জগদ্ধাত্রী পুজো ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০২steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


প্রথমে যে তিনটি পুজো প্যান্ডেল দেখলাম সে তিনটি একেবারেই খুবই সাধারণ আর ম্যাড়মেড়ে । জৌলুস বলতে তেমন কিছুই ছিল না । আগের এপিসোডে সেই রকমই দুটি খুবই সাধারণ পুজো প্যান্ডেলের ফোটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । কিন্তু, প্রথম তিনটি পুজো প্যান্ডেলের পরের বাকি গুলো ছিল অসাধারণ ।

এই পর্বের যে পুজো প্যান্ডেলটি শেয়ার করতে চলেছি সেটিও এক অনন্যসাধারণ শিল্প গুণান্বিত পুজো প্যান্ডেল । বিশালকায় একটা টাইটান বা দৈত্যের মুন্ডু ছিল এর প্রধান প্রবেশ দ্বারে । আর দৈত্যের মুন্ডুর ঠিক উপরে ছিল বিশাল আকৃতির একটা ঘড়ি । ঘড়িটির ডায়ালের ব্যাসই ছিল ১০০ ফিট । ঘড়িটি কিন্তু থেমে ছিল না । টিক টিক করে তার ঘন্টা আর মিনিটের কাঁটা ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ড টাইমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চলছিল ।

তবে এই পুজো প্যান্ডেলটিতে চন্দনগরের ঐতিহ্যবাহী আলোকসজ্জার তেমন কোনো নিদর্শন মেলেনি । এই প্যান্ডেলের পরের গুলোতে আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম সেই ঐতিহ্যবাহী চন্দনগরের আলোকসজ্জা । এবং, এটা দেখার পরে আমাদের মনে এর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আর কোনো সংশয় রইলো না ।

এই পুজো প্যান্ডেলটির ভেতরটা নাতিপ্রশস্ত ছিল । আলো, কাগজ আর কাপড় দিয়ে সাথে বাঁশের কঞ্চি, এই ছিল মণ্ডপের ভেতরের সাজ সজ্জা । তবে নানান রঙের কাগজ আর কাপড় সাথে রং বেরঙের আলোর জন্য ভেতরটা স্বর্গপুরী লাগছিলো । সবশেষে বলবো জগদ্ধাত্রী প্রতিমাটি আকারে খুব বড় না হলেও দারুন দেখতে ছিল । চন্দননগরে ১০০ ফিট দীর্ঘ জগদ্ধাত্রী প্রতিমার নজিরও আছে কিন্তু । সেই হিসেবে এই পুজো প্যান্ডেলের প্রতিমাটির আকার ক্ষুদ্রই ছিল । আনুমানিক ১৫ ফিটের মতো হবে ।


প্যান্ডেলে ঢোকার প্রধান তোরণ । বিশালকায় একটা দৈত্যের মুন্ডু রয়েছে প্রধান তোরণে ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৬ টা ২৫ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দৈত্যের মুণ্ডুর ঠিক উপরেই রয়েছে বিশালকায় একটা ঘড়ি । ঘড়িটি মাটি থেকে আন্দাজ ২০০ ফুট উপরে । এবং এর ডায়ালের ব্যাস আনুমানিক ১০০ ফিট ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৬ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


টাইটানের মাথা আর ঘড়ি । দূর থেকে তোলা ফটো ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৬ টা ৪০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


দৈত্যের মুণ্ডুর কিছু ক্লোজ শট ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৬ টা ৫০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


পুজো মণ্ডপের ভেতরকার সাজসজ্জা ও জগদ্ধাত্রী প্রতিমা ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৬ টা ৫৫ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡



✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)



তারিখ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩


টাস্ক ১৪৭ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : a7afd950d1df6f81089ce084e4fadf6ab6007e35fcd5e7092e51a05cab3fbb83

টাস্ক ১৪৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক দারুন কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন দাদা। বিশেষ করে প্রধান প্রবেশ দ্বারে দৈত্যের মুন্ডু আর ঘড়ি দুটিই আসলে আকর্ষণীয়। পুজোতে অনেক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করে, সেটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



টাইটান বা দৈত্যের মুন্ডুর উপরের ঘড়ি দেখতে সত্যিই অনেক সুন্দর লাগছে। পুজোর থিম এবং ডেকোরেশন সবকিছুই দারুন ছিল। আসলে ঘড়ির কাটার টিকটিক করা বিষয়টিকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এত সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করা পুজো প্যান্ডেল দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। বাস্তবে হয়তো কখনো দেখার সৌভাগ্য হবেনা। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

দৈত্যের মুন্ডু এবং ঘড়ি, দুটোই নজর কারা আকর্ষণীয় দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, একেতো চমৎকার ভাবে তৈরি করেছে সেই সাথে লাইটিং যেন চোখ ফেরানো যাচ্ছে না।

ওরে বাবা! শুধু মাত্র ১০০ ফিটের ঘড়ির ডায়াল। ডায়াল বানাতেই কতটা সময় লেগেছে সেটা ভাবলেই তো অবাক হচ্ছি। মানুষ চাইলে কি না পারে।

পূজা প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা।অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেন আপনি।পন্দেলটি ও অনেক সুন্দর দৈত্যের মুন্ডু থেকে যে শর্ট টি নিয়েছেন সেটিই অনেক ভালো লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।এটি আসলেই অসাধারণ ছিল।

পূজা প্যান্ডেলের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন লাগলো। দৈত্যের মুন্ডুর যে ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা,সত্যি ই খুব সুন্দর হয়েছে। ঘড়িটিও খুব আকর্ষনীয় লাগছে।শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এতো সুন্দর ডেকোরেশন সত্যিই খুব দারুন লাগলো।

Nice piece of art!!

টাইটান বা দৈত্যের মুন্ডুটি অদ্ভুত দেখতে না হলে ও বেশ আকর্ষণীয় হয়েছে।আসলে আমার কাছে কিছুটা বুদ্ধদেবের মতো লেগেছে দেখতে।অনেক ধৈর্য্য দিয়ে করতে হয়েছে কাজটি।দেবীমায়ের মূর্তিটি দেখে মন জুড়িয়ে গেল,অসাধারণ এককথায়।ধন্যবাদ দাদা,ছবিগুলো সুন্দর ছিল।