জগদ্ধাত্রী পুজো ১৪২৯ : পূজা পরিক্রমা পর্ব ০১steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের ১ তারিখ আমরা সবাই মিলে গিয়েছিলাম চন্দন নগরে । আপনারা সবাই জানেন যে সারা ভারতবর্ষের মধ্যেই জগদ্ধাত্রী পুজোতে সেরা হলো পশ্চিমবঙ্গের চন্দন নগর । বিশেষ করে চন্দননগরের আলোকসজ্জা সারা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ ।

মূলতঃ হঠাৎ করেই সেদিন প্ল্যান হলো - যাই সবাই মিলে সন্ধ্যেটা কাটিয়ে আসি চন্দননগরে আলোকসজ্জা দেখে । সেদিন আবার ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী । ঠিক হলো বিকেলের দিকে বেরিয়ে পড়বো । বেশ অনেকটা দূরে তো তাই । সব কিছুর প্লানিংয়ে ছিল স্বাগতা । সেই আমাদের লীডার ।

তো বিকেলে রওনা দিয়ে সন্ধ্যের মুখে পৌছালাম চন্দননগরে । চন্দননগরে গাড়ি পার্কিংয়ের দারুন একটা ব্যবস্থা ছিল । খুবই স্বস্তি পেলাম ব্যাপারটা দেখে । গাড়ি পার্কিংয়ে রেখে আমরা বেরিয়ে পড়লুম প্রতিমা সন্দর্শনে । গোলটু কিছুটা পথ হেঁটে আর হাঁটতে চাইলো না । অগত্যা তনুজা ওকে কোলে তুলে নিলো ।

প্রথম কয়েকটা প্যান্ডেলে তেমন একটা জাঁকজমক ছিল না । তাই তেমন ভীড়ও ছিল না । বাট পরের দিকের পুজো প্যান্ডেল গুলো অসম্ভব জাঁকজমকপূর্ণ ছিল । আর ভীড়ও ছিল বাপরে ! পাগল হওয়ার দশা আমাদের । তাই মাত্র ৬-৭ টা পুজো প্যান্ডেল দেখেই আমরা কলকাতা অভিমুখে যাত্রা করেছিলাম ।

পুরোটা ঘুরে দেখতে হলে মিনিমাম ৩ দিন লাগবে আমাদের । তবে আলোর সজ্জা আর প্যান্ডেল সাজানো দেখে আমাদের চক্ষু পুরো চড়ক গাছ । অসম্ভব ভালো হয়েছিল । জৌলুসে চোখ ধাঁধিয়ে দেয় ।

আজকে থেকে শুরু করে পরবর্তী ৫-৬ টি এপিসোডে আমাদের জগদ্ধাত্রী পুজো পরিক্রমার সিরিজটি শেষ হয়ে যাবে ।


প্যান্ডেলে ঢোকার প্যাসেজ পথ । আলো দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৫ টা ৪৫ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


বিশালাকৃতির জগন্মাতা জগদ্ধাত্রীর মূর্তি ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৫ টা ৫০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


প্যান্ডেলের ছাদে ঝোলানো ঝড় লণ্ঠন আর নানান রঙের কৃত্রিম ফুল সাজানো হয়েছে রং বেরঙের আলো দিয়ে ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৫ টা ৫০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


মা জগদ্ধাত্রীর আরেকটি অপরূপ সুন্দর প্রতিমা ।

তারিখ : ০১ নভেম্বর ২০২২

সময় : সন্ধ্যা ০৬ টা ১০ মিনিট

স্থান : কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus

ক্যামেরা মডেল : EB2101

ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



✡ ধন্যবাদ ✡


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এটা সত্যি বলতে হবে কালার লাইটিং ডেকোরেশন সবকিছুই চমৎকার ছিল, স্বাগতা দিদি আসলেই একজন চমৎকার লিডার, তিনি ট্রাবেল করতে অনেক ভালোবাসা এবং অনেক সময়ই দেখেছি তিনি অনেক কিছু ম্যানেজ করে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে থাকে।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

Awesome

Nice

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

ভারতবর্ষে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো শ্রেষ্ঠ জেনে ভালো লাগলো। আসলে আলোকসজ্জা এবং চারপাশের ডেকোরেশন সবকিছু মিলিয়ে বেশ সুন্দর লাগছে। এত সুন্দর একটি পুজো মন্ডপে যাওয়ার পরিকল্পনা যেহেতু স্বাগতা দিদি করেছে তাই উনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলে আপনি সেখানে গিয়েছেন বলেই হয়তো আমরাও সেই সুন্দর পুজো মন্ডপের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেলাম। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে দাদা।

আশা করি শ্রদ্ধেয় দাদা ভালো আছেন? আপনি নতুন করে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্ব সমূহ আমাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছেন। পূজার সুন্দর মুহূর্ত সমূহ আমরা দেখতে পাবো তা সত্যি খুবই আনন্দের। আজকের প্রথম পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো।চন্দননগরে আলোকসজ্জায় পুজোর সপ্তমী বেশ অসাধারণ ছিল। এত সুন্দর পূজার মুহূর্ত সমূহ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই । ভালো থাকবেন দাদা।

দাদা ভাল আছেন আশাকরি।
পূজো মন্ডোপের কালার, ডেকোরেশন সবকিছু মিলিয়ে বেশ দারুন লাগলো দাদা।এত সুন্দর একটি পূজো মন্ডপে যাওয়ার পরিকল্পনা দিদি নিয়েছে, দিদিকেও ধন্যবাদ। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আর আমাদের দেখার সুযোগ করে দিলেন, অনেক ধন্যবাদ দাদ।

Awesome. Great Photography

হ্যালো, একটি প্রশ্ন, ভারতে বছরে কয়টি ঐতিহ্যবাহী দিবস পালিত হয়?

দাদা চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে যাব যাব করে কোন বছরই যাওয়া হলো না। শুনেছি ওখানে প্রচন্ড পরিমাণে ভিড় হয়। আর তোমার পোস্ট পড়ে তো সেটাই প্রমাণিত হল। আসলে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোতে আলোকসজ্জাটা খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে করে। যদিও প্ল্যানটা স্বাগতা দি এর ছিল সুতরাং খুব মজা হয়েছে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

অনেক ভালো লাগলো দাদা আপনার এ পুজো ভ্রমণে। তবে স্বাগতা দিদির লিডিং এ আপনারা সবাই সেখানে গিয়েছেন এটা অনেক ভালো লাগলো। চন্দননগরে আলোকসজ্জায় পুজোর সপ্তমী বেশ অসাধারণ ছিল।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।