"বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ১০steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 


বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় জাদুঘর পরিভ্রমণের আমার আজকের এই পর্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন অরণ্যভূমিতে ও বঙ্গোপসাগরে প্রাপ্ত প্রাণীকুলের প্রদর্শনীর শেষ পর্ব । আগামী পর্ব গুলোতে থাকছে নদীমাতৃক বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌকোর প্রদর্শনী । দেখতে দেখতে ১০ টি পর্ব পার করে ফেললাম এবং সেই সাথে প্রায় শ'দুয়েক ফোটোগ্রাফ শেয়ার করে ফেললাম আপনাদের সাথে ।

তবে কলকাতার জাদুঘরের পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগও জিনিস নেই ঢাকা মিউজিয়ামে । ছোট্ট কিন্তু খুবই ছিমছাম জাদুঘর হলো ঢাকার জাদুঘর । জিনিসপত্র খুবই কম থাকলেও খুবই সুন্দর করে গুছিয়ে কাঁচের বক্সে ডিসপ্লে করা হয়েছে । সব মিলিয়ে ঢাকার জাদুঘরকে নিট এন্ড ক্লিন বলা চলে ।

আজকের এপিসোডে যেসব প্রাণীর ফোটোগ্রাফ থাকছে তন্মধ্যে বেশ কিছু প্রজাতি বিলুপ্তির হুমকির মুখে । মোস্ট এনডেঞ্জার্ড লিস্টে ইতিমধ্যে নাম উঠিয়ে ফেলেছে - বনরুই, সজারু, মেছো বাঘ, ডলফিন এবং তিমি । বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যভূমিতে হাতির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে । অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে হয়তোবা আর হাতির পদচারণা পড়বে না । খুব দ্রুত অরণ্যভূমি ধ্বংসের কারণে হাতি সহ এই সকল প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ।

আর বঙ্গোপসাগরে যথেচ্ছ হারে মাছ ধরা ও জলদূষণের কারণে বিভিন্ন জলজ প্রাণী যেমন ডলফিন, তিমি এসবের সংখ্যা অতি দ্রুত নেমে আসছে । বাংলাদেশ থেকে এখন সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত কিছু প্রাণী যেমন - সিংহ, ময়ূর, নীলগাই, গন্ডার, সোনালী লেজ বানর, শম্বর হরিণ প্রভৃতি ।

আর যে কবে মানুষ সচেতন হবে ?


বনরুই বা Pangolin । সারা গায়ে মাছের আঁশের মত বড় বড় আঁশে ভর্তি পিপীলিকাভূক এই প্রাণী পাওয়া যায় বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যে । নির্বিচারে হত্যা আর চীনের কালোবাজারে পাচারের কারণে এদের সংখ্যা আজ দ্রুত কমে গিয়েছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


বানর ও লাজুক বানর । দুটি প্রজাতি সম্পূর্ণ আলাদা । লাজুক বানরগুলো আকারে অনেক ছোট, বড় বড় গোলাকৃতির চোখ আর সর্বক্ষণ নিজেদেরকে গাছের পাতার আড়ালে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


সজারু । সারা গায়ে বড় বড় তীক্ষ্ণ কাঁটায় ভর্তি । একটা সময় প্রায় সারা বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যেত । কিন্তু, এখন বাংলাদেশে এরা অতি বিপন্ন এক প্রজাতি ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


উল্লুক । বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অরণ্যভূমিতে পাওয়া যায় । মহা বিপন্ন এক প্রজাতি এখন ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


মেছো বাঘ । একটা সময় বাংলাদেশের সুন্দরবনে সব চাইতে বেশি সংখ্যায় পাওয়া যেত এদের । এখন কিন্তু ভীষণই কোনঠাসা এরা ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


বেজি । যদিও এখনো এরা বিপন্ন তালিকাভুক্ত নয় তবে খুব শীঘ্রই এই তালিকায় স্থান পেতে চলেছে এরা । মূলত ক্রমশ বনভূমি সংকুচিত হওয়ার ফলে এদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে আসছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ডলফিন বা শুশুক । বাংলাদেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে যথেচ্ছ হারে এদেরকে শিকার করার ফলে প্রায় বিল্পুত হতে বসেছে জলজ স্তন্যপায়ী এই প্রাণী। এছাড়াও উল্লেখযোগ্যভাবে নদী ও বঙ্গোপসাগরে মাত্রারিক্ত দূষণের কারণে এরা ভীষণভাবে কোনঠাসা ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


তিমি । বাংলাদেশে একমাত্র পাওয়া যায় বঙ্গোপসাগরে । যথেচ্ছ হারে মৎস শিকার এবং মাত্রারিক্ত জলদূষণের কারণে এরা বঙ্গোপসাগর থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


এশীয় হাতি । একসময় প্রচুর হাতি ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, গাজীপুর প্রভৃতি অঞ্চলের অরণ্যভূমিতে । এখন কমতে কমতে গোনা গুনতি পর্যায়ে চলে এসেছে এরা ।

তারিখ : ০৪ জানুয়ারি ২০২৩

সময় : বিকেল ৪ টা ৩৫ মিনিট

স্থান : ঢাকা, বাংলাদেশ


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


✡ ধন্যবাদ ✡



পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫০০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 500 trx)


তারিখ : ০৪ মার্চ ২০২৩

টাস্ক ১৯৪ : ৫০০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫০০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : a77e87d0d0445ec5c82b2bae25658f93df7d90d71b76d4120cbc4db60f5dad95

টাস্ক ১৯৪ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঢাকা জাতীয় জাদুঘরে কখনো যাওয়া হয়নি কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে সেই জাদুঘরের দৃশ্যগুলো ভালোই উপভোগ করছি। এইভাবে যদি সব ছবি আপনি শেয়ার করতে থাকেন তাহলে মনে হয় আর যাওয়া লাগবেনা। তবুও স্বচোখে দেখার মধ্যে আলাদা একটা অনুভূতি আছে । আজকের এপিসোডে বিলুপ্ত প্রায় অনেক প্রজাতির প্রাণী দেখতে পেরে ভালো লাগলো।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

ঠিকই বলেছেন দাদা, অরণ্যভূমি ধ্বংসের মাধ্যমে হাতি সহ আরো নানা ধরনের প্রাণী আমাদের দেশ থেকে প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। ঢাকা মিউজিয়ামে সংরক্ষিত প্রতিটি বস্তু এবং প্রাণীর ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে দাদা ।আজকের পর্বে আমার কাছে লাজুক বানরের ফটোগ্রাফিটি অসাধারণ লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এই ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

মানুষের মাঝে সচেতনতা আর কখনোই আসবেনা দাদা। আসলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ দিনে বদলে যাচ্ছে। তবুও মানুষ নিজেদেরকে বদলে ফেলার চেষ্টা করছে না। সেই সাথে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রাণী। সেটা শুধুমাত্র বন জঙ্গল উজার করার কারণেই হচ্ছে। এর আগেও ঢাকা জাদুঘরের অনেক ফটোগ্রাফি দেখেছি দাদা। এবারের পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। আপনি কিন্তু দারুন ভাবে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন। অনেক অনেক ভালো লাগলো দাদা।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ এর আজকের পর্বে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম। মেছো বাঘ দেখতে তো অনেক সুন্দর লাগতেছে। প্রানীর ছবি গুলো দেখে আমার ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের দশম পর্ব অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।। বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন ধরনের প্রাণী ফটোগ্রাফি এবং তার বর্ণনা সাথে বন্য হাতিগুলো।। ঠিকই বলেছেন ঢাকা জাতীয় জাদুঘর ছোট হলেও গোস গাছ এজন্য সৌন্দর্যটা এত বেশি।।

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@bangla.witness
@xpilar.witness

We are the hope!

প্রিয় দাদা, আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর নিট এন্ড ক্লিন জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো। প্রিয় দাদা আপনার এই পোষ্টটি পড়ে বনরুই, সরুজ, উল্লুক, মেছো বাঘসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রাণী সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারলাম। অতি চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

অনেক পশু গুলো দেখা গেলেও বনরুই এবং সজারু টা একেবারে বিলুপ্ত বলা যায়। ঢাকা জাদুঘরে এখন পযর্ন্ত যায়নি। সেজন্য জানিও না কতটুকু কী আছে। আপনার পোস্ট থেকে যতটা জেনেছি। আপনার পোস্ট টা চমৎকার ছিল দাদা। সুন্দরবন ধ্বংসের পথে সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিলুপ্ত হচ্ছে এই প্রাণীগুলো।

এই বনরুই আর সজারু দেখতে কেমন যেনো, কেমন একটা ভয় লাগে দেখলেই।

আর যে কবে মানুষ সচেতন হবে ?

মানুষ এখন আর সচেতন হতে চায় না দাদা। নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলে আবাস স্থল এবং ফসলি জমি তৈরি করছে। এর ফলস্রুতিতে বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে এবং প্রানীগুলো বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর পরিবেশ দূষণ তো আছেই, সবমিলিয়ে খারাপ পরিস্থিতি। কোন আইনের তোয়াক্কা কেউ করে না।

আপনার পোস্টের মাধ্যমে বেশ কিছু বিলুপ্ত প্রায় প্রানীর ছবি দেখতে পেলাম দাদা।

বেশ দারুণ দারুণ দৃশ্য শেয়ার করেছেন দাদা, তবে এটা সত্য যে সংখ্যার কিংবা সংগ্রহের দিক হতে খুব সামান্য কিছু রয়েছে এখানে, কিন্তু ইচ্ছা আর আগ্রহ থাকলে সংখ্যাটা বৃদ্ধি করা যেত। বনরুই এটা প্রায় পত্রিকায় আসে যে অনাকাংখিতভাবে সেগুলোকে শিকার করা হয় এবং আমাদের দেশের কিছু উপজাতিরা এগুলো নানা ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করে থাকেন।

জী দাদা আপনি ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশের জাদুঘরে যা কিছুই আছে খুব সুন্দর করে সাজানো গুছানো আছে। আর একটি বিষয় হলো বাংলাদেশের মানুষের লোভের কারনে বাংলাদেশে থেকে অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এগুলোই জন্য হয়তো বাংলাদেশ এক সময় অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ধন্যবাদ দাদা।

তবে কলকাতার জাদুঘরের পঞ্চাশ ভাগের এক ভাগও জিনিস নেই ঢাকা মিউজিয়ামে

এটা ঠিক কথা দাদা, কলকাতা মিউজিয়াম এ আমি তিন চারবার গেছি, তাও এখন অব্দি ৫০ শতাংশ ভালো করে দেখে শেষ করে পারিনি।

তুমি যে তিমি মাছের কঙ্কাল শেয়ার করেছো এর থেকে আরো অনেক বড় ডেমো তিমি মাছের কঙ্কাল কলকাতা মিউজিয়ামে রয়েছে। দেখতে একদম অরজিনাল এর মত মনে হয়।

তবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে কিছু কিছু জিনিস দেখলাম একটু আলাদা রয়েছে। যেগুলো আমাদের কলকাতা মিউজিয়ামে নেই।

আর যে কবে মানুষ সচেতন হবে ?


আসলে বর্তমানে মানুষ সচেতনতা হতে খুব একটা চায় না।যা ও হয় সবই নিজের স্বার্থের জন্য।অথ্যাৎ নিজের প্রয়োজনে।যাইহোক,বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ১০ এ বাংলাদেশের বিলুপ্ত সহ অনেক প্রাণির ফটোগ্রাফি আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের স্বার্থের কারণে বর্তমানে অনেক প্রাণিই বিলুপ্তের পথে।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা,এত সুন্দর ও চমৎকার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর" ভ্রমণ - পর্ব ১০ এ বিলুপ্ত প্রাণিসহ অসংখ্য প্রাণির ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।