প্রচন্ড তাপদাহে শরীরকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে - আমার একডজন টিপস

in hive-129948 •  9 months ago 

ai-generated-8672958_1280.jpg

copyright free image source : PixaBay


এ বছর বাংলা শুভ নববর্ষের পর পরই যে গরম পড়েছে তাতে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার অবস্থা । ১৪ ই এপ্রিল ছিল বাংলা নববর্ষ, আর তার ঠিক চার দিন পরেই ১৮ ই এপ্রিল কোলকাতায় দিনের বেলা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০.২ ডিগ্ৰী । ঠিক ওই সময়টাতেই রাজস্থানে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৯ ডিগ্রী । ভাবুন কী অবস্থা ! আমাদের কলকাতা হলো নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু এলাকার, আর রাজস্থান হলো গিয়ে মরুভূমির দেশ ।

আসলে কি জানেন আমাদের দেশ এখন আর নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর অন্তর্গত কোনোক্রমেই বলা চলে না, এখন শুধুই গ্রীষ্মপ্রধান দেশ বলা যেতে পারে । বিশ্বব্যাপী উষ্ণায়নের জেরে জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে আমাদের দেশে ।

একটু পর্যবেক্ষণ করলেই আমরা দেখতে পাবো যে বিগত বছরগুলির তুলনায় বর্তমান বছরগুলিতে এখন আরো বেশি করে গরম পড়ছে । এই ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে গরম আরো বৃদ্ধি পাবে । হয়তোবা মরুকরণের ইফেক্ট শুরু হয়ে যাবে খুব শীঘ্র । এর পেছনের মূল কারণ কিন্তু একটাই - ক্রমাগত বনভূমি উজাড় করে ফেলা, যথেচ্ছ হারে গাছপালা কেটে সাফ করে দেওয়া, কিন্তু, সে অনুপাতে গাছপালা না লাগানো । যত দ্রুত হারে পৃথিবী থেকে বনভূমি হ্রাস পাবে তত দ্রুত গতিতে বিশ্বব্যাপী উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে ।

এ বছর তো চৈত্র মাসেই অসম্ভব গরম পড়েছিল । বৈশাখের আগমনের পূর্বেই গরমের চোটে চারিদিকে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠে গিয়েছিলো । আর বৈশাখের একদম শুরুর দিকে ৪৪ ডিগ্রী অব্দি টেম্পেরেচার ছাড়িয়েছিলো। কোলকাতার কাছে কোথায় লাগে মরুশহর জয়পুর । মরুশহর জয়পুরের চাইতেও রোদের তেজ আরো বেশি খর ছিল । এই প্রচন্ড গরমে চারিদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে লু বইছে। ফলশ্রুতিতে পশ্চিমবঙ্গে হিট স্ট্রোকে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে ।

এই প্রচন্ড গ্রীষ্মের দাবদাহে জলশূন্যতা একটা খুবই কমন ইস্যু, আর এই জলশূন্যতা আমাদের শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এই গরমে সুস্থ থাকাটাই সব চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ । যদিও আমরা সবাই কম বেশি গ্রীষ্মকালীন সময়ে শরীর সুস্থ রাখার টিপস জানি, তবুও আজ আমি আমার কিছু নিজস্ব মতামত ও টিপস শেয়ার করলাম আজ । আশা করি আপনাদের কাজে লাগতে পারবে ।


০১ এই গরমে শরীর হাইড্রেট রাখা ভালো থাকার একমাত্র সঠিক কারণ । তাই বেশি বেশি করে বিশুদ্ধ জল পান করুন । একবারে সর্বোচ্চ ২ গ্লাস জল পান করুন । সারা দিনে মিনিমাম ৩ লিটার জল পান করুন । কিন্তু, দিনের বেলায় ঘন্টায় একবার অন্তত জল পান করবেন মাস্ট ।

০২ ফ্রিজের বরফ ঠান্ডা জল পান করা সীমিত করুন । নরমাল টেম্পেরেচারের জল পান করা শরীরের পক্ষে ভালো । বারে বাড়ে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে তৃষ্ণা নিবারণ করলে তা শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে । ফ্রিজের বরফ শীতল জল হার্টের রক্ত নালীগুলোকে সংকুচিত করে, হজমের গন্ডগোল করে এবং দ্রুত গলা শুকিয়ে যাওয়ার অনুভূতি সৃষ্টি করে ।

০৩ দিনে অন্তত দুই গ্লাস লেবু, নুনের শরবত করে খান । আমরা গরমে প্রচুর ঘামি । এই ঘামের সাথে শরীর থেকে নুনও বেরিয়ে যায় প্রচুর । ফলে নুন সংকট দেখা দিতে পারে পেশীতে । ফলশ্রুতিতে পেশী ক্র্যাম্প হয়ে যেতে পারে ।

০৪ গরমের দিনে শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ব্যালান্স ঠিক রাখতে ডেইলি অন্তত একটি করে ডাবের জল পান করার চেষ্টা করুন । ডাবের জল হলো প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটের উৎস । এতে শরীর সব চাইতে বেশি সতেজ থাকে ।

০৫ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি খান গরমের দিনগুলিতে । গরমকালে প্রচুর পরিমাণে পাতি ও গন্ধরাজ লেবু ওঠে বাজারে । এক গ্লাস জলে একটি পাতি লেবুর রস চিপে বের করে তার সাথে এক চামচ চিনি ও এক চিমটি নুন মিশিয়ে ওপরে গন্ধরাজ লেবুর রস হালকা করে দিয়ে শরবত বানিয়ে খাবেন । দিনে অন্তত দুই গ্লাস ।

০৬ গরমে বেশি করে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন বাড়িতে । শরবত, স্যুপ, স্ট্যু এসবের পাশাপাশি ডাল, ভাত, মাছের ঝোল খাবেন । খাবার পাতে অবশ্যই লেবু রাখবেন । এই সময়টাতে মাংস ও গুরুপাক রান্না যথাসাধ্য কম খাবেন । খুব ভোরে ব্রেকফাস্ট করবেন । দুপুরে প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি সহযোগে ভাত, ডাল ও মাছের ঝোল খাবেন । ভাজাভুজি একদম কম খাবেন । রাতে একদম হালকা খাবার খাবেন । রাতে ভাত না খেলেই ভালো, তারপরেও যদি খান তো একদমই কম ভাত খাবেন ।

০৭ গ্রীষ্মকালীন ফলগুলি প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন । বিশেষ করে ডাব, তরমুজ, বাঙ্গি, ফুটি, বিভিন্ন মেলন জাতীয় ফ্রুট, লিচু, কলা, পেঁপে, আম (কাঁচা ও পাকা উভয়ই), কাঁঠাল, বেল, শসা, জাম এবং জামরুল এসব ফল খাবেন ডেইলি ।

০৮ গরম কালে রাস্তার ধারের কোনো ফাস্ট ফুড ভুলেও ছোঁবেন না । একই সাথে লোকাল চায়ের দোকানের চা, রাস্তার ধারের কাটা ফল এবং খোলা রাস্তার ওপরে বিক্রি করা কোনো শরবত খাবেন না । গরমকালে নানান জীবাণু আক্রমণের সব চাইতে সহজ মাধ্যমগুলো হলো ওগুলোই । টাইফয়েড ও কলেরার জীবাণুতে এই সময় বেশি সংক্রমণ হয় ।

০৯ যাঁদের প্রতিদিন সকালে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস আছে তাঁরা এই কাজটি গরমের দিনে সূর্য ওঠার অন্তত ১৫-২০ মিনিট আগের থেকে স্টার্ট করে সূর্য ওঠার ১৫-২০ মিনিট পর অব্দি কন্টিনিউ করুন । তারপরে আর ভুলেও কোনো জগিং বা মর্নি ওয়াক অথবা কোনো এক্সারসাইজ করতে যাবেন না ।

১০ তীব্র গরমে খুব কষ্ট হলেও মর্নিং ওয়াক, জগিং বা এক্সারসাইজ একেবারে ছেড়ে দেবেন না । বরং সূর্য ওঠার একটু আগে এবং সন্ধ্যার প্রাক্কালে করুন । তবে, অবশ্যই সাথে করে ওয়াটার বটল নিতে ভুলবেন না ।

১১ সকাল দশটার পর যদি পায়ে হেঁটে বা পাবলিক যানে বাড়ির বাইরে কোথাও যান তবে সঙ্গে করে ছাতা নেবেন মাস্ট । ভুল যেন না হয় । প্রয়োজনে একটু সানস্ক্রিনও মেখে নিতে পারেন ।

১২ খুব ভোরে স্নান করার অভ্যাস করুন এ দুটি মাস । প্রতিদিন বিকেলে গা ধুয়ে ফেলবেন তবে মাথা ভেজাবেন না । গায়ে ঘাম থাকলে আগে ফ্যান চালিয়ে ঘাম শুকিয়ে নেবেন । এরপরে স্নান করবেন ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পরিবেশ ক্রমশ তাকে নিঃশেষ করে দেয়ার প্রতিশোধ নিচ্ছে। এটা সামনের দিনগুলোতে জারি থাকবে, যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবীটা মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। যাইহোক যেহেতু আমরা পরিবেশ নষ্ট করেছি তাই আমাদের এই বিরুপ প্রতিক্রিয়া সহ্য করতেই হবে।
যাইহোক আপনার দেয়া টিপসগুলো কিন্তু দারুণ ছিল দাদা। আমিও মেনে চলার চেষ্টা করবো।

দাদা অনেক কার্যকরি কিছু টিপস দিয়েছেন। সত্যি আমাদের দেশ এখন আর নাতিশীতোষ্ণ নয়। তবে আপনার টিপস গুলো মেনে চলতে পারলে অনেক উপকার হবে।চেষ্টা করবো দাদা আপনার টিপস গুলো মেনে চলার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 40.46% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

This is a very interesting and important post you have made.

Amidst this heat, I have learnt how to stay healthy.

One important tips I will make sure I practice is the drinking of water regularly.

Thank you so much Dada for sharing this with us ❤️❤️❤️

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

真是精彩啊

পানির উপরেই দাদা মাইরটা বেশি পরছে। গলা বারবার শুকিয়ে যায় আবার পানি পান করি। বলতে গেলে তিন লিটারের মতে হয়ে যায় দৈনিক। বাহিরের কোনো খাবার খাওয়া হয় না এখন। তাছাড়া সকাল সকাল গোসল করার অভ্যাসটাও করছি। সারাদিন মন ও শরীর ফ্রেশ থাকে। তবে যে হারে টেম্পারেচার বাড়ছে সবাইকে সতর্ক থাকাটাই ভালো হবে। পরিবেশের দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে এখন থেকেই। যাইহোক, দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ বেশ কিছু টিপস দেয়ার জন্য। 🌸

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

এক কথায় অসাধারণ। আপনার বারোটা টিপস খুবই কার্যকর টিপস। আর এই গুলোর সাথে আমিও একমত। এই টিপস গুলো যদি কেউ কন্টিনিউ মেনে চলতে পারে তাহলে ইন-শা-আল্লাহ এত গরমেও সে ভালো থাকবে। চেষ্টা করবো দাদা আপনার দেওয়া টিপস গুলো চলার জন্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

দারুন কার্যকর কিছু পরামর্শ দিয়েছেন দাদা। এগুলো মেনে চললে আশা করি আর কোন সমস্যা হবে না। চমৎকার এই পরামর্শ মূলক পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আজকে পোস্ট করেছেন। যে গরম পরেছে কি আর বলবো। কম বেশি সবার অবস্থা খুব খারাপ। আপনার দেওয়া প্রত্যেকটা টিপস্ পড়ে ভালো লাগলো। গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।

দাদা এই গরমে সবার অবস্থা একদমই খারাপ। যখন ওমান ছিলাম তখন রৌদ্রের তাপ দেখে অবাক হতাম আর চিন্তা করতাম দেশে অনেক কম। আর এখন দেশে দেশে ওমানের মতোই তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাইহোক এই গরমের জন্য নিজেকে কিছুটা রিলাক্স রাখার যে টিপস গুলো দিয়েছেন সবগুলো টিপসই কার্যকরী। বর্তমানে কোন ডাক্তারও এরকম টিপস দিবে না একগাদা ওষুধ ছাড়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা সকলের উদ্দেশ্যে এত সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত কিছু টিপস দেওয়ার জন্য।

সমসাময়িক সময়ে একদম কার্যকরী পোস্ট দাদা। যে টিপসগুলো দিয়েছেন তা একদম যথার্থ।

হিট স্ট্রোকে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছে এই নিউজটি দেখে সত্যিই খারাপ লেগেছে। বর্তমানে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। আর সবাই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। দাদা আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো আমাদের জন্য দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। এই গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো সবার জন্যই ভীষণ উপকার হবে এবং আমার সবাই টিপসগুলো মেনে চলার চেষ্টা করবো দাদা।

দাদা বর্তমান সময়ের জন্য খুবই উপকারী একটি ব্লক শেয়ার করেছেন। আমি ডাক্তারদের কিছু রিপোর্ট করেছিলাম, আপনার ব্লগের সাথে ডাক্তারদের কথার শতভাগ মিল রয়েছে। বর্তমানে আমাদের জন্য সবথেকে জরুরি হলো বেশি বেশি পানি পান করা। আর ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে বেশি বেশি গাছ লাগানো।আপনার সাজেশন গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা।

খুবই উপকারী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা।এই গরমে খুবই কাজে দেবে আপনার পরামর্শ গুলি।গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।না জানি কবে এ থেকে পরিত্রাণ পাব।সবাই সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশাই করি সব সময়।ধন্যবাদ।

প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার লেবু চিনি এবং লবণ মিশিয়ে শরবত খাই আমি। ইদানিং আমার পানি খাওয়ার মাএা টা বেড়েছে অনেক। গরমে সুস্থ থাকতে হলে আপনার কথাগুলো মেনে চলার বিকল্প নেই। ধন্যবাদ দাদা আমাদের সাথে সুন্দর উপদেশ গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।

আপনার টিপস গুলোর ৫০% মানা হয় আর ৫০% মানা হয় না।এই যে যেমন ঠান্ডা পানি না খাওয়া।ওটা একেবারেই মানা সম্ভব হয় না।

এই গরমের দিনে তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর একটা কারণ হচ্ছে বন জঙ্গল সাফ করে ফেলা হচ্ছে সেটা আপনি একদম ঠিক বলছেন। কিন্তু এর থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ গাছ লাগানো। সেই সাথে পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়া। আপনি ১২ টি টিপস শেয়ার করলেন গরমের দিনে পালন করার জন্য। এই টিপস গুলো পালন করতে পারলে সত্যি আমাদের সবার উপকার হবে। অনেক ভালো লাগলো এত গুরুত্বপূর্ণ টিপস গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করলেন আপনি।

আসলেই দাদা যে পরিমাণে গাছপালা কেটে ফেলা হয়,সেই পরিমাণে গাছ লাগানো হয় না। এতে করে প্রতিবছরই গরমের তীব্রতা বাড়তে থাকবে। যাইহোক এই গরমে সুস্থ থাকার জন্য দারুণ কিছু টিপস শেয়ার করেছেন দাদা। এই টিপস গুলো অনুসরণ করলে যে কেউ উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি। সবসময় আমাদের পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।

দেশের বন ভূমি উজার করে আমরাই প্রকৃতিকে রাগিয়ে তুলেছি দাদা। যার কারনে প্রকৃতি আজ কড়ায় গন্ডায় নিজের পাওনা অসুল করে নিচ্ছে। আমরা যখন প্রচন্ড তাপ দাহে পুড়ে ছাঁই হয়ে যাচিছ তখন আপনি বেশ কিছু মূল্যবান পয়েন্ট তুলে ধরলেন আমাদের কে সুস্থ এবং প্রাণবন্ত করে তুলার জন্য। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

সবাইকে নমস্কার

প্রচন্ড তাপদাহে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি যেভাবে -একডজন টিপস দিয়ে আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে সতর্কীকরণ, ও সুস্থ থাকার জন্য সচেতন করেছেন। আশা করছি আপনার এই টিপস গুলো আমাদের সকলের কাজে লাগবে। বর্তমান সময়ে। তবে আমাদের এদিকে ফলমূল এবং শাক সবজি সবকিছুতেই ফরমালিনযুক্ত। ফরমালের মুক্ত তেমন স্বাভাবিক খাবার পাওয়া প্রায় মুশকিল হয়ে গেছে। তারপরেও সাবধানতা অবলম্বন করছি। আমি এই ক'দিন ধরে ফ্রিজের পানি মোটেও খাইনি। তবে দিনে দু-তিনবার লেবু পানি খাচ্ছি। এক ডজন টিপস দিয়ে আমাদের সকলকে সচেতন করে তোলার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি দাদা আপনার প্রতি।

খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আমাদের মাঝে একটি ব্লক শেয়ার করলেন দাদা। এ প্রচন্ড গরমের তাপদাহে আপনার এই আজকের বারোটা টিপছি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে পানি জাতীয় ফলগুলো ও শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে দাদা এ সকল কথা কে মানে। আজ একটু বাইরে বেরিয়ে ছিলাম দেখছি রাস্তার ধারে ফাস্টফুড এর দোকান গুলোতে যেন উপচে পড়া ভিড়। কেউ খাচ্ছে রাস্তাৱ ধারে খোলা শরবতগুলো। কেউবা খাচ্ছে ফুচকা চটপটি এমনি কি রাস্তার ধারে নোংরা খাবারগুলো। তবে দাদা আপনার প্রতিটি টিপস কিন্তু অসম্ভব ভালো লেগেছে। আর এই টিপস গুলো আমাদের প্রত্যেকের কাজে লাগবে। আমি কিন্তু দাদা আপনাৱ এই টিপস গুলোৱ অনেকটা মেনে চলি। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এ প্রচন্ড গরমেৱ তাপদাহে সুন্দর টিপস দেওয়ার জন্য। আশাকরি এই টিপস গুলো সবাই মেনে চলবে।

দাদা আপনার শেয়ার করা এক ডজন টিপস সত্যি খুব কাজের।প্রায় গুলো আমার আসলে করা হয়।তবে আমাদের সকলের প্রচুর গাছ লাগাতে হবে।এছাড়া বাঁচার উপায় নেই।প্রকৃতিকে আমরা ভালোবাসলে প্রকৃতিও আমাদেরকে ভালোবাসবে।এটা আমাদের মনে রাখা খুব জরুরী।ধন্যবাদ দাদা চমৎকার কিছু টিপস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন দাদা।অনেক অভিনন্দন রইলো আপনার জন্য।

দাদা প্রচন্ড তাপদাহে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য যে টিপস গুলো দিলেন তার মধ্যে অনেক কিছুই অজানা ছিল। আপনার পোস্ট পড়ে সত্যিই অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। বর্তমান যে গরম পড়ছে সেটা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়ার প্রত্যাশায় এই টিপসগুলো কাজে দিবে। অনেক ভালো লাগলো সঠিক সময়ে সঠিক টিপস দিলেন। সে জন্য আপনাকে আমাদের পুরস্কার দেওয়া উচিত। ভাল লাগল মেনে চলার চেষ্টা করব।

টিপসগুলো বেশ কাজে দিবে। তবে আমার একটা ভুল ধারণা ছিল ভেবেছিলাম হয়তো সকালের মর্নিং ওয়ার্কটা বন্ধ করব তবে আপনার পোস্ট পড়ার পরে সেটা আবার কন্টিনিউ করার চেষ্টা করছি দাদা।

দাদা, আপনার এক ডজন টিপস দেখে আমার তো মনে হচ্ছে আমি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিচ্ছি। কত সুন্দর করে, গুছিয়ে এক ডজন টিপস আমাদের জন্য শেয়ার করেছেন। যা বর্তমান সময়ের জন্য খুবই কার্যকরী টিপস, আমাদের ভীষণ কাজে লাগবে। দাদা এজন্যই তো আপনি আমাদের বড় দাদা, বর্তমান অসণীয় গরমের পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের কি করণীয়, আমাদের কি করতে হবে, এ বিষয়ে খুব সুন্দর পরামর্শ তুলে ধরেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে একটি কথা না বললেই নয়, বিপদে-আপদে সব সময় যাকে কাছে পাই,
সে যে আমাদের প্রিয় দাদাভাই। ❤️❤️❤️

দিন দিন গরম বাড়ছেই, বৃষ্টি এর দেখা নেই। গরমে অনেক মানুষই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। যাই হোক সময়োপযোগী একটা পোস্ট পড়লাম।আসলেই গরমে সুস্থ রাখতে টিপসগুলো ফ্লো করলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে।তবে আমাদের দেশে গরম বেশি পরাতে ডাবের দাম আকাশ ছোয়ার উপক্রম।ধন্যবাদ

সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য যখন যেই ফলমূল ও শাকসবজি প্রয়োজন তখন সেটা দিয়েছেন। আপনার টিপস গুলো কিন্তু খুবই সময় উপযোগী আর খুবই কার্যকর। আজকে সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম, সূর্য ওঠার আগেই আবার ফেরত এসেছি।

আগে ফ্যান চালিয়ে ঘাম শুকিয়ে নেবেন ।

অনেক সময় ফ্যানের বাতাসে ঘাম শুকালে ঠান্ডা লেগে যায়। এজন্য এর থেকে ভালো হয় আগে গামছা দিয়ে ঘাম মুছে তারপর গোসলে গেলে। এটা সব ডাক্তারের থেকে বেশি জানা আমার আম্মু বলেছে আমাকে। 😜

প্রচন্ড তাপের কারণে শরীরকে সুস্থ রাখতে আপনার একডজন টিপস পেয়ে খুবই উপকার হলো দাদা। অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে প্রায় সকলের নানা ধরনের অসুস্থতা ছড়িয়ে পরেছে। এজন্যই আমাদেরকে সচেতন হতে হবে এবং আপনার টিপস গুলো মেনে চলতে হবে। খুবই মূল্যবান পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।

আসলেই মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়ছে।আর গরমে একমাত্র স্বস্তি দিতে পারে এই শরবত রেসিপিগুলি।আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করেছেন দাদা।আপনার টিপসগুলো অনেক কাজে লাগবে সকলের।আমিও নুন,চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে চেষ্টা করি জল খাওয়ার জন্য।ফলগুলো বেশ উপকারী হবে শরীরের জন্য।চেষ্টা করবো এগুলো মেনে চলার,অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

বর্তমান পরিস্থিতিতে খুবই প্রয়োজনীয় টিপস। দিন দিন যেভাবে গরম বাড়ছে এগুলো প্রতিটা মানুষের আবশ্যিক রূপে মেনে চলা উচিত। সবার প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।

তুমি জীবন ভালবাসো, জীবন তোমাকে ভালবাসার ব্যাপারে

প্রচন্ড গরমের কারণে আমরা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি।এই অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে দাদা আপনার এই টিপস গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত গরমে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে পানির কোন বিকল্প নেই। আর বাইরের খাবার ত্যাগ করতে হবে। এক কথায় অসাধারণ ছিল দাদা আপনার টিপসগুলো। চেষ্টা করব টিপস গুলো মেনে চলার। তাহলে আমরা সবাই সুস্থ থাকবো। অনেক ধন্যবাদ দাদা সতর্কতা মূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

বর্তমানে যে পরিস্থিতি দাদা, কোন ভাবেই নিজেকে ঠান্ডা পানি থেকে বিরত রাখতে পারছি না। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রতিদিন চার-পাঁচ লিটারের বেশি পানি পান করা হচ্ছে। সময়োপযোগী একটি পোস্ট করেছেন দাদা, আমি এই নিয়মগুলো যদি মেনে চলবো, তাহলে অনেক অংশে সেভ থাকতে পারবো। ধন্যবাদ দাদা।

image.png
Source

যেভাবে তাপমাত্রা বাড়তেছে দাদা, চিন্তা হচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে। মরুর দেশগুলোতে বন্যা হচ্ছে, আর আমাদের নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলোর উষ্ণায়নের মাত্রা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ভয় হওয়া শুরু হয়ে গেছে।

আপনি খুব সুন্দর গাইডলাইন দিয়েছেন দাদা। এইগুলো ফলো করলে কিছুটা হলেও গরম থেকে নিজের কষ্ট লঘব করা সম্ভব হবে।

সবগুলো টিপস একটা থেকে একটা খুবই কার্যকরী। আমি চেস্টা করি গরমে প্রচুর পানি খেতে। ৫ লিটারের কম হবে না। একবারে ২ গ্লাসের বেশি পানি খাওয়ার বুদ্ধিটা ভাল লেগেছে বেশি। জগিং আর গোসল ছাড়া সবগুলো টিপস আমি ফলো করার চেস্টা করি কম বেশি। সবসময় ডাব বা ভিটামিস সি সম্বলিত খাবার না খেলেও পছন্দের তালিকায় রাখি। গোসল আর জগিংটা খুব সকালে ধরার চেস্টা করব। ধন্যবাদ দাদা।

আমাদের দেশের অবস্থাও তেমন বেশি ভালো না। বিভিন্ন জায়গায় মানুষ জন হিট স্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। দাদা আপনার দেয়া টিপস গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। এর মধ্যে কয়েকটা জানা ছিল আবার অনেকগুলো জানা ছিল না। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা যদি নিজেরা এভাবে নিয়ম গুলো মেনে চলি তাহলে এই গরমে সুস্থ থাকতে পারবো। তবে এটা ঠিক বলেছেন, স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি খাওয়াই ভালো। ফ্রিজের অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে সবাই বিরত থাকা উচিত।

খুব সুন্দর.সৈকতে ফলের রস উপভোগ করুন..আশীর্বাদ করুন৷

খুব ভালো

বাংলাদেশে গরমের সময় হাইড্রেটেড রাখার জন্য এটি দুর্দান্ত তথ্য! ধন্যবাদ :)

Hola excelente publicación @yo de verdad me encanto mucho, muchas gracias por publicar.

Feliz noche.