বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আমার প্রথম দিনের শপিং এক্সপেরিয়েন্স

in hive-129948 •  2 years ago 

IMG_20230101_212605.jpg


প্রথম দিন ঢাকায় এসে সন্ধ্যার দিকে ভাবলুম একটু শপিংয়ে যাই । সব চাইতে কাছাকাছি যে শপিং মল আছে সেখানে যেতে চাইলাম । ড্রাইভার জানালো যে শপিং মল এর চাইতে খুব কাছাকাছি একটা কনভিনিয়েন্স স্টোর আছে, সেখানে যাওয়া যেতে পারে । যেহেতু এই কনভিনিয়েন্স স্টোরটা আমাদের খুবই কাছাকাছি হয় তাই রাজি হলুম ।

সন্ধ্যায় বেরিয়ে দেখি ও মা ! এ কি জ্যাম রে বাবা ! ড্রাইভার সবিনয়ে জানালো আজকে জ্যাম তেমন নেই । অন্যদিন অনেক বেশি থাকে । শুনে তো মাথা ঘুরে গেলো । বলে কি ? এ জ্যাম নাকি কোনো জ্যামই নয় । বাপ্ রে । যাই হোক জ্যাম না থাকলে মোটে মিনিট সাত আটের রাস্তা । একটু জ্যাম ছিল তাই পৌঁছতে তিরিশ মিনিটের মতো লাগলো ।

কনভিনিয়েন্স স্টোরটার নাম ছিল Unimart । আকারে বেশ বড় । তবে পার্কিং লট ছোট ছিল বেশ । গাড়ি পার্ক করে তো ঢুকলুম শপিং সেন্টারে । অনেকগুলি ফ্লোর । এক একটা ফ্লোর বিশাল আয়তনের । একটা ফ্লোরে জামা কাপড়, একটাতে গ্রোসারি, একটাতে বাচ্চাদের খেলনা, একটাতে মাছ মাংস, একটাতে ফলমূল আর একটাতে সৌখিন জিনিসপত্র ।

গোলটুকে শপিং কার্টে বসিয়ে কেনাকাটা শুরু করলাম । রং পেন্সিল, আর্ট বুক, জেল পেন, ব্লকস সেট আর একটা বাস্কেট বল । এরপরে এক একটা ফ্লোরে যাই আর টুকটাক জিনিস কিনি । কোল্ড ড্রিঙ্কস, জুস আর কিছু ফলমূল, চকোলেট কিনলাম । ফলের দোকানে গিয়ে দেখলাম কলকাতার ১০-২০ গুণ বেশি দাম । আমাদের কলকাতায় এক ডজন কমলালেবুর দাম ৭০-৮০ টাকা । এখানে ৭ টা লেবুর দাম ২৪৫ টাকা । পাঁচশো গ্রাম চেরির দাম কলকাতায় ৫০০ টাকা । আর এখানে আড়াইশো গ্রাম চেরীর দাম ৫,০০০ টাকা ।

দাম দেখে মাথা ঘুরে ঠাস করে পড়ে যাচ্ছিলাম । যাই হোক কোনোক্রমে সামলে নিয়ে আর কোনোদিকে না তাকিয়ে মাছের ফ্লোরে গেলাম । সেখানে এক কিলো গলদার দাম দেখে আরেক প্রস্থ মাথা ঘুরে গেলো । তাই আর কোনোদিকে না তাকিয়ে চেক আউট এ চলে গেলাম ।

এই বার সেখানে বিল করার পরে আমার হার্ট এট্যাকের মতো অবস্থা হলো । যেসব জিনিসপত্র কিনেছিলাম কলকাতায় তার দাম বড়জোর ৪,০০০।= টাকা হবে । এখানে হলো ১৮,৫৩২।= টাকা । আমার একটা বদভ্যাস হলো জিনিসপত্র কেনার সময় প্রাইস ট্যাগ দেখি না । তারপরেও লেবু, চেরি আর গলদার প্রাইস দেখে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল । কিন্তু, ততক্ষণে সব জিনিস কিনে কার্ট বোঝাই করা হয়ে গিয়েছিলো । ওখান থেকে একটা পেন্সিল তুলতে গেলেই গোলটুবাবু কুরুক্ষেত্র করবে ।


IMG_20230101_212527.jpg


যাই হোক বিল মিটিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে প্রত্যেকটা জিনিসের প্রাইস ট্যাগ দেখে মাথা ঘুরে গেলো । পুরোনো ট্যাগের ওপর unimart তাদের নিজস্ব ট্যাগ মেরে দিয়েছে ।যে জিনিসের দাম ২০০ টাকা তার প্রাইস ট্যাগের ওপর unimart স্টিকার মেরে দিয়েছে ১,২০০ টাকা । মাত্র ৩২ টাকা জেল পেনের উপরে ১৩২ টাকার প্রাইস ট্যাগ মেরে দিয়েছে । এক ডজন জেল পেনের প্রাইস যেখানে সর্বোচ্চ ৩৮৪ টাকা সেখানে এক একটা জেল পেন ১৩২ টাকা দাম রেখেছে । আরেকটা মজার ব্যাপার হলো অধিকাংশ জিনিসপত্র made in India ট্যাগের ওপর unimart ট্যাগ মারা । made in China প্রোডাক্ট কমই দেখলাম ।

শেষমেশ বলবো ঢাকায় আমার শপিং এক্সপেরিয়েন্স খুবই নিদারুণ ছিল । কেমন যেন ডাকাত ডাকাত গন্ধ পেলুম । এরপরের দিন নিউ মার্কেটে গিয়ে খাবারের দাম দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম । এক পিস্ চিকেন স্যান্ডউইচ ২৪০ টাকা । মরে যে যাইনি এই ঢের !

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Can you earn
Screenshot_20230103-155936_1672742112461.jpg

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

এই ডাকাতের দেশেই আমাদের বসবাস। তাহলে বোঝেন দাদা আমরা কিভাবে সারা বছর চলি। এজন্যই তো অনেকে সময় সুযোগ পেলেই ইন্ডিয়াতে চলে যায় শপিং করার জন্য। ঘুরা হয়ে যায় আবার কেনাকাটা হয়ে যায় বাংলাদেশের শপিং এর টাকা দিয়ে। আর এই বড় বড় দোকানগুলোতে অবস্থা আরো খারাপ। যাক শপিংমলের মধ্যে যে মাথা ঘুরে পড়ে যাননি এই অনেক। সুস্থ মতো বাসায় ফিরতে পেরেছেন তাই বা কম কিসের।

আমাদের জন্য এসব ডাল ভাত ব্যাপার, এই সব সমস্যা আম্রা প্রতিদিনিই সহ্য করে যাচ্ছি। বিষেশ করে জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোয়া। আর জ্যাম সেটা ত ঢাকাই প্রতিদিনকার ঘটনা।

তাহলে তো আমাদের প্রতিদিনই মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার কথা আমরা তো প্রতিদিনই এসবের সম্মুখীন হচ্ছি। মানুষ ইন্ডিয়া যায় শপিং করতে আর আপনি বাংলাদেশ থেকে কেন যে এসব জিনিস কিনলেন আমি তো তাই বুঝলাম না। আমাদের দিনের ভিতরে ১০০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় এসব জিনিসের দাম দেখে তারপরে কিছুই করার নেই কিনতেই হয়। বাংলাদেশের শপিং করার দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দাদা। যদিও uinimart আমি কখনো যাইনি আমাদের বাসা থেকে অনেক দূর।

ঢাকায় সুস্বাগতম দাদা

প্রথমেই আপনার ভ্রমন সুখকর হোক এই কামনা করছি ❤️

হা হা 😄
দাদা এই ডাকাতের শহরে বাস করছি দীর্ঘদিন, কি যে কষ্টের ভেতরে দিন যায় বলাবাহুল্য। এখানে টাকা ছাড়া একটা পা ফেলা মুশকিল আর জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। সবথেকে যেটা কষ্টের ব্যাপার জিনিসের মানের থেকে দাম আকাশ পাতাল ফারাক।

দোয়া করছি দাদা ভালো সময় কাটুক আপনাদের ❤️

দাদা ঢাকা শহরে তো ছোটখাটো জ্যাম সব সময় লেগেই থাকে বড় ধরনের জ্যামে পড়লে বুঝতে পারতেন ঢাকা শহরে যাতায়াত করা কি কষ্টের। তাছাড়া শপিং করতে গিয়ে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম আপনাদের তুলনায় ১০ থেকে ২০ গুণ এখন আমাদের কাছে এটা কিছুই মনে হয় না। যেটা আপনি এক্সপেরিয়াম্যান্ট করেছেন প্রত্যেকটা জিনিসের দাম অনেক বেশি যেটা কল্পনার বাইরে। বিভিন্ন ফলের দাম আকাশচুম্বি দারিদ্র শ্রেণীর মানুষের খাওয়ার বরাত নেই। যাইহোক, অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন দাদা আমাদের দেশে এসে এই ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য ধন্যবাদ।

হাহাহা।দাদা কি বলবো আপনার শপিংয়ের স্টোরিটা পড়তেছি আর হাসতেছি। আপনি ঢাকায় শপিং মলে যে দাম দেখেছেন,এরপর আমাদের এরিয়াতে দাম দেখলেতো টাসকি খেয়ে যেতেন।ঢাকা থেকে আমাদের ফেনীতে জিনিসপত্রের আরো বেশি দাম নেয়। যাইহোক দাদা আপনি বাংলাদেশে এসেছেন এবং আমাদের দেশকে ঘুরে দেখছেন এটা আসলে অনেক ভালো লাগলো।

মরে যে যাইনি এই ঢের !

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে সমবেদনা জানাবো আপনাকে নাকি হাসবো সেটাই বুঝতে পারছি না। আসলে আমরা প্রতিনিয়তই এভাবে ডাকাতদের হাতে বলি হচ্ছি। বিশেষ করে আমরা সাধারণ মানুষরা কত কষ্টে নিজের অর্জিত টাকাগুলো এভাবে ডাকাতদের হাতে তুলে দিচ্ছি সেটা শুধু সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তবে যাই বলুন না কেন দাদা ইন্ডিয়ার তুলনায় বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জিনিসের দাম অনেক বেশি। আর ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যামের কথা মনে হলো তো বালতি নিয়ে বসে বসে কান্না করতে হয়🤪🤪। যাইহোক এত অত্যাচার সহ্য করেও বেঁচে আছেন এবং বাংলাদেশে আছেন এটা আমাদের সৌভাগ্য।

প্রথমেই স্বাগত জানাই জ্যামের শহর ঢাকাতে।

দাদা আমাদের দেশের মানুষ ডাকাতি বটে ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো দাম কসবে। এখানে কেউ কিছু বলবে মা প্রতিবাদ ও কেউ করবে না।কারণ উপর মহল টাকাত কাছে বিক্রি।অনেক খারাপ লাগলো আপনার সাথে এমন অন্যায়।এটা অন্যায় ই বটে যে দেশে এক কেজি গরু কে খাওয়ানো লবন ৩০ টাকা বিক্রি হয় কি আর বলবো।

হ্যাপি জার্নি।

দাদা আপনি ঢাকায় এসেছেন যেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে প্রথমেই ঢাকায় আসার জন্য স্বাগতম জানাই, আর আপনার পোস্টটি পড়তেছিলাম আর হাসতে ছিলাম। আসলে দাদা আমাদের দেশে যেন দিনে দুপুরে ডাকাতি চলছে। প্রতিটা জিনিসের দাম এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা বলার মত না। রাত পোহালেই যেন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। আর কলকাতার চাইতে আমাদের এখানে এত গুণ বেশি দাম আপনার পোস্ট না পড়লে আপনাকে বুঝতে পারতাম না। আমাদের দেশের মানুষ কি পরিমান যে ডাকাতি করছে। আসলে আমাদের দেশটা যেন ডাকাতে ভরে গেছে। জিনিসপত্রের দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

দাদা আমরা তো জ্যামের কারণে বাড়ি থেকে বেশি করে ব্যাগ ভরে সময় নিয়ে বের হয়। কারন আমরা জানি ঢাকাতে জ্যাম পড়বেই। আর দামের কথা বললেন না এটা আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশে কোন ব্যাপার না। আপনি হঠাৎ করে স্বর্গে এসেছেন তো তাই এমন লাগছে। যায়হোক বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারলে বাচঁতে পারতাম। ধন্যবাদ দাদা।

এর নামই হচ্ছে ঢাকা, যাকে বলে জাদুর শহর। জাদু দেখিয়ে সবাইরে ভুলিয়ে রাখে ভাই। আমার কিছু বলার নেই, আমি অভ্যস্ত।

আমাদের দেশে আপনাকে স্বাগতম দাদা।

এটাই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ যেখানে প্রতিটা দ্রব্যমূল্যের দাম নাগালের বাইরে তারপরেও প্রতিবাদ করার কোন লোক নেই।

যেসব জিনিসপত্র কিনেছিলাম কলকাতায় তার দাম বড়জোর ৪,০০০।= টাকা হবে । এখানে হলো ১৮,৫৩২।= টাকা

একদম আকাশ পাতাল তফাৎ।

মরে যে যাইনি এই ঢের !

মরা অতোই সহজ হলে কি আর আমরা বেঁচে থাকতাম দাদা।🤓সম্পূর্ণ বাংলাদেশ এর ই এই অবস্থা।

অবশেষে আপনি বাংলাদেশে এসেছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো দাদা কখনো ভাবতেই পারিনি যে আপনি হঠাৎ করেই এত বড় একটা সারপ্রাইজ দেবেন। আসলে কি বলবো বাংলাদেশের অবস্থা এই একই সবকিছুর দাম অনেক বেশি চড়া। কোন কিছু কিনতে গেলে নিজেই মাঝে মাঝে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায়। আপনার ক্ষেত্রেও দেখছি সেটাই ঘটেছে। আর ঢাকা শহরের জ্যাম নিয়ে আর কি বলব এটা যখন একবার লেগে যায় তখন মনে হয় না গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। যাইহোক অবশেষে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে বেচে ফিরেছেন এটাই অনেক বেশি হাহাহা। আরেকটু সময় থাকলে হয়তো বা মরেই যেতেন 😀😀

ঠিক বলছেন দাদা ঢাকা শহরের যে জ্যাম দেখে মাথা ঘুরে যায়।আর জিনিসের যে ছড়া দাম বিশেষ করে আমিও ঢাকা চাইনা মার্কেটে গিয়েছিলাম ওখানে অনেক দাম জিনিসের।আসলেই ঢাকা শহরে ঘোরাফেরার মত তেমন সুবিধার না।তবে অন্যান্য দেশে তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসের দাম বেশি সেটা সবাই বলে।

রবিবারের আড্ডায় দাদা আপনার মুখে শপিং করার অনুভূতি শুনেছিলাম কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি আপনি বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন।দাদা আমরা প্রতিনিয়তই এগুলোর ভুক্তভোগী কি আর বলি যেখানেই যাই সেখানেই সবকিছুর দাম বেশি মাঝে মাঝে মাথা ঘোরার মতোই অবস্থা হয়ে যায়।দাদা আপনি ঠিকই বলেছেন ডাকাতি করার মতো পরিস্থিতি শপিংমল গুলো। ঈশ্বর সহায় ছিলো বলেই মাথা ঘুরে পড়ে যাননি তা না হলে কি হতো বলেন তো দাদা 😀 শপিং করার তিক্ত অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা বাংলাদেশ মানেই তো তাই ৷ আর ঢাকার কথা বলেছেন ৷ বাসা থেকে বের হওয়া মানেই দিন শেষ ৷ ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে ৫০ মিনিট ও লাগতে পারে ৷ আর দ্রব্যমূল্য সেটা না বলি ৷ আপনি তো নিজেই কেনাকাট করছেন ৷ তবে কেনাকাটার লিষ্ট দেখে অবাক এতো কিছু ৷

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। ভাগ্যিস আপনি মাথা ঘুরে পড়ে যাননি। আমরা এই ডাকাতের দেশে বসবাস করছি। প্রতিনিয়ত চলতে কতটা যে হিমশিম খেতে হচ্ছে এটা বলার মত নয়। আপনি তাহলে এখন বুঝতে পারলেন আমাদের দেশের অবস্থা কি? তবে আপনাদের দেশের দাম শুনেও আমি অবাক।

দাদা কি বললো, কিছুই বলার নেই। তবে আমরা এর মাঝেই টিকে আছি এবং বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি। এই দেশে লেভেলের বেশ মূল্য, নরমাল একটা পন্যে লেভেল লাগিয়ে সেটা তিন/চারগুন বেশী দামে বিক্রি করা হয়, কেউ দেখার নেই। তাই ব্যবসা বেশ ভালই চলে।

এটা তো রীতিমতো ডাকাতি দাদা! এমন এক্সপেরিয়েন্স আমাদের সাথে না হোক সেটাই চাই ,আমাদের পকেট থেকে এরকম শপিং করতে গিয়ে এত টাকা বেরিয়ে গেলে এক মাস না খেয়ে থাকতে হবে।

আমরা বাংগালী আমাদের কাছে অতো কিছু মনে হয় না। আপনারা কলকাতা থেকে আসছেন তাই এমন। তবে রিসেন্টলি দাম আরো বেড়ে গেছে বলতেি হবে।

যাইহোক ভালো লাগলো পোস্ট পড়ে

বাপ রে বাপ। দিনে ডাকাতি। ২০-৩০ টাকা দাম বেশি হলে তাও মেনে নেওয়া যায় কিন্তু কয়েকশো টাকার ফারাক সত্যিই অদ্ভুত লাগছে। চেরির দাম দেখে আমি অজ্ঞান।

Daam dekhe amr e matha ghurteche :(

আসলে দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে কি করবো সেটাই বুঝতে পারতেছি না। কিছুক্ষণ খিল খিল খিল করে হাসলাম। আর ভাবছিলাম দাদা কেন এই শপিং মলে গেল শপিং করতে। কারণ বাংলাদেশের শপিং মলে যা পাওয়া যায়। একই জিনিসগুলো আবার বঙ্গবাজার ও পাওয়া যায়। শপিংমলে শুধু লেভেল লাগানো থাকে। এই যা। কি আর বলব আমরাই তো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। কোথাও কোন নিয়মের বালাই নেই। না অফিসে, না বাজারে, আর না রাস্তায়। আজকেও তো একই রাস্তায় আধা ঘন্টা বসে ছিলাম। তাহলে বুঝুন দাদা আমরা কিভাবে বসবাস করছি। যাইহোক এর পরের বাংলাদেশের কোন শপিং মলে যেতে হলে সাথে দুই একজনকে নিয়ে যাবেন। ফিট হয়ে পড়ে গেলে তারা আপনাকে ধরতে পারবে।

দাদা খুব বাজে এক্সপেরিয়েন্স হয়েছে আপনার বুঝতে পারছি। দামের পার্থক্য হতে পারে তাই বলে এত বেশি কেন। Unimart এই কনভিনিয়েন্স স্টোরটা মনে হচ্ছে ডাকাতি ব্যবসায় নেমেছে। দামের এত পার্থক্য আসলেই মেনে নেয়া যায় না। একদম ঠিক বলেছেন দাদা দামের ট্যাগ দেখে আগেই সাবধান হওয়া উচিত ছিল। চিকেন স্যান্ডউইচ খাওয়ার পরে দাম দেখে যে আপনি সুস্থ আছেন এটাই অনেক কিছু।
আপনার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা, আমরা কোন কিছু কিনতে গেলে আগে প্রাইস চেক করে নেই, এই ডাকাতের দেশে আমাদের বসবাস। সব কিছু সহ্য করে যেতে হয়, কিছু বললে পরের দিন আমাকে গুম করে দিবে। এই বাজারের দামে চাপা পরে আছে হাজারো পরিবার।

জানেন তো দাদা আমাদের দেশের বড় বড় মল গুলোতে আমি শুধু এসির বাতাস খেতে যাই,, কারণ কিনতে গেলে আমাকে বিক্রি করে দাম দিয়ে আসতে হবে 😅। আর দেখছি ধানমন্ডিতে গিয়েছিলেন,, কপাল ভালো যে মাত্র এই টুকু জ্যাম ছিল। না হলে রাস্তার মাঝেই রান্না করে খেতে হতো 😉। নিত্য দিনের সঙ্গী আমাদের এসব।

হাহাহা! দাদা আমাদের মতো মানুষের সৌভাগ্য বড় বড় মলগুলোর এসির বাতাস খাওয়া! তবে শীত পড়লে ভিন্ন কথা 😁

প্রথমেই স্বাগত জানাই আপনাকে দাদা।
আমাদের এখানে সব কিছুর দামটাই এমন আকাশ্চুম্বি। বিশেষ করে ইমপোর্ট করা প্রডাক্ট গুলোর দাম অনেক বেশি, ভ্যাট ট্যাক্স ডাবল তাই। আমাদের ব্যাস্ততম নগরী ঘুরতে একটু সময় লাগবে, তবে আশা করি ভালও লাগবে।

মহান বিধাতার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। যে আপনি শপিং মলের ভেতরে মাথা ঘুরে পড়ে জাননি। আর আমরা প্রতিদিন আমাদের মাথা ঘুরালে ও মাথা ঠিক রেখেই বসবাস করতে হয়। কেনাকাটা করতে হয়। ধন্যবাদ দাদা আমাদের বাংলাদেশের কেনাকাটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।♥♥

দাদা নিজের দেশের দুর্নাম শুনতে আর ভালো লাগেনা কিন্তু কি করব যা বললেন তার সবই সত্য। আমরা এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি কিন্তু পরিবর্তনের কোন চেষ্টাই আমাদের নেই।

দাদা এমন ডাকাতি হয় আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এসব যেনো দেখার কেউ নেই। এরা নিজের মত ট্যাগ লাগিয়ে দাম বসাচ্ছে। প্রতিটা যায়গায় দূর্নীতি করে এরা।

ডাকাতের রাজ্যে আপনাকে স্বাগতম দাদা। কি যে একটা ভয়ানক অবস্থার ভেতরে আমরা থাকি আশা করি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছেন। আর নামিদামি জায়গাগুলো ডাকাতি করে আরও বেশি। এজন্য আমাদের মত সাধারন মানুষের ভরসা। ছোট ছোট জায়গাগুলো। যেখান থেকে সাধারণত এত দাম রাখা হয় না। তাও ভাগ্য ভালো আপনার যে শেষমেষ সজ্ঞানে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। আর আশা করি ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম ভালোই উপভোগ করছেন। হা হা হা

হাহাহা! দাদা বুঝেন এবার ঢাকা শহরের মানুষ কেমনে বাস করে! এতো দাম দিয়ে কিভাবে কি করবে? আপনার ভুলটা সেখানেই, প্রোডাক্টের প্রাইসগুলো আগে দেখে নিলে ভালো হতো! তবে আমি বলবো আর কিছু কিইনেন না বাংলাদেশ থেকে!

ওরে বাবা রে, আমি যে এই ডাকাতদলের সামনে যাইনি তাই ভালো হয়েছে।থাক দাদা আর যাব না,আপনার পোস্ট পড়ে অন্তত আমার এসব কেনা না হোক।আপনি তো বেঁচে আছেন,আমি হলে হয়ত সেখানেই শেষ🥴।ঢাকায় শপিং করে তাহলে আপনার নাজেহাল অবস্থা।এখন আমরা এই সবে অভ্যস্ত হতে হচ্ছে দাদা।আর রিসেন্টলি সব কিছুর দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে,কিন্তু পেটের দায়ে খেতে হচ্ছে।

মরে যে যাইনি এই ঢের !

জ্যামের এখনো কিছুই টের পাননি দাদা। আগে আগে দেখেন কি ভয়ানক জ্যাম এই নগরীতে।

এবার বুঝেন, এই দামে আমরা কিভাবে টিকে আছি। জিনিসের দামের লাগাম উঠে যাচ্ছে দিনে দিনে। জীবনযাত্রা কস্টের হচ্ছে।