"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ০৫steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


আজকে মিউজিয়ামের নীচের তলার আর্ট গ্যালারীর সমগ্র আর্টের ফোটোগ্রাফি শেয়ার শেষ হবে । একটা আর্টও বাদ দেইনি ছবি তুলতে । একদম লাস্টের দিকে বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের অসামান্য কিছু আর্ট রয়েছে । যদিও এনার বিখ্যাত সব শিল্পকর্মের সিংহভাগই সংরক্ষিত রয়েছে ময়মনসিংহের "জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায়" ।

ঢাকার কেন্দ্রীয় জাদুঘরে রয়েছে এনার মেক্সিকো ভ্রমণের কিছু আর্ট আর তেতাল্লিশের মন্বন্তর এর বেশ কিছু আর্ট । ১৯৪৩ সালে ইংরেজদের শাসনে থাকা বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) জাপান দখল করে নেয় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে তখন । সমগ্র বাংলার তখন চালের প্রধান উৎস ছিল বার্মা । ইংরেজদের সীমাহীন কঠোর শাসনে আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সৈন্যবাহিনীর জন্য খাদ্যশস্য মজুতের জন্য সমগ্র বাংলা জুড়ে শুরু হয় বিশাল দুর্ভিক্ষ ।

না খেতে পেয়ে বাংলায় প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যায় । এই সময়কার দুর্ভিক্ষের করুণ সব চিত্র জয়নুল আবেদীন তাঁর তুলির টানে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলেন । তারই কয়েকটি আর্ট সংরক্ষিত রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে । সেগুলোর ফোটোগ্রাফি শেয়ার করতে চলেছি আজ । আশা করছি এনজয় করবেন আপনারা ।


বেদেনি । বেদেরা হলো ভবঘুরে জাতি । নৌকাতেই এদের বসবাস । সাপ খেলা, ঝাড়ফুঁক, টোটকা, কবেরেজি ওষুধপত্র, তাবিজ এসবের ব্যবসা করেই দিন গুজরান হয় এদের ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


জয়নুলের মেক্সিকো ভ্রমণের সময়ে সেখানকার আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের বেশ কিছু স্কেচ করেন । এগুলো তাদেরই একটা অংশ ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


জয়নুলের আর্টে বেদুইন ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ করুণ অমানবিক সব দৃশ্য জয়নুল আবেদীন তাঁর তুলির নিখুঁত টানে জীবন্ত করে তুলে ধরেছেন । গা শিউরে ওঠা সব দৃশ্য এগুলি ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)


তারিখ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টাস্ক ১৭৯ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : eca86bf39127e5217acc4b61f36c501b0df871948a5db2b2582db5720f40ff28

টাস্ক ১৭৯ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা দেখছি কিছুই বাদ দেন নাই, বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন হি হি হি। তবে হ্যা, জয়নুল আবেদিনের ফটোগ্রাফিগুলো দেখলে দারুণ একটা অনুভূতি তৈরী হয়, বেশ দক্ষতা ছিলো উনার হাতে। ধন্যবাদ

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বাংলায় ৪৩ এর যে মন্বন্তর দেখায় দিয়েছিল তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল। না খেতে পেরে ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু! এখনকার সময় এসে আমরা এমন দৃশ্য কখনো কল্পনাতেও ভাবতে পারবো না। এসব দুর্ভিক্ষের চিত্র বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন তার অসামান্য আর্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন। দুর্ভিক্ষের এইসব আর্ট গুলো দেখলেও গা শিউরে উঠছে, কতটা ভয়ংকর ছিল সেই পরিস্থিতি।

শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের চিত্রকর্ম আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। প্রতিটি ছবি বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরছে। তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ করুণ ছবিগুলো দেখলে সত্যিই কলিজা কেঁপে ওঠে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।

অবশেষে নিচের আর্টগুলো শেষ হয়েছে। প্রতিটি আর্ট গুলোই সুন্দর। বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের আর্টগুলোতে দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ফুটে উঠেছে।বেদেনি ছবিটা বেশ সুন্দর। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

দাদা মিউজিয়ামের নীচের তলার আর্ট গ্যালারীর সমগ্র আর্টের ফোটোগ্রাফি শেয়ার যদি শেষ হয়ে যায়। তাহলে আমরা আগামীকাল থেকে দ্বিতীয় তলার ফটোগ্রাফি দেখতে পাবো। আর জয়নুল আবেদীনের প্রত্যেকটা আর্টই ভাল লাগে। অর্থবহ আর্ট করেছেন। তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের আর্ট দেখলে গা শিউরে উঠে। ধন্যবাদ দাদা।

@tipu curate 8

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের পঞ্চম পর্বটিও অনেক ভালো লেগেছে দাদা।নিচের তলার আর্ট গ্যালারিতে প্রতিটি ফটোগ্রাফি সুন্দর করেছেন দাদা।বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদীন এর বিখ্যাত চিত্রকর্মের বেশিরভাগই ময়মনসিংহ জাদুঘরে রয়েছে এটা একদম ঠিক বলেছেন দাদা।আপনি ইন্ডিয়া থেকেও বাংলাদেশের অনেক কিছুই জানেন,এজন্য অনেক ভালো লাগে 🥰🥰।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

আর্ট গ্যালারীর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ ফেরাতে পারছিনা। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। বেদে সম্প্রদায়ের প্রতিচ্ছবি এত সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আর দুর্ভিক্ষের প্রতিচ্ছবি দেখে হৃদয় কেপে উঠলো। দারুণ সব আর্টের ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলেন এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

প্রায় ১০টি ফটোগ্রাফি দিয়ে আপনি বাংলাদেশের জাতীয় যাদু ঘরের নীচতলার ফটাগ্রাফি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আজ বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত শিল্পীর আঙ্কন করার কথা মনে হয়ে গেল। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।

শ্রদ্ধেয় দাদা, আশা করি ভালো আছেন? আমাদের দেশের জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের আজকের পর্ব দেখে ভালো লাগলো। যদি আমি এই আর্ট গুলো অনেকবার দেখেছি। আপনাকে আলোচিত্রগুলো ভালো হইছে। আসলে শ্রদ্ধেয় দাদা জয়নুল আবেদীনের আঁকা তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ দৃশ্যের আর্ট দেখে এখনো হৃদয় কেঁপে উঠে। আর্টের মাধ্যমে বাস্তব দৃশ্য তুলে ধরেছেন। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন দাদা ।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন বাংলাদেশের একজন মহান শিল্পি কিন্তু আমরা খুব কম মানুষই তার কাজের সঙ্গে পরিচিত। হাতে গোনা কয়েকটি বিখ্যাত ছবি বাদে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই এই কৃতি শিল্পির শিল্প কর্ম সম্পর্কে জানেনা। ধন্যবাদ দাদা ছবিগুলো দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বাংলায় যে ৪৩ এর মন্বন্তর দেখা দিয়েছিল তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল। খেতে না পেরে ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীনের সেই বিখ্যাত এবং মর্মান্তিক ছবিগুলোর কথা শুনেছিলাম। কিছু কিছু বইয়ের পাতায় পড়েছি তবে তোমার মাধ্যমে আজ অনেক কিছু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। কলকাতা মিউজিয়াম নিয়ে লেখা তোমার অনেকগুলা পোস্ট আমি পড়েছিলাম, বেশ ভালো লেগেছিল।

আমি ভাবছি এতো নিখুঁত আর্ট হয় কি করে! জয়নুল আবেদীন স্যারের আর্টগুলো তারই প্রমাণ! দূর্ভিক্ষের ভয়াবহতা দেখে আমারি গা শিউরে উঠলো! কতটা নিদারুণ দিন কেটেছে তাদের! না খেয়ে মারা গেছে কতশত মানুষ। জয়নুল আবেদীন স্যার আমাদের ময়মনসিংহ জেলার গর্ব বলা চলে! এখনও যাওয়া হয়নি ময়মনসিংহ এর জয়নুল আবেদীনের আর্ট সংগ্রহশালায়। আপনাদের মাধ্যমে বেশ কিছু আর্ট দেখতে পেলাম দাদা 🌼