কোলকাতার কালী পুজো - পর্ব ১০

in hive-129948 •  last year  (edited)

এই পুজো প্যান্ডেলটা ছিল আমাদের দ্বিতীয় রাত্রের শেষ পুজো প্যান্ডেল । এটিই ছিল এবছরের সেরা পুজো প্যান্ডেল । অসাধারণ শৈল্পিক সৌন্দর্য আর চোখ ধাধাঁনো কারুকার্য - দুইয়ে মিলে এই পুজো প্যান্ডেলটিকে বর্ষসেরা করতে পেরেছে । মধ্যমগ্রাম চৌমাথার সুভাষ ময়দানে ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত এই পুজো প্যান্ডেলের এবারকার থিম ছিল - "মেদিনীপুরের টেরাকোটার শিল্প" । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিখ্যাত মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে পুজো ,মণ্ডপটা নির্মাণ করা হয়েছে । আর পুরো মণ্ডপটাই সাজানো হয়েছে বাঁকুড়ার বিশ্ববিখ্যাত পোড়া মাটির ভাস্কর্য অর্থাৎ, টেরাকোটা দিয়ে ।

টেরেকোটার এই অনন্য কাজই এবছরে বর্ষসেরা পুজো মণ্ডপের মুকুটটি ছিনিয়ে আনতে পেরেছে । "টেরাকোটা" শব্দটি "টেরা"আর "কোটা" দু'টি শব্দ মিলে তৈরী হয়েছে । এটি মূলত একটি ল্যাটিন শব্দ । "টেরা" শব্দের অর্থ মাটি আর "কোটা" শব্দের অর্থ "পোড়ানো" । অর্থাৎ, মাটি পুড়িয়ে যেসকল মানুষের প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র থেকে শুরু করে পুতুল আর ভাস্কর্য তৈরী করা হয় সবগুলিকেই টেরাকোটা বলে । নদীর পলিকাদামাটি প্রথমে শুকিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করা হয় । এরপরে এই শুকনো মাটি গুঁড়ো গুঁড়ো করে চালুনি দিয়ে চেলে মোটা বালির দানা, কাঁকর, নুড়ি প্রভৃতি বাদ দেওয়া হয় । তারপরে এই গুঁড়ো মাটির সাথে প্রয়োজনমতো জল মিশিয়ে আঠালো করে তার সাথে খড়-কুচি বা তুষ মিশিয়ে টেরাকোটার উপযোগী মাটি প্রস্তুত কোটা হয় ।

এরপরে এই মাটি দিয়ে তৈজসপত্র,পুতুল,ভাস্কর্য প্রভৃতি নির্মাণ করা হয় । তারপরে কাঁচামাটির এই সকল ভাস্কর্য ৬-৭ দিন একটানা রোদে শুকিয়ে সব শেষে তুষ বা কাঠকয়লার আগুনে বেশ ভালো করে পুড়িয়ে নিলেই টেরাকোটার শিল্প প্রস্তুত । সাধারণ কাদামাটির ভাস্কর্য যতদিন টেঁকে টেরাকোটার ভাস্কর্য টেঁকে তার চাইতে বহুদিন বেশি । কয়েক হাজার বছর অব্দি টেঁকে । মায়া সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা, ব্যাবীলনীয় সভ্যতা, মহেঞ্জোদারো এবং হরপ্পান সভ্যতার প্রচুর টেরাকোটার শিল্প পাওয়া গিয়েছে । আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরে প্রচুর টেরাকোটার মন্দির এবং পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে কান্তজীর মন্দির হলো টেরাকোটা শিল্পের এক অনন্য নিদর্শন ।


IMG_20231114_020708.jpg

মহিষাদল রাজবাড়ীর আদলে তৈরী পুজো মণ্ডপ ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মণ্ডপ সজ্জা । লালমাটির ঘোড়ার অনুকরণে তৈরী মূর্তি, বাঁকুড়ার টেরাকোটার পুতুলের অনুকরণে তৈরী মূর্তি । মূর্তিগুলো সবই কুলা, বেতের ঝুড়ি, কাপড়, বাঁশ, বেত আর পাট দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20231114_021029.jpg

IMG_20231114_021052.jpg

পুজো প্যান্ডেলে আমাদের সেলফি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পুজো মণ্ডপের বিভিন্ন অংশের আলাদা আলাদা ফোটোগ্রাফি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সমগ্র পুজো প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল শিল্পের নিদর্শন হিসেবে অসংখ্য অপূর্ব রং-বেরঙের পুতুল ও ভাস্কর্য দ্বারা ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মূল গর্ভগৃহে দেবীদর্শনের নিমিত্ত প্রবেশ করছি আমরা ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দেবী মূর্তি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মণ্ডপ সজ্জা । লালমাটির ঘোড়ার অনুকরণে তৈরী মূর্তি, বাঁকুড়ার টেরাকোটার পুতুলের অনুকরণে তৈরী মূর্তি । মূর্তিগুলো সবই কুলা, বেতের ঝুড়ি, কাপড়, বাঁশ, বেত আর পাট দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৩৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20231114_021029.jpg

