[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] কুমোরটুলি ভ্রমণের আরো কিছু ফোটোsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  last year 

আপনার জানেন কিছুদিন পূর্বে আমি বাগবাজারের গঙ্গার কাছে "কুমোরটুলি" ভ্রমণের ৪ টি ফোটোগ্রাফি এপিসোড শেয়ার করেছিলাম । আজকে আরো কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি কুমোরটুলিতে আমাদের ভ্রমণের । এই এপিসোডে আরো ১৪টা ফোটো শেয়ার করতে চলেছি আজ । বেশ ভারী ভালো একটা স্থান । গঙ্গার নিকটবর্তী । আর বর্ষার এই সময়ে আরো সুন্দর লাগে জায়গাটা । কারণ, এই সময়টাতে কুমোরটুলি জেগে ওঠে । সামনে পুজো । রমরমিয়ে চলে তাই প্রতিমা তৈরির কাজ । সারি সারি স্টুডিওতে হাজারে হাজারে মাটির প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয় ঠিক এই সময়টাতে ।

দূর্গা, কালী, গণেশ, লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, অসুর, সিংহ আরো কত দেব-দেবীর মূর্তি গড়ার সময় এখন । কুমোরটুলি তাই সারাদিনমান কর্মব্যস্ত থাকে । পুরোনো কলকাতা এই সময়টাতে তাই অন্য এক সাজে সজ্জিত হয় । তার রূপ এখন একদম পরিবর্তিত । গত চারটি পর্বে আমি কিভাবে মৃৎশিল্পীরা মাটি দিয়ে এই সব অপরূপ কারুকার্যমন্ডিত মাটির মূর্তি ও অঙ্গসজ্জা করে থাকে সে বিষয়ের উপরে মোটামুটিভাবে আলোকপাত করেছি ।

আসলে যে কোনো শিল্পের পিছনেই থাকে শিল্পীর অমানুষিক পরিশ্রম ।যুগে যুগে মানুষ শিল্পপ্রেমী, শিল্পের প্রতি একটা সহজাত অনুরাগ আছে আমাদের সবারই । কিন্তু, শিল্প দেখে আমরা মুগ্ধ হলেও শিল্পীর কদর করি না তেমন একটা । যুগ যুগ ধরেই বহু শিল্পী অবাঞ্চিতই থেকে গেলো তাই । তাঁদের প্রাণ দিয়ে গড়া শিল্পে মুগ্ধ হলেও তাঁদেরকেই অবহেলা করি আমরা । কোনোরকমের মূল্য দিতে কুন্ঠাবোধ করি ।

এটাই কি কাম্য হওয়া উচিত কখনো ?


Image 2023-08-15 at 23.00.34.jpg

সামনেই গণেশ চতুর্থী । তাই বিশালাকায় সব গণেশ মূর্তির কাজ চলছে পুরোদমে ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-08-15 at 23.00.36.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.40.jpg

বড় গণেশ মূর্তির সাথে সাথে ছোট আকৃতির গণেশ মূর্তির চাহিদাও তুঙ্গে ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-08-15 at 23.00.35.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.37.jpg

চলছে বুদ্ধ মূর্তি তৈরির কাজ । নিচে অঙ্গসজ্জা তৈরী হচ্ছে ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-08-15 at 23.00.41.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.42.jpg

শুধু দেব-দেবীর মূর্তি নয়, নানান ধরণের মূর্তি গড়ার কাজও হয়ে থাকে এখানে ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-08-15 at 23.00.45.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.46.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.47.jpg

ছবিতে টিনটিন বাবু ও তনুজা, পুরোনো কোলকাতা তার পটভূমি ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-08-15 at 23.00.48.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.49.jpg

হাতে টানা রিক্সার সাথে ছবি তুলেছে টিনটিন আর তনুজা । সমগ্র এশিয়ায় এখন শুধুমাত্র ভারত, চীন আর জাপানে হাতে টানা রিক্সা আছে ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৪ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-08-15 at 23.00.50.jpg

Image 2023-08-15 at 23.00.51.jpg

কলকাতার পাতাল রেলে প্রথমবারের মতো টিনটিনের ভ্রমণ ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : D5600
ফোকাল লেংথ : ৮৬ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)


তারিখ : ২১ আগস্ট ২০২৩

টাস্ক ৩৬২ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 74c18737bdc9be965d33068f171eab1e76fe6f467382310a93acccd2629a9978

টাস্ক ৩৬২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় কত সুন্দর সৃষ্টি হয়। এই সময়টায় কুমোরটুলি জেগে উঠে তা তো বোঝাই যাচ্ছে।বিশেষত বিভিন্ন রকম মূর্তি কত সুন্দর করে তৈরি করছে তা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আসলে এটা ঠিক শিল্পীর কদর করতে সবাই যেন কিছুটা পিছিয়ে থাকে, স্বাভাবিক মূল্য দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে। যাইহোক বৌদি, টিনটিন আর স্বাগতা দিদি তিনজনকে খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। সর্বোপরি সবগুলো ছবিই ভালো লাগলো দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

nice

দাদা আজ আবার সেই কুমোরটুলির বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে বোঝা যায় তারা কতোই না সময় নিয়ে এসব মূর্তিগুলোকে বানায়।সামনে পূজা তাই তাদের ব্যস্ততা ও খুব বেশি।এদের কে আসলে আমাদের মূল্যায়ন করা উচিত।সবগুলো ফটোগ্রাফি ই খুব ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

দাদা এর আগের চারটি পর্ব পড়ার সুযোগ হয়ে ছিল আমার। বেশ দারুন ছিল সেই ফটোগ্রাফি গুলো। আজও আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর চৌদ্দটি ফটোগ্রাফি করলেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝা যাচ্ছে শিল্পীরা কত পরিশ্রম করে আর কতটা যত্ন নিয়ে এত সুন্দর সুন্দর শিল্পকর্মগুলো করেছিল। কিন্তু আমরা তো শিল্পীদের মূল্যায়ন করতে জানিনা। সে যাই হোক টিন টিন বাবুর মতো আমিও কিন্তু এ পর্যন্ত পাতাল রেলে উঠিনি। তবুও তো টিন টিন বাবু প্রথম বার উঠলো।

কুমোরটুলিতে ভ্রমন করতে গেলে পুরনো কলকাতার চিত্র দেখা যায়। আসলে এসব জাগায় ঘুরলে অনেক তথ্য জানা যায়। টিনটিনের মনে হয় বেশি ভাল লাগছে না,বার্গার খাওয়ার খুব ইচ্ছা জেগেছে,হে হে হে। ধন্যবাদ দাদা।

দেখতে দেখতেই পুজোর সময় চলেই আসলো।এই সময় কুমোর দের অনেক ব্যস্ত সময় পার করতে হয়।আর কলকাতার কুমোরটুলির নাম অনেক শুনেছিলাম যে ওখানে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রতিমা তৈরি হয়।আজ দাদা আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো।সেই সাথে টিনটিন বাবুর পাতাল ট্রেনে চড়ার দৃশ্য বৌদি,স্বাগতা দিদি সবাইকে একসাথে দেখতে খুবই ভালো লাগছে।ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা করি আপনাদের এই পারিবারিক বন্ধন যেনো চিরকাল অটুট থাকে।সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

অবশ্যই শিল্পের সাথে শিল্পীরও কদর করা উচিত। কারণ শিল্পী না থাকলে শিল্পের সৃষ্টি হতো না। যাইহোক আগের চারটি পর্ব দেখার সুযোগ হয়েছিল দাদা। কিভাবে মূর্তি বানানো হয় সেই সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছিলেন। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। টিনটিন বাবুকে দেখে মনে হচ্ছে পাতাল ট্রেনের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে ভয় পাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় গিয়ে হাতে টানা রিকশাতে উঠেছিলাম। যাইহোক পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ দাদা এর আগে কুমোরটুলির বিভিন্ন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলেন। আবার তার কিছু শেয়ার করতে চলেছেন। আসলে ফটোগ্রাফি এবং এই দৃশ্যগুলো দেখতে ভালো লাগে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

Posted using SteemPro Mobile

দাদ কুমোরটুলির আরো কিছু ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে।তবে এত নিখুঁত করে মূর্তি বানানো বা এত কাছে থেকে মূর্তি বানানোর প্রক্রিয়াটি আপনার পোস্টের মাধ্যমেই দেখতে পেলাম। এর আগে কখনো দেখা হয়নি দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনার এবং আপনার ফ্যামিলির সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

শিল্পী ও শিল্পের অপূর্ব মেলবন্ধন। আমি কখনো এসব জায়গায় যেতে পারিনি। তবে আপনার ছবি গুলো দেখে সত্যিই জায়গাটির উপর শ্রদ্ধা চলে এল। শিল্প মনের পরিপূর্ণ ধারক না হলে এসব মূর্তির প্রকৃত সৌন্দর্য আসে না। পুরনো কলকাতার হাতে টানা রিকশার ছবি দেখে না দেখা, অথচ আপন কোন স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে একজন শিল্পীর তুলনা অতুলনীয়। একজন শিল্পীর হাতে যে এত জাদু আছে তা না দেখলে বোঝা যায় না। কুমোরটুলির বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন । মূর্তিগুলো
এত নিখুঁত ও অনেক সময় ধরে যারা বানায় না দেখলে বোঝার উপায় নেই এত সুন্দরভাবে কিভাবে তৈরি করে। বৌদি টিনটিনও স্বাগতা দিদি তিনজনকে খুব সুন্দর লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ দাদা।

আসলে যে কোনো শিল্পের পিছনেই থাকে শিল্পীর অমানুষিক পরিশ্রম ।যুগে যুগে মানুষ শিল্পপ্রেমী, শিল্পের প্রতি একটা সহজাত অনুরাগ আছে আমাদের সবারই । কিন্তু, শিল্প দেখে আমরা মুগ্ধ হলেও শিল্পীর কদর করি না তেমন একটা । যুগ যুগ ধরেই বহু শিল্পী অবাঞ্চিতই থেকে গেলো তাই । তাঁদের প্রাণ দিয়ে গড়া শিল্পে মুগ্ধ হলেও তাঁদেরকেই অবহেলা করি আমরা । কোনোরকমের মূল্য দিতে কুন্ঠাবোধ করি ।
এটাই কি কাম্য হওয়া উচিত কখনো ?

এটা কখনোই কাম্য হওয়া উচিত না। সত্যিই ভাই, এসব ভাবলে বেশ ব্যথিত হয়ে যাই।

বেশ ভালোই উপভোগ করলাম, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো। 🙏

দাদা কলকাতার কুমোরটুলির ছবি যত দেখি ততই ভালো লাগে। এখানকার মাটির তৈরীর মূর্তি গুলো সত্যি অসাধারণ হয় দেখতে। টিনটিন বাবুকে নিয়ে প্রথমবারের মতো পাতাল ট্রেনে উঠেছেন জেনে বেশ ভালই লাগলো। টিনটিন বাবুর অনেক ছোট বয়সেই পাতাল ট্রেনে ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটা হয়ে গেল। খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ চমৎকার লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ছোট আকৃতির গণেশ মূর্তি তৈরি দেখতে। লোকটা বেশ দারুন ভাবে বসে মূর্তি তৈরি করছে। টিন টিন বাবুকে দেখতে বেশ অসাধারণ লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ দাদা বিকেল বেলায় এত সুন্দর একটি সময় উপভোগ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এটা আসলে চিরাচরিত সত্য কথা যে আমরা শিল্পকে ভালোবাসতে পারি কিন্তু শিল্পীকে নয়।কারণ রক্ত মাংসে গড়া মানুষের অনুভূতি আছে,তাই তাদের পছন্দ না।ওইযে যাদের প্রাণ নেই তাদের জন্যেই ভালোবাসা,কারণ তারা তো কষ্টটা বলতে পারেনা।আজকাল দুঃখ দেখালেই মানুষ বিরক্ত হয়ে যায়।সুন্দর লাগছে সকলকে আর হাতের কাজ গুলো।

কুমোরটুলির ফটোগ্রাফিগুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আর তাদের ব্যস্ততা বাড়ে পুজার মৌসুমে। তারা কত কস্ট করে এই কাজটি করে কিন্তু তাদের সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। শিল্পীর জীবন মান উন্নয়নে তাদের কাজে যথাযথ মূল্যায়ন করা দরকার।অনেক ধন্যবাদ দাদা ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করার জন্য।