দীপাবলি - আলোর উৎসব : পর্ব ০৪

in hive-129948 •  11 months ago 

দীপাবলির সন্ধ্যায় আমাদের বাজি পোড়ানো মোট ৩ টে রাউন্ডে কমপ্লিট হয়েছিল । প্রথম রাউন্ডে শুধু একভাৱে আতশবাজি আর তুবড়ি জ্বালানো হয়েছিল । দ্বিতীয় রাউন্ডে আতশবাজি আর তুবড়ি কম পোড়ানো হয়েছিল, কিন্তু, প্রচুর পরিমাণে ফুলঝুরি, রংমশাল, ঘটবাজি, চরকি আর তারাবাজি পোড়ানো হয় । তবে, দ্বিতীয় রাউন্ডে সব চাইতে বেশি পোড়ানো হয়েছিল ঘটবাজি আর চরকি । তৃতীয় রাউন্ড ছিল শুধুমাত্র রংমশাল, ফুলঝুরি আর তারাবাজি পোড়ানোর রাউন্ড । এ রাউন্ডে খুব অল্প পরিমাণে তুবড়ি জ্বালানো হয়েছিল ।

তিনটে রাউন্ড মিলে মোট দেড় ঘন্টা যাবৎ আমরা বাজি পুড়িয়েছিলাম । তবে, এবছর বাজি খুবই কম কেনা হয়েছিল । প্রত্যেক বছর আমরা দীপাবলি-কালীপুজোর সময় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এক-দেড় ঘন্টা করে বাজি পোড়াই । এবারই শুধু তার ব্যতিক্রম হলো । তবে, তাতে আনন্দের কোনো কমতি ছিল না ।

আমরা প্রতি বছর দীপাবলির সপ্তাহ খানেক আগে থেকে নীলগঞ্জের বাজির হাটে বাজি কিনতে যাই । এই বাজির হাটটা বেশ বড়ো । দীপাবলির সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে হাট বসে আর চলে কালী পুজোর রাত অব্দি । নীলগঞ্জের হাট মোট দুটো একসাথে বসে । একটা পুরোনো হাট, আরেকটা তার থেকে দুই কিলোমিটার দূরে নতুন হাট । এই হাট বসে গ্রামের রাস্তার দু'ধারে প্রায় মাইল খানেক লম্বা । হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যাথা হয়ে যায় । কত শত নাম না জানা হরেক রকমের বাজি বিক্রি হয় হাটে তার কোনো লেখা-জোকা নেই । প্রতিদিন কোটি টাকার উপরে বাজি বিক্রি হয় এই নীলগঞ্জের বাজির হাটে ।

এবছর প্রশাসন থেকে প্রচুর চাপ থাকার কারণে নীলগঞ্জের বাজির হাট বন্ধ ছিল । এমনিতে ভারতে বাজি বানানো, বিক্রি করা পোড়ানো নিষিদ্ধ নয় । কিন্তু, এই বছর নীলগঞ্জের এক বড় বাজি কারখানা বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়ার কারণে নীলগঞ্জের বাজির হাট বসার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন । অভিযোগ বাজির আড়ালে বোমা তৈরী করতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটে ।


তারাবাজি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


লাল রংমশাল আর তারাবাজি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সবুজ রংমশাল আর ফুলঝুরি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


নীল রংমশাল আর ফুলঝুরি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ফুলঝুরি ও তারাবাজি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

টাস্ক ৪৫৭ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : c596981f21cc2074b37e01a629e6ae7b5e2299d509ddb0f52959853b643c3958

টাস্ক ৪৫৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকে দু'টি রাজকন্যার NFT আর্ট শেয়ার করতে চলেছি । এই আর্ট দু'টি হাই রেসল্যুশনের । ২৫ থেকে ৫০ মেগাবাইট সাইজের এক একটি আর্ট । নানা রকমের অলঙ্কারে সুসজ্জিত এক রাজকন্যার আর্ট এটি । চোখ, মুখ, নাক, ওষ্ঠ, কপোল বেশ ডিটেইলড ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ।


Princess


Screenshot 2024-01-03 001548.png


Screenshot 2024-01-03 001634.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

নীলগঞ্জ এর বাজির হাত যে এতটাই বড় যে মাইল খানেক সুনেইত অবাক লাগছে।এত বড় হাট তাতে তো বাজির ভিন্নতা থাকবেনা এটা কেমনে।সময় এইবার কম পাওয়া সত্ত্বেও আপনারা খুবই আনন্দ উপভোগ করেছেন।আমি চাইবো আপনাদের জীবন সব সময় এরকম আনন্দ ময় থাকুক।আর বাজির আড়ালে অসাধু ব্যবসায়ীরাই কেবল বোমা বানানোর পরিকল্পনা করবেই।কিন্তু পুলিশদের ও চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়,তাইতো হাট বসতে দেয়নি তারাও।সব মিলিয়ে দাদা আপনার আজকের পোস্টটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

বাবাগো কত রকমের বাজি যে আছে যার কিছুই চোখে দেখি নি। নীল গঞ্জের বাজির হাট তো বিশাল বড়।প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয় শুনে সত্যি অবাক হয়েছি।প্রশাসনের ধারণা ঠিক হলেও হতে পারে বাজির সঙ্গে বোমাও বানাতে পারে। তা না হলে শুধু বাজিতেই অত টাকা বিক্রি অবাক করার মতই।তবে যাই হোক বেশ চমৎকার সব বাজি পুড়িয়েছেন আপনারা।দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।

Greetings dear hope you are well and enjoy happy life.
I have a question
If I delegate 14000 steem power to upvu then how much vote I can get in return daily.

বাজি অতো বেশি চিনি না।তবে এই তারাবাজিটাই যা একটু চিনি।তাও বোধহয় খুব ছোটবেলায় পুড়িয়েছিলাম।তবে আমার মতে মনে হয়,ধীরে ধীরে বিপদজনক বাজি গুলোর সাপ্লাই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।আর যে বাজিতে তেমন বিপদ নেই সেসব নিয়েই আনন্দ করা উচিত।আপনারা যে বেশ আনন্দ করেছেন তা ছবি দেখলেই বোঝা যায়।

বাজি পোড়ানো মোট তিনটে রাউন্ডে বেশ ভালোই বাজি পুড়িয়েছেন দাদা ৷ যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বাজি পোড়ানো একটু ব্যতিক্রম হয়েছে , ছোট দাদার বিয়ের জন্য ব্যস্ত ছিলেন ৷ তবুও যথেষ্ট আনন্দ করেছেন যেনে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ তবে নীলগঞ্জের বাজির হাটে এতো এতো বাজি বিক্রি হয় প্রতিদিন বিষয়টা বেশ অবাক করার মতো ৷ নিশ্চয়ই অনেক বড় হাট লাগে দীপাবলির আগে থেকেই ৷ যাই হোক , অনেক ভালো লাগলো আপনাদের বাজি পোড়ানোর সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য ৷

Posted using SteemPro Mobile

Tarabazi porate amro onk valo lage, dhonnobad dada apnake apnr sritigulo and sundor sundor photo share korer jnno

দীপাবলীর বাজির উৎসবটি আমার কাছে
ছোটবেলা থেকেই বেশ ভালো লাগে। চার দিকটা উজ্জ্বল আলো দেখলে মনটাও আনন্দে ভরে যায়।বাজি পুরানো তিনটি রাউন্ডে কমপ্লিট করেছেন। প্রতিদিন কোটি টাকার ওপরে বাজি বিক্রি হয় এই নীলগঞ্জের বাজিরহাটে শুনে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। আসলে অনেক বড় হাট তো তাই হয়তো বা বিক্রির পরিমাণটাও বেশি। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের বাজি পোড়ানো দেখে। অনেক ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে আনন্দ মুখর মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।

প্রতিদিন কোটি টাকার উপরে বাজি বিক্রি হয় এই নীলগঞ্জের বাজির হাটে ।

এতো টাকার বাজি বিক্রি করা হয় প্রতিদিন, ভাবতেই অবাক লাগছে। আমরা তো হাতেগোনা কয়েকটি বাজির নাম জানি। তবে এতো ধরনের যে বাজি রয়েছে সেটা আসলেই অজানা ছিলো। যাইহোক যেহেতু বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে,তাই প্রশাসন খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নীলগঞ্জের বাজির হাট বসতে না দিয়ে এবার। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনারা বেশ মজা করেছেন দাদা। তারাবাজি ফুটাতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলায় প্রচুর পরিমাণে তারাবাজি ফুটাতাম শবে বরাতের রাতে। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

amazing

বাজির আড়ালে বোমা বানাতে গিয়ে যদি বিস্ফোরণ হয়ে থাকে তাহলে সিরিয়াস বিষয়! 🥲এমন কাণ্ডের পর লোকালয়ে বাজির হাট বসতে না দেওয়াই ভালো আমার মতে।

Posted using SteemPro Mobile

দীপাবলির উৎসব যদিও আপনি আগের বছরের মতো পালন করতে পারেননি। কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে যতটুকু দেখতে পারছি অনেক আনন্দ করেছেন আপনারা সবাই মিলে। বর্তমান সময় আসলে প্রশাসন অনেক কড়াকড়ি অবস্থায় আছে। যাক শেষমেষ সবাইকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত কাটালেন।

আপনারা যেটাকে ফুলঝুড়ি বলেন আমরা সেটাকে তারাবাজি বলি। এটা ছোটবেলায় অনেক পুড়িয়েছি। আমাদের দেশে অবশ্য এখন বাজি পোড়ানো অনেক কমে গিয়েছে কারণ প্রশাসন থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেয়া বাজি পোড়ানো। আপনার বাজি পোড়ানোর অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনাদের দীপাবলির উৎসব দেখে আমার মনে হচ্ছে আমিও যদি আপনাদের সাথে গিয়ে আনন্দ করতে পারতাম।আসলে এতো এতো বাজির নাম আমি আগে কখনও শুনিনি।তবে ছেলেবেলা তারাবাতি অনেক পুরিয়েছি।কিন্তু ছেলেবেলা তারাবাতি জালালে মনে হতো শেষ অংশটুকু আমার হাতে এসে লাগবে।তাই প্রায়ই সময় আমি শেষ হওয়ার আগেই ফেলে দিতাম।আপনারা কিন্তু সবাই মিলে দারুন উপভোগ করলেন।

这个烟花好看,感谢你的分享让我们看到烟花

Please Follow Me...

ফুলঝুরি, রংমশাল, ঘটবাজি, চরকি আর তারাবাজি এত ধনের বাজির নাম আজকে প্রথম পড়লাম। দাদা যদি সামনের বছর নীলগঞ্জের বাজির হাটে যান,তাহলে সেখানের ফটোগ্রাফি দেখার আগ্রহ রয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

আমার এখনো খুব ভালোভাবে মনে আছে দাদা, গত বছর ছোট দাদা ও দিদিভাই মিলে নীলগঞ্জের হাট থেকে প্রায় দু বস্তার মত বাজি কিনে নিয়ে এসেছিল।

এ পর্বটাও বেশ ভালোই উপভোগ করলাম, বিশেষ করে বাজি পোড়ানোর ছবিগুলো দেখে।

শুভেচ্ছা রইল 🙏

দাদা আপনাদের এইভাবে বাজি ফোটানো দেখে সত্যি আমার নিজের ও খুব ইচ্ছে করছে, ছোট বেলায় অনেক ফোটিয়েছি কিন্তু এখন 😶সেই দিন আর নেই।

দাদা দীপাবলীর আলো জ্বালানোর তৃতীয় পর্ব আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। প্রায় দেড় ঘন্টা যাবৎ তিনটি রাউন্ডে আপনারা এবার দীপাবলির বাজি উৎসব পালন করলেন। যদি এবার সবকিছুই অন্য বছরের তুলনায় কম কেনা হয়েছিল। তবুও আনন্দের দেখছি কমতি হয়নি। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে আনন্দঘন সময় গুলো শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

This is another interesting post on Diwali, festival of lights.

Although I cannot relate to these festivals because they are not conducted in my country but I am sure they are full of fun.

Thank you for sharing this episode with us Dada, we appreciate you so much

Let Love lead in all we do ❤️