ফিরে দেখা : "পুরোনো কিছু ফোটোগ্রাফি" - পর্ব ০২steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

গত পর্বেই উল্লেখ করেছিলুম আমার ফোটোগ্রাফি শখের কথা । এই শখটি আমার খুব ছোটবেলা থেকে মনের মধ্যে লালিত ছিল । ছবি তোলার প্রতি আমার প্রথম আগ্রহ জন্মে যখন আমার বয়স পাঁচ কি ছয় । ক্লাস টু তে উঠে একবার আমি আর আমার ছোট ভাইয়ের একটি রঙিন ফোটো তুলেছিলাম গ্রামের বাড়িতে ।

আমার এক মামাতো দাদা একদিন সকাল দশটার দিকে আমাদের বাড়িতে হন্তদন্ত হয়ে এসে আমার ভাই আর আমাকে বগলদাবা করে খুব তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে গেলো গ্রামেরই আরেকটা ছোট পাড়ার দিকে । পাড়ার নাম তেলিপাড়া । তো সেখানে আমাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে আমরা উপস্থিত হতেই দেখলুম গ্রূপ ফোটো তোলার তোড়জোড় চলছে ।

ফোটোগ্রাফার তার ক্যামেরার ব্যাটারি চেঞ্জ করছে । ফ্ল্যাশ বাল্ব জ্বেলে দেখছে সব কিছু ঠিকঠাক আছে কি না । এক পাশে টুলের উপর রাখা দু'তিনটি এলুমিনিয়ামের কৌটো, তাতে ফিল্ম রোল করে রাখা আছে । উঠোনের একটা কোনে ছায়াময় একটা জায়গায় পিছনে কাপড় টাঙিয়ে কয়েকটা ফুলের টব সামনে রেখে পেছনে সারি দিয়ে চেয়ার পাতা । চেয়ারে বসবে বয়স্করা আর ছোটরা, পিছনে দাঁড়িয়ে থাকবে বাকিরা ।

তো আমার সেই মামাতো দাদা ক্যামেরাম্যানের কানেকানে গিয়ে কি জানি বললো । ক্যামেরাম্যান মাথা নাড়লো দু'বার । ফোটো তোলা শুরু হলো । আমাদের দু'ভাইকে অনেকবার বললো তাদের সাথে গ্রূপ ফোটো তোলার জন্য । আমার সেই মামাতো দাদা রাজি হলো না । বললো- "আগে তোমরা ফোটো উঠে নাও, পরে আমি ওদের ফোটো তুলে দেবো ।"

তো, ওদের ফোটো তোলা শেষ হলে আমাদের দুই ভাইকে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে দিলো আমার সেই মামাতো দাদা । ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে আমাদের দু'ভাইয়ের তিনটে ফোটো তুলে দিলো । আমাদের দু'ভাইয়ের সাজসজ্জা মারাত্মক ছিল । হাফ প্যান্ট পরা, খালি গা, খালি পা । আমার মাথায় আবার একটা লাল টুকটুকে গামছা পাগড়ির মতো করে জড়িয়ে দিলো । ছোটবেলায় আমি খুব ফর্সা ছিলাম, খালি গায়ে মাথায় পাগড়ি বেঁধে তাতে একটা ময়ূরের পালক গুঁজে হাতে একটা লাঠি দিলো । লাঠিটা যেনো বাঁশি । সেই ভাবে আমার একার দু'টো ছবি তুলে দিলো ।

প্রায় এক সপ্তাহ পরে সেই ছবির পজিটিভ প্রিন্ট হাতে পেলাম । ওয়াশ করেই অমনি খামে পুরে নিয়ে এসেছে আমার সেই দাদা একদম ডাইরেক্ট ডার্ক রুম থেকে । সেদিনই প্রথ জেনেছিলাম ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুললেই সাথে সাথে সেটা দেখা যায় না । ছবি ওঠে প্লাস্টিকের ফিল্মে । সেটাকে বলে নেগেটিভ । সেই নেগেটিভ ডার্করুমে ওয়াশ করে পাওয়া যায় পজিটিভ ছবি । সেটাই আসল জিনিস ।

এখনকার ডিজিটাল ফোটোগ্রাফির যুগে সেসব এখন অতীত । এখন ছবি তোলা যেমন সহজ সেটাকে প্রিন্ট করাও তেমনিই খুবই সোজা । আগেকার দিনে তেমন ছিল না ।

তো সেদিনের নিজের ছবি দেখে খুবই আনন্দিত হয়েছিলাম । সেই থেকে ফোটোগ্রাফির ওপর একটা টান তৈরী হলো ধীরে ধীরে ।

আজকে আরো কিছু আমার তোলা পুরোনো ফোটোগ্রাফ শেয়ার করলাম আমার imgur একাউন্ট থেকে । ওখানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নিজের তোলা ফোটোগ্রাফ আছে ।


রথের মেলা থেকে তোলা, রসে ভরা মজাদার সুস্বাদু জিলিপির ফোটো ।

বৃদ্ধা চা-ওয়ালি ।

অপরাহ্ন বেলা । ছবিটি কিন্তু রঙিন, সাদা-কালো নয় ।

বালির ম্যাক্রো ফোটোগ্রাফি । বালির দানা গুলো বড় করে দেখলে এমনই দেখায় । এগুলো নদীর বালি ।

কেন্নো । এটি একটি আর্থোপড প্রাণী । টোকা দিলেই গুটিয়ে গোল চাকতির মতো হয়ে যায় ।

হাতির ঠিক মাথার ওপরের গাছপালার ফাঁক দিয়ে এক ঝলক সূর্যের রশ্মি এসে পড়েছে ।

কলকাতার সায়েন্স সিটির Maze, কেয়ারী করা গাছের সারি দিয়ে তৈরী । এটি একটি বেশ মজাদার গোলকধাঁধা ।

সাদা কালোয় সূর্যমুখী ।

হলুদাভ পাতার আড়ালে হলদে-সবুজ শসা ।

চিড়িয়াখানায় জিরাফ ।

ফসলের ক্ষেত ।

কলাগাছ ।

পৃথিবীর সব চাইতে বিশ্বস্ত প্রাণী ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)


তারিখ : ০৬ মে ২০২৩

টাস্ক ২৫৭ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 690a1413b931b0b81823095c5160fd34d67a9f8e5413602df65cc8ae848be48e

টাস্ক ২৫৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা ছোট বেলার মজাই সেটা হাফ প্যান্ট পরা,খালি গা আর খালি পায়ে ছবি তোলা। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনাকে শ্রী-কৃষ্ণের মতো করে সাজানো হয়েছিল। আপনার সেই ছবি আমরা দেখিনি তবে আপনার কথা শুনে কল্পনা করতে পারছি আপনাকে কতটা সুন্দর লেগেছিল। যাই হোক জিলাপি দেখে তো জিভে জল চলে আসল। সবগুলো ফটোগ্রাফি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কলকাতার সায়েন্স সিটির Maze। এটা দেখতে গোলকধাঁধার মতোই লাগছে। imgur একাউন্টে যেহেতু সাড়ে তিন হাজার ফটোগ্রাফি রয়েছে তাহলে নিশ্চয়ই আমরা প্রতি

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। আপনার ছোটবেলার কথা জানতে পারলাম। আপনার মামাতো ভাইয়ের তোলা লাল গামছা দিয়ে পাগড়ি পড়া ছবিটা সত্যি অসাধারণ ছিল মনে হচ্ছে। আপনারা দুই ভাইয়ের বেশ ভালোই পোশাক পরেছিলেন, খালি গা ও খালি পা। যাইহোক দাদা আপনার ছবি গুলো চমৎকার ছিল। বিশেষ করে বালি ও বিশ্বস্ত প্রাণীর ।

দাদা আজকে আপনিপুরোনো কিছু ফোটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। জিলাপির ছবিটি দেখেই তো জিভে পানি চলে এসেছে। বালুর কনা গুলো ছোট পাথরের মতো লাগতেছে। সব গুলো ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

হাফ প্যান্ট পরা, খালি গা, খালি পা । আমার মাথায় আবার একটা লাল টুকটুকে গামছা পাগড়ির মতো করে জড়িয়ে দিলো ।

দাদা ছোটবেলার সেই ছবিটা আছে নাকি? আমার তো খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। আসলেই দাদা এখন ছবি তোলা যেমন সহজ,প্রিন্ট করা আরো সহজ। তবে আগে একেবারেই এমন ছিলো না। যাইহোক দাদা পুরনো ফটোগ্রাফি গুলো এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। জিলাপির ফটোগ্রাফি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

হাফ প্যান্ট পরে খালি গা ও খালি পা নিয়ে প্রথমবার ছবি তোলার অভিজ্ঞতার কথা জেনে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। ছোটবেলার এরকম অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে। তবে এখনকার সময়ে খুব সহজেই ফটোগ্রাফি করা যায়। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো।

সেই নায়ক নায়ক ভাব দেখছি আপনার ছোট বেলা হতেই ছিলো দাদা, পাঁচ বছর বয়স হতেই আপনি পাকা খেলোয়াড় হা হা হা। হ্যা, অতীতের সেই স্মৃতিগুলো দারুণ ছিলো, পরীক্ষার ছুটিতে আমরা রিলসহ ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে আসতাম তারপর বন্ধুরা মিলে নিজেদের মতো করে ফটো তুলতাম কিন্তু সমস্যা হতো নেগেটিভগুলো নিয়ে কে সেগুলো রাখবে? সেই স্মৃতিগুলো আজ অতীত, ফটো তোলার পরও অপেক্ষা করতাম সেগুলো কেমন হলো সেটা জানান জন্য।

আপনার ফটোগ্রাফি বরাবরই দারুণ হয়, সেটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম ছোটবেলা থেকেই আপনার ছবি তোলার আগ্রহটা অনেক বেশি ছিল। আগেকার দিনে ছবি প্লাস্টিকের ফিল্মে ওঠতো। সেই নেগেটিভ ডার্করুমে ওয়াশ করে পাওয়া যেতো পজিটিভ ছবি । আমাদেরও ছোটবেলায় এরকম অনেক ছবি তোলা হয়েছিল। দাদা আপনার অপরাহ্ন বেলার ছবিটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আমি প্রাকৃতিক দৃশ্য অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার imgur একাউন্ট থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে কেন জানি সেই ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফিতে কেন জানি ছেলেবেলার গন্ধ পাচ্ছি। সেই ছেলেবেলায় হ্যাফ- প্যান্ট পরে খালি গা ও খালি পা নিয়ে জীবনে প্রথমবার ছবি তোলার অভিজ্ঞতার কথা শুনে বেশ মজাই পেলাম দাদা। এখন কি আর সে সময় আছে? এখন যুগ কত বদলে গেছে।

উঠোনের একটা কোনে ছায়াময় একটা জায়গায় পিছনে কাপড় টাঙিয়ে কয়েকটা ফুলের টব সামনে রেখে পেছনে সারি দিয়ে চেয়ার পাতা ।

দাদা আমরাও ঠিক ছোটবেলায় এভাবে ফটো তুলতাম। আমাদের বাড়ি ক্যামেরাম্যান এসে এরকম সেটাপ করে তারপর সবার ফটো তুলত এক এক করে।

আমাদের দু'ভাইয়ের সাজসজ্জা মারাত্মক ছিল । হাফ প্যান্ট পরা, খালি গা, খালি পা ।

আগের কালের বাচ্চারা তো এভাবেই ফটো তুলত। হা হা হা...

কেন্নো । এটি একটি আর্থোপড প্রাণী । টোকা দিলেই গুটিয়ে গোল চাকতির মতো হয়ে যায় ।

দাদা এই কেন্নো কে আমার যে কি পরিমাণ ঘেন্না করে তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না। একবার তো আমাদের গ্রামের একজন লোক শুকনো লঙ্কা ভেবে পান্তা ভাতের সাথে খেয়ে ফেলেছিল। বিশ্বাস করো বানিয়ে বলছি না, একদম সত্যি কথা। তারপর তো তার ডায়রিয়া নাকি কি হয়ে গেছিল।

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার ছেলেবেলার কথা জানতে পারলাম।পুরোনো কিছু ফটোগ্রাফি আজ শেয়ার করলেন। প্রথমেই জিলিপির ফটোগ্রাফি দেখে তো খেতে ইচ্ছে হলো।প্রতিটি ফটোগ্রাফিই আমার কাছে ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



আপনার সেই ছোটবেলার কথাগুলোও মনে আছে আমার তো ক্লাস টু তে পড়ার কোন ঘটনাই মনে নাই বলা তো দূরের কথা। এত ছোটবেলা থেকে আপনি ছবি তোলায় ওস্তাদ ছিলেন। হাফ প্যান্ট পড়ে খালি গায়ে ও খালি পায়ে ছবিটা তো আমার দেখতে মন চাইছে ভালোই লেগেছিল মনে হচ্ছে। শশার ছবিটা যা দিয়েছেন না দাদা দেশী শশা খেতে খুব ভালো লাগবে। জিলাপি খেতে খুব ভালো লাগে এই জিলাপি গুলো অনেক রসালো আমারতো দেখেই খেতে মন চাইছে । কেন্নো পোকাটি দেখলে গায়ের ভিতর কেমন শিরশির করে ওঠে। এটাকে আমরা ছোটবেলায় বলতাম পয়সা টোকা দিলে কেমন পয়সার মত গোল হয়ে যেত।

প্রথমেই জিলাপির ছবি দিয়ে শুরু করলেন দাদা। আহা কি রসালো জিলাপি !!

আপনার সেই ছোটবেলার ছবিটি এখনো আছে কিনা জানতে ইচ্ছে করছে। ওটা কি রেখে দিয়েছেন এখনো ?

তখনকার সময়ে একটা ফটো তোলার জন্য কতসব আয়োজন থাকতো। নেগেটিভের ওই ছবির অভিজ্ঞতা অবশ্য আমারও হয়েছিল ছোটবেলায়। এখন তো ধরো -ক্লিক করো- ছবি বের করো। শেষ !

প্রিয় দাদা আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি করার প্রতি আপনার টান সৃষ্টি হওয়ার কথা গুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। আর পুরনো দিনের অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুরনো দিনের আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা আপনি যে একজন পারফেক্ট ফটোগ্রাফার আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বোঝা যায়। জিলাপি দেখলেই মাথার ভেতর প্যাচ লেগে যায় যে কিভাবে জিলাপি খাব। বাজার ঘাটে চা খাওয়ার প্রয়োজন হলে এরকম বৃদ্ধা বা বৃদ্ধের চায়ের দোকান থাকলে সেখান থেকেই চা খায়। সাদাকালো সূর্যমুখী ফুলের উপর মৌমাছির মধু সংগ্রহ টা অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল। সত্যি বলেছেন দাদা পৃথিবীর সব থেকে বিশ্বস্ত প্রাণী কুকুর। সুন্দর একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

সেই ছোটবেলা থেকেই আপনার ফটোগ্রাফির উপর টান তৈরি হয়েছে।প্রথম নিজের ফটোগ্রাফি দেখে নিশ্চয় অন্য রকম ফিলিংস হয়ে ছিল।আপনাদের দুই ভাইয়ের ফটোগ্রাফি করে দিয়েছিলেন আপনার মামাতো দাদা।আপনি ছোট বেলায় খুব ফর্সা ছিলেন বলছেন,এখনও তো তাই💞।তবে এটা কতো সালের কথা সেটা বললে ভালো হতো,বুঝতে পারতাম কতটা আগের।আগে ছবি তুললে অনেকদিন পর হতে পাওয়া যেত শুনেছি আব্বুর কাছেও।আর এখন তো ৫ মিনিট ও লাগেনা।প্রতিটি ফটোগ্রাফি ভালো লাগছে দেখতে।তবে যেটাকে কেন্নো বলছেন,আমাদের এদিকে ওটাকে কেল্লো বলে, অঞ্চল ভেদে এটার নাম আলাদা।আরও অনেক নাম আছে এটার,তবে গ্রামে এগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যায়। দাদা আজকেও কিছু চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন,এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার তোলা ফটোগ্রাফি নিয়ে তেমন কোন কিছু বলবো না ভাই। কারণ আপনার তোলা ফটোগ্রাফি বরাবরই সুন্দর । সবগুলো ছবিই বেশ ভালো তুলেছেন।

তবে আমি আপনার অতীতের গল্পগুলো যত পড়ছিলাম, তত যেন ৯০ এর দশকের সময় গুলো মানে আমার শৈশবের কথাগুলো মনে পড়ছিল। ফিল্ম ক্যামেরার যুগ, আমাদের বাড়িতেও স্টুডিও থেকে লোক এসে সে সময় ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আজ যা সবই অতীত, বেশ ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে।

প্রথমে এক ঝলক হেসে নিলাম আপনার মামাতো দাদার কান্ড কাহিনী শুনে। তড়িঘড়ি করে বুঝি খালি গায়ে নিতে হল, হাহা।যাইহোক ছোট ছিলেন আর সাজুগুজু করিয়ে আপনার ফটোগ্রাফি করে দিয়েছে বেশ মজা পেলাম। ফটোটা যদি দেখতে পারতাম তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো। প্রতিবারের মতো আজও দারুন দারুন ফটোগ্রাফি দেখছি।দেখলাম আর মনে মনে ভাবলাম আসলে আপনি ফটোগ্রাফির পেছনে সময় দিলে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের শীর্ষে পৌঁছে যাবেন। প্রত্যেকটা ফটো খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা। যদিও আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বালির ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি আর হাতির ছবিটি। সবগুলোই কিন্তু অসাধারণ ছিল, দেখার মত এবং উপভোগ করার মত। এইবার থেকে প্রতিনিয়তই আপনার তোলা ছবিগুলো দেখার অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।

দাদা আপনার ফটোগ্রাফার হওয়ার গল্পটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। দাদা আপনি বলেছেন আপনার ঝুড়িতে বা সংগ্রহে এমন সাড়ে তিন হাজার ফটো আছে। আপনার কাছে আবেদন থাকবে সব গুলো ফটো যেন আমরা দেখতে পারি। সব গুলো ফটো ধারুন হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আগেকার দিনের ছবি তোলার মধ্যে যে একটা আনন্দ ছিল সেই আনন্দ এখনকার দিনের ছবিতে আর পাওয়া যায় না। তাছাড়া আগেকার দিনে এই ছবি প্রিন্ট করার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতাম । এখন তো ছবি প্রিন্ট করাই হয় না। আপনার খালি গায়ে পাগড়ি মাথায় ছবিটা কল্পনা করছি অনেকটা আপনাদের কৃষ্ণ স্টাইলে হয়তো তোলা হয়েছে। বেশ ভালই লেগেছিল মনে হয় ছবিটা। থাকলে শেয়ার করেন দাদা। আর আপনার ফটোগ্রাফির কথা নতুন করে কি আর বলব সে তো সব সময় অসাধারণ হয়।কলকাতার সায়েন্স সিটির Maze এর আর সাদাকালো সূর্যমুখী ফুলের ছবি দুটো বেশি ভালো লেগেছে।

আহা! কি দিন গেল দাদা!! ছোট বেলার সেই ছবি তোলার আমারও কিছু মজার স্মৃতি আছে। আপনার ছোট বেলার ছবি তোলার গল্পটা পড়ে মনে পড়ে গেল! ছোটবেলায় এতো আধুনিক লেন্সের ক্যামেরাও ছিল না। ছবি তোলে তারপর বাজার থেকে প্রিন্ট করে আনা হতো। আর এখনকার যুগে একদিকে যেমন ছবি তুলছে আরেকদিক দিয়ে প্রিন্ট ও হচ্ছে। শৈশবের সেই অনুভূতি কি আর কাজ করে। যাক, আজকের ফটোগ্রাফিগুলো দারুণ ছিল দাদা। কেন্নোকে আমাদের দিকে কাকড়া বলে। এগুলা মারাত্মক ভয় লাগে আমার কাছে 😁। শেষে পৃথিবীর বিশ্বস্ত প্রাণী কুকুর! সত্যিই তাই

আহা লেখা গুলো পড়তে পড়তে কত মজার সব স্মৃতি ভেসে উঠছিল দাদা। তবে আগের দিনের ছবি তোলার একটা অন্যরকম মজা ছিল। এখন আর সেইসব কিছুই কাজ করে না। আজকের ছবি গুলো থেকে দুই একটা ছবি খুব সুন্দর লাগছিল। বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে নদীর পারের ছবিটা, আর সূর্যমুখীর ছবিটা। কেল্লের ছবিটা হঠাৎ করে দেখে বেশ অবাক হয়ে গেছি দাদা। এই প্রাণীটা দেখলে আমার কেমন যেন লাগে।

Hello friends, if you support me, I will support you too. If you follow me, I trust you too.

Check here :- @ashutos

হ্যালো বন্ধুরা, আমাকে সমর্থন করলে আমি আপনাকেও সমর্থন করবো। আপনি আমাকে ফলো করলে, আমি আপনার উপর বিশ্বাস করবো
IMG_20230412_225217.jpg

সেই ছোটবেলা থেকেই আপনার ফটোগ্রাফির শখ।আর তাইতো এত চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি করেন আপনি। আজকের ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দারুণ হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি মন ছুয়ে যাওয়ার মত। বিশেষ করে শসার ছবিটি আমার কাছে খুব বেশি ভালো লেগেছে।♥♥