বালকবেলার কিছু মজার খেলা

in hive-129948 •  3 years ago 


কপিরাইট ফ্রি ইমেজ সোর্স : pixabay


আজকে একটু অন্যরকমের লেখা নিয়ে হাজির হলুম । ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে অনেক মজার মজার খেলা খেলতুম । সেই খেলাগুলোর কথা এখনো মনে পড়ে আমার । স্মৃতির কপাট খুলে বসে থাকি একটু নির্জন একাকী সময় পেলেই । আজকে আমার স্মৃতির মণিকোঠায় সযত্নে তুলে রাখা আমার সেই সব মণিমাণিক্য আপনাদের সাথে কিছুটা শেয়ার করতে চাইছি ।

আশা করছি খুব একটা খারাপ লাগবে না ।


ক্রিকেট : আমার সব চাইতে প্রিয় আউটডোর গেম । ছোটবেলায় কত যে ক্রিকেট খেলেছি তার ইয়ত্তা নেই । গ্রামে বর্ষাকালে ক্রিকেট খেলা অসম্ভব ছিল, তাও আমরা বারান্দায় খেলতাম । সব চাইতে বেশি খেলা হতো শীতকালে । বসন্তকালেও মোটামুটি ভালোই খেলা হতো । তবে গ্রীষ্মকালে রোদের তাপ না পড়া অব্দি খেলা শুরু করতে পারতুম না । পুজোর পরে বার্ষিক পরীক্ষার চাপ থাকতো তাই একটু কম খেলা হতো । এরপর দীপাবলির পর থেকে শুরু হতো খেলা । আমি স্পিন বোলিং পারতুম, লেগ স্পিন । তবে ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ রকমের খারাপ ছিলুম । যেদিন ১০ রান করতে পারতুম সেদিন নিজেকে শচীন-শেবাগ মনে করতুম ।


ফুটবল : একটু কম খেলা হতো আমাদের গাঁয়ে । ছেলেরা সবাই শচীনভক্ত । রোনাল্দোভক্ত শুধু বিশ্বকাপের সময় । তবু নিয়মিত এটাও খেলা হতো । ফুটবলের ব্লাডার প্রায়ই লিক করতো আমাদের, সল্যুশন দিয়ে লিক সরিয়ে তবে আবার কিক মারতুম । আমি ব্যাক এ খেলতুম । ফুটবল খেলা তেমন একটা প্রিয় ছিল না আমার কাছে । আমাদের ধ্যান জ্ঞান ছিল একমাত্র ক্রিকেটে ।


হকি : শীতকালে হকি খেলার প্রচলন ছিল আমাদের ছেলে-ছোকরাদের মধ্যে । অজ পাড়াগাঁ হকি স্টিক পাবো কোথায় ? তাই নিজেরাই খেঁজুরের ডাল কেটে তা দিয়ে হকি স্টিক তৈরী করে নিতাম । আর বল ? রাবার ডিউস । এগুলো দিয়েই মহা উৎসাহে হকি খেলতাম আমরা । নিয়ম ছিল কারো পায়ে আঘাত করলে সেই প্লেয়ারকে ওই খেলায় বসে যেতে হবে । এই নিয়মের ঠেলায় প্রায়ই দুই দলের অর্ধেক প্লেয়ার বসে যেত । আমি একবার ৩০ টা গোল দিয়েছিলুম । তার কারণ একমাত্র গোলকিপার ছাড়া বিপক্ষ দলের আর সব প্লেয়ার বসে গিয়েছিলো ।


ব্যাডমিন্টন : শীতকালে অসম্ভব জনপ্রিয় ছিল এই খেলাটি আমাদের মাঝে । ক্রিকেট খেলা শেষ করতুম সন্ধ্যের বেশ কিছুটা আগে ভাগেই, এর পরে শুরু হতো আমাদের ব্যাডমিন্টন খেলা । racket, feather (shuttle cock, net এ তিনটি কেনা হয়ে যেত পুজোর সময়েই । শীত পড়ার সাথে সাথেই কোট কাটা সারা । খেলা চলতো সন্ধ্যের বেশ কিছুটা আগে থেকে সন্ধ্যের বেশ খানিকটা পরেও । গা গরম করা খেলা ।


কাবাডি : আমাদের সময়ে ফ্রি হ্যান্ড গেমগুলোর মধ্যে সব চাইতে জনপ্রিয় ছিল এই খেলাটি । আমার মনে হয় এই গেমটি খেলেনি এমন কোনো ছেলে পাওয়া যাবে না আমাদের কমিউনিটিতে । গরমের অলস বিকেলে সন্ধ্যের আগে পুকুরপাড়ে একটি ছায়াময় স্থানে মাটি কিছুটা কুপিয়ে আমরা কাবাডির ছক কাটতাম । এ খেলা ছিল শক্তিমানদের । আমি বেশিক্ষন দম ধরে রাখতে পারতাম । তবে গায়ে কিছুটা পাতলা থাকার কারণে বিপক্ষের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়তাম মাঝে মাঝে । ভারতের অন্যতম জাতীয় খেলা এই কাবাডি, বাংলাদেশে যা হা-ডু-ডু নামে পরিচিত ।


মার্বেল : অসম্ভব প্রিয় একটি খেলা ছিল আমার । টিফিন টাইমে, সকাল বেলা, দুপুর বেলা, বিকেল বেলা, সন্ধ্যে বেলা - কোনো নির্দিষ্ট টাইম ছিল না এই খেলার । পকেটে সব সময় কাঁচের গুলি থাকতো । টাইম পেলেই মার্বেল খেলায় মেতে উঠতুম । অনেক অনেক মজার স্মৃতি আছে মার্বেল নিয়ে আমার । একদিন শেয়ার করবো ।


চোর-পুলিশ : পৃথিবীর প্রায় সব দেশের বাচ্চারা এখনো এই ফ্রি-হ্যান্ড এই গেমটি খেলে থাকে । দুই দলে বিভক্ত হয়ে খেলতে হয় । একদল চোর, আরেক দল পুলিশ । চোরেরা লুকিয়ে থাকে, পুলিশদের খুঁজে বের করে তাদের পাকড়াও করা । খুঁজে সহজে পাওয়া গেলেও ধরা কঠিন ছিল । ভীষণ দৌড়োদৌড়ি আর বুদ্ধির খেলা ছিল এটি । আমার ভীষণই প্রিয় ছিল ।


লুকোচুরি : এটিও সারা পৃথিবী জুড়ে বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় খেলা । একজন হতো চোর । সে দৌড়ে একটি গাছের কাছে গিয়ে আমাদের পিছন ফিরে ১ থেকে ৩০ অব্দি জোরে জোরে গুনতে থাকতো, আর আমরা এই অবসরে লুকিয়ে পড়তাম । এরপরে চোরের কাজ ছিল লুকোনো ছেলেদের খুঁজে বের করা । কাউকে এক ঝলক দেখতে পেলেই চিৎকার করে তার নাম ধরে বলতো অমুক মার্ । ব্যাস তার লুকানোর দফা রফা । আর লুকোনো অবস্থাতে যদি কেউ চোরকে বুঝতে না দিয়ে পিছন থেকে ছুঁয়ে দিতো তবে সে সঙ্গে সঙ্গে আবার চোর হয়ে নতুন করে খেলা শুরু হতো । আর তা না হলে প্রথম যাকে দেখতে পেয়েছিলো সেই হতো পরেরবার চোর ।

রাম-শ্যাম-যদু-মধু : এটি একটি ইনডোর গেম ছিল । ১৬ খানা ছোট ছোট সমান মাপের কাগজের টুকরোয় ৪ টে করে কাগজে রাম, শ্যাম, যদু এবং মধু লেখা হতো । এর পরে এগুলো ভালো করে এলোমেলো করে চার জন প্লেয়ার এর মধ্যে না দেখে ডিস্ট্রিবিউট করা হতো । এক জন তার পাশের জনকে এক খানা কাগজ পাস করতে পারতো তার বদলে তার কাছ থেকে আরেক খানা নিয়ে । সবারই টার্গেট থাকতো কে আগে একই নামের চারখানা কাগজ মেলাতে পারে । যে পারতো তারই জিৎ ।


চোর-ডাকাত-পুলিশ : এটাও ছিল ভীষণই মজাদার আরেকটি ইনডোর গেম । চার খানা সমান মাপের কাগজের খন্ডে লেখা হতো পর্যায়ক্রমে "চোর ০০", "ডাকাত ৩০০", "পুলিশ ৫০০" এবং "দারোগা ৮০০" । এরপরে কাগজগুলি রোল করে এলোমেলো করে ছড়িয়ে দেওয়া হতো । প্রত্যেকে এক এক খানা কাগজ তুলে নিতো । যার ভাগ্যে দারোগা উঠতো সে ডাইরেক্ট ৮০০ পয়েন্টস পেয়ে যেত । এবং নিজেকে রিভিল করতো । এবার যার ভাগ্যে পুলিশ উঠতো তাকে নিজেকে পুলিশ ঘোষনা করে বাকি দুই জনের মধ্যে আন্দাজে এক জনকে চোর খুঁজে বের করতে হতো । যদি সাকসেস হতো তাহলে পুলিশ যে পেয়েছে সে ৫০০ পয়েন্টস, ডাকাত ৩০০ পয়েন্টস আর চোর শূন্য পয়েন্টস পেতো । আর যদি পুলিশ চোর ধরতে ব্যর্থ হতো তাহলে পুলিশ পেতো শূন্য পয়েন্টস এবং চোর পেতো পুলিশের পয়েন্টস, অর্থাৎ ৫০০ পয়েন্টস ।


লুডু : লুডুও খেলেছি ছেলেবেলায় বিস্তর । বাড়িতে জেঠতুতো-খুড়তুতো-পিসতুতো বোনেদের সাথে । স্কুলে বান্ধবীদের সাথে টিফিন পিরিয়ডে । পুকুরপাড়ে বিকেলবেলায় সমবয়সী মেয়েদের সাথে । তবে ছেলেদের সাথে এই বস্তুটি খেলা হয়নি কখনো । লুডু শুনেছি মেয়েদের খেলা । তাই তো জীবনেও ওদের সাথে পেরে উঠিনি । ছয় ফেলতে পারতাম না মোটেও । বহু কষ্টে যদি বা ছক্কা পড়তো আমার ঘুঁটি আবার খেয়ে ফেলতো বিপক্ষ । প্যাথেটিক ছিল লুডু খেলার অভিজ্ঞতা । আমার ধারণা মেয়েরা চিটিং করতো, কিন্তু, কৌশলটা কোনোদিনও ধরতে পারিনি ।


ক্যারম : অসম্ভব প্রিয় একটি ইনডোর গেম যেটা এখনো মাঝে মাঝে বাড়িতে খেলি । ছোটবেলায় নেশা ছিলো আমার এই ইনডোর গেমটি । আমার বাবার যৌবনকালের নেশা ছিল তিনটি গেম । তিনটেই মারাত্মক নেশা জাতীয় খেলা - তাস, দাবা আর ক্যারম । বাবার মতো অতো ভালো ক্যারম কোনোদিনও খেলতে পারিনি । এখনো সত্তর বছর বয়সে খেলতে বসলে আমরা গো হারান হেরে যাই ।


তাস : তাস খেলতাম সেই খুব ছোট্টবেলা থেকে । বললে বিশ্বাস করবেন না কিন্তু প্রথম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই তাস খেলা শিখেছিলাম । বাড়িতে ছিল অনেক তাসের প্যাকেট । আমার বাবার ছিল তাসের নেশা । আমার মাত্রারিক্ত তাসের প্রতি আসক্তি দেখে বাবা এই নেশাটি নাকি কাটিয়ে ফেলেছিলো । বড় হয়ে আর কোনোদিনও তাই বাবাকে তাস খেলতে দেখিনি, আমারও তাসের নেশা কেটে গিয়েছিলো ।


দাবা : দাবা আমার রক্তে । কারণ আমার বাবা । অসম্ভব পাকা খেলোয়াড় তিনি । আমিও খুব ছোট্টবেলা থেকে তুখোড় দাবা প্লেয়ার হয়ে উঠেছিলাম । ক্লাস টু তে পড়ার সময়েই ৩০-৪০ বছরের পাকা মাথার দাবা প্লেয়ারদের ধরাশায়ী করেছি । এই একটি মাত্র খেলা যেটা আমি বা আমার বাবা কেউ জীবনেও কাটিয়ে উঠতে পারিনি । আমি এখন কম্পিউটার-এ খেলি । রেকর্ড ধরে রেখেছি, কম্পিউটার পারে না । বিশেষ চেস সফটওয়্যার ছাড়া আমাকে হারানো অসম্ভব । এলেবেলে কম্পিউটার চেস গেমে সব সময়ই জিতি ।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

god bless you

পুরাই মিলে গেল খেলাগুলার নাম। আরো কিছু নব্য আবিষ্কৃত খেলা আবিস্কার করতাম কোন আত্তীয়ের বাড়ি গেলে।

আমরা হকি খেলতাম নারকেলের ডালের মাথা দিয়ে। খুব নস্টালজিক হয়ে গেলাম। মার্বেল তাস, ঘরের চাল বিক্রি করে ক্যারম কিনা। কত স্মৃতি!! এখনকার ছেলেরা আছে মোবাইল নিয়ে। এরা এসব সপ্নেও পাবেনা। আমাদের শৈশব সেরা।

blessing toyou

বাহ! বেশ দারুণ পটু ছিলেন সব খেলায় আপনি। তবে আমি তাস, কাবাডি, হকি বাদে বাকি সবগুলোতে দুর্দান্ত ছিলাম। ঢাকায় জাতীয় কিশোর লীগে ফুটবল খেলার সুযোগ পেয়েছি, ক্রিকেটে দারুণ ফাস্ট বোলার ছিলাম, ক্যারাম এ আমার ধারে কাছে কেউ আসতে পারতো না, সুজি ছাড়া ক্যারাম খেলায় উস্তাদ ছিলাম আমি। বাকিগুলোর স্মৃতি এখনো মাঝে মাঝে ঝড় তুলে হৃদয়ে হে হে হে।

আপনার বালক বেলার কিছু মজার খেলা পোষ্টটি পড়ে আমার বেশ কিছু সৃতি মনে পড়ে গল। আপনি যেগুলো উল্লেখ করেছেন এরমধ্যে **চোর-ডাকাত পুলিশ" খেলাটি আমার প্রিয় ছিল। আরো একটি প্রিয় খেলা ছিল আমার, অবশ্য আপনার এখানে তার উল্লেখ নাই। সেটি হচ্চে গ্রামরে সব থেকে জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা দাদা আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

আছে তো কাবাডি ব্যাডমিন্টনের পরে টি।

পুরোটা খুঁটিয়ে পড়ুন পেয়ে যাবেন যা খুঁজছেন -

"....ভারতের অন্যতম জাতীয় খেলা এই কাবাডি, বাংলাদেশে যা হা-ডু-ডু নামে পরিচিত ।"

ধন্যবাদ দাদ, আমার জনা ছিল না।

দাদা আপনি দেখছি অনেকগুলো খেলায় পারদর্শী সব খেলা সম্বন্ধে আপনার অনেকটা ধারণা আছে। আপনার আজকের বালকবেলার কিছু মজার খেলা পোস্টটি পড়তে গিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও আমার মত সবাই তাদের বাল্য জীবনে ফিরে গিয়েছে এতটুকু বলতে পারি। দাদা আপনি অনেকগুলো খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। তারমধ্যে মার্বেল খেলা ও চোর পুলিশ খেলা এই দুটোর কথা আমার বেশি করে মনে পড়লো। আমাদের এখানে প্রতি বছর দুর্গাপূজায় অনেক বড় মেলা হতো এখনো হয়। আমি মেলা থেকে একাধিক পিস্তল কিনে আনতাম পরবর্তী দুর্গাপূজা পর্যন্ত যেন অনায়াসেই চোর-পুলিশ খেলতে পারি। চোর-পুলিশ খেলতে গিয়ে অনেক সময় দুপুরে খাওয়া হয়নি তার জন্য বাসায় কত মার খেয়েছি। ধন্যবাদ দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে পুরনো স্মৃতি গুলো একটু ফিরে দেখার সুযোগ পেলাম।

দাদা আপনার মত আমারও ক্রিকেট খেলা খুবই পছন্দের ছিল। আমি ক্রিকেট খেলায় বেশিরভাগ কিপার থাকতাম। কারণ আমি খুব ভালো ক্যাচ ধরতে জানি। আর রেকেট খেলা টার কথা কি বলব অর্থাৎ ব্যাডমিন্টন খেলা। আমাদের গ্রামে আমরা দুইভাই প্রথম রকেট কিনেছিলাম, এর আগে কোনদিন কাউকে খেলতে দেখিনাই, আপনার স্মৃতিগুলো যে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, তা পড়তে পেরে খুবই খুশি হয়েছি আমি।

দাদা, ১৪ টি খেলার বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন ভাবতে আমার মাথা ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে। এতগুলো খেলাতে আপনি অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং সেই খেলার আনন্দ ও মজা উপভোগ করেছিলেন। সত্যিই খেলা গুলো অনেক অনেক চমৎকার। এতগুলো খেলার পারদর্শী ছিলেন বলেই আজ আপনি আমাদের বড় দাদা। সকল ক্ষেত্রেই আপনার বিস্তর বিচরণ বলেই আজ আপনি আমাদের মাথার মুকুট হয়ে আছেন। আপনার বালকবেলার মজার খেলা দেখে আমারও সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তবে আমি এতগুলো খেলায় কখনো অংশগ্রহণ করি নি। তবে আমার কাছে দাবা ও ক্যারম খেলা খুবই পছন্দের ছিল। আর এই দুটো খেলায় আমাকে কেউ কখনো হারাতে পারেনি। আর মাঝে মাঝে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতাম। দাদা আপনার বালকবেলার খেলা গুলো দেখে এবং সেই খেলাগুলোর সুন্দর বর্ণনা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

খেলার নামগুলো আর বিস্তারিত পড়ার সময় বার বার ছোটবেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম। লুডু, ক্যারাম, লুকোচুরি, চোর-ডাকাত-পুলিশ,তাস। আমরা অবশ্য তাস খেলতাম না। কাগজে 5,10,15...100 লিখে খেলতাম। খেলতে খেলতে খাতা শেষ হয়ে যেত, কিন্তু খেলা শেষ হতে না। এই খেলাটা চারজন মিলে খেলতে হয়। আর আমরা চার বোন মিলে খুব খেলতাম।

আমার ধারণা মেয়েরা চিটিং করতো, কিন্তু, কৌশলটা কোনোদিনও ধরতে পারিনি ।

না পারলে তো একটা অজুহাত দেখাতেই হয়। এই খেলাটা এখনো শশুর বাড়িতে গেলে খেলি। হাসবেন্ড, ননদ, ভাতিজা, মামী মিলে। ভালোই লাগে।

দাদা খুব ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার স্মৃতিগুলো আপনি আমার সাথে শেয়ার করেছেন। ছোটবেলার ওই সময়টা সকলেরই স্মৃতি মধুর হয়ে থাকে।

রাম-শ্যাম-যদু-মধু

এই খেলাটি ব্যতীত আমি বাকি সবগুলোই গেম একবার হলেও খেলেছি।

বাহ দাদা অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্টটি পরে ছোট বেলার অনেক খেলার কথাই মনে পরে গেলো।বিশেষ আপনি যে কয়টা খেলার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রায় সব কয়েকটা খেলাই খেলতাম।তবে দাদা আপনার যেমন ক্রিকেট খেলা অনেক পছন্দ ঠিক আমারও অনেক পছন্দ। কারন বেশির ভাগ ক্রিকেট খেলা খেলতাম। তবে লুডু চোর পুলিশ এ খেলা গুলো অনেক খেলেছি। যাইহোক ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর কিছু খেলার গল্প শেয়ার করার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো।

আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট। ক্রিকেট খেলতে আমি অনেক ভালবাসি। ছোটবেলায় যখন বৃষ্টি হত তখন ঘরের বারান্দায় পর্যন্ত ক্রিকেট খেলেছি ঠিক আপনার মতো 🤣 তবে যখন ছোট ছিলাম তখন লেগ স্পিন কি জিনিস সেটা বুঝতাম না শুধু ফাস্ট বল করতাম। আর ব্যাটিংয়ে নেমে যখন স্ট্যাম্পের বাইরে বল আসত তখন চোখ বুঝে মারতাম 😁 আর ফুটবল খেলা মোটামুটি খুব বেশি ভালো পারতাম না আর তার জন্য খেলার প্রতি এতো আগ্রহ ছিল না। তবে আমরা ছোটবেলায় লুকোচুরি খেলার সময় ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত গুনতে বলতাম।
সব মিলিয়ে আপনার ছোটবেলার কাহিনীর সাথে আমার ছোটবেলার কাহিনীর মোটামুটি মিল আছে শুধু দাবা খেলা আর হকি খেলা বাদে।

আমি ক্লাস ফাইভ অব্দি ব্যাডমিন্টন খেলেছি,প্রাইজ পেয়েছি।আর চোর পুলিশ, ডাকাত এখনো খেলা হয়,ঈদের ছুটিতে সবাই বাসায় আসলে,তখন বাচ্চারা খেলে।দাবা ও খেলতে পারি,তবে বেশি না কম কম,অনেক মাথা খাটাতে হয় খেলতে, তবে আমার বাবা ও বেশ ভালো খেলতে পারে।

হকি, কাবাডি, রাম শ্যাম যদু মধু এই তিনটি খেলা কখনও খেলিনি। তাছারা বাকী গুলো সব খেলেছি। বিশেষ করে ক্যারোম, দাবা, ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, তাস, ক্রিকেট, মার্বেল, ডাং গুটি, সব খেলাই খেলেছি এবং এখনও অনেক গুলোই খেলা হয়। দাবা তো অনলাইনে খেলি। আপনার সাথে খেলতে ইচ্ছে হচ্ছে দাদা। পুরো করোনা পার করলাম দাবা খেলে। তবে আমার প্রিয় খেলা টেবিল টেনিস যদিও বহুদিন খেলা হয় না। দাদা আপনাকে স্বাগত জানাই দাবা খেলবো আপনার সাথে। সাইবেরিয়ান ট্রেপে ফেলবো আপনাকে। হা হা। সব ভুলে গেছি। ধন্যবাদ দাদা ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

খুব বেশিই মনে পরে গেলো লুকোচুরি আর চোর-পুলিশ খেলার কথা।ছোটোবেলায় এতো আনন্দ করেছি যেটার কিয়দাংশ মনে পরে গেলো আপনার লেখনি পরে।অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার লেখাটি।ভালো থাকবেন আপনি আর চির অমলিন থাকুক গ্রাম বাংলার স্মৃতি গুলো।

দাদা, আপনার ছেলে বেলার সব খেলার সাথে আমিও মোটামুটি ভালই পরিচিত। যদিও ক্রিকেট, ক্যারাম, ব্যাডমিন্টন ফুটবল এসবই বেশি খেলা হত। আপনার গল্প গুলো যখন পড়ছি তখন আমিও যেন শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। কত দিন খেলার মাঠে গিয়ে খেলি না। তবে দাদা এই যে খেলা গুলোর নাম বললেন, বর্তমান সময়ের শিশুরা সবগুলো খেলার মজা কি পাবে আদেও !!! গ্রাম গুলোও এখন শহর এর মত হয়ে গেছে। আর স্মার্ট ফোন হাতে পেয়ে ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা ভুলেই গেছে বলা যায়। আর এখান থেকেই আমার কেন যেন মনে হয় বর্তমান সময়ের অনেক ছেলে মেয়েদের মাঝে মূল্যবোধের অনেক অভাব তৈরি হয়েছে। মস্তিষ্কের বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। ছেলেবেলার নানান গল্প পড়তে বেশ ভালই লাগে দাদা। পরবর্তী কোন গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।

ফিরে গেলাম ছেলেবেলায়

হাহাহা খুব হাসলাম কারণ অনেক কিছুই মিলে গেয়েছে আমার সঙ্গে । আসলে নব্বইয়ের দশকের মানুষের কাছে এই বাহিরে আর কোন খেলা ছিল বলে আমি মনে করছি না । প্রতিটা খেলার সঙ্গেই আমারও কিছু কিছু আবেগ জড়িয়ে আছে ভাই । অনেকটাই আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছি ভাই । বেশ লিখেছেন।
স্যালুট

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

আমি একবার ৩০ টা গোল দিয়েছিলুম । তার কারণ একমাত্র গোলকিপার ছাড়া বিপক্ষ দলের আর সব প্লেয়ার বসে গিয়েছিলো ।

দাদা আপনি দেখি সেরা প্লেয়ার। বিপক্ষের প্লেয়ার ছাড়াই গোল দিয়ে দিলেন । তবে যাই হোক আপনার লেখাগুলো যখন পড়েছিলাম তখন ছেলেবেলার স্মৃতি মনে পড়ছিল। ছেলেবেলায় আমিও এরকম অনেক খেলা খেলতাম। যতই মজার খেলা হোক না কেন ক্রিকেট আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। ক্রিকেট খেলতে আমিও অনেক বেশি পছন্দ করতাম। বালকবেলার কিছু মজার খেলা সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো দাদা। ♥️♥️

দাদা শুধুমাত্র তাস খেলা বাদে বাকি সবগুলা খেলাই আমি ছোটবেলায় খেলেছি। তবে আমার সবচাইতে প্রিয় খেলা ছিল ব্যাডমিন্টন। যা আমি এখনো প্রতি বছর শীতের সময়ে নিয়মিত খেলে থাকি। এছাড়া অন্যান্য খেলা গুলো বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে। ধন্যবাদ কিছু শৈশব স্মৃতি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।

সত্যি দাদা ছোট বেলার কথা গুলো মনে পরে গেল। ছোট বেলা আরো অনেক খেলা ছিল যেগুলো আমরা খেলতাম তবে আপনি যে সব খেলার কথা উল্লেখ করেছেন প্রায় সবগুলো খেলায় আমি খেলেছি তবে ছোটবেলা তাস খেলা হয়নি। এটি একটি কমতি রয়ে গিয়েছে। এখনো তেমন একটা বুঝি না তাস খেলা।

ছোট বেলায় সবাই কমবেশি সব ছেলেমেয়েই এসব খেলা খেলে থাকতো।আজকালকার ছেলেমেয়েরা এসবের অনেক গুলোরই নাম জানেনা। এখন সব ডিজিটাল কায়দায় খেলা হয়।

দাদা, তুমি আমাকে স্মৃতির আকাশে ভাসিয়ে আবার শৈশবে নিয়ে চলে গেলে। তোমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা খেলাই আমার জীবনের স্মৃতি হয়ে রয়েছে। এখন বর্তমান বয়সে এসে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র ব্যাডমিন্টনটা একটু খেলা হয় তাও শুধুমাত্র শীতকালে দুই মাস। তাই ছাড়া আর কোন খেলা হয়না কিন্তু আমি আমার শৈশবে তোমার শেয়ার করা প্রত্যেকটা খেলার সাক্ষী।

আমিও তোমার সাথে আমার ছোটবেলার এই মজার খেলাগুলোর কয়েকটি ঘটনা একটু শেয়ার করতে চাই।

প্রথমে আসি ক্রিকেটের কোথায় আমরা ক্রিকেট খেলার জন্য বাঁশ বাগানের মধ্যে নিজেদের মত একটা স্টেডিয়াম বানিয়ে নিয়েছিলাম। আমাদের স্টেডিয়ামের নাম ছিল বাগোয়া স্টেডিয়াম। বা =বাঁশ বাগান,গোয়া=গোয়াল ঘর।
বাগোয়া নামকরণের এটাই কারণ ছিল যে আমাদের স্টেডিয়ামের চারপাশে বাঁশ বাগান ছিল এবং তার সাথে একটি গোয়াল ঘর ছিল তো সেই হিসেবে আমরা এই স্টেডিয়ামের নাম এরকম করেছিলাম।

দ্বিতীয়তঃ ফুটবলের কথায় আসলে ছোটবেলায় আমি ছিলাম সবার মেসি । ফুটবল কাটিয়ে সরাসরি গোল দেওয়ায় আমি ছিলাম পটু । একবার তো ফুটবল খেলতে গিয়ে আমি আমার পায়ের আঙ্গুল ভেঙে নিয়েছিলাম।

ছোটবেলায় হকি তেমন একটা খেলিনি। বড় দাদারা খেলত তাদের ওইখানে গিয়ে টুকটাক একটু নাড়াচাড়া করতাম হকিস্টিক নিয়ে।

ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য আমরা শীতকালের অপেক্ষায় থাকতাম। যখনই শীতকাল আসতো বন্ধুরা সবাই মিলে আমরা রাতে লাইটিং এর ব্যবস্থা করে অনেক রাত পর্যন্ত এই ব্যাডমিন্টন খেলতাম। আর দিনে খেলা তো চলতই।

ছোটবেলায় আমার গায়ে অনেক শক্তি থাকার কারণে আমাকে কাবাডি খেলায় সবার আগে টিমের গ্রুপ ক্যাপ্টেন ডেকে নিতো। আমাদের বাড়ির পাশের একটি জমিতে মাটি কুপিয়ে আমরা কাবাডি খেলার ছক কেটে বন্ধুরা সবাই মিলে কাবাডি খেলায় মেতে উঠতাম।

মার্বেল খেলার জন্য বাড়িতে অনেক মার খেতাম । আমার বোতল ভরা ভরা অনেক মার্বেল সবসময় বাড়িতেই থাকতো। আর মাঝে মাঝে মা সেইগুলো পুকুরের জলে ফেলে দিত।

দিনেতো লুকোচুরি খেলতাম এছাড়া গরমের সময় যখন কারেন্ট চলে যেত আমরা বন্ধুরা মিলে সবাই এই লুকোচুরি খেলতাম । বাড়ির বড়রা সব সময় রাতের বেলায় এভাবে লুকোচুরি খেলতে না করত কারন গ্রামের সাপের একটা ভয় সবসময় থাকত।

এছাড়া বাকি যে খেলা গুলো যেমন রাম-শ্যাম-যদু-মধু,চোর-ডাকাত-পুলিশ ,লুডু, ক্যারম, তাস,দাবা সবকিছু খেলার ই কমবেশি অভিজ্ঞতা আমার নিজের লাইফে রয়েছে।

তোমার শেয়ার করা খেলাগুলোর নাম দেখে আমি আমার শৈশবে ফিরে গেলাম। তাই একটু করে সবকিছু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। শেয়ার না করে নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না। কমেন্ট করতে গিয়ে একটা স্টোরি লিখে ফেললাম।
ছোটবেলায় আমি গ্রামেই বড় হয়েছি তাই হয়তো মজার সব খেলার কমবেশি একটু সাক্ষী হয়ে রয়েছি।

অসাধারণ লিখেছেন দাদা।👍💗

এত খেলায় পারদর্শী , দাদা আপনি তো পুরো অলরাউন্ডার ছিলেন । এজন্যই তো আপনি আমার গুরু। আমি অবশ্য ছোটবেলায় সবচেয়ে বেশি খেলতাম ক্রিকেট ,মার্বেল আর ব্যাডমিন্টন। একটা দুর্ঘটনার পর ক্রিকেট খেলা প্রায় ছেড়ে দেই। শীত এলে এখনো ব্যাডমিন্টন খেলাটা খেলি। যাহোক ছোটবেলার সাথে এই প্রত্যেকটা খেলাই একটু আট্টুক জড়িত। খুবই ভালো লাগলো এমন কিছু পড়ে।

রাম-শ্যাম-যদু-মধু।

দাদা,এই খেলাটি আমার খুবই পছন্দের একটি খেলা ছিল। দাদা, আপনার ছোটবেলায় যে খেলা গুলো খেলেছেন সেগুলোর সত্যিই শৈশবের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।দাদা,আমি মেয়ে তবে মেয়ে হলেও ফুটবল খেলেছি সহপাঠীদের সাথে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা😊 এই খেলা গুলোর নাম দেখে শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পরে গেল খুব আনন্দ উপভোগ করেছি। এছাড়া দাদা,মন চায় ঐ শৈশব জীবনে ফিরে যেতে। দাদা, প্রত্যেকটি খেলায় আপনি খুব পারদর্শী ছিলেন আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছি। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, ছেলেবেলার কিছু মজার খেলার স্মৃতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

হকি বাদ দিয়ে আমি সবই খেলেছি। ক্রিকেটের পাগল ফ্যান ছিলাম। খেলা আর ম্যাচ দেখা দুটোই পুরো মাত্রায় ছিলো। ফ্যাব ফাইভ খেলা ছাড়ার পরে ক্রিকেট দেখা কমিয়ে দিয়েছি তবে টুকটাক খেলি।

গরমকালে ক্রিকেট খেলার সমস্যার ধরনটা আমাদের একইরকম ছিলো দাদা। রোদের তেজ না কমলে আমরাও খেলতাম না। 😁

দাদা আপনার পোস্টটি মাধ্যমে আমরা আপনার ছোট বেলার স্মৃতি গুলো জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো।আপনি দেখছি কম বেশি সব রকমের খেলা খেলতে পারেন।আসলে দাদা আমিও ক্রিকেট একটু খেলতে পারি,আর অপ স্পেনার বোলিং করতে পারি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, আমাদের মাঝে আপনার ছোটে বেলার মজার খেলার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনি সবচেয়ে বেশি আউটডোরে ক্রিকেট খেলা খেলেছেন। এই খেলা খেলেছেন শীতকালে বৃষ্টির সময় বারান্দাতেও খেলেছেন। ফুটবল আপনার এলাকায় তেমন একটা খেলা হতো না এর কারণ ছিল সকলেই শচীন ভক্ত ছিল। তার পরেও মাঝেমধ্যে ফুটবল খেললে ফুটবল লিগ হয়ে যেত। তবে আপনার কাবাডি খেলার বিষয়টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনার আজকের লেখা প্রতিটি খেলাই আমি খেলেছি এবং আমার প্রিয়। তবে দাবা খেলাটা আমি একেবারেই পারিনা।

আপনি দাদা দেখছি অলরাউন্ডার 🔥। সব খেলায় একদম পাকা। যদিও ক্যারম খেলায় একটু দূর্বল। কারণ মেয়েদের খেলা তো। আর দাদা আমারও কিন্তু তাই মনে হয় মেয়েরা খেলার সময় চিটিং করতো। কিন্তু বুঝার উপায় নেই। এখানে একটি খেলা বাদে সব খেলায় খেলেছি। রেম-শ্যাম-যদু-মধু বাদে। ক্রিকেট খেলায় খুব দক্ষ ছিলাম। এক গ্রামের সাথে আরেক গ্রামের খেলা হলে আমাকে হায়ার করে নিতো। ডানহাতি ব্যাটার হিসেবে এখনও খ্যাতি আছে 😊। তবে যায়হোক দাদা এতোদিন পর এতোগুলো খেলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আর চোখের সামনে যেন ভেসে আসছে। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে 🥰

বাহ,সুন্দর সুন্দর খেলার কথা বলেছেন আপনি দাদা।আমি এর মধ্যে কিছু খেলা খেলেছি ছোটবেলায়।তাছাড়া এগুলো তো অধিকাংশই ছেলেদের খেলা যদিও এখন খেলার মধ্যে কোনো ছেলে মেয়েদের পার্থক্য নেই তবুও গ্রামের দিকে।যাইহোক আগে আমরা যে মজার খেলা করতাম তা সব বিলুপ্ত হয়ে গেছে।দেখিই না এখন, মনে পড়লে খুব খারাপ লাগে।এগুলো কখনো ভোলার নয়,ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে আপনার ছোটবেলার প্রতিটি খেলা সম্পর্কে অবগত হলাম, দাদা আমারও ক্রিকেট খেলা খুবই প্রিয়, আমি বাম হাতি ব্যাটিং ও বোলিং, ব্যাডমিন্টন খেলা এক অন্যরকম মায়া কাজ করে খেলা ছাড়তে পারিনা, খেলতে খেলতে কখন যে রাত তিনটা চারটা বেজে যায় সেদিকে কোনো হুঁশ থাকে না,

আর তাস খেলার কথা কি বলব আর দাদা, স্টুডেন্ট লাইফে যদি হলে থাকা না হয় তাহলে যেমন স্টুডেন্ট লাইফ উপভোগ করা যায় না তেমনি তাস খেলা না হলে স্টুডেন্ট লাইফ বোঝা যায় না,

অনেক সুন্দর লেগেছে দাদা আপনার ছোটবেলার খেলাধুলার পোস্ট পড়ে, শুভকামনা রইল দাদা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community