একটি ফোটোগ্রাফি পোস্ট : বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার কিছু বিচ্ছিন্ন ছবিsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

তিন সপ্তাহ ব্যাপী আমার বাংলাদেশ ভ্রমণের প্রায় অর্ধেকটা সময় কাটিয়েছিলাম গ্রামের আমাদের কিছু আত্মীয় স্বজনের বাড়ি । পুজোর সময় যাওয়ার কথা ছিল আমাদের । কিন্তু, টিনটিনের পাসপোর্ট পেতে একটু বিলম্ব হওয়ার কারণে আর হলো না সেটা । যাই হোক এই সফরে আমরা ঢাকা, কক্সবাজার সহ প্রচুর স্থানে ঘুরেছি, খাওয়া-দাওয়া আর কেনা কাটা করেছি । তবে, গ্রামে কাটানো আমাদের দেড় সপ্তাহ সব চাইতে বেশি এঞ্জয়েবল ছিল ।

আমি যে গ্রামে ছিলাম সেখান থেকে মংলা সমুদ্র বন্দর এবং সুন্দরবনের স্টার্টিং পয়েন্ট করমজল খুবই কাছেই ছিল । করমজল যাওয়ার প্ল্যান ছিল আমাদের । কিন্তু, ভালো ট্রলার বোট না পাওয়াতে সেটা ক্যানসেল করি । সুন্দরবনের কাছের গ্রাম হওয়াতে এখানে লবণ জলের আধিক্য আর মাছের ভেড়ীর প্রচুর রমরমা । বেশ আয়েশ করে তিনবেলা প্রচুর পরিমাণে মাছ খেয়েছি যে কয়দিন গ্রামে ছিলাম ।

এর আগে বেশ কয়েকটি পোস্টে সেগুলো সম্পর্কে তুলে ধরেছি আর ছবিও দিয়েছি অনেক । আজকে শুধুমাত্র কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ফটোগ্রাফ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে । তো চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আয়োজন ।


তেঁতুল পাতার ফাঁক দিয়ে পুকুর পাড়ের দৃশ্য অবলোকন

তারিখ : ২০ ডিসেম্বর ২০২২

সময় : সকাল ৯ টা ১৫ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


গ্রামের পুকুর পাড়ের বাঁধানো ঘাটে বসে শেষ বিকেলের রোদ্দুর উপভোগ

তারিখ : ২২ ডিসেম্বর ২০২২

সময় : বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


ইহাকে বলে কদলী বৃক্ষ :)

তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

সময় : দুপুর ২ টা ৫০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


পথের দু'ধারে তাল তমালের সারি । আহা শান্তির নীড় ।

তারিখ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

সময় : দুপুর ৩ টা ০০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়ি, এই বাড়িটি এক সময় খুব বড়োলোক একজনের বাড়ি ছিল । কালের গর্ভে কোথায় সব হারিয়ে গিয়েছে ! ভগ্ন, পরিত্যক্ত বাড়িটি এখন জীর্ণ এবং পোড়ো ।

তারিখ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


পৌষ পার্বনের ঠিক সাত দিন আগে থেকে এই পালা গানের আয়োজন করা হয় গ্রামে । "সাতপালা" হলো এই পালা গানের নাম । পৌষ সংক্রান্তির ৭ দিন আগে থেকে এই পালা গান শুরু হয়, এবং বাড়ি বাড়ি গান ও নাচ করে অর্জিত অর্থ ও শস্য দিয়ে পৌষ সংক্রান্তির রাতে পুজো হয় । গানের একটি লাইন মনে আছে আমার - "পিঙ্গল বরণ দুইটি নারী কাজলে তে লেখা / অষ্টাবক্র মুনির সাথে পথে হইলো দেখা "।

তারিখ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : সন্ধ্যা ৬ টা ০০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদোগ্যে বাংলাদেশের রামপালে অবস্থিত ভারতের তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একদিন আমরা সবাই গিয়েছিলাম

তারিখ : ১২ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : সন্ধ্যা ৫ টা ৩০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


টক বরই ও মিষ্টি কুলের মিক্সড মাখা

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


বিকেলবেলা মাছের ভেড়িতে ভ্রমণ ও সূর্যাস্ত উপভোগ করা

তারিখ : ১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৫০ মিনিট

স্থান : সুন্দরবনের কাছে একটি গ্রাম, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡



পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)



তারিখ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩

টাস্ক ১৫৬ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 671f3bf52d9c83c9212bc5de038afadcf4081e5f459549c333c7238a84887f98

টাস্ক ১৫৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে মন ছুঁয়ে গেল।আপনি প্রতিটা ফটোগ্রাফিকে যেভাবে বিশ্লেষণ করেছেন, সেটা আমার কাছে অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ মনে হয়েছে।তবে বাংলাদেশের ভ্রমণকালে আপনার গ্রামে কাটানো সময় গুলো বেশী আনন্দদায়ক ছিল, জেনে খুশি হলাম।তেতুল পাতার ফাঁকে পুকুর পাড়ের ছবিটা কিন্তু দারুণ লেগেছে।বৌদিকেও বেশ লাগছিল।এত চমৎকার একটি আয়োজন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনার প্রতি।

গ্রামে গিয়ে দারুন সময় কাটিয়েছেন দাদা। আসলে গ্রামীন পরিবেশ সবসময় অনেক সুন্দর। টক বরই ও মিষ্টি কুলের মিক্সড মাখা দেখে খেতে মন চাইছে। আর ছোট ছোট বাচ্চা মেয়ে গুলো পালা গানের জন্য সুন্দর করে সেজেছে দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আর নদীর পাড়ের সূর্যাস্ত সত্যি অনেক সুন্দর হয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের এই গ্রামে দারুন সময় কাটিয়েছেন দাদা।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

আসলে গ্রাম মানেই অন্যরকম ভালো লাগা।শহরের মানুষগুলো হঠাৎ গ্রামে গেলে বেশ মজা পায়।বাংলাদেশে এসে গ্রামে আত্নীয় বাড়িতে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। প্রতিটি ছবিই বেশ মনোমুগ্ধকর। বরই ভর্তা বা মাখা দেখে জিভে জল এসে গেলো। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

অপরূপ সৌন্দর্যের এই দেশ বাংলাদেশ। আর এই সৌন্দর্য সবটুকু অংশ জুড়ে রয়েছে গ্রাম বাংলা। প্রকৃতি যেন নিজস্ব রূপে সাঁঝে রয়েছে গ্রাম বাংলাতে। আপনি কক্সবাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় আপনি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু গ্রামের মতো অপরূপ সৌন্দর্য কোন জায়গায় আপনি সেভাবে উপভোগ করতে পারেননি। আমরা গ্রামের ছেলে গ্রামের সৌন্দর্য কতখানি তার কাছ থেকে উপভোগ করতে পারি। দাদা সমুদ্রের মাছ আয়েশ করে তো খাবেন, কারণ সমুদ্রের মাছ খেতে সুস্বাদু অনেক। সাতপালা গানের দুটি বাচ্চা খুব সুন্দর নেচেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যাইহোক গ্রাম বাংলা অপরুপ সৌন্দর্য দৃশ্য গুলো আপনি উপভোগ করেছেন অনেকদিন ধরে আমাদের দেশে থেকেছেন। এবং সেই সব স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা।

গ্রামকে সবাই ভালবাসে দাদা গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য সবুজ প্রকৃতি এরকম খাল বিল নদী নালা যেগুলো দেখতে উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে। আমার কাছ শহর তেমন একটা ভালো লাগে না গ্রামের কাটানো মুহূর্তগুলো আপনার দারুন ছিল। যেগুলো আমাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করে চলেছেন।

দাদা আপনি সহপরিবারে বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছেন এবং বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেছেন বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ইতিমধ্যে। আপনার পোস্টগুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত পোস্টগুলো করেছেন সেগুলো যেমন দেখেছি ঠিক আজকেও নতুন একটি পোস্ট দেখতে পারলাম। আপনি বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কথা লিখেছেন যা পড়ে অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পেলাম

বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে এসে বিচ্ছিন্ন ছবিগুলো শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। দাদা আমি তো দেখলাম এটা কলা গাছ, আর এটাকে যে কদলী বৃক্ষ বলা হয় তা জানা ছিল না দাদা। তাল গাছের সারি দেখে বেশ ভালো লাগছে ছবিটি। সর্বোপরি গ্রাম বাংলার ছবিগুলো বেশ মনোমুগ্ধকর ছিল।

প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার ছিল । রাস্তার দুই পাশে সারি সারি তাল গাছের ছবিটি বেশ ভালো লাগছিল । কিন্তু শেষের দিকের বড়ই মাখানোর ছবি দেখে আর লোভ সামলাতে পারলাম না । মুখে জল চলে এলো । সত্যি মজার একটি খাবার । বাংলাদেশে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ।

বরই মাখা দেখে দাদা জিভে রীতিমতো পানি চলে আসছে। বেশ ভালোই উপভোগ করলাম ছবি গুলো। অনেকটাই প্রকৃতির কাছাকাছি ছিলেন আপনি। হয়তো এই ছবি গুলোই তার প্রমাণ।

শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

গ্রামে থাকলে এমনেই মন ভালো হয়ে যায়! গ্রামের সময়টা দারুণভাবে এনজয় করেছেন! বধূ সেজে দুটি মেয়ে নাচছে সাতপালা উৎসবের জন্য! আর রক বরই আচার দেখে তো একদম লোভ লাগায় দিলেন! শীত চলে গেল, একদিনও বরই আচার খাওয়া হলো না!

বাংলাদেশের গ্রাম বাংলার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। গ্রামীণ প্রকৃতি ও পরিবেশর এক ঝলক দেখার সুযোগ হল তোমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে। গ্রামে পৌষ পার্বনের ঠিক সাত দিন আগে থেকে যে পালা গানের আয়োজন করা হয় এই ব্যাপারটা আমি আগে থেকেই জানতাম । এই পালা গান আমার বেশ ভালো লাগে। গ্রামে থাকতে এগুলো খুব ইনজয় করতাম। জ্বর গায়ে টক বরই ও মিষ্টি কুলের মিক্সড মাখা দেখে জিভে জল চলে এসেছে দাদা । যদিও এই বছর এখনো কুল খাওয়ার সুযোগ পায়নি । সরস্বতী পুজো বেরিয়ে গেলেই এমন করে কুল মাখিয়ে খাব।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



গ্রামে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দাদা, ফটোগ্রাফিগুলো দেখে খুব ভাল লেগেছে। আপনি মংলার কাছাকাছি কোন গ্রামে ছিলেন। হে খুলনা, মংলা মাছের ঘেরের জন্য বিখ্যাত। প্রচুর মাছ খেয়েছেন। কারন আমরা তো মাছে - ভাতে বাঙালি। শীতে রোদে বসে এমন বরই বানানো বেশ দারুন লাগে খেতে।প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

সাতপালা পালা গান সম্পর্কে প্রথম জানতে পারলাম। আমি ভাবলেই অবাক হই যে আমাদের দেশের অঞ্চল ভেদে আরো কতো রত্ন লুকিয়ে রয়েছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hi আমার বাংলা ব্লগ from omarzerod
I have subscribed to you and supported your post. I hope to return the support to me by following up with voting for the post. Thank you

Asking for votes, follow backs, support, resteem, comments is a type of spamming. Know the rules of steemit and work well.

গ্রাম মানেই দারুণ সময় কাটবে।আমার ও গ্রাম খুবই ভালো লাগে।তাছাড়া সুন্দরবনের কাছের গ্রাম হওয়াতে মাছের অভাবটা বোঝা যায় না।বেশ টাটকা মাছ খেতে দারুণ মজার।আপনারা দারুণ উপভোগ করেছেন।

তেঁতুল পাতার ফাঁক দিয়ে পুকুর পাড়ের দৃশ্য অবলোকন

@rme দাদা, আমার কাছে প্রথম ছবির পাতা ও গাছ দেখে মনে হচ্ছে এটি কৃষ্ণচূড়া ফুল গাছ।যাইহোক ছবিটি খুবই সুন্দর।পরিত্যক্ত পোড়ো বাড়িটি দেখে ভুতুড়ে মনে হচ্ছে।বৌদিকে খুব সুন্দর দেখতে লাগছে।প্রত্যেকটি ছবিই অসাধারণ।বড়ই মাখা দেখে জিভে জল চলে আসলো।ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আমি শুধু ফটোগ্রাফ গুলো দেখছি আর দেখছি ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল দেখার মতো ৷ আসলে গ্রাম বাংলার এসব দৃশ্য মনকে অনেকটা মুগ্ধতা এনে দেয় ৷ বাংলাদেশ কাটানো তিন সপ্তাহে আপনি অনেক অনেক সময় অতিবাহিত করেছেন ৷ সেই সাথে গ্রাম বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি করেছেন ৷ প্রতিটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ ৷ অনেক ধন্যবাদ দাদা

আমরা একবার কলেজ থেকে ট্যুরে গিয়েছিলাম সুন্দরবনে। যাবার সময় এক জায়গা বাস দাঁড়িয়েছিল। ওইখানে একটা টিউবওয়েল ছিল। টিউবয়েলের পানি খেতে গিয়ে পুরোই সক্ খেয়েছিলাম। একদম লবণাক্ত।

গ্রামীণ ছবিগুলো বেশ ভালো লাগলো। আসলে শহর থেকে গ্রামেই বেশি শান্তিতে থাকা যায়। পিওর অক্সিজেন, বুক ভরে নিশ্বাস নেওয়া যায়।

আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ঘেরের পাড় দিয়ে হেঁটে যাওয়া গরুর ছবি।

গ্রাম বাংলার বিচ্ছিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি খুব অসাধারণ হয়েছে দাদা। আসলে গ্রামীন পরিবেশ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ভাবে ক্যাপচার করেছেন এবং সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। টক এবং মিষ্টি কুলের মিক্স মাখা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে দেখি তো জিভে জল চলে আসলো। বাংলাদেশের শহরে দিনটা ভালো না কাটলেও গ্রামে গিয়ে আপনার দিন ভালো কেটেছে এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাদের ভালো সময়টা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

আমাদের টিনটিন বাবুর পাসপোর্ট এর দেরি হওয়ার ব্যাপারটা শুনেছিলাম দাদা। তোমার আজকের শেয়ার করা ফটো গুলোর ভিতরে বেশ কিছু জায়গা আমার পরিচিত, বিশেষ করে ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদোগ্যে বাংলাদেশের রামপালে অবস্থিত ভারতের তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আমি যখন প্রথমবার সেখানে গিয়েছিলাম তখন সবে কাজ শুরু হয়েছিল।

আর আমার নিজেরও শহরের তুলনায় গ্রাম অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার মনে হয় আমি যতদিন গ্রামে থাকি ততদিনই ভালো থাকি।

দাদা করমজলে আমি গিয়েছিলাম সেই ২০১৯ সালে। জায়গাটা অনেক সুন্দর। ভালই উপভোগ করেছি। আপনি যেহেতো সুন্দরবনের কাছের গ্রামে ছিলেন চিংড়ি মাছ সহ অনেক তাজা তাজা মাছ খেয়েছেন। আর কলা গাছকে কদলী বৃক্ষ বলে সেটা আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ দাদা।

হাই, আপনার বিষয়বস্তু মহান, আমি এটা পছন্দ
863ee839ly1gjh3yla484j21902804qp.jpg

আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গেল দাদা। প্রতিটি ছবি ভীষণ সুন্দর হয়েছে। তবে আমার কাছে তেঁতুল পাতার ফাঁক দিয়ে পুকুর পাড়ের দৃশ্য অবলোকন করার ফটোগ্রাফিটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে গ্রামে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দাদা। আশা করি আবারও বাংলাদেশ ভ্রমণে আসবেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা, এতো মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।