ছোটবেলায় গোরুর গুঁতো খাওয়া

in hive-129948 •  2 months ago  (edited)

cow-7092777_1280.jpg

কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : পিক্সাবে


ছোটবেলায় আমি বেশ দুরন্ত স্বভাবের ছিলাম । তাই অনেকগুলো রোমাঞ্চকর ঘটনা এবং দুর্ঘটনার সাক্ষী আমি । ছোটবেলায় আমার সাথে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু দুর্ঘটনার কথা ইতিমধ্যে আমি আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করেছি । দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - কুকুরের কামড় খাওয়া, হাত ভেঙে ফেলা, নৌকো উল্টে জলে পড়ে যাওয়া, গোরুর গুঁতো খাওয়া, ষাঁড়ের তাড়া খাওয়া, সাপের কবলে পড়া, গোসাপের তাড়া খাওয়া আরো কত কী । এর মধ্যে আজকে গোরুর গুঁতো খাওয়ার ঘটনাটি শেয়ার করছি আপনাদের সঙ্গে ।

তখন আমি গ্রামের স্কুলে ক্লাস থ্রী-তে পড়ি । শীতকালের দুপুর । স্কুলে ফাইনাল এক্সাম হয়ে গিয়েছে । স্কুলে তাই বেশ লম্বা ছুটি পড়ে গিয়েছে । শীতের দুপুরে ঘরে কোনোদিনই থাকতাম না । কারণ শীতের দুপুরে টো টো করে গ্রামের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ানোর সেই মজা ।

সেদিনও যথারীতি পুকুরের ঠান্ডা জলে স্নান করে চাট্টি ভাত খেয়ে বেরিয়ে পড়েছি গ্রামের আনাচে কানাচে টো টো করে ঘুরে বেড়াতে । বেলা একটু পড়লে খেলার মাঠে যাবো । গায়ে একটা পুরু টিশার্ট আর পরনে একটা হাফ প্যান্ট ছাড়া কোনো শীতের পোশাক নেই । ঠিক দুপুরবেলা যাকে বলে । মাথার উপরে সূর্য যথেষ্ঠ উত্তাপ ছড়াচ্ছে, তাই একটুও শীত করছে না । তবে যখন মাঝে মধ্যে হু হু করে উত্তুরে হাওয়া বইছে তখন বেশ শীত শীত করছে ।

শীতের দুপুরে আমি সব সময় একা একাই ঘুরে বেড়াতাম । কখনো গ্রামের দক্ষিণে মাঠের দিকে, কখনো উত্তরের দিকে যে জঙ্গুলে জায়গাটা আছে যেখানে প্রচুর গাছগাছালি জট পাকিয়ে রয়েছে সেখানকার ঝোপে ঝাড়ে ঘুরে বেড়াতে দারুন লাগতো আমার । শীতের শুরুতেই আমাদের গ্রামের ধানক্ষেতে আর গাছগাছালি ঝোপ ঝাড়ে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটতো । পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে আমার দারুন লাগতো । এই পাখিই ছিল আমার ঠা ঠা দুপুরে ঘুরে বেড়ানোর মূল আকর্ষণ । তবে আমি কখনো গুলতি বা এয়ারগান দিয়ে পাখি শিকার করতাম না । পাখি দেখা আর তার ডাক শোনাই মুখ্য ছিল আমার কাছে ।

আর একটা গোপন উদ্দেশ্য ছিল অবশ্য । তবে এখন আর বলতে দ্বিধা নেই । ছোটবেলায় ইটা সযত্নে গোপন রেখেছিলাম । আমার খুব ছবি আকার শখ জানেনই তো আপনারা । এই শখটা মাত্রারিক্ত ছিল একদম শৈশবে । তা গাঁয়ের ছেলে আমরা, রং পেন্সিল, রং-তুলি এসব কোথায় পাবো ? তাই আমাদের আঁকার সরঞ্জাম ছিল সাধারণ পেন্সিল, লাল-নীল-কলম কলম. কাঠ কয়লা, হাঁসের পালক এসব । রঙের জন্য আমরা ডিপেন্ড করতাম কাঠ কয়লা, খড়ি মাটি, চকের গুঁড়ো, পুঁইশাকের পাকা ফল, গাঁদা ফুলের পাঁপড়ি, জবা ফুলের পাঁপড়ি এসব । আর এই সব উপকরণ সংগ্রহের জন্যও আমি এমন টো টো করে ঘুরে বেড়াতাম ।

শীতে প্রায় সবার বাড়ির আঙিনাতেই গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, জবা সহ নানান ফুল ফোটে । এই ফুল স্রেফ চুরি করে আনতুম আমি । যদি সেসময় আমার মা জানতে পারতো এই কথা তখন পিঠে পড়তো দুমদাম ।

যাই হোক এই ফুল চুরি করতে গিয়েই একদিন খেলুম গোরুর গুঁতো । সেই কথাই আজ বলবো । গ্রামের একটা বাড়ির পেছনদিকের একটুখানি জমিতে অনেকগুলো গাঁদা ফুলের গাছ ছিল সেটা আগের দিন ভালো করে দেখে এসেছিলাম । তার পরের দিন শুরু হলো আমার ফুল হরণের অভিযান । এই দিন পরিকল্পনা ছিল হাফ প্যান্টের তিনটে পকেট ভর্তি করে যত পারি গাঁদা ফুল ছিঁড়ে আনবো । তাই স্নানের পর বেছে বেছে যে প্যান্টের তিনটে পকেটই অক্ষুন্ন আছে সেটাই পরলাম । কারণ ছোটবেলায় প্রায়ই প্যান্টের পকেট ছিঁড়ে যেত আমার ।

এরপরে যথারীতি অভিযান । খাঁ খাঁ করা শীতের রোদ্দুরের দুপুরে বেরিয়ে পড়লুম ফুল চুরির মহৎ উদ্দেশ্যে । চারিদিক শুনশান । কেউ নেই কোথাও । থেকে থেকে শুধু একটা কি পাখি যেন টুউউউ টুউউউ করে ডাকছে । আর মাঝে মাঝে গা কাঁপিয়ে হু হু করে উত্তুরে হাওয়া বইছে ।

এমন সময় চুপিসাড়ে এসে দাঁড়ালাম ঘরের পেছনের গাঁদা ফুলের বাগানে । কেবলমাত্র একটা ফুলে হাত দিয়েছি এমন সময় পেছন দিকে ফোঁস ফোঁস করে কিসের শব্দ শুনে ঘাড় ঘোরাতে যাবো, তার আগেই হঠাৎ ফুল গাছ ফুঁড়ে একজোড়া শিং এসে সজোরে ঢুঁ মারলো আমার পেছনে । বোঁ করে সামনে কিছুটা এগিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়লুম । ব্যথা খুব একটা বেশি লাগেনি । তার কারণ খুব সম্ভবতঃ গাঁদা ফুলের গাছগুলো । গুঁতোর অনেকটাই গাছগুলোর উপর দিয়ে গিয়েছে ।

যাই হোক মাটি থেকে উঠে দাঁড়ানোর আগেই গোরুটা আমার সামনে এসে মাথা নিচু করে আবার গুঁতোতে এলো । ঠিক তখন, আমি খুব ছোট্ট এক বাচ্চা হওয়া সত্ত্বেও বুকে অসীম সাহস রেখে খপ করে ধরে ফেললুম গরুর শিং জোড়া । তখন আমার মাথার মধ্যে একটা জিনিসই শুধু একভাবে বেজে যাচ্ছে - "আশেপাশে কেউ নেই । চিৎকার করলেও কেউই আসবে না । তাই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা এখন নিজেকেও করতে হবে ।" ওইটুকু বয়সে ঐরকম চিন্তা আমি সেদিন কীভাবে করেছিলাম ভাবতেই অবাক লাগে এখন ।

ভয় না পেয়ে মাথা ঠান্ডা করে গোরুর শিং জোড়া খপ করে ধরে ফেলেই দিলাম সর্বশক্তি দিয়ে এক ঝাঁকুনি । ওই ঝাঁকুনিতেই কাজ হলো । গোরুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো । কয়েক সেকেন্ড মাত্র । এর পরেই শুনতে পেলুম "হাআআআম্বা ...." বলে একটা বাছুরের ডাক । সঙ্গে সঙ্গে গোরুটা এক ঝটকা দিয়ে আমার হাত থেকে শিং ছাড়িয়ে নিয়ে যেদিক থেকে বাছুরের ডাক এসেছে সেদিকে ছুটে গেলো ।

আর আমি সেখানে থাকি ? মাটি থেকে উঠে পড়ি মরি দিলাম ছুট । আমি কী আর জানতাম যে ওই বাড়ির গোরুর সদ্য বাচ্চা হয়েছে ? কখন জানি খোঁটা উপড়ে গোরুটা ছাড়া পেয়েছে আর এসে আমাকে দিয়েছে গুঁতিয়ে । সদ্য বাচ্চা হওয়া গোরু সাংঘাতিক গুঁতোনো হয় ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধন্যবাদ দাদা, ছোটবেলার একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। তবে ফুল চুরির মহৎ উদ্দেশ্যটা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে মহৎ এক গাভীর মোকাবেলা করতে হলো আপনাকে। আপনার গাভী লড়াইয়ের সাথে বাহুবলি সিনেমার একটি দৃশ্যের সাথে সামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। যাইহোক দাদা, ছোটবেলার সাহসিকতা এবং দূরদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য আজকে এ অবস্থানে রয়েছেন এবং ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবেন। শুভকামনা রইল ❤️❤️❤️

ব‍্যাপার টা রোমাঞ্চকর। ঐদিন আপনার উপস্থিত বুদ্ধির কারণে আপনি গরুর গুতো থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন দাদা। ব‍্যাপার টা বেশ ছিল। আমার আপনার মতো অন্য কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে ছোটবেলা শুধু আমার হাত ভেঙে গিয়েছিল।

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 40.60% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

hello

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

ফুল চুরির মহৎ উদ্দেশ্যে, লাইনটা দারুণ ছিলো দাদা। হয়তো এই জন্য সবাই মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে চুরি করতে যায়, হা হা হা। ফুল চুরির মহৎ উদ্দেশ্যেটা তাহলে সগৌরবে বিফল হয়েছিলো হি হি হি।

ওইটুকু বয়সেই আপনার সাহস দেখে সত্যি অবাক হলাম দাদা। অন্য কেউ হলে তো কান্নাকাটি করে একেবারে একাকার করে দিত। আর আপনি নিজেকে রক্ষা করার দারুন চেষ্টা করেছেন। সদ্য বাচ্চা হওয়া গোরুগুলো একটু রাগী প্রকৃতির হয়। আর মানুষ দেখলেই গুঁতো দেওয়ার চেষ্টা করে। হয়তো ভাবে তার বাচ্চার ক্ষতি করার জন্য কেউ তার আশেপাশে এসেছে। সত্যি দাদা ছোটবেলার অনেক স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। শৈশবের দিনগুলো সত্যিই আলাদা ছিল।

দাদা আপনার সাহস দেখে অবাক হয়ে হয়ে গেলাম। আসলে দাদা মানুষ বলে না যার সাহস থাকে ছোট বেলা থেকেই থাকে। তবে ফুল চুরির বিষয় বেশ ভালো লাগলো।সত্যি ফুল পবিত্র জিনিস এটা চুরি হলেও পবিত্র। আর কিছু কিছু গরুর বাচ্ছুর আছে যা মানুষ দেখলেই গুঁতো মাড়তে আসে।ধন্যবাদ দাদা বেশ ভালো লেগেছে আপনার লেখাটা।

ফুল চুরি আবার মহৎ উদ্দেশ্য হলো কবে থেকে, হাহাহা।তবে এত দুরন্ত ছিলেন আপনি,এখানে শেয়ার না করলে তো জানতেই পারতাম না।আর সদ্য বাচ্চা দেয়া গরুর আশেপাশেও ঘেঁষতাম না এই গুঁতো খাওয়ার ভয়ে। তবে সাহস দেখিয়ে যে গরুর শিংগুলো ধরে ফেলেছেন এটাই কাজ হয়েছে।নাহলে সেদিন আপনার কপালে কি ছিল ভাবতেই ভয় লাগছে।

হায়রে, আপনার দেখছি দুর্ঘটনার অভাব নেই। এত সবগুলো দুর্ঘটনা কি আপনার সাথে ঘটেছিল নাকি। শুনেই মনে হচ্ছে আপনি অনেক দুষ্টু ছিলেন। তার সাথে আবার ঐটুকু বয়সে দেখছি আপনার অনেক বেশি সাহস ছিল দাদা। কিভাবে গোরুর শিং ‌ ধরে ফেললেন, একা থাকা সত্ত্বেও দেখছি ভয় পেলেন না। সত্যিই এটা অনেক বড় সাহসিকতার পরিচয়। আর এর সাথে আপনার ফুল চুরি করাটাও হলো না।

ঘটনাটি পড়ছিলাম আর মুচকি মুচকি হাসছিলাম দাদা। তবে একটি বিষয়ে অনেকটাই অবাক হয়েছি। আপনি গরুর শিং জোড়া কিভাবে ধরে একটি ঝাঁকি মারলেন! সেই ছোটবেলায় ও আপনার বুদ্ধি অনেক প্রখর ছিল। এছাড়াও আপনার উপস্থাপনের ধরনটি অনেক অনেক ভালো লেগেছে দাদা, অনেক আনন্দিত হয়েছি।

সত্যি দাদা আপনি রোমাঞ্চকর। রীতিমতো আপনার পোস্টগুলো দেখে এবং কয়েকটি পোস্ট দেখে খুবই হাসি পায়। যেমন আজকের পোস্টটি ছিল বেশ আনন্দদায়ক। তাহলে দাদা আপনিও গরুর এমন গুতা খেয়েছেন হা হা। আপনার আজকের এই রোমাঞ্চকর পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। বেশ দারুণভাবে আজকের পোস্টটি সাজিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ছোটবেলার স্মৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

খুব ভালো লাগলো দাদা গরুর গুঁতো খাওয়ার গল্পটি।আর্ট করে রং করার জন্য ফুল চুরি করতে গিয়ে মা গরুর গুঁতো। সাহসিকতার সাথে গরুর শিং ধরে ফেলাটা বেশি ভালো লাগলো।মা গরুর বাছুরটি যদি ওর মাকে না ডাকতো তাহলে মনে হয় আরো কয়টি গুঁতো খেতে হতো দাদা আপনাকে হাহাহা।

হাহাহা! গরু কাজটা করলো কি দাদা! গুঁতো না দিলে তো পকেট ভর্তি গাদাঁ ফুল নিয়ে আসতে পারতেন। তবে আপনার যে সাহস আছে দাদা! আমি হলে তো ভয়েই সেখানে কেঁদে দিতাম! আপনি এতোকিছুর পরে মাথাটা যে ঠান্ডা রাখলেন, হাহাহা! খুব মজা পেলাম গল্পটা পড়ে।

দাদা ছোটবেলায় যারা দুরন্ত স্বভাবের থাকে, তাদের সাথে দুর্ঘটনা একটু বেশিই ঘটে। তবে ছোটবেলার সেই স্মৃতি গুলো সারাজীবন মনে থাকে আমাদের। দাদা আপনি তো দেখছি ছোটবেলা থেকেই বেশ সাহসী ছিলেন। গরুটা আপনার পিছন দিকে একবার গুঁতো দিলেও, পরবর্তীতে কিন্তু গরুটার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। সেদিন সাহস করে গরুর শিং দুটি না ধরলে,আপনার অবস্থা মনে হয় গরুটা খারাপ করে দিতো। যাইহোক ছোটবেলার স্মৃতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

ছোটবেলার সুন্দর স্মৃতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা আপনার এই সুন্দর স্মৃতি পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার সাহসিকতা। ছোটবেলায় আমিও রাজহাঁসের গলা ধরে আছাড় মেরে সাহসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছিলাম, সেটা ইতোপূর্বে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। মানুষের কমবেশি এমন সাহসিকতা থাকে। খুবই ভালো লাগলো অনেক কিছু জানতে পেরে।

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে কি হাসবো নাকি মন্তব্য করবো সেটাই তো বুঝতে পারছি না। তবে পোস্ট পড়ে যা বুঝলাম ছেলেবেলায় আপনি দারুন দুষ্ট এবং সাহসী ছিলেন। তা না হলে ওতটুকু বয়সে কি করে রক্ষা করলেন? ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ছোট বেলার দুরন্তপনা নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। খুব ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি। সেই সাথে অনেক ছোট বেলার ঘটনা মনে পড়ে গেল আমার। থাক সেসব কথা। আপনার সাহস আছে বটে। আপনি ঐ বয়সে গুতো দেওয়া গরুর শিং ধরে ঝাকুনি দিয়েছেন এবং কান্নাকাটি না করে নিজেকে রক্ষা করেছেন ভাবতেই অবাক লাগছে। শৈশবের মধুর স্মৃতিবিজরিত পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Felicidades mi amigo excelentes publicacion me encanto muy buen

দাদা আপনি তো দেখছি একদম আমার চাচাতো ভাইয়ের মতো। সেও ঠিক আপনার মতোই দুরন্তপনা একটি ছেলে। যার কোনো ভয় নেই আর অসীম সাহসী। আপনার এতটুকু বয়সেই এত বুদ্ধি ছিল। আমিও ছোটবেলায় গরুর গুঁতো খেয়েছি আর সে দিন আমার কান্না কে দেখে। আপনি ভয় না পেয়ে সাহসের সাথে সেই সময় পার করেছেন আর আমার ভয়ে দু'দিন পর্যন্ত জ্বর ছিল। আপনার পোস্ট পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল আমি যেন কল্পনায় আপনার সেই সময়ে ফিরে গিয়েছিলাম। দাদা আপনার কাছ থেকে শৈশবের এমন আরও মজার মজার ঘটনা শুনতে চাই।

এতোটুকু বাচ্চা ছেলের সাহস দেখে আমি তো অবাক! অবশ্য ওই জায়গায় যদি আমি হতাম তাহলে এমন এক চিৎকার দিতাম, ওই চিৎকারে গরু ভয়ে পালিয়ে যেত।

সদ্য বাচ্চা হওয়া গোরু সাংঘাতিক গুঁতোনো হয় ।

এটা জানা ছিলনা, হয়তো ভাবে তার বাচ্চাটিকে যদি কেউ ছিনিয়ে নিয়ে যায়! এ কারণেই মনে হয় সাংঘাতিক হয়।

দাদা আজকে আপনার গল্পটি পড়ে না হেঁসে পারলাম না। তাহলে গাঁদা ফুল আনতে গিয়ে গরুর গুঁতো খেলেন হে হে হে। তবে এখানে আপনার সাহসের প্রশংসা ও করতে হয়। এতোটুকুন বয়সে কিভাবে সাহস করে গরুর শিং এ ধরে ফেললেন। আমি হলে কাঁদতে কাঁদতে সারা এলাকা একাকার করে ফেলতাম। ছোটবেলা থেকেই আপনার বুদ্ধি আছে বলতে হবে। ধন্যবাদ দাদা।

যাই বলেন,বাছুর কিন্তু বাঁচিয়ে দিলো দাদা আপনাকে।

পাজি গরুর জন্য ফুল চুরি করার মত মহৎ কাজটি করতে পারেননি। গুতো দিয়েছে ঠিক আছে, তিনটি পকেট ফুল দিয়ে ভরাট করার পর গুতো দিতো, তাহলে অত্যন্ত কিছু ফুল নিয়ে আসা যেতো,হা,হা হা। তবে দাদা আপনার সাহসের প্রশংসা করতে হয়। এই বয়সে এরকম সাহস ভুলেও কেউ করতো না। ধন্যবাদ দাদা।

ছোটবেলার দুরন্তপানা নিয়ে অনেক দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো দাদা। আমি যতটুকু জানি ছোটবেলায় যারা দুষ্ট থাকে তাদের অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে দাদা আপনার ওইটুকু বয়সে অনেক সাহস ছিল । গরুর শিং ধরে ঝাঁকুনি দিয়েছেন কান্নাকাটি না করে নিজেকে রক্ষা করেছেন সত্যিই আপনার সাহস দেখে আমি অবাক হলাম দাদা। আসলে কিছু কিছু গরু আছে প্রচন্ড রাগি।অনেক ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

তাহলে তো দাদা ছোটবেলা ভালোই ছোটাছুটি করে টোটো করে ঘুরে বেড়াতেন । আসলে শীতের দুপুরে এরকম বিভিন্ন ধরনের অতিথি পাখির ডাক গুলো উপভোগ করতে ভালই লাগতো। যেগুলো আমিও অনেক ঘুরাঘুরি করেছি । আপনি একা একা ঘুরাঘুরি করছেন আমরা বন্ধুরা মিলে এলাকার সমবয়সীরা ঘুরাঘুরি করতাম। আগে তো গাধা ফুল বাড়ি রাঙ্গিনায় বেশি দেখা যেত যেটা ও শীতকালীন সময় ফুল ফুটতো তাছাড়া ফুল চুরি করতে গিয়ে গরুর গুতো খাওয়া সাহসিকতার সাথে সিং ধরে গরুকে ভয় দেখানো সত্যি এটা সেই বয়সের অনেক বড় একটি সাহসিকতা।

ছোটবেলায় যারা দুরন্ত থাকে তাদের জীবনে দাদা রোমাঞ্চকর ঘটনা এবং দুর্ঘটনা দুটোই থাকে। সদ্য বাচ্চা হওয়া গোরু সাংঘাতিক গুঁতোনো হয়, এটা ঠিক কথা বলেছো দাদা। আমি নিজেও দুই একবার এমন গোরুর গুঁতো খেয়েছি। তবে দাদা সব থেকে অবাক হলাম এটা জেনে যে, ওই বয়সেও তুমি গুঁতো খাওয়ার পর গোরুর শিং ধরে রাখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলে। আমি হলে তো ওখানেই কান্না শুরু করে দিতাম। মাঝে মাঝে দাদা তোমার ছোটবেলার গল্প শুনে খুব হিংসা হয়। আমাদের ছোটবেলা যদি তোমার ছোটবেলার মত দশ পার্সেন্টও মজাদার হত, তাহলে জীবনটা ধন্য হয়ে যেত।

লেখাটার শেষের দিকে পড়ে বেশ বিনোদন পেয়েছি ভাই, বলতে গেলে অনেকটা একাকী হাসছিলাম এই দুপুরবেলায়। দারুণ উপভোগ করলাম।

কুকুরের কামড় খাওয়া, হাত ভেঙে ফেলা, নৌকো উল্টে জলে পড়ে যাওয়া, গোরুর গুঁতো খাওয়া, ষাঁড়ের তাড়া খাওয়া, সাপের কবলে পড়া, গোসাপের তাড়া খাওয়া আরো কত কী

দাদা আপনার জীবনে এত কিছু ঘটে গেছে তারমানে আপনি নিঃসন্দেহে দুরন্ত ছিলেন। তবে দাদা ওইটুকু বয়সে আপনার সাহস দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম। যে মানুষটা গরুর গুতো খাওয়ার পরেও, সেই গরুর শিং ধরে রাখার সাহস দেখায়, সে নিঃসন্দেহে অনেক সাহসী। তবে ভাগ্যিস ওই সময়টাতে বড় কোন দুর্ঘটনা হয়নি, অল্পের উপর দিয়ে চলে গেছে। অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার গল্পটা পড়ে।

যদি সেসময় আমার মা জানতে পারতো এই কথা তখন পিঠে পড়তো দুমদাম ।

হাহা, দাদা আন্টি যদি এই কথা এখনো জানতে পারে। তাহলে তো আপনার আর রক্ষে নেই।

"আশেপাশে কেউ নেই । চিৎকার করলেও কেউই আসবে না । তাই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা এখন নিজেকেও করতে হবে ।"

এই রকমের সাহস গুলোই বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে। আর দুর্ঘটনার সময় এই সাহসগুলো হঠাত করেই চলে আসে। গরু আপনার সাহস দেখে নিজেই পালিয়ে গেলো। হেহে, আপনি যদি ভয় পেতেন সেসময় তাহলে সে আরো ভয় দেখাতো।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

গ্রামে একা একা ঘুরতে ভয় লাগে না,যদিও গাছগাছালি বেশি থাকে তাহলে তো দিনের বেলা তেও ভয়।যাই হোক ভাগ্যিস গরু তেমন কিছু করতে পারেনি যদি খারাপ কিছু হতো।গরুর গুতা খুব খারাপ জিনিস।

সর্বনাশ আপনিতো ফুল চুরি করতে গিয়ে বিরাট বিপদের মুখে পড়েছিলেন। গরু যখন হিংস্র আচরণ শুরু করে তখন দেখতে রীতিমতো ভয় লাগে। ছোটবেলায় একবার আমি গরুকে রাগান্বিত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলাম। আপনার পোস্টটা পড়ে আমার সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো। তবে আপনার সাহসের তারিফ করতে হয়। এইরকম ভয়ানক পরিস্থিতিতে পড়েও যে মাথা ঠান্ডা রাখতে পেরেছিলেন এটা বিরাট ব্যাপার।

সদ্য বাচ্চা হওয়া গোরু সাংঘাতিক গুঁতোনো হয়।

একবারই নিশচই খেয়েছিলেন এই গুতো। ন্যাচারাল রং কালেকশনের দারুন অভিজ্ঞতা দাদা। আপনার অভিজ্ঞতাগুলো আপনি এমনভাবে বর্ননা করেন যা পড়তে ভাল লাগে আর মনে মনে কিছুটা হাসি পায়। ধন্যবাদ।

আহারে বেচারা তিন পকেট ভর্তি করে ফুল নিয়ে আসবে, শেষমেষ গরুর গুতায় সব প্ল্যান ভেস্তে গেল ।যাইহোক বেশি ব্যথা তো পান নি। তবে ওই বয়সে অত বুদ্ধি আপনার দ্বারাই সম্ভব। অন্য কেউ হলে তো গুতো খেয়ে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত ।বেশ মজা লাগলো গল্পটি পড়ে। আরো নতুন নতুন গল্প চাই। অনেক ধন্যবাদ।

আপনি ছোট থেকেই বুদ্ধিমান ছিলেন দাদা।আর যাদের বুদ্ধি হয় ছোট থেকেই হয় এই কথাটা প্রায় শুনি। তা না হলে ওইটুকুনি বাচ্চার মাথায় কিভাবে এটা কাজ করলো গরুর শিং পেড়ে ধরলে বাঁচতে পারব কেউ যেহেতু আশেপাশে নেই নিজের রক্ষা নিজেকেই পেতে হবে।তবে এটা ঠিক যে দুরন্ত ছেলেপেলে গুলো জীবনে বেশিরভাগ বিপদে পড়ে।আপনি অনেকবার বিপদে পড়েছেন আবার বেঁচে গেছেন।এটা আসলে বুদ্ধিমান এবং ঠান্ডা মাথার মানুষ এজন্যই সম্ভব হয়েছে।ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণের পোস্টটি দাদা।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য