ছোটবেলার মজার স্মৃতি - "গ্রাম্য মেলার কিছু টুকরো স্মৃতি"

in hive-129948 •  3 years ago 


কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স Pixabay


ছোটবেলার "মেলার স্মৃতি" অনেক-ই আছে । তবে সবই ছেঁড়া ছেঁড়া, টুকরো টুকরো । কোনটা ছেড়ে কোনটা যে বলি বুঝতে পারছি না । আমাদের গ্রামে যতগুলি মেলা হতো তার প্রায় সবই ছিল হিন্দু ধর্মের নানান ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত মেলা । পয়লা বৈশাখে হতো "বৈশাখী মেলা", শ্রাবণে হতো "রথের মেলা", আশ্বিনে হতো দূর্গা পুজো উপলক্ষে বিশাল "পুজোর মেলা", পৌষ মাসে হতো নাম-সংকীর্ত্তন উপলক্ষে বিশাল এক ধর্মীয় মেলা "নাম যজ্ঞের মিলন মেলা", ফাল্গুন মাসে দোলযাত্রা উপলক্ষে ছোটোখাটো একটি মেলা হতো আশ্রম প্রাঙ্গনে, চৈত্র মাসে হতো দুটি বড় বড় মেলা - এক "বাসন্তী দুর্গোৎসবের মেলা" এবং দুই "চড়ক মেলা" নীল পুজো উপলক্ষে । সারা বছরের মধ্যে আমাদের সবার আকর্ষণ থাকতো এই দুটি মেলার জন্য । এতো বড় মেলা আর তল্লাটে হতো না ।

আজকে কিছু টুকরো স্মৃতি শেয়ার করবো "দূর্গা পুজোর মেলার কথা" । ছোটবেলায় আমরা কেউ-ই বাপ মায়ের সাথে মেলায় যেতাম না । দল বেঁধে নিজেরাই যেতাম পুজোয় পাওয়া নতুন ড্রেস পরে। এক একটা গ্রূপে ভাগ হয়ে । এক একটি গ্যাং । মাঝে মাঝে লেগে যেত গ্যাং লিডারদের মধ্যে । মারামারি বাঁধতো তখন - ধুলোর ঝড় উঠতো । তবে আমাদের গ্রুপ যথাসাধ্য এড়িয়ে চলতাম সংঘাত । কারণ আর কিছুই না । যদি নতুন জামা কাপড়ে ধুলো-কাদা লেগে যেত বা ছিঁড়ে যেত তবে সেদিন বাড়ি ফিরলে আমাদের কানের উপরে বিশাল অত্যাচার আরম্ভ হতো । কান ছিঁড়ে যাওয়ার দশা হতো ।

মেলায় গিয়েই প্রথমে আমরা "ঘষা বরফ" খেতাম একেক জন দু-তিন গ্লাস করে । ঘষা বরফ হলো গোল্লা বরফের-ই মাসতুতো ভাই এক প্রকার । একটি প্রকান্ড বরফের টুকরো ঘষে ঘষে চেঁছে চেঁছে অনেকগুলি বরফের টুকরো বের করা হতো, এরপরে একটি কাঁচের গ্লাসে টুকরো গুলো নিয়ে নানান রকমের রং বেরঙের সিরাপ মেশানো হতো । সব শেষে লেবুর টুকরো দিয়ে আরো স্বাদ অ্যাড করা হতো । তাই-ই আমরা খেতাম কাঠি দিয়ে । আহা এতকাল পরে লিখতে গিয়ে জিভে জল চলে এলো ।

"ঘষা বরফ" খেয়েই অমনি হৈ হৈ করে চলতো মেলায় চক্কর দেয়ার কাজ । প্রথমে আমরা কোনো স্টলেই ঢুঁ মারতাম না, জাস্ট মেলাটা একটি পাক মেরে রেকি করতাম । এরপরে এন্তার পাঁপড় খেতাম সব্বাই । পাঁপড় খেয়ে অমনি আবার জলতেষ্টা পেতো । তো চলো আবার "ঘষা বরফের দোকানে" । এরপর আমাদের স্টল পরিদর্শন শুরু হতো ।

প্রকান্ড এক ঠোঙা "জিলিপি" আর "সেদ্ধ ছোলা মাখা" নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম আমরা স্টল পরিদর্শনে । প্রথমেই যেতাম মাটির তৈরী পুতুল-হাতি-ঘোড়ার দোকানগুলিতে । অসম্ভব টান ছিল আমার এগুলির প্রতি । ঝটপট অনেকগুলি মাটির জীব জন্তু কিনে ফেলতাম, সাথে কিছু পুতুলও । এরপরে সেগুলো দোকানদারের কাছেই জিম্মা রেখে আমরা আবার বেরিয়ে পড়তাম স্টলগুলো দেখতে ।

এর মধ্যে খাওয়া তো চলছেই । মুখ-নাড়া বন্ধ হতো না আমাদের । ছাগলের মতো সারাক্ষন কিছু না কিছু চিবিয়েই যেতাম । জিলিপি শেষ হলে আইস-ক্রিম, ছোলা শেষ হলে সিঙ্গাড়া, বেগুনি, ফুলুরি, চপ এসব । হাত চটচটে হয়ে যেত জিলিপির রসে বা ছোলা-মাখা খেতে খেতে । হাত মোছার এক অভিনব উপায় বের হয়েছিল আমার উর্বর মস্তিষ্ক হতে । ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত । ভীড়ের মধ্যে কেউই টের পেতো না এসব।

মাটির হাতি ঘোড়া কেনা হলে আমাদের নেক্সট টার্গেট থাকতো বন্দুক-পিস্তল কিনতে । ছোট্টবেলায় প্রচুর খেলনা বন্দুক-পিস্তল কিনেছি । মাথায় ক্যাপ লাগানো হ্যামার টানা কাঠের বাঁট-ওয়ালা বন্দুক এবং টিনের পিস্তল কিনতাম এন্তার । টিনের পিস্তল গুলো খুবই শস্তা ছিল । বারুদের স্ট্রিপ প্যাঁচানো থাকতো এই টিনের পিস্তলের মধ্যে, ঠাস ঠাস করে গুলি মারতাম । ধোঁয়ায় ঢেকে যেতো চারিপাশ । আর কিনতাম ক্যাপ লাগানো প্লাস্টিকের রিভলবার । গুলি করলে এই ক্যাপ ছুটে বের হতো বারুদের বিস্ফোরণে । এগুলো বেশ দামি ছিল ।

বন্দুক-পিস্তল, গোলা বারুদ কেনা শেষ হলে যেতাম স্পোর্টস এর সরঞ্জাম কিনতে । ফুটবল, ক্রিকেট বল আর ব্যাট, স্ট্যাম্প কিনতাম দুই সেট । এরপরে সবাই হাতে হাতে জিনিসগুলি নিয়ে আবার স্টলগুলো পরিদর্শনে বের হতাম । এরপরে যেতাম ছবি স্টলে । বেছে বেছে কেনা হতো তেন্ডুলকরের, সৌরভের ছবি, আমি এ ছাড়াও কিনতাম রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীব জন্তুর ছবি আর নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের কোনো না কোনো একটি ছবি । প্রত্যেক মেলায় নেতাজীর একটি ছবি কেনা হতোই । বন্ধুদের কেউ কেউ হিন্দু দেব-দেবীর ছবি কিনতো । কেউ কেউ আরো একটু সেয়ানা ছিল তারা কিনতো প্রীতি জিন্তা, ঐশ্বর্যা কিংবা কাজল-রানী এই সব বলিউডের অভিনেত্রীদের ছবি ।

এরপরে আমরা মিষ্টির দোকানে ভীড় করতাম । রসগোল্লা, ছানার জিলিপি, রাজভোগ এই সব খেয়ে চিনির ছাঁচের পুতুল কিনতাম অনেক - হাতি, ঘোড়া, রাজঁহাস এই সব । আবার ঘুরতাম স্টলে স্টলে । মেয়েদের সাজসজ্জার হরেক পণ্যের দোকান বসতো মেলার সিংহভাগ জুড়ে । সেসব স্টলেও ঢুঁ মারতাম আমরা । বাড়িতে মা-বোনদের জন্য কেনা হতো আলতা বা নেল পালিশ । আমি মায়ের জন্য নেলপালিশ কিনতাম ৩-৪ টা ।

এরপরে আবার খাওয়া দাওয়া হতো আরেক প্রস্থ । তারপরে একটু খোলা জায়গায় গিয়ে নাগরদোলা দেখতাম । আমি লাইফে কোনোদিনও নাগরদোলায় উঠিনি । ভীষণ ভয় করতো । বন্ধুদের কেউ কেউ উঠতো নাগরদোলায় । কেউ বমি করতো, কেউ কেউ ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দিতো । আবার কেউ কেউ আরো খতরনাক কাজ করতো - ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে ।

পড়ন্ত বেলায় মেলায় গিয়ে ফিরতাম সন্ধ্যা শেষে । মেলা প্রাঙ্গনে পুজো মণ্ডপে বাজতো লতা, হেমন্ত, সতীনাথ আর অনুপ ঘোষালের গান । একটার পর একটা -- "এনেছি আমার শত জনমের প্রেম .....আঁখিজলে গাঁথা মালা....ওগো সুদূরিকা, আজও কী হবে না শেষ
তোমারে চাওয়ার পালা"..... আহা ! কি সব দিন ছিল । মনে পড়লে এখনো মন কেমন করে ওঠে ।


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

স্মৃতিগুলো এখনো খুবই স্পষ্ট। ছোটবেলায় মেলায় গিয়ে গরম গরম জিলাপি খাওয়া ছিল আমার অনেক বড় একটা আকর্ষণ। মেলায় গিয়ে জিলাপি না খেলে অপূর্ণই থেকে যেত । ছোটবেলায় সার্কাস দেখেছি অনেকবার। বড় হয়ে আর যাওয়া হয়নি।

ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত ।

ওরে দুষ্টুর ডিব্বা রেেেেে 😅😅

god bless you

কোথায় যেন হারিয়ে ফেললাম নিজেকে সকাল সকাল, সত্যি দাদা পোষ্টের লেখাগুলো পড়ে পুরনো অনুভূতিগুলো নতুনভাবে জেগে উঠলো আবার। হ্যা, হয়তো আপনার মতো গ্রাম্য মেলাগুলো অতোটা উপভোগ করতে পারি নাই, তবে আমি যেখানে বড় হয়েছি সেখানে বৈশাখী মেলাটা বেশ জমে উঠতো, ঘষা বরফকে আমরা ভিন্ন নামে চিনতাম, যদিও নামটা এই মুহুর্তে মনে আসছে না, তবে আমরা গ্লাসের পাশাপাশি পলিথিনে নিয়ে ঘুরতাম আর তার স্বাদ নিতাম। এছাড়াও নানা রকমের খাবার এর স্বাদ নেয়ার সুযোগ থাকতো। তখন কি আর এতো ভেজাল ছিলো, খোলা খাবারের মাঝেও একটা মান থাকতো! ধন্যবাদ

পলিথিনের প্যাকেটে বরফ আর সিরাপ ভরা রং বেরঙের জিনিসটা আমরাও খুবই উপভোগ করতাম মেলায় । আমরা ওটাকে বলতাম "পেপসি" । তখনকার তেলেভাজা বলুন আর মিষ্টি বলুন ভেজাল ছিলো না মোটেও । এখন তো খাঁটি জিনিস পাওয়াই দুষ্কর ।

প্রিয় দাদা, ঘুম থেকে উঠেই আপনার এতো সুন্দর একটি পোস্ট চোখে পড়লো, দাদা আপনার পোস্ট পরে আমিও ছোট বেলায় হারিয়ে গিয়েছিলাম, সত্যি আমিও ছোট বেলায় অনেক মেলায় গিয়েছিলাম মেলায় গেলেই আগে আমি টিনের পিস্তল গুলো কিনেছিলাম, এরপর সব বন্ধুরা মিলে সারা রাস্তায় ঠাস ঠাস করে ফুটা তাম, সত্যি দাদা ছোট বেলায় মেলায় কাটানো দিন গুলো অনেক সুন্দর ছিলো, আপনার পোস্ট পরে ছোট বেলার সব সৃত্মি চোখের সামনে ভেসে উঠলো দাদা, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর সৃত্মিময় একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য, আপনার এবং আপনার পরিবারের অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো প্রিয় দাদা।

হাত মোছার এক অভিনব উপায় বের হয়েছিল আমার উর্বর মস্তিষ্ক হতে । ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত । ভীড়ের মধ্যে কেউই টের পেতো না এসব।

😁😁😁😁সত্যিই দাদা আপনি ছোটবেলায় ভারী দুষ্টু ছিলেন । তা না হলে কি কেউ এত বড় সাহস করে!!! আমার হলে জীবনেও এত বড় সাহস হতো না। তবে যাই বলেন দাদা এটা কিন্তু বেশ ভাল একটা বুদ্ধি ছিল। কে বুঝবে কি করে ভিড়ের মধ্যে কার কার সাথে কে লাগে কেউ সেটা বুঝতে পারে!!
মেলায় গেলে আমারও মিষ্টি জাতীয় জিনিস খেতে খুব পছন্দ হয় দাদা ।জিলাপি ,মিঠাই ,রসগোল্লা বিভিন্ন জিনিস। ছোটবেলায় খেলনা পিস্তল দিয়ে আমি অনেক খেলেছি দাদা বেশ ভালো লাগতো। তবে আপনার বন্ধুদের মত আমিও নাগরদোলা চড়তে ভয় পেতাম 😂। সত্যি দাদা ছোটবেলার জীবনটা আসলেই অন্যরকম। তখন খুব হাসি আনন্দে জীবন পার হয়। আমারতো এখনি মনে হয় এটা একটা স্বপ্ন ছিল আমাদের ছোটবেলা টা। আপনার ছোটবেলা অনেক সুন্দর ও মজার ছিল বেশ ভালো লেগেছে দাদা গল্পটি পড়ে। অপেক্ষায় রইলাম আপনার পরবর্তী এমন কোন মজার গল্পের জন্য।

দাদা,আপনার পোস্ট টা পড়ে আমার ভালো লাগার পাশাপাশি হাসি পাচ্ছিলো।দাদা আপনার বরফ ঘষার কাহিনি পরে আমার ছোট বেলার বিভিন্ন রঙের পাইপ আইসক্রিম খেতাম আর জিভ রঙিন করতাম।হাত মোছার ব্যাপারটাও বেশ মজার ছিলো।আর নাগর দোলা ও বন্দুকের কথা কি বলবো।ভালো লাগলো কথা আমার ছোটবেলা কিছু মনে পড়ে গেলো।

ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত । ভীড়ের মধ্যে কেউই টের পেতো না এসব।

দাদা এই কাজটা আমিও কিন্তু ছোটবেলায় করেছি দু একবার। বেশিরভাগ স্কুল লাইফে করেছি। সব বন্ধুরা যখন টিফিন টাইমে খাওয়া দাওয়া করে হাত মোছার সময় হতো তখন সহপাঠী অথবা বন্ধুদের পিঠের উপরে হাত রেখে দিতাম। কোনভাবে হাতটা তাদের জামাই মুছে নিতাম তবে কখনো কখনো তারা টেরও পেয়ে যেত। তবে দাদা আপনারা বন্ধুদের গ্যাং মিলে দূর্গা পূজার মেলায় গিয়ে খুবই মজা করতেন। বিশেষ করে ছাগলের মতো চিবিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা বেশ মজার ছিল। দাদা মজার মজার স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

হাত মোছার এক অভিনব উপায় বের হয়েছিল আমার উর্বর মস্তিষ্ক হতে । ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত । ভীড়ের মধ্যে কেউই টের পেতো না এসব।

গ্রাম্য মেলায় ঘুরতে গিয়ে আপনি অনেক মজা করেছেন ও আনন্দ করেছেন এটা বোঝাই যাচ্ছে। আসলে ছেলেবেলার সেই শৈশবের স্মৃতি গুলো আজও মনে পড়ে। তবে খাওয়ার পর ভিড়ের মাঝে অন্যের জামায় হাত মোছার অভিনব কায়দাটি কিন্তু দারুন ছিল। আমিও আপনার মত এই কায়দাটি অবলম্বন করেছি অনেকবার। তবে সেটা ভিড়ের মধ্যে বা মেলায় নয়। যখন স্কুলে কোন খাবার খাওয়ার পর হাত মোছার প্রয়োজন হতো তখন কোনো এক বান্ধবীর ওড়না দিয়ে আলতো করে মুছে দিতাম। আজকে আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে দাদা। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা মেলায় ঘুরতে যাওয়ার স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

হাত মোছার এক অভিনব উপায় বের হয়েছিল আমার উর্বর মস্তিষ্ক হতে । ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত।

দাদা।এই বুদ্ধি টা কিন্তু দারুন ছিল হাত মোছার জন্য ভিড়ের মধ্যে মানুষের কাপড়ে মুছে নিজের হাত পরিষ্কার করে ফেলতেন🤭 দাদা, সত্যি কথা বলতে কি সোনালী অতীত গুলো প্রতিটা মানুষের মনের মধ্যে দোলা দেয়। যেমন আপনার মনের মধ্যে এ পোস্টটি লেখার সময় দোলা দিচ্ছিল আর মন চাইছিল ঐ ছোট বেলার জীবনে ফিরে যেতে তাই না দাদা?
দাদা, ছোটবেলায় আপনি চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন।মেলায় গেলে আপনি হরেক রকমের জিনিস কিনতেন আবার মেয়েদের প্রসাধনীও কিনতেন আপনার মায়ের জন্য খুবই ভালো লেগেছে পড়ে। দাদা, আপনার ছোটবেলার মজার স্মৃতির পুরোটা পোস্ট পড়ছিলাম আর মুচকি মুচকি হাসছিলাম আমাদের প্রিয় দাদা এত চঞ্চল প্রকৃতির মানুষ ছিল যা ভাবতেও অবাক লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।।

আপনার এই পোস্টে কমেন্ট করতে এসে কিছুটা বিপদে পড়েছি। আসলে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলব আর কোনটা ছেড়ে দেবো সেটাই বুঝতে পারছি না। আপনার এই পোস্ট থেকে শৈশবের অনেকগুলো স্মৃতি একসাথে চোখের সামনে ভেসে উঠলো। তবে আপনাদের মেলার কেনাকাটা ছিল রীতিমতো বাদশাহী। দেখছি প্রচুর কেনাকাটা করতেন আপনারা। আর পাঁপড় না খেলে তো মেলায় যাওয়া বৃথা মনে হতো। আমাদের অবশ্য এত কিছু কেনা হতো না। তবে ছোটবেলায় খেলনা কেনার প্রতি ঝোঁক খাদ্য মেলা থেকে। তবে গ্রাম বাংলার যে মেলা গুলি আমরা ছোটবেলা থেকে দেখেছি সেটার অনেক কিছুর সাথে আপনাদের মেলার মিল ছিলো দেখছি। ছোটবেলায় আমিও আপনার মত প্রচুর বন্ধু পিস্তল কিনেছি। বিশেষ করে টিনের পিস্তলের কথা এখনো মনে পড়ে। বারুদের স্ট্রিপ দেয়া থাকতো এবং বেশ শব্দ হোতো গুলি করলে। আমাদের এখানে মেলায় আপনাদের ওই বরফের গোলাটা পাওয়া যেতো না। বাদবাকি সব দেখছি প্রায় একই রকম। আর শেষে আপনি এমন একটা গানের উল্লেখ করেছেন যে গানটা আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি গান। এই গানটা যখনি শুনি মনটা জানি কেমন হয়ে যায়। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এতগুলো শৈশবের স্মৃতি একসাথে মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।

আপনি দূর্গা পূজার মেলায় ঘোরাঘুরি অসাধারণ কিছু কথা আমার সাথে শেয়ার করেছেন। সবারই শৈশব অনেক সুন্দর হয়ে থাকে এই বয়সে কোন চিন্তা ভাবনা থাকে না। তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হল আপনি অনেক মিষ্টি পছন্দ করতেন ছোটবেলায়। আপনি অনেক মিষ্টি প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর অনুভূতি অনুভূতি আমার সাথে শেয়ার করো কেন। সবসময় ভালোবাসা নিবেন দাদা আপনার জন্য ভালবাসা অবিরাম।

যদি নতুন জামা কাপড়ে ধুলো-কাদা লেগে যেত বা ছিঁড়ে যেত তবে সেদিন বাড়ি ফিরলে আমাদের কানের উপরে বিশাল অত্যাচার আরম্ভ হতো । কান ছিঁড়ে যাওয়ার দশা হতো

ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। কারণ আপনার ছোটবেলার স্মৃতি সাথে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মিল খুঁজে পেলাম। সত্যিই আপনার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনের স্মৃতি পাতার সাথে অনেক মিল রয়েছে। আসলে আমরা নতুন জামা পড়ে যখন বাইরে যেতাম জামাটা যদি ছিরে যেতো কিংবা বেশি ময়লা হতো তাহলে মার কাছে অনেক মার খেতাম এবং কান মলাও খেতাম। যাইহোক আপনি মেলাতে অনেক সুন্দরভাবে ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো আমার সাথে অনেক মিল রয়েছে। আমিও মেলাতে রসগোল্লা খেতাম এবং বন্দুক কেনার জন্য পাগল হতাম। আর এই বন্দুক কিনে এনে বাড়িতে সবাইকে দেখাতাম এবং অনেকে খেলাধুলা করতাম।আপনার ছোটবেলার মেলার স্মৃতি গুলো সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে এবং আমার সাথে অনেক মিল রয়েছে। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।

বাসন্তী দুর্গা পূজা আমাদের বাড়ি থেকে কিলোমিটার দূরে পাশের গ্রামে হতো, কোনো কারণে পুজোটা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মনে আছে যখন খুব ছোটো ছিলাম ৭ দিন ব্যাপী মেলাটা চলতো আমি প্রতিদিন যেতাম। আমার যদিও খাওয়ার উপরে নজর থাকতো না। আমি মেলায় যেতাম খেলনা গাড়ি কিনতে আর তারপর বাড়ি এসে সেই গাড়িটাকে ভাঙ্গতাম। খিক খিক।

মাঝে মাঝে ১ টাকার পেপসি বরফ ভাগ্যে জুটতো। তোমার ব্লগটা পড়ে অনেক গুলো স্মৃতি মনে পড়ে গেলো।

যদিও আমাদের এরিয়াতে সব সময় মেলা হতো না। কিন্তু প্রতিবছর একটি মেলা হতো ,যা আমাদের বাড়ির কাছাকাছি অবস্থিত। হেঁটে যেতে ১৫ মিনিট লাগতো। আর সেই মেলাটি বেশ বিখ্যাত ছিল ।দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসতো ।সে মেলাটি নলদিয়া মেলা হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে এখন আর সেই মেলাটি সংগঠিত হয় না বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে।
"ঘষা বরফ" এই নামটি আমি কখনো শুনিনি। এটা কি হতে পারে দাদা আর এটি যে খাওয়া যায় তাও চিন্তা করতেছি।🤔

জিলিপি শেষ হলে আইস-ক্রিম, ছোলা শেষ হলে সিঙ্গাড়া, বেগুনি, ফুলুরি, চপ এসব ।

এই জিনিসটা আমার সাথে হয়েছে, যদিও খাবারগুলো মিল নেই। কিন্তু যখন আমরা মেলায় যেতাম তখন আব্বুর হাত ধরে এটা ওটা কিনে দেয়ার জন্য বায়না করতাম। আর একটা খাবার শেষ হওয়ার পর পর আরেকটা ।এরকম করেই চলতে থাকতো।

প্রথমেই যেতাম মাটির তৈরী পুতুল-হাতি-ঘোড়ার দোকানগুলিতে।

আমার কাছেও মাটির তৈরি জিনিসপত্র গুলো খুব ভালো লাগতো। আমার মনে আছে ছোটবেলায় আমি একটি পুতুল কিনেছিলাম।সেই পুতুলটিকে অনেক যত্ন করে রেখেছি। কিন্তু একদিন আমার ছোট ভাই সেই পুতুলটির মাথাটা ভেঙ্গে ফেলেছিলো। কি যে রাগ হয়েছিল আমার।

দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার ছোটেবেলার স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন।আসলে দাদা আমিও ছোটে বেলায় মেলায় গেলে অনেক ধরনের পুতুল ,প্লাস্টিকের গাড়ি এবং পিস্তল নিতাম।আমারে অনেক ভালো লাগতে।আসলে ছোটে বেলায় গিয়ে কোনে কিছু না নিলে ভালো লাগতে না।দাদা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

নাগোর দোলায় উঠেছি বহু। যখন ঘুড়ে নিচের দিকে নামে তখন গায়ের মধ্যে একটা শিরশির ভাব অনুভূত হয় ।আগে তো কাঠের নাগরদোলা ছিল , ক্যাচর ম্যাচর শব্দ হতো। বেশ মজা। এখন তো লোহার বেয়ারিং দেয়া থাকে। হাত মোছার ব্যপার টা আমার সাথে মিলে গেছে। হা হা হা। আর যে পিস্তলের কথা লিখেছেন দাদা সেটি আমি এখনও খুজি পাই না। ভিতরে রোল করে পেচানো থাকতো । ট্রিগার টিপলে একটা একটা করে ফুটতো। সত্যি পুরোনো দিনে কথা মনে করিয়ে দিলেন দাদা। মনে পড়লে সত্যি মনটা কেমন করে ওঠে। ভাল থাকবেন দাদা।

দাদা আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম 🤗
প্রথমেই বলি আপনি মেলায় ঘুরে ঘুরে খাবার খাওয়ার গল্প করছিলেন আর আমার জিভে পানি চলে আসছিল 🤭 কি দুষ্টু আর ডানপিটে ছিলেন বোঝাই যাচ্ছে 😄 আর নাগর দোলায় কেউ কেউ উঠে বমি আর ছোট কাজ সেরে ফেলতো ব্যাপারটা ভীষণ মজার ছিল 🤭 আমারও নাগর দোলা বেশ ভয় লাগতো ছোট বেলায় 😄 আমি দু একবার মনে হয় উঠেছিলাম 🤗 আইসক্রিমের কথা মনে করিয়ে দিলেন দাদা। ছোট বেলায় মেলায় গিয়ে মালাই আইসক্রিমটা বেশি খেতাম, ভীষণ ভালো লাগতো।
দাদা আপনার এই পোস্টগুলো আমার ভীষণ ভালো লাগে।
ভালো থাকুন দোয়া সবসময়ই করি 🤲

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

আপনাদের সময় অনেক মেলা হতো। কিন্তু এখন ক্রমেই মেলার সংখ্যা কমছে এবং আগেকার সেই গ্রামও এখন নেই।

এক একটা গ্রূপে ভাগ হয়ে । এক একটি গ্যাং

দাদা কী কিশোর গ‍্যাং এর লিডার ছিলেন নাকী হি হি।

ঘষা বরফকে আমরা এখন গোলা বলি। গোলা আমার অনেক পছন্দ। মেলা মানেই খাওয়া দাওয়া হুল্লোড় ঘোরাঘুরি। তবে আমিও আপনার মতো নাগরদোলা একবার উঠে শিক্ষা হয়ে গেছিল আর কোনোদিন উঠি নাই হা হা। কোথায় হারিয়ে গেল সেই সোনালী অতীত।।

চিনির ছাঁচের পুতুল কিনতাম অনেক - হাতি, ঘোড়া, রাজঁহাস এই সব।

বাহ্ এগুলোর কথা তো ভুলেই গিয়েছিলাম, ছোটবেলায় আমরাও মেলা থেকে এগুলো কিনে আনতাম, খুবই পছন্দের ছিল। এখন কি এগুলো পাওয়া যায়?

"ঘষা বরফ" চমৎকার নাম, খুবই মজা পেলাম ঘষা বড়ফ খাওয়ার সাথে সাথে অন্যান্য কর্মকান্ড দেখে। ভালো লাগলো মায়ের জন্য নেলপালিশ কেনা দেখে, কিন্তু পুতুল কার জন্য কিনতেন? যাইহোক আপনার এই পোষ্টটি পড়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



কোথায় থেকে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম বারবার। এযেন আমার শৈশব স্মৃতি , চোখের সামনে ভেসে উঠছিল বারবার। অনেকবার হেসেছি , বিশেষ করে হাত মোছার ঘটনা , ফটো কেনার ঘটনা অভিনেত্রীদের ফটো ,সঙ্গে নাগরদোলার ঘটনাও বেশ মজার ছিল । সর্বোপরি পুরো আবেগপ্রবণ ব্যাপার। সুন্দর লিখেছেন ভাই । শুভেচ্ছা রইল।

বেশি ভালো লাগলো ঘষা বরফ এর বিষয় টা। আপনার লিখতে যেয়ে জিভে জল চলে আসছে। আর আমি আপনার বিবরণ পড়তে পড়তে কল্পনা করে মুখে জল চলে আসছে। ছোট বেলায় আমিও মেলা থেকে পিস্তল বন্দুক কিনতাম। কিন্তু সেগুলো বাসায় নিয়ে আসতে আসতে রাস্তাতেই নষ্ট করে ফেলতাম।

আমাদের ছোটবেলার ওই দিনগুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। দোকানে দোকানে ঘুরে মিষ্টি জিলাপি খাওয়া এবং স্টলে স্টলে ঘুরে বিভিন্ন রকমের জিনিস কেনা সবকিছুই আমাদের ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্টের মাধ্যমে আমাদের ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য দাদা আপনাকে ধন্যবাদ।

প্রিয় দাদা আপনি আজ খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।আমার তো ছোটো বেলার সব স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। শৈশবে কাটানো দিন গুলো সত্যি অনেক মিস করছি দাদা আমাদের এলাকায় বৈশাখী মেলা হতো সেই মেলায় আমি পান্তার দোকান দিতাম।আপনাদের মতো বেশি ঘুরতে পেতাম না তবে বান্ধবীরা মিলে অনেক মজা করতাম। দাদা মেলা মানেই জিলাপি বরফ খাওয়ার অন্য রকম অনুভূতি থাকতো।আমি ছোট বেলা থেকেই নাগর দোলায় উঠতাম এখনো উঠি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে নাগর দোলায় দোল খেতে। এরপরে আমরা মিষ্টির দোকানে ভীড় করতাম । রসগোল্লা, ছানার জিলিপি, রাজভোগ এই সব খেয়ে চিনির ছাঁচের পুতুল কিনতাম অনেক - হাতি, ঘোড়া, রাজঁহাস এই সব ।বিশেষ কর মেয়েদের ভির জমতো সাজসজ্জার হরেক পণ্যের দোকান গুলোতে।মনে হতো অনেক যদি টাকা থাকতো মেলার সব জিনিস নিয়ে আসতাম। ছোট বেলার সকল স্মৃতিময় কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় দাদা। বেশ ভালো লাগলো দাদা সাথে আমাদের কথা গুলো শেয়ার করতে পারলাম।অনেক অনেক শুভকামনা রইল দাদা❤️❤️❤️

দাদা আপনারা হাত মোছার এই অভিনব কায়দা টা বেশ ভালো লাগলো। আপনি যে দুষ্টুর শিরোমনি ছিলেন এটা পড়েই তা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম। আসলে আপনার মতো মেলায় ঘোরার কোন মজার স্মৃতিই আমার নেই। আমাদের এদিকে তেমন একটা মেলা হয় না। ধন্যবাদ শৈশবের আনন্দময় কিছু স্মৃতি শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলায় আমিও প্রচুর ঘষা বরফ খেতাম। এটি খাওয়ার পর পুরা জিববাতে রং লেগে যেত আর এই বিষয়টা আমি বেশ উপভোগ করতাম।

আর ভিড়ের মধ্যে হাত মুছার আইডিয়াটা কিন্তু টা বেশ ভালো ছিল। ভিড়ের মধ্যে কেউ বুঝতেও পারবে না। আমারও কখনো নাগর দোলায় চড়া হয়নি। বেশ ভয় লাগে আমার।

সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বেশ উপভোগ করেছি দাদা। আপনার ছোটবেলায় এরকম মজার আরো অনেক স্মৃতি আমরা জানতে চাই।

Wow so colorful!

  ·  3 years ago (edited)

দাদা আপনার মেলার গল্প পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ। আপনি ছোটবেলায় এত দুষ্টু ছিলেন সেই ভাব এখনো কিছুটা রয়েছে আপনার মধ্যে।

ভীড়ে যাকেই পেতাম তার জামায় মুছে নিতাম হাত । ভীড়ের মধ্যে কেউই টের পেতো না এসব।

এই লাইন গুলো পড়ার পরে মনে হল যে আসলে আপনার কান ছেড়াই উচিত। যার কাপড়ে মুছতেন তার কি অবস্থা হতো।

কেউ বমি করতো, কেউ কেউ ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দিতো । আবার কেউ কেউ আরো খতরনাক কাজ করতো - ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে ।

আপনি কি শেষ দলে ছিলেন নাকি? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে । আপনি যে ভীতু মানুষ।
যাইহোক আপনার মেলার গল্প পড়তে পড়তে আমারও ছোটবেলায় মেলার ঘুরার দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসছিল। আপনার ঘষা বরফগুলো অনেক দেখেছি কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি।

  ·  3 years ago (edited)

দাদা আপনার পোস্ট টা পড়ে আমার সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেছে দাদা।ছোট থাকতে আপনার মতো করে গ্যাং নিয়ে মেলায় যেতাম। তবে আব্বুর সাথে৷ শুধু একবার গিয়ে ছিলাম। সব সময় অপেক্ষায় থাকতাম কখন বৈশাখী মেলা হবে। মেলায় গিয়ে মাটির সব সুন্দর সুন্দর খেলনা গুলো কিনব।মেলায় ঘুরতে বেশি পছন্দ করতাম। দাদা আমিও আপনার মতো মেলায় কখনো নাগরদোলায় উঠিনি। দেখে যতটা না ভয় পেতাম তার চেয়ে বেশি আরও মাথা ঘুরতো।
দাদা আপনার পুরো পোস্ট টা পড়ে একটা কথা বেশি মাথায় আসছে।আপনি ছোট বেলায় অনেক বেশি দুষ্ট ছিলেন।
অনেক ধন্যবাদ দাদা,আপনার জন্য অনেক দুআ ও ভালোবাসা রইল ছোট বোনের পক্ষ থেকে।

অম্লান শৈশবের সেই মেলা করার কথা আমার মনে হলে মৃদুমন্দ হাসি আমার মুখ লাল করিয়ে তোলে।পাশের দর্শক বুঝতে পেরে জিঙ্গেস করে। কি ভাই এত খুশি কেন?. উত্তর, কিছুনা। কার কাছে ফিরে চাবো। আমার মনের আলমারিতে সাজিয়ে রেখেছি স্বর্গে বিলাব বলে।

বন্ধুদের কেউ কেউ উঠতো নাগরদোলায় । কেউ বমি করতো, কেউ কেউ ভয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দিতো । আবার কেউ কেউ আরো খতরনাক কাজ করতো - ভয়ে প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে ।

দাদা আপনার ছোট বেলা যে কতটা মধুর ছিল তা আপনার প্রতিটা ছোটবেলার গল্প পড়ে বুঝা যাই। কতো মজা কতো খাবার কতো দুষ্টমি। সব মিলিয়ে একটা সুনালী দিন ছিল। অনেক বেশি ভালো লাগে আপনার এই ছোট বেলার গল্প গুলো। তবে শেষের লাইন গুলো পড়ে ইচ্ছে করছে আবার ও ফিরে যাই সেই ছোট্ট বেলার ছোট্ট দিন গুলোতে ।

আহা! শৈশবের মেলার কথা মন পড়ে গেল। টিনের বন্ধুক কতো কিনেছি মেলা থেকে! মেলায় লাল জিলাপিগুলা খেতে খুবই ভালো লাগতো আমার। আর মেলা মানেই নাগরদোলা। একবার উঠে মাথা ঘুরিয়ে পড়েই গিয়েছিলাম। আপনার শৈশব বেশ উজ্জল ছিল দাদা। এতো মজা করতে পারিনাই। আপনার গল্প পড়ে খানিকক্ষণের জন্য শৈশবে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ দাদা 😍

স্মৃতিগুলো জাস্ট মধুর। তবে কয়েকটা বিষয় পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করছে দাদা। যেমন নাগরদোলায় উঠে আপনার বন্ধুদের বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং এই জিলিপি খেয়ে হাত পরিষ্কার করার অভিনব কায়দা।এগুলো সত্যি পড়েই বেশ মজা লাগলো। জানিনা আপনাদের করতে কতটা মজা লাগতো।