আমার "বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণের আজ একাদশতম পর্ব । আজকের পর্বে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো গ্রামীণ বাংলার নানান লোকজ সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্য । গ্রামীণ বাংলার হস্ত ও কুটীর শিল্পের অভূতপূর্ব সব নিদর্শন । একটা সময় ছিল তখন বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার গ্রামে গ্রামে এই সব হস্ত ও কুটীর শিল্পের ছড়াছড়ি ছিল, কদর ছিল । এখন আধুনিক সভ্যতার বিষবাষ্পে ছেয়ে গিয়েছে সমগ্র জনপদ । গ্রামগুলিও তার হাত থেকে নিস্তার লাভ করতে পারেনি ।
আগে গ্রামে মাটির হাঁড়ি, পাতিল, কলসী, বাচ্চাদের খেলনা, কাঁসা-পিতলের বাসন-কোসন, বাঁশের তৈরী ঝুড়ি, চাটাই, বেতের তৈরী ধামা, কুলা, আসবাবপত্র, পাটের তৈরী দড়ি-দড়া, বস্তা, থলে, কাঠের তৈরী খাট, পালঙ্ক, টেবিল চেয়ার আর তাঁতের শাড়ী, জামা কাপড়, গামছা, ধুতি, লুঙ্গি এসবের প্রচলন ছিল, কদর ছিল । এবং বলতে গেলে এসব গ্রামীণ মানুষের জীবনে অনস্বীকার্য ছিল । এসব ছাড়া গ্রামীণ জীবন অচল ছিল ।
আর এখন ? মাটির তৈরী হাঁড়ি, পাতিল, কলসীর জায়গা দখল করেছে কারখানায় তৈরী এলুমিনিয়াম, বাচ্চাদের মাটির তৈরী খেলনা আর পাওয়াই যায় না এখন, তার জায়গা দখল করেছে প্লাস্টিক । কাঁসা-পিতলের বাসন-কোসন এখন অতীত, তার জায়গা দখল করেছে বিষাক্ত প্লাস্টিক এবং মেলামাইন । বাঁশের ব্যবহার এখন শুধু নির্মাণ কাজ এবং প্যান্ডেল বাঁধাতেই সীমাবদ্ধ, বাঁশের তৈরী ঝুড়ি, চাটাই, বেতের তৈরী ধামা, কুলা, আসবাবপত্রের জায়গা এখন দখল করেছে প্লাস্টিক, টিন আর লোহা । পাটের তৈরী দড়ির বদলে এখন চলে নাইলন, পাটের বস্তা-থলির বদলে চলে প্লাস্টিক । কাঠের তৈরী খাট, পালঙ্ক, টেবিল চেয়ার এর পরিবর্তে গ্রামের মানুষ এখন লোহা আর প্লাস্টিকের উপরেই বেশি নির্ভরশীল । তাঁতের তৈরী জামা, কাপড়, শাড়ি আজকাল অমিল ।
তাই হারাতে বসেছে গ্রামীণ ঐতিহ্য এসব হস্ত ও কুটীর শিল্প । অদূর ভবিষ্যতে শুধুমাত্র তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে মিউজিয়ামে ।
প্রথম ছবিতে বাঁশের তৈরী ঝুঁড়ি, মাটির হাঁড়ি আর পাটের তৈরী খেলনা উট । দ্বিতীয় ছবিতে বেতের তৈরী পাত্র, পাটের তৈরী খেলনা মাছ । তৃতীয় ছবিতে শোলার তৈরী বিয়ের টোপর এবং অনেকগুলি নকশাকাটা তালের পাখা । চতুর্থ ছবিতে লোহার পাতের তৈরী অনেকগুলি ফলা এবং মাটির তৈরী কিছু বাসন-কোসন ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রথম ছবিতে রয়েছে অনেকগুলি পাথরের তৈরী বাসন কোসন । দ্বিতীয় ছবিতে পাথরের তৈরী একটি নকশাদার থালা, কাঠ আর লোহার তৈরী একটি নক্সাকাটা কুরনী এবং তামার তৈরী একটি শঙ্খ, ফুল আর মাছ । তৃতীয় ও চতুর্থ ছবিতে রয়েছে সুন্দর নক্সাকাটা একটি কুরনী, তামার তৈরী কিছু পাত্র, কাঁসা তামার তৈরী বাঘের মুখের নকশা করা বিশাল একটি থালা এবং কাঠের তৈরী একটি নকশাদার মোমবাতিদান ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রথম ছবিতে রয়েছে মাটির তৈরী মুখোশ, পাথরের যাঁতা, টিনের তৈরী পিদিম, কাঠের হুঁকো, টিনের তৈরী পানের বাটা এবং অনেকগুলো জাঁতি । দ্বিতীয় ছবিতে রয়েছে বাঁশের তৈরী মাছ আকৃতির অনেকগুলি খালুই । তৃতীয় ছবিতে রয়েছে মাটির তৈরী হাঁড়ি ও প্রকান্ড প্রকান্ড মাটির জালা ও ভাঁড় ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
পোড়া মাটির প্রকান্ড তিনটি হাতি আর ঘোড়া । অদ্ভুত সুন্দর দেখতে ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রথম ছবিতে রয়েছে ঢাল আর বর্শা । দ্বিতীয় ছবিতে লাঙ্গল সহ নানান কৃষিকর্মের যন্ত্রপাতি । তৃতীয় ছবিতে রয়েছে কাঠের খড়ম আর টিনের পিদিম । চতুর্থ ছবিতে রয়েছে কাঠের তৈরী দাবা বোর্ড ও ঘুঁটি ।
তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩
সময় : বিকেল ৪ টা ৪০ মিনিট
স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ
ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)
তারিখ : ০৮ মার্চ ২০২৩
টাস্ক ১৯৮ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : f5cc5f3ab6dfbcaa1583f50ff5457c04928a09b6b7b118232aefbd4a134afcdc
টাস্ক ১৯৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ পর্ব -১১ পড়ে অনেক ভালো লাগলো দাদা।আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দুর্দান্ত ছিল দাদা।কারণ সবগুলো গ্রামীণ লোকজ সাংস্কৃতির ও ঐতিহ্য।ঠিকই বলেছেন দাদা আগে গ্রামের মানুষের জীবন এগুলো ছাড়া অচল ছিল।কিন্তু এখন আধুনিক জীবনমানে এগুলো যেন হারিয়ে গেছে।বাচ্চাদের মাটির খেলনা বাদ হয়ে প্লাস্টিক এর খেলনা,আর মাটির হাড়ি,পাতিল বাদ হয়ে এখন অ্যালুমিনিয়াম এর তৈরি জিনিসপত্র উল্লেখযোগ্য।ধন্যবাদ দাদা চমৎকার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অদূর ভবিষ্যতে এগুলোর কথা বললেও আমাদের নতুন প্রজন্ম সেটা বিশ্বাস করতে চাইবে না, কারন প্রযুক্তি নির্ভর এতো দেখেও এগুলোর প্রতি তাদের একটা অবিশ্বাস হয়তো তৈরী হয়ে যাবে। আমি নিজেও পিতলের বাসন, গ্লাস, বদনাসহ অন্যান্য জিনিষ ব্যবহার করেছি, কালের বিবর্তনে সব আজ স্মৃতি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রাম এখন আর আগের মতো নেই! উন্নত হয়েছে, আধুনিকতার ছোয়াঁ পেয়েছে। এর সুফল কিন্তু ভালো হয়নি গ্রামে আগে যে ঐতিহ্য ছিল মাটির তৈরি জিনিস, কাঠ আর বাশেরঁ তৈরি জিনিসের সেগুলো প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাঙালির ঐতিহ্য মাটির তৈরি সব জিনিসপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। মাটির হাড়ি, থালা অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এখন প্লাস্টিক আর মেলামাইনের তৈরি জিনিসপত্রই বেশি। আপনার সাথে একমত দাদা! অদূর ভবিষ্যৎ এ বাঙালির গ্রামীণ ঐতিহ্যের এসব জিনিসপত্র মিউজিয়াম ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আজকের পর্বটা জাষ্ট অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে। একদমই গ্রামীণ সংস্কৃতির খুব কাছাকাছি চলে গেলাম মনে হলো। সত্যিই দাদা আধুনিকতার চাদরে এখন গ্রামীণ সংস্কৃতির ঢাকা পরে যাচ্ছে। মাটির তৈরি জিনিসপত্র এখন গ্রামে আর কেউ ব্যাবহার করে না। সব ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ দাদা এই অসাধারণ পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগেরদিনে মানুষ এমন দ্রব্য ব্যবহার করতো। আগের মুভি দেখে তা জেনেছি। এগুলো ছাড়া গ্রামের মানুষ জীবনধারণ করা অসম্ভব ছিলো। কিন্তু এখন আর এসবের দেখা নেই। সব বিলুপ্ত। জাদুঘরেই দেখা যায় শুধু। আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে অনেক কিছু দেখলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ঘোরাঘুরির ১১ তম পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে দাদা।জাতীয় মিউজিয়ামের একটা জিনিস অনেক ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে গ্রামের সে হারিয়ে যাওয়া সব কিছু ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। আপনি ঠিক বলছেন দাদা সেই গ্রামের ঐতিহ্য আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় সময়ের অতল গর্তে সব তলিয়ে গেছে। কিন্তু একটা জিনিস সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে যে জাতীয় মিউজিয়ামে গেলে সেই হারিয়ে যাওয়া গ্রামের প্রিয় জিনিসের খুব কাছাকাছি যাই বলে মনে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। আগেকার দিনের মাটির হাঁড়ি পাতিল এবং হস্তশিল্প গুলো এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। শিল্প কারখানার সব অ্যালুমিনিয়ামের জিনিসপত্র দিয়ে এখন সবাই নিজের প্রয়োজন মেটায়। তাইতো হস্তশিল্প অনেকটা বিলুপ্তির পথে। তবে একটা সময় আসবে যখন এগুলো একেবারে হারিয়ে যাবে। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে দেখতে। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা দারুন সব ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আধুনিক সভ্যতার বিষবাষ্পে গ্রামীণ বাংলার হস্ত ও কুটীর শিল্প এখন অনেক বেশি দুর্লভ । আগে আমাদের গ্রামে মাটির হাঁড়ি, পাতিল, কলসী ও ইত্যাদি হস্ত ও কুটীর শিল্প পাওয়া যেত । কিন্তু বর্তমানে এগুলি এখন বিলীন হয়ে গেছে । ঠিক বলেছেন দাদা , হস্ত ও কুটীর শিল্প গুলো এখন শুধুমাত্র মিউজিয়ামে দেখা যায় । বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর ভ্রমণ - পর্ব ১১ এর ফটোগ্রাফি গুলি অনেক অসাধারণ হয়েছে । যদিও আমি বাংলাদেশে বসবাস করি কিন্তু জাতীয় জাদুঘরে যাওয়ার সুযোগ এখনো হয়নি । দাদা আপনার এই ফটোগ্রাফি গুলি দেখে অতীতের অনেক কিছু মনে পড়ে গেল । ধন্যবাদ দাদা বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের এই ফটোগ্রাফি গুলি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
What are the most beautiful museums that witness the history of nations?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জাদুঘর পরিদর্শন করা এবং জাতির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে কত সুন্দর
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী দাদা আপনি ঠিক বলেছেন বর্তমানে মাটি,বাশঁ,বেত এসব দিয়ে বানানো জিনিষ কল্পনা হয়ে গেছে। সবার ঘরে ঘরে এখন বিষাক্ত প্লাস্টিক। জাদুঘরে গেলে অনেক ঐতিহ্য দেখা যায়। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রযুক্তির যুগে এসে এই সংস্কৃতি গুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে।সবমিলিয়ে দারুন হয়েছে দাদা আপনার আজকের পর্বটি।অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য♥♥
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার খুবই ভালো লেগেছে আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করা দেখে। আপনি আমাদের দেশে এসে জাদুঘর থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। পাশাপাশি দারুন কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। হয়তো একটি শিক্ষনীয় পোস্ট হতে পারে এটা যা পড়ে অনেক মানুষের উপকার হবে আশা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একসময় ছোট ছোট বাচ্চারা মাটির তৈরি নানান ধরনের জিনিসপত্র নিয়ে খেলতো। আবার অনেকে মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস শোপিস হিসেবে ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখত। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব জিনিস একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে। এখন শুধুমাত্র কিছু কিছু মেলায় মাঝেমধ্যে মাটির তৈরি জিনিসপত্র দেখা যায়। যাইহোক ফটোগ্রাফিগুলো ভীষণ সুন্দর হয়েছে দাদা। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit