গরমকালে আমার প্রিয় খাবার আর পানীয়

in hive-129948 •  14 days ago 

watermelon-1969949_1280.jpg

Copyright Free Image, Source:Pixabay


তীব্র গরমে খাবার দাবারে সবারই বেশ অরুচি হয় । এই সময়টাতে একটা মাত্র খাবারই সবার প্রিয় । আর তা হলো নানান স্বাদের শীতল পানীয় । আমিও তার ব্যতিক্রম নই । এবার যে গরম পড়েছে এমনটা অতীতে আর দেখিনি কখনো । প্রত্যেক দিনই আমাদের শহরে দিনের তাপমাত্রা থাকে সর্বোচ্চ ৪০-৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা কমে ৩০-৩৩ ডিগ্রীর মধ্যেই ঘোরাফেরা করে । তবে এই সময় ভ্যাপসা গরমে টেকা দায় হয়ে যায় ।

গরমকালে আমার সব চাইতে আগে পছন্দ হলো ডাবের জল । ডাবের জলের ওপর আর কোনো পানীয় নেই গরমের দিনে । বুক-পেট সব একদম ঠান্ডা করতে ডাবের জলের জুড়ি খুঁজে পাওয়া ভার । ডাবের জল পান করার পরে ডাবের কচি শাঁসটুকুও কিন্তু ফ্যালনা নয় । এই শাঁস আমার অসম্ভব প্রিয় । ডাবের কচি শাঁসকে আমাদের বাড়িতে বলা হয় ডাব-ক্ষীর । এই ডাব-ক্ষীর ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে দিলে তারপরে খেতে দারুন সুস্বাদু হয় ।

ডাবের পরে যেটা সব চাইতে প্রিয় শরবত সেটা হলো মিষ্টি তরমুজের জুস । মিষ্টি আর দানাদার তরমুজের শাঁস বের করে সেটা ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে রস বের করে নেওয়া হয় । পরে এর সাথে হালকা বিট নুন, চিনি, পুদিনা পাতা কুচি মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তারপরে আইস কিউব দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত হিসেবে পান করা হয় । দারুন লাগে খেতে ।

গরমকালে বাড়িতে তরমুজ আর পাকা আমের আইস ললিও তৈরী করা হয় । এটাও দারুন খেতে ।

আরেকটা পানীয়ও গরমের দিনে আমার দারুন পছন্দের । সেটা হলো কাঁচা আম পোড়া শরবত । এটা তনুজা করে । প্রক্রিয়াটা আমার অজানা । তবে খুব সম্ভবত কাঁচা আম পুড়িয়ে সেটার খোসা ছাড়িয়ে চটকে তার সাথে জল মিশিয়ে ছেঁকে নেয় । এরপরে সেই কাঁচা আম পড়া শাঁসের রসে পুদিনা পাতা, লঙ্কা কুচি, বিট নুন, চিনি, লেবুর রস এসব মিশিয়ে তৈরী করে কাঁচা আম পোড়া শরবত । বরফ দিয়ে পরিবেশন করা হয় এই শরবতটি । টক-মিষ্টি-ঝাল স্বাদের এই শরবতটি অপূর্ব খেতে ।

এবারে আসি মেইন কোর্সে । গরমের দিনগুলোতে মাংস খেতে একদমই ভালো লাগে না । তবে, মাছ একটু না খেলে চলে কীভাবে, বলুন ? তাই মাছটা রেগুলার খাওয়া হয়ে থাকে । মাংসটা বাদ থাকে, মাসে ২-৩ দিন মোটে খাওয়া হয় । গরমের দিনে আমার মেইন পছন্দ ছোট মাছ । সকাল বেলায় বাজার থেকে কিনে আনা টাটকা ছোট মাছের ঝোল দিয়ে দুপুরে গরম গরম ভাত খেতে জাস্ট অপূর্ব লাগে । তবে লাঞ্চে সর্বপ্রথম আমার ভাতের পাতে শুক্তো চাই-ই চাই । গরমের দিনে ছোট মাছ দিয়ে শুক্তো আমার হট ফেভারিট ।

গরমের দিনে ভাজাভুজি তেমন ভালো লাগে না, তবে কলমি শাক দিয়ে চিংড়ি মাছ ভাজাটা দারুন লাগে খেতে । এর সাথে একটু কুমড়ো বড়ি হলে তো কথাই নেই । আর কুমড়ো ফুল ভাজাও দারুন ভালো লাগে খেতে। এরপরে সজনে ডাটা বা কাঁচা আম দিয়ে ডাল অপূর্ব লাগে খেতে । তরকারির মধ্যে ভালো লাগে ছোট মাছ দিয়ে আলু-বেগুনের পাতলা ঝোল, ঝিঙের তরকারি চিংড়ি দিয়ে, নারিকেলের দুধ দিয়ে এঁচোড়ের তরকারি, লাউ শাক, কুমড়ো শাক, ডাটা শাক দিয়ে মৌরালা বা পুঁটি মাছের ঝোলজামরুল । শেষ পাতে কাঁচা আমের ঝোল বা চচ্চড়ি ।

মাছের মধ্যে এসময় সব চাইতে ভালো লাগে মৌরালা, পুঁটি, খলসে, ছোট রূপচাঁদা, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, পোনা মাছ, বান মাছ, চিংড়ি আর ট্যাংরা মাছ । গরমকালে মাছের খুব আকাল পড়ে । কারণ এই সময়টাতে খাল-বিলে-পুকুরে জল থাকে না, তাই মাছও অমিল হয়ে থাকে । তাছাড়া এই সময়টাতে মাছেদের প্রজনন হয়ে থাকে, তাই অধিকাংশ মাছেদেরই পেটে ডিম হয়ে যায় । ডিমওয়ালা মাছ খেতে ভালো লাগে না । খাওয়া উচিতও নয় । কারণ সব ডিমওয়ালা মাছ খেয়ে ফেললে পরে মাছ কি আকাশ থেকে পড়বে ? ঠিক একইভাবে মাছের পোনাও খাওয়া উচিত নয় ।

ফলের মধ্যে গ্রীষ্মকালে আমার সব চাইতে টপ ফেভারিট হলো তরমুজ । এছাড়াও ডাব, কাঁচা আম, সময়বিশেষে পাকা আম, লিচু, কালো জাম, কলা, পেঁপে, সফেদা, কালো আঙুর এবং কদবেল আমার খুবই প্রিয় ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 40.30% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা আপনার খাবারের পছন্দের তালিকা কিন্তু পোস্টের মাধ্যমে দিয়ে দিলেন।এখন এ বি বি ফান প্রশ্নের মতো আপনি যদি হঠাৎ করে আমার বাসায় চলে আসেন,আমি কিন্তু চোখ বন্ধ করে আপনার প্রিয় খাবার গুলো তৈরি করে আপনাকে খাওয়াতে পারবো।আমার আর কাউকে জিজ্ঞেস করতে হবে না, দাদা কি কি খেতে পছন্দ করেন। 🥰

এই গরমে খাদ্যাভ্যাসের মাঝে বেশ পরিবর্তন আসে। আর এই সময় মাংসটা এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে মাছের ঝোল দিয়ে দুপুর বেলায় ভাত খেতে কিন্তু দারুণ লাগে। আর এই সময় ডিমওয়ালা মাছ বেশি পাওয়া যায়। আমার মনে হয় ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি করা বন্ধ করা উচিত। তাহলে মাছের প্রজনন অনেক বেড়ে যাবে এবং আরো বেশি মাছ পাওয়া যাবে। আর এই গরমে ডাবের জল,ডাব-ক্ষীর এগুলো খেতে দারুন লাগে। তবে কাঁচা আম পুড়িয়ে শরবত করে খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। বৌদির হাতের তৈরি শরবত খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো হয়। দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

শাক মাছই ম্যানুতে বেশি রাখা উচিৎ আর শরবত। সবাই এগুলো ফলো করলে সুস্থ থাকা সহজ হবে। ধন্যবাদ।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

reej

গরম কালে আপনার খাবারের লিস্টটি একবারেই স্বাস্থ্যসম্মত দাদা। এবারের গরম আসলেই সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দিনে রাতে সমান গরম। তাই খাবারে স্বাস্থ্যসম্মত মেনু রাখা জরুরি। তরমুজসহ এই সময়ের যেকোন দেশীয় ফলেই আমাদের শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। আপনার খাদ্য তালিকা দেখে খুব ভালো লাগলো দাদা। আমাদের সাথে শেয়ার করে জানবার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্য।

এখানে আমার বৌদির তৈরী কাঁচা আম পোড়া শরবত টা কখনো দেখা হয়নি। খাওয়ার কথা কল্পনাও করি না। তবে আপনার বর্ণনা অনুযায়ী যা বুঝলাম শরবতটা খুবই সুস্বাদু। আর একটি শব্দের অর্থ বুঝলাম না সেটা হলো ,মৌরালা মাছ। আমাদের দিকে এই মাছকে কি নামে ডাকে সেটাও জানি না। সর্বশেষ আমিও আপনার সাথে এক মত,ডিম ওলা মাছ,মাছের পোনা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। ধন্যবাদ দাদা।

কাচাঁ পোড়া শরবতটা আমার কাছে একদমই নতুন মনে হলো দাদা। যেহেতু বৌদি আবিষ্কার করেছে রেসিপিটি তবে গরমের দিনে এমন শরবত খেতে পারলে তো ভালো লাগতো। তবে দাদা গরমের দিনে কিন্তু বাঙ্গী খেতেও ভালো লাগে! বালুর মতো নরম নরম! এটার শরবতও সেই মজার হয়। একদিন ট্রাই করতে পারেন। তাছাড়া তরমুজের শরবতটাও আমার পছন্দের। গ্রীষ্মকালে মাছ তুলনামূলক কম পাওয়া যায়। তবে সকাল সকাল আবার বাজারে টাটকা মাছ পাওয়া যায়। আপনার তাহলে অনেক মাছই পছন্দের তালিকায় রয়েছে দাদা।

দাদা আপনার খাবারের সাথে দু' একটি ছাড়া প্রায় খাবারের মিল খুঁজে পেলাম। যখন আপনার পোস্ট পড়ছি আর খাবারের নাম শুনেছি তখন যেন কল্পনায় চলে গিয়েছে আর মনে হচ্ছে আমি সেগুলো খাচ্ছি। কচি ডাবের শাঁস ফ্রিজ থেকে বের করে খেতে যে কি মজা তা যে খেয়েছে সেই ভালো বলতে পারবে। আপনার শেষের কথা শুনে খুব মজা পেলাম, সত্যিই তো মাছের ডিম যদি আমরা খেয়ে ফেলি তাহলে মাছ কি আকাশ থেকে পড়বে। কিন্তু সেটা কি কেউ মানে এই সিজনে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা মাছ ধরা হয় আর এতে ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও ভালো চলে। দাদা আপনার গরম কালের প্রিয় খাবারের নাম জেনে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

হ্যাঁ দাদা তীব্র গরমে খাবার খেতেই তেমন ইচ্ছে করে না। খাবারের স্বাদও পাওয়া যায় না। খাবার খেতে বসলে পানি পান করতে করতে পেট ভরে যায়। তবে ছোট মাছ দিয়ে ঝোল জাতীয় রেসিপি তৈরি করলে মোটামুটি খাওয়া যায়। কিন্তু ভুনা জাতীয় রেসিপি গরমের দিন ভালো লাগে না খেতে। আর খাওয়ার শেষের দিকে, কাঁচা আম দিয়ে পাতলা করে রান্না করা মসুরের ডাল খেতে দারুণ লাগে। এই গরমে আপনার মতো আমারও তরমুজ ভীষণ প্রিয়। তাইতো প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার চেষ্টা করি। ডাবের পানি নিঃসন্দেহে আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। যাইহোক গরমকালে আপনার প্রিয় খাবার আর পানীয় এর লিস্ট সম্পর্কে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ডাবের পানি আর তরমুজের জুস ব‍্যাপার টা বুঝলাম। কিন্তু পোড়া আমের জুস এটা কখনো দেখিনি আমি। এই নামটা প্রথম শুনলাম বৌদির স্পেশাল শরবত হবে হয়তো। আমাদের দিকে ডাবের কচি শাসকে ছেচি বলা হয়ে থাকে। ওটা আমারও অনেক পছন্দ। আপনার খাবারের তালিকা দেখে ভালো লাগল দাদা। গরমের দিনে মাংসটা একটু কম খাওয়াই কিন্তু ভালো।

এই প্রচন্ড গরমে বিভিন্ন রকমের পানীয় আমারও অনেক প্রিয়। বিশেষ করে বিভিন্ন রকমের জুস বা শরবত। জুসের ভেতরে আপনার মতো আমারও কাঁচা আমের জুস খেতে দারুন লাগে। আর এই গরমে আমার অন্যান্য খাওয়া-দাওয়া কমলেও ফল খাওয়াটা অনেক বেড়ে যায়। আর সেই তালিকায় সবচাইতে উপরে থাকে তরমুজ। তরমুজ কেটে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তারপর খেতে জাস্ট অসাধারণ লাগে। আমি অবশ্য এখন কোন ফল ফ্রিজে না রেখে খেতে পারি না। এমনকি ডাবের পানিটাও আমি হালকা চিনি মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে তারপর খাই। এতে ডাবের পুষ্টিগুণ কতোটা থাকে তা জানি না কিন্তু খেতে দুর্দান্ত লাগে। আর কচি ডাবের শ্বাস খেতে সবাই পছন্দ করে। আপনার খাবারের লিস্ট অনেকটাই আমার সাথে মিলে গেলো দাদা। তবে আমি মাছ মাংস দুটোই সমান তালে চালায়। এতে আমার খুব একটা সমস্যা হয় না। যাক এই পোস্টের মাধ্যমে আপনার গরমকালের খাবারের লিস্টটা জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

শেষ পাতে কাঁচা আমের টক বা চচ্চড়ি হলে তো কথাই নেই। গরমের মধ্যে আসলেই মাংস খেতে ভালো লাগে না। অতিরিক্ত গরমের সময় খাওয়া-দাওয়া করতে ও অস্বস্তি লাগে। আপনার পছন্দের তালিকায় যেসব খাবার রয়েছে সেগুলো খুবই সুস্বাদু এবং মজার। কাঁচা আম পোড়া শরবত কখনো খাওয়া হয়নি। তবে শুনেছি এটা নাকি খুবই সুস্বাদু হয় খেতে। তরমুজ আমারও ভীষণ পছন্দের ফল। কাঁচা আম মাখাও কিন্তু বেশ ভালো লাগে গরমের মধ্যে।

আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো যেন এক অপূর্ব গ্রীষ্মের দিনের সফরনামা। আপনি যেভাবে গরমকালের প্রিয় খাবার ও পানীয়ের বর্ণনা দিয়েছেন, তা সত্যিই অনন্য। ডাবের জল, মিষ্টি তরমুজের জুস, কাঁচা আম পোড়া শরবত থেকে শুরু করে ছোট মাছের ঝোল পর্যন্ত আপনার পছন্দের তালিকা পড়ে মনে হচ্ছে যেন এক স্বাদের উৎসব। আপনার লেখনীতে বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া গেল। ধন্যবাদ এমন সুন্দর পোস্টের জন্য।

দাদা আপনার পোস্ট পড়তে পড়তে সব খাবারগুলো খেতে মন চাইছিলো। বিশেষ করে ডাবের পানি এবং ডাবের শাঁস দুটোই আমার প্রিয়। আর দুই দিন আগেই আমি প্রচন্ড গরমে কাঁচা আমের শরবত বানিয়েছিলাম। যেটা খেতে অসাধারণ ছিল। তবে আপনার আজকের পোস্টে যতগুলো খাবারের তালিকা রয়েছে আমার তো মনে হয় সারা জীবনেও এতগুলো খাবার খাওয়া হয়নি। তবে এই কয়েকদিন গরমে প্রচন্ড অবস্থা খারাপ ছিলো। এসব খাবারগুলো সামনে পেলে একটু বেশি ভালো লাগতো।

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

দাদা কয়েকদিন পোষ্টের মাধ্যমে গরম কালে কি ধরনের খাবার গুলো খেলে উপকারী সেটা ভালোই অভিজ্ঞতা নিচ্ছি আপনার কাছ থেকে । ডাবের পানি যেটা সত্যি খেলে পরে ভেতরের তৃপ্তি দেয়। এবার তরমুজ ফ্রিজে রেখে ভালোই খাওয়া হচ্ছে। আর যে গরম এই গরম আগে কখনো দেখিনি যেটা সত্যিই অসহনীয়। শরীর তেমন একটা ঘামছে না আগে গরম পড়তো শরীর ঘেমে পানি পড়তো তার মধ্যে একটা ভালোলাগার ছিল। আপনার প্রিয় খাবার গুলো সত্যিই এই সময়ের জন্য উপকারী।

এই শুক্তো টা কখনো খাওয়া হয়নি,সত্যি মাংস বিরক্ত লাগে গরমকালে।আর তরমুজ তো আমার মোস্ট ফেবরিট।

আপনি গরমকালে যে খাবারগুলো খেতে পছন্দ করেন সবগুলোই বেশ রুচিকর। তবে গরমের সময় সব থেকে পছন্দ অর্থাৎ সবাই যেটা পছন্দ করে সেটা হচ্ছে নানান স্বাদের শীতল পানি। অন্য খাবার গুলোর মধ্যে ভিন্নতা থাকতে পারে তবে বেশ শীতল পানি গুলো খেতে সবাই পছন্দ করে। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে গরম কালে আপনার পছন্দের খাবার সমূহের একটি তালিকা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Esa fruta deliciosa patilla

ডাবের জল খেয়ে ডাবের শাঁস মাস্ট!! এই গরমে বিট নুন ছড়িয়ে তরমুজ টাও দুর্দান্ত লাগে। আহা। পড়তে পড়তে লোভ লেগে গেলো দেখছি। 😁

আমের সময় আসছে দাদা। এইবার আগে থেকেই প্লান করেছি জমিয়ে কাঁচা আম মাখা খাবো।

দাদা আপনার পছন্দের লিস্ট পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম এই লিস্ট থেকে কোন কিছু কি বাদ গেলো? সবই তো আপনার ফেভারিট দেখছি। আমার কাছে অবশ্য তরমুজের জুসের থেকে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা তরমুজ খেতেই বেশি ভালো লাগে। একেবারে পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় এই ঠান্ডা তরমুজ খেলে। কাঁচা আমের জুসের কথা বলে তো মুখে পানি এনে দিলেন। আপনি যে খেতে ভালোবাসেন তা আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যায়।

আহ! দারুণ স্বাদের সব কিছুর সমাহার দেখছি, জিভে জল আসার উপক্রম হয়ে গেলো তো হি হি হি। সেই বৃষ্টি থেকে শুরু করে তরমুজ অবদি মেলা মিল খুঁজে পেলাম দাদার সাথে হি হি হি।

  ·  13 days ago (edited)

তরমুজ ও ডাবের পানি আমারও খুব পছন্দ কিন্তু এখানে যে দাম, সেভাবে কেনাই হয়ে ওঠেনা। তবে এবার আম পোড়া শরবত খেয়েছিলাম ভাই, হীরা বানিয়েছিল। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করলাম লেখাটি।

আপনার ফেভারিট খাবারের তালিকা শুনে তো আমার মাথা ঘুরছে কোনটা রেখে কোনটা আমি আমার ফেভারিট বলবো সেটাই বুঝতে পারছি না । তরমুজ খেতে কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগে ঠান্ডা ঠান্ডা তরমুজ জুস করলে ভালো লাগেনা । কিন্তু শেষ রাতে কাঁচা আমের ঝোল বা চচ্চড়ি কেন খেতে হবে সেটাই বুঝলাম না ।নারিকেল এর সাস আসলেই ফ্রিজে রেখে খেলে সত্যি অন্যরকম স্বাদ লাগে । কাঁচা আম পুড়িয়ে শরবত কখনো খাওয়া হয়নি । অনেক কিছু জানতে পারলাম দাদা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে ।

আমাদের এখানে তো বৃষ্টি হওয়ায় আবহাওয়া কিছুটা শীতল আছে এখনো। দাদা এটা ঠিক গরমকালে মাংস খাওয়ার অরুচি হয়ে যায়। মোটামুটি মাছের পাতলা ঝোল খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আপনার বাসায় তো দেখছি বেশ ভালোই মজার মজার রান্না হয়। যদিও আমাদের শুক্তো খাওয়া হয় না। আর আপনার খাবার মেন্যু দেখে মনে হচ্ছে এটা একদমই স্বাস্থ্যকর। গরমের সময়ে এমনিতেও ভাজাভুজি বা ভুনা কিছু খেতে ইচ্ছে করে না।আর ফলমূল বা যেকোনো ফলের শরবত হলো এই গরমে প্রশান্তির একমাত্র উৎস।আর এরমাঝে ডাবের পানি হলে তো আর কিছুই লাগে না।

আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি দাদা আসলে ডিমওয়ালা মাছ খাওয়া উচিত নয়। মাছের চাষ বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই ডিমওয়ালা মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আসলে গরমকালে আপনার মতো করে সকলের খাওয়ার রুটিন টা একটু পরিবর্তন আনা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেলে আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারি।

আমারো কচি ডাবের পানি অনেক বেশি পছন্দ। ঢাকায় থাকা অবস্থায় যখনি পানি শুন্যতা অনুভব করি, ডাব খাওয়া হয়। আর বেশির ভাগ সময়ে হোস্টেলে থাকার কারণে পছন্দের খাবার খাওয়া হয় না, মিলে যা দেয় তাই খেতে হয়। আর আপনার মত বিট লবন, চিনি, লেবুর রস দিয়ে শরবত বানিয়ে খেতেও অনেক ভালো লাগে দাদা।

দাদা আপনি ঠিক বলছেন এই গরমের কারণে খাওয়া-দাওয়ার অরুচি হয়ে গিয়েছে। কোন কিছুই আর তেমন খেতে মনে চায় না। তবে প্রচন্ড গরমে নানা ধরনের ফলের জুস এবং স্বাদের শীতল পানীয় খেতে খুবই ভালো লাগে। বাজারে চাহিদার জন্য তরমুজ ও ডাবের পানি এখন প্রচুর দামে বিক্রি হচ্ছে। আপনার মতো আমারও খুব পছন্দ এই শীতল পানীয়। তবে আমি কাঁচা আম পুড়িয়ে শরবত করে আগে কখনো খাইনি। কিন্তু দাদা আপনার উপকরণ দিয়ে তৈরি করার পদ্ধতি দেখে শিখে নিলাম। খেতে বেশ ভালো লাগবে নিশ্চয়ই। আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

এই গরমের দিনে দাদা তরমুজের শরবত, ডাবের জল কিংবা আম পোড়া শরবতের কোন বিকল্প হয় না। তবে ইদানিং আসলেই প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম পড়ছে রাতের বেলা। এতে করে অস্বস্তি লাগছে আরো বেশি। তবে দাদা তাও তো আপনি মাসে ২-৩ দিন মাংস খাচ্ছেন। আমাদের তো শুধু মাছই খাওয়া হচ্ছে এই গরমে। তাছাড়া দাদা এই গরমে আপনার খাবারের লিস্ট দেখে সত্যিই অনেক বেশি অবাক হলাম। আপনার মত যদি এরকম সবাই খাবার মেইনটেইন করতে পারে গরমকালে, তাহলে শরীর খারাপ অনেকটাই কম হবে।

আজকে আপনার প্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে অনেকগুলো আইটেমের কথা জানতে পারলাম দাদা। আসলে গরমের দিনে ডাবের পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সত্যি বলতে ডাবের শাঁস আমারও অনেক পছন্দ। আর তরমুজের কথা বলতে গেলে যদি ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে পুদিনা পাতা দিয়ে পরবর্তীতে খাওয়া হয় এটা খেতে হেব্বী লাগে। যাই হোক দাদা অনেক মজার মজার খাবারের নাম উল্লেখ করেছেন পোষ্টের মধ্যে। এক হিসেবে লোভ লেগে যাওয়ার মত। ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন।

সকল খাবার নিয়ে পড়লাম,আর লোভ লাগছে।আসলে এই গরমে মোটামুটি সকলেরই প্রিয় খাবার।ডাব, তরমুজ আমার ও ভালো লাগে,তবে কাঁচা আম কাসুন্দি দিয়ে মেখে খেতে বেশ ভালো লাগে।এই গরমে ছোট ছোট মাছের ঝোল খেতে কার না ভালো লাগে।লোভনীয় খাবার।ধন্যবাদ

দাদা, ডাবের জল বলো বা তরমুজের শরবত বলো কিংবা আম পোড়া শরবত, এগুলো গরম কালে আমার নিজেরও কিন্তু অনেক পছন্দের ঠান্ডা পানীয়। আসলে দাদা তুমি মেইন কোর্সে যে খাবারের নাম গুলো উল্লেখ করলে, সেগুলো আসলেই অত্যন্ত লোভনীয় এই গরমকালে। এটা ঠিক যে, এই গরমের সময় মাংসের থেকে মাছকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া ভালো।

কারণ সব ডিমওয়ালা মাছ খেয়ে ফেললে পরে মাছ কি আকাশ থেকে পড়বে ?

এই কথাটা যদি সবাই বুঝতো তাহলে হয়তো আমাদের দেশে আর মাছের অভাব হতো না কোনদিন।

Watermelon, sweet and delicious. Watermelon is very good for health. Increases stamina. Blessings

আহ্ দাদা আপনি কি তালিকাই না দিলেন। এ যেন মনে হচ্ছে নিজের পছন্দের তালিকার প্রতিচ্ছবি। বেশ লোভনীয় ছিল আপনার খাবার গুলো প্রতিটি। কচি ডাব আর তার শ্বাস সবই তো মজা। আর যতগুলো জুসের কথা বললেন সবই তো আমার ও প্রিয়। রইল আপনার ছোট মাছ। গরমের দিনে কি আর মাংস খাওয়া যায়। তবে আপনাদের শহরের মতই হয়ে গেছে এখন আমাদের শহর। তাপমাত্রা সেই একই রকমের। ধন্যবাদ দাদা আপনার পছন্দের খাবারের তালিকা প্রকাশ করায়।