[ফোটোগ্রাফি পোস্ট] বাগবাজারের গঙ্গার কাছে কুমোরটুলিতে একদিন - পর্ব ০৩steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  last year  (edited)

গত পর্বে কুমোরটুলির ফোটোগ্রাফির সাথে মৃৎশিল্পের প্রধান উপাদান মাটি কি ভাবে প্রস্তুত করা হয় সে ব্যাপারে হালকা একটু আলোকপাত করেছিলাম । আজ বলবো মূর্তির কাঠামো তৈরী বিষয়ে কিছু কথা । মাটির মূর্তির ভেতরের অবকাঠামোটাকেই সাদা বাংলায় কাঠামো বলা হয়ে থাকে । এটি হলো মাটির মূর্তির ভেতরের কঙ্কাল । এর ওপরেই মাটির পর মাটির স্তরের প্রলেপ দিয়ে মূর্তি তৈরী করা হয় ।

সর্বপ্রথম একটা মূর্তির জন্য স্ট্যান্ড তৈরী করা হয় । এই স্ট্যান্ডটি বাঁশ এবং কাঠ দ্বারা নির্মাণ করা হয়ে থাকে । এই স্ট্যান্ড বা বেদীর উপরেই মূর্তি নির্মাণ করা হয় । স্ট্যান্ড বা বেদী তৈরির পর এর সাথে একটা বাঁশের স্ট্রাকচার তৈরী করা হয় মূর্তির পিছনে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য । সবশেষে কাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয় ।

মনুষ্য বা অন্য প্রাণীর আকৃতির মূর্তির জন্য সর্বপ্রথম যেটা দরকার সেটা হলো একটা কঙ্কাল । যার উপরে মূর্তিটি গড়ে উঠবে । এ জন্য মানুষ এবং বিভিন্ন প্রাণীর এনাটমি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা দরকার শিল্পীর । বাঁশের বিভিন্ন টুকরা দিয়ে মানুষ বা প্রাণীর একটা অভ্যন্তরীণ স্ট্রাকচার বা কঙ্কাল তৈরী করা হয় । পাটের দড়ি দিয়ে মজবুত করে বেঁধে অবশেষে যখন কঙ্কাল তৈরী সম্পন্ন হয় তখন এতে খড়ের আস্তরণ যোগ করা হয় ।

মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর যেমন কঙ্কালের ওপরে মাংসপেশি থাকে এই মূর্তির বেলায়ও তাই করা লাগে । এ ক্ষেত্রে বাঁশের কঙ্কালের ওপর খড় পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে মাংশপেশী যোগ করা হয় । তারপরে পাটের সুতো দিয়ে মজবুত করে পেঁচিয়ে বাঁধলেই একটা নিখুঁত মানুষ বা প্রাণীর অবয়ব পাওয়া যায় ।

এরপরে বাকি থাকে মাটি আর রঙের কাজ । অর্থাৎ আসল কাজ । বাকি পর্বগুলোতে এসকল বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করবো ।

আজকে আবারো কুমোরটুলির বেশ কিছু ফোটো নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গিয়েছি । আগামী দুই পর্বে আমার এই ফোটোগ্রাফি সিরিজটি সমাপ্য । আশা করছি আজকের এপিসোডটা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।

তো চলুন তাহলে আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক আমার আজকের এই আয়োজন ।


Image 2023-07-30 at 00.36.05.jpg

আর মাত্র ১৪ দিন বাকি মহান স্বাধীনতা দিবসের । আর এই স্বাধীনতা অর্জনে সব চাইতে যাঁর অবদান বেশি আজ তাঁরই মূর্তি দিয়ে শুরু করলাম আমার আজকের এই এপিসোড । নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-07-30 at 00.36.06.jpg

পূজা মণ্ডপের শোভা বর্ধনের জন্য তৈরী হচ্ছে পরীর মূর্তি ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-07-30 at 00.36.07.jpg

যে দিকে তাকাই শুধু মূর্তি আর মূর্তি । এ জন্য এক মূর্তির শহরে এসে পৌঁছেছি ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-07-30 at 00.35.48.jpg

পুজোর এখনো অনেক বাকি । কিন্তু এই ছোট আকৃতির দূর্গা মূর্তির নির্মাণকার্য প্রায় সম্পন্ন । শুধু রং করা বাকি । আর সব কাজ শেষ ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-07-30 at 00.35.46.jpg

Image 2023-07-30 at 00.36.18.jpg

প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে সার সার দূর্গা মূর্তি । এই কারখানাটা বেশ বড়ো । আর দ্বিতীয় ছবিতে সার সার গণেশ মূর্তি । সামনের মাসেই গণেশ চতুর্থী । তাই বাজারে গণেশের চাহিদা এখন তুঙ্গে।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-07-30 at 00.35.29.jpg

Image 2023-07-30 at 00.35.47.jpg

Image 2023-07-30 at 00.36.16.jpg

এই ষ্টুডিওটাও এখন অনেক বড় । ছোট বড় নানান নির্মীয়মান মূর্তিতে ঠাসা ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


Image 2023-07-30 at 00.35.41.jpg

Image 2023-07-30 at 00.35.42.jpg

এই ষ্টুডিওতে সব বড় বড় দূর্গা প্রতিমা । আর সংখ্যায়ও তারা অগুনতি ।

তারিখ : ২৭ জুলাই ২০২৩
সময় : বিকাল ৬ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : NIKON
ক্যামেরা মডেল : D5600
ফোকাল লেংথ : ৮৬ মিমিঃ


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)


তারিখ : ০১ আগস্ট ২০২৩

টাস্ক ৩৪২ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : a6f30ec16b665c83d1754abebe45d297fbfc16c25dce40998dae393dd4d08310

টাস্ক ৩৪২ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যতই পড়ছি ততই যেন নতুন নতুন ব্যাপার গুলো জানছি ভাই, যদিও কাঠামো বানানোর ব্যাপারে কিছুটা হলেও তথ্য আগে থেকে জানা ছিল, তবে নতুন করে আরো অনেক কিছুই জানতে পারলাম। এটা মানতেই হবে কুমোরটুলি এলাকার শিল্পী বা কারিগররা যে এখন থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে, তা যেন ছবিগুলোই প্রমাণ করে দিচ্ছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

কুমোরটুলির এই মৃৎশিল্প দেখে আমি সত্যি ই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।আর আপনার মাধ্যমে অনেককিছুই জানলাম,এই মূর্তি বিষয়ে।অসাধারণ তাদের হাতের কাজ।যেদিকে তাকাই শুধু মূর্তি আর মূর্তি।আপনার ফটোগ্রাফি যেনো কথা বলছে দাদা।আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আমার খুব ভালো লেগেছে। সামনে স্বাধীনতা দিবস তাই প্রথমেই নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি গড়া শেষ।খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা পরবর্তীতে আরো কিছু ফটোগ্রাফি দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের গড়া মূর্তিগুলো দেখে সত্যিই দারুন লাগলো। তাছাড়াও চারিদিকে অজস্র সুন্দর মূর্তি দেখা যাচ্ছে, বেশ ভালোই লাগলো। তাছাড়াও মূর্তি তৈরির বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যা শুনে সত্যিই অবাক হলাম। সামনের পর্বে আরো নতুন কিছু জানতে পারবো আশাকরি দাদা।

সুন্দর সব মূর্তি গুলো দেখে আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়। তবে এই মূর্তিগুলো তৈরির পেছনে অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে। অনেক পরিশ্রম করে একজন মৃৎশিল্পী এই মূর্তিগুলো তৈরি করেন।মূর্তির কাঠামো তৈরী করা সত্যিই অনেক কঠিন কাজ। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।

দাদা কুমোরটুলির তৃতীয় পর্বে এসে মূর্তি তৈরীর বিষয়ে অনেক ধারনা পেলাম। আগে একটু একটু শুনেছি আজকে সম্পূর্ণ জানতে পারলাম। সেই সাথে মূর্তির শহরের অনেক ফটোগ্রাফি দেখলাম। ধন্যবাদ দাদা।

স্যার, আপনি ভাস্কর্য নিয়ে খুব ভালো লিখেছেন, ভালো তথ্য পেয়েছেন, ধন্যবাদ।

এই সিরিজের প্রতিটি পর্বের ফটোগ্রাফি দুর্দান্ত হয়েছে দাদা। মূর্তির কাঠামো তৈরীর ব্যাপারে সুস্পষ্ট ধারণা পেলাম। এমন নিখুঁত কাজ দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। নির্দ্বিধায় বলা যায় তারা বেশ দক্ষ। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং পরীর মূর্তি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে দাদা। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

Que fino! Excelentes esculturas, me gustó mucho la de angel. Quisiera ver más publicaciones como esta en steemit

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাগবাজারের গঙ্গার কাছে কুমোরটুলিতে একদিন -এর পর্ব ০৩ এসে আজ আপনি প্রায় দশটি অনেক সুন্দর সুন্দর মূর্তি শেয়ার করেছেন। অনেক কিছু আজকে জানতে পারলাম দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। এ তো যেন মূর্তির গোডাউন। চারদিকে শুধু মূর্তি আর মূর্তি। তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তি দেখছি আগে বানানো হলো। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।

মূর্তির কাঠামো কিভাবে তৈরি করা হয় সে সম্পর্কে আমার কিছুটা ধারণা রয়েছে দাদা। কেননা আমার এক বন্ধু তার নাম প্রলয়, তাদের বাড়িতে দুর্গাপূজোর সময় যে মূর্তিগুলো তৈরি করা হতো, তখন সে আমাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যেত। আর আমি সেসব দেখার জন্য প্রায় প্রতিদিন প্রলয়ের বাড়ি যেতাম। আর তখন দেখেছিলাম একজন মৃৎশিল্পী কতটা কষ্ট করে একটি মূর্তির পরিপূর্ণ রূপ প্রদান করে। আর এই মৃৎশিল্পীর নিখুঁত হাতের কারু কাজের প্রশংসা না করলেই নয়। যাইহোক দাদা,বাগবাজারের গঙ্গার কাছে কুমোরটুলিতে গিয়ে বিভিন্ন মূর্তির ফটোগ্রাফি করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

  ·  last year (edited)

নিঃসন্দেহে এটা ভিন্ন রকম একটা অনুভূতির বিষয়, সত্যি বলতে এতোটা দক্ষতা এবং নিপূণতার সাথে কিছু তৈরী করা যায়, এই দৃশ্যগুলো না দেখলে হয়তো অনেকেই বুঝতেই পারবে না। আসলেই এ যেন এক মূর্তির নগরী, দরদ আর মমতায় অপূর্ব সৃষ্টি। ধন্যবাদ

নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি মূর্তি তৈরি করার কাঠামো সম্পর্কে, কিছুটা হলেও ধারণা পেলাম এ সম্পর্কে জানতে পারলাম। চমৎকার ছিল প্রত্যেকটা মূর্তির অবকাঠানাগুলো, মূর্তির ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার ছিলেন।

পুরো এলাকাটি নিশ্চই এই শিল্পীদের জন্য খুব বিখ্যাত। বাঁশ বা কাঠে খড় পেচিয়ে কাঠামো তৈরির বিষয়টি জানা ছিল না। স্বাধীনতা দিবস, গণেশ পূজা, দুর্গা পূজা একের পর এক। সব মিলিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শিল্পীরা।

মূর্তির কাঠামো তৈরীর বিষয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।আসলেই বাঁশের স্ট্রাকচার তৈরী করা খুবই কঠিন কাজ।তাছাড়া এত নিখুঁত কাজ করা খুবই ধৈর্য্যের ও সময়সাপেক্ষ।প্রথম মূর্তিগুলো দেখে মনে হচ্ছে পাথর নির্মিত।দুর্গাপূজা দেরিতে হলেও তার কাজ বেশ জমজমাট চলছে দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।

সত্যি বলতে দাদা এই রকম মূর্তির কারখানা এর আগে কখনো দেখিনি। তবে মাঝেমধ্যে ফেসবুকে দু একটা ফটো দেখতাম। তবে এতগুলো ফটো একসাথে এত সুন্দর ভাবে দেখা হয়নি যেটা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন।

দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি মনোমুগ্ধকর হয়েছে। কুমোরটুলিতে বেশ ভালো সময় অতিবাহিত করেছেন। আর আজকে কাঠামো বানানোর প্রক্রিয়াটাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। এবারের স্বাধীনতা দিবসে আশা করি স্পেশাল একটি হ্যাংআউটের আয়োজন করা হবে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।