প্রিয় মানুষগুলোর দেওয়া কষ্ট কেউ সহ্য করতে পারে না এটা মিথ্যা কথা... চরম মিথ্যা কথা....একটা সময় তার অনুপস্থিতিতে কিচ্ছু যায় আসে না আমার আপনার...
কেমন আছো তুমি.....কি করছো তুমি....নিজের এতটুকু খেয়াল রাখো না কেন তুমি???
কথাগুলো একটা সময় বেশ পুরোনো হয়ে যায়........কেমন যেন শুন্যতা কাজ করে নিজের ভিতর কথাগুলো চিন্তা করলেই....
মানুষটাকে বারবার দেখতে মন চায়....কন্ঠটা শুনতে মন চায়....কিন্তু আর শোনা হয়ে ওঠে না....বিশ্রি রকমের সহ্যশক্তি তৈরী হয়ে যায় নিজের ভিতর.......আস্তে আস্তে তার জন্য অপেক্ষা করা সময়গুলো কেমন যেন হাওয়ায় মিলাতে থাকে....প্রিয় মানুষটার তৈরী করা অভ্যাসটা আর তার দেওয়া কষ্টগুলো কেমন যেন ককটেল হয়ে হাসির খোরাক হয়....তারপরও কষ্ট হয়....খুব কষ্ট হয়.... বুকের বাম পাশে চিনচিন করে ব্যথাটা গ্যাসের ব্যথা বলে একটা ওলপ্রাজলে শান্তনা দিতে হয়...
আজিব না আমরা আর আমাদের অনুভূতিগুলো.....কষ্ট হয় তার রেখে যাওয়া স্মৃতিগুলোর জন্য.....স্মৃতিগুলো না খুব নিলজ্জ...চুপচাপ থাকলেও হঠ্যাৎ ঘুমের মধ্যেও লাফিয়ে তুলতে বাধ্য করে....দুঃস্বপ্ন বলে চালিয়ে দেই...
হৃদয়স্পন্দনটা বাড়িয়ে দিয়ে ছলছল চোখে স্মৃতিগুলো একটা দীর্ঘশ্বাস উপহার দিয়ে আবার লুকিয়ে যায়...
খুব খেয়াল করলে দেখতে পারবেন....রিক্সায় একপাশে ছেলেটা চুপচাপ বসে আছে... মাঝে মাঝে মুচকি হাসছে আবার মন খারাপ করছে.....সাইকোটাইপ বদ্ধ পাগল নয় তো?
না সে পাগল নয়....ছেলেটার মন জুড়ে এখনও কোন নষ্টগল্পের নায়িকা রাজত্ব করছে....
মেয়েটা না উৎসুক চোখে এদিক-ওদিক দেখছে....না মেয়েটার চরিত্রে কোন প্রবলেম নেই....একটা সময় কোন এক ছেলে তার অপেক্ষায় থাকতো এই রাস্তায়.....মেয়েটা হাসছে আর হাঁটছে ... ও পাগল ছিল না....ওর ভালবাসাটা পানির মত স্বচ্ছ ছিল....ঐ ছেলেটার জন্য ছিল... যে এখন নেই কিন্তু মনটা তার কাছেই ইজারা দিয়ে রাখা.
গভীররাত পর্যন্ত ঘুম আসে না নাম দিয়ে বিছানায় ছটপট করা মানুষটা বারবার মোবাইলের স্কীন অন-অফ করে একটামানুষের কলের অপেক্ষা করছে....কাউকে কিছু বলতে চায় সে.....অনেক স্বপ্ন আর অনেক গল্প তার মনে ছিল নির্ভরযোগ্য বুকটা আজ অন্য কারও দখলে....গল্পটা শোনানোর মানুষটা আজ নেই.....সবাই ব্যস্ত আমার গল্প শোনার সময় কারও নেই...
এই পৃথিবীতে একাকীত্বের চেয়ে বিষণ্ণ অনুভূতি আর কিছু নেই.....আমার একাকীত্বটা কাউকে নাড়া দেয় না....সবাই দেখে আপনি ভাল আছেন.....আদৌ আপনি ভালো আছি কিনা আপনাার মনের ভিতরে ঢুকে কেউ উঁকি দিতে ভয় পায়....ওখানে একাকীত্ব নামের ভাইরাস বাসা বেঁধেছে....অনেকদিন এভাবে কাটিয়ে দিলে একটা সময় নাকি অভ্যাস হয়ে যায়....অনুভূতি নাকি কাজ করে না....মিথ্যা চরম মিথ্যা....ঝাপসা চোখজোড়ার বৃষ্টি নিজেকেই মুছতে হয় কেউ আসে না সত্যি কেউ আসে না চোখের পানি মুছতে......
কষ্টগুলো আগের মতই থাকে...কোন রং রুপ বদলায় না...মাঝে মাঝে চাপা আর্তনাদে মুখরিত করে অন্তর আত্মকে.....অভ্যাস হয়ে যায় একাকীত্বের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায়....সংসার করি...ছেলেটা নিকোটিনে আর মেয়েটা ঘুমের ট্যাবলেটে...
একা থাকতে থাকতে মনে করি বেশতো ভালই আছি...আসলে কেউ ভালো থাকে না......অথচ সে থাকলে ভালো থাকতাম হয়তবা এখন যেমনটা আছি তার চেয়ে বেশি.....!!!!
অবুঝ ভালোবাসা
বাবু
আজ পাঁচ বছর হলো আমাদের বিয়ের। এই পাঁচ বছরে অন্তত পাঁচটি জন্মদিন গেছে আমার বউয়ের। পাঁচ বছরে পাঁচটা এনিভার্সেরি গেছে আমাদের। কিন্তু একটাও পালন করা হলো না।
আমি ওর জন্মদিন এই পাঁচ বছর ধরেই মনে রেখেছি। কোন দিন ভুলি নাই কিন্তু ওর জন্মদিন টা সেইভাবে সেলিব্রেট করাও হয় না।সেলিব্রেট করবো দূরের কথা ওকে আমি উইশ পর্যন্ত করি না। এই পাঁচ বছর অর্থাৎ ১৮২৫ দিন, ৪৩৮০০ ঘন্টা,২৬,২৮,০০০ মিনিটে একটিবার ও ওকে বলাই হয় নি "আমি তোমায় ভালবাসি। "
মেয়েটি আমার ভিতর জমে থাকা শক্ত হৃদয়টাকে ভেঙ্গে একদম নরম করে দিয়েছে। বিয়ের প্রথম দিন আমি আমি ওর সাথে শুই নি। ও একটি শব্দ ও করে নি। পরেরদিন থেকে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে লাগলো। অবাক হলাম। অবাক হওয়ার ই বিষয়। সারারাত যখন বারান্দায় বসে সিগারেট খেতাম,মদ খেতাম ও চুপ মেরে ভিতরে বসে থাকতো। মদ খেয়ে যখন বারান্দায় লুটিয়ে পড়তাম আমার কিছুই মনে থাকতো না। পরেরদিন নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করতাম। অথচ আমার এই মাতলামি নিয়ে ওর কোন অভিযোগ ছিলো না।
এই পাঁচ বছরে ও আমার কাছে একবার কোন আবদার করেনি কিছু সম্পর্কে। মুখ ফুটে ওর সাথে ভালো করে কথা বলিনি প্রায় ১ বছর। মেয়েটি হয়ত আমার এসব ব্যবহারের জন্য অনেক চোখের জল ফেলেছে কিন্তু আমার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ কখনো কারও কাছে করেনি। ভাবতাম মেয়েটি হয়ত আমাকে মেনে নিবে না। ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবে। না মেয়েটি আমাকে ছেড়েনি। মাঝেমধ্যে ওকে আমার অনেক বোকা মনে হয়। ও আসলেই বোকা।
প্রায় ৬ বছর একটা মেয়েকে ভালবেসেছিলাম। প্রত্যেক ঘন্টায় ঘন্টায় ওকে "I love you" বলতে হতো। প্রত্যেক জন্মদিনে ওর টিএসসিতে সেলিব্রেট করতে হতো বন্ধুবান্ধব এর সাথে। চুন থেকে পান খসলেই ওই মেয়েটির অনেক ন্যাকামো সহ্য করতে হতো আমাকে। কিন্তু তবুও মেয়েটিকে আমি ভালবাসছিলাম।
বলতে গেলে রীতিমত পাগল ছিলাম। মেয়েটি যখন আমাকে ছেড়ে যায় আমার প্রায় ২ বছর লেগে যায় নর্মাল হতে।
আসলে আমি ওর কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। ও যদি ছেড়ে না যেতো আমার বউ এর মত কাওকে আমি পেতাম না। যে মেয়েটা আমাকে বুঝিয়েছে ভালবাসা মানে কি? এই পাঁচ বছরে ওর জন্মদিন আমি পার্টি দিয়ে সেলিব্রেট করি না। সারারাত মসজিদে কাটায় আমি। নামাজ পড়ি তার জন্য দোয়া করি। সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি সে যেনও আমার মৃত্যু পর্যন্ত আমার পাশে থাকে। চিৎকার করে বলি "আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি " কিন্তু ওকে শুনতে দেয় না হারাবার ভয়ে। মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি,সিগারেট ও ধরতে হয় না। যখন এইগুলা হাতে নেই ওর ছবি ভেসে উঠে। আর খেতে পারি না তখন। পাগলীটা নিজেও জানে না ও আমার জীবনজুড়ে কতটা বিস্তৃত।
কারো কাছে অবহেলিত হয়ে তুমি মন খারাপ করো না... ভেবো না যে তার মন বলতে কিছু নেই... আসলে মন সবারই আছে... তবে একটু খোঁজ নিলেই বুঝতে পারবে সেই মানুষটাও অন্য কারোর কাছে অবহেলিত হয়ে আসতেছে... ঠিক তোমারই মতো সেও অন্য কারোর কাছে অবহেলার পাত্র...
.
যার একটা মেসেজ পাবার জন্য বার বার ইনবক্স চেক করছো... মানুষটা অনলাইনে আছে কিনা সেটাও লক্ষ রাখছো... তবুও তার কোন বার্তা তোমার ইনবক্সে আসে না... তখন হয়তো তোমার খারাপ লাগবে... মনে হবে ফেইসবুকে আসাটাই বৃথা... কিন্তু না, খোঁজ নিলে জানতে পারবে সেই মানুষটাও ঠিক তোমারই মতো অন্য কারো মেসেজের জন্য অপেক্ষা করে আসতেছে... কিন্তু মেসেজ আসে না...
.
তোমারও ইচ্ছা হবে পছন্দের মানুষটা তোমার রোজ খোঁজ খবর রাখুক... ঠিক মতো কেয়ার করুক... কি করছো, খেয়েছো কিনা এসব প্রশ্নও তোমার তার কাছ থেকে পেতে ইচ্ছা করবে... কিন্তু এসব প্রশ্ন তো দূরের কথা, তুমি মরে গেছো না বেঁচে আছো এ খবরও সে রাখে না... তুমি হয়তো ভাববে মানুষটা বুঝি বড় নিষ্ঠুর... আসলে কেউই নিষ্ঠুর না, তোমার মতো সেও ঠিক একই ভাবে অন্য কারোর কাছে কেয়ার পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে...
.
তোমার হয়তো ইচ্ছা হবে পছন্দের মানুষটার সাথে একটু সময় কাটাতে... ইচ্ছে করবে কিছুটা সময় স্মৃতি হিসাবে ধরে রাখতে... কিন্তু মানুষটা তোমাকে কোন সাঁড়া দিবে না... বার বার নানা অজুহাত দেখিয়ে তোমাকে এড়িয়ে চলবে... তুমি হয়তো ভাববে মানুষটা বুঝি বড়ই কৃপণ... আসলে কেউ কৃপণ না, ঠিক তোমারই মতো সেও অন্য কারোর সাথে সময় কাটানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে আছে...
.
আসলে কেউই হুট করে অবহেলা করতে পারে না... হঠাৎ করে অবহেলা করা যায় না... ধীরে ধীরে মানুষ অবহেলা করতে শিখে যায়... একটা কথা জেনে রাখো, একমাত্র অবহেলাই মানুষকে অবহেলা করতে শিখায়... আর কিচ্ছু না !!" :)
.
যদি আমাদের ভালোবাসার গল্প গুলো ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং কমেন্ট করবেন।
এই ধরনের পোস্ট এখানে না করাই ভালো, সঠিক গাইডলাইন জেনে এবং মেনে পোস্ট করবেন তাতে আপনার অনেক ভালো হবে। ধন্যবাদ আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন, পড়ে ভালো লাগলো। তবে আমার বাংলা ব্লগে এই ধরনের পোস্ট গ্রহনযোগ্য নয়। আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করতে হলে কিছু নিয়ম জানতে হবে 👇
আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করতে হলে, সর্বপ্রথম একটি পরিচিতিমূলক পোস্ট লিখতে হবে।
আর অবশ্যই পোস্ট বাংলাতে হতে হবে।
পোস্টে অবশ্যই #abb-intro ট্যাগ ব্যাবহার করতে হবে। একটি পরিস্কার কাগজে আমার বাংলা ব্লগ, আপনার স্টিমিট আইডি এবং তারিখ লিখে সেই কাগজসহ আপনার ছবি তুলতে হবে। এই ছবির সাথে আরও নূন্যতম তিন চারটি ছবি এবং ২৫০ শব্দের একটি পরিচিতি মূলক পোস্ট লিখতে হবে। আপনার সম্পর্কে আরও তথ্য লিখতে হবে যেমন আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, পরিবার, জাতীয়তা, এলাকা সম্পর্কে সব তথ্য উল্লেখ করতে হবে। আপনাকে সঠিকভাবে ভেরিফিকেশন পোস্ট করতে হলে এই সকল নিয়ম মেনে আবার পোস্ট করতে হবে। আপনার পোস্টে রেফারার সম্পর্কে লিখতে হবে অথবা এই কমিউনিটির ব্যাপারে কোন 'মাধ্যম' থেকে জানতে পেরেছেন তা উল্লেখ করতে হবে অবশ্যই।
👇
আর আপনি পরিচিতি মুলক পোস্ট তখনি করবেন যদি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনার পরিচিত কোনো ভেরিফাইড মেম্বার থেকে থাকে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
তবে এই মুহুর্তে এই বাংলা ব্লগে নিউ মেম্বার নেয়া হচ্ছে না, আপনি আমাদের discord জয়েন করুন। নিউ মেম্বার নেয়ার সঠিক সময় discord এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে।
আরও কিছু জানতে
জয়েন করুন আমাদের discord server এ
Discord link : ঃhttps://discord.gg/5aYe6e6nMW
নিচের লিংক টি ক্লিক করে দেখে নিতে পারেনঃ আমার বাংলা ব্লগ এর সর্বশেষ আপডেট নিয়মাবলী
👉 [লিংক] ঃ https://steemit.com/hive-129948/@rme/last-updated-rules-of-amar-bangla-blog-community-16-aug-22
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit