Copyright Free Image Source: PixaBay
আমাদের সময়ে যদিও স্কুলে উপস্থিতির জন্য এতটা কড়াকড়ি ছিল না তবুও স্কুল কামাই করলে বেত দিয়ে মারা, কান ধরে দাঁড়ানো, নিল ডাউন প্রভৃতি মজার মজার সব শাস্তির বিধান ছিল । আমি যেহেতু বাবার স্কুলেই পড়েছি তাই কোনোদিনও এসব সাজা লাভ করার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি । তবে, আমার আর সব বন্ধু বান্ধবের কপালে অনুপস্থিতির জন্য এই ধরণের সাজা লেখা ছিল অবশ্যম্ভাবী ।
যেহেতু বাবার স্কুল তাই, আমি মনের সুখে স্কুল কামাই করতাম । আর বাবাও সেই তালে তাল দিতো । প্রায়ই দিন বলতো স্কুলে আজ যেতে হবে না তোমার, স্কুলে ঘোড়ার ডিম পড়াশোনা হয় । বাড়িতে বসে পড়ো । এই শুনেই মন আমার নেচে উঠতো । বাড়িতেও ওই সময়টা আমি ঘোড়ার ডিম পড়াশোনা করতাম । প্রায় দিনই স্কুলের বইয়ের মধ্যে হী ম্যান আর চাচা চৌধুরীর কমিক্স রেখে পড়তাম, না হয় ছবি আঁকতাম বা ভিডিও গেম্স্ খেলতাম কম্পিউটার এ ।
তো পরীক্ষার পরে প্রগ্রেস রিপোর্টে উল্লেখ থাকতো বছরভর স্টুডেন্টদের উপস্থিতির হার । আর আমার প্রগ্রেস রিপোর্ট খুলে প্রত্যেকবারই আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে যেতো উপস্থিতির ঘরগুলোতে চোখ বুলিয়ে । শিউরে ওঠার মতো উপস্থিতির সংখ্যা -
জানুয়ারি ০, ফেব্রুয়ারি ২, মার্চ ১৩, এপ্রিল ১৬, মে ৩ (গরমের ছুটি থাকতো এ মাসে), জুন ১০, জুলাই ২ (বৃষ্টির দিনে স্কুলে যাবে কোন আহাম্মক), আগস্ট ১৭, সেপ্টেম্বর ২১, অক্টোবর ১ (পুজোর ছুটি থাকতো এ মাসে). নভেম্বর ১১ (কালীপুজো, দীপাবলী এসব ফেলে স্কুলে যেতে মন চাইতো না, শুধুমাত্র নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এক্সাম শুরু হতো বলে একটানা কিছু উপস্থিতি ছিল) এবং ডিসেম্বর ৫ (ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এক্সাম শেষ হয়ে যেতো, তারপরে আর স্কুলে যেতে বয়েই গেছে আমার) ।
ক্লাস টীচার বলতেন -"তোমার বাবার কারণে তোমায় কিছু বলতেও পারি না, কিন্তু এ কেমন উপস্থিতি ? একজন ভালো স্টুডেন্টের গুণ শুধুমাত্র তার প্রগ্রেস রিপোর্টে মার্ক্স্ দেখে হয় না, উপস্থিতির হারও একটা বড় জিনিস । এখন থেকে চেষ্টা করবে ক্লাসে নিয়মিত হতে ।" শুনে আমি দুলে দুলে ঘাড় নাড়তাম, কিন্তু প্রায় তৎক্ষণাৎ এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দিতাম কথাগুলি ।
গ্রামের নিচু স্কুলে পড়ার সময় তো বর্ষাকালে টিফিন পিরিয়ডে বাড়িই চলে আসতুম, আর ফিরে যেতুম না টিফিনের পরে । আমার সহপাঠীরা বাড়ি বয়ে এসে স্কুল ব্যাগ পৌঁছে দিয়ে যেতো । আর উপস্থিতির হারও ছিল একদম নগণ্য । তার ওপর আবার স্কুল শেষ হওয়ার আগেই কত দিন যে বাড়ি চলে আসতাম তার ঠিক নেই । টিচাররাও কেউ কিছু বলতে পারতেন না, কারণ আমার বাবা ছিলেন আবার ওই স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ।
আমাদের সাথে একটা ছেলে পড়তো । পড়াশোনায় একদম যাকে বলে লবডঙ্কা ছিল । কিন্তু, উপস্থিতিতে একদম তাক লেগে যাওয়ার মতো পারমারফ্যান্স। প্রায় ১০০% উপস্থিতির হার ছিল তার । বর্ষাকালে দারুন দুর্যোগের দিনে হয়তো বেশিরভাগ টিচার এবং স্টুডেন্ট হাজির হতে পারেনি, কিন্তু আরিফ ঠিকই হাজির হয়ে যেতো । একবার শুনেছিলাম দারুন ঝড়ের একটা দিনে আমাদের সেকশন এ একটি মাত্র স্টুডেন্ট হাজির ছিল, আর সে হলো আরিফ ।
আমার ছেলে এখন সবে স্কুল জীবনে প্রবেশ করেছে । পড়ে প্লে গ্রূপে । মাত্র ৩ মাস হলো তার স্কুল লাইফ । এর মধ্যে ১ দিন মাত্র অনুপস্থিত ছিল । জ্বর হয়েছিল তার, সে জন্য । তবুও স্কুলে এপ্লিকেশন দেওয়া লেগেছিলো ওই একটি মাত্র দিন অনুপস্থিতির জন্য ।
একাল আর সেকাল । এক আকাশ তফাৎ ।
পরিশিষ্ট
আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)
তারিখ : ২৫ এপ্রিল ২০২৩
টাস্ক ২৪৬ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron
আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx
৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :
TX ID : 7eb5fdb62d0bb52166f0907e88de177922c11ecdbcdc271f77c9cc6dcf022b1f
টাস্ক ২৪৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি
Account QR Code
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনার ছোটবেলার স্কুল জীবনের ঘটনা গুলো শুনে খুব ভালো লাগলো, আমি খুব একটা স্কুল কামাই করিনি কিংবা পালানোর রেকর্ড নেই। একদিন রাগ করে স্কুলে যায়নি স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে বাহিরে ঘোরাঘুরি করছিলাম এই ছিল আমার জীবনে একদিন স্কুল পালানোর রেকর্ড।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি তো দেখছি দারুণভাবে স্কুল ফাঁকি দিয়েছেন। আপনার স্কুলে উপস্থিতির হার দেখে তো বেশ মজা পেলাম দাদা😅। তবে এখন স্কুল ফাঁকি দেওয়া ভীষণ মুশকিল। টিনটিন এত ছোট হয়েও এখনো স্কুল মিস দেয়নি জেনে ভালো লাগলো। হয়তো অসুস্থতার কারণে একদিন অনুপস্থিত ছিল। আশীর্বাদ করি সে যেন একজন ভালো মানুষ হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আজকের পোস্টটি পড়ে ১০০% মজা পেয়েছি।🤗খুব ভাল লাগলো আপনার স্কুল জীবনের গল্প পড়ে।সত্যি আপনার সময় আর এখন অনেক তফাৎ। আপনি তো আপনার বাবার কারনে বেঁচে গেছেন।এখন স্কুলে দরখাস্ত জমা দিতে হয়।আর অসুস্থ হলে প্রেসক্রিপশন ও দেখাতে হয়।যাক আপনি খুব রিলাক্স মুডে স্কুল করেছেন।কিছু সময়ের জন্যই আমিও স্কুল জীবনে চলে গিয়েছিলাম।আমিও নিয়মিত ছাত্রীটি ছিলাম।ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করার জন্য। খুব ভাল লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্কুলে ঘোড়ার ডিম পড়াশোনা হয় । বাড়িতেও ওই সময়টা আপনি ঘোড়ার ডিম পড়াশোনা করতেন,হা হা হা। এই অংশটা পড়ে আমি হাসঁতে হাসঁতে শেষ। দাদা আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে আপনার সহপাঠি আরিফ ভাইয়া এখন কি করে। তার কোন খুজ খবর আছে না কি আপনার কাছে। ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার ছোটবেলার স্কুলের স্মৃতি শুনতে পেরে বেশ ভালই লাগলো। ষ ছোটবেলায় আমিও আমার বাবার স্কুলেই পড়তাম। আমি যেদিন স্কুলে যেতাম না বাবা স্কুল থেকে বাড়িতে এসে আমাকে সাইজ করতো। ক্লাসের সবচেয়ে খারাপ স্টুডেন্ট আমি ছিলাম। লেখাপড়া একদম জিরো। আপনি স্কুলে না গিয়ে কমিকস, গেম এগুলো খেলতেন যেন বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম দাদা আপনার মতো আমিও ছিলাম স্কুল ফাকি বাজ ৷ যদিও মা অনেক বকাবকি করতো ৷ আবার স্কুলে গেলেও ৷ একবার তো ফেল করেছিলাম ৷ আসলে সেই ছোট্ট সময়ের কথা গুলো সত্যি বড় অদ্ভুত ৷ ভালো লাগলো আপনার জীবন কাহিনী স্কুল জীবনের ৷ তবে ভাগ্য ভালো আপনার বাবা ওই স্কুলের সভাপতি নয়তো কি যে হতো ৷
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনি আপনার বাবার স্কুলে পড়েছেন বলে এই অনুভূতি গুলো কখনোই পাননি আসলেই এ যে কি অনুভূতি যা না পাইলে বোঝা যাবে না। তবে এ ধরনের শাস্তি গুলো পাওয়ার থেকে দেখার মজাটাই আলাদা। আপনার মত আমরাও টিফিনে বাড়ি আসতাম এসে আর যেতাম না। অবশ্য বাড়িতে ফিরতাম না এদিক-ওদিকে ঘুরে বেড়াতাম। সব মিলিয়ে স্কুল লাইফটা সত্যি অনেক মজার। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা, আপনার ছোটবেলার স্কুল স্মৃতি পড়ে খুবই মজা পেলাম। সত্যিই দাদা একাল আর সেকাল যেন এক আকাশ তফাৎ। কেননা আগে স্কুলে অনুপস্থিতি অথবা টিফিনের সময় পালিয়ে গেলে মজার মজার সব শাস্তি পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর তেমনটা দেখা যায় না। আর হ্যাঁ দাদা, আপনার সাথে পড়ুয়া ছাত্র আরিফের মত আমার স্কুলেও একজন এমনই ছাত্র ছিল, যে কিনা লেখাপড়ায় খুবই দুর্বল ছিল। অথচ তার স্কুলে আসার উপস্থিতি অনেক অনেক বেশি ছিল। আর সেই ছেলেটি এখন সরকারি ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন। কার ভাগ্য কখন সহায় হবে সে বলা বড়ই মুশকিল। যাইহোক দাদা, আপনার ছোটবেলার স্কুল স্মৃতি নিয়ে খুবই মজার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দাদা আপনার স্কুল জীবনের গল্প দেখে খুবই হাসি পেল আমার। বিশেষ করে কিছু কিছু জায়গায় হাসি থামাতেই পারছিলাম না। টিফিনে বাড়ি চলে আসার পর , স্কুল ছুটির শেষে স্কুলের বন্ধু-বান্ধবীদের আপনার বাড়িতে ব্যাগ পৌঁছে দিতে যাওয়াটা সেরা ছিল। তাছাড়া আপনার স্কুলে উপস্থিতির হার তো দেখছি খুবই ভালো ছিল হা হা হা। তবে টিনটিন কিন্তু খুব উৎসাহের সাথে স্কুলে যায়,রাত্রেও তার স্কুলে যেতে পারলে ভালো হয় হিহিহি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একাল আর সেকালের মাঝে সত্যি বিস্তর তফাত আছে দাদা, তবে আরিফ কিন্তু সে যুগেও বেশ স্মার্ট ছেলে ছিলো, এ যুগে থাকলে দশ/বারোটা প্রেমিকা খুব সহজেই জুটে যেতো হা হা হা। যেহেতু আপনি বেশ ফাঁকিবাজ ছিলেন সেহেতু টিনটিন তার উল্টোটা হবে, যার নমুনা সে এখন হতেই দেয়া শুরু করেছে। টিনটিন স্কুলে নিয়মিত থাকবে এবং রেজাল্টও অনেক ভালো হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একাল আর সেকালের মধ্যে সত্যি অনেক তফাৎ। দাদা আপনার স্কুল জীবনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি দাদা আপনার বাবার স্কুল বলে আপনি গ্যাপ দিয়ে মজা পেতেন। আর এদিকে আপনার বাবা ও সাথে তাল দিতে। এমনি ছাই আর একটু বাতাস দিলে ঊড়ে যেত হা হা হা।যাইহোক দাদা বেশ ভালোই ইনজয় করেছেন স্কুল জীবন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কি ফাঁকিবাজ গো আপনি,,, দেখেই তো চক্ষুচড়কগাছে। এটা কোনো কথা,,বাবার পাওয়ারে স্কুলে অনুপস্থিতি। আর বাবাও তাল মিলিয়ে চলেছে আপনার সাথে।অবশ্য ঝড়ের দিনে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি থাকলে আমার নিজেরই খুশি লাগত।কিন্তু সেটা প্রায়ই হতো না স্কুলে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টি থেমে যেত।যাইহোক বেশ মজা পেলাম।তবে বর্তমান সময়ে স্কুলে না যাওয়া হলে গার্ডিয়ানসহ কৈফিয়ত দিতে হয়🤣।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রিয় দাদা আপনাকে পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে।প্রিয় দাদা, বছরের ১২ মাস মিলে মাত্র ১০১ দিন ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন আপনি। আপনার ক্লাসের উপস্থিতির হারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। সত্যিই দাদা আপনি একজন আইডিয়াল স্টুডেন্ট ছিলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
😄
দারুন দারুন 😍
ভালো ছাত্রদের এতো পড়াশোনা করতে হয় না 😅 আর স্কুলে এতো যেয়ে কি কাজ। তবে আমার ক্ষেত্রে মায়ের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে বেশি স্কুল কামাই দিতে পারতাম না। তবে ছাত্র মোটামুটি ভালো ছিলাম। দাদা আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে ছোট বেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম মনে হয়।
তবে সত্যিই তখনকার সময় আর এখনকার সময় বিশাল ফারাক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার মতে ভাই, সেকালই বেশি ভালো ছিল। এখন তো যা তা অবস্থা হয়েছে। তবে বেশ উপভোগ করলাম আপনার ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিচারণ, অনেকটা মিল পাচ্ছিলাম আমার নিজের জীবনের সঙ্গে।
হয়তো তেমনটা হয়েছিল বিধায়, আজ টুকটাক স্মৃতি হাতড়ে কিছু লিখতে পেরেছেন।
তবে টিনটিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি,
শুভেচ্ছা রইল 😊❤️🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি যেহেতু আপনার বাবার স্কুলেই পড়তেন দাদা,তাই এই সুযোগ সুবিধা গুলো পেতেন।আর আপনার বাবা তো বেশ ভালোই ছিলেন,স্কুলে পড়া হয়না তেমন তাই বাড়িতে পড়তে বলতেন।আর বাড়িতেও সেই একই অবস্থা করতেন আপনি ।তারপরেও সবসময় ভালো রেজাল্ট করে আসতেন।আর আরিফ নামের ছেলেটা স্কুল কামাই করতেননা,তারপরেও রেজাল্ট খারাপ।দুই একজন থাকেই এরকম স্কুলে যাওয়ার প্রতি সিরিয়াস,কিন্তু পড়াশুনার প্রতি না। আমারও স্কুল খুব কম কামাই দেওয়া হতো,আব্বু স্কুল মিস দিলে রাগ করতেন এজন্য।এদিকে টিনটিন বাবুর মাত্র একদিন অনুপস্থিতি তাও অসুস্থতার কারণে,তাই আবার এপ্লিকেশন দেওয়া লেগেছে।একাল আর সকাল ঠিকই বলেছেন দাদা।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নিল ডাউন শাস্তি কেমন ছিল দাদা বুঝলাম না।তাছাড়া আপনার বাবা টিচার থাকার ফলে খুব সহজেই স্কুল ছুটি করতে পারতেন।লবডঙ্কার মতোই টিনটিন বাবু যে স্কুল ছুটি করে না এটা জেনে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহ্,, কি মধুর স্বপ্নের মত ছিল দিনগুলি। স্কুল ফাঁকি দেয়ার মাঝে আসলেই অনেক মজা আছে।
আমি প্রায়ই পেটে ব্যথার কথা বলে স্কুল কামাই দিতাম। প্রায়ই পেটে ব্যথার কথা শুনে আম্মু আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল । আমি মনে মনে ভাবতাম ঘোড়ার ডিম করবে ডাক্তার, আমার তো আসলে কিছুই হয় নাই। 🤣🤣😨
অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন দাদা। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বন্ধুরা গাব পাড়তে চলে যেতাম। ঘুড়ি বানাইতাম বাগানে বসে, আরো কত কি।।
এটা কিন্তু সত্য এখনকার জেনারেশন এর স্টুডেন্টরা এই মজাটা কখনোই নিতে পারবে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হি হি হি। দাদা আপনার স্কুল ফাকিঁর গল্প শুনে কিছুক্ষন হাসলাম এই আর কি। আসলে দাদা আগে তো স্কুল ফাঁকি দেওয়ার অনেক উপায় ছিল। কিন্তু এখন তো অনেক করাকরি হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের টিনটিন সোনা তো একেবারে আপনার বিপরীত। একদিনও স্কুল ফাঁকি দেয় নি। যদিও বা একদিন স্কুলে যায়নি সেটাও অসুস্থ্যতার কারনে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন দাদা ঘোড়ার ডিম পড়া হবে যে দিনটা ফাকি হয়ে যায় সেদিন ফাকির মধ্য দিয়ে চলে যায়। অনেক আনন্দ এবং নিজের ইচ্ছামত ঘুরাঘুরি করেই কাটিয়ে দেওয়া যায়। সেই দিনগুলো কতইনা মধুর ছিল। স্কুল লাইফটা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় সেইসময়ের স্মৃতি সবারই কমবেশি রয়েছে যেটা সত্যিই অনেক মধুর। যেটা কখনো ভুলবার নয় দাদা আপনার জীবনের স্কুল লাইফের গল্প পড়ে সত্যিই অনেক মজা পেয়েছি। তার সাথে আমাদের অনেকটা মিল আছে অনেক ভালো লাগলো। বর্তমান সময়ে নিয়মে ভরা পরিবেশটা একদমই আলাদা টিনটিন বাবু মাত্র একদিন অনুপস্থিতিতেই অ্যাপ্লিকেশন দিতে হয়েছে আসলেই দাদা কথাটি সত্য এ কাল আর সেকাল সবই পরিবেশ।☺️☺️💖😍
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আহা দাদা আমিও আপনার মত স্কুল কামাই করতে বেশ পটু ছিলাম। কখনো কখনো আবার স্কুল যাওয়ার নাম করে করে বন্ধুর বাড়ি গিয়ে ক্যারাম খেলায় মত্ত হয়ে যেতাম। হিহিহিহি। ধরা পড়ে মারও খেয়েছি প্রচুর। আপনার লেখাগুলো পড়তে পড়তে পুরনো সেই দিনে ফিরে গিয়েছিলাম। তবে এখন সব স্কুলের নিয়ম কানুন বেশ কড়া। তাই ইচ্ছে করে ফাঁকি দিলে ভীষণ ঝামেলা হয়। তবে আমার বিশ্বাস টিনটিন বেশ মনোযোগী হবে স্কুল আর পড়াশোনা নিয়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এটা জেনে রাখা ভালো যে টিনটিন স্কুল মিস করে না, সে যত বেশি ক্লাস নেয়, তার মন তত শক্তিশালী হয়। ভালো প্রতিফলন দাদা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেতের বাড়ি আপনাকে কখনো খেতে হয়নি এই জন্য শাস্তিগুলো মজার মনে হয়েছে আপনার কাছে। অবশ্য একটা কথা ঠিকই বলেছেন। আগেকার দিনে স্কুলে যাওয়া নিয়ে এত কড়াকড়ি ছিল না এখনকার মত। তবে এখন দিন বদলেছে। কতটা বদলেছে সেটা আপনি টিনটিনের অবস্থা দেখেই আশা করি বুঝে গিয়েছেন। আপনার পোস্টটা পড়ে ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আমি অবশ্যই রেগুলারই স্কুলে যেতাম। কারণ আমি যেই স্কুলগুলোতে পড়েছি সেখানকার ডিসিপ্লিন ছিল অত্যন্ত কড়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যুগ পাল্টেছে সাথে স্কুলের রীতিনীতি ও পাল্টেছে দাদা! আপনি দেখছি আপনার বাবার কারণে বরাবরই বেচেঁ গেলেন 😁। না হয় তো রক্ষে ছিল না! স্কুলের হাজিরা খাতায় উপস্থিতি শূন্য তারপরও আপনাকে কিছু বলেনি! শুধুমাত্র আপনার বাবার জন্য! আর এখন দেখেন! টিনটিন বাবু একদিন স্কুলে না যাওয়ায় সেটার জন্য এপ্লিকেশন দেয়া লাগছে। কতটা পরিবর্তন হয়েছে 🙂
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এখন কি আর সেদিন আছে নাকি দাদা। আমাদের সময় তো স্কুল ফাঁকি দিয়ে সারাদিন ভিডিও গেমসের দোকানে থাকতাম কিংবা মাঠে সারাদিন ক্রিকেট খেলতাম। আর পরীক্ষার সময় প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় অনুপস্থিতির জন্য কিছু টাকা জরিমানা দিতাম। ব্যাস হয়ে যেত। তবে স্কুল ফাঁকি দেওয়া কিংবা টিফিনের সময় পালানোর জন্য হাতে বেতের বাড়ি কয়েকবার খেয়েছিলাম। কিন্তু স্কুলে কম গেলেও পড়া পারতাম সবসময়। তবে আপনার বাবার স্কুল হওয়াতে আপনার তো সবদিক দিয়েই সুবিধা ছিল। আপনার কথাগুলো দারুণ লেগেছে দাদা। যাইহোক টিনটিন বাবুর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সত্যি বলতে দাদা তখনকার সময়ে যদিও স্কুল মিস দেওয়ার চান্স ছিলনা। কারণ বাড়ির পাশে স্কুল হওয়াতে স্কুলে যাচ্ছি কিনা সেটি তদারকি করতে পারতো। যাইহোক দাদা আপনার স্কুল জীবনের কাহিনী পড়ে খুব বেশি মজা পেলাম। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সেকালই বেস্ট। একাল রোবটিক, যান্ত্রিক লাগে। সেকালে ডিসিপ্লিন কম ছিল, দুরন্তপনা ছিল। এটাই ভাল ছিল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit