Copyright Free Image Source : Pixabay
আমাদের ছোটবেলায় স্কুলে গরমের ছুটি পড়লেই আমি গ্রামের বাড়িতে চলে যেতুম । প্রায় একটি মাস মজাসে কাটিয়ে ছুটি শেষ হওয়ার মাত্র অল্প কিছুদিন পূর্বে শহরে ফিরতাম । গ্রামের বাড়িতে গ্রীষ্মের ছুটি কাটানোর একটা আলাদা মজা ছিল । সব চাইতে মজার যে জিনিসটা উপভোগ করতাম সেটি হলো অবাধ স্বাধীনতা । গ্রামের বাড়িতে বাবা বেশি দিন থাকতো না । আমাদের পৌঁছে দিয়ে ২-৩দিন মাত্র কাটিয়েই শহরে চলে যেতো । টিউশনি থাকতো এ জন্য বাবার গ্রামের বাড়িতে বেশিদিন থাকা হতো না ।
গরমের ছুটিতে গ্রামে বাবা না থাকাতে আমরা অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করতাম । পড়াশোনার চাপ প্রায় থাকতো না বললেই চলতো এই সময়টাতে । শুধু খেলা আর খেলা, আর তার সাথেই চলতো নানারকম মজার এডভেঞ্চার । আজ দু'এক কথায় কিশোর বয়সের সে সব দিনের কিছু স্মৃতিচারণ করবো ।
আমাদের ছোটবেলায় গ্রামে এতটা গরম পড়তে কখনো দেখিনি । আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না, কিন্তু গরমের সময় তার জন্য খুব একটা কষ্ট কখনো পেয়েছি বলে তো মনে পড়ে না । গরমের দিনে খুব ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠতাম । আমার মনে আছে ছোটবেলায় গ্রামে গরমের ছুটি কাটাতে যখন যেতুম ওই সময়টাতে সূর্য কেবল উঠি উঠি করছে এমন কাক-ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তুম । শহরে আমার ছিল মর্নিং স্কুল । আটটায় ক্লাস শুরু হয়ে যেতো । সাড়ে সাতটার মধ্যে স্কুলে পৌঁছানোর নিয়ম ছিল, কিন্তু আমাকে যেতে হতো সাতটা বাজতে বাজতে । কারণ, বাবা ছিল এসিস্ট্যান্ট প্রিন্সিপ্যাল, তাকে স্কুল শুরুর অন্তত এক ঘন্টা আগে যেতে হতো । বাধ্য হয়ে তার সাথে আমাকেও যেতে হতো । তাই খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চমৎকার একটা অভ্যাস তৈরী হয়েছিল ছোটবেলায় ।
কিন্তু, গ্রামে গেলে আরো ভোরে উঠতাম । আর বিশেষ করে গরমকালে তো ভোরে উঠতে দারুন লাগতো । সূর্য ওঠার মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠেই চলে যেতুম আমাদের বাড়ির লাগোয়া ভিটেতে । এই ভিটে অনেকটাই বড় ছিল । ৬-৭ বিঘা জমি নিয়ে বিশাল একটা বাগান, পুকুর আর ডোবা, ঝোপ ঝাড় ছিল । বাগানে ছিল বেশ সাপের উপদ্রব । আমার ছোটদাদুর বাঁশঝাড় আর বেতঝাড় ছিল বেশ বড় । সেখানেও ছিল ভারী সাপ, শিয়াল আর গোসাপের উপদ্রব । বড় বড় বিশাল চেহারার মনিটর লিজার্ড বা গোসাপ বের হতো আমাদের গ্রামের পথে ঘাটে, ঝোপ-ঝাড়ে আর বাড়ির আনাচে কানাচে । কুমিরের মতো বিশাল চেহারা তাদের । সারাক্ষন সাপের মতো জিভ বার করতো ।
বাগানে গিয়ে আমাদের ছোটদের মেইন কাজই থাকতো কাঁচা আম, পাকা আম সব কুড়িয়ে আনা । তারপরে কাঁচা আম গুলো ভালো করে ধুয়ে বালতির ঠান্ডা জলে চুবিয়ে রাখতুম । এরপরে শুরু হতো বই পড়া । এক নাগাড়ে সকাল ন'টা অব্দি পড়া চলতো । এটাই ছিল সারা দিন-রাতের সেরা পড়া । এরপরে সকালে ভাত খেতে বসতুম । সকালের মেনুতে প্রায় প্রতিদিনই থাকতো নানান রকমের শাক-সবজি আর ভাজাভুজি, ডাল । কিছু কিছু এখনো মনে আছে । গরম ভাতে বাড়িতে তৈরী ঘী, উচ্ছে ভাজা, মৌরালা বা পুঁটি মাছ দিয়ে শুক্ত, কাঁচা আম বা সজনে ডাটা দিয়ে তিলে মুগের ঘন ডাল, শাক দিয়ে মাছের ঝোল থাকতো দুই তিন পদের, আর শেষ পেতে অবশ্যই বাড়ির দুধে আম-কাঁঠাল থাকতো ।
দারুণভাবে সাঁটিয়ে আমরা ছোটরা দলবেঁধে চলে যেতুম বাগানে । সাথে দু'তিনটে মাদুর থাকতো । আর থাকতো গল্পের বই, দাবা অথবা ক্যারম বোর্ড । বেশিরভাগ দিন ক্যারম বোর্ড নিয়ে যেতুম । একটা ঘন ছায়াওয়ালা আম গাছের নিচে দু'তিনটে মাদুর পেতে চলতো গল্প, আড্ডা আর দাবা বা ক্যারম খেলা । দুপুর অব্দি চলতো খেলা । আর সেই সাথে চলতো আম খাওয়া । মাঝে মাঝে ডাব খাওয়া হতো । আমি পাকা আম তেমন একটা পছন্দ করতাম না, তাই ডাবের জল আর ডাবের কচি শাঁস খেতুম পেট পুরে । এক একবারে ২০-২৫ টা অব্দি ডাব পাড়া হতো । খাওয়া দাওয়া মিটলে বাকি ডাবগুলো পুকুরপাড়ের আনারসের ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে ফেলতাম । পরের দিনের জন্য সঞ্চয় আর কী । এর পর স্নানের সময় হয়ে যেতে উঠে পড়তুম সবাই ।
ডিপ টিউবওয়েল চেপে ঠান্ডা শীতল জল তুলে সেই জলে স্নান করতাম আমরা ছোটরা সবাই এক সাথে ভীষণ মজা করে । এক ঘন্টা ধরে স্নান করে বাড়ি ফিরে গা মুছতে মুছতেই দুপুরের খাওয়ার ডাক পড়তো । আবার এক প্রস্থ ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সাথে টক-ডাল, মাছ ভাজা, দুপুরে পুকুর থেকে ধরা টাটকা মাছের ঝোল দিয়ে ভালোমতোন সাঁটিয়ে ফের আমবাগানে । এবার সঙ্গে থাকতো মাদুর আর বালিশ । গাছের ছায়ায় মাদুর পেতে একটু গড়িয়ে নিতাম সবাই । ঝির ঝিরে মিষ্টি হাওয়ায় ঘুম এসে যেত চোখে ।
বেলা একটু গড়ালেই তড়িঘড়ি সবাই উঠে উর্দ্ধশ্বাসে ছুটতাম খেলার মাঠে । ব্যাট, বল, স্ট্যাম্প নিয়ে শুরু হয়ে যেত আমাদের ক্রিকেট ম্যাচ । সে কী খেলা ! দারুন উত্তেজনাপূর্ন সেইসব ম্যাচ খেলতে খেলতে একটা সময় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই দ্রুত মাঠ ছেড়ে বাড়ি ফিরতাম সবাই । এরপরে বড় একটা ছুরি, বালতি ভর্তি সকালে কুড়ানো কাঁচা আম, গামছা আর ঝিনুক নিয়ে চলে আসতুম শান বাঁধানো প্রকান্ড পুকুর পাড়টায় । তারপরে পুকুরের পুব পাশে গিয়ে নেমে পড়তুম আমাদের চাষের জমিতে । বিঘার পর বিঘা জুড়ে তরমুজ, বাঙ্গি, কুমড়ো, তিল আর ডাল চাষ করা হতো । আমরা তরমুজ আর বাঙ্গির ক্ষেতে নেমে যেতুম । মিষ্টি দেখে তরমুজ বা বাঙ্গি কেটে পেট ভরে খেয়ে আবার পুকুর পাড়ে চলে আসতুম ।
এবারে হাত-পা-মুখ ধুয়ে বাঁধানো ঘাটে বসে চলতো আড্ডা । সেই সাথে এন্তার কাঁচা আম ঝিনুক দিয়ে ছাল তুলে নুন আর কাঁচা লঙ্কা মিশিয়ে উস উস করে খাওয়া চলতো । সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা অব্দি এভাবে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরে একটু বই নিয়ে বসতে হতো আবার । সাড়ে আটটায় আবার রাতের খাওয়া । রাতে ভাজাভুজি, শুক্ত, ডাল এসব খাওয়া নিষেধ ছিল । রাতের বেলা মেইনলি চলতো বড় মাছের কালিয়া আর কুঁচো মাছের ঝাল আর টক । রাতে আইটেম কম থাকতো কিন্তু খাওয়া বেশি হতো । কারণ বড় বড় মাছের নানান রকম পদ ছাড়া আর কিছু রান্না হতো না । ওই সব তো একটু বেশিই খেতে হয়, কি বলেন আপনারা ?
খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়তুম । রাত সাড়ে ন'টা বাজতে না বাজতেই ঘুমে একদম কাদা আমরা ।
এটাই ছিল গরমের দিনে আমাদের ছেলেবেলা ।
------- ধন্যবাদ -------
পরিশিষ্ট
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে গ্রামে কাটানো মুহূর্তের গল্প পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল যেন সেদিনকার কথা। এত তাড়াতাড়ি যুগের পরিবর্তন হয়ে গেল দাদা। ঝোপ ঝাড় যার থেকে উঠে আসা গুইসাপের কথা বললেন সেই গুইসাপ দেখে ছোটবেলা আমি খুবই ভয় পেতাম । অনেক বড় কালো জিহ্বা বের করত আর বড়দের কাছ থেকে শুনেছিলাম থুতু দিলে নাকি মানুষ মারা যায়। সেজন্য আরো বেশি ভয় পেতাম । সকাল ভোরে উঠে আম কুড়ানোর যে মজাটা বিভিন্ন খেলাধুলায় মেতে ওঠা কি যে সুন্দর মুহূর্ত ছিল। জীবনের স্বাধীনতা বলতে সেই সময়টাই ছিল । আবার ঝিনুকের খোসা দিয়ে আম ছুলে খাওয়া সবই যেন হারিয়ে গেছে। কত দ্রুত যুগের পরিবর্তন ঘটেছে খুবই মিস করি সেই দিনগুলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি দিন হারালাম দাদা! আপনার শৈশবের সাথে কিছু কার্যক্রম আমারও মিল রয়েছে! গ্রামে তখন এতোটাও গরম লাগতো না। শৈশবে সকাল নয়টা অবধিই বেশি পড়াশোনা হতো। আর দিনে কয়েকবার গোসল করা হতো পুকুরে। যতক্ষণ পর্যন্ত না চোখ লাল হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত পুকুরে ডুবে থাকা হতো।
এই ডাল আমার খুবই পছন্দের ছিল। সজনে ডাটা দিলে ডালে অন্যরকম একটা ঘ্রাণ হতো। ভাতের সাথে খেতে তো দারুণ লাগতো আমার। মিস করি ডালটাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে বাপরে দাদা। আপনার সারাদিনের গল্প পড়তে পড়তে তো একদম হাপিয়ে উঠলাম। সেই কাকা ডাকা ভোর থেকে শুরু করে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পুরো সময়টাই তো দেখছি গ্রামে বেশ মজায় কাটিয়েছেন। মজায় ভরা সকালের নাস্তা, আম কুড়াঁনো, সকালে নিদিষ্ট সময় করে পড়া শুনা। আবার দল বেধেঁ এগারোটায় গল্প করা, পড়াশুনা সাথে আবার খাওয়া দাওয়া। এরপর দুপুরের খাবার, সুন্দর নির্মল বাতাসে ঘুম । বিকেলে আবার খেলা ধুলা। সাথে তো আপনার খাওয়া দাওয়া আছেই। সব পড়তে পড়তে হাপিয়ে গেলুম। আমার মনে হচ্ছে একবার ঘুরে আসি আপনার ছেলেবেলা হতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This is a very interesting story of your childhood experience.
When I was a child, I preferred staying with my parents during summer holidays because of how stubborn I was.
Plus I had so many friends in the neighborhood, but I can say that summer holidays are always fun.
Thank you for sharing this with us Dada 😊❤️❤️❤️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা গ্রাম মানেই প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া, হাসি, আনন্দ, আড্ডা, খেলাধুলা আরো সাথে কত মজা। ঝিনুক দিয়ে কাঁচা আম ছুলে লংকা দিয়ে খাওয়ার একটা মজাই আলাদা। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার দারুন অভ্যাস ছিলো তো আপনার। দাবা, ক্যারাম, ক্রিকেট, ফুটবল এই খেলা গুলো আমি নিজেও অনেক পছন্দ করি প্রচুর পরিমানে খেলতাম। রাতের খাবারে বড় মাছের নানা রকম পদ পেট পুরে খাওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। দাদা স্মৃতি বিজড়িত ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটানোর গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গরমের দিনে গ্রামের বাড়িতে কাটানো আপনাদের ছেলেবেলার গল্প পড়ে কিছুটা হাঁসিও পেয়েছে। দুপুরে আম খেলেন,ডাব খেলেন,আবার ভাতও খেলেন। সন্ধার পরে তরমুজ, বাঙ্গি, আম খেলেন তারপর আবার বড় মাছের কালিয়া দিয়ে প্রচুর পরিমানে ভাত খেয়েছেন। আমার সাদা মনের প্রশ্ন হলো এতো খাবার আপনাদের এত ছোট পেটে জায়গা নিলো কিভাবে....হা হা হা। এত খাবার খেয়ে তো এক মাসে গুলু গুলু হয়ে গেছিলেন মনে হয়,হি হি হি। ব্লগটা পড়ে আমাদের ছোট সময়ের স্মৃতিও মনে পড়লো। আমাদের গরম কালের ছুটিটাও আমরা এমন ভাবে কাটিয়ে ছিলাম। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্টটা পড়তে গিয়ে মনে হোলো নিজের শৈশবে ফিরে গিয়েছি। আপনি তো তাও পড়তে বসতেন। আমি গরমের ছুটিতে বাড়িতে গেলে বইয়ের সাথে পুরোটা সময় সম্পর্ক ছিন্ন থাকতো। সারাদিন শুধু চাচাতো ভাইদের সাথে গ্রাম ভরে ছুটে বেড়ানো। তবে আরো একটা মিল দেখতে পেলাম আপনার সাথে। দুপুরের সময়টাতে আমরাও আমাদের এক চাচার বাড়িতে আম বাগানের ছায়ায় পাটি নিয়ে শুয়ে থাকতাম। শুধু আমরা না আমাদের সব বাড়ি থেকেই মহিলারা বাচ্চাদের নিয়ে আসতো সেখানে।আমাদের মা চাচীরা নিজেদের ভেতর গল্প করতো। আর আমরা বাচ্চারা গাছ থেকে আমপারা, দৌড়াদৌড়ি হুটোপুটি সবই চলতো। শেষ পর্যন্ত একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তাম। কি চমৎকার ছিলো সেই দিনগুলো। আর একটা কথা ঠিক বলেছেন দাদা। আমাদের ছোটবেলায় গ্রীষ্মকালে এতটা গরম দেখিনি। আমাদের গ্রামে তখন কারেন্ট ছিলো না। কিন্তু গরমে কখনো এতটা কষ্ট হয়নি। দারুন লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলার স্মৃতিচারন পড়ছিলাম সবগুলো চোখের সামনে ভাসছিলো।প্রতিটি মানুষের ছোটবেলার মুহূর্ত বেশ মজার।তবে আগের মত এখন আর গ্রাম নেই। বাঁশঝাড়, অনেক অনেক ফলের গাছ এখন আর তেমন একটা নেই। আর সবাই মিলে আম কুড়িয়ে ঝিনুক দিয়ে উঠিয়ে লবন মরিচ দিয়ে খাওয়া হয় না।যাই হোক ভালো লাগলো সব মিলে।ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন দাদা, আগে গরমকাল ছিল উৎসবের মত আর এখন গরমকাল মানেই একটি যন্ত্রণার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর আমি যেন ছোটবেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম। এরকম কাজ অনেকেই করেছিলাম আমরা। তবে গাছ থেকে আম চুরি করা এগুলো আমাকে প্রতিদিনের কাজ ছিল, হাহাহা। এছাড়াও রাতে সবাই সবাই মিলে কানামাছি খেলতাম আরো বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করতাম। সব মিলিয়ে ছোটবেলায় অনেক উপভোগ করতাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা, এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার শৈশবের সেই মধুর স্মৃতিগুলো দারুন ছিল। আর লেখাগুলো পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। কাঁচা আম ঝিনুক দিয়ে ছাল তুলে লবণ আর কাঁচা মরিচ দিয়ে খাওয়ার কথা শুনে তো জিভে জল চলে এসেছে দাদা। আর রাতের বেলায় যদি বড় মাছের বিভিন্ন রকমের রান্না হয় তাহলে পেট ভরে তো খেতেই হবে। আপনার পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা। শৈশবে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যিই দারুন ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ছেলেবেলা এত চমৎকার ছিল ভাবতেই পারছি না।একদম জমিয়ে আনন্দ করেছেন ।কিছুই বাদ রাখেন নি দেখছি।পোস্ট টি পড়ছি আর চোখের সামনে কল্পনা করছি ।সত্যি অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন আপনি।সেই সকালে ওঠা আপনি এখন দুপুরে ওঠেন।সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কত পরিবর্তন।তবে একটা জিনিস কিন্তু পরিবর্তন হয় নি আপনার ।কি বলেন তো? হ্যাঁ খাবারের প্রতি ভালোবাসা। ঠিক বলেছি তো?ছেলে বেলা টা এরকম আনন্দে না কাটলে শৈশব স্মৃতি বলে কিছুই থাকে না।আপনার সঙ্গে আমারও অনেকটা মিল আছে ।স্কুলের ছুটিতে আমরাও দাদু বাড়িতে এরকম অনেক সময় কাটিয়েছি।যা মনে পড়ে গেল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার কাটানো শৈশব তো স্বর্ণময় একটা সময় ছিল দেখছি।বাবা বাড়িতে না থাকাতে স্বাধীনতা তো বেশ ভালোই পেয়েছিলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি বাইরে বাইরেই বিচরণ করেছেন। প্রতিবেলায়ই তো বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছিলেন। তবে আমি ভাবছি বড় মাছ রাতের বেলা কেন করা হতো,রাতের খাবার কম খাওয়ার জায়গায় বেশি খেয়ে ফেলতেন।সেই হিসেবে বড় মাছ দুপুরে রান্না করলেই তো আরও বেশি খেতে পারতেন,হিহিহি।তবে আমাদের ছোটবেলায় কাঁচা আম খেতাম সকাল ১১টার দিকে বা বিকালে। আপনি তো দেখছি আড্ডার আসরে সন্ধ্যায় আম খেলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তো দেখছি দারুণভাবে ছুটি কাটাতেন দাদা। আপনার বাবা যদি আপনাদের সাথে গরমের ছুটি গ্রামে কাটাতেন, তাহলে কখনোই এতোটা আনন্দ করতে পারতেন না দাদা। কারণ ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো তাহলে। যাইহোক সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আমিও ছোটবেলার মধুর স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলাম দাদা। আমরা তো ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে সকাল থেকে শুরু করে প্রায় সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম। আবার মাঝেমধ্যে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ক্যারাম খেলতাম। আর সন্ধ্যার পর কানামাছি খেলতাম। তবে গুইসাপ দেখলে ভীষণ ভয় পেতাম দাদা। ছোটবেলায় সবাই বলতো, গুইসাপ লেজ দিয়ে মানুষের শরীরে আঘাত করলে নাকি,মানুষের পুরো শরীরে পচন ধরে যায়। এটা শোনার পর থেকে গুইসাপ দেখলে ভয়ে পালাতাম। যাইহোক ছোটবেলার এমন মধুর স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ছোটবেলার পোস্ট পড়ি আর কেবল নিজের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ৯০ ভাগ মিল আছে আমার ছেলেবেলার সাথে আপনার ছেলেবেলার। কত গাছ, মাছ, ঝোপ ঝাড় মাঠ আর দুরন্তপনা ছিল আমাদের তা এখন কেবল ইতিহাস। এখনকার বাচ্চারা খুব দুর্ভাগা এসব তেমন কিছুই তারা পায় না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খাওয়ার অভ্যাস টা তাহলে আপনার ছোটবেলা থেকেই। পুরো পোস্টের মধ্যে খাওয়ার বিষয়টি যেন ছিল বেশি হা হা। আপনার পোস্ট পড়ছিলাম তখন যেন ঐ দিনগুলো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। আপনার শৈশবে কাটানো গরমের ছুটির বিষয়ে জেনে অনেক ভালো লাগল দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিশেষ করে প্রকৃতির বিষয়টা শহরের থেকেও গ্রামের ভিন্নতা থাকে। শহরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে গ্রামে কম পড়ে। তবে গ্রামে থাকা অবস্থায় গরম পড়লেও গ্রামের সময়টা বেশ ভালো কাটে। আপনি গ্রামে এসে যতটুকু সময় কাটিয়েছেন আপনার এই সময়টার মধ্যে পরিপূর্ণতা ছিল দাদা। ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটানো মুহূর্তটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের ছেলেবেলা আর আমাদের ছেলেবেলার মাঝে বিস্তর ফাঁরাক দাদা! তবে আপনার ছেলেবেলার কথা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো, যেন অনেক কিছুই চোখের সামনে ভেসে আসছে! আর খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে কিছু না-ই বলি, বাড়ির তৈরি ঘী, ক্ষেত থেকে তুলে নেয়া মিষ্টি তরমুজ/ বাংগী, গাছ থেকে পারা ডাব, কাঁচা আম!আবার টাটকা সব ছোট-বড় মাছ! উফফ এক পোষ্টে এত কিছুর সমাহার, লোভ সামলানো মুশকিল দাদ!! তবে কি, আসল কথা হচ্ছে, পোস্টের শেষে, কেন জানি আফসোস হচ্ছিলো- এমন শৈশব এর স্বাদ আমাদের নেই কেন! তবে পরবর্তী প্রজন্ম তো আরো কপালপোড়া!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লেখাটা পড়ে জাস্ট মনে হলো যেনো রূপ কথার কোনো গল্প শুনলাম।কারণ এতো মজার শৈশর কোনো কালেই পাইনি।সবসময় বাজে একটা পড়ার প্রেসার ছিলোই ছিলো।সত্যিই,গ্রামের জীবনের তুলনাই হয় না!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা কি শুধু ভাই আপনার একার ছেলেবেলা, এমন শৈশবের ভাগীদার তো আমিও, এক নিমিষেই পড়ে ফেললাম পুরো লেখাটা। দারুণ উপভোগ করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
উফ, কী চমৎকার ছিল দিনগুলি!!
সকালবেলা আউশ ধানের ভাত আর ঝাল ঝাল আলু ভর্তা কী যে ভালো লাগতো ছোটবেলায়!! এখন আর সেই স্বাদ পাই না।
ছোটবেলার গরমের ছুটিতে এরকম স্মৃতিচারণ আমাদেরও অনেক কিছু মনে করিয়ে দিলেন দাদা। আহা কতই না আনন্দ ছিল ওই সময়ে। 🌾🌻🐟🐓
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগে গ্রাম অনেক পুরাতন বয়স্ক গাছ ছিলো, যেগুলোর ছায়ায় পুরো গ্রাম ঠান্ডা থাকতো। যার কারণে, এত বেশি গরম অনুভূত হতো না। কিন্তু, বর্তমানে এমন কোনো গাছ এই লক্ষ্য করা যায় না, যার কারণে এখন গরম বেড়েই চলেছে।
পুরো গল্প টা পড়ে মনে হলো, এটি কোনো উপন্যাসের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। আপনার মতো এত সোনালি ছেলেবেলা না হলেও, আমিও অনেক বেশি ইঞ্জয় করেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ছোটবেলার মধুর স্মৃতিগুলো বেশ দারুন ছিল।আপনার পোস্টটি পড়ছিলাম আর ছোটবেলার স্মৃতিগুলো চোখে ভেসে উঠছিল।আসলে ছোটবেলা প্রত্যেকের জীবন অনেক মজার।কাঁচা আম ঝিনুক দিয়ে ছাল তুলে লবণ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে খাওয়ার আনন্দটাই আলাদা।এখন আর সেই দিন নেই সেই মজাগুলো নেই।ডাবের জল আর ডাবের কচি শাস দাদা আপনার অনেক পছন্দ জেনে
ভালো লাগলো।দাদা আপনার শৈশবে কাটানোর মুহূর্তগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ দারুন ছিল আপনার ছোটবেলায় গরমে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে কাটানো মুহূর্তগুলো। তবে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম আপনারা বেশ রুটিন করে করে সময় গুলো উপভোগ করতেন অর্থাৎ এক এক সময় একেক রকম কাজে মেতে উঠতেন। আমি আমার নানির বাড়িতে ছোটবেলায় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি তবে সেটা কোনটাই গোছালো ছিল না অর্থাৎ যখন যেটা ইচ্ছা করত সেটা নিয়েই মেতে উঠতাম। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাটানোর মুহূর্তগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit