ফোটোগ্রাফি পোস্ট - ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে আমরা তিনজন

in hive-129948 •  2 years ago 


রাখীর পরেরদিন । আগের রাতে ঘুমই হয়নি তেমন । ভোট দিতে দিতে ৪ টা । পরের দিন ভোরে উঠে সারাদিন ঘোরাঘুরির প্ল্যান আছে । তাও আটটায় উঠে পড়লুম । ফ্রেশ হয়েই অমনি ল্যাপটপ অন করে ভোট দিতে বসে গেলাম । ড্রাইভারকে পাঠিয়ে দিলাম সেই কাঁকিনাড়া, সজীব যেখানে এসে রয়েছে । সজীবের আসতে আসতে দেড় ঘন্টা লাগবে ধরে নিয়ে ভোট দেয়া স্টার্ট করলুম । তাও দু'ঘন্টা লেগে গেলো । প্রানপণে কোনোদিকে না তাকিয়ে ভোট দিয়ে গেলাম । এরপরে স্নান করে খেতে বসলুম ।

সারাদিন প্রচন্ড গরমে ঘোরাঘুরি করতে হবে । তাই প্রচুর মাছ, মাংস, তরিতরকারি থাকা সত্ত্বেও শুধু আলু ভাতে, ডাল আর একটি মাত্র ওমলেট দিয়ে প্রাতঃরাশ সমাধা করলুম । এরই মধ্যে নিলয় চলে এলো । কিন্তু, সজীব আর ড্রাইভারের কোনও পাত্তা নেই । ফোন করে জানলুম যে ব্যারাকপুর রোডে প্রচুর জ্যাম । আসতে আরো ১ ঘন্টা ।

যাই হোক এক ঘন্টা আর লাগলো না । চল্লিশ মিনিটের মধ্যেই ওরা চলে এলো । শুরু হলো আমাদের সারাদিন ব্যাপী পুরো কলকাতা চষে বেড়ানোর অভিযান । আমরা তিন জন - আমি, নিলয় আর সজীব । প্রথমেই গেলুম দক্ষিনেশ্বর মন্দিরে । সজীব পুজো দিলো, আমি আর নিলয় শুধু দর্শক হয়ে রইলুম । এরপরে মন্দির চত্বরে কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করেই সোজা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের গাড়ি হাঁকালুম আমরা ।

দক্ষিনেশ্বর থেকে ভিক্টোরিয়া অনেকটাই পথ । পথে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । তো যাই হোক ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর মেইন গেটের সামনে এসে যখন নামলুম তখন সূর্য মাঝ আকাশে আগুন ছড়াচ্ছে । দ্রুত টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম আমরা তিন জন । অনেক গুলো ছবি তুললাম আমরা । সজীব আর নিলয়েরও বেশ কিছু ফটো তুললাম ভিক্টোরিয়ার সাথে ।

আমি তো বহুবার এসেছি, নিলয়ও তাই । কিন্তু, সজীবের এই প্রথমবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দর্শন । স্বাভাবিকভাবেই তাই বেশ উত্তেজিত সে । বেশ হাসি ঠাট্টা চলতে লাগলো । তিনজন ছেলে আমরা, সাথে আর কেউ নেই । তাই, স্বাভাবিকভাবেই একটু হাসি ঠাট্টা ইয়ার্কি - এসব তো চলবেই । ঢুকে পড়লুম অবশেষে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অভ্যন্তরে ।

ঢুকেই বেশ অবাক হয়ে গেলাম । আমূল পরিবর্তন ভেতরে । আগে ছিল যত ব্রিটিশ আমলের নানান জিনিসের প্রদর্শনী, আর এখন শুধুই নেতাজি আর নেতাজি । পুরো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এখন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল । দারুন লাগলো বিষয়টি সত্যি । চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজস্র নেতাজির ছবি, খবরের কাগজের কাটিং, চিঠিপত্র, ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং প্রজেক্টর দিয়ে দেওয়ালে ফেলা অসংখ্য ছোটবড় তথ্যচিত্র । এসব দেখে তো মাথা ঘুরে গেলো আমার ।

হাতে সময় একদমই কম । তাই প্রবল ইচ্ছে সত্ত্বেও দেখা সম্ভব হয়নি এসব । একটা আর্ট গ্যালারিতে অবশেষে খুঁজে পেলুম কিছু ব্রিটিশদের করা চিত্রকর্ম । ছোট, বড়, মাঝারি এবং দানবাকৃতির অসংখ্য আর্ট । কিছু ফোটো তুলে ফেললাম ঝটপট । এরপরে বিশাল এক একটা হলঘর খুব দ্রুত পেরিয়ে আমরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর বাইরের পার্কে এসে পড়লুম ।

তিনজনে মিলে হাঁটতে বেরুলাম পার্কে । বিশাল লেক, ফোয়ারা আর অসংখ্য গাছগাছালির ছায়াঘেরা পথ দিয়ে হাঁটতে দারুন লাগছিলো সত্যি । মাঝে মাঝে গাছের আড়ালে একটু নির্জন বেঞ্চিতে ভালোবাসা রচিত হতে দেখলুম এক এক জোড়া কপোত কপোতীর । লজ্জায় আমাদের মুখই রাঙা হয়ে উঠলো ।

এরপরে ফেরার পালা । দুপুরের খাবার সময় হয়ে এলো । ড্রাইভারকে বললুম চীনা টাউনে নিয়ে যেতে । ওখানেই এক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে দুপুরের লাঞ্চ সমাধা করলাম । সেখানে দারুন একটা মজার সময় কাটলো আমাদের । এরপরের গন্তব্য "সায়েন্স সিটি" । এটা আগামীকাল বলবো । আজ এ পর্যন্তই ।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনের গেটে নিলয় আর সজীব

তারিখ : ১২ অগাস্ট ২০২২
সময় : দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220812_141503.jpg

মহারানী ভিক্টোরিয়ার ব্রোঞ্জ মূর্তির সামনে আমরা । নীচে ব্রোঞ্জ নির্মিত রানীর শোভাযাত্রার একটি খন্ড দৃশ্য ।

তারিখ : ১২ অগাস্ট ২০২২
সময় : দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের প্রধান তোরণ ।

তারিখ : ১২ অগাস্ট ২০২২
সময় : দুপুর ২ টা ০০ মিনিট
স্থান : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অভ্যন্তরে নেতাজীর নানান স্মৃতিচিহ্ন

তারিখ : ১২ অগাস্ট ২০২২
সময় : দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অভ্যন্তরে সিলিং থেকে দেওয়ালের সর্বত্র অসংখ্য সব সূক্ষ দারুন কারুকার্য

তারিখ : ১২ অগাস্ট ২০২২
সময় : দুপুর ২ টা ১৫ মিনিট
স্থান : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


IMG_20220812_142647.jpg

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আর্ট গ্যালারি । অসংখ্য ছোট, বড়, মাঝারি এবং বৃহদাকার আর্ট ।

তারিখ : ১২ অগাস্ট ২০২২
সময় : দুপুর ২ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ২০০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৬ষ্ঠ দিন (200 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 06)


trx logo.png




টার্গেট ০৪ : ১,৪০০ ট্রন স্টেক করা


সময়সীমা : ১৪ অগাস্ট ২০২২ থেকে ২০ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ১৯ আগস্ট ২০২২


টাস্ক ৩৪ : ২০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

২০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : d21f11d9fd886ed7557b2b03921a20f60b612e845304760ddb3fcf6242af9882

টাস্ক ৩৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

god bless you

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



hi, i am new in steemit please support.

টেনিদার গল্পে অনেক পড়েছি এই জায়গা আর গড়ের মাঠের নাম।ইচ্ছা আছে ঘুরতে যাওয়ার।ধন্যবাদ দাদা দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

দাদা ঘুরতে গিয়েছেন তিনজনেই তবে সজীব একা পুজো দিল। আপনাদেরও পুজো দেওয়া উচিত ছিল। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অভ্যন্তরে ব্রিটিশ বাদে বর্তমানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল। আরো বেশি ভালো লাগলো দেয়ালের তথ্যচিত্রগুলো কথা জেনে। যাই হোক মোটামুটি খুব ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর পোস্ট। আশা করি তিনজনে মিলে খুবই ইনজয় করেছেন রোদগরমের মধ্যেও, সময়টা বেশ আনন্দে কেটেছে।

ভিক্টোরিয়ার বাইরের ছবি আর ভেতরের ছবি সবগুলোই ভালো লাগছে। অনেক ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ৫বছর আগে লাস্ট গেছিলাম। কল্যাণী থেকে দুরত্বের কারণে আর যেতে মন চায় না। তবে অনেকক্ষেত্রে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য উপযোগী পরিবেশ নয় মনে হয়েছে আমার।

দাদা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর কথা অনেক অনেক বার শুনেছি। দেখেছি হয়তো টিভিতে দুই একবার তবে সামনের অংশটুকু। কখনও ভেতরের অংশের ফটোগ্রাফি এত চমৎকারভাবে দেখা হয়নি। এটা জেনে বেশি ভালো লাগলো নেতাজি কে নিয়ে অনেক কিছু নতুনভাবে সংযোজিত হয়েছে। নেতাজিকে নিয়ে বেশ কয়েকটি টিভি সিরিয়াল আমি দেখেছিলাম। নেতাজির সংগ্রামী জীবনকে আমি সবসময় শ্রদ্ধা করি। যাইহোক সজীব দাদাকে নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময় কাটানোর মুহূর্ত গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি ব্যস্ততার মাঝেও উনাকে সময় দিয়েছেন এটা উনার জন্য অনেক বড় পাওয়া। তবে বিশ্বাস করেন দাদা আপনার ড্রেসটা আজকে খুব ভালো লাগছে।

তিন জনের মাঝে শুধু সজীব ভাই চশমা ছাড়া এটা কিন্তু মিলিয়ে নিলে ভাল হত । যেদিকে তাকাই ছয় জোড়া আঁখি একই সাথে । গল্পে গল্পে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের কথা অনেক বার শোনা হয়েছে । ছবিতে এত কাছ থেকে সম্ভবত এবারেই প্রথম দেখার সুযোগ হলো । আজকের পোস্ট, লেখার ভাষাটা কেমন জানি চেনা চেনা লাগছে ।
তিনজনে আড্ডা গল্প ঘুরাঘুরিতে দারুণ একটা সময় পার করেছেন এটা বুঝতে পারছি ।
নেতাজীর ছবি ছাড়া অন্য নিদর্শন গুলো কিন্তু মিস করে গেলাম দাদা ।
আগামী দিনে "সায়েন্স সিটি" দেখার এবং জানার অপেক্ষায় রইলাম ।

Here in Nigeria, we say traffic jam reduces life span, but it didn't only do that, it still dismantles plans, in the sense that if you have planned and hour, it may turn to two hours and that already get things wrongly. Where traffic jam happens is a city where people lives most, just like Lagos Nigeria.

those pictures are nice and you look good as well

দাদা আমাদের সৌভাগ্য 🤗 আপনার জন্য আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল পুরোটা দেখতে পেলাম। সজীব দাদাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ☺️ বেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন সবাই দেখলাম 🤗 আর প্রতিটি ছবি দূরদান্ত হয়েছে।

বাহ! তিনজন মিলে বেশ আনন্দ ফুর্তির মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঘুরাঘুরির যে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন সত্যি দারুণ লেগেছে দাদা। আসলে এরকম ঘুরাঘুরির ইচ্ছা আমারও প্রবল, তবে সময় স্বল্পতায় সবকিছু কেমন যেন অকেজো করে রেখেছে আমাকে। যাই হোক কখনো যদি সুযোগ পাই অবশ্যই যাওয়ার চেষ্টা করব সেই সাথে আপনার সাথেও দেখা করব সজিবের মত আশা রাখি।

দুনিয়া যেদিকে যাবে যাক,আপনার কাজের কোনো নড়চড় হতে দেখলাম না এ জীবনে।আমার ও একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে এখানে।কি দারুণ সৌন্দর্য।

@rme ভাই , আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে সম্ভবত মাস কয়েক আগে আমি বিউটি অফ ক্রিয়েটিভিটি কমিউনিটিতে আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা নিয়ে একটা পোস্ট লিখেছিলাম। তাতে শেষ ইচ্ছাটা আমার এমন ছিল , আমি জীবনে একবার হলেও আপনার ও @blacks ভাইয়ের ও জাসটিন সানের সঙ্গের বসে কফি খাইতে চাই । হয়তো এই দিক থেকে সজীব খুব সৌভাগ্যবান। সর্বোপরি আপনারা বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন ভাই । শুভেচ্ছা রইল।

এই ভোটের টেনশনে তো আপনি একদমই কোন কাজ করে আরাম না। ভোটটা দেওয়া হয়ে গেলে সারাদিন মনে হয় টেনশন ফ্রি থাকেন। আমি দ্বিতীয়বার যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম তখন আমার এই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ঢোকার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমরা যখন সেখানে গেলাম তখন টিকিট কাউন্টার থেকে ইন্ডিয়ার বাইরের টুরিস্ট দেখে প্রায় ১০গুন বেশি চাচ্ছিলো টিকিটের টাকা। সেজন্য কাউন্টারে আমার হাজবেন্ড এবং বাকিরা একটু রাগারাগি করে। তাই আর ভিতরে ঢোকা হয়নি। এর পরে গেলে অবশ্যই ভিতরে ঘুরে আসবো আপনার সাথে😜😜।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঘুরে দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখতে পেরে।। অনেকবার নাম শুনেছি এই জায়গাটির আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ভালোভাবে ভিতরে এবং বাহিরের বিভিন্ন অংশের ফটোগ্রাফি দেখতে পেরে মনে হচ্ছে নিজ চোখেই সবকিছু দেখলাম।। এদিক দিয়ে অবশ্য আমাদের রই সজীব দাদা অনেক সৌভাগ্যবান। আপনার সাথে অনেক ভালো সময় পার করেছে স্মৃতি হয়ে থাকবে তার সারা জীবন।।

দাদা সবথেকে মজার ব্যাপার হলো গত সপ্তাহের ঠিক এই শুক্রবারেই আমরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঘুরে দেখেছিলাম। আর আপনি আজকে পোস্টটা করলেন আজকেও শুক্রবার 🤗। পুরো লেখাটা যখন পড়ছিলাম চোখের সামনে এক এক করে মুহূর্তগুলো ভেসে উঠছিল। সারাটা দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত কত হাসি ঠাট্টা আর ঘোরাঘুরিই না হয়েছিল! আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিনগুলোর মধ্যে ওই দিন ছিল একদিন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ভেতরের সৌন্দর্য ভেতরে গেঁথে রাখার মত একদম। প্রণাম রইলো দাদা 🙏🙏।

অসাধারণ দাদা, জানিনা কখনো যাইতে পারব কিনা । তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভিক্টোরিয়ার অসংখ্য চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি দেখলাম। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে ।সুযোগ পেলেই চলে যাব। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এ আপনারা তিনজন বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছেন দাদা। কখনো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যাওয়ার সৌভাগ্য হবে কিনা জানিনা তবে আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর বাইরের এবং ভেতরের দিকের কিছু অংশ দেখার সৌভাগ্য হয়ে গেল। এছাড়াও নেতাজির ছবি দিয়ে পুরো ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সাজানো হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ঠিক বলেছেন দাদা আজকাল যা গরম পড়েছে বাইরে বের হওয়া সত্যিই অনেক মুশকিল হয়ে গিয়েছে। তারপরও আপনারা তিনজন মিলে অনেক ভালো একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল দেখার অনেক ইচ্ছে আমার, অনেক বার ভিডিওতে দেখেছি অনেক বইতে পড়েছি তবে তবে আপনার ছবিগুলো দেখে সত্যিই অনেক আনন্দিত হলাম এবং অনেক কিছু দেখতে পেলাম। ভিতরের পরিবেশটা সত্যিই অনেক দারুন।

আমার প্রাণপ্রিয় দাদা অনেক দিন পর আপনার সেই অসাধারণ মিষ্টি চেহারাটা দেখতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে।দাদা আপনি গাড়ির ভিতরে একটু ঘুমাতে পেরেছেন জানতে পেরে স্বস্তি পেলাম। আর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রিয় দাদা আপনি এবং নিলয় দাদা অনেকবার আসলেও এটা সজিব দাদার জন্য প্রথম ছিল জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। নিশ্চয় সজিব দাদা বেশ উপভোগ করেছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের মহারানী ভিক্টোরিয়ার ব্রোঞ্জ মূর্তির সামনে নিলয় এবং সজীব দাদাকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। আমার প্রাণপ্রিয় দাদা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের আর্ট গ্যালারির ফটোগ্রাফিসহ আপনার পোষ্টের সকল ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

প্রিয় দাদা আপনারা মেমোরিয়ালে
তিনজনে মিলে হাঁটতে বেরুলেন পার্কে । বিশাল লেক, ফোয়ারা আর অসংখ্য গাছগাছালির ছায়াঘেরা পথ দিয়ে হাঁটতে আপনাদের বেশ দারুন লাগছিলো। মাঝে মাঝে গাছের আড়ালে একটু নির্জন বেঞ্চিতে ভালোবাসা রচিত হতে দেখে এক জোড়া কপোত কপোতীর । তাই দেখে লজ্জায় আপনাদের মুখই রাঙা হয়ে উঠলো ।।সেইসাথে প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে।

নতুন কোন জায়গায় নতুন করে গেলে সত্যিই ভালো লাগার অনেক বিষয় থাকে। সবাই একটু উত্তেজিত অবস্থায় থাকে। সেটা সবার ক্ষেত্রে একইরকম হয়ে থাকে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন তিনজন মিলে পার্কের দৃশ্যপট ব্রিটিশদের ঐতিহ্যবাহী কিছু শিল্পকর্ম দেখে অনেক ভালো লাগলো।

২০২১ সালে নেতাজির জন্মদিন খুব বড়ো করে পালন করা হলো তখন প্রধানমন্ত্রী সহ অনেকেই ছিলেন। সেই সময়ই মনে হয় নেতাজির মেমোরিয়াল বানিয়ে দিলো। কোলকাতায় থেকেও আমি কখন যাইনি ভেতরটা অনেক বিশাল দেখছি। সামনের শীতে যেতে হবে দেখছি।

This is so cool good

শান্তিমত কপোত-কপোতী রা প্রেম করতে নিয়েছিলো,তাও ঐখানে উঁকি দিয়ে ব্যাঘাট ঘটনানো 😄😄😄।যাই হোক ছবিগুলো ভালো ছিলো।

দাদা আপনার পোস্টটি অনেক অনেক সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর.

ওরে বাবা কত বড় পোষ্ট, এত্তো ফটোগ্রাফি, এক দিনে পোষ্ট শেষ করে দিলেন দাদা। নতুন পরিবর্তনটা সত্যি ভালো ছিলো, কারণ ব্রিটিশদের স্মৃতি বাদ দিয়ে নিজ দেশের ঐতিহ্য ধরে রাখাটা বেশী দরকার। ধন্যবাদ ফটোগ্রাফি দেখে অনেকটাই ফ্রিতে স্বাদ নিয়ে নিলাম হি হি হি।

দাদা বেশ কয়েকবার ভারত গেলেও ভিক্টোরিয়ায় যাওয়া হয়ে ওঠেনি। সজীব এর ভাগ্য খুবি ভাল যে ও আপনাদের সানিধ্য পেয়েছে। যাই হোক ভাগ্যে থাকলে আমরাও হয়তো আপনার দেখা সামনা সামনি পাবো। ছবি গুলো দারুন হয়েছে তবে ভিক্টোরিয়া না দেখার দুখঃ টা আজ কিছুটা হলেও কম হল কারন আপনার ছবির মাধ্যমে কিছুটা হলেও দেখতে পেলাম। অপেক্ষায় রইলাম "সায়েন্স সিটি" এর। ভাল থাকবেন দাদা । শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল।

রাত চারটায় ঘুমিয়ে সকাল আটটায় উঠে গেলেন দাদা। আমার এমন হয়ে যায় মাঝে মাঝে যতই রাত জাগি না কেন , সকাল আটটার আগে উঠে পড়ি। যায়হোক, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এর ভিতরের অংশটা বেশ সুন্দর। কারুকার্য বিশিষ্ট করে তৈরি করেছে। প্রথমবার সজীব দাদা দেখেছে এজন্য খুশিও হয়েছে।

লজ্জায় আমাদের মুখই রাঙা হয়ে উঠলো ।

এটা পরে আমারও লজ্জা লাগলো 🤭

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একবার গিয়েছিলাম হঠাৎ কোনো প্ল্যান ছাড়াই ।কিন্তু খুবই কম সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে, যাইহোক আপনারা তিনজন যে দারুণ একটা সময় কাটিয়েছেন তা বেশ বোঝা যাচ্ছে দাদা।তাছাড়া আপনার লেখাগুলো পড়তে বেশ ভালো লাগে আমার।

এর আগে ভিক্টোরিয়া পার্ক সম্পর্কে শুধু সিনেমায় দেখেছি ও শুনেছি। আজ দাদা আপনার কল্যাণে ভিক্টোরিয়া পার্কের বিভিন্ন দৃষ্টি নন্দনীয় ছবিগুলো দেখতে পেলাম। ভিক্টোরিয়া পার্ক দেখতে অন্যান্য। দাদা ভোর চারটায় ঘুমিয়ে আবার সকাল আটটায় ওঠে সারাদিন ঘোরাফেরা করেছেন কাজটি খুবই কঠিন একটি কাজ বিশেষ করে আমাদের জন্য। সত্যি দাদা আপনি একজন অনন্যা পরিশ্রমী মানুষ। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এ দারুন সময় কাটিয়েছেন আপনারা তিনজন । জায়গাটা সত্যিই চমৎকার ।ফটোগ্রাফি গুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে দেখেই মনে হচ্ছে যেয়ে ঘুরে দেখে আসি ।সারাদিনের ঘোরাঘুরিটা বেশ ভালই হয়েছে মনে হচ্ছে।