ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ আপডেট

in hive-129948 •  6 months ago 


Image Credit Source : Telegraph India


গতকাল ভারতীয় সময় রাত ১২ টা ৩০ এর দিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে আছড়ে পড়ে । আছড়ে পড়ার মুহূর্তে সাইক্লোনটির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার । তবে, ক্রমশ ঝড়ের অভিমুখ উত্তর-পূর্ব দিকে বেঁকে যাওয়াতে ভারতীয় উপকূলসমূহে তেমনভাবে ল্যান্ডফল হয়নি । ল্যান্ডফলের অধিকাংশ স্থানই ছিল বাংলাদেশের খুলনা জেলার মোংলা সমুদ্রবন্দর এবং তৎসংলগ্ন তটরেখা বরাবর ।

ঝড়ের গতিপথ এভাবে বেঁকে যাওয়াতে কলকাতা শহর কার্যত বেঁচে গেলো । একদম কলকাতার খুব কাছ দিয়ে, বলা যায় একদম কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল । তবে, বাংলাদেশের বিস্তীর্ন অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার একটা আশংকা দেখা দিয়েছে । বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার মোংলা দিয়ে প্রবেশ করে ক্রমশ উত্তর-পূর্ব দিকে এগোতে এগোতে ঢাকায় আছড়ে পড়ে শক্তি শেষ হবে ঘূর্ণি ঝড়টির । ঝড়ের এই গতিপথে বাংলাদেশের অনেকগুলো জেলা পড়বে । সে সকল জেলাগুলোতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সাথে একটানা ঝোড়ো হাওয়া বইবে । এই ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার ।

তবে, ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের পর রাত দেড়টার দিকে কোলকাতার কিছু স্থানে হঠাৎ করে খুবই ঝোড়ো হাওয়া বয়ে গিয়ে বিস্তর গাছপালা ফেলে দিয়েছে । আমাদের এদিকেও রাত দেড়টা নাগাদ মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য ঝড়ের তান্ডব হতে দেখা গিয়েছে । তবে, দমদমের দিকে বেশি ঝাপট লেগেছে, প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে শুনলাম ।

যেহেতু কলকাতা শহরকে পাশ কাটিয়ে গিয়েছে রেমাল তাই এদিকে তেমন ঝড়ের বেগ নেই । আর এমনিতেই যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের পর তার শক্তি অনেকাংশেই হ্রাস পায় । এবারও তাই হয়েছে । কলকাতাসহ উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে সেই রাত থেকে এখনো অব্দি । দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘন্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার । তবে বৃষ্টিপাতের বিরাম নেই একটুও । গতকাল দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে এখন একটানা হয়ে চলেছে । আকাশ একদম অন্ধকার ।

ধারণা করা হচ্ছে দৈনিক ২০ সেন্টিমিটার হারে সোম ও মঙ্গলবার কোলকাতায় বৃষ্টি চলবে । তবে এবার বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়নি । গতকাল রাতে মোট ৩ বার লোডশেডিং হয়েছিল । প্রথমবার মিনিট দুই, দ্বিতীয়বার মিনিট খানেক মাত্র আর তৃতীয়বার একটু লম্বা সময়ের জন্য - মিনিট ৭-৮ হবে, লোডশেডিং ছিল । এরপরে আর কোনো বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়নি । তবে, ইন্টারনেট লাইন স্লাইট স্লো আজ ।

আমরা বৃহত্তর কলকাতা শহরের একদম শেষ প্রান্তে যে পাড়ায় থাকি সেখানে জলাবদ্ধতা হতে গেলে সারা দক্ষিণবঙ্গ আগে ডোবা লাগবে । তাই বিন্দাস আছি । গত ২৪ ঘন্টা ধরে একটানা বারিবর্ষণেও আমাদের পাড়ার রাস্তাঘাটে এক ইঞ্চিও জল জমেনি । ভাবছি আজ রাতে খিচুড়ি রান্না করবো । সাথে ইলিশ মাছ ভাজা । সেই সাথে গোয়েন্দা বা ভূতের গল্পের বই খুলে বসলে তো একদম জমে যাবে ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাহ!আমিও আম্মুকে বলেছি আজ খিচুড়ি রান্না করতে!এদিকের নেটের অবস্থা ভয়াবহ। টেলিটক সীম এর সিগনাল নেই হয়ে গিয়েছে।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 41.02% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

ভাবছি আজ রাতে খিচুড়ি রান্না করবো । সাথে ইলিশ মাছ ভাজা । সেই সাথে গোয়েন্দা বা ভূতের গল্পের বই খুলে বসলে তো একদম জমে যাবে ।

দাদা আপনি তো দেখছি একেবারে রিলাক্স মুডে রয়েছেন😂। আর আমাদের এখানে তো অবস্থা মোটামুটি খারাপ ই বলা যায়। ঢাকা এবং ঢাকার আশেপাশে প্রচুর বাতাস গভীর রাত থেকে। তাছাড়া মোটামুটি বৃষ্টিও হচ্ছে। আমি তো দুপুর ১২ টার পর ছাঁদে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজলাম ৩০/৪০ মিনিট। তবে আবহাওয়া শীতল হয়েছে, এই ব্যাপারটা খুব ভালো লাগছে। মংলার দিকে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। যাইহোক ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ আপডেট আমাদেরকে জানানোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিয়ে সর্বশেষ আপডেট আপনার তথ্য সমৃদ্ধ। আপনি ঠিকেই বলেছেন, আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি উপকূলীয় জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ জন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।গতকাল রাত আটটার দিকে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এসময় ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয় অনেক এলাকায়। বিশেষ করে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট,পটুয়াখালী ও বরগুনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘূণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোর থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি চলছে ঢাকায় যা এখনো অব্যহত আছে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা। শুভ কামনা আপনার জন্য।

This is a very interesting update you have shared Dada about the Cyclone remal.

Citizens should take the needed precautions so as not to be negatively affected by the weather condition.

Thank you so much for sharing this information with us 😊❤️❤️❤️

প্রবল ঘূর্ণি ঝড় রেমাল নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন। গতকাল রাত থেকে আমাদের এদিকে বেশ ঝড় হয়েছে।তবে আপনাদের ওদিকে কারেন্ট অনেক ভালো ছিল কিন্তু আমরা গতকাল রাত থেকে মাত্র আসলো কারেন্ট। আসলে দাদা ঝড়ের চেয়ে কারেন্ট বেশি সমস্যা করেছে।যাইহোক এমন ঝড় বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ খেতে অনেক মজা। ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাবছি আজ রাতে খিচুড়ি রান্না করবো । সাথে ইলিশ মাছ ভাজা । সেই সাথে গোয়েন্দা বা ভূতের গল্পের বই খুলে বসলে তো একদম জমে যাবে ।

একেই বলে দাদা কারো সর্বনাশ আর কারো পৌষ মাস 😄। তবে এই বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি এবং যদি গল্প নিয়ে বসে যায় তবে আসলেই মুহূর্ত কিন্তু বিন্দাস হয়ে যায়। আমাদের সকলেরই একত্র ভাবে প্রার্থনা করা উচিত স্রষ্টার কাছে যেন তিনি অচিরেই আমাদের মাঝে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করেন কেননা এতে উত্তরবঙ্গ কিংবা দক্ষিণবঙ্গ যেখানেই ক্ষয়ক্ষতি হোক না কেন মানুষেরই হবে। তাই যেন স্রষ্টা আমাদের প্রতি তার অপার কৃপা বর্ষণ করেন। যেন সবাই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আবার বসবাস করে এটাই প্রার্থনা করলাম। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি দাদা।

ধন্যবাদ দাদা ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য। যার কারনে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। কিন্তু দাদা আমাদের এখানে তো সব লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। যার কারনে সে সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। কবে বা কখন আসবে তাও জানিনা। বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। এর মধ্যে তো চলছে মুসলমানের বৃষ্টি।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনাদের ওদিকে এত কম লোডশেডিং হয়েছে আর আমাদের এদিকে সেই গতকাল রাত থেকেই একটানা লোডশেডিং চলছে। জানিনা আবার কখন কারেন্টের দেখা পাব। আবার কারেন্টের কারণে ওয়াইফাই তো নেই, সেই সাথে আবার কয়েকটা সিমও বন্ধ আছে। যাইহোক এই ঝড়ের কারণে এদিকে অনেকেরই ক্ষতি হতে দেখলাম। আবার যাদের কোনো ক্ষতি হয় নি তারা এই ওয়েদার উপভোগ করছে খিচুড়ি খাওয়ার মাধ্যমে। আর তার মধ্যে আপনিও আছেন দেখছি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বশেষ আপডেট সম্পর্কে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল সম্পর্কে আপনার সর্বশেষ আপডেট জানতে পেরে ভালো লাগলো। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি এবং বজ্রপাত ও বাতাসের বেগ অনেক বেশি ছিল আমাদের এদিকে। গত রাত থেকে শুরু হয়ে এখনো অব্দি চলতেছে বাতাস কোন থামাথামি নেই। আশা করি এভাবে কমে যাবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডব। সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম শুকরিয়া জানাই কারণ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গেল সবাই। আশা করি আগামী কাল হতে হতে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

জি দাদা রেমাল সারারাত উপকূলে তান্ডব রাত চারটার দিকে ঢাকার দিকে প্রবেশ করেছে। সেই সকাল থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, এখন রাত বারোটা বাজে, এখনোও বন্ধ হওয়ার কোন লক্ষণ দেখতেছি না। বৃষ্টির সাথে দমকা বাতাস রয়েছে। এমন দিনে খিচুড়ি খেতে পারলে ভালোই লাগে। তবে আমরা গতকালই খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছি। আশা করি আজকে রাত্রটা আপনাদের ভালোই জমবে। ধন্যবাদ দাদা।

আমাদের এদিকটাতে বেশ ভালো প্রভাব পরেছে।গত কাল সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি আর খুবই ঝরো হাওয়া বইছিলো।সে সাথে তো দুই আগেই বিদ্যুৎ চলে গিয়েছে আজ অবদি আসে নাই।খুবই সমস্যার মধ্যে আমরা রয়েছি।জানিনা এগুলো কখন ঠিক হবে গাছ পালা ভেঙ্গেছে বেশ ভালোই।

এটা ঠিক কথা দাদা, ঝড়ের গতিপথ বেঁকে যাওয়াতে কলকাতা শহর কার্যত বেঁচে গেলো বেশ খানিকটা। আর আমাদের এদিকেও তো তেমন বিশেষ ঝড় দেখলাম না ঝড়ের রাতে। তবে দাদা এটা আসলেই সবথেকে ভালো লেগেছিল যে, এইবার আর বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়নি। সামান্য কয়েক বার লোডশেডিং হয়েছে মাত্র। যাইহোক, আমরা অল্পের উপর দিয়ে বেঁচে গেলাম।

গতকাল সারাদিন সারা রাত বিদ‍্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলাম। ফোনে চাজং নেই বললেই চলে। তবে জলাবদ্ধতা থেকে যে আপনারা বেঁচে গিয়েছেন এটা ভালো। এই জলাবদ্ধতা একেবারে বিরক্তিকর একটা বিষয়। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও অন্য সব এলাকা তে ঝড়ের প্রভাব ছিল প্রচণ্ড। অনেক এলাকায় একেবারে লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেছে। রেমালের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের সর্বএ।

দাদা আমাদের এদিকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ঝড়ো বাতাসে বেশ কিছু গাছ উপরে পরাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে পুরো গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগ। গতকাল সারাদিন ধরে বিদ্যুৎ ছিল না এবং এখন পর্যন্ত নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।
সবাই বিপদ কাটিয়ে উঠুক এই কামনা করি।
আর আপনিও ভালো থাকুন দাদা।

রেমালের তান্ডব বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাগেরহাট জেলার মংলা এরিয়াতে অনেক বেশি, একটি লঞ্চ পর্যন্ত ডুবে গেল। আপনার খিচুড়ি রান্না এবং ইলিশ ভাজা সাথে গোয়েন্দা বা ভূতের গল্পের বই পড়া এটা সত্যি দারুন থাকবে। শুভকামনা রইল।

দাদা আমাদের অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । ঘূর্ণিঝড়ের রেমাল দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অগ্রসর হলেও সর্বশেষ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয় সেজন্য আমাদের দিকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা বাগেরহাট সেখানে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বাড়িঘর বাঁধ ভেঙে ডুবে গিয়েছে। সব মিলিয়ে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে আমাদের এখানে তান্ডব লীলা চালিয়েছে। আমরা একদিন এক রাত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিলাম।

ভাই রে ভাই, আর আমাদের এখানে গতকাল থেকে কারেন্ট নাই, ইন্টারনেট নেই, সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে যা-তা অবস্থা। কবে যে সবকিছু স্বাভাবিক সেটাই ভাবছি,ভাই।

এই ঘূর্ণিঝড় টা আমাদেরকেও কিছুটা ভুগিয়েছে। বৃষ্টি যদিও আমাদের এদিকে খুব একটা বেশি হয়নি তবে প্রচন্ড ঝোড়ো হাওয়া ছিলো। রীতিমতো বাড়িঘর কাঁপছিল বাতাসের ধাক্কায়। পোস্টের শেষের অংশ পড়েতো রীতিমতো জিভে জল চলে এলো দাদা। বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি আমার খুবই পছন্দের একটা খাবার। সেই সাথে যদি থাকে ইলিশ মাছ ভাজা তাহলে তো পুরো জমে ক্ষীর। অবশ্য রেমাল যদি তার গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন না করতো তাহলে আপনারা হয়তো এতটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারতেন না। চমৎকার এই পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।