এক দিনের ব্যবধানে বাপ-ব্যাটা আহত !!steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  last year 


গত পরশু আর তার আগের দিন হঠাৎই আমরা বাপ ব্যাটা দু'জনেই আহত হয়েছি । আমি আর টিনটিন । আমি ১৬ তারিখ দুপুরে আহত হয়েছি, আর টিনটিন হয়েছে ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় । দু'জনেই ডান হাতে আহত হয়েছি । খুলেই বলি তাহলে ব্যাপারটা কি ।

গত পরশুদিনের আগের দিন আমি বৃষ্টিতে ভিজবো বলে ছাদে গিয়েছিলাম । আমি, তনুজা আর টিনটিন । ঝিরি ঝিরি ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছিলো বেশ । দারুন এনজয় করছিলাম । আমাদের ছাদটা বিশাল । ছাদের এ মাথা থেকে ও মাথা অব্দি দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলাম আমরা তিনজনে । আহা ! শ্রাবণের ধারা গায়ে মেখে সে কী অপূর্ব সুন্দর অনুভূতি তা আর বলে বোঝাতে পারবো না ।

এতো ভালো লাগছিলো যে তা আর বলবার নয় । প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ভিজলাম । ছাদের একটা কোনায় তনুজার ছাদ বাগান । সেখানে সারি সারি টব । টবে বিভিন্ন ধরণের ফুল গাছ, ক্যাকটাস, লেবু গাছ, এলোভেরা, লেমন গ্রাস, পুদিনা পাতা এসব । এই টবের কোনো ভাঙা অংশে বা ছাদের দেওয়ালে যেখানেই হোক ঘষা লেগেছিলো আমার ডান হাতের পাঞ্জার উল্টো পিঠে । তখন খেয়াল করিনি ।

কিন্তু, ঘরে ঢোকার পরে লক্ষ্য করলাম যে হাতের চেটোর উল্টো দিকের কিছুটা জায়গা থেকে অঝোর ধারায় রক্ত ঝরছে । দ্রুত মেথিলেটেড স্পিরিট লাগালাম ক্ষতস্থানে । এই জিনিসটা খুবই কার্যকরী । এই মেথিলেটেড স্পিরিটে ৯৫% ইথাইল অ্যালকোহল থাকে । তাই যে কোনো ক্ষতস্থানের জীবাণু সংক্রমণ রোধে ১০০% কার্যকরী । রক্ত বন্ধ হওয়ার পরে দেখতে পেলাম বেশ কিছুটা স্থানের চামড়া উঠেই গিয়েছে পুরো । অবশ্য ইনজুরি মোটেও গভীর নয় । জাস্ট উপরের চামড়াটা ছিড়ে উধাও হয়ে গিয়েছে । তবে খুবই সামান্য জায়গার । এক ইঞ্চির চার ভাগের এক ভাগ মোটে ।

যাই হোক, এবারে আসি গত পরশু সন্ধ্যা বেলার ঘটনাটা নিয়ে । আমি সন্ধ্যায় এক কাপ কফি নিয়ে বসে কোডিং করছিলাম নিজের ঘরে । হঠাৎ, দারুন চেঁচামেচি আর কান্নাকাটির আওয়াজ শুনতে পেলাম । কি হয়েছে জানতে দ্রুত ড্রয়ইং রুমে গিয়ে দেখি টিনটিন তারস্বরে চেঁচাচ্ছে । কী হয়েছে জানার পরে বুঝতে পারলাম ঘটনা বেশ সাংঘাতিক । পলকের জন্য আমার একটু মাথা ঘুরে গিয়েছিলো ।

ড্রয়ইং রুমের লাগোয়া আরো একটা বড় রুম আছে । সেই রুমের দরজা আটকাতে গিয়ে টিনটিনের আঙ্গুল দরজার কবজায় আটকে গিয়েছিলো । সাংঘাতিক লেগেছে । কচি আঙুলে কালশিটে পড়ে গিয়েছে । থেঁতলে ফুলে উঠেছে জায়গাটা পুরো । কেটেও গিয়েছে বেশ অনেকটা । দেখে তো ফার্স্ট আমার মাথা ঘুরে উঠলো । পরে হলো সাংঘাতিক রাগ, সবার উপরেই । এতটুকুন একটা বাচ্চাকে দেখে রাখতে পারে না কেউ !

আমার তখন একটাই চিন্তা আঙুলের হাড় ভেঙে গেলো কি না । কিন্ত, দেখলাম যে আঙ্গুল নাড়াতে পারছে । তখন কিছুটা আস্বস্ত হলুম । দ্রুত ফ্রিজ খুলে আইস কিউব এনে আঙুলে ঘষতে লাগলাম । টিনটিন তো তারস্বরে কেঁদেই যাচ্ছে । এরপরে ক্লোফেনাক জেল লাগিয়ে দিলাম ইনজুরিতে । এই ক্রিম একই সাথে ব্যাথানাশক এবং ইনফেকশন আটকায় ।

এরপরে অনেক কষ্টে কান্না কিছুটা কমলে আমার ভাই টিনটিনকে বাইকে করে ঘুরতে নিয়ে গেলো । আধা ঘন্টা ঘুরে আসার পরে দেখলাম শান্ত হয়েছে । দু'দিন পরে এখনো আঙুলের ফোলা পুরো কমেনি । তবে, ব্যাথা আর তেমন নেই বোঝা যাচ্ছে । কারণ একটু আগেই ওই হাত দিয়ে একটা চড় কষিয়ে দিয়ে গেলো আমায় । হা হা :)


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫২৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 525 trx)


তারিখ : ১৯ আগস্ট ২০২৩

টাস্ক ৩৬০ : ৫২৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫২৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : afea85dc60458bfac7824ef3a6096effef2c0e3634dc853f2c99ce5c6b59314e

টাস্ক ৩৬০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে আবার কষ্টও পেয়েছি। বৃষ্টির মুহূর্তটা ইনজয় করেছেন
আপনি ও বৌদি তা জেনে অনেকে ভালো লাগলো। কিন্তু ছোট বাচ্চা ব্যথা পেলে আসলেই মাথা ঠিক থাকে না। ছোট কচি হাতগুলো যদি দরজায় লাগে তাহলে অনেক টেনশনেরি ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত আপনাকে একটি চড় মেরেছে এতেই বোঝা গেল যাক বাবুর হাত ঠিক হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

কি সাংঘাতিক ঘটনা দাদা। দরজার কবজায় এই ছোট হাতের আঙ্গুল। কি অবস্থা,আহারে।খুব ব্যথা হয় দরজার কবজায় আটকালে।শুনে খুব খারাপ লাগলো।আসলে বড়দের কিছু হলে তাও মানা যায়। বাচ্চাদের কিছু হলে অনেক বেশি খারাপ লাগে।তবে মিল পেলাম ১৬ তারিখে এই বৃষ্টিতে আমার সাথে ও এমন কষ্টের কিছু অনুভূতি হয়েছিল।যাই হোক আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন,আমিন।

  ·  last year (edited)

দাদা আপনার ঘটনাটি বৃষ্টিতে ভেজা মুহূর্তে অনেক উল্লাসিত অবস্থায় সেজন্য বুঝতে পারেননি রুমে এসে বুঝতে পেরেছেন কিন্তু টিনটিন এর বিষয়টি মারাত্মক ছিল এরকম আমি অনেকবার দরজা আটকাতে গিয়ে লোগে ছ্যাচা খেয়েছি এতটাই ব্যথা লাগে ঠিক থাকা যায় না। এত অল্প বয়সে এত বড় একটি আঘাত খেলে কান্নাকাটি করাটাই স্বাভাবিক। বাপ বেটা দুজনেই আহত হয়েছেন জেনে খারাপ লাগলো। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক সেটাই কামনা করি।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

পোস্ট টা পড়তে পড়তে দুঃখও পেলাম, আবার পেট ফুপিয়ে হাসলামও । এক সাথে দুই কাজ। দাদা যেমন বৃষ্টির শ্রাবণ ধারার ছোয়াঁও নিল আবার একটু খেসারতও দিলো। ভাগ্যিস বড় কিছু হয়নি। আহ্ টিনটিনের জন্য বেশ মায়া হচেছ যে ওতোটুকুন একটি বাচ্চা ছেলে কি করে ব্যথা পেল। তাও আবার কচি আগুলের মধ্যে এটা পড়ার পর বুকটা চিন করে উঠলো। কিন্তু যখনই পড়লাম সেই হাতে দাদা কে থাপর দিয়েছে তখনই আবার খিক খিক করে হাসলাম। যাক দাদা আপনি আর টিন টিন একটু সাবধানে থাকবেন।

দাদা আপনার পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগতেছিলো, আসলে বৃষ্টির মধ্যে ছাদে এভাবে তিনজন আপনারা অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সত্যি বৃষ্টিতে ভেজা এবং ছাদের ভিতর সেই মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল। কিন্তু একটুর জন্য বাপ বেটা দুজন মিলে যেন আঘাত পেলেন তবে আঘাতটা না পেলে সময়টা অনেক দারুন ছিল। যাই হোক আপনার এবং টিনটিন সোনার সুস্থতা কামনা করছি।

এ বৃষ্টির দিনে ছাদের এই মাথা থেকে ও মাথা দাপাদাপি করতে আসলেই ভালোই লাগে দাদা । আর বৃষ্টির ভিতর আনন্দের তালে তালে কখন যে আপনি ব্যথাটা পেয়েছেন এজন্য টের পাননি । রক্ত পর্যন্ত ঝরেছে তাহলে তো ভালোই লেগেছে শুধু চামড়া উঠলে আর অতটা রক্ত বের হতো না । কিন্তু আপনার ব্যথাটা তো মোটামুটি যাই হোক । টিনটিন এরটা শুনে তো আমারই বুকের ভেতর কেঁপে উঠল । কারণ দরজার কবজায় অনেক সময় আঙুল কেটেও যেতে পারতো । অল্পের ভিতর দিয়ে বেঁচে গিয়েছে । ছোট মানুষ আঙ্গুল নাড়াতে পারছে ঠিকমতো এটাই বড় কথা । যাক শেষ পর্যন্ত আপনাকে একটা চড় মেরেছে এতেও শান্তি ওর হাত ঠিক আছে এটাতেই বোঝা গেল । ছোট বাচ্চাদের এসব বিষয়ে অনেক খেয়াল রাখতে হয় আমার তো সারাক্ষণই এসব নিয়েই ভয় লাগে কখন যে দরজার ফাঁকায় হাত টাত লেগে যায় ।

দাদা অনেক বড় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। সত্যি দাদা বিপদ কখন কিভাবে আসে বুঝা মুশকিল। তবে দরজায় আঙ্গুল ঢোকা মানে কঠিন ব্যাপার। আমরা বড়রা সহ্য করতে পারি না আর তো ছোট বাচ্চারা। যাইহোক এখন ভালো আছে জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালোও লাগলো আবার খুব খারাপও লাগলো।সত্যি আনন্দ করতে গেলে ব্যাথা পেলেও কোন কষ্টকে কষ্টই মনে হয় না খারাপ বেশি লেগেছে টিনটিনের ব্যাথার কারণে ও ছোট মানুষ ব্যাথা পেয়েছে তাই কান্নাকাটি করেছে আবার একটু পর স্বাভাবিক হয়ে গেছে কারণ ছোটরা ব্যাথা পেলে যেমন কান্নাকাটি করে ঠিক তেমনি খুব দ্রুত ভুলেও যায় এক কথায় অনুভুতি কম তাই বাবুকে সাবধানে রাখতে হবে।বাবা,ছেলের সুস্থতা কামনা করছি।

প্রথমেই পোস্টের টাইটেল পড়ে একটু আৎকে উঠেছিলাম, যাইহোক পুরো পোস্ট পড়ার পর একটু নিশ্চিন্ত হলাম। আপনারটা দূর্ঘটনা যাইহোক বড় মানুষ, কাটিয়ে উঠেছেন তবে টিনটিন সোনার ব্যাপারটা মারাত্মক হতে পারতো। উপর ওয়ালা হেফাজত করেছেন এটাই বড় বিষয়। বাপবেটা দুজন ভালো আছেন জেনে খুশি হলাম দাদা।
দোয়া রইল পুরো পরিবারের জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

ছোট বাচ্চাদের ২৪/৭ দেখে রাখা আসলে সম্ভব হয় না দাদা। ওরা যে চঞ্চল স্বভাবের হয়ে থাকে, ওদের সাথে অয়ারা মুশকিল!! আর এভাবে এক্সপেরিয়েন্স ও হয় ওদের, এর মাধ্যমেই শিখে। যেমন পরবর্তীতে আর এভাবে দরজার মাঝে ভুলেও আংগুল দিবে না কখনো। তবে কালশিটে রঙ টা আর ফোলাটা থাকবে বেশ কিছুদিন। ভগবানের আশির্বাদে যে বড় কোন ক্ষতি হয় নি, শুনে ভালো লাগলো। টিনটিন সোনার জন্য ভালোবাসা।

Posted using SteemPro Mobile

গল্পের শুরুটা বেশ ভালোই ছিলো,ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে ভেজা সত্যিই অনেক ভালো লাগে।তারপর আপনার আহত হওয়ার কথাটা পড়ে একটু খারাপ লাগলো দাদা।আপনার ক্ষতটা অনেক বেশি না হলেও অনেক কষ্টদায়ক।কারন চামড়া উঠে গেলে সেখানে অনেক বেশি যন্ত্রণা হয় এবং সারতেও বেশ সময় লাগে।শেষের দিকে এসে টিনটিন বাবুর আহত হওয়ার কথাটা পড়ে এক নিমেষেই মনে হয় অনেক কষ্টের কারন হয়ে গেলো।ছোট বাচ্চাদের হাত দরজায় আটকানো মানে মারাত্মক ঘটনা।শুধুমাত্র ঈশ্বর সহায় ছিলো বলেই টিনটিন বাবুর বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।আসলে বাসার সবাই চোখে চোখে রাখলেও বাচ্চারা চোখের পলকেই দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে এতে বড়দের কোনো দোষ নেই দাদা।আপনার ও টিনটিন বাবুর সুস্থতা কামনা করছি।ঈশ্বর মঙ্গল করুক এই প্রার্থনা করি।🙏🙏

বাবা ছেলে দুজনেই একদিনের ব্যবধানে আহত হয়ে গিয়েছেন জেনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। অনেক সময় কোথাও কেটে গেলে সাথে সাথে বোঝা যায় না,এজন্যই তৎক্ষণাৎ কিভাবে কি হলো সেটাও জানা যায় না। টিনটিনের বিষয়টা জেনে খুবই খারাপ লাগছে,কচি আঙ্গুলে কি যে ব্যথা পাচ্ছে বেচারা।আমারও এমন হয়েছিল একবার তাই জানি ব্যথাটা কতটা কষ্টদায়ক। তবে শেষের লাইনটা পড়ে হাসি থামাতে পারছি না,হাহাহা।

বাপ ব্যাটার জন্য খারাপ লাগলো ব্যাথা পেয়েছেন জেনে।আশা করি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবেন। তাও ভালো টিনটিনের বড় কোন ক্ষতি হয়নি।এর পর থেকে ছাঁদে দাপাদাপি সাবাধানে করবেন যেন ক্ষতি না হয়।ধন্যবাদ

প্রথমেই দাদা আপনার এবং টিনটিন বাবুর সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। দাদা আপনি ছাদে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছেন আর টিনটিনের আঙ্গুল দরজার কবজায় আটকে গিয়েছিলো জেনে খুব খারাপ লাগলো। আমার ও ছোট বেলায় বেশ কয়েকবার এমন হয়েছি। আঙুল একবারে থেঁতলে যায়। দোয়া রইল খুব তাড়াতাড়ি আপনি এবং টিনটিন বাবু সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে বিপদ এমন এক জিনিস যা কখনো বলে আসে না হঠাৎ করে আসে। তবে একটা বিষয় খেয়াল করেছি সেটা হচ্ছে যে এক সাথে বাবা ছেলে দুইজনেই আঘাত পেলেন। যদিও দিনের ব্যবধান কিন্তু সময়টা একই সময়ে। হয়তো আপনাদের উপর থেকে বড় ধরনের একটি বিপদ চলে গেল দাদা। তবে আপনি ব্যাথা পেয়েছেন তাতে তেমন একটা খারাপ লাগেনি। কিন্তু ছোট বাচ্চা টিনটিন এর বিষয়টা খুবই খারাপ লেগেছে। কারণ যদি দরজার ফাঁকে আঙ্গুল আকটায় সে বুঝে যার হয় কতটা ভয়ানক।

অল্প হলেও দুটো ফাড়া কেটেছে কিন্তু দাদা, বৃষ্টির দিনে ছাদে দৌড়াদৌড়ি কিন্তু বেশ রিস্কের দাদা, অসাবধান হলেও সমস্যা গুরুতর হতে পারে। টিনটিনের বিষয়টি সত্যি ভয়ের ছিলো দাদা, কারন এই ক্ষেত্রে অনেক সময়ই হাড় ভেঙ্গে যায়। তবে গুরুতর কিছু হয় নাই শুনে খুশি হলাম। আশা করছি টিনটিনের হাতের সমস্যাটা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



দাদা প্রথমে ভেবেছিলাম ব্লগটি পড়ে কাদঁবো কিন্তুু শেষে এমন একটি বাক্য লিখলেন হাসিঁ আর থামাতে পারলাম না,হে হে হে। যেহেতো চড় মারতে পেরেছে সেহেতো আঙ্গুল ভাল হয়ে গেছে। ভাল না হয়ে কি আর পারবে ঘরে যে ডাক্তার বাবা,হি হি হি। ধন্যবাদ।

তোমার ব্যাপারটা তাও একটু কষ্ট করে মেনে নেওয়া যায় দাদা। কিন্তু টিনটিন এর ব্যাপারটা তো একেবারেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। আমাদের ছোট টিনটিন সোনার এইতো ছোট ছোট আঙ্গুল। তা যদি আবার দরজার কবযে আটকে যায় তাহলে তো সাংঘাতিক ব্যাপার। ছোটবেলায় এরকম আমার সাথে অনেকবার হয়েছে, তবে কালসিটে পড়ে যায়নি কখনো। যাই হোক শেষপর্যন্ত যে তেমন কিছুই হয়নি টিনটিন সোনার এটাই ভগবানের কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া।

টিনটিন বাবুর আঙ্গুল দরজার কবজায় আটকে গিয়েছিলো শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো দাদা। ছোট ছোট আঙ্গুলগুলো খুবই নরম হয়। যাইহোক যেহেতু ভেঙে যায়নি আশা করছি খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। বাবা ছেলে দুজনেই আঘাত পেয়েছেন শুনে সত্যিই খারাপ লাগলো দাদা। যখন বিপদ আসতে শুরু করে তখন একের পর এক আসতেই থাকে।

একদিন আগে পরে আপনি এবং টিনটিন বাবু আহত হলেন ব্যাপারটি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। বৃষ্টিতে ভেজার সময় ছাদে কোন কিছু সাথে লেগে আপনার হাত কেটে গেল,আর দরজার চিপায় টিনটিন বাবুর হাত যেয়ে আঙ্গুলে ব্যথা পেলে। আপনাদের দুজনের জন্য দোয়া প্রার্থনা করি আপনারা যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে টিনটিন বাবুর হাতের ব্যথা যেন খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়।কারণ আমি বুঝি দরজার চিপায় আঙ্গুল গেলে আঙ্গুলে কতটা ব্যথা পাওয়া যায়।কিছুদিন পরপর এই অঘটনা আমার সাথে হয়।টিনটিন বাবুর যে আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় না এটাই অনেক।আপনাদের দুজনের সুস্থতা কামনা করছি দাদা।

টিনটিনের ব্যাপারটা জেনে খুব খারাপ লাগছে ভাই , বিগত বাসায় থাকার সময় আমার বাবুর একবার এমনটা হয়েছিল। তবে শেষের দিকে লেখাটা পড়ে বেশ হাসি পেয়েছিল, আসলে ছোট বাচ্চারা এমনই। তারপরেও বাপ-বেটা দুজনের জন্যই ভালোবাসা রইলো।

ছাদে যেহেতু অনেক আনন্দ করছিলেন তাই কখন দেওয়ালের সাথে ঘষা লেগেছে বুঝতে পারেন নি তবে বাসায় আসার পরে বুঝতে পেরেছেন । এরকম আমারও মাঝে মাঝে হয়। যাই হোক তবে টিনটিনের ব্যাপারটি অনেক কষ্ট দিয়েছে আসলে ছোট্ট বাচ্চা দরজার মধ্যে আঙুল দিলে কতটা কষ্ট পেয়েছে এটা চিন্তা করলেই তো খারাপ লাগে। তবে এখন হয়তো অনেকটাই ব্যথা কমিয়ে দিয়েছে এই জন্যই আপনাকে একটা কষিয়ে দিয়ে গেল হা হা হা।

Posted using SteemPro Mobile

ধন্যবাদ দাদা, আপনার পরিবারের দুটি ছোট দুর্ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। প্রথমে আপনার দুর্ঘটনা নিয়ে বলতে হয় যে, আপনার আঘাতটা যখন লেগেছে তখন আপনার মনটা নিশ্চয়ই ছাদে আনন্দ করার ঘোরে আটকে ছিলো, যার কারণে আপনি সাথে টের পাননি, আমার ক্ষেত্রে ও এমনটা অনেকবার হয়েছে, ২য় ঘটনাটা হলো টিনটিনের, টিনটনের ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে এমনটা অনেক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রায়ই ঘটে থাকে, ওরা দরজা আটকাতে যায় তখন বুঝতে পারে না যে ওদের আর একটি হাত দরজার চিপায় ঢুকে পড়েছে যার কারণে এই ঘটনাগুলো প্রায়ই ঘটে থাকে, তবে আমাদের সর্তকতাই পারে শিশুদের এই রকম দুর্ঘটনা রক্ষা করতে। ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর দুটি ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনার শেয়ার করা আজকের এই পোস্টটি পড়ে আমি বেশ দুঃখ পেলাম। কিন্তু যাই হোক বৃষ্টির মুহূর্তে এক ছাতার মধ্যে আপনারা তিনজন বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন দাদা। সত্যি দাদা দরজার যদি হাতের আঙুল আটকে যায় তাহলে অনেক ব্যথা পায় দাদা এটা বলে বোঝানো যাবে না আমিও ছোটবেলায় এমন আঘাতের সম্মুখীন হয়েছিলাম। সত্যি দাদা বাচ্চাদের কিছু হলে বাবা-মায়ের অনেক খারাপ লাগে। তবে টিনটিনের জন্য দোয়া রইল যেন অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

দাদা বৃষ্টিতে এতই মগ্ন ছিলেন যে হাত কেটে গিয়েছে বুঝতেই পারেননি। বেশ ভালোই কেটেছে বোঝা যাচ্ছে। আর টিনটিনের কথা শুনে তো একেবারে হৃদয় কেঁপে উঠল। এত ছোট বাচ্চা না জানি কত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। এর জন্য দরজাগুলো থেকে সাবধান করা উচিত বাচ্চাদের। যাক এবারে টিনটিনের চর খেয়ে কিছুটা ভালো লেগেছে হয়তো দাদা। কারণ তার হাত ভালো হচ্ছে তাহলে। দোয়া রইলো।

পরপর দুদিন তোমাদের দুজনেরই ভালোই ফাঁড়া চলে গেলো। টিনটিনের চোট পেয়েছে সেটা জেনে রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, বাচ্চা মানুষ তাই আরো বেশি চিন্তা। তাড়াতাড়ি দুজনেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাও সেই কামনাই করি।

টিনটিন বাবু এবং আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
বৃষ্টিতে ভিজতে কার না ভালো লাগে। বৃষ্টিতে ভিজে নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছিলেন। হাতের ঠোঁটের কারনে বৃষ্টি ভেজার এই দিনটি আরো ভালোভাবে মনে থাকবে।
একদিনের ব্যবধানে দুজনেরই একই পাশে চোট লাগলো ব্যাপারটি কেমন কাকতাওলি ভাবে হয়ে গেল।

পোস্টটা পড়ে বেশ কস্ট লাগল টিনটিন বাবুর জন্য। এতো ছোট একটা আঙ্গুল দরজার চিপায় চাপ খেয়েছে। বেশ কস্ট লাগলো পড়ে। আরো বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পরতো। যাক টিনটিন বাবু এখন সুস্থ আছে তাতেই শুকরিয়া।

সত্যি দাদা আপনাদের দুজনের এক্সিডেন্টের ব্যাপারটা শুনে ভীষণ খারাপ লাগলো। ছাদে দারুন এনজয় করেছেন বৃষ্টিতে বোঝা যাচ্ছে। এতটা এনজয় করেছেন যে হাতে আঘাত পেয়েছেন বুঝতেই পারেননি ।তারপরেও ভালো যে আঘাতটা গুরুতর নয় । কিন্তু টিনটিনের ব্যাপারটা সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগলো। এতটুকু বাচ্চার দরজায় আঘাত ভয়ঙ্কর হয়।তারপরেও ভাগ্য ভালো মারাত্মক কিছু হয়নি যেহেতু আপনাকে মারতে পেরেছে।হা হা হা

দাদা,প্রথমত আপনাদের দুজনের
আহত হওয়ার কথা শুনে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম আবার মন ও খারাপ হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু পড়ে বুঝলাম আপনি বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দে হাতে ঘষা খেয়েছেন।কিন্তু টিনটিনের এই আহত খুবই সাংঘাতিক ছিল।টিনটিন বাবুর কচি আঙুল এখন নাড়াতে পারছে জেনে ভালো লাগলো।আর শেষ লাইনটি পড়ে মজা পেলুম।শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য।

আমার অসচেতনতা বা অসাবধানতার ফলে অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায় দাদা। আর এমন ঘটনায় একদিন আমাদের একটি শিক্ষক বলেছিল। বাড়িতে মিস্ত্রি কাজ করছিল হঠাৎ করে এসে দাঁড়িয়ে কাজ দেখছিল এই মুহূর্তে আঙ্গুলটা দরজা কব্জার নিচে ছিল। মিস্ত্রি হঠাৎ দরজা বন্ধ করতে আঙ্গুল ছেচা লেগে আঙ্গুলটা ভেঙ্গে গেছিল। খুবই খারাপ লাগলো আপনাদের এই ঘটনাটা পড়ে। ভাবতে গিয়ে যেন গা শিউরে উঠছে। না জানি বাবু কতটা আঘাত পেয়েছে।

বাচ্চারা ব্যাথা পেলে খুব খারাপ লাগে। টিনটিন বাবুর ব্যাথার কথা যখন পড়ছিলাম মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন ভাল আছে আর হাড়ের কোন ক্ষতি হয়নি এটা জেনে ভাল লাগছে। দুজনেই দ্রুত পুরোপরি আরোগ্য লাভ করুন এই কামনা।

আপনি বৃষ্টিতে ভিজতে খুব পছন্দ করেন, সেটা অনেক আগেই জেনেছি আপনার পোস্টের মাধ্যমে। বৃষ্টিতে ভিজতে আমারও খুব ভালো লাগে। তবে সর্দি লেগে যায়। আপনারা তিনজন বেশ ভালোই মজা করেছেন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে। তাই চোট পেয়েছেন সেটাও খেয়াল করেননি। তারপর রুমের মধ্যে টিনটিন বাবুও বেশ ব্যথা পেয়েছে। আমিও ছোটবেলায় একইরকম ব্যথা পেয়েছিলাম। খুব ব্যথা করে এমনটা হলে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত টিনটিন বাবু সুস্থ হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।