"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ০৪steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


আর্ট গ্যালারী প্রায় শেষ করে এনেছি । আর মাত্র দুই-তিন এপিসোডেই আর্ট গ্যালারীর সমুদয় আর্টের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করা হয়ে যাবে । এরপর মিউজিয়ামের দ্বিতীয়তলা ভ্রমণের ফোটোগ্রাফি সিরিজ শুরু হবে । আমার কাছে সব চাইতে বেশি দর্শনীয় দ্রব্য রয়েছে মনে হলো মিউজিয়ামের এই দ্বিতলেই । সময়ের অভাবে দোতলার পুরোটা আমরা কভার করতে পারিনি এটা সত্যি, তবে, দোতলার প্রায় নব্বই শতাংশই আমরা দেখে নিয়েছিলাম ।

নীচতলার আর্ট গ্যালারির মধ্যে আজকে যে সকল আর্টের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করতে চলেছি তন্মধ্যে শিল্পী কামরুল হাসানের দুটি উল্লেখযোগ্য বিখ্যাত শিল্পকর্ম রয়েছে । দুটোই তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ব্যঙ্গচিত্র । বহুল আলোচিত ইয়াহিয়ার এই দুটি ছবির নিচে লেখা "এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে" । সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত তাঁর এই দু'টি চিত্রকর্ম ।

অন্যায়, অত্যাচারের ভাষাও যে ক্যানভাসে রং তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠতে পারে শিল্পী কামরুল হাসানের ছবি তার জ্বলন্ত প্রমাণ । আদতে কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী শিল্পী কামরুল হাসানের সমসাময়িক রাজনীতিতে প্রতক্ষ্য সংযোগ ছিল । শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের সহকর্মী ছিলেন তিনি । "গভর্নমেন্ট ইন্সটিটিউট অফ ফাইন আর্টস" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি ।


দুর্ভিক্ষে মৃতপ্রায় কঙ্কালসার মানুষের হাহাকার । ব্ল্যাক বল-পয়েন্ট পেনের স্কেচ ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


উপরের দু'টি ছবিতেই গ্রাম বাংলার চিরায়ত রূপটি ধরা পড়েছে । প্রথম ছবিটি হলো ধানক্ষেতে কৃষকদের পাকা ধান কাটার দৃশ্য এবং দ্বিতীয় ছবিটি হলো কৃষকদের নদীতে গরু-বাছুরের স্নান করানোর দৃশ্য ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


উপরের তিনটি ছবিই হলো বিমূর্ত শিল্প বা অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট । প্রথমটি হলো বর্ষার আকাশ, দ্বিতীয়টি নদী ও নৌকা এবং তৃতীয়টি আমি বুঝতে পারিনি কিসের আর্ট ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


উপরের দু'টি আর্ট মানবতার চরম অবক্ষয়কে তুলে ধরেছে । দু'টি ছবির বিষয়ই হলো জেনোসাইড বা গণহত্যা । প্রথমটিতে মৃত নরনারীর শরীর খুবলে খাচ্ছে শকুনির দল । আর দ্বিতীয়টিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহের স্তুপ ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


এই আর্ট দু'টি বর্তমান সমাজে নারীর অসহায়ত্বের দিকটি ফুটিয়ে তুলেছে খুবই জোরালোভাবে । নারীমাংস লোভী শিয়ালের দলের প্রতিকৃতি আঁকা হয়েছে অত্যন্ত নিপুণভাবে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


তিনটি ছবিতেই নারীদের চিরায়ত সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নিখুঁত তুলির আঁচড়ে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


প্রথম ছবিতে বাংলার বধূ বাপের বাড়ি চলেছে নৌকায় চড়ে । দ্বিতীয় ছবি মোনাজাত (প্রার্থনা) করার এবং তৃতীয় ছবি হলো নগেন কবিরাজের প্রতিকৃতি ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসানের সেই বহুল আলোচিত বিখ্যাত দুটি শিল্পকর্ম । ইয়াহিয়া খানের ব্যঙ্গচিত্র ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ০০ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


✡ ধন্যবাদ ✡


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)


তারিখ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

টাস্ক ১৭৬ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 14b6e4f708355d5f1234c0960e208a9f4ef4178c96cae95e347061a89de6e144

টাস্ক ১৭৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সবগুলো ছবিই বেশ সুন্দর। কি সুন্দর বধু নৌকায় করে বাপের বাড়ি যায়।সব মিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জাদুঘর। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

অনেক ধন্যবাদ দাদা চমৎকার ছবিগুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য। এক একটি ছবি যেন এক একটি ঘটনা আর গল্পের প্রতিচ্ছবি। শিল্পীরা তাদের মনের মাধুরী এবং দক্ষতার সাথে এই অসাধারণ শিল্পকর্ম গুলো ফুটিয়ে তুলেছেন। আরো কয়েকটি পর্ব রয়েছে এরকম ছবিগুলোর বলছিলেন। অপেক্ষায় রইলাম দাদা, পরবর্তী ছবিগুলো দেখার জন্য।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য 🥀

এক একটা ছবি এক একটা গল্প । দাদা তোমার শেয়ার করাবাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর থেকে তোলা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে ইতিহাসের অনেক কিছুই দেখার সুযোগ হলো। বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসানের শিল্পকর্ম ইয়াহিয়া খানের বহুল আলোচিত বিখ্যাত দুটি ব্যঙ্গচিত্র সবকিছু থেকে একটু ব্যতিক্রম লাগল।

ইয়াইয়া খানের ব্যঙ্গচিত্র দুটোই সেই সময়ের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে। আর আমার ভালো লাগছে যে জাদুঘরের প্রদর্শনীতে দুটো ছবিকেই রাখা হয়েছে।

শিল্পী কামরুল হাসানের চিত্রকর্ম দুটি সত্যি অসাধারণ ছিল। আসলে এভাবেও যে প্রতিবাদ করা যায় সেটা ভাবতেই অবাক লাগছে। চিত্রকর্মের মাধ্যমে প্রতিবাদের ভাষা ফুটে উঠেছে। দাদা আপনার শেয়ার করা আর্ট গ্যালারির প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এক একটি আর্ট যেন ভিন্ন কথা বলে। আসলে আর্টের অর্থ খুব একটা বুঝতে পারি না। তবে আপনার লেখা বর্ণনা অনুযায়ী বোঝার চেষ্টা করেছি দাদা। ভীষণ ভালো লেগেছে।

@tipu curate

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ দাদা চমৎকার কিছু ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য। আসলে দাদা শিল্পীরা তার দক্ষতার মাধ্যম দিয়ে অসম্ভব সুন্দর শিল্পকলা গুলো ফুটে তুলে সেখানে।শিল্পী কামরুল হাসানের চিত্র কর্ম দুটি অসাধারণ ছিল।যখন দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তখন সত্যি দাদা ওই সময়টা খুবই মর্মান্তিক ছিল। যাই হোক দাদা মিউজিয়ামের দ্বিতীয় তলার ভ্রমণের ফটোগ্রাফি সিরিজ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। করার জন্য শুভকামনা রইল।

ছোটবেলা থেকে কামরুল হাসান নামটা সবসময় পড়া হয়েছে চারুকারু বই এ।টুকটাক ছবিও সে হিসেবে দেখা হয়েছে।তবে উনার আসল ছবিগুলো খুব একটা দেখার সৌভাগ্য হয়নি।আজ আর্ট গুলো দেখে বুঝতে পারছি এমনি এমনি উনার কথা বারবার প্রতিটি চারুকারু বই এ ছাপা হয়নি।

জি দাদা একদম ঠিক বলেছেন শিল্পী কামরুল হাসানের ইয়াহিয়া খানের এই ব্যাঙ্গচিত্রকর্ম টি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সারা বিশ্বে।আর জাদুঘরে গেলে ত পুরোটা দেখে শেষ করতে গেলে অনেক ক্লান্ত হয়ে যেতে হয়।এতো এরিয়া নিয়ে।আর দ্বিতীয় তলায় দর্শনীয় জিনিস একটু বেশিই।চিত্রকর্ম গুলোর দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন দাদা।আমি ৭ বছর আগে দেখেছিলাম অনেকটাই ভুলে গিয়েছি আপনার পোস্টের মাধ্যমে আবার দেখে নিতে পেলাম চিত্রকর্ম গুলো।ধন্যবাদ সুন্দর ব্লগটি শেয়ার করার জন্য দাদা।

আসলে আর্ট গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিটি আর্ট এর পিছনে এক একটা গল্প লুকিয়ে আছে ৷ প্রতিটি আর্ট শিল্পীরা সেভাবেই এঁকেছেন ৷ আর্ট গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমাদের মাঝে এতো সুন্দর এবং আর্কষনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ৷ পরের পর্বের অপেক্ষায়..

দাদা নমস্কার
বাংলাদেশ জাদুঘরে পর্ব ৪৷ অনেক কিছু আর্ট ছবি শেয়ার করেছেন ৷ যার প্রতিটি ফটোগ্রাফি ছিল অনেক সুন্দর ৷ আসলে দাদা আপনি যে কোনো খানে ভ্রমন করলে তা ভালো হয় ৷ কারন আমরা অনক কিছু জানতে পারি ৷
আর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো ইয়াহিয়া খানের ব্যাঙ্গচিত্রকর্ম টি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল সারা বিশ্বে৷
যা হোক সব মিলে অনেক কিছু আলোকচিত্র দেখা হলো ৷

I'm an architect but I've always loved art a really lot. I love abstracts arts sculptures and paintings..

দাদা আজকের বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ পর্ব ০৪ এর আর্ট গ্যালারীর ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোর নিচে আপনি বর্ণনা দেওয়ার কারনে খুব সুন্দর ভাবেই বুঝতে পেরেছি। বিখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসানের বহুল আলোচিত বিখ্যাত দুটি শিল্পকর্ম যা ইয়াহিয়া খানকে ব্যঙ্গচিত্র করে আর্ট করা হয়েছে। সে গুলো স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা।

জাদুঘরের ভেতরে যে ছবি তোলার অনুমতি দেয় সেটা আমার জানা ছিল না। আমি বেশ কিছুদিন ঢাকায় থেকে আসলাম। অনেকবার চিন্তা করেছি জাদুঘর থেকে একবার ঘুরে আসি। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে আর যাওয়া হয়নি। অনেকদিন আগে একবার জাদুঘরে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে স্মৃতি এখন প্রায় ভুলতে বসেছি। আপনার পোস্টগুলো দেখে সেই স্মৃতিটা আবার মনে জেগে উঠলো। ধন্যবাদ দাদা।

আমাদের পারমিশন ছিল ফোটোগ্রাফি করার ।