অনুগল্প "ভালোবাসার রঙ"

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)


Copyright Free Image Source : PixaBay


পাড়ার ছেলে অর্ণব । সদ্য সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বাড়িতেই বসে আছে । কিচ্ছু করে না । চাকরি করা ঘৃণার চোখে দেখে । পড়াশোনা করেছে শুধু জ্ঞানার্জনের জন্য, এই ভাষণে সবাইকে জ্বালিয়ে মারে শুধু । তাই, মা-বাবা, দাদারা কেউ পারতপক্ষে আর চাকরি নিয়ে তার সাথে কথা বলে না । দাদারা ভালো চাকরি করে, বাবা সরকারি বড় অফিসার ছিলেন, এখন রিটায়ার্ড । অর্থের কোনো অভাব নেই । তাই, অর্ণব বেকার ।

ঠিক, বেকার বলা যাবে না তাকে, ফেসবুকে কবিতা লেখে সে রাত জেগে । আর সারাদিন টো টো করে পাড়ায় ঘুরে বেড়ায় । বাউন্ডুলে ছন্নছাড়া তার জীবন ।

নিনি ওরফে নির্ঝরিণী এই পাড়ারই মেয়ে । গাঙ্গুলি বাড়ি । বাপ বিশাল বড় ব্যবসায়ী । এই পাড়ার মধ্যে সব চাইতে বড় বাড়িটা ওদেরই । বিশাল সাদা রঙের প্রাসাদোপম বাড়ি । নিনির দাদার শৈশবের বন্ধু অর্ণব । আড্ডা মারতে তাই প্রায়ই ওদের বাড়ি যায় । দুই বন্ধু একই সাথে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বাড়িতেই বসে আছে । পার্থক্য শুধু একটাই । নিখিল ফ্রীল্যানসিং করে । প্রচুর ক্লায়েন্টস ওর । অর্ণব রাত জেগে কবিতা লেখে আর নিখিল রাত জেগে সফটওয়্যার ডেভেলপ করে ।

নিনি অর্ণবকে দেখলেই পিছে লাগে । তার লেখা কবিতাগুলো হাসির খোরাক বানিয়ে ফেলে । অথচ, সব কবিতা নিনিকে উদ্দেশ্য করেই লেখে অর্ণব । এ এক অব্যক্ত প্রেম । নিনিকে ভালোবাসে অর্ণব । কিন্তু, আজ পর্যন্ত মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারেনি সে । বয়সের পার্থক্যটা তাকে কিছুটা ভাবায় । তার পড়াশোনা শেষ, আর নিনি সামনের বছর মাধ্যমিক দেবে । সদ্য কিশোরী সে । বয়সের তুলনায় যথেষ্ঠ সপ্রতিভ সে । পড়াশোনায় তুখোড় ।

গতবছর পুজোর সময় বাসন্তী রঙের শাড়ি পড়েছিল সে । পুজো মণ্ডপে তাকে হঠাৎ দেখেই ভীষণ ভালো লেগে যায় অর্ণবের । যেন সদ্য প্রস্ফুটিত সাদা একটি ফুল । ভীষণই আদুরে, ভীষণই দামী সে । প্রথম শাড়ি পরেছিলো নিনি সেদিন । লজ্জা করছিলো তার ভীষণ । মুগ্ধ চোখে অনেক্ষন ধরে তাকে দেখছিলো অর্ণব ।

এর আগে কোনোদিন নিনিকে এভাবে দেখেনি সে । বন্ধুর ছোট বোন, তাই নিনিকে ছোট বোনের মতোই দেখে এসেছে এতকাল ধরে । আজ এ কি হলো ? কোনোদিনও কোনো মেয়ের প্রেমে না পড়া অর্ণবের মনে আজ এ কিসের ঢেউ লাগলো ? অসম্ভব ভালো লাগার আমেজ তাকে বেশ কিছুক্ষন ধরে একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দিলো । বন্ধুদের বার বার তাড়নায় অবশেষে সম্বিৎ ফিরে পেয়ে কাজে হাত লাগালো । অঞ্জলি শুরু হবে এখুনি ।

শেষ রাত্রে ঘুমোতে এসে অর্ণব আর ঘুমোতেই পারেনি । অশ্বিনের শেষ রাতে এখন হালকা হিম পড়ে । সেই ঠান্ডা বাতাসে ছাদে দাঁড়িয়ে নিনিদের বাড়ির দিকে নির্নিমেষে তাকিয়ে থাকা । কোথা দিয়ে যে রাত কেটে প্রভাত হয়ে গেলো, টের পেলো না । শুধু, একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো বুক চিরে ।

এরপর থেকে যতবারই নিনির কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেছে নিনি উল্টো বুঝেছে । তার ছোটবেলা থেকেই অর্ণবের পেছনে লাগা অভ্যাস । জ্বালিয়ে মারে সে অর্ণবকে । তার ইয়ার্কি ফাজলামিতে অর্ণবের পাগল হওয়ার দশা । ইশারা ইঙ্গিতে বোঝাতে চেয়েছে নিনিকে সে ভালোবাসে । আর নিনি উল্টো বুঝে ঠাট্টায় ঠাট্টায় তার জীবন বিষময় করে তুলেছে ।

অর্ণব কবিতা লেখে । খুব, একটা খারাপ লেখে না । যদিও নিজের কাছে তার খুবই ফালতু মনে হয় । কিন্তু, ইতিমধ্যে তার একটা ফ্যানবেজ তৈরী হয়ে গিয়েছে । প্রচুর তরুণী হিয়া উদ্বেলিত হয় তার কবিতা পড়ে । টুং, টুং করে প্রচুর মেসেজ আসে তার মেসেঞ্জারে । শুধু যার কাছে থেকে সীমাহীন প্রত্যাশা তার কাছ থেকে আসে সীমাহীন অবজ্ঞা আর ঠাট্টা ।

নিনি অর্ণবের প্রেমের কবিতাগুলোর প্যারোডি করে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে ফান শর্ট রিলে করে ছেড়ে দেয় ফেসবুকে । বিপুল জনপ্রিয়তা পায় সেই ফানি শর্ট ভিডিও গুলো । আর বুকের মধ্যে একটা কষ্ট ঘুরপাক খায় অর্ণবের । দিনে একবার করে হলেও নিনির সাথে তার দেখা হওয়া চাইই । তাই বিকেলের দিকে চা খেতে নিনিদের বাড়ি আসে অর্ণব । নিনি এই সময়টাতে স্কুল থেকে ফিরে চায়ের সরঞ্জামে বৌদিদের হেল্প করে ।

অর্ণবের সাথে দেখা হলেই বলে - "কি খালবাবু, আজকে চায়ের সাথে কি খাবেন আপনি ?"

অর্ণব মানে সমুদ্র, নিনির মতে অর্ণব মোটেও সমুদ্রের মতো হয়নি, বড়জোর ওকে খাল বলা যেতে পারে । অবশ্য বাইরে সবার সামনে অর্ণবদা বলেই ডাকে । তারপরে জিজ্ঞেস করে আজকে খাল থেকে কি চুনো মাছ ধরলে ? তারমানে অর্ণবের কবিতাগুলোকে মিন করছে ।

অর্ণবের আরেকটা নাম হলো রাঙামুলো । এটাও নিনির দেওয়া । দোষের মধ্যে অর্ণবের গায়ের রং বেশ ফর্সা । নিনির গায়ের রং বেশ চাপা, শ্যামলা । কই, তা বলে তো নিনিকে কোনোদিনও কালো জাম বলে ডাকেনি সে ।

নিনিকে আগে তুই তুই করে ডাকতো অর্ণব । হঠাৎ, যেদিন তুমি বলে ডাকলো সেদিন নিনির রিএকশনে বেশ কষ্ট পেয়েছিলো অর্ণব । নিনি বলেছিলো তাকে -

"তোমার মতলব কি অর্ণবদা ? হঠাৎ বড় যে তুমি তুমি করে বলছো ? প্রেম ভালোবাসার কোনো মতলব থাকলে ছাড়ো । ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেব প্রেম ।"

-"না, না, তুমি বড় হয়ে যাচ্ছ তো তাই, আর তুই করে ডাকা ভালো দেখায় না । তাই, তুমি করে বলা আর কি !", অর্ণব আমতা আমতা করেছিল সেদিন ।

-"দেখো, আমি অতো বোকা মেয়ে না, সেদিন পুজো মণ্ডপে অমন লুচ্ছার মতো তাকিয়েছিল কেন আমার দিকে ? কিছু বুঝি না না ?"

এর উত্তরে কিছু না বলে শুধু একটা শুকনো ঢোঁক গিলেছিলো অর্ণব । সেদিন সে মুগ্ধ অবাক বিস্ময়ে নিনিকে দেখছিলো । তার চাউনিতে শুধু মুগ্ধতা ছাড়া আর কিছুই ছিল না সেদিন । অথচ মেয়েটা কি কঠিন কথা শুনিয়ে দিলো সেদিন ।

সপ্তাহ খানেক আর যায়নি নিনিদের বাড়ি অর্ণব । কিন্তু, রবিবারের এক সকালে অর্ণবদের বাড়িতে এসে নিনি হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে গেলো অর্ণবকে । আজ যে হোলি । রঙ খেলা । সেদিনটা খুবই উপভোগ করেছিল নিনির সাথে । আগেকার দুঃখ ভুলতে পেরেছিলো । ভীষণ এনজয় করেছিল দোলের দিনটা ।

এ ভাবে কেটে গেলো বেশ কয়েকটা দিন । বছর ঘুরে আবার এলো পুজো । এই এক বছরে অর্ণব পুড়েছে অনেক । এবং, এও উপলব্ধি করতে পেরেছে তার প্রেম অব্যক্তই থেকে যাবে । প্রকাশিত হবে না কোনওদিন । নিনি হয়তো অন্য কাউকে ভালোবাসে । তবে, অর্ণব শুধু তাকেই ভালোবেসে যাবে ।

সপ্তমীর সকাল । অঞ্জলীর সময় এখন । অর্ণব দূর থেকে দেখতে পেলো একটি সাদা শাড়ি পরে শুভ্রা রাজহংসীর মতো যেনো ডানা মেলে নিনি আসছে । গতবছরের কথা মনে পড়ে গেলো অর্ণবের । আস্তে করে সরে গেলো সে সেখান থেকে । বাড়ি চলে এলো লুকিয়ে । বাড়ি পুরো ফাঁকা । সবাই পুজো প্যান্ডেলে । নিজের ঘরে বেডে উপুড় হয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা রবীন্দ্রসংগীত চালিয়ে দিয়ে চোখ বুজে তন্ময় হয়ে গেলো -

"যদি জানতেম, আমার কিসেরও ব্যথা
তোমায় জানাতাম, যদি জানতেম
কে যে আমায় কাঁদায়
আমি কী জানি তার নাম"

সহসা পিঠে যেন কার নরম একটা হাত স্পর্শ করলো । নতুন শাড়ির খস-খস শব্দ, প্রসাধনীর মিষ্টি একটা গন্ধ আর পায়ের মলের হালকা একটা রিনঝিন শব্দ ।

দ্রুত, চিৎ হলো অর্ণব । নিনি । কখন জানি চুপটি করে এসে বসেছে তার পাশে । কপালে হালকা ঘামে ভেজা দু'চারটি চূর্ন কুন্তল । নাকের দু'পাশে হালকা ঘামের একটি দুটি বিন্দু । চোখ ছল ছল । নিঃশ্বাস ভারী । হালকা প্রসাধনীতে শ্যামলা রঙ উজ্জ্বল চাঁপা ফুলের মতো ফুটে উঠেছে । রক্ত লাল লিপস্টিকে ওষ্ঠদ্বয় রঞ্জিত ।

কেউ কোনো কথা বললো না খানিক্ষন । এরপর নিনিই নীরবতা ভঙ্গ করলো প্রথম -

"তোমাকে কত খুঁজলাম প্যান্ডেলে । পেলাম না ।"

-"ভয়ে পালিয়ে এসেছি নিনি । যদি তুমি আবার ভুল বোঝো সেদিনের মতো, তাই চলে এসেছি ।"

-"তুমি বোকা না হলে সেদিনই বুঝতে পারতে কেন আমি রাগ করেছিলাম !"

-"কেন ?"

-"সেদিন আমার সাথে আমার বান্ধবীও শাড়ী পরেছিলো । তোমার ওই রকম তাকানিতে সে এখনও তোমার প্রেমে হাবুডুবু খায় । আমার কেমন লাগে বোলো ?"

-"আর আমার কবিতা ?"

-"তোমার কবিতা শুধু আমার একার । কেন অন্য মেয়েরা পাগল হবে ? তাই আমি ফানি ভিডিও বানাই তোমার কবিতা নিয়ে ।"

অর্ণব আর কিছুই বলতে পারে না । দুজনেই দুজনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে । দু'জন দু'জনের চোখের তারায় সহসা জীবনে বেঁচে থাকার মানে খুঁজে পায় । অর্ণব ধীরে ধীরে হাত বাড়িয়ে নিনির কোমল হাতখানা ধরে ফেলে । ফিস ফিস করে বলে -

"নিনি ..."

অশ্বিনের প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয় দুটি নর-নারী সারাজীবন এক সাথে থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে । অর্ণবের মোবাইলে তখন বাজছে -

"বধু কোন আলো লাগলো চোখে ।।
বুঝি দীপ্তি রূপে ছিলে সুর্যলোকে
ছিল মন তোমারই প্রতীক্ষা করি
যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি"

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank You for sharing Your insights...

দাদা আজকে আপনার ভালবাসার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে ভালো বাসার পরিপূর্ণতা পায় যখন দুজন দুজনের মিল হয়ে যায়। আর এই ভালবাসার পরিপূর্ণ তার মধ্যে রয়েছে প্রকৃত ভালোবাসা। আসলে ভালবাসার সার্থকতা এখানে যখন দুজন দুজনকে পাবে। আজকে এই গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। প্রথমে ভেবেছিলাম নিনি হয়তো ভালবাসে কিন্তু কখনো বলবে না। কিন্তু শেষমেশ নিনিই ভালোবাসার কথা বলল। যাইহোক ভালোবাসায় পরিপূর্ণ তা পেয়েছে এই গল্পটিতে আমার অনেক ভালো লেগেছে দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভালোবাসার গল্প আপনার সাথে শেয়ার করার জন্য।

Thank You for sharing...

পৃথিবীতে পবিত্র বলতে আজকাল খুব কম জিনিষ পাওয়া যায়।কারণ সৃষ্টিকর্তার তৈরি পবিত্র সবকিছুতেই আমরা কেনো একটা অপবিত্রতা ছড়াই।তাও সব খারাপের মাঝেও এমন ভালো কিছু পবিত্র ভালোবাসা থাকে।যে ভালোবাসায় কোনো খাদ থাকেনা,থাকেনা কোনো অপবিত্রতা।আজকে লেখক সে পবিত্র প্রেম তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তাই মনে হলো আমার।
নিনি সত্যিই খুব ভাগ্যবতী।দারুণ লিখেছেন দাদা।😻😻

জানি পুজো অনেক দিন বাকি তবে কেন যেন অর্ণব-নিনির কথা গুলো পড়ে শারদীয়া পুজো সংখ্যার কথা বারবার মনে আসছে। দারুন লেগেছে আমার দাদা।

অব্যক্ত ভালোবাসা গুলো প্রেমে পরিণতি পাক। 🤗🧡

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

চমৎকার লিখেছেন দাদা। গল্পটি পড়ে প্রথমদিকে ভাবছিলাম হয়তো অর্ণবের ভালোবাসাটা অব্যক্ত রয়ে যাবে ।নিনির আচরণে হয়তো কোনদিন সে বলতেই পারবেনা ।কিন্তু শেষ পরিণয় টা বেশ ভাল লাগল ।অবশেষে নিনিই তাকে ভালোবাসার কথা বলল ।প্রথমদিকে আমার ও দু একবার মনে হয়েছিল নিনিও হয়তো ভালোবাসে কিন্তু প্রকাশ করে না ।মেয়েরা এমন করলে বুঝতে হবে সেও ভালোবাসে।পরে অবশ্য দেখলাম সেটাই হলো ।সবকিছু মিলিয়ে বেশ চমৎকার ছিল ।এরকম রোমান্টিক গল্প পড়তে বেশ ভালো লাগে। এরকম প্রেমের গল্প গুলো পড়লে মনে হয় যেন আরও একবার প্রেমে পড়ি।

ভালবাসলে বুঝি এমনই হয় অন্য কেউ নজর দিলে হিংসা হয়।আর যদি অন্য কেউ প্রেমে হাবুডুবু খায় তাহলে তো কোন কথাই নেই,।। তবে আজকের শেষটা কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে। কয় জনই বা এভাবে ভালোবেসে কবিতা লিখতে পারে।বেঁচে থাকুক ভালোবাসা।ধন্যবাদ

দাদা প্রথমেই বলবো গল্পের শুরু এবং শেষ দারুন আর মাঝের টুকু তো কথাই নেই। গল্পের ভেতরে যে ঢুকবে সে পুরটা না পড়ে বের হতে পারবে না। হৃদয় ছোয়া দিয়ে যাওয়া কথা গুলো খুব সুন্দর ভাবে লিখেছেন। নির্ঝরিণী যখন অর্ণবের ঘরে নিশ্চুপ ভাবে ঢুকলো তারপর নির্ঝরিণীর রুপের যে বর্ননা দারুন লেগেছে। গল্পের মাঝে রবীঠাকুরের গানের কলি গুলো অসাধারন মিশ্রন আমি মনে করি।


আপনার গল্প পড়ে মনে পড়লো পূজোর চাঁদার রশিদের পেছনে লিখে দিয়েছিলাম যদি শাড়ী পড়ে পূজা মন্ডপে আসো তবে বুঝবো ভালোবাসো। সেদিনে সে শাড়ী পরে কথা রেখেছিল। হা হা । ভাল থাকবেন দাদা শুভেচ্ছা ও ভালবাসা নেবেন।

দাদা আমি যদিও রোমান্টিক গল্প খুব একটা পড়িনা, তবে আপনার এই গল্পটি সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এত সুন্দর মিষ্টি প্রেমের গল্প লিখতে পারেন আপনি জানা ছিল না। এতদিন জানতাম আপনি শুধু কবিতাই লিখতে জানেন প্রেমের গল্প লেখাতেও আপনার হাত যে চমৎকার সে কথা কি কেউ পনাকে বলেছে? যাইহোক বেশি প্রশংসা বাঙালির জন্য ক্ষতিকর। তাই আজ আর কিছু বললাম না। পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

গল্পের প্রতিটি লাইনে একটা মুগ্ধতা ছড়িয়ে আছে। এত ভালো লাগছিলো পড়তে যে বার বার নিচের দিকে দেখছিলাম। এই বুঝি শেষ হয়ে গেল। চাচ্ছিলাম না যে গল্পটা শেষ হোক। অসম্ভব ভালো লেগেছে। ভালোবাসা এমনি হয়। ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই নিজের। অন্য কেউ তাতে ভাগ বসাক এটা কেউই মেনে নিতে পারে না।
প্রতি সপ্তাহে এক/দুটি প্রেমের গল্প চাই ই চাই।
না হলে কঠোর আন্দোলন হবে কিন্তু দাদা।

Thank You for sharing...

অশ্বিনের প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয় দুটি নর-নারী সারাজীবন এক সাথে থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে ।

দাদা আপনার লেখা অনুগল্পটি অসাধারণ হয়েছে। আপনার কবিতা পড়তে যেমন ভালো লাগে তেমনি আজকে আপনার লেখা অনুগল্পটি পড়েও অনেক ভালো লাগলো। একটি মিষ্টি প্রেমের পরিণতি পেয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। অর্ণব তার জীবনের প্রেয়সীকে পেয়েছে এবং ভালোবাসার দুটি হাত পেয়েছে। যেই হাতে হাত রেখে সারা জীবন চলতে পারবে। হয়তো এই ভরসার দুটি হাত আমাদের জীবনে অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। এভাবেই হয়তো তারা একসাথে বেঁচে থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠেছে। দারুন এই অনুগল্প লিখে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা।♥️♥️♥️

Thank You for sharing...

কি উষ্ণ মধুর প্রেমের গল্প!! কল্পনায় ডুবে গিয়েছিলাম। প্রেমের শুরুর এই মুহূর্তগুলো এতটাই রঙিন যা কখনোই ভোলা যায় না। স্মৃতির পাতায় লেপ্টে থাকে আজীবন।

প্রসাধনীর মিষ্টি একটা গন্ধ।

আমার কাছে দারুন লাগে। 😍

দারুন লিখেছেন দাদা এ ধরনের প্রেমের গল্প আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।আর আরেকটু বড় বানালে কি হতো তাড়াতাড়ি যেন শেষ হয়ে গেল। আমার কাছে প্রথম থেকেই মনে হয়েছিল নিনি অর্ণবকে পছন্দ করে। আরো বেশি সিওর হয়ে গেলাম যেদিন অর্ণব রাগ করে কয়েকদিন ওদের বাড়িতে যাই নি নিনি ওদের বাড়িতে আসলো তখনই বুঝতে পেরেছি যে ওকে পছন্দ করে ।চমৎকার লিখেছেন দাদা মাঝে মাঝে এরকম গল্প আমাদের জন্য লিখবেন দাদা। খুব ভালো লাগে গল্প গুলো পড়তে। ভালোবাসার মানুষের কোনো কিছুই যেন অন্যের হলে আসলেই অনেক খারাপ লাগে।

Thank You for sharing Your insights...

বাপরে একে বারে গুলিয়ে গেলাম ভাই । আহা প্রেম , আহা জীবন। যতই পড়ছিলাম দুটো তাজা প্রাণ যেন আমার চোখের সামনেই ভাসছিল । হয়তো অর্ণবের কবিতা লেখা সার্থক কারণ কবিতা গুলো শুধুই নিনির ।

অসাধারণ লিখেছেন দাদা। এই প্রেম কাহিনীটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। বন্ধুর বোনের সাথে প্রেম হলে এ আর এক জ্বালা। অর্নব এত ভালোবাসা সত্ত্বেও সে প্রকাশ করতে পারেনি। আর নিনি ও যে তাকে এত ভালোবাসে তা প্রথমে বুঝতে পারি নাই। মনে করেছিলাম অর্ণবের প্রেম অব্যক্ত থেকে যাবে। শেষে তাদের মিল দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুব ভালো লিখেছেন দাদা। ধন্যবাদ।

Thank You for sharing Your insights...

ভালোবাসা কতইনা অদ্ভুত। মাঝে মাঝে মিনি যখন অন্য অর্নবকে ঠাট্টা করত,সেই ঠাট্টা এর মাঝেও কোথাও না কোথাও ভালোবাসা লুকিয়ে ছিল তাইতো শেষ পর্যন্ত তাদের মনের মিলন হয়েছে। সত্যি বলতে অসাধারন ভাবে উপস্থাপন করেছেন এই গল্পটি। গল্পটি পড়ে মনের মধ্যে ভালোবাসাটা উদয় হলো। বেঁচে থাকুক এরকম ভালোবাসা চিরকাল এটাই কামনা করছি।

অর্ণবের আর বলতে হয়নি কিছু। নিনি নিজে থেকে এসেই তার ভালবাসার প্রকাশ করেছে। সেবারের পুজোটি অর্ণবের কাছে চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে। ভালবাসা পূর্ণতা পেলে ভাল লাগে। গল্পটি খুব খুব খুব ভাল লেগেছে দাদা। আপনার জন্য ভালবাসা অবিরাম।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Thank You for sharing...

দাদা আপনার গল্প পড়ে আজ মুগ্ধ হলাম। মনে হচ্ছে পৃথিবীতে ভালোবাসা থেকে পবিত্র আর কিছুই হতে পারে না। সত্যি খুব সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প ছিল, বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসা আর বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসার মানুষগুলো

দাদা প্রতিটা লাইন বললে ভুল হবে প্রত্যেকটি শব্দ আমি মুক্ত হয়ে পড়ছিলাম। কেমন যেন একটা ভালো লাগা কাজ করছিল। কতদিন এরকম সুস্থ প্রেমের গল্প পড়িনি। অর্ণব ও নিনির নীরব ভালোবাসা আপনার অনুগল্পটি কে অন্য এক মাথায় নিয়ে গেছে। দাদা রোমান্টিক গল্প আপনি যে এত ভাল লিখতে পারেন এটা আমার জানা ছিল না। আপনার লেখনীর মধ্যে অন্যরকম একটা সৌন্দর্য আছে। প্রত্যেকটা লাইন পড়ার সময় পরবর্তী লাইন পড়ার আগ্রহ তৈরি হয়। গল্পের শুরু এবং শেষ অসাধারণ ছিল একেবারে জমজমাট। পরবর্তী গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

Thank You for sharing Your insights...

দাদা, অসম্ভব ভালো লেগেছে আপনার "অনুগল্প "ভালোবাসার রঙ" নিজে যদি সিনেমার প্রযোজক হইতাম, আর যদি প্রচুর টাকা থাকতো আমার, কঠিন ও বাস্তব এই প্রেমের কাহিনী দিয়ে সুন্দর একটা সিনেমা বানাতাম।আপনার গল্পের শুরু খুব কঠিন ছিল এবং মিলন হয়েছে অসাধারণ ভাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

দাদা আপনার গল্পটি আমি এখনো পড়িনি। তাই গল্পটি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না । পরে গল্পটি সময় করে আমি মজা করে পড়বো তাই রিস্টিম করে রাখলাম। তবে প্রথম কয়েকটি লাইন পড়ে মনে হচ্ছে নির্ঝরণী এই গল্পের মূল চরিত্র। নামটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমি খুব ভালো একটি নাম খুঁজছি যে নামটি ধরে আমার গল্পগুলি লিখব।

Thank You for sharing...

আহ! দাদা দারুণ বলবো না শুধু একেবারে ষোলআনা মুগ্ধ দারুণ একটা অনুগল্প পড়লাম আজ, হৃদয়টা ভরে গেছে ভালোবাসায়। সত্যি ভালোবাসায় এই রকম পাশে পাওয়ার আনন্দ না থাকলে, সে ভালোবাসাটায় কেমন জানি একটা অপূর্ণতা থেকেই যায়। যার জন্য রাত জেগে কবিতা লেখা সেই যদি বুঝতে না পারে, তাহলে স্বার্থকতা খুঁজে পাওয়া যায় না। বেশ দারুণ লেগেছে গল্পের শেষটা।

হৃদয়ের মাঝে আছে যতো অনুভূতি
যদি পারতো সে বুঝিতে
হৃদয়ের মাঝে আছে যতো ভালোবাসা
যদি পারতো সে দেখিতে
তবে পারিতাম বুঝাতে তাকে
ভালোবাসাকি কতটা হৃদয় দিয়ে।

দাদা আপনার লেখা ভালোবাসার রং গল্পটি পড়ে সত্যিই গল্পের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম । কিছু কিছু গল্প নিজের জীবনের স্পর্শ পায়। বাহ দুজনের অব্যক্ত প্রেম যেটা অবশেষে মিলন ঘটলো। এটাই ভালোবাসার প্রকৃত রুপ যেটা সবাই চায় সেই পরিপূর্ণতা। যেটা আপনার গল্পের মাধ্যমে অর্ণব এবং নিনির সার্থকতা দেখতে পেলাম সত্যিই অনেক মুগ্ধ হয়েছি দাদা। সব সময় ভালোবাসা অবিরাম আপনার জন্য দাদা। আপনার লেখা কবিতা গল্প যা রবীন্দ্রনাথের রোমান্টিকতার ছোঁয়া স্পর্শ পায়।❤️❤️

Thank You for sharing Your insights...

Iove is life i want to tell u about best sex education 2022
https://steemit.com/sexeducation/@maryamammar143/islamic-sex-education
k75bsZMwYNtze9xHvT6xWCdz7q3QGD35ZKdaPpVrFksWkJLSaJkPiHKxXcSpmFo8eVaa4ZCGDiQbwzCPh74zLScHAdBQPoQL2zUFQRK1kC2t5M5yAAmwda664Njbpv5yDmE8ei6YtwdQ3kNtogdn7yiEziKHV75hQ.jpeg

এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলো? আরো পড়তে ইচ্ছে করছিলো। নাহ লেখাটা আপনার সিরিয়াসলি চালিয়ে যাওয়া উচিৎ। আরো বেশি করে গল্প চাই আপনার কাছ থেকে। অসাধারণ লিখেছেন দাদা।

  ·  2 years ago (edited)

দাদা আপনার গল্পটি পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম ‌। ভালোবাসা এমন একটা জিনিস। সবকিছুর ভাগ দেওয়া গেলে। ভালোবাসার ভাগ দেওয়া যায় না। দাদা আপনার রোমান্টিক গল্পটি পড়ে আমার হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। সত্যি দাদা অসাধারণ একটি গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল প্রিয় দাদা আপনার জন্য।❤️❤️❤️❤️

Thank You for sharing...

অসাধারণ এক প্রেমের গল্প। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে আমি মুগ্ধ হলাম দাদা। পুরো স্টোরি আমার চোখে ভাসতেছে এখনো। অসাধারণ একটি শর্টফ্লিম তৈরি হবে এই গল্প দিয়ে। দাদা আরো এমন অনুগল্প চাই। পবিত্র ভালোবাসাগুলো বেঁচে থাক আজীবন। ❣️❣️

মেয়েরা বুঝতে পারে কে তাকে ভালোবাসে। আর মাঝে মাঝে বুঝেও ভান করে যে কিছুই বোঝেনা। গল্পের মিনি অভিমান করে অর্ণবকে বুঝতে দেয়নি যে সে তাকে ভালোবাসে। তবুও ভালোবাসা কি বেশিদিন চেপে রাখা যায়। শেষমেষ নিনির ভালোবাসা প্রকাশিত হলো।
গল্পটা যখন পড়ছিলাম, আমার চোখের সামনে এসে দৃশ্যগুলো ভাসছিল। গল্পের প্রতিটা লাইন হৃদয় ছুঁয়ে দিল। হাজারো মিথ্যে ভালোবাসার অভিনয়ের ভিড়ে প্রকৃত ভালোবাসা গুলো এভাবেই বেচে থাকা।

Thank You for sharing Your insights...

দাদা, অনুগল্পটি দারুণ হয়েছে।শেষমেশ ভালোবাসার জয় হলো।দুটি আত্মার মিল ঘটলো এক মনে।তবে ছোটগল্পগুলি শেষ হলেও মনে হয় আর ও কিছু পড়ি।মনে হয় শেষে কি হবে আদই তাদের ফ্যামিলি মেনে নেবে কিনা।তবুও দুইজন দুইজনকে যে জানতে পেরেছে তাই অর্ণবের ভালোবাসা আর অব্যক্ত রইলো না এটা জেনে ভালো লাগছে।ধন্যবাদ দাদা,আরো চাই এইরকম ছোটগল্প।

Thank You for sharing...

Ho

ভালোবাসার গল্প শুনলে এসে ছোটবেলায় চলে যাই .

Thank You for sharing...

@tipu curate 10

অশ্বিনের প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয় দুটি নর-নারী সারাজীবন এক সাথে থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে ওঠে । অর্ণবের মোবাইলে তখন বাজছে -

"বধু কোন আলো লাগলো চোখে ।।
বুঝি দীপ্তি রূপে ছিলে সুর্যলোকে
ছিল মন তোমারই প্রতীক্ষা করি
যুগে যুগে দিন রাত্রি ধরি"

অনেক কথা অনেক আশায়
প্রেমের সংমিশ্রণ,
বাধা পেরিয়ে রাঙিয়ে উঠেছিল
প্রেমিক প্রেমিকার মন।

আশ্বিন প্রভাতের স্নিগ্ধ আলোয়
দুটি নর-নারী ,
সারা জীবন থাকবে একসাথে
স্বপ্নে বিভোর জানি।

প্রেমের আলো লাগলো চোখে
ভেবে নিল বধু,
যুগ যুগ ধরে মিলনের বাসনা
মুছে যাবে না কভু।