তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা

in hive-129948 •  3 years ago 


copyright free stock photograph from PixaBay


ইউক্রেনের আকাশে সবে সূর্যোদয় । সেই অরুণরাগের রঞ্জিত আকাশ মুহূর্তে ভরে উঠলো অগ্নির লেলিহান শিখা আর অশুভ কালো ধোঁয়ায় । মুহুর্মুহ গর্জে উঠলো কয়েক শত ভারী কামান । ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এলো বোমারু বিমান । একযোগে রুশ-বেলারুশ সেনাবাহিনী তিন দিক থেকে ইউক্রেইন্ কে ঘিরে আক্রমণ শুরু করলো । মুহূর্তে নরক হয়ে উঠলো ইউক্রেইন-এর সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি । এর পর বেছে বেছে ইউক্রেনের এয়ারপোর্ট, গ্যাস স্টেশন, রেল স্টেশন, তেলের খনি এবং আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে চললো মিসাইল হামলা । মুহূর্তে জ্বলে উঠলো এয়ারপোর্ট, তেল-গ্যাস স্টেশন, রেল স্টেশন, তেল-গ্যাসের খনি । হাহাকারে ভরে উঠলো চারিদিক ।কয়েকশত বেসামরিক মানুষের মৃত্যু মুহূর্তের মধ্যে ।

সারা বিশ্ব জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে । ফ্রান্স ইতিমধ্যে সরাসরি হুমকি দিয়েছে রাশিয়াকে । বাইডেন জরুরী মিটিং কল করেছেন এবং রাশিয়াকে হুমকি দিয়েছেন যে এই যুদ্ধের ফল হতে পারে রাশিয়ার জন্য সব চাইতে মারাত্মক । জাতিসংঘের নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে । ন্যাটো প্রস্তুত । পাকিস্তান রাশিয়ার পা চাটছে । চীন দোস্ত বলে হাত বাড়িয়েছে । ভারত আশ্চর্জনকভাবে একেবারেই নীরব রয়েছে, ভাবলেশহীন এবং নিরপেক্ষ আচরণ করছে । ব্রিটিশ সেনাবাহিনী দূরপাল্লার এয়ারক্রাফট রেডি করছে । মোটকথা সারা বিশ্ব জুড়েই যুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে ।

প্রত্যেকটি ক্ষমতাধর দেশের কাছে রয়েছে নিউক্লিয়ার উইপন এবং কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে আরো মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র "হাইড্রোজেন বোমা" । একটি হাইড্রোজেন বোমা একশত এটম বোমার সমান বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন ।

সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে নাজুক এবং গভীর উদ্বেগজনক । সাধারণ মানুষের প্রাণের কোনো মূল্য নেই পুতিন, বাইডেন সহ এই সব রাষ্ট্রনায়কদের কাছে । প্রচুর মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে । আর যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ । দুর্ভিক্ষ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যতা গ্রাস করবে ইউক্রেনকে ।

এমনিতেই কোভিড-১৯ সিচুয়েশন এ বিশ্ব আর্থিনীতি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে । তার উপরে এই যুদ্ধ । আর্থিনীতি একেবারেই না ধ্বংস হয়ে যায় ।রিকভার করতে প্রচুর টাইম লাগতে পারে । যুদ্ধ মানবতার শত্রু । যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয় । শুধুমাত্র কতিপয় মানুষের সীমাহীন লোভ আর ক্ষমতার লোভে এক একেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় আর প্রচুর মানুষের জীবনহানি হয় । ধিক্কার জানাই এই সব দেশনায়কদের । মানবতার শত্রু এরা ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের এ ঘটনাটি আমাকে একদম মর্মাহত করল। ইউক্রেনের উপর এমন হামলা করা রাশিয়ার একদম ঠিক হয়নি। পাকিস্তান এবং চীনের কর্মকাণ্ডের জন্য ধিক্কার প্রকাশ করছে। সেইসঙ্গে ভারতের এমন নিরব ভূমিকাতেও হৃদয়টা ব্যাথিত হলো।সামান্য ক্ষমতার লোভ এ সাধারণ জনগনের উপর এত বর্বরতা কখনোই কাম্য নয়।সকল রাষ্ট্রের উচিত ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



বিশ্বের মোড়লরা যদি এই পরিস্থিতি থেকে কোন শান্তিপূর্ণ সমাধান বের না করতে পারে। তাহলে হয়তো অতিশিগ্রই আমরা এই পৃথিবী ধ্বংস হতে দেখবো। কারণ শুধু রাশিয়ার কাছে যে পরিমাণ পারমাণবিক এবং হাইড্রোজেন বোমা আছে। সেটা দিয়ে এই পৃথিবীকে কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। সবাই এখন সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই দোয়া করি যেন অতি দ্রুত এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Please consider to approve our witness 👇

Come and visit Italy Community

it is free

আপনার পুরো লেখাটি পড়লাম দাদা। আপনি এমন ভাবে লিখেছেন মনে হচ্ছে আমি কোনো খবরের কাগজ পড়ছি। আমি দাদা এসব অনেক ভয় পাই। আমি বেশ কিছুদিন ধরেই এই যুদ্ধের কথা শুনছি আজকে আপনার লেখা পরে পুরোপুরি জানলাম। আমার মনে হচ্ছে এখান থেকেও হতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত। আমি জানি না শেষ পর্যন্ত কি হবে আর কি হতে চলেছে।

শুধুমাত্র কতিপয় মানুষের সীমাহীন লোভ আর ক্ষমতার লোভে এক একেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় আর প্রচুর মানুষের জীবনহানি হয় । ধিক্কার জানাই এই সব দেশনায়কদের । মানবতার শত্রু এরা ।

আপনার এই কথাটি সত্যের থেকেও সত্য। এদের ভুলের জন্যই জীবন যাই হাজারো নিরীহ মানুষের।

যুদ্ধ মানবতার শত্রু । যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয় ।

যুদ্ধের এই ভয়াবহতার কথা শুনে হৃদয় কেঁপে উঠল। জানিনা কত শত প্রাণ হারিয়ে যাবে এই ভয়াবহ যুদ্ধে। সৃষ্টিকর্তা যেন এই নিরীহ সাধারণ মানুষগুলোকে রক্ষা করেন এই কামনা করছি দাদা। সৃষ্টিকর্তা যেন এই ভয়াবহ পরিস্থিতি খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক করে দেন এবং মানুষগুলোকে শান্তির নিশ্বাস ফেলা সুযোগ করে দেন এই কামনাই করছি।

প্রচুর মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে । আর যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ । দুর্ভিক্ষ, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দারিদ্র্যতা গ্রাস করবে ইউক্রেনকে ।

দাদা আজকে আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভয় হচ্ছে। আসলেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দমকা হাওয়া যেন পৃথিবীর বুকে বইছে। যুদ্ধ মানে প্রাণহানি, যুদ্ধ মানেই অভাব-অনটন। আমার খুবই ভয় হচ্ছে, পৃথিবী আবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে যাচ্চে,যদি এখুনি খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে যুদ্ধ সংঘটিত হবে। তাই আমার খুবই খারাপ লাগছে,এমনিতেই করোনাভাইরাস এর কারণে পৃথিবীর মানুষের জীবনমা৷ অনেক ধ্বংস পরিণত হয়েছে। তারপরে যদি এই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। তাহলে পৃথিবী হাজার বছর পিছিয়ে যাবে।

শুধুমাত্র কতিপয় মানুষের সীমাহীন লোভ আর ক্ষমতার লোভে এক একেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় আর প্রচুর মানুষের জীবনহানি হয় । ধিক্কার জানাই এই সব দেশনায়কদের । মানবতার শত্রু এরা ।

আপনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন দাদা মানুষের সীমাহীন লোভ ও ক্ষমতা অর্জনের লোভ এই যুদ্ধের কারণ। আসলে যারা লোভে পড়ে সাধারণ জনগণের জীবন নিয়ে খেলা করছে তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই। কিছু মানুষ রয়েছে যারা তাদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সাধারন জনগনের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। এই ভয়াবহতায় হাজার হাজার প্রাণ প্রদীপ নিভে যাবে। আসলে এরকম পরিস্থিতির কথা শুনলে খুবই খারাপ লাগে। যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মনে হলে দু চোখের কোনায় পানি জমে যায়। আসলে সেই সব দেশ নায়কদেরকে আমরা সকলেই ধিক্কার জানাই। তারা মানবতার শত্রু। সৃষ্টিকর্তা যেন এই সাধারণ মানুষগুলোকে বিপদ থেকে রক্ষা করে এই কামনাই করছি দাদা।

যুদ্ধবাজ সমর নায়কদের কাছে শান্তিপ্রিয় মানুষের কোনো দাম নেই। সময় এবং প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলেও যুদ্ধ থেমে নেই। তবে প্রযুক্তি ও সামরিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে গেছে হাজারগুন। তাই আগে যেমন যুদ্ধ ছিল দেশ এবং যোদ্ধাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ কিন্তু এখন তার ক্ষয় ক্ষতি থেকে রক্ষা পায় না কোনো সাধারণ মানুষ। প্রার্থনা করি পৃথিবীতে কখনো যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হতে না পারে। আমরা সবাই একসাথে এই প্রার্থনাই করি শান্তিপূর্ণভাবে যেন এই পরিস্থিতির সমাধান হয়।

জানিনা কি হতে যাচ্ছে তবে এভাবে হতে থাকলে একটা সময় আমরাও শেষ হয়ে যাবো।

সাধারণ মানুষের প্রাণের কোনো মূল্য নেই পুতিন, বাইডেন সহ এই সব রাষ্ট্রনায়কদের কাছে ।

ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের কাছে সত্যিই আমাদের জীবনের কোন মূল্য নাই। তারা যে কোন সময় যে কোন কাজ করে বসতে পারে। কিন্তু আমাদের দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকে না।শক্তি থাকতেও মুখ থাকতেও আমরা কিছুই বলতে পারি না। আল্লাহ সহায়ক হোক

দাদা বরাবরই দেখে আসছি যারা নিরীহ সাধারণ মানুষ তাদের উপরে অত্যাচার টা একটু বেশি হয়। এবং কি সেটা যুদ্ধ হোক, সেটা দেশকেন্দ্রিক হোক, অথবা জেলা কেন্দ্রিক হোক, অথবা উপজেলা কেন্দ্রিক হোক, অথবা ইউনিয়ন কেন্দ্রিক, অথবা গ্রামকেন্দ্রিক, সবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় অসহায় দরিদ্র মানুষের বোবাকান্না অশ্রুসিক্ত নয়ন। দাদা বরাবরই ধিক্কার জানাই স্বৈরাচারী শাসক যারা আছে। এবং কি যুদ্ধ বলতে শক্তি হাসিল করা এবং অন্য দেশে জনশক্তি অর্থনৈতিক শক্তি এবং রাষ্ট্রীয় শক্তি নষ্ট করে রাজত্ব কায়েম করাকে আমরা বুঝি। আর এই তথ্যগুলো বরাবরই আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। সত্যি দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে ইউক্রেনের যুদ্ধ কে কেন্দ্র করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। যদিও আপনার মত বলা আমার লেখা বা বোঝানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবুও আমি যতটুকু বুঝি শান্তিতে দুই মুঠো ভাত খেয়ে মৃত্যুবরণ করলে যতটুকু শান্তি পাওয়া যায়, আর যুদ্ধক্ষেত্রে জড়িয়ে সেখানে হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে সিংহাসনে বসে এতটা শান্তি পাওয়া যায় না দাদা। এত সুন্দর শিক্ষনীয় একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি রইল গভীর গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অবিরাম।

শুধুমাত্র কতিপয় মানুষের সীমাহীন লোভ আর ক্ষমতার লোভে এক একেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় আর প্রচুর মানুষের জীবনহানি হয় । ধিক্কার জানাই এই সব দেশনায়কদের । মানবতার শত্রু এরা ।

আপনি ঠিক বলেছেন দাদা আসলেই লোভ মানুষকে অনেক হিংস্র বানিয়ে দেয়। এই লোভেরা জন্য কত দেশের কত মানুষ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। বিষয়টা পড়ে খুবই খারাপ লাগছে দাদা এবং মনে একটা ভয় কাজ করছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যাতে পরিস্থিতি টা তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক করে দেয় এবং অসহায় নিরীহ মানুষ গুলোকে রক্ষা করে।

যুদ্ধের কথা শুনলে আসলেই গাঁয়ের ভিতর শিউরে ওঠে ভয় লাগে খুব।এসব যুদ্ধের কারণে হাজারো নিরীহ মানুষের প্রাণ যায় যা একেবারেই কাম্য নয়।আপনার লিখাটি পরে খুবই ভয় লাগছে কি হয় কে জানে।চাইনা এ যুদ্ধ,শান্তি চাই।খুব শীঘ্রই এর সুষ্ঠ সমাধান হোক এই কামনাই করি।

সৃষ্টিকর্তা মানুষকে রক্ষা করুন 🙏
উপর ওয়ালা এদের মানবিক সুবুদ্ধি দান করুন ♥️
এই যুদ্ধ যাতে বেশি দূর না গড়ায় তাই প্রার্থনা করছি 🙏
উপর ওয়ালা মানুষকে রক্ষা করুন আর মানুষের রুজি রোজগার জারি রাখুন ✨

সত্যি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার । ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে ক্ষমতার লোভ মানুষকে কিভাবে তার চরম বাস্তব মৃত্যুর কথা ভুলিয়ে দেয় । ক্ষমতাবানদের রেষারেষিতে মানবতার জবাই হচ্ছে আজ ঘরে ঘরে । বিশ্ব অর্থনীতি এখন খুব যে ভালো তা কিন্তু নয় । এসব দেখার পরে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে সত্যি ভয় হয় ।

খুব খারাপ এক বিষয় । জানিনা কি হতে চলছে । আশা করি এই মহামারী থেমে যাবে । এই রকম চলতে থাকলে জানি না কত নিরীহ মানুষকে প্রাণ হারাতে হবে । তবে হাইড্রোজেন বোমার কথা শুনলেই গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায় । তবে "ন্যাটো" চাইলে কিছু একটা করতে পারবে ।

ধন্যবাদ আপনাকে দাদা । কথা গুলো ভালোভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা শুনে গা শিউরে উঠলো। যুদ্ধ হলে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়, এটা কেউই চায় না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন কখনোই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু না হয়। পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক হয়ে যায়। শীঘ্রই পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক হয় এই কামনা করছি।

বেশ কিছুদিন ধরে এই বিষয়টার উপর আমি নজর রাখছি দাদা ।গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি রাশিয়ার এই ধরনের কার্যক্রমের জন্য। বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো তাদের নিজেদের স্বার্থে সাধারণ মানুষগুলোকে বলি দিচ্ছে সাধারণ মানুষের ভালো থাকা গুলো তারা নিমিষেই নরকে পরিণত করছে। আজ সকালে যখন উঠে দেখলাম রাশিয়া-ইউক্রেনে হামলা করেছে বিষয়টি খুব খারাপ লাগলো। যারা নিজের ক্ষমতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য সাধারন মানুষের জীবনকে তুচ্ছ করে তোলে তারা আর যাই হোক মানুষের কখন ভালো চায়না। পৃথিবী এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে যেখানে অস্থিরতা ,অর্থনৈতিক মন্দা ,খাদ্য সংকট দেখা দিবে। গৃহহীন হবে লক্ষ লক্ষ মানুষ। মানবতার পরাজয় হবে। হিংস্র দানবের তাদের থাবা বসাবে। ক্ষমতাধর দেশগুলো বহু আগ থেকেই এই ধরনের সংস্কৃতি চালু করেছে যার জন্য আবারও নিন্দা প্রকাশ করছি। তবে দোয়া করছি দ্রুত জন্য এই অবস্থার উন্নতি হয়।

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘন্টা প্রায় দ্বারপ্রান্তে। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে সাধারণ জনগণের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। না আছে তাদের মতের মূল্য, না আছে তাদের জীবনের মূল্য এইসব উপরমহলের সামনে ।

দাদা,মানবতা কথাটা শুনে মনে হলো এই জিনিসটা আমাদের মধ্যে এখন কমেই গেল।অন্যদের সমস্যা,অসুবিধা আমরা বুঝতেই পারি না।আজকের এই পোস্ট পড়ে মনটা কেপে উঠলো,কেন এসব হচ্ছে। কেনইবা সাধারণ মানুষকে এতটা অত্যাচারীত হতে হচ্ছে৷ খুবই খারাপ লাগতেছে এই কথাগুলো শুনে। জানিনা কতদিন পর্যন্ত এমন অবিচার চলবে।

দাদা,মানবতা কথাটা শুনে মনে হলো এই জিনিসটা আমাদের মধ্যে এখন কমেই গেল।অন্যদের সমস্যা,অসুবিধা আমরা বুঝতেই পারি না।আজকের এই পোস্ট পড়ে মনটা কেপে উঠলো,কেন এসব হচ্ছে। কেনইবা সাধারণ মানুষকে এতটা অত্যাচারীত হতে হচ্ছে৷ খুবই খারাপ লাগতেছে এই কথাগুলো শুনে। জানিনা কতদিন পর্যন্ত এমন অবিচার চলবে।

দাদা, আপনার পুরো পোস্টটা পড়ে মনের মধ্যে অজানা একটি ভয় কাজ করছে। সত্যিই যদি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় তাহলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাবে।দ্রব্যমূল্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে। সবেমাত্র করোনার ভয়াল থাবা থেকে প্রতিটি দেশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে,এখন যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আবার শুরু হয় তাহলে প্রতিটা দেশের অর্থনীতি ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে প্রতিটা দেশের জনগণ সংকটের মধ্যে পড়বে। দাদা, প্রতিটা দেশের নেতা এবং পা চাটা নেতারা স্বার্থ হাসিলের জন্য পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। যেখানে সুবিধা হবে সেখানেই তারা হাত বাড়িয়ে দিবে। তাদের এই স্বার্থের জন্য হাজার হাজার বেসামরিক লোক মৃত্যুবরণ করছে তাদের তো কোন দোষ ছিলনা?

যুদ্ধ মানবতার শত্রু ।
যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয়।

দাদা, আপনি ঠিক বলেছেন যুদ্ধ মানবতার শত্রু আমরা কেউ যুদ্ধ আশা করি না। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমার ভয় মানুষ এর প্রাণ নিয়ে। এই যুদ্ধ লেগে যাওয়ার কারণে কতো গুলো নিরীহ প্রাণ চলে যাবে। কত সম্পদ নস্ট হবে। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিতে টান পরবে। ইতিমধ্যে শুনেছি শেয়ার মার্কেট এ ধস নেমেছে। তেলের দাম অনেক বেড়েছে। খুবই বাজে অবস্থা তৈরি হবে। 😌😌😌

বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো এগিয়ে না আসলে যুদ্ধ হয়ত আরও বাড়তে পারে। ন্যাটো রাষ্ট্রগুলো আশা করি তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নিবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। কিন্তু কথা হলো ভ্লাদিমির পুতিন সরকার সরাসরি বলে দিয়েছে যে তাদের কাজে যেন কোনো রাষ্ট্র হাত না বাড়ায়। ব্যাপারটা ধীরে ধীরে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেন না হয় সেই দোয়াই করতে হবে। ভালো একটা সমাধানের মধ্যে দিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।

যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। যুদ্ধের কথা শুনে মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল। চিন্তার পাথর যেন বুকে চেপে বসলো। মানবতার কথা চিন্তা করে যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত। অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। যেটি আমাদের মত নিম্ন আয়ের দেশ গুলো মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অসহায় মানুষদের জন্য ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি তারা যেন সুস্থ সুন্দর থাকে এবং এই যুদ্ধের দামামা অচিরেই বন্ধ হয়।

Wonderful line

খুবই মারাত্মক একটি খবর । এভাবে আতঙ্কিত ভাবে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে । বিশ্বের মানুষের , বিশ্ব অর্থনৈতিক অবস্থা ,সবকিছুতে ধস নেমে যাবে , মুহূর্তে ভিতরে সবাই হারিয়ে ফেলবে স্বাধীনতা ।যেমন এখন ইউক্রেনের অবস্থা খুবই গুরুতর করুন অবস্থা । সেখানকার সমস্ত কিছু এখন ধ্বংসের মুখে । যুদ্ধ মানেই একটি দেশ সব কিছু থেকে নিঃশ্বেষ হয়ে যাওয়া ।তাই যুদ্ধের চেয়ে শান্তিতে সমঝোতা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ ।আশা করা তেমনটাই হবে ।ধন্যবাদ ও দোয়া রইলো দাদা।

এটা অবিশ্বাস্য যে ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়া কর্তৃক স্বাধীন ঘোষিত দুটি প্রজাতন্ত্রের উপর কথিত হামলার জন্য ইউক্রেন আক্রমণ করেছিলেন।

আমি আশা করি যুদ্ধবিরতি শীঘ্রই বন্ধ হবে কারণ তা না হলে শীঘ্রই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে। 😓

যুদ্ধ মানবতার শত্রু । যুদ্ধ কখনোই কাম্য নয় ।

একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাই । বিষয়টি ভাবতেই গা শিরশির করে উঠছে । সত্যিই ব্যাপারটা বেশ দূ:খ জনক ।

রাশিয়া আর ইউক্রেন ইস্যুটা আমার কাছেও চিন্তার উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। কারণ ২য় বিশ্বযুদ্ধটাও অনেকটা এই ধরণের ইস্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে। আর এই যুদ্ধটাকে যতোটা না রাশিয়া-ইউক্রেন তার চেয়ে বেশী ন্যাটো -রাশিয়া বলে মনে হচ্ছে। এখন শুধু তেলের দাম বাড়বে যা অন্যান্য পণ্যের উপর বিশাল প্রভাব ফেলবে।

যুদ্ধ মানেই হলো বিশ্বকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের সম্মুখীন হওয়া। এই যুদ্ধে অনেক ভয়াবহতার সৃষ্টি হবে। এমনিতে করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে পৃথিবী ধ্বংসের পথে চলে যাবে। আশা করি কোন খারাপ কিছু ঘটবে না সেটাই যেন হয় ।এত সুন্দর করে আমাদের কাছে তথ্যমূলক কিছু শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা।

সত্যিই ভাবতে অবাক লাগছে,যেখানে কয়েক দিন আগেই করোনা বিশ্বকে আতঙ্ক সৃষ্টি করে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।সেখানে মানুষ নামের একদল প্রাণী এই হিংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।যেটা খুবই ভয়ঙ্কর, তাছাড়া কোনো যুদ্ধ কখনো ভালো কিছুই বহন করে না।যুদ্ধ মানেই আতঙ্ক, অমানবিকতার পরিচয় ও রক্তাক্ত অবস্থার সৃষ্টি।এটি দ্বারা কোনো এক দেশের কল্যাণ হয় ঠিকই কিন্তু সাধারণ মানুষেরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়।তাই সামগ্রিক দিক দিয়ে এটি কল্যাণকর নয়।সবকিছু আগের মতোই স্বাভাবিক হোক সেই কামনায় করি।

আপনি একজন ভাবুক মানুষ। ভাবনা গুলো সব সময় আপনার দুয়ারে কড়া নাড়ে। বিশ্ব ভাবনাও আপনার দুয়ারে এসে ঠকঠক শুরু করেছে। মন খুলে আপনার আশির্বাদ চায়। আমিও আশির্বাদ কামনায়.....

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যে ঝামেলা বেঁধেছে এতে মনে হচ্ছে শীঘ্রই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলে আসবে । এই নিউজটি আজকে ইউটিউবে দেখলাম এবং এই সম্পর্কে অনেকগুলো ভিডিও দেখলাম তার ফলে বুঝতে পারলাম অনেক ভয়ঙ্কর কিছু ঘটছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতি অনেক নিচে নেমে গেছে এবং এই যুদ্ধের ফলে ক্রিপ্টো মার্কেটে অনেক বড় একটা ধ্বস নামতে পারে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা চমৎকারভাবে এই ঘটনাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

যেদিন সকলের মন থেকে উঠে যাবে ক্ষমতার লোভ,যেদিন সকলের মধ্যে তৈরি হবে ভালোবাসার টান সেদিন থেমে যাবে সব যুদ্ধ।তবে আফসোস এর বিষয় ভালোবাসাও দুর্লব আর ক্ষমতার লোভ ছাড়া মন ও দুর্লব!তাও আশা করি সব কিছু যেনো ক্ষতি থেকে রেহাই পায়।

বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। তবুও থামছে না শক্তিধর রাষ্ট্র গুলোর হিংসাত্মক কার্যকলাপ। নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে মীমাংসিত কিছু কথিত ইস্যুকে কেন্দ্র করে এমন বীভৎস,বিভীষিকা মোটেও কাম্য নয়।বিশ্ব মোড়লদের এমন পরিস্থিতি থেকে বের না হলে নতুন করে বিশ্বযুদ্ধের যাত্রা এখান থেকে শুরু হবে। যা শান্তিকামী মানুষ এরা কখনোই চায় না।

  • চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ শ্রদ্ধা।

সাধারণ মানুষের প্রাণের কোনো মূল্য নেই পুতিন, বাইডেন সহ এই সব রাষ্ট্রনায়কদের কাছে,,

আমরা শান্তি চাই,আমরা শান্ত প্রিয় মানুষ।আমরা সুখে শান্তিতে একটু বেচে থাকতে চাই।আমাদের আর কিয়বা আছে,আর এই বেচে থাকাটাও যদি নরক যন্ত্রণা হয় কি আর বলবো শুধু ধিক্কার জানানো ছাড়া।শুধু এতটুকই চাওয়া সবকিছু সাভাবিক থাক তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।এই ধরা আবারও শান্তিময় হয়ে উঠুক

আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। বাঁচার মত বাঁচতে চাই। আপনার লেখা পুরোটা পড়ে মনের ভিতর কেমন যেন একটা ভয়ে কেপে উঠল। যুদ্ধের কারণে আমাদের অবস্থা কিরকম হতে পারে সেটা নিয়ে তেমন একটা শঙ্কা আছে। ঠিক তেমনি ইউক্রেনের ওই সমস্ত এলাকার ছোট বাচ্চারা বৃদ্ধ বাবা-মা তারা কতটুকু খারাপ অবস্থায় আছে এটা ভেবে খুব খারাপ লাগছে। এভাবেই ক্ষমতাধররা সব সময়ে দুর্বলদের আক্রমণ করে থাকে বিশ্ব মানবতার প্রতি আমরা একযোগে ধিক্কার জানাই।

শুধুমাত্র কতিপয় মানুষের সীমাহীন লোভ আর ক্ষমতার লোভে এক একেকটি যুদ্ধ সংঘটিত হয় আর প্রচুর মানুষের জীবনহানি হয় । ধিক্কার জানাই এই সব দেশনায়কদের । মানবতার শত্রু এরা ।

ক্ষমতার লোভ বড় জটিল এই লোভের জন্য কত দেশ ধ্বংস হয়ে গেল তার কোন ঠিক নেই। আমার আপনার ধিক্কারে এসব ক্ষমতাধর লোকের কিছু যায় আসে না।
সকালবেলায় খবরটি দেখেছি। কিন্তু যুদ্ধের খবর পড়তে আমি সাহস পাই না। খুবই ভয় লাগে এবং ভিতরে অস্থিরতা কাজ করে। এত মানুষের রক্ত মৃত্যু দেখতে খুব কষ্ট লাগে ।হোক সে দূরের মানুষজন। আপনার পুরো লেখাটি পড়লাম। পড়ার পর ভিতরে আরও ভয় কাজ করছে না জানি এই যুদ্ধের শেষ পরিণতি কি হয়।

মুহূর্তে জ্বলে উঠলো এয়ারপোর্ট, তেল-গ্যাস স্টেশন, রেল স্টেশন, তেল-গ্যাসের খনি । হাহাকারে ভরে উঠলো চারিদিক ।কয়েকশত বেসামরিক মানুষের মৃত্যু মুহূর্তের মধ্যে ।

বিষয়টা খুব খারাপ লাগতেছে। কি বলবো, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে কখনোই এই যুদ্ধের পক্ষে না। আমার এসব মারামারি, খুনাখুনি ভালো লাগে না।

শান্তিতে সবাই একত্রে থাকবো, এটাই বড় কথা। কিন্তু নিজেদের শক্তির অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ক্ষতি কখনোই কাম্য নয়।

আশা করি, সবাই এই বিষয় গুলো বুঝতে পারবে।
সবার জন্যে দোয়া রইলো, যেনো সবাই সুস্থ থাকতে পারে।

প্রত্যেকটি ক্ষমতাধর দেশের কাছে রয়েছে নিউক্লিয়ার উইপন এবং কয়েকটি দেশের কাছে রয়েছে আরো মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র "হাইড্রোজেন বোমা" । একটি হাইড্রোজেন বোমা একশত এটম বোমার সমান বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন ।

ভয়টা এখানেই, হয়তো মানবতা একটা সময় তাদের লোভের কাছে-এসব বোমার কাছে অসহায়ত্ব স্বীকার করবে এবং পুরো বিশ্বকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিনত করবে। আমরা এই রকম ধ্বংসযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাই।

ন্যাটোর সকল ক্ষমতা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্চের দুর্বল দেশগুলার উপর। এখন দেখার বিষয় ন্যাটোর দাদাগিরি কোথায় থাকে যদিও ইতিমধ্যে ন্যাটো বলছে তারা সৈন্য এখনই প্রেরণ করবে না।