কৃষ্ণাঙ্গ মানব শিশুকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে কুমির শিকার তথাকথিত সভ্য সাদা মানুষদের

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

copyright expired photography : courtesy : wikimedia commons


উত্তর আমেরিকা । ১৮শ থেকে ১৯ শতকের মাঝামাঝি অব্দি আমেরিকায় কুমিরের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা পরিলক্ষিত হয় । কুমিরের চামড়ার ব্যাগ, জুতো, বেল্ট, সুটকেস, জ্যাকেট তখন সৌখিন জিনিস হিসেবে সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । একটা কুমির মারতে পারলেই তখন ব্যাপক লাভ ।

অষ্টাদশ শতকে আমেরিকায় ক্রীতদাস প্রথা ব্যাপক হারেই প্রচলিত ছিল । ১৮৫২ সালে প্রকাশিত "আঙ্কল টম'স কেবিন" উপন্যাসে হ্যারিয়েট বিচার তৎকালীন আমেরিকান সমাজ ব্যবস্থায় ক্রীতদাসদের উপর কেমন অমানুষিক নির্যাতন চালানো হতো সেটা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সারা বিশ্বের কাছে মেলে ধরেছেন । বইটি বের হওয়া মাত্র সারা বিশ্ব শ্বেতাঙ্গদের এই ক্রীতদাস প্রথার অমানবিক দিকটির সম্যক পরিচয় পেয়ে অবাক বিস্ময়ে আত্মহারা এবং ভয়ে শিহরিত হয়ে যায় ।

আমেরিকান শ্বেতাঙ্গরা নিগ্রো ক্রীতদাসদের কখনোই মানুষ ভাবতো না । পশুর মতোই নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হতো সেই সব হতভাগ্য আফ্রিকান নিগ্রো ক্রীতদাসেরা । একজন ক্রীতদাসের জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি কাটতো একজন মানুষ হিসেবে নয়, বরং তার প্রভুর সম্পত্তি হিসেবে । একজন শ্বেতাঙ্গের পূর্ণ অধিকার ছিল বিনা প্রশ্নে, কোনো কারণ ছাড়াই তার ক্রীতদাসের গলা কেটে ফেলার । তৎকালীন আমেরিকান বিচার ব্যবস্থায় একজন নিগ্রো ক্রীতদাসের জীবনের কানাকড়ি মূল্যও ছিল না । ছাগল, গরু, মুরগির মতোই দেখা হতো তাদের । তাদের চাইতে বরং ঘোড়াকে অনেক দামি প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হতো ।

তো সেই সময়ে যখন কুমিরের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা দেখা যায় তখন হুজুগে আমেরিকানরা দক্ষিণের বিস্তৃত জলা জঙ্গল অধ্যুষিত অঞ্চলে ব্যাপকহারে কুমির শিকার শুরু করলো । এক একটা কুমির মারতে পারলে তখন বেশ কয়েক ডলার লাভ হতো । ডলারের লোভে উন্মত্ত হয়ে উঠলো শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের দল । পুরো দুটি শতক জুড়ে চললো এই তান্ডব । কুমির আর মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়ে উঠলো তথাকথিত সভ্য আমেরিকানদের দুটি হাত ।

কুমিরের রক্ত ঠিক আছে, কিন্তু আবার মানুষের রক্ত কেন ? জানলে অবাক হয়ে যাবেন, সেই সাথে হৃদয়টা এখনো মোচড় দেবে এক করুন বীভৎস ইতিহাস জেনে । কুমির শিকার যখন আমেরিকার অনেক প্রফিটেবল একটা পেশা তখন কিন্তু এর ঝুঁকির দিকটাও ছিল বেশ ভয়াবহ । কুমির শিকার করতে গেলে অগভীর জলে নামতেই হতো শিকারিদের, নতুবা ছোট ডিঙিতে করে জলাভূমিতে ঘুরে বেড়াতে হতো তাদের কুমিরের আশায় । আর তা করতে গেলেই প্রায়শই নানান ধরণের ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হতে হতো শিকারিদের ।

তখনকার দিনে এতো আধুনিক রাইফেল ছিল না । একবার গুলির পরে বেশকিছুক্ষন টাইম লাগতো নতুন করে লোড করতে । আর তখনি শিকারী নিজেই পরিণত হতো শিকারে । প্রত্যেক বছর বহু শ্বেতাঙ্গ শিকারী হয় কুমিরের কবলে পড়ে মারা পড়তো, নতুবা হাত, পা, আঙ্গুল প্রভৃতি অঙ্গের হানি ঘটতো তাদের।

প্রফিটের ব্যবসায় রিস্ক ছিল লাইফের । এই রিস্ক কমাতে চাইলো শ্বেতাঙ্গরা । ভাবতে লাগলো তারা কি ভাবে লাইফ রিস্ক কমিয়ে আনা যায় এত সাধের লাভের ব্যবসায় । ভাবতে ভাবতে চমৎকার একটা বুদ্ধি এলো তাদের মাথায় । এই না হলে আমেরিকান । বিশাল বুদ্ধি ধরে তারা ।

আমেরিকান কুমিরদের বলা হয়ে থাকে এলিগেটর । ক্রোকোডাইলের সাথে তাদের পার্থক্য সুস্পষ্ট । এলিগেটরগুলো বেঁটে মোটা হয়ে থাকে । শিকার ধরে তক্ষুনি খাওয়া শুরু করা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের একটি । আর শিকার গলাধঃকরণের সময়ে তাদের বাহ্যজ্ঞান থাকে না কোনো । যেখানেই শিকার ধরে সেখানেই খাওয়া শুরু করে । এই সময়টাতে তারা হয়ে পড়ে শ্লথ । তখন, খুব সহজেই গুলি করে মারা যায় তাদের ।

আর তাই অনেক ভেবে আমেরিকানরা কুমির শিকার করতে টোপ ব্যবহার করতে চাইলো । অগভীর জলাশয়ের তীরে কুমিরের টোপ হিসেবে কোনো জীবন্ত প্রাণী রাখলে কুমির মারতে আর জলে নামা লাগবে না । কুমির নিজেই ডাঙায় উঠে আসবে আর রাইফেলের পাল্লায় পড়ে যাবে । আর সব চাইতে মস্ত সুবিধা হলো কুমিরের খোঁজে জলে নেমে আর প্রাণ বা অঙ্গহানির কোনও রিস্ক থাকলো না ।

কিন্তু, কি টোপ ব্যবহার করা যায় ? প্রথম দিকে তারা খরগোশ, হাঁস, মুরগি, ভেড়ার বাচ্চা এসব টোপ হিসেবে ব্যবহার করতো । কিন্তু, কিছুদিন পরে হঠাৎ একদল বুদ্ধিমান আমেরিকানের মাথায় আসলো যে এই সব খরগোশ, হাঁস, মুরগি, ভেড়ার বাচ্চা এগুলোর তো দাম কিছুটা হলেও আছে । বাজার থেকে কিনতে তো হয় এগুলো । কিন্তু, ক্রীতদাসের বাচ্চাদের তো কোনো মূল্যই নেই । কী সুন্দর সমাধান !


copyright expired photography : courtesy : wikimedia commons
একটি আমেরিকান পোস্টকার্ড । কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের কে রাখা হয়েছে কুমির শিকারের টোপ হিসেবে

এরপর থেকে তাই নিগ্রো ক্রীতদাসের কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চারাই হলো কুমির শিকারের টোপ । বাবা মায়ের বুক খালি করে এই সব কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের কেড়ে নিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে রাখা হতো কুমির ভর্তি অগভীর কোনো জলাশয়ের ধারে । রক্তের গন্ধে বিশাল কোনো কুমির এসে পড়তো ঠিকই । আড়ালে থাকা শ্বেতাঙ্গ শিকারী অপেক্ষা করতো কখন কুমিরটি বাচ্চাটাকে খেতে শুরু করবে । অর্ধেক খাওয়ার পরে কুমিরটি যখন শ্লথ আর অসাবধানী হয়ে পড়তো তখন গুলি করে সেটাকে খতম করতো শ্বেতাঙ্গ শিকারী । সভ্য দেশের সাদা মানুষ । বিদ্যা বুদ্ধিতে তারাই নাকি পৃথিবীর সব চাইতে সেরা মানুষ ।

ধিক্কার জানাই তথাকথিত সেই সভ্যদের !! ধিক !!!


copyright expired photography : courtesy : wikimedia commons
আরো একটি আমেরিকান পোস্টকার্ড । ফ্লোরিডায় কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের কে রাখা হয়েছে কুমির শিকারের টোপ হিসেবে


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ২৭৫ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৪র্থ দিন (275 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 04)


trx logo.png



সময়সীমা : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২


টাস্ক ৫৩ : ২৭৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

২৭৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 1887f33e6c3b71002f5faca66677a17c3b794724829f9172b768a64dce5a0816

টাস্ক ৫৩ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাবা যায়!!কি সাংঘাতিক ব্যাপার এসব।পাগল ছিলো নাকি এরা দাদা নাকি অমানুষ! একটু কষ্ট ও লাগতোনা বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়েও।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

god bless you

বুকটা কেঁপে উঠলো দাদা। এই সত্যটা আমি আগে জানতাম না। হাস মুরগির দাম আছে বলে তাদেরকে চারা হিসাবে ব্যবহার না করে ক্রীতদাসদের বাচ্চাদের চারা হিসেবে ব্যবহার করতো। মানুষ হয়ে জন্মে মানুষদের সাথে এই নির্মম অত্যাচার। সত্যিই অনেক কষ্ট পেলাম দাদা। জানিনা ইতিহাসের পাতায় এরকম আরো কত নির্মম ঘটনা লুকিয়ে আছে। এরকম একটি তথ্য দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

বর্তমানে এরাই পৃথিবীতে নিজেদের তথাকথিত সভ্য জাতি হিসাবে দাবি করে। ভাবতেই গা শিউরে উঠে। ওই সময় সাদা চামড়ার মানুষেরা কতটা নির্দয় ছিল।

ক্রীতদাসের কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদের দিয়ে অমানবিক ভাবে ওই সময় কুমির শিকার করা হতো। প্রিয় দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে উত্তর আমেরিকার পুরনো একটি ঘটনা জানতে পারলাম কিন্তু এ ঘটনাটি জানতে পেরে আমার মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল। যেখানে খরগোশ, হাস-মুরগির বাচ্চাদের মূল্য দেয়া হতো কিন্তু ক্রীতদাসের কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদের প্রতি করা হতো জঘন্য অন্যায়। দাদা পোস্টটি পড়ে রাগে, ক্ষোভে, এবং প্রচন্ড দুঃখে আমার মন খুবই খারাপ হয়ে গেছে। প্রিয় দাদা, আমি ধিক্কার জানাই সেই সময়কার সভ্য নামের অসভ্য এবং জঘন্য মানুষদের প্রতি।

কি ভয়াবহতা! আমি এটা একবার যে মত ছিল জানেন না... এটা কল্পনা করা কঠিন কিভাবে নিষ্ঠুর মানুষ কখনও কখনও হতে পারে. তারা কি মানুষ?

  ·  2 years ago (edited)

কিন্তু, ক্রীতদাসের বাচ্চাদের তো কোনো মূল্যই নেই । কী সুন্দর সমাধান !

কথাটা শোনা মাএই নিজের মধ্যেই তো মোচড় দিয়ে উঠলো। এদের কে আমরা শিক্ষিত সভ‍্য জাতি বলি যাদের কাছে মানুষের জীবনের দাম খরগোশ পাখি এদের থেকেও কম আফসোস। এর আগে আপনি হ‍্যাংআউটে বলেছিলন এই সম্পর্কে। আজ পুরোটা জেনে ভালো লাগল।

কত বড় জঘন্য হলে মানুষের মাথায় এসব চিন্তা আসতে পারে। ওদের মাথায় কি কখনোই আসতো না যে ওদেরও আমাদের মতন ব্যাথা লাগে!!

হায়রে অসভ্যের ঝাড়। এরা আবার এখন মানুষকে মানবতা শিখায়।

দাদা আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই খারাপ লাগছে। আসলে আমরা মানুষ হিসেবে কতটা জঘন্য হলে আমরা নিজেরা মানুষদের এতটা ঘৃণা করি। একটা পশু পাখির মত মানুষের মূল্য দেই না। হায়রে সভ্যতা এদের থেকে আমরা কি শিখবো। আসলে মানবজাতি খুবই খারাপ। নিজের স্বার্থ শুধু বোঝে। তারা কখনো বুঝনা যে তারা মানুষ তারাও ব্যথা পাবে। আমাদের কাছে খরগোশ মুরগির দাম রয়েছে, কিন্তু ক্রীতদাসদের দাম নেই।এত নিকৃষ্ট তাদের কাছে। কি আর বলব। খুবই খারাপ লাগলো দাদা।

আমেরিকার ক্রীতদাস প্রথার পেছনে আরো কি কি যে নোংরামো লুকিয়ে রাখা আছে, ঈশ্বর জানে। মানুষের বাচ্চা নাকি কুমিরের টোপ। ন্যাক্কার জনক। ভাবতেই খারাপ লাগছে।

দাদা আজকের পোষ্টটি সত্যিই গা কেঁপে উঠার মতো ছিলো ৷ নিজের স্বার্থ আর কিছু অর্থের জন্য কিভাবে পারতো তারা ক্রীতদাসদের বাচ্চাদের শিকারের কাজে ব্যবহার করতে ৷আর ক্রীতদাসদের এতো নিচু ভাবা হতো কেনো ? তারাও তো মানুষ ৷ একজন মানুষকে কিভাবে পশুর থেকেও নিম্ন ভাবা হতো ৷ সে সব প্রথাকে ধিক্কার জানাই , যে সব প্রথা মানুষকে মানুষ ভাবতে পারে নাহ ৷ ক্রীতদাসদের কথা ভাবতেই খুব খারাপ লাগতেছে ৷ ধন্যবাদ দাদা আপনাকে অজানা একটি অতীত জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ৷

এই সভ্য দেশের সাদা মানু্ষের অসভ্যতা দেখছি নজির বিহীন। এতটাও নিকৃষ্ট হতে পারে মানুষ আসলে আপনার আজকের এই পোস্ট না পড়লে বুঝতেই পারতাম না। শত কোটি ধিক এই নরপশুদের।

বাবা মায়ের বুক খালি করে এই সব কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের কেড়ে নিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে রাখা হতো কুমির ভর্তি অগভীর কোনো জলাশয়ের ধারে।

এই কথাগুলো তীরের মত এসে বুকে বাধলো, কি ভয়ানক কথা! এরা কি মানুষ ছিল না পশু? পশু পাখির মূল্য আছে অথচ মানুষের কোন মূল্য নেই। অনেক ধন্যবাদ, আপনার মাধ্যমে নির্মম সত্য একটি ঘটনা জানতে পারলাম।

কি ভয়ংকর কাহিনী। শুনেই তো গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল। মানুষ এতটা নির্দয় কিভাবে হয়? কিছু অর্থের লোভে ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে কুমিরের টোপ হিসেবে ব্যবহার করত। এরাই নাকি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সভ্য জাতি। ভাবতেই অবাক লাগে।

কৃষ্ণাঙ্গ মানব শিশুকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টি জানার পর খুবই খারাপ লাগলো, দাদা । মানুষ কতটা নির্মম হতে পারে মানুষের প্রতি আমেরিকান শ্বেতাঙ্গরা অষ্টাদশ শতকে সেটা দেখিয়ে দিয়েছিল। নিষ্পাপ শিশুদের ক্ষত বিক্ষত করে কুমিরের টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হতো যা সত্যিই মর্মান্তিক। বর্তমান সময়ে এসেও আমেরিকার অনেক জায়গায় শ্বেতাঙ্গরা, কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের উপর বিভিন্ন রকম অত্যাচার চালিয়ে যায় যা মাঝে মাঝে খবর পত্রিকায় দেখা যায়।

আমেরিকান রা বরাবরই এরকম। তারা আমেরিকার আদি নিবাসী রেড ইন্ডিয়ান দের উপরেও গণহত্যা চালিয়েছে।কিন্তু এসব ইতিহাস তারা সামনে আনতে চায় না।অথচ অন্যদেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের মাথা ব্যথার শেষ নেই।

দাদা পোষ্টটি পড়ে আশ্চর্য হয়ে গেলাম। একজম মানুষ কিভাবে আরেকজন মানুষকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে। তাও আবার জীবিত মানুষ কুমিরের সামনে,আবার ছোট ছোট নিষ্পাপ বাচ্ছাদেরকে কুমিরের খাবার হিসাবে ব্যবহার করেতো। মানুষ এত নিষ্ঠুর কিভাবে হয়। আবার তারা নাকি সভ্য জাতি। ধন্যবাদ দাদা খুব সুন্দর একটি তথ্য জানতে পারলাম।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



follow4follow

দাদা নমস্কার
ঠিক বলেছেন দাদা ধিক্কার জানাই যারা কৃষ্ণাঙ্গ মানব শিশুকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে কুমির শিকার তথাকথিত সভ্য সাদা মানুষদের ৷কৃষ্ণাঙ্গ মানব শিশুকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে কুমির শিকার তথাকথিত সভ্য সাদা মানুষদের৷
আজ প্রথম জানলাম দাদা উত্তর আমেরিকা । ১৮শ থেকে ১৯ শতকের মাঝামাঝি অব্দি আমেরিকায় কুমিরের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা ছিল ৷কুমিরের চামড়া দিয়ে অনেক কিছু তৈরি হতো ৷ তারা কুমিড়কে শিখার জন্য হাস মুরগী এসব টোপ ব্যবহার করতো ৷
কিন্তু পরের কিনা জীবন্ত বাচ্চা কে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে কুমিড়কে ধরবার জন্য ৷
আর অথচ তারাই কী পৃথিবীতে বুদ্ধি সেরা এটা মানতে পারলাম না

দাদা ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই। তবে আপনার কিছু কিছু গল্প পড়লে যেমন বুকের ভেতরটা ধুপ ধুপ করে। তেমনি মস্তিষ্কটাও ঘুরতে থাকে। এত কিছুর পরে টোপ হিসেবে মানুষের ব্যবহার সত্যি গা শিহরে উঠলো। মানুষকে পশুর থেকেও নিম্ন মনে করে তারা, ঠিকই বলেছেন সুন্দর মানুষদের কে ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই। অসাধারণ একটি গল্প লিখেছেন, এত সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য আপনার প্রতি রইল ভালোবাসা অবিরাম।

খুবই ভয়াবহ একটা ব্যাপার ছিলো। বর্ন বৈষম্য তখনকার দিনেও একটা ভয়াবহ রোগ ছিলো। এখনকার দিনেও কিছু মানুষের মধ্যে রয়েছে যারা কালো মানুষ দেখলে দুরছাই করে।আমি নিজে এর স্বীকার হয়েছি অনেকবারই। আপনার লেখা টা বেশ ভালো লাগলো। আমার একটা বই ছিলো এই ক্রীতদাসদের জীবনীর উপর। কিন্তু দুর্ভাগ্য বই টা আমার এক দাদা নিয়ে আর ফেরত দেয় নি।

প্রাচীন তম ইতিহাসটি পড়ে গা শিউরে উঠলে দাদা!! শ্বেতাঙ্গরা এতটাই নিষ্ঠুর ও অমানবিক ছিলেন ? ধিক্কার জানাই মানুষ সেইরুপি পশুদের। এ বিষয়টি আমার জানা হয়েছিল না। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেকটা জানা হলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় জানতে পারলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল শুভকামনা রইল।

এমন ঘটনাও ঘটতে পারে! ভাবতেই গা শিউরে উঠছে । এরা তো পশুর থেকেও হিংস্র ছিল দেখা যায়। ভাষা হারিয়ে গেল যেন লেখাটা পড়ে। এখনো বর্তমানেও বর্ণ বৈষম্যের শিকার হতে হয় এই সাদা চামড়ার অসভ্য মানুষদের দেশে। এসব ঘটনার জন্য ঘৃণা জানালেও যেন কম হয়ে যায়।

হৃদয়টা মোচড়ে উঠলো, পুরো লেখাটি পড়ে, সত্যি আজকে যারা সভ্যতার নেতৃত্ব দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, তাদের অতীত ইতিহাসটা এতোটা নোংরা ও জঘন্য ছিলো সেটা কল্পনা করতেও কষ্ট হচ্ছে। মানুষ কিভাবে পারে এতোটা বিভৎসরূপ ধারন করতে? ধিক্কার জানাই তথাকথিত এই সভ্য সমাজের শীর্ষে থাকা সাদা চামড়ার মানুষগুলোর মানসিকতাকে।

Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

দাদা আপনার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৮শ থেকে ১৯ শতকের মাঝামাঝি অব্দি আমেরিকায় কুমিরের চামড়ার ব্যাপক চাহিদা পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এটা শুনে অবাক হলাম যে,একটা কুমির মারতে পারলেই তখন ব্যাপক লাভ হতো।
এলিগেটর রা যেখানেই শিকার ধরে সেখানে খেয়ে ফেলতো। এবং আরও শুনে অবাক হলাম যে, সভ্য দেশের সাদা মানুষ । বিদ্যা বুদ্ধিতে তারাই নাকি পৃথিবীর সব চাইতে সেরা মানুষ ।

Brother all can work as a team it is good for all everyone will keep getting little money reply brother rme

ভীষণ ঘৃণাবোধ জ্রাগত হলো ভাই । এরা কখনোই মানুষের কাতারে পরে না । যতক্ষণ পড়ছিলাম ততক্ষণ যেন গায়ের লোম গুলো একদম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিল ।

ভাবতেই গা শিউরে উঠছে। কি পরিমান অসভ্য জাতি হলে একজন মানুষ হয়ে ছোট ছোট কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদের কুমিরের মুখের সামনে লেলিয়ে দিতে পারে। সাদা চামড়ার লোকগুলো আসলে কখনো সভ্যই ছিল না। তারা সভ্যতার মুখোশ পড়ে থাকত শুধু। কুমির ছোট ছোট বাচ্চাদের মাংস ছিড়ে খাচ্ছে এটা চোখ বন্ধ করে ভাবতেই বুকটা কেঁপে উঠলো। কঠিন এই সত্যটা আমার কখনোই জানা ছিল না।
বিষয়টি আমাদের সামনে আনার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা, পুরো লেখাটি পড়ে গাঁ শিহরিত হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এরা কি সত্যি কোন সভ্য মানুষ ছিল। নাকি কোন হিস্র মানুষরুপি জানোয়ার। যাদের কাছে খরগোশ, হাঁস, মুরগী ও ভেড়ার বাচ্চা থেকেও সেই নিরীহ কালো মানুষের মূল্য কম ছিল।বাবা-মায়ের কাছ থেকে সন্তানকে নিয়ে যে নির্মম কাজ করতো এর থেকে জগন্য কাজ পৃথিবীতে কোন সময়ে ছিল বলে জানা নেই।এমন না জানা কত নিষ্ঠুরতম ঘটনা রয়েছে যা হয়তোবা আমরা জানি না।দাদা আপনাকে অন্তরের অন্তস্তল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত লোমহর্ষক একটি ঘটনার মাধ্যমে সেই বর্বর জাতির প্রকৃত তথ্য আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

আপনার লেখাটি পড়ে সত্যিই হতবাক হয়ে গেলাম তৎকালীন আমেরিকানরা কতটা নিষ্ঠুর ছিল। হাঁস মুরগির যে দাম আছে কৃষ্ণাঙ্গ বাচ্চাদের সে দাম টুকু তাদের কাছে ছিল না ।এটা সত্যি অনেকটা মর্মান্তিক ছিল ।সত্যি তৎকালীন সভ্য শ্বেতাঙ্গদের ধিক্কার জানানো উচিত সবার।

ন্যাক্কারজনক বর্বর এরা। এরা আবার সভ্য হয় কিভাবে এমন অমানবিকতার পর

ইতিহাসের এক কালো অধ্যায়। এই নির্মম দিকগুলো মানবজাতিকে লজ্জিত করে তোলে। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ' টোপ ' গল্পে এরকমই শিকারের কাহিনী বর্ণিত রয়েছে, যেখানে বাঘকে স্বীকার করতে মানবশিশুকে ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়।

  ·  2 years ago (edited)

আমেরিকান শ্বেতাঙ্গদের নিগ্রো ক্রীতদাসদের উপর এবং বাচ্চাদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের কথা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।আমেরিকান শ্বেতাঙ্গরা পশুদের মতো আচরণ করে এখন আবার সভ্য জাতি হয়েছে।

দাদা আপনার লেখাগুলো ছল ছল চোখে অবাক হয়ে পড়ছিলাম। যাদের শরীরে মিশে আছে অর্থের জন্য মানুষ এবং কুমিরের রক্ত নিয়ে খেলার ইতিহা্‌স, তারা আজও সভ্য জাতির আড়ালে মানুষের রক্ত নিয়ে খেলে যাচ্ছে ভিন্নভাবে। ধিক্কার জানাই সেই অসভ্য বর্বর জাতি কে।