আমার ছোটবেলায় গ্রামে একটা অদ্ভুত মজার উৎসব ছিলো । বিশেষ করে ছোটদের কাছে এই উৎসবটি ছিলো খুবই মজার । জানি না এখন আর গ্রাম বাংলার কোনো স্থানে এই রেওয়াজ চালু আছে কি না । এই উৎসবটির নাম ছিল "নষ্টচন্দ্র", অবশ্য গ্রাম্য মানুষের মুখের ভাষায় "নষ্ট চন্দর" । এই নষ্টচন্দ্র পালিত হতো বর্ষার শেষে । যতদূর মনে পড়ে ভাদ্র মাসে হতো উৎসবটি । চাঁদ যখন ক্ষয়াটে হয়ে উঠতো সেই সময় আমরা নষ্টচন্দ্র উদযাপন করতাম ।
নষ্টচন্দ্রের রাতে অন্যের গাছের ফল-পাকুড় চুরি করে খাওয়ার রেওয়াজ ছিল । এবং এই চুরি করে অন্যের গাছের ফল খাওয়া যেহেতু একটি ধর্মীয় উৎসবের অঙ্গ ছিল তাই এই দিন কোনো নিষেধ তো ছিলই না বরং উৎসাহ উদ্দীপনার ভীষণই মজার একটি উৎসব ছিল ।
আমাদের কাছে অবশ্য বছরের সবক'টি দিনই নষ্টচন্দ্র ছিল । বারোমাস-ই কারো না কারো গাছের ফল চুরি করে খেতাম আমরা ।
চৈত্র মাস থেকে শুরু আর জৈষ্ঠ্য মাস অব্দি চলতো আমাদের গ্রীষ্মকালীন "ফল চুরি উৎসব" । এসময়টায় কাঁচা আম, পাকা আম, পেয়ারা, ডাব, নারিকেল, জাম, জামরুল, তরমুজ এসব চুরি করে খেতাম দেদার পরিমাণে । কাঁঠাল আমরা ছুঁতাম না । আঠার একটা প্রব্লেম ছিলো তো , তাই ।
গ্রীষ্মকালীন এই সময়টায় আমরা সব চাইতে বেশি চুরি করে খেতাম আম আর ডাব । সেদিন তো কাঁচা আম চুরির গল্পটা বললাম, আজকে বলি ডাব চুরি করে খাওয়ার গল্প ।
শীতকালে আমাদের যে ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট শুরু হতো তা কিন্তু পুরো ফাল্গুন, চৈত্র আর বৈশাখ মাসেও চালু থাকতো । গরমের দিন । সারাক্ষন পিপাসায় কাতর আমরা ক'জন হতভাগার দল । এ পিপাসা জলে নিবারণ হবার নয় । এ পিপাসা ডাবের জল, তরমুজ, আইসক্রিম অথবা মেলার মাঠের বরফ দেওয়া শরবৎ বা কোল্ড ড্রিঙ্কসেই একমাত্র নিবারণ করা সম্ভব । চৈত্র মাসে আমাদের গ্রামে দুটো বড় বড় উৎসব হতো - বাসন্তী পুজো আর চড়ক পুজো (নীল পুজো) । ছোটবেলা থেকেই পুজো টুজো আমায় টানে না । তাই আমাদের টার্গেট থাকতো এই দুই পুজো উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল বিশাল মেলা । বাসন্তী পুজোয় চলতো ৪ দিন ব্যাপী মেলা আর চড়ক পুজোয় ৩ দিন । আর ছিল পয়লা বৈশাখে । এক মাসের মধ্যে তিন তিনটি বিশাল মেলা । মেলায় খেতাম এন্তার আইসক্রিম, ছোলা মাখা, পাঁপড়, বরফ দেওয়া শরবত আর কোল্ড ড্রিঙ্কস । মেলার গল্প আরেকদিন করবো ।
গরমে আমরা স্নান করতে যেতাম দলবেঁধে । আমার বন্ধুরা সবাই জলে ঝাঁপাঝাঁপি করতো, শুধু আমাদের বাড়ির ছেলেদের মানা ছিল পুকুরে স্নান করায় । আমরা তাই টিউবওয়েলের জলেই স্নান সমাপন করে বাড়ি ফিরতাম, লক্ষ্মী ছেলে হয়ে । হায় রে ! আমাদের বাড়ির লোকেরা এটাই বিশ্বাস করতো । কিন্তু, কেস ছিলো পুরো উল্টো । আমরা আসলে কি করতাম সেই গল্পই আজ করতে বসেছি ।
স্নানের সময় পেতলের বালতি, ঘটি, গামছা, সাবান আর তেল এ সব কিছু নিয়েই লক্ষ্মী ছেলের দল আমরা যেতাম পুকুর পাড়ে । বিশাল শান বাঁধানো পুকুর ঘাট ছিল আমাদের । ঘাটের ঠিক বাম পাশেই বেশ কিছুটা জায়গা প্লাস্টার করে একটি চাতাল বানানো । চাতালের চারিপাশে বুনো লতা-ঝোপঝাড়ের বেড়া দেওয়া । আর ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি ডিপ টিউবওয়েল । ওটাই আমাদের স্নান করার স্থল ।
বাড়ি থেকে আমরা ছেলের দল যখন বেরোতাম তখন বাড়ির চাকরবাকর বাদে আর সবার স্নান সমাপন সারা । বাবা, জেঠু, কাকারা তখন সবাই যাঁর যাঁর কর্মস্থলে । তো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে বাধা কোথায় ? বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় তাই কৌশলে একটি ধারালো দা (কাটারি) সঙ্গে করে নিয়ে যেতাম ।
বাড়ি থেকে বেরিয়েই পুকুর পাড়ে এসে সবাই মিলিত হতাম । এরপরে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতাম কার বাগানে যাবো আজ । পুকুরের কাছাকাছিই যেতে হবে । দূরে হলে হবে না । দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরে দলবেঁধে নিঃশব্দে আমরা সবাই বাগানে হাজির হয়ে যেতাম । চারদিকে নিঃঝুম দুপুর বেলা । জনমানব শূন্য চারিধার । ভালো ডাবওয়ালা গাছ দেখে দ্রুত দলের মধ্যে থেকে গাছ বাইতে এক্সপার্ট দু'তিন জন ডাবগাছে উঠে পড়তো । আমরা নিরাপদ দূরত্বে সরে দাঁড়াতাম । আর উপর থেকে ডাবের বোঁটা কেটে ছুঁড়ে ছুঁড়ে জলের মধ্যে ফেলে দিত বন্ধুরা । মাটিতে ফেলতো না ফেটে যাওয়ার ভয়ে । তাও দু'চারটে মাটিতে পড়তো , তবে নরম মাটিতে পড়লে ফাটতো না ।
বৈশাখ মাস , ডোবায় তেমন জল থাকতো না, ডাবগুলি কাদার মধ্যে ঢুকে যেত । হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে খুঁজে সেগুলো বের করে ধুয়ে পরিষ্কার করে আনা হতো । এরপরে, একটি ছায়াময় নিরিবিলি শান্ত নির্জন ঝোঁপের মধ্যে ঢুকে ডাব গুলো দ্রুত কেটে ফুটো করে জল খাওয়া চলতো । যে যত পারে ডাবের জল খেত । কারণ প্রায় গোটা তিরিশের নিচে ডাব নামানো হতো না । জল খাওয়ার পরে ডাব গুলি এক এক করে মাঝখান থেকে কেটে দুই ভাগ করে তার মধ্যে থেকে নরম শাঁস খাওয়া হতো ।
খাওয়া দাওয়া শেষে ভাইদের মধ্যে কেউ কেউ মাটিতেই শুয়ে পড়তো । নড়তে চড়তে না পেরে । তাদের একটু সুস্থ হওয়ার টাইম দিতাম আমরা নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টা করতে করতে । এরপরে, সোজা পুকুরের জলে । জোঁকের কোনো ভয় ছিল না আমাদের । বরং, কারো পায়ে জোঁক লাগলে অন্যজন টেনে তুলে ফেলতো ।
পুকুরের জলে বিস্তর আমোদ আল্লাদ করে, জল ঘোলা করে সবাই উঠে কলতলায় গিয়ে আরেক প্রস্থ স্নান সমাপন করে লক্ষ্মী ছেলের দল বাড়ি ফিরত । সপ্তাহে অন্তত এক-দুই দিন দুপুরবেলায় ডাব চুরি করে খেতাম আমরা এই ভাবেই ।
আমি এই উৎসবের নাম নতুন শুনছি।তবে এটি জানি লক্ষ্মী পূজার রাতে চুরি করে খাওয়া যায় সারারাত জেগে।
বাহ,বেশ মজার ঘটনা ছিল তো।খুবই ভালো লাগছে আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে।তবে আপনি যে ছোটবেলায় এত দুস্টু ছিলেন দাদা আপনাকে দেখলে বোঝাই যায় না।পুরো উল্টো হয়ে গেছেন দাদা!😊😊আপনার গল্প পড়তে পড়তে ছোটবেলার অনেক ঘটে যাওয়া ঘটনা দুস্টুমির কথা আমার ও মনে পড়ে যাচ্ছে।ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@tipu curate 10
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted 👌 (Mana: 0/10) Get profit votes with @tipU :)
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ছেলে বেলা কেটেছে দারুন মজায়। জানতে ইচ্ছে হয় গ্রামের বাড়ী টি এখন কেমন আছে। ডাব তেমন একটা খাওয়া হয় নাই আমাদের কারন কেউ নারকেল গাছ বাইতে জানতে না। তবে গ্রামের বাড়ীতে গেলে কুটু নামের ছেলেটি আসতো আমাদের বাড়ীতে। ও নারকেল গাছে উঠে ডাব গুলোকে জমানো গাছের পাতার মধ্যে ফেলে দিত তাতে ডাব আর ফাটতো না। আপনার জীবনের গল্পটি পড়ে ছেলে বেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। নষ্টচন্দ্র এমন ধরনের উৎসব শুনিনি তবে নীল পূজো বাড়ীতে হতো । এখনও হয়। ধন্যবাদ দাদা ছেলে বেলায় চলে গিয়েছিলাম আপনার গল্প পড়তে পড়তে। ভাল থাকবেন । ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা এই জিনিসটা শুনেই তো আমার ভয় লাগতেছে ।কারন আমি সাপ ভয় পাইনা কিন্তু জোক দেখলেই ভয় পাই। যাইহোক আপনার ডাব চুরির ঘটনা টা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সপ্তাহে যদি ১/২ দিনই যদি ডাব চুরি করে খেতেন তাহলে সারা গ্রামের ডাব আর থাকতো কিনা তাই চিন্তা করতেছি ।খুব মজা ছিল ছোটবেলার মুহূর্তগুলো ।তবে যদিও আমরা আপনাদের মত ডাব চুরি করে খেতে পারতাম না।আম চুরি করে তো খাওয়াই যেতো। মজাই লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে। ছোটবেলার সেই ফল চুরির ঘটনা গুলো মনে পড়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নষ্টচন্দ্র নামে এই উৎসবের কথা জীবনে এই প্রথম শুনলাম। আমার মনে হয় আমাদের এদিকে এ ধরনের কোনো উৎসব কখনো হয়নি। হলে কি মজাটাই না হতো। আসলে শৈশবের এই দস্যিপনা আর নির্ভেজাল আনন্দের সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয়না। কোটি কোটি টাকার বিনিময়েও ফিরে পাওয়া যাবে না এই সময়। ডাব চুরীতে আপনাদের হাত একেবারে পেকে গিয়েছিল মনে হচ্ছে
অভিনব সব কৌশল আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। প্রতিদিন আপনার দারুন দারুন সব অভিজ্ঞতা গুলো জানতে পেরে ভালই লাগছে। আমার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে অনেকটাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি অবস্থা ছিলো তখন, খেয়ে পুরাই কাত হা হা হা হা। ডাবগুলোর জন্য বেশ আফসুস হচ্ছে আমার আর গাছের মালিকের কথা নাইবা বল্লাম হা হা হা। সত্যি এই রকম দুরন্তপনা আর মজার করার সুযোগ এখন আর নেই। বেশ মজার সময় কাটিয়েছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এতোগুলো ডাব একবারে সাবাড়!
বাপরে বাপ!
নষ্ট চন্দ্র উৎসব আপনার জন্যেই সার্থক।
বিশ্বাস ই তো হচ্ছেনা আমার।
আপনি দাদা কি যে ছিলেন তাই তো ভেবে কুল পাচ্ছিনা আমি,হাসতে হাসতে শেষ আমি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার পোষ্টটি পড়তে পড়তে শৈশবকালের পুনরায়বৃওি করছিলাম।কত যে আম ছুরি করে এনেছি আচার দেয়ার জন্য আর ডাব খাওয়া টা তো ছিলো রীতিমতো একট। রেওয়াজ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার শৈশবকালে ফিরে নেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি দুরন্ত কেটেছে আপনার ছোটবেলা! আর কি ভাগ্য আপনার দাদা সমবয়সী বা এরকম দুরন্তপনার জন্য ঠিক ঠাক মানুষ জনও পেয়েছিলেন। আর মাঝে মাঝেই ত্রিশাটার মত ডাব ছিনতাই করা! ইস, যদি সেই দলে থাকতাম তাহলে এডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে পারতাম। আপনাদের কথা ভেবে ভাল লাগছে কিন্তু অন্য পক্ষ যখন দেখত তাদের গাছ থেকে হঠাত করে এই পরিমাণ ডাব উধাও খোদাই জানে তাদের কি হাল হত! 😁
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Beautiful Lines loved it so much!!!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি শুধু এটাই চিন্তা করছি, কি যে স্বাধীনতা পেয়েছেন আর কতো মজাই না করেছেন দাদা। আমি আগে ভাবতাম আমি নিজেই মনে হয় বেশি দুষ্ট ছিলাম, এখন দেখছি আমার গুরু এখানে 😆
তবে যাই বলেন দাদা। জস একটা ছোট বেলা পাড় করেছেন । সেই দিন গুলো যে কতো মজার তা এক মাত্র সেই বুঝতে পারে,,, যে পাড় করেছে😇🙏🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করি।আপনার ছোটবেলার এই সব কাহিনী পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল । ছোটবেলায় ছেলেরা এ রকমই থাকে। একটু দুরন্ত, একটু ছুটোছুটি করে ।এই গাছের লিচু ,এ গাছের কাঁঠাল ,এ গাছের ডাব খাওয়া চুরি করে এমন শয়তানি বদমাশি হয়ে থাকে ।আপনার ছোটবেলা খুবই সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন । ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি মজার ঘটনা শেয়ার করার জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ, ভেনিজুয়েলা থেকে শুভেচ্ছা, আপনার লেখার মাধ্যমে আপনার সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা আমার জন্য বেশ একটি অভিজ্ঞতা। আপনার জীবন সুস্থ হোক, ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই বিষয় গুলোর সাথে আমার ছোটবেলার কাহিনীর হুবহু মিল আছে। আমাদের গ্ৰুপে ৪ জন ছিল আর স্কুল শেষে ফল চুরি করাই আমাদের প্রধান টার্গেট থাকতো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা ছোটবেলায় আপনাদের ডাব চুরির গল্পটি পড়ে খুবই মজা পেলাম।
জোঁক দেখে আমার ভয় লাগে না ঠিক তবে জোক দেখলে শরীরটা কেমন ম্যাজম্যাজ করে, ভালো লাগে না দেখলে। আর আপনারা হাত দিয়ে তুলে ফেলে দিতেন শুনে অবাক হলাম। তবে আপনার শৈশব বেশ মজার এবং আনন্দে ভরা ছিল। আপনার ছোটবেলার গল্প গুলো শুনতে বেশ ভালো লাগছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড গরম পরে। আর এই গরমে ডাব খেতে খুবই ভালো লাগে। দাদা আপনার ডাব খাওয়ার গল্প পড়ে ভালো লেগেছে। কখনো ডাব চুরি করে খাওয়া হয়নি। তবে কাঁচা আম চুরি করে খাওয়া হয়েছে অনেক। দাদা আপনার লেখাগুলো যখন পড়েছিলাম তখন বারবার শৈশবের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি দাদা আপনার লেখার মাঝে পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো খুজে পেয়েছি। খুব ভাল লেগেছে আপনার এই পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা আপনার শৈশবস্মৃতি উপস্থাপন করার পাশাপাশি আমাদেরকেও আমাদের শৈশব স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হাহাহা দাদা খুব মজা পেলাম পড়ে। বরাবরই দেখছি আপনারা অনেক কৌশলে চুরি করতেন।
এরকম শুনেছিলাম। তবে এখন আর এমন খেলা দেখা যায় না। কিছুক্ষণ এর জন্য শৈশবে চলে গেছিলাম আপনার ডাব চুরি করার গল্প পড়ে 😍। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
童年的孩童都很淘气,但很可爱
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
লক্ষী ছেলের দল যে এত দুরন্ত ছিল তলে তলে তা কিন্তু আমার জানা ছিলো না । ব্যাপারটা বেশ ভাল লেগেছে কারণ এমন ঘটনা আমার জীবনে কমবেশি আছে ।আর সব থেকে মজার ছিল রাতের আম খাওয়ার ব্যাপারটি তবে পাঠক কিন্তু মেলার গল্পটা জানতে ইচ্ছুক। শুভেচ্ছা রইল ভাই ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নষ্টচন্দ্রের রাত এই বিষয়ে গোপাল ভাড় কার্টুনে একটি এপিসোড দেখেছিলাম। আপনার এই ঘটনা গুলো পড়ে জানতে পারলাম আপনি ছোটবেলা গ্রামে বেশ ভালো কৈশোর কাটিয়েছেন। এগুলো এখনকার ছেলে মেয়েরা খুব একটা বুঝবে না। আপনি খুব দূরন্তপনা ছিল। আপনার এই পোস্ট গুলো পড়ে আমিও যেন আমার ছোটবেলা ফিরে পায়। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা,আপনার ডাব চুড়ির গল্পটা বেশ মজার ছিলো।সত্যিই দাদা আপনার ছোটবেলার খুব ভালো কেটেছে। এক কথায় বলা চলে শান্ত শিষ্ট লেজ বিশিষ্ট। হা হা।খুবই ভালো লেগেছে।উৎসব নামটা বেশ সুন্দর নষ্টচন্দ্র।সব মিলিয়ে অসাধারন। ভালো ছিলো ছোটবেলার গগ্পটা,গল্প বলবো না।ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডাব ও নারিকেল চুরি করে খাওয়া গল্পটি পড়ে ছোট বেলায় কথা মনে পড়ে গেলো। অনেক ভালো লাগলো দাদা গল্পটি পড়ে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
definitely as children, one gets into a lot of pranks
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার এই লাইন টি পড়তেই ভয়ে শরীরের মধ্যে শিউরে ওঠেছে।জোক কে আমি খুব ভয় পাইতাম ছোট বেলায় পুকুরে গোসল করতে নামলে জোক চোখে পড়লে আর গোসল করা হতো না।যাই হক আপনার ডাব চুরির ঘটনা টি পড়ে বেশ মজাই পেলাম। সপ্তাহে এক / দুই দিন তাও আবার দুপুরে ডাব চুরি করতেন গাছের সব ডাব মনে হয় আপনার পেটেই যেতো। খাওয়া দাওয়ার পর বড়ো ভাইদের সাথে মাটিতে শুয়ে পড়তেন অনেক হাসি ঠাট্টা করতেন আপনার ছোট বেলার মহত্ত্ব অনেক সুন্দর করে কাটিয়েছেন দাদা।তবে আপনার মতো ডাব চুরি করে খেতে না পারলেও অনেক ফল চুরি করে খাওয়ার কথা গুলো মনে পড়ে গেলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নষ্টচন্দ্র উৎসবটি খুব ভালো লেগেছে। এরকম উৎসব যদি এখন পাওয়া যেত তাহলে খুবই ভালো হতো। এরকম উৎসবের নাম আগে কখনো শুনিনি।
দাদা আপনি ছোটবেলায় খুবই দর্শী ছিলেন বোঝাই যাচ্ছে। আপনার ছোটবেলার গল্প গুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে। আপনি এত মজা করে লেখেন যে পড়তে মজা লাগে। নিশ্চয়ই এই গল্পটি লেখার সময় আপনি আবার আপনার ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন। আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে আমার ছোটবেলার অনেক গল্প মনে পড়ে গেল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা প্রথমেই যেটা বলব নষ্টচন্দ্র এই উৎসবের নামটা আমিও এই প্রথম শুনলাম। পুরনো অনেক কিছুই এখন আর গ্রামে সেভাবে হয়তো বা পালন করা হয় না।
তবে দাদা তুমি সত্যিই এত দুষ্টু ছিলে ছোট বেলায়!! কি দুরন্ত ছেলে ছিলে গো। তোমার ছোটবেলার এই গল্প গুলো পড়তে এত মজা লাগছে 👌 ডাব গাছ থেকে পরে কাদার ভেতর ঢুকে যেত এই ব্যাপারটা ভাবতেই আমার দারুন লাগছে। আচ্ছা দাদা তুমি কি ডাব গাছে উঠতে পারতে? আসলে অত লম্বা গাছে কিভাবে মানুষ ওঠে এটা দেখেই আমার ভয় করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি ছোটে বেলায় অনেক দুষ্টমিষ্টি একজন মানুষ ছিলেন।আপনার মধ্যে অনেক সাহস আর আনন্দর উদ্দীপনা ছিলে ।যা অন্যদের মধ্যে কম দেখা যায়।অনেক ধন্যবাদ দাদা, আমাদের সাথে আপনার ছোটে বেলার কথার শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমি আজ প্রথম শুনলাম এই উৎসব এর নাম এবং রেওয়াজ এর সম্পর্কে। দাদা আপনার বন্ধুদের সাথে ডাব কিভাবে অন্যের বাগান থেকে এনে খেতেন তা জেনে প্রচন্ড হাসি পেলো। খুব ইনজয় করলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক বছর পর এই সাইট এ আসলাম । আমি ২০১৭ সালে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম কিন্তু কিছুই করতে পারিনাই । এখন দেখি এখানে বাংলা লেখা লেখি হয় কতো কিছু হয় ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নষ্টচন্দ্র উৎসব এর নাম এই প্রথম শুনলাম। তবে আপনাদের মনে হয় প্রিয় উৎসব ছিলো। কেননা এদিনে ডাব চুরি করতে বাধা ছিলো না। 😝
শৈশব মানেই দুরন্তপনা। শৈশব মানেই স্মৃতি ও স্বপ্ন-জাগানিয়া সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাটানো সময়। আপনি অনেক উল্লাসের সাথে আপনার শৈশব কাটিয়েছেন তা আপনার লেখনীতেই বোঝা যাচ্ছে।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার শৈশবের এই গল্প পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি দাদা আপনি এত সুন্দর ভাবে আপনার শৈশবের গল্প উপস্থাপন করেছেন পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। আসলে আমাদের শৈশরের দুষ্টুমিতে অনেক মিল রয়েছে। শৈশবের স্মৃতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন খুবই ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আনমনে যখন শৈশবের স্মৃতিগুলো ভাবি তখন একা একাই হেসে ফেলি। কতইনা দুষ্টু ছিলাম শৈশবে। দাদা আমি যখন আপনার লেখাগুলো পড়ছিলাম তখন বারবার নিজের শৈশব স্মৃতি মনে পড়ছিল। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা ।সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️♥️
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার দুরন্ত শৈশব এর সোনালী দিনগুলো গল্প বেশ মজার ছিল। তবে এই সময়টা কমবেশি আমরা সবাই পার করে এসেছি, আর স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি। তবে আপনার দুরন্ত শৈশব এর গল্প গুলো ছিল বেশ দারুন এবং মজার। আর ওই সময়টায় ডাব চুরি করে খাওয়ার মজাটাই ছিল অন্যরকম। অসাধারণ ছিল প্রত্যেকটা গল্প এবং বন্ধুদের সাথে খুনসুটি পুকুরে ছোটাছুটি লাফালাফি অনেক মজার ছিল। আর এখন ওই স্মৃতিগুলো ওই দৃশ্যগুলো দেখা যায় না। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে আপনার দুরন্ত শৈশব এর গল্প গুলো শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা নষ্টচন্দ্র নামক উৎসবের বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক লাগলো! তবে আপনাদের জন্য তো বেশ ভালোই হতো😁। আর ডাব চুরি করে খাওয়ার ঘটনা টা পড়ে আমি আর আমার সহধর্মিণী হাসতে হাসতে কমেন্ট টা করছিলাম।
আর স্নানের ঘটনা তো নাই বললাম। খুবই মজা পেয়েছি পুরো গল্পটা পড়ে। আপনি পারেনও বটে দাদা!
😄😄😄😄😄
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহারে, পুরাই নস্টালজিক হয়ে গেলাম দাদা। বারো মাসই নষ্টচন্দ্র!! সে কি দুরন্তপনা। আমাদেরও অনেকটা একই। কত ফল যে চুরি করে খেয়েছি, আর মেলা আমাদের এখানে খুব জমজমাট সাথে রথযাথা। মুখিয়ে থাকতাম দলবেধে যাওয়ার জন্য। জলে ঝাপাঝাপি ৩/৪ ঘন্টার আগে শেষই হত না। খুব মনে পরে গেল সেই দিনগুলোর কথা
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit