গ্রাম বাংলার কিছু নৈসর্গিক দৃশ্যাবলীsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


গ্রাম বাংলা আসলেই নৈসর্গিক দৃশ্যের এক স্বর্ণখনি । এর অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দু'চোখ ভরে শুধু নয়, হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে ভালো খুব । একবার গ্রাম বাংলার এই অসাধারণ দৃশ্যাবলী উপভোগ করার পর আর শহরের ইট কাঠ লোহার খাঁচায় ফিরতে ইচ্ছে করে না ।

তবু সেই ফিরতেই হয় । গ্রাম যতই ভালো লাগুক না কেন আমাদের যাবতীয় কাজ সেই শহর কেন্দ্রিক । তাই, কাজের সুবিধার্থেই স্বর্গ ফেলে সেই নরকেই থাকতে হয় । গ্রামের অকৃপণ প্রকৃতি, মুক্ত উদার আকাশ আর খোলা বাউল বাতাস মানুষকে স্বার্থপর আর লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখে ।

আমি সারাদিন গ্রামে টো টো করে ঘুরছি আর এর অপার সৌন্দর্য আমাকে বারে বারে বিমোহিত করছে । আজকে গিয়েছিলাম ধান আর সবজি খেতে । লেবু তুলেছি, ধানের শীষ থেকে ধান ছিঁড়েছি, বেগুন ক্ষেত থেকে এক ব্যাগ ভর্তি বেগুন তুলে এনেছি । কাল বেগুন পোড়া, বেগুন ভাজা আর বেগুনের ঝোল খাবো পুঁটি মাছ দিয়ে ।

ঘুরতে ঘুরতে ছোট্ট একটা খালের কাছে এসে পড়েছিলাম । খালের উপরে ছোট্ট একটা পুল । পুলের দু'ধারে নেট দিয়ে ঘেরা কিছুটা জায়গা । পুঁটি, ট্যাংরা, খলসে আর চিংড়ি প্রভৃতি ছোট ছোট সব মাছ ধরা হয় এই খাল থেকে । খাল থেকে ফিরে দেখলাম একটা গাছে প্রচুর বাতাবি লেবু ফলে আছে । টিনটিন বায়না ধরলো তাকে লেবু পেড়ে দিতে হবে । শেষমেশ গোলটুর আবদারে গাছের মালিক নিজে এসে বেশ বড় সাইজের দুটো বাতাবি লেবু পেড়ে গোলটুর হাতে দিলো ।

তো চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের ফোটোগ্রাফি - "গ্রাম বাংলার কিছু নৈসর্গিক দৃশ্যাবলী" ।


গাছগাছালিতে ছাওয়া গ্রামের রাস্তার দু'ধারে ঘুঁটে দেওয়া হয়েছে সার সার ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


ধান পেকে গেছে, কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষা শুধু ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৪০ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


রাস্তার দু'ধারে গাছ গাছালির ফাঁক দিয়ে পাকা শষ্যে ভরা ক্ষেত দেখা যাচ্ছে ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


আর থাকতে না পেরে ধান ক্ষেতে ঢুকে গেছিলাম । ধানের শীষ থেকে পাকা ধান ছিঁড়েছি । ধানের খোসা কিছুটা ধারালো আছে দেখলাম ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৫০ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


রাস্তার দুই সাইডে প্রচুর তাল আর খেঁজুর গাছের সারি রয়েছে । দারুন লাগে দেখতে ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


ছোট্ট একটা খালের পাড়ে বট, অশ্বথ, তাল, খেঁজুর, কলা প্রভৃতি গাছের সারি ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ০৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


গোলটু বাবুর ফোটো উইথ নেচার ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


গ্রাম বাংলার শীতকালীন সবজি ক্ষেত ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ২০ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


