অসুস্থতা যেনো ছাড়ছেই না ফ্যামিলিতেsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  last year 


মাত্রই অল্প কিছুদিন পূর্বে টিনটিন আর আমি আহত হয়েছিলাম । হ্যান্ড ইনজুরি দুজনেরই । এটা সারতে না সারতেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়লো টিনটিন । গত ৩-৪ দিন ধরেই ওর বাঁ চোখের উপরের পাতা কিছুটা ফোলা ফোলা দেখছিলাম । তেমন আমল দেইনি আমরা । ভেবেছিলাম পিঁপড়ে কামড়েছে । মাঝে মাঝেই ওর চোখের পাতায় পিঁপড়েরা এসে কুটুস করে কামড় দিয়ে চোখের পাতার সাইজ ডাবল করে দিয়ে যায় ।

কিন্তু, হঠাৎই গতপরশু ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখি চোখের পাতা আচ্ছা ফোলা ফোলা, আর সেই সাথে অল্প অল্প লাল । আমি ছবি তুলে আমার দাদার কাছে পাঠিয়ে দিই । উপরের ওই ছবিটি পাঠিয়েছিলাম । দাদা যদিও শিশু বিশেষজ্ঞ নয় তবুও ফটো দেখে বললো Upper Eye Lid ইনফেকশন হয়েছে । একজন optometrist কে দেখানোর জন্য সাজেস্ট করলো । একটা eye drop সাজেস্ট করে বললো এটা কয়েকদিন ধরে নিলেই ঠিক হয়ে যাবে ।

যাই হোক আমি ভাবলুম আগে ডাক্তার দেখিয়ে তারপরে দরকার হলে ড্রপ কিনবো । কিন্তু, হঠাৎই গতকাল সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি চোখ প্রায় একদম বুঁজে গিয়েছে । চোখের তিন ভাগের দুই ভাগই আর মেলতে পারছে না । আর আগের চাইতেও বেশ লাল হয়ে গিয়েছে ।

তখন আর দেরি করা ঠিক হবে না বুঝেই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির পাশের Eye Hospital টাতে দ্রুত নিয়ে গেলাম । সেখানে নাম রেজিস্ট্রেশন করিয়ে বিল পেমেন্ট করে বেশ কিছুক্ষণ wait করলাম । এরপরে একে একে ডাক পড়লো প্রথমে কম্পিউটার আই চেকআপ । এরপরে optician এর চেম্বারে । সেখানে টিনটিনের চোখের লেন্স চেকাপ হলো । সব শেষে optometrist এর চেম্বারে ডাক পড়লো আমাদের ।

ডাক্তারের নাম স্বরূপ পাঠক । বেশ নামকরা । শংকর নেত্রালয়ের প্রাক্টিশনার । উনি প্রথমে কেস হিস্ট্রি শুনলেন । একটা মেশিনের সাহায্যে eye চেকআপ করে নিলেন । তারপরে বললেন ওষুধ দেবেন কি না । কারণ, এই ইনফেকশন ওষুধ ছাড়াই কিওর হবে । কিন্তু, তাতে সময় লেগে যেতে পারে বেশ কিছুটা । যাই হোক আমি ওষুধ prescribe করতেই অনুরোধ করলাম ওনাকে ।

ডক্টর একটি আই ড্রপ আর একটা অয়েনমেন্ট দিলেন । আর বললেন দিনে ৪ বার ভাপ দিতে চোখে । ড্রপ এক ফোঁটা করে দিনে ৪ বার আর অয়েনমেন্ট দিনে ২ বার লাগাতে । যদি ১৫ দিন পরেও না সারে তো আবার যেন অনেকেই একবার দেখিয়ে নিই ।

এরপরে আমরা ওষুধ কিনে বাড়ি চলে আসি । তারপরে শুরু হলো সেই অমানুষিক কষ্টের কাজ । টিনটিনের চোখে ড্রপ দেওয়া । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হয়ে গেলো যেনো । কোনোভাবেই চোখে ড্রপ দিতে দেবে না । আর আমিও না দিয়ে ছাড়বো না । ঘন্টা খানেক বিস্তর ধস্তাধস্তি কান্না-কাটির পরে এক ফোঁটা কোনোরকমে দিতে পারলাম ।

রাতে নিলয় বিশেষ কৌশলে এক ফোঁটা দিতে পারলো । তবে তার জন্য আবার এক প্রস্থ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হলো । যাই হোক এরপরে খাওয়াদাওয়ার পরে কিছুটা শান্ত হলো যখন এবং আবার ড্রপ দেওয়ার সময় এলো তখন দেখা গেলো টিনটিন ড্রপটা বের করে নজলে কয়েকবার হাত ঘষে দিলো । অর্থাৎ, ওষুধটা নষ্ট করে ফেললো । চোখের ড্রপের নিয়মই এটা । নজলে হাতের স্পর্শ লাগলে সেটা বাতিল ।

কি আর করা সেই অনেক রাতে আবার ওষুধ কিনে আনতে হলো । এভাবেই সকাল থেকে রাত অব্দি দারুন দৌড়ঝাঁপ আর যুদ্ধে যুদ্ধে দিনটা অতিবাহিত হলো ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)


তারিখ : ২২ আগস্ট ২০২৩

টাস্ক ৩৬৩ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 8fc5800f0b2de8c904d40515d684cdd062fc9fd91f64d351e33076d39ffcc832

টাস্ক ৩৬৩ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যখন থেকে চোখ ফোলা শুরু হয়েছে তখন থেকে যদি ড্রপ টা দেওয়া যেতো। তাহলে বোধহয় একটু কমই এতোটা কষ্ট পেতো।আসলে বাচ্চাদের যে কোনো রোগেই তারা খুব বেশি কষ্ট পায়। আর সবচেয়ে বড় কষ্টকর হলো তাদের এই ড্রপ দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো। কিন্তু তাও কষ্ট করে দিতেই হবে। তা না হলে আসলে চোখের সমস্যাটা কোনোভাবেই সারবে না। এই সমস্যা আমারও ছোটবেলায় খুব হতো তবে এখন আর হয় না, আশা করি সেরে যাবে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

আহারে,ছোট বাবুটা কি অবস্থা হয়েছে।এতো কিছু এই ছোট বাচ্চার উপর কেন। বড়দের কারো কিছু হলে এতো ঝামেলা হতো।বাচ্চাদের কিছু হলে ঔষধ খাওয়াতে আর ব্যবহার করতে মা-বাবার জান শেষ হয়ে যায়। আমি এটা বেশ ভালো করেই বুঝি।আল্লাহ হেফাজত দান করুন, আমিন।

খুব খারাপ লাগছে শুনে টিনটিন বাবু অসুস্থ। চোখের ব্যাপারে আপনি দেরি করেননি ডাক্তারের কাছে যেতে এটাই ভালো। কারণ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই সবকিছু করা উচিত। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি টিনটিন বাবু তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক।

আসলে দাদা বাচ্চাদের কিছু হলে আমার মনে হয় সঙ্গে সঙ্গেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। নয়তো বেশ চিন্তার মধ্যে পড়তে হয় । যেমনটি আপনাদেরও হয়েছিল । তারপর যে কোন বড় সমস্যা হয়নি এটাই বড় কথা । কিন্তু এখন সমস্যা হচ্ছে ড্রপ টা দিবেন কি করে ? যে যুদ্ধে নেমেছেন আপনারা সত্যিই বেশ মজা লাগলো ।তার পরেও চেষ্টা চালিয়ে যান দিতে তো হবেই।

যদিও এই ফটোটা আগের তবুও কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে ফোলার বিষয়টি, আসলে এই সমস্যাটা আমার মাঝে মাঝেই হতো বিয়ের আগে। ডাক্তারের কাছে গেলেই ড্রপ দিতেন শুধু, কিন্তু ফোলার পরিমান বেশী হওয়ায় ড্রপ দিতেও কষ্ট হতো অনেক। তবে আমার নানা একটা দারুণ কাজ করতেন, সুতি কাপড়ের মাঝে গরম ভাত নিয়ে চোখে হালকা ছেঁকা দিতেন। তাতে বেশ আরামবোধ করতাম। তবুও ভালো হতে আমার প্রায় ১০ দিন লেগে যেতো। দোয়া করছি টিনটিন যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠে।

আমরা এটা কে এলেঙ্গা বলে জানি। বেশ জ্বালায় বেটা। কয়েকদিন পর এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দাদা টিনটিন ঔষুধ নষ্ট করার নিয়ম কোথা হতে শিখলো। বাপরে বাপ কি বুদ্ধিমান ছেলেরে। বেশ পেরেশানীতেই আছেন দেখছি টিনটিন কে নিয়ে। আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। আর দোয়া রইল টিনটিন বাবুর জন্য।

প্রথমেই টিনটিন এর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। বাচ্চারা অসুস্থ হলে খুবই টেনশন হয়। হসপিটালে নিয়ে গিয়ে খুব ভালো করেছেন দাদা। কারণ চোখ খুব সেনসিটিভ একটা জিনিস। তবে ড্রপ দেওয়া নিয়ে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। টিনটিন বাবুর মুখে বার্গার দিয়ে, চোখে ড্রপ দেওয়ার ট্রাই করতে হবে দাদা। কারণ বার্গার তো খুব প্রিয় টিনটিনের। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

বাচ্চাদের যে কত কিছু হয় । ভালো করেছেন দাদা দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছেন ।চোখের ব্যাপারে অবহেলা করা ঠিক না । আমিতো আই ড্রপের কথা শুনে মনে মনে ভাবছি টিনটিনতো ভালোই লক্ষি আছে চোখে ড্রপ নিবে । তারপর দেখলাম তার উল্টো এটাই হওয়া স্বাভাবিক ছিল । বাচ্চারা তো ওষুধ দেখলেই পালায় ।এটি কিভাবে নষ্ট করতে হয় তাও দেখছি জানে ।আজকালকার বাচ্চারা সব জানে । দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই দোয়া রইল ।

টিন টিন বাবুর জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা যেন তাকে খুব দ্রুত সুস্থ করে দেন।
আমারও মাঝে মাঝে চোখে এরকম সমস্যা হয়। তবে দু একদিন পরে আবার ঠিক হয়ে যায়। এটা হলে চোখ অনেক ভার হয়ে যায় মাঝে মাঝে চোখের মধ্যে কাটা কাটা ফুটতেও থাকে।
ভালোমতো ওষুধ দিয়ে যত্ন নেন ইনশাল্লাহ খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।

টিনটিন বাবুর অসুস্থতার খবর পেয়ে খুবই খারাপ লাগছে দাদা। আসলে টিনটিন বাবুর চোখে যে সমস্যাটি হয়েছে এর সমস্যাটির নাম মনে হয় চোখ ওঠা।চোখ উঠলে চোখ খুলতে খুবই কষ্ট হয় এবং চোখ একদম লাল হয়ে যায়। যা আমার অনেক বার হয়েছে।যাই হোক টিনটিন বাবুর এ অবস্থা দেখে আসলেই মনটা অনেক খারাপ হয়ে গেল।নিয়ম করে টিনটিন বাবুর চোখে ড্রপ দেন আশা করি খুব শীঘ্রই চোখ ঠিক হয়ে যাবে।টিনটিন বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো।

ইস, টিনটিন বাবুর চোখের অবস্থা দেখে খুবই খারাপ লাগছে।চোখের যন্ত্রনা খুবই কষ্টকর আর বিরক্তিকরও।দাদা, এই সময়ে সব জায়গায় অনেকের চোখ উঠছে আর সেটা নাকি ছোঁয়াচে ধরনের।যাইহোক টিনটিনের চোখ খুব দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে আশা করছি।পরিবারের বাচ্চারা অসুস্থ হলে বাবা মায়ের মন একদম ভালো থাকে না।তাছাড়া আপনারাও সাবধানে থাকবেন।শুভকামনা রইলো টিনটিনসহ আপনার পরিবারের সকলের জন্য।

দাদা টিন টিন বাবুর চোখ ফোলা ফটোটা দেখে বোঝাই যাচ্ছে টিন টিন বাবুর চোখের জালা যন্ত্রণা কতটুকু হয়েছিল। ছোটদের অসুখ বিসুখ হলে আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনা। কেননা ছোটরা হচ্ছে খুবই দুরন্তপানা। আর তাদের দুরন্তপনা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে যদি এরকম অসুস্থ হয়ে যায় তাহলে তাদের আর শারীরিক সুস্থতা থাকে না বলে একদম নিস্তেজ হয়ে যায়। আর তাইতো টিন টিন বাবুকে এরকম অবস্থায় দেখে খুবই খারাপ লাগছে। তবে দাদা যেহেতু খুব দ্রুত ডক্টর দেখিয়েছেন এবং অনেক যুদ্ধ করেই টিনটিন বাবুর চোখে ড্রপ দিয়ে দিচ্ছেন, সেহেতু টিন টিন বাবু খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে এই প্রত্যাশা করছি।

যে কোন পরিবারের প্রাণশক্তিই হচ্ছে পরিবারের বাচ্চারা। সেই বাচ্চারাই যদি অসুস্থ হয়, বাকি আর কারোরই ভালো লাগে না। টিনটিন বাবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। চোখের এই ইনফেকশন খুব দ্রুত যেন সেরে যায়, সেটাই প্রার্থনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

চোখ ফোলা দেখে তো একদমই ভয় পেয়ে গেলাম,ভাবলাম কোনো এক্সিডেন্ট হলো না কি আবার।কিছুদিন আগেই তো আপনার আর টিনটিনের হাতে আঘাত পেয়েছিলেন। আজ সকাল বেলা আমিও ঘুম থেকে ওঠার পর দেখলাম চোখের নিচের দিকের অংশ ফুলে রয়েছে এবং ব্যথা হচ্ছে প্রচুর। এটা আমার মাঝে মাঝেই হয় আবার দু-তিন দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে আগে অনেক বেশি হত। তখন টিনটিনের মতো এরকম চোখ ফুলে যেত এবং চোখ খুলতেও পারতাম না। যাই হোক দোয়া রইল যেন টিনটিন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায় এবং অসুস্থতা যেন পিছু ছেড়ে দেয়।

গত কয়েকদিন আগেই টিনটিন এবং আপনি দুজন হাতে ব্যথা পেয়েছেন শুনেছি। এর মাঝে আবার বিপত্তি ঘটলো দেখে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। আসলে ছোট বাচ্চাদের যদি হঠাৎ হঠাৎ এরকম কোন অসুস্থতা দেখা দেয় তখন বাবা মায়ের চিন্তার শেষ থাকে না। চোখ তো দেখছি অনেকটাই ফুলে উঠেছে। আর ডাক্তারের পরামর্শ মতে ঠিক মত ড্রপ দিয়ে গেলে মোটামুটি সুস্থ হয়ে যাবে আশাকরি।টিনটিন এর জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইল।

ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে টিনটিন বাবুর চোখ অনেকটা ফুলে গেছে। মনে হচ্ছে ভালো রকমের ইনফেকশন হয়েছে। আর চোখ ১৪-১৫ এরম থাকলে ভালোই কষ্ট পাবে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি টিনটিন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

দাদা সব বাচ্ছাদের ঔষুধ দিতে এবং ঔষুধ খাওয়াতে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ করতে হয়। ব্লগ পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার আর বৌদির দিন রাত ভালই চাপ যাচ্ছে। যেহেতো ডাক্তার বলছে ঔষুধ ছাড়াও টিনটিনের চোখ ভাল হয়ে যাবে তাহলে আর সমস্যা নেই। ধন্যবাদ দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

প্রথমেই বলব দাদা, ওর ছবিটা দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে এমন যদি হয় তাহলে আসলেই কিছুটা দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। তবে শেষের দিকে লেখাগুলো পড়ে, কিছুটা হাসি পেয়েছে। টিনটিনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। ও তাড়াতাড়ি সুস্থ হোক আর আপনার দুশ্চিন্তা কমে যাক, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

প্রাপ্তবয়স্ক করা যদি অসুস্থ হয় তাহলে এতটা বেশি কষ্ট হয়না আমার মনে হয়। যদি বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েন খুব বেশি কষ্ট হয়। আরো হয়েছে চোখের মধ্যে সমস্যা তা হলে অনেক কষ্ট হবে ছোট বাচ্চাদের। সারাদিন পরিশ্রম করা যতটা কষ্টের বাচ্চাদের অসুস্থ হলে আরো তিন গুণ বেশি খারাপ লাগে। এমনকি ওদের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে নিজেরাই অসুস্থ হয়ে যায় শেষমেষ। আশা করি ভালো হয়ে যাবে এভাবে সেবা যত্ন করলে। টিনটিনের সুস্থতা কামনা করছি।

ছোট মানুষের চোখে ড্রপ দেয়াও অনেক কষ্টের, শুনে খুব খারাপ লাগলো আমাদের টিন টিন বাবু এতটা কষ্ট পাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করব তিনি যেন আমাদের টিনটিন বাবুকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।

ছোট্ট মানুষটার না জানি কত কষ্ট হচ্ছে? ছবিটা দেখেই খারাপ লাগলো। আসলে বাচ্চাদের কিছু হলে বাবা মায়ের মন এমনিতেই খারাপ থাকে। আর চোখের যা অবস্থা দেখছি তাতে টিনটিনের দোষও দিতে পারছি না। এমন অবস্থায় হলে বাচ্চাদের চোখে হাত নাদিতে দেয়ারই কথা। আশা করি দ্রুত টিনটিন সুস্থ হয়ে যাবে। আপনাদের জন্য দোয়া রইল দাদা।

বাড়ির ছোটদের কিছু হলে আসলেই খুব মন খারাপ লাগে।মা-বাবার অবস্থা তো খুবই খারাপ হয় অসুস্থ বাচ্চার জন্য টেনশন করতে করতে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে টিনটিন বাবুর এই চোখের ইনফেকশনের কারণে অনেক কষ্ট পাচ্ছে।দ্রুত সুস্থ হয়ে যাক টিনটিন বাবু সেই কামনাই করি।

টিনটিন বাবুর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।টিনটন বাবুর প্রিয় সকল জিনিস এর লোভ দেখিয়ে ড্রপ দেওয়ার চেস্টা করেন।আশাকরি কাজ হবে দাদা।

একদম ভালো পরামর্শ। বাচ্চাদের পছন্দের জিনিস গুলো দিয়ে তাদেরকে অনেক কঠিন কাজগুলো করানো সম্ভব।

চিন্তা করবেন না দাদা। যেহেতু ডাক্তার বাবু বলেছেন ওষুধ ছাড়াই এটি নির্মূল করা সম্ভব এবং আপনি সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি এড়াতে ওষুধ ব্যবহার করছেন।

আশা করছি আমাদের টিনটিন সোনা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। তবে এই দুঃসংবাদ এর ভেতরে যখন টিনটিন ঔষধ নিয়ে পাগলামি করছিল তখন ওর কথা শুনে আমি অনেক আনন্দ পেয়েছিলাম। কারণ ছোট বাচ্চাদের আদর এবং তাদের দুষ্টুমি গুলো আমার অনেক ভালো লাগে।

যদিও অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিক্রম করেছেন তারপরেও সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন টিনটিন সোনা খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আর অবশ্যই টেনশন করবেন না। দোয়া করি, খুব শীঘ্রই টিনটিন সুস্থ হয়ে যাবে।

হ্যাঁ দাদা এর আগের পোস্টে দুজনের আহত হওয়ার বিষয়টি শেয়ার করেছিলেন। আবার চোখের সমস্যায় পড়েছে টিনটিন সত্যিই শুনে খারাপ লাগলো। এই ছোট্ট মানুষের চোখের সমস্যা যেটা তার জন্য অনেক বড় একটি অস্বস্তির কাজ। ছোট্ট বেলায় এরকম অসুখ আমারও হয়েছিল যেটা সত্যি বিরক্তিকর কাজ। চোখের ড্রপ যেটা তার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় কারণ এটা ব্যবহার করলে দ্রুত সরে উঠবে। যতই কান্নাকাটি করুক তবুও চোখের ড্র প ব্যবহার করতে হবে। টিনটিন খুব চালাক ছেলে দেখছি যাতে চোখের ড্রপ দিতে না পারে সেজন্য করে দিয়েছে।

Posted using SteemPro Mobile

Hi @rme,
my name is @zairi78 and I voted your post using steem-fanbase.com.

  ·  last year (edited)

টিনটিন বাবার না জানি কত্ত কষ্ট হচ্ছে। ইশ! 🥹
দোয়া করি দাদা যেনো টিনটিন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠে!

Posted using SteemPro Mobile

Posted using SteemPro Mobile

বাচ্চাদের অসুস্থতা বাবা-মা কে যে কতটা কষ্ট দেয় তা এখন বুঝি।মনে হয় বাচ্চাদের না হয়ে নিজেদের অসুখ হওয়া ভালো তাও কষ্ট সহ্য করা যায়।টিনটিন বাবুর চোখের ইনফেকশন দেখে খুবই খারাপ লাগছে।কি মিষ্টি মায়াভরা মুখখানা কষ্টের ছাপ দেখতে একদম ভালো লাগে না।ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি টিনটিন বাবু যেনো খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও আগের মতো দুরন্তপনায় মেতে উঠে।🙏🙏

আসলে ঘরের বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে বেশ খারাপ লাগে।এই রকম চোখ ফুলে গেলে মোটামুটি ভালোই ব্যথা করে,তবে খুব বেশি সমস্যা না হলে ৪/৫ দিনে ভালো হয়ে যায়।আশা করি আমাদের টিনটিন সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালো হয়ে যাবে।

পোস্টটি পড়ে সত্যি দাদা আমার কাছে খুবই খারাপ লাগলো। কিছুদিন আগে আপনি আর তিনটে আহত হয়েছিলেন এটাও জেনেছিলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আজকে আবার টিনের চোখের পাতায় ফোলা ফোলা দেখা যাচ্ছে এটা সত্যি খুবই দুঃখজনক। সেই ছবি তুলে আপনি আপনার দাদার কাছে পাঠিয়েছিলেন এবং দাদার কথামতো একজন ডক্টর দেখিয়েছেন জেনে বেশ একটু ভালো লাগলো। দেখে বোঝা যাচ্ছে চোখ খোলার পরিমাণ একটু বেশি হওয়ায় চোখের ড্রপ দিতেও একটু কষ্ট হতো। আশা করি আমাদের প্রিয় টিনটিন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে।

বাচ্চারা অসুস্থ হলে খুব খারাপ লাগে। বাচ্চাদের ঔষধ খাওয়ানো বা এরকম ড্রপ দেয়া সত্যিই বিশ্বযুদ্ধের মত। নজেলে হাত দিয়ে ড্রপ নষ্ট করার টেকনিক শিখে গেছে টিনটিন বাবু। আপনার মতই বুদ্ধিমান হবে খুব। দোয়া করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক আর আগের মত ঘরে ছুটাছুটি করুক।

টিন টিন বাবুর অসুস্থতার কথা শুনে খুব খারাপ লাগছে এবং বাবুটাকে দেখে অনেক কষ্ট লাগছে। বড়রা অসুস্থ হলে যতটুকু কষ্ট নিজে না পায় কিন্তু বাচ্চা অসুস্থ হলে তার থেকে দ্বিগুণ কষ্ট লাগে। চোখের ব্যাপার কষ্ট হলেও ড্রপ দিতেই হবে। বাচ্চাদের ওষুধ খাওয়ানো ও চোখের ড্রপ দেয়া অনেক কষ্ট। যাইহোক টিন টিন বাবুর জন্য অনেকে দোয়া। বাবু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

উপর ওয়ালা আমাদের টিনটিন সোনাকে সুস্থ করুন 🤲
আসলে বাচ্চাদের কিছু হলে ভীষণ খারাপ লাগে এবং ভেতরে একটা অস্থিরতা বিরাজ করে। দ্রুত চিকিৎসা নিয়েছেন, ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে টিনটিন বাবু। দুশ্চিন্তা করবেন না দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

প্রথমেই টিনটিন বাবুর সুস্থতা কামনা করি ঈশ্বরের নিকট, ঈশ্বর যেনো বাবুকে সুস্থতা প্রদান করে।‌ টিনটিন বাবুকে নিয়ে খুব দ্রুত চোখের ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের দেহের প্রতিটি অংশই অনেক গুরুত্বপূর্ণ তার ভেতরের চোখটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমি মনে করি। এই বিশাল পৃথিবীর সকল সৌন্দর্যতাকে ছোট্ট দুইটি চোখে ধরে রাখা সম্ভব। আমি আশা করি ডক্টরের দেয়া ড্রপ আর মালিশটি ১৫ দিন ব্যবহার করলে বাবু সুস্থ হয়ে উঠবে।

প্রথমে টিনটিনের জন্য সুস্থতা কামনা করছি দাদা। আসলে এই ইনফেকশনটা আমারও আগে হতো তবে এখন অনেকটাই ঠিক আছে। মাঝেমধ্যে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ড্রপ দিতাম কিন্তু সেই ড্রপটা অনেক জ্বালাপোড়া করতে এবং অনেক সমস্যার মধ্যেই পড়তে হতো। সর্বোপরি আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করছি।

প্রথমেই টিনটিন বাবুর সুস্হতা কামনা করছি।আসলে বাচ্চাদের কিছু হলে বাবা মার চিন্তার শেষ থাকে না। আসলে চোখের এই রোগটা কয়েক দিন থাকে তারপর ঠিক হয়ে যায়।তবে ড্রপ দিলে তারাতাড়ি সেরে ওঠে।আর বাচ্চারা এমনি সহজে ঔষধ খেতে চায় না।এর এর জন্য অনেক যুদ্ধ করতে হয়। দোয়া করি যুদ্ধে জয়ী হবেন।