ফোটোগ্রাফি পোস্ট : "বাংলাদেশের পুজো -০২"steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  11 months ago 

_c8272f9e-eabf-4239-bd66-973e1871c907.jpeg


বাংলাদেশের পুজোর প্রথম পর্বে লিখেছিলাম শিকদারবাড়ি প্রসঙ্গে । এই শিকদারবাড়িতে ৫০১ টা প্রতিমা গড়ে পুজো করার কথা প্রথম পর্বে লিখেছি । আমরা গিয়েছিলাম ষষ্ঠীর দিন বিকেলে । সেই সময়েই অসম্ভব ভীড় ছিল । আমরা একটা গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গিয়েছিলাম । মোট আট জন ছিলাম আমরা । এই দেশে এই গাড়ি প্রচুর দেখলাম, ইন্ডিয়ায় নেই । জাপানি গাড়ি । বিশাল লম্বা । ১২ জন মানুষ দিব্যি ধরে যায় । ভিতরে এসি, কিন্তু সিট ততটা আরামদায়ক নয় ।

গাড়ি ভাড়া করার কারণ শিকাদারবাড়ি অনেকটাই দূরে অবস্থিত । পাঁচশত প্রতিমা দেখতে গিয়ে পা ব্যাথা হয়ে গিয়েছিলো । মন্ডপে প্রচুর ইন্ডিয়ান মানুষ পেয়ে গিয়েছিলাম, কলকাতার কিছু আছে, তবে অধিকাংশই নন-বেঙ্গলি । এত ভারতীয় মানুষের আধিক্যের কারণ হলো রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রচুর কর্মী ভারতীয় । এটি আসলে ভারতীয় কোম্পানি যেটি বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ । আর এই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এই বাগেরহাট জেলাতেই অবস্থিত । এই থার্মাল প্ল্যান্ট থেকে সুন্দরবন মোটে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে ।

এর আগে ভারতীয় এই থার্মাল প্ল্যান্টেও আমি ঘুরে এসেছিলাম । পশুর নদীর তীরে বিশাল এলাকা জুড়ে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত । এই পশুর নদী বেয়ে ১০-১২ কিলোমিটার গেলেই সুন্দরবন । ভারতের সুন্দরবন ছোট, কিন্তু বাংলাদেশের সুন্দরবন অনেক বড় । ভারতের সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলির আঞ্চলিক ভাষা আর ভারতের সুন্দরবন সংলগ্ন অঞ্চলগুলির আঞ্চলিক ভাষা একদম সেইম ।

এদিককার প্রতিটা গ্রামের হিন্দুবাড়িতে পরিবারের কেউ না কেউ ৪৭, ৬৪ বা ৭১ সালে ভারতে চলে গিয়েছে । দূর্গা পুজোর সময় তাদের ভারতীয় আত্মীয় স্বজন বেড়াতে আসে । গ্রামগুলি তখন বেশ উৎসব আনন্দে মুখরিত থাকে ।


বিষ্ণুর মধু ও কৈটভ নামক দুই মহা পরাক্রমশালী দৈত্যের বিনাশ সাধন ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


শ্রীবিষ্ণু ও মহা লক্ষীর শুভ পরিণয়।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪০ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


শ্রীবিষ্ণুর বুকে ভৃগু মুণির পদাঘাত এবং শ্রী বিষ্ণু কর্তৃক ভৃগু মুণির পদসেবার দৃশ্য ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদকে হিরণ্যকশিপু কর্তৃক পাগলা হাতির পায়ের নিচে নিক্ষেপ ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদকে বধার্থে হিরণ্যকশিপু কর্তৃক জ্বলন্ত অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


শ্রী শ্রী বিষ্ণুর অবতার নৃসিংহ কর্তৃক দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপু বধের পরে নৃসিংহের ক্রোড়ে পরমবিষ্ণুভক্ত প্রহ্ললাদ ।
তারিখ : ২০ অক্টোবর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : শিকদারবাড়ি, বাগেরহাট, খুলনা, বাংলাদেশ ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কিছুদিন আগে মেবি বন্ধ ছিল। তবে ভারতীয় অনেক কর্মীই এখানে কাজ করে তা আজ জানতে পারলাম দাদা। শিকদারবাড়ীর ১ম পর্বের বেশ কয়েকটি প্রতিমা দেখেছিলাম। আজকেও বেশ কিছু প্রতিমা দেখলাম।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

দাদা আপনারা মনে হচ্ছে হাইস গাড়ি ভাড়া করেছেন। হাইস গাড়িতে অনায়াসে ১২ জন আরামসে বসা যায়। তবে হাইস গাড়ির তুলনায় নোয়া স্কয়ার হাইব্রিড গাড়ি গুলোতে বসলে অনেক আরামদায়ক মনে হয়। যদিও নোয়া স্কয়ার হাইব্রিড গাড়ি গুলোতে ৮ জনের বেশি বসা যায় না। যাইহোক শিকদার বাড়িতে গিয়ে তাহলে অনেক ভারতীয় নাগরিকদের সাথে দেখা হয়েছে আপনাদের। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Posted using SteemPro Mobile

সুন্দরবনের ৬৬ ভাগ বাংলাদেশের মধ্যে। পশুর নদী হয়ে ট্রলারে করে সুন্দরবন যেতে হয়। আমি গিয়েছিলাম পাঁচবছর আগে। কিন্তু রামপাল বিদ‍্যুৎ কেন্দ্রে যাওয়া হয়নি। রামপাল বিদ‍্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে বাকি অন্য তথ‍্যগুলো মোটামুটি জানি। আজকের প্রতিমার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

Posted using SteemPro Mobile

সত্যি দাদা দেশ ভাগ হওয়ার পর কিংবা আগেই অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ ভারতে চলে গিয়েছিল। উৎসবের দিনে সবাই নিজের আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে আসে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো দাদা। বাংলাদেশে এসে আপনার পুজো অনেক দারুন কাটুক এই প্রার্থনাই করি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা।

দাদা আপনি বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে পূজো উদযাপন করছেন। বেশ ভালো লাগলো দাদা। আমাদের এখানে অসম্ভব ভিড। মানুষজনের জন্য যাওয়াই যাচ্ছে না। আপনি অত্যন্ত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাহ! তাহলে তো বেশ ভালোই হলো একদিকে পূজার প্রতিমা গুলো দেখতে পেলেন। সেই সাথে ভারতীয় অনেক লোকজন দেখতে পেলেন। একটি জায়গায় যখন ঘুরতে যাওয়া হয় সেখানে স্বদেশী মানুষজন দেখলে বেশ ভালোই লাগে। মনের মধ্যে ভিন্ন ধরনের একটি ভালো লাগা কাজ করে। অসাধারণ বর্ণনা দিলেন বেশ ভালই লাগলো। আসলেই পূজো কিংবা ঈদ উৎসবের সময় মানুষ সেই পুরনো মানুষগুলোর সাথে অনন্দের দিন গুলো ভাগাভাগি করে কাটাতে চাই। আনন্দ গুলো সব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভাগ করতে চাই। তাই সবাই সেই কাছের মানুষের কাছে ছুটে চলে আসেন।

আমার মনে হচ্ছে আপনারা মাইক্রোবাস নিয়েছিলেন, হাইস সম্ভবত। বেশ ভালো লাগলো, শিকদার বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার পিছনের গল্প গুলো জেনে।

আপনার পুজোর সময় ভালো কাটুক ভাই, শুভেচ্ছা রইল 🙏

দাদা বাংলাদেশে পূজা করছেন জেনে অনেক বেশি খুশি হলাম। আপনার কাছে ছোট একটা আবদার অনেক আগেই করে রেখেছিলাম।বাংলাদেশে আসলে আমাদের নীলফামারী জেলা ঘুরে যাবেন।খুবই শান্তিপ্রিয় ছিমছাম সুন্দর একটি ছোট শহর। এটা ঠিকই বলেছেন ভারতের চেয়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন অনেক বড়।এবং আমি নিজেও সুন্দরবন ঘুরতে গিয়েছিলাম অনেক আগে।♥♥

দাদা আপনি এ বছর পূজোর সময় বাংলাদেশের মাটিতে কাটিয়েছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি খুলনার শিকদার বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেখানে প্রায় পাঁচশ টির অধিক প্রতিমা দেখতে পেরেছন। আমি কখনো শিকদার বাড়ি যাইনাই, তবে আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক কিছু জানলাম।

Posted using SteemPro Mobile

এবারে খুললার শিকদার বাড়িতে প্রতিমা দেখার জন্য গাড়ি ভাড়া করে সবাই মিলে গিয়েছেন এটা খুবই ভালো ব্যাপার। আর ৫০১টি প্রতিমা হেঁটে হেঁটে দেখলে পা ব্যথা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। খুলনা শিকদার বাড়ির পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

Very nice