গল্প : "ধূপছায়া আঁধারে পোড়ে যত মন"steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

_a5767c81-7ce3-44a8-947d-330c43424b55.jfif
Image Created with AI, powered by DALL·E (Microsoft Bing)


মেয়েটার সাথে প্রথম পরিচয়েই তাকে পছন্দ করে ফেলে রিয়ান । জীবনের আঠাশটা বসন্ত পার করে এসেছে সে । অজস্র মেয়ের সাথে আলাপ-পরিচয় হয়েছে, বন্ধুত্ব হয়েছে, কিন্তু কেউই তো তার মনে ছাপ ফেলতে পারেনি । প্রথম যৌবনের উন্মাদনায় সে নিজেকে তলিয়ে যেতে দেয়নি ভালোবাসার গভীরে, কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে চায়নি সে । ক্যারিয়ার ছাড়া আর কোনোদিকে তাকানোর সময় করে উঠতে পারেনি সে কখনো । তবুও তার শত নিস্পৃহতার মাঝেও কারো কারো প্রেমের ইশারা পেয়েছে সে । গোলাপগুচ্ছ, কবিতার বই বা কখনো সখনো কিছু প্রেমপত্র যে তার জীবনে আসেনি তা বলা যাবে না মোটেও । এসেছিলো, হ্যাঁ, বেশ কয়েকটি, কিন্তু উপেক্ষা করেছে সে চরমভাবে ।

তাই তার জীবনে প্রেম আসেনি কখনো । আঠাশটা বছর, অনেকটাই দীর্ঘ সময় । এই দীর্ঘ সময় পরে হঠাৎ তার লৌহকঠিন হৃদয় যেন কিসের অভিঘাতে দুলে উঠলো । প্রথম দেখাতেই সে মেয়েটিকে অসম্ভব পছন্দ করে ফেলেছে । অথচ, মেয়েটির চেহারায় তেমন কোনো বিশেষত্ব নেই, একদমই সাদামাঠা, আর পাঁচটি সাধারণ মেয়ের মতোই সে । শ্যামলা রং, মুখশ্রী সাধারণ, হালকা গড়নের মাঝারি উচ্চতার। কিন্তু, ওই অতি সাধারণ চেহারার মধ্যে সে খুঁজে পেয়েছে এক অমোঘ আকর্ষণ ।

উজ্জ্বল ঝকঝকে একজোড়া বুদ্ধিদীপ্ত চোখের আকর্ষণে আর স্মার্ট কথাবার্তায় আষ্টেপৃষ্টে বাঁধা পড়েছে আজ রিয়ান । রিয়ান, তার নামের অর্থ রাজা। অথচ সেই রাজার আজ ভিখিরির দশা হয়েছে, সারাটাক্ষণ মেয়েটার কথা ভাবতে ভাবতে । মেয়েটির নাম নিরুপমা, ডাক নাম নিরু । নিরুর সাথে আলাপের পরে একটি রাতও ঠিকমতো ঘুমোতে পারেনি সে । একেই কি প্রেম বলে ? তাহলে তো প্রেম মানেই শুধুই যন্ত্রণা । প্রেমে সুখ কোথায় ?

অথচ, প্রেম নামক এই আগুনে জ্বলতে পারার মধ্যেও একটা অদ্ভুত তৃপ্তি আছে, একটুকরো সুখ আছে । রিয়ান ভালোবাসে নিরুকে । কিন্তু, সে জানে এই ভালোবাসা আজীবন একপাক্ষিকই থেকে যাবে । নিরু কোনোদিনও তাকে প্রেমিক ভাববে না । সে তাকে বন্ধু ভাবে, ভালোবাসে, কিন্তু প্রেমিক হিসেবে তাকে চায় না । অথচ, রিয়ান নিরুকে ছাড়া পৃথিবীর আর কোনো মেয়েকে প্রেমিকা ভাবতে পারে না । অপ্রকাশিত প্রেম রাতের আঁধারে ঝরে পড়া এক গুচ্ছ শিউলি ফুলের মতো । সাদা, নিষ্কলুষ, পবিত্র প্রেম; কিন্তু, ঝরে যায় নিঃশব্দে, সবার অগোচরে ।

এক এক দিন রাতে তার ঘুম ভেঙে যায় এক বুক চাপা কষ্ট আর অভিমান নিয়ে । এতো তাকে ভালোবাসে, অথচ তাকে বলার অধিকার নেই তার । মন তার পুড়ছে অথচ কেউই টের পাবে না সে পোড়ার গন্ধ । ইশারা সে বলতে পারে না, ইঙ্গিতে সে বোঝাতে পারে না সে তাকে কতটা ভালোবাসে । এটা ভালোবাসা, প্রেম নয় । সে নিরুকে ভালোবাসে, খুব বেশি ভালোবাসে । কিন্তু প্রেম নয় ।

একদিন মরিয়া হয়ে নিরুকে একটা কবিতার বই গিফট করে । নিরু খুব উৎসাহ আর উচ্ছ্বাসের সাথেই বইটি গ্রহণ করে । বন্ধুত্বের উপহার ভাবে সে এটাকে । একজন দিলো প্রেমের উপহার, আর যে নিলো সে সেটা গ্রহণ করলো বন্ধুত্বের উপহার হিসেবে । সেই কবিতার বইয়ের শেষ সাদা শূন্য পৃষ্ঠায় একটা কবিতা লিখে দিয়েছিলো রিয়ান । কবিতাটি নিরুর উদ্দেশ্যে ।

"আমার সে দিন ভিজে গেছে
শ্রাবণ মেঘের ধারায় ।
আমার সে দিন ভেসে গেছে
বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় ।
আমার সে দিন মরে গেছে
তোমার অপেক্ষায় ।
আমার সে দিন ফুরিয়ে এসেছে,
হয়নি তো বলা - ভালোবাসি তোমায়।"

সারারাত একটা দারুন উত্তেজনায় ছটফট করে কাটালো রিয়ান । কবিতাটি কি নিরু পড়েছে ! তাহলে তো নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝে গিয়েছে যে রিয়ান ভালোবাসে তাকে ।

বহুবার মোবাইল বের করে হোয়াটসআপ এ চোখ রাখে সে, মেসেঞ্জারে বারে বারে চেক করে দেখে নিরুর প্রতিক্রিয়া কি ? অবশেষে শেষ রাতে একটা মেসেজ ঢুকলো তার মেসেঞ্জারে । সেখানে রয়েছে নিরুর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া, তার লেখা কবিতাটি ঘিরেই । কিন্তু, বহু প্রত্যাশিত সেই লেখাটি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পেলো না সে । তার কবিতায় এত স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে নিরুর পড়া মাত্রই বুঝতে পারার কথা যে তাকে খুব গভীরভাবে ভালোবাসে রিয়ান । কবিতার শেষ দু'লাইনে প্রায় স্পষ্ট করেই রিয়ান তার স্বপ্নের নারী কে সেটা ইঙ্গিত করেছে । না বোঝার তো কিছুই নেই ।

সে বুঝতে পারলো যে নিরু সব বুঝেও না বোঝার ভান করছে । নিরু তার কবিতা ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে, তার কাব্যপ্রতিভার অকুন্ঠ প্রশংসা করেছে । শুধু প্রতিক্রিয়া দেখায়নি তার প্রেমের ইশারায় । সে কবিতা গ্রহণ করেছে, কিন্তু গ্রহণ করেনি কবিকে । সে খুব স্পষ্ট করেই আজ বুঝিয়ে দিয়েছে রিয়ানকে যে সে কোনোদিনও রিয়ানের হতে চায় না ।

খোলা জানালা দিয়ে বাইরের ধূসর আঁধারের দিকে তাকালো রিয়ান । শেষরাতের অস্তায়মান চাঁদের আলোয় জমাট বাঁধা সেই আঁধার আর নেই, অনেকটাই তরল, কেমন যেনো ধূপছায়া আঁধার শেষরাত্রিতে । চাঁদের আলোকে অনেকটা পিদিমের আলোর মতো লাগছে আজ । আবছায়া আলো, অথচ কি স্নিগ্ধ, কি নরম তার আলো !

রিয়ান টের পেলো তার মন আবারো পুড়ছে । কিন্তু, কোনো যন্ত্রণা তো নেই । অথচ আজকে তার জীবনের সব চাইতে কষ্টের দিন । আজ তার ভালোবাসা হেরে গেলো, ব্যর্থ হলো । তার মন পুড়ছে ধূপের মতো একটু একটু করে । তারপরেও সে কেন কোনো যন্ত্রণা টের পাচ্ছে না ?

অবশেষে সে বুঝতে পারলো । এতদিন সে যন্ত্রণা পেতো তার ভালোবাসার কথা মনের মানুষটিকে বলতে না পেরে । আজ বলতে পেরেছে । সে তো আসলে কোনো কিছু পাওয়ার আশায় ভালোবাসেনি নিরুকে । এমনকি কোনোদিনও স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি যে নিরু তাকে ভালোবাসবে । তাই, আজ তার আশা ভঙ্গও হলেও সেই অর্থে তেমন কোনো যন্ত্রনা সে টের পাচ্ছে না ।

জোৎস্নায় ঘর ভেসে যাচ্ছে । মন পুড়ছে ধূপের মতো, নিঃশব্দে একটু একটু করে । যন্ত্রণাহীন এই দহনে রিয়ান হঠাৎ আবিষ্কার করলো তার ভালোবাসা ব্যর্থ হয়নি । ব্যর্থ হয়েছে নিরু, তার ভালোবাসা গ্রহণ করতে । সে তাই আজীবন তার ভালোবাসা দিয়ে মেয়েটিকে ঘিরে রাখবে পরম যত্নে । আর প্রতিরাতে স্বপ্নের মধ্যে তো নিরুর সাথে তার দেখা হয়ই । সেখানে নিরু তার জন্য পাগল । স্বপ্নের নিরু আর বাস্তবের নিরুর মধ্যে এক আকাশ তফাৎ । স্বপ্নের নিরু তাকে পাগলের মতো ভালোবাসে ।

এই স্বপ্ন রিয়ানকে ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে একটু একটু করে । স্বপ্নের মাঝে বিলীন হওয়ার এক সুতীব্র আহব্বানে আঁকড়ে ধরছে তাকে রোজ রাতে । ইশারা করে নিরু প্রতিরাতে তাকে ঘুমের ঘোরে, স্বপ্নের মাঝে । সে ইশারায় সাড়া না দিয়ে থাকা যায় না । সে আসে রিয়ানের কাছে, প্রতি রাতে সে আসে, খাঁ খাঁ করা বৈশাখের নির্জন দুপুরে, বর্ষণ সিক্ত কোনো এক ঝুম বরষার শ্রাবণ সন্ধ্যায়, সে আসে, বারে বারে সে আসে । রিয়ানের হৃদয় কুটিরে কাল বৈশাখীর ঝোড়ো হাওয়ার সাথে সে আসে, বর্ষণমুখর রাতে সে আসে বৃষ্টির ছাঁটের সাথে ভেজা হাওয়ায় মিশে ।

কল্পনার মোড়কে রিয়ান আজ তার বাস্তব সত্ত্বা হারিয়ে ফেলেছে বাস্তবতার মোড়কে সাজানো কল্পনার রাজ্যে ।

ধূপছায়া আঁধারে পোড়ে যত মন
পিদিমের আলোয় মাখা অলীক স্বপন ।


✡ ধন্যবাদ ✡



পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)


তারিখ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩

টাস্ক ২২৬ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : c3f44d4c4590b1bf800ce7214cae069f29f172747431c7c3e2d9d052a0c7fd6d

টাস্ক ২২৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

একদিন একটি ছোট্ট গ্রামের একজন মিঠু নামের বাচ্চা ছিল। মিঠু খেলাধুলার বেশ ভালো চাকর। তার বাবা-মা বাচ্চার কথা শুনে খুশি হয়। মিঠু গ্রামের সবাইর পরিচয়। সবাই মিঠুকে ভালোবাসে এবং মিঠুও সবাইর সঙ্গে খুশি হয়।

একদিন সকালে মিঠু ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, আবহাওয়া সান্ন্য এবং সবুজ। মিঠু সঙ্গের বন্ধুরা খেলছে না, বরং সবাই তাদের বাড়িতে বসে রয়েছে। মিঠু বিচ্ছুত হয়ে দিনের প্রথম কাজ করার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। মিঠুর মন ভালো না হলেও তিনি নিজেকে বাধ্য করে পাল্টে চলেন।

মিঠু গ্রামের বাইরের দিকে চলে গেলেন। সেখানে মিঠু দেখলেন একটি গাছের নিচে একজন বৃদ্ধ ব্যাক্তি বসে আছেন। মিঠু পরপরই সেই গাছের নিচে সবচেয়ে বড় পাতার মধ্যে দেখেন, সেখানে সেই বৃদ্ধ ব্যাক্তির এক

प्यार का मतलब दर्द होता है इसलिए नहीं कि यह उसका कार्य है बल्कि इसलिए कि जिन लोगों से आप प्यार करते हैं वे आपकी इस तरह से चिंता करते हैं कि आप दुखों को समाप्त कर देते हैं क्योंकि वे अपने लक्ष्यों को प्राप्त नहीं करते हैं। एक वह निराशा में डूबा निस्संदेह नीरू था जिसने अपने डर का सामना नहीं किया और भावना के सामने आत्मसमर्पण कर दिया बहुत अच्छी कहानी बधाई और एक हजार आशीर्वाद
#miwcc

রিয়ানের একতরফা ভালোবাসার গল্পটি অনেক ভালো লেগেছে দাদা।তার ২৮ বছরের জীবনে নীরুই ছিল প্রথম ভালোবাসা।এখানে নিরুই ব্যর্থ বলা যায়,রিয়ান নয়।কারণ রিয়ান প্রথমে বলতে পারছিলনা ভালোবাসার কথা।কিন্তু কবিতার শেষে বলেই দিয়েছিল তার ভালোবাসার কথা। নিরু বুঝেও বুঝতে চাইল না।অনেক ভালো লিখেছেন দাদা গল্পটি,পড়ে মুগ্ধ হলাম ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনার থেকে এধরনের পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

এক কথায় অসাধারণ গল্পটি। অনেকটা ভেতর থেকে অনুভব করার মতো গল্প এটি। আমার মতে রিয়ান এখানে হেরে যায়নি বরং তার সত্যিকারের ভালবাসা এখানে জয় লাভ করেছে। নিরু ব্যার্থ হয়েছে তার ভালোবাসার অমিয় সুধা পান করতে।

রিয়ানের ব্যাপারটার জন্য যদিও প্রথম দিকে খারাপ লাগছিল, তবে শেষের দিকে একপর্যায়ে সে তার মন কে যে বুঝাতে পেরেছে, এটাই তো অনেক কিছু। কারণ তার ভালোবাসা আমি মনেকরি, কল্পনাতেই মানানসই। হয়তো বাস্তবে রুপ পেলে ব্যাপারটা আরও গুলিয়ে যেত। তবে কিছু ভালোলাগা বা ভালোবাসা যদি স্বপ্নতেই স্বর্গীয় অনুভূতি এনে দেয়, তাহলে রিয়ানের ক্ষেত্রে সে তার অবশ্যই ভালোবাসায় বিজয়ী হয়েছে।

বেশ ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে ভাই।

"আমার সে দিন ভিজে গেছে
শ্রাবণ মেঘের ধারায় ।
আমার সে দিন ভেসে গেছে
বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় ।
আমার সে দিন মরে গেছে
তোমার অপেক্ষায় ।
আমার সে দিন ফুরিয়ে এসেছে,
হয়নি তো বলা - ভালোবাসি তোমায়।"

নিরুর জন্য লিখা কবিতাটি দারুন ছিল। হয়তো নীরু ব্যর্থ হয়েছে ভালোবাসা গ্রহণ করতে। "জোৎস্নায় ঘর ভেসে যায় আর মন পুড়ে ধূপের মতো নিঃশব্দে একটু একটু করে" দারুন লিখেছেন দাদা। আপনার লেখা গল্পটি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। হয়তো এভাবে ভালোবাসা গুলো বিলীন হয়ে যায়। সত্যি দাদা আপনার লেখা গল্পটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।

একেই কি প্রেম বলে ? তাহলে তো প্রেম মানেই শুধুই যন্ত্রণা । প্রেমে সুখ কোথায় ?

প্রেম তো এমনই কখনো সুখের রাত যে বসবাসরত করায় ,আবার কখনো আর দুরহ যন্ত্রণার ভিতরে ফেলে দেয়৷ যে রিয়ান দীর্ঘ আঠাশ বছর নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিল৷ সে আজ প্রেম ভালোবাসা নিয়ে চিন্তিত এক দেখার পলকে নিরুপমা কে ভালোবেসে ফেলে ৷ কিন্তু শেষমেষ এমন পবিত্র ভালোবাসা আজ সফলতা পেল না ৷
তবে গল্পটির প্রতি টি লাইন ছিল অসাধারণ ৷ অনেকদিন পর আপনার পোস্টে এমন গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো৷

দারুন একটি গল্প লিখেছেন দাদা সত্যি গল্পটি অসম্ভব সুন্দর ছিল। সত্যিই প্রেম মানে যন্ত্রনা।রিয়ান এর একতরফা ভালোবাসা হলেও সে গভীরভাবে নিরুকে ভালোবেসেছে ,তাই সে ভালবাসার দিক থেকে জিতে গেছে , সেটা নিরু গ্রহণ না করলেও সে স্বার্থক। নিরুরই পরাজয় ঘটেছে, এত ভালবাসা সে গ্রহণ করতে পারেনি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

কিছু কিছু গল্প দুঃখ ছুঁতে পারে,এই গল্পটাও ঠিক তেমনটাই দাদা।এতো মাস পর গল্প লিখেছেন পড়ে খুব ভালো লাগলো।আসলে এই ভালোবাসা বোঝা টাও বোধহয় বিশাল বড় ঝামেলার কাজ,নাহলে বুঝে না কেনো লোকে!

প্রেমের সুন্দর কবিতা ধূপের মতো নিজেকে গ্রাস করে আমার ভালো লেগেছে।

Sir aap kese post ko viral kar te ho please sir batavo

দীর্ঘদিন পর আবার গল্প লিখলেন দাদা। আপনার লেখার হাত বরাবরই ভালো। দারুন একটি প্রেমের গল্প লিখেছেন। যদিও গল্পটি মিলনের নয় বিরহের। বিরহের ভেতরেও এক ধরনের মজা আছে। অবশ্য এই মজাটা সবাই নিতে পারে না।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

"আমার সে দিন ভিজে গেছে
শ্রাবণ মেঘের ধারায় ।
আমার সে দিন ভেসে গেছে
বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় ।
আমার সে দিন মরে গেছে
তোমার অপেক্ষায় ।
আমার সে দিন ফুরিয়ে এসেছে,
হয়নি তো বলা - ভালোবাসি তোমায়।"

নিরুর জন্য রেয়ানের লেখা কবিতার লাইন গুলোই বলে দেয় যে কতটা সে ভালবাসতো নিরুকে। নিরু তো আসলে অভাগী যে এত সুন্দর ভালবাসা বুঝতে পারলো না। হয়তো বা রেয়ানের ভালবাসাটুকু বুঝতে পারলে তাদের ভালবাসার গল্পটা অন্যরকম হলেও হতে পারতো। তবে ভালই হয়েছে। আমার তো মনে হয় মিলনে নয়, বরং বিচ্ছেদেই সুখ।