IMG_20231114_021052.jpg

পুজো প্যান্ডেলে আমাদের সেলফি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পুজো মণ্ডপের বিভিন্ন অংশের আলাদা আলাদা ফোটোগ্রাফি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সমগ্র পুজো প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল শিল্পের নিদর্শন হিসেবে অসংখ্য অপূর্ব রং-বেরঙের পুতুল ও ভাস্কর্য দ্বারা ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মূল গর্ভগৃহে দেবীদর্শনের নিমিত্ত প্রবেশ করছি আমরা ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দেবী মূর্তি ।
তারিখ : ১৩ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : রাত ৩ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

টাস্ক ৫০২ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : ddd2dd68df511a2bca1c34323bc75dab2e65d616e62185b756feeb0c42c81eaa

টাস্ক ৫০২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা কলিকাতা পুজো পর্বের যে কয়টি পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রতিটি পর্বের কোন না কোন নাম ছিল। যেমন আজকের পর্বটির পুজোর থিম ছিল মেদিনীপুরের টেরাকোটার শিল্প। আর প্রতিটি পুজোর থিম নিজের আপনি বেশ সুন্দর আলোচনাও করেছেন। ধন্যবাদ দাদা আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে কলিকাতা পুজো পর্বের প্রতিটি পর্ব তুলে ধরার জন্য।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post was upvoted by @upex upvoting Services with 59.96%. To learn more Join our Discord community here.

image

রিক্রিয়েশন ক্লাব কালী পূজা উপলক্ষে একেবারে চোখ ধাঁধানো আয়োজন করেছে দেখছি। এতো চমৎকার আয়োজন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। মেদিনীপুরের টেরাকোটার শিল্পতারা থিম অনুযায়ী তাদের আয়োজন এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। এইবছর তারা বর্ষসেরা পূজা মন্ডপের মুকুটটি ছিনিয়ে আনতে পেরেছে,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। মহিষাদল রাজবাড়ির আদলে তৈরি পূজা মন্ডপটি দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। অনেকক্ষণ ধরে তাকিয়ে পূজা মন্ডপের ফটোগ্রাফি দেখলাম। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

The word "Terracotta" is a combination of two words "Terra" and "Kota". It is originally a Latin word. The word "terra" means earth and the word "kota" means "to burn".

I have learnt this from your post today Dada, I now understand what terracotta is.

In overall, I enjoyed going through your post today, thanks for sharing with us 😊❤️❤️❤️

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাহ্ পূজা মন্ডপ টি অসাধারণ লাগছে দেখতে দাদা।যেহেতু পোড়ামাটির ভাস্কর্য ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে তাই এর সৌন্দর্য এতটা ফুটে উঠেছে।টেরাকোটা সম্পর্কে বেশ তথ্য জানলাম দাদা।আলোকসজ্জার সাথে পোড়ামাটির ভাস্কর্য জাস্ট চমৎকার।পূজা প্যান্ডেল থেকে তোলা ছবিতে সুন্দর লাগছে আপনাদের দুজনকে ।

Posted using SteemPro Mobile

বাহ অনেক সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করলেন কালী পূজার। সত্যি দাদা দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এত জাঁকজমক পরিবেশ। কালী পূজার পরিবেশের দৃশ্য শেয়ার করলেন আপনি। দেখে তো বোঝা যাচ্ছে বর্ষ সেরা হওয়ারই কথা। এই প্যান্ডেল অনেক সুন্দর করে জাঁকজমক করে সাজানো হয়েছে। যেহেতু মণ্ডপটাই বাঁকুড়ার বিশ্ব বিখ্যাত পোড়ামাটির ভাস্কর্য বা তেরাকোটার দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনার আজকের বিস্তারিত লেখা এবং ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে।

এটা মানতেই হবে ভাই, এই পূজা প্যান্ডেলের ডেকোরেশন ও কারুকার্য, বর্ষসেরা হওয়ার অবশ্যই দাবিদার রাখে। টেরাকোটার বিস্তারিত ব্যাপারটা জেনে ভালো লাগলো, তারথেকেও বেশি অবাক হয়েছি, কান্তজীর মন্দির যে টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন এটা জেনে।

বেশ ভালই উপভোগ করলাম ব্লগটি ভাই।

ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাবের এই প্যান্ডেলটি অপূর্ব সুন্দর।পোড়ামাটির এই নিদর্শনগুলি আসলেই পুরোনো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।শিল্পীদের অসাধারণ কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হলাম, ধন্যবাদ দাদা।

ইয়ং রিক্রিয়েশন ক্লাব বর্ষসেরা পুরস্কার পাওয়ার মতোই প্যান্ডেলটি করেছিল এইবার। আমি মনে করি যে, এই বছর বারাসাত কিংবা মধ্যমগ্রামের ভিতরে সব থেকে ভালো পুজো প্যান্ডেল তারাই করেছিল । বিশেষ করে টেরাকোটার বা পোড়ামাটির বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে যেভাবে সাজিয়েছিল পুরো প্যান্ডেল, সেটা একেবারেই দেখার মত ছিল। সব থেকে ভালো লাগলো টেরাকোটা সম্পর্কে তুমি যত সুন্দর করে বর্ণনা দিলে, ওইগুলো পড়ে। এতটা তথ্য আমার আগে জানা ছিল না। তাছাড়া তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। আমরা তো প্রচন্ড ভিড়ের কারণে এই প্যান্ডেলে গিয়ে ভালো করে দেখতেও পারিনি পুজোর সময়ে।