ছোটবেলায় কালবৈশাখীর সাঁঝে আম কুড়ানোর মজা

in hive-129948 •  6 months ago 

mango-tree-164973_1280.jpg
Copyright Free Image Source : PixaBay


চৈত্র মাস শেষ হতে চললো । আর দিন কতক পরেই নববর্ষের সূচনা । বৈশাখে মাসে হঠাৎ হঠাৎ যে তীব্র ঝড় ওঠে তার নামই "কালবৈশাখী" । বৈশাখের তীব্র গরমের কোনো এক দিনের অপরাহ্ন বেলায়, সাঁঝের বেলায় বা গভীর রাতে হঠাৎ তীব্র ঝড় ওঠে । ক্ষণিকের এই ঝড়ে তছনছ করে দিয়ে প্রকৃতি । ঝড়ের সাথে শুরু হয় কখনো সখনো মুষলধারে বৃষ্টি । এই ঝড় প্রকৃতিতে কিছুটা লন্ডভন্ড প্রভাব ফেললেও মোটের উপর বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া এনে দেয় । তীব্র, ভ্যাপসা গরম থেকে অন্তত কয়েকটি ঘন্টার জন্য মুক্তি মেলে এই কালবৈশাখীর জন্য ।

আমাদের ছোটবেলায় কালবৈশাখী ঝড়কে মোটেও ভয় পেতুম না । ঝড় বরং আমার সব সময়ই বেশ পছন্দের ছিল । ঝড়ের আগে আকাশ কালো মেঘে ঢেকে চারিদিক অন্ধকার করে যাওয়া, হঠাৎ বাতাস পড়ে গিয়ে চারিদিকে থমথমে প্রকৃতির রূপ দেখতে আমার দারুন ভালো লাগে । এই সময়টাতে পাখিরা প্রাণপণে ডানা ঝাপটে ঝাপটে আর কুলায় ফেরে । আসন্ন ঝড়ের হাত থেকে তাদের খড়-কুটোর বাসা বাঁচানোর তাগিদে তারা যত দ্রুত সম্ভব কুলায় ফেরার চেষ্টা করে । আসন্ন ঝড়ের ব্যাপারটা টের পায় কীভাবে যেন পাখিরা, তীব্র স্বরে তাই চিৎকার করতে থাকে তারা ।

বৈশাখে আমগাছের ডালে আমের মুকুল থেকে কেবলমাত্র কচি কচি আম গজায়, এই কচি আমকে বলে আমের গুঁটি । এই সময় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে আমের গুঁটি গাছ থেকে ঝরে পড়ে । এই আমের গুঁটি কুড়ানোর মধ্যে দারুন এক উত্তেজনা কাজ করতো আমাদের ছোটবেলায় ।

যদি কালবৈশাখী অপরাহ্ন বেলায় হতো, তাহলে আমরা বিকেলবেলায় বন্ধুরা সবাই দলবেঁধে আম কুড়োতে যেতুম । এই সময় আম কুড়োনো নিয়ে কাড়াকাড়ি, ঝগড়াঝাঁটি এমনকি মারামারি পর্যন্ত হয়ে যেত । সন্ধ্যে অব্দি চলতো আমাদের আম কুড়োনোর মিশন । এরপরে কুড়োনো আমের আঠার থেকে বাঁচতে ভালো করে জলে কচলে কচলে ধুয়ে নিয়ে আমরা সবাই মিলে চলে যেতুম পুকুরপাড়ের বাঁধানো ঘাটের কাছে । ঘাটে বসে যে যার ঝিনুক বের করতাম আর আমের গুঁটির ছাল ছাড়িয়ে নুন লঙ্কা মাখিয়ে উস উস করে নালে ঝোলে ভীষণ টক সেই কাঁচা আম গপাগপ করে খেয়ে নিতাম ।

আবার কালবৈশাখী ঝড় যদি সন্ধ্যা বা রাত্তিরে হতো তখন আমরা সারা রাত ধরে ছটফট করতে থাকতুম যে সকালে ঘুম থেকে উঠেই কখন আম কুড়োতে যাবো । কালবৈশাখীর পরের দিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেই ছুটতাম আমগাছের তলে । গিয়ে দেখতুম রাশি রাশি আমের পাতার মধ্যে এখানে সেখানে সদ্য কাদা কাদা মাটির উপরে পড়ে রয়েছে আমের গুঁটি । শুরু হয়ে যেত সেগুলো সংগ্রহের দারুন এক প্রতিযোগিতা । আর এক প্রস্থ ঝগড়া, মারামারি হতো বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে । তারপরে স্কুল থেকে ফিরেই অমনি পুকুরঘাটে চলে যেতুম কুড়োনো আম নিয়ে । আর তারপর ? তারপরে কি হতো তা আগেই বলেছি ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

Good morning dad, if the mango is a very juicy and tasty fruit, here in my country Venezuela there are different types of mangoes like the mango: Bocado, Hilacha, Pico de loro and Manga.

Congratulations, your post has been upvoted by @upex with a 40.39% upvote. We invite you to continue producing quality content and join our Discord community here. Keep up the good work! #upex

This is a very interesting post you have shared Dada, I can relate to the joy that comes from picking mangoes.

When I was a child, we do climb the mango tree to pluck the mango because of how impatient we use to be 😀😀.

Thank you for sharing with us 😊❤️❤️❤️

খুব ভালো লাগলো শৈশবের আম কুড়ানোর গল্পটি।ছোটবেলায় যারা গ্রামে ছিলো তারা এই গল্পটি পড়তে পড়তে নিজের ছোটবেলায় চলে যাবে নিঃসন্দেহে।এবং নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে ফেলবে। সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে আমের আঠা ওঠানো এবং বাঁধানো পুকুর ঘাটে গিয়ে ঝিনুক বের করে আমের ছাল ছড়িয়ে নুন,লঙ্কা দিয়ে নালে ঝোলে উস উস করে আমের গুটি গপগপ করে খাওয়ার স্মৃতিচারণ।ধন্যবাদ দাদা খুব সুন্দর ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

তারপর হলো ঝিনুক দিয়ে আম এর খোসা ছাড়িয়ে লবণ মরিচ দিয়ে খাওয়া শুরু করতেন।কিন্তু এই ঝিনুকটা ঠিক কি তা বুঝতে পারলাম না।ঝিনুক মানে তো জানি শামুক এর খোলস টাই।

ঝিনুক বলতে আমার মনে হয় আপু, যেগুলো চ্যাপ্টা অর্থাৎ চামচের মতোন দেখতে সেগুলো। গ্রাম অঞ্চলের অনেকে এই ঝিনুক গুলো চামচ হিসেবে ব্যবহার করে। ঝিনুকের এক পাশের অংশ খুবই ধারালো থাকে তা দিয়ে অনেক কিছু কাটা যায়।

দাদা আমিও কালবৈশাখী ঝরকে ভয় পেতাম না। আরