়টি দেখতে পারেন, তখন তার কাছে বিষয়টি কিছু টা কঠিন মনে হয়েছিল।

ইউএনও স্যার যখন ছেলে এবং মেয়ে কে রুম থেকে বের করার জন্য জানালায় গিয়ে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের সাথে কথা বলেন, তখন ও ছেলে মেয়ে উভয় রুম থেকে বের হতে অনিহা। ছেলে মেয়ে উভয়ের দাবি ছিল একটা, সেটা হচ্ছে বিয়ে। শেষ মুহূর্তে ইউএনও স্যার ছেলে মেয়ে কে রুম থেকে বের করার জন্য অনেক ধমক এবং ভয় দেখিয়েছিলেন, কিন্তু তারা তবুও তার কথা গায়ে মাখেননি। এভাবেই সন্ধ্যা নেমে আসে। কিন্তু কোনো ভাবেই তারা বিষয়টি সমাধান করতে পারছিলেন না।আমি সেদিন পুরো টা সময় ধরে তাদের সাথে ছিলাম। সেদিন আমাদের গ্ৰামের মধ্যে একদম থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। আসলে এমন ধরনের ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি আমাদের গ্ৰামের মধ্যে।তাই গ্ৰামের প্রতিটি মানুষ সেখানে ভীড় জমায়।

যাইহোক, সন্ধ্যা বেলায় সবাই ইফতারি করার জন্য বাসায় চলে যায়।মাস টি রমজান মাস।ইফতারি শেষে ইশারের পর পরই আমাদের খোঁড়া গাছ ইউনিয়নের এস আই, থানার ইউএনও স্যার এবং এমপি মহোদয় সহ চলে আসে ছেলের বাসায়। এছাড়া ও তাঁদের সাথে পুলিশ ছিল প্রায় বিশ জনের অধিক। তারা সকলেই ছেলের জানালায় গিয়ে ছেলে এবং মেয়ের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। আমাদের এমপি মহোদয় তাদের কে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রুম থেকে বের করেন। তাদের কে রুম থেকে বের করে এলাকাবাসী কে নিয়ে একটি সুষ্ঠু সুন্দর ফয়সালা টানেন। যেহেতু তাদের উভয়ের কাহারো বিয়ের বয়স হয়নি, তাই তাদের শেষ মেষ আর বিয়ে হয়নি। ছেলে কে ছেলের বাবার হাতে তুলে দেন এবং মেয়ে কে মেয়ের চাচার হাতে তুলে দেন।এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে ভালোবাসা মানে না কোন বাঁধা।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

P1nnPUkSmoNUKb4TPeqQKoypeKJsLYTRBqQF72wfANTunXi5ykaNXfcHUD5j7ywn2sYMuAaxVCSF7KarjeyDXMWkShcYXof5pJzL811JLa...YvwmTf667voc7rj2rYhzUHtRoZiaMkZcfUbRkBUaWAQK1RbzHq4ZuAeSzwZkJT3X35hRevJH2MzMkLrvzNgcWgEXUASxmti5ast1AiY1XuTx9R8CHrKDjR9fYA.png

Vote@bangla.witness as witness

54TLbcUcnRm3sWQK3HKkuAMedF1JSX7yKgEqYjnyTKPwrcNLMcZnLnFrW5PDaQKxbWWqwrRezSAe39S7RTiEk7NCzgzD1reVavwZGUMbjasjujy1CQqSedvtuVGKXod3vcdSqiXp2.png

Or

Set@rme as your proxy

2r8F9rTBenJQfQgENfxADE6EVYabczqmSF5KeWefV5WL9WEX4nZPQpSChVhr5YUqUeT6qhYr1L6PMHKqtRnepY2a8e1tqsDtWfr4V8KDGvJtydqvz4V68PMUyu9EWpez2.png


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

1728830339945~3.jpg

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Screenshot_2025-02-09-08-36-18-023_com.android.chrome.jpg

Screenshot_2025-02-09-08-35-45-916_com.android.chrome.jpg

Screenshot_2025-02-09-08-34-44-494_com.twitter.android.jpg