কিছু random ফোটোগ্রাফি - আকন্দ ফুল, বুনো ফুলের ঝোপ, লতা-গুল্ম আর কলার মোচা ।

তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : গ্রাম বাংলা


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা একদম ঠিক বলেছেন গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, খোলা বাতাস আর শীতল হাওয়া মানুষকে স্বার্থপর আর লোভী হওয়া থেকে বিরত রাখে। নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য গ্রামের সৌন্দর্য ঘেরা স্বর্গ ফেলে ইট পাথরে ঘেরা নরকে ফিরে আসতেই হবে। যাই হোক আপনার ঘুরাঘুরি আর গ্রামের এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক দিন পর গ্রামের খুব সুন্দর কিছু দৃশ্য দেখতে পেরেছি। পাকা ধানের ক্ষেত দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এছাড়া রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সারিসারি গাছগুলো দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। সবশেষে টিনটিন সোনার রাস্তায় দাঁড়ানো ফটোগ্রাফি আরও বেশি সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ দাদা গ্রামের এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য সত্যি হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয় ।হৃদয় দিয়ে অনুভব করলেই এর সৌন্দর্যটা উপলব্ধি করা যায়। বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি। আসলে গ্রামে অনেকদিন ঘোরাঘুরির পর শহরের যেয়ে কেমন যেন লাগে। তার পরেও শহরে সবাইকে ফিরতে হয় ।প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো ছিল ।পাকা ধান গুলো দেখতে বেশ চমৎকার লাগছে।টিনটিন খুব আনন্দে আছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন।

এই গ্রামাঞ্চলের দৃশ্যগুলি কেবল অত্যাশ্চর্য এবং দেখার জন্য একটি আনন্দ, ধন্যবাদ

5511EEC2-74FB-4FB7-9744-D77EA6A9F11E.jpeg

দাদা গ্রাম বাংলার এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে অনেক ভাল লাগে।গ্রামের মানুষ অনেক সহজ-সরল।শহরের মানুষের মত এত জটিল না।আপনি তো ক্ষেত থেকে বেশ কিছু সবজি নিলেন বেগুনের ঝোল খাবেন পুঁটি মাছ দিয়ে বেশ মজার হবে।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো মন ছুঁয়ে গেলো দাদা।

গ্রাম বাংলা আসলেই নৈসর্গিক দৃশ্যের এক স্বর্ণখনি ।

আমি আপনার কথার সাথে একমত দাদা। গ্রামের মুক্ত সুন্দর পরিবেশ দেখলে প্রানটা জুড়িয়ে যায়। আর শহরে আসতে ইচ্ছে করে না। দাদা টিনটিন সোনাকে কিন্তু প্রকৃতির মাঝে ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। আর সত্যি বলতে গ্রামের প্রতিটি ছবি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে সবজি ক্ষেত আর ধান ক্ষেত আমার ভীষণ ভালো লাগে। আর খাল বিল দেখলেই ইচ্ছে করে যদি একটু নেমে মাছ ধরতে পারতাম। দাদা ছবিগুলো ভীষণ ভালো লাগলো।

দাদার এই পোস্টটি দেখে ছোট বেলায় হারিয়ে গেলাম। দাদার পোস্টের প্রত্যেকটি জিনিস খুব মিস করতেছি। পাঁকা ধানক্ষেত, কলার মোচড়া, শীতের সবজি ক্ষেত, সারি সারি তাল গাছ, খেজুর গাছ, কিংবা মাছের ঘের সব কিছুই একটা সময় গ্রামে গেলে দেখতে পারতাম। এখনো গ্রামে যাই কিন্তু এই জিনিসগুলো এখন আর সেইরকম ভাবে চোখে পড়ে না। ছোট টিন টিন ও যেন এখানে প্রাকৃতির একটা অংশ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ দাদা, কালের আর্বতনে হারাতে বসা কিছু গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

গ্রামে গেলে মন একদম ভাল হয়ে যায়। এত সুন্দর প্রকৃতির দৃশ্য, পাখির কিচিরমিচির ডাক, মুক্ত বাতাস পেলে ভাল না লেগে উপায় আছে? আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন দাদা। নিজেই সবজি পেরে নিয়ে এসেছেন জেনে ভাল লাগল। টিনটিন সোনাকে অনেক কিউট লাগছে। ওর নিশ্চয়ই অনেক ভাল লাগছে খোলা পরিবেশ পেয়ে । আমার কেন জানি বাংলাদেশের গ্রামের মত লাগছে জায়গাগুলো। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মনোরম গ্রামের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আমার তো প্রায় সব সময়েই মনে হয় গ্রামে চলে যাই । গ্রাম বাংলার অপুরূপ রূপে নিজেকে রাঙিয়ে তুলি নতুন করে। এখানে গ্রাম বাংলা অপরূপ রূপ বৈচিত্র। আর আমাদের টিনটিন বাবু যেন একাকার হয়ে গেছে সেই রূপের সাথে।

What a beautiful area is it filled nature and simplicity, and also Tintin baba look like a part of that, because of his cute and innocent look.

দাদা গ্রাম বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য্য সত্যি সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়।সত্যি দাদা গ্রামের মুক্ত বাতাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে স্বার্থপর হতে দেয় না।রাস্তার পাশে গাছ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আর ধান খেত গুলো দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনি নিঃসন্দেহে দারুন সময় কাটাচ্ছেন দাদা। গ্রামের ফ্রেশ অক্সিজেন আরো কয়েকদিন গ্রহণ করেন। প্রকৃতি মানুষের মনকে আরো বেশি সতেজ আর হালকা করে দেয় ।

ফটোগ্রাফী গুলো খুব উপভোগ করলাম আর ফিল করলাম। সবজি ক্ষেত আর মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে।

দাদা একটা গান খুব মনে পড়ছে৷ একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গায়ে ৷ সত্যি দাদা গ্রাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি ৷ আপনি তো গ্রামের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছেন ৷ যা আসলে দেখে মুগ্ধতা এনে দেয় ৷ প্রথম ছবি টি আমরা বলি কলার মচকা যা তরকারি হিসেবে খাওয়া যায় ৷ এছাড়াও গ্রাম বাংলার মেঠো পথ দুই পাশে সারি সারি তাল গাছ আবার গোবরের ঘুটে ৷ সব মিলে গ্রামের এক খন্ড সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন ৷
অনেক ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷

আসলেই গ্রামে গেলে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসতে ইচ্ছে করে না,তবুও আসতে হয় কাজের জন্য।যাই হোক প্রতিটি ছবিই দেখে মন প্রান জুরিয়ে যায়।গোলটু বাবু আবদারে গ্রামের গাছের বাতাবী লেবু পেলে।যতই ছবি দেখছি শহর থেকে গ্রামে যেতে মন চাচ্ছে। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

আসলে দাদা রূপবতী গ্রাম বাংলার রূপের বর্ণনা কেউ দিয়ে শেষ করতে পারবে না। সোনালী ফসলের মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে আছে। মনে হয় যেন মনে আনন্দের ধোলা ধুলছে। আর সেই সোনালী রোদের সাথে সোনালী ফসলের মাঝে মিশে আছে আমাদের টিনটিনের ছবি। আপনি খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফিগুলো করেছেন। গ্রাম বাংলার রূপ দেখে ইচ্ছে করে ছুটে চলে যেতে সেই গ্রামে। ঠিকই বলেছেন স্বর্গ পেলে নরকে বসবাস করতে হয়। কাজকর্ম যেহেতু আমাদের শহরকেন্দ্রিক, এত সুন্দর একটি ব্লগ উপহার দেওয়ার জন্য, আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।

একদম ঠিক বলেছেন দাদা, আমাদের কাছে গ্রাম যতই ভালো লাগুক না কেন আমাদের কাজগুলো শহরকেন্দ্রিক আর তাই আমাদেরকে শহরেই ফিরে আসতে হয়। গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য সবাইকেই মুগ্ধ করে। রাস্তার দুপাশে তালগাছ এখন খেজুর গাছের সারি সত্যি খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন উপভোগ করলাম। টিনটিন বাবুকে দেখে বুঝা যাচ্ছে সে খুবই খুশি। ছবিগুলো ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।

আজকের দৃশ্যগুলো সত্যি বেশ মুগ্ধকর দাদা, সবুজ প্রকৃতির মাঝে হলুদ ফসলের হাসি, আহ যেন হৃদয় জুড়িয়ে যায়। গ্রাম বাংলার দৃশ্য যতই দেখি হৃদয়ের তৃষ্ণা যেন ততোই বেড়ে যায়। ধন্যবাদ

দাদা এই পোস্টটা গতকাল ই পড়েছি তবে তখন কমেন্ট করা হয়নি।আমাদের টিনটিন বাবুর গ্রামে গিয়ে তো বেশ ভালো ভালো শখ হয়েছে দেখছি।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

দাদা সমস্ত দলীল পত্রের প্রমান অনুযায়ী এবং নির্ভযোগ্য সূত্র মারফতে জানতেন পারলাম আপনি ডিসেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে জানুয়ারী এক তারিখ ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছেন। কিন্তুু আপনার কয়েক দিনের পোষ্ট পড়ে ও বিবেচনা করে বোঝা যাচ্ছে আপনি কোন দেশের গ্রাম্য এলাকার গ্রাম বাংলার নৈসর্গিক সুন্দর্য উপভোগ করছেন। এখন আমার প্রশ্ন হলো গ্রামটা আসলে কোন বিদেশের..? বাংলাদেশের গ্রাম নয় তো...?

কাজের সুবিধার্থেই স্বর্গ ফেলে সেই নরকেই থাকতে হয় ।

এটাই হয়তো ভাই, বাস্তবতা।
তবে আপনি যে গ্রামীণ পরিবেশে বেশ ভালোই সময় কাটাচ্ছেন ভাই,তা কিন্তু আপনার ছবি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

গ্রাম বাংলার নৈসর্গিক সবুজ প্রকৃতির মাঝে একটি ছেলে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। গোলটু বাবুর হাস্যোজ্জ্বল মুখ দেখেই বুঝতে পারছি প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সে মুগ্ধ। দাদা একদম ঠিক বলেছেন শুধু কাজের তাগিদেই আমরা শহরে ফিরে আসি। গ্রামের ক্ষেত থেকে যে টাটকা বেগুন তুলে এনেছেন শহরে সেটা পাওয়া সম্ভব নয়। আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অসাধারণ। বিশেষ করে সোনালী ফসলের মাঠ ও সরু রাস্তার দুপাশে সারিবদ্ধ খেজুর ও তালগাছ আমার গাছ খুব ভালো লেগেছে।
অনেক আনন্দে কাটুক আপনার দিনগুলো দাদা।
শুভকামনা রইল।

দাদা, গ্রাম বাংলার এত সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখলে শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো সামনে চলে আসে। শৈশবে এরকম পরিবেশের মধ্যেই বড় হয়েছি আমি। এরকম পরিবেশে বড় হওয়ার আনন্দ শৈশবে পেয়েছি। সময়ের সাথে প্রকৃতির মধ্যে আর বেশি সময় থাকার সুযোগ হয় না। গোলটু বাবুর হাসি দেখেই বোঝা যাচ্ছে গোল্টু বাবুও প্রকৃতিকে খুব এনজয় করছে।

গ্রাম বাংলার অপরুপ সৌন্দর্য আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ মন কেড়ে নেয় সকলের। গ্রামের মুক্ত বাতাস এবং সুন্দর পরিবেশ প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তালগাছ, পাকা ধান, আর কলার মুচকা ফাঁকা রাস্তা দুই পাশে গাছ এগুলো মনোরম পরিবেশে মিশিয়ে যেতে মন চাই সকলের। দাদা আপনার তোলা গ্রামের অপরুপ সৌন্দর্যে মন হারিয়ে যেতে চাই। টিনটিন বাবু সোনা মাখা মুখের হাসি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর। দাদা আপনি গ্রামের অপরুপ সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

গ্রাম বাংলার প্রকৃতির মাঝে গেলে আসলে আর শহরে ফিরতে ইচ্ছা করে না। এই প্রকৃতির মাঝে থাকতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে ধান ক্ষেতের পাশ আমার খুব পছন্দের একটি জায়গা। তাছাড়া আপনার গ্রামের রাস্তার ছবিগুলো খুব ভালো লেগেছে। রাস্তা দেখে মনে হচ্ছে যে নিরিবিলি অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া যাবে। তাছাড়া গাছ থেকে বেগুন পেরে সেই বেগুন খাওয়ার মজাই আলাদা। বেশ আনন্দে আছেন মনে হচ্ছে। যেমন খাওয়া-দাওয়া তেমন ঘোরাঘুরি। দেখে ভালো লাগছে।

দাদা দারুন কিছু কথা বলেছেন ,সত্যি ই তাই ,গ্রাম্য প্রকৃতির পরিবেশ আমাদের মন সতেজ রাখে,আর বাস্তবতা ও শিখায় ,তবে দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ,আমার কাছে সত্যি অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।

❤️❤️ সর্বপ্রথমে দাদাকে আমি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তিনি এত সুন্দর ও চমৎকার করে গ্রাম-বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছেন। গ্রাম-বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এমন যে একবার গ্রামের এই সুন্দর মায়া জালে আটকে যাবে একমাত্র সেই এইরকম মন্তব্য করবে। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।

আর টিনটিন সোনা বাবু দেখছি গ্রামের এই সুন্দর পরিবেশকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আপনার এত সুন্দর পোস্ট আর সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার ভাষাগুলো আমাকে বিমোহিত করেছে। ধন্যবাদ দাদা।❤️❤️

নমো নমো নম, সুন্দরী মম জননী বঙ্গভূমি
গঙ্গার তীর, স্নিগ্ধ-সমীর, জীবন জুড়ালে তুমি|
অবারিত মাঠ, গগনললাট চুমে তব পদধূলি-
ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো গ্রামগুলি|

রবি ঠাকুরের লাইনগুলো মনে পড়ে যাচ্ছে। তাই একটু লিখেও দিলাম। এত সুন্দর গ্রামের নৈসর্গিক ছবি অনেকদিন পরেই দেখলাম।তবে দাদা একটা কথা বলি টিনটিন কিন্তু অনেকটাই রোগা হয়ে গেছে। কিন্তু তাতে করে ওর প্রাণবন্ত ভাব এক ফোটাও কমেনি।বরং বেড়ে চলেছে। অনেক আশীর্বাদ করি ওরে হাসি যেন সবসময়ই এমনই থাকে।

দাদা গ্রামীণ পরিবেশ এর এই সুন্দর দেশগুলো খুব ভালোভাবেই উপভোগ করেছেন। যেটা আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলেই বুঝতে পারা যায়। আসলে শহরের ওই দেওয়ালের মধ্যে বন্দী অবস্থায় থাকলে যেটা আমার কাছে বিরক্ত মনে হয়। তবুও নিজের জীবনের পথ চলায় এগুলো মেনে নিতে হয় ।মনে হয় না সেই দেওয়ালের মাঝে আবার ফিরে যাই।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

গ্রাম যতই স্বর্গ সুখ আমাদের দিক না কেন, কাজের জন্য ই আমাদের শহরে আসতেই হয়। আপনি খুব সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি।গ্রামের আলে- বাতাস আপনার শরীর মন ঝরঝরে করে দেবে।সেই সাথে বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, যা দেখে খুব ভাল লেগেছে দাদা।পাকা ফসলের মাঠ, গ্রামের নিরিবিলি পথ,গাছে গাছে নানা ধরনের সব্জির যেন তুলনাই হয় না।টিনটিন বাবু ও বেশ ভাল আছে। সবার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। অনেক ধন্যবাদ দাদা।

আমি একজন গ্রামেরই ছেলে। গ্রামের সৌন্দর্য বরবরই আমাকে ভীষণভাবে কাছে টানে! মেঠোপথ, সোনালী ধান ক্ষেত এসবই তো গ্রামের সৌন্দর্য! অনেকদিন পর কলার মোচা দেখলাম! কত খেয়েছি এটা! টিনটিন বাবু এনজয় করেছে, দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

ধান খেত, মেঠো পথ, সবজি বাগান গ্রাম বাংলার প্রকৃত রূপ যা আমার অনেক ভাল লাগে। বাংলাদেশের গ্রামীন জীবনের সাথে কোন পার্থক্য নেই। একেবারে হুবহু এক। ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য।

গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় কিছু ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করলেন, প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে,টিনটিন বাবুর ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ।

গ্রাম বাংলার সৌন্দর্য আসলেই মনমুগ্ধকর। গ্রামে গেলে আর শহরে ফিরে আসতে মন চায় না। তবুও আমাদেরকে ফিরতে হয়। সময়টা আপনি ভালোই এনজয় করেছেন বোঝা যাচ্ছে। তবে আপনার থেকে মনে হয় টিনটিন বেশি উপভোগ করেছে। ওর মুখের অভিব্যক্তি তাই বলছে।

গ্রামের যেকোনো দৃশ্যই আমায় খুব টানে। দারুণ লাগে গ্রাম বাংলাকে। ধন্যবাদ এত সুন্দর কনটেন্ট এর জন্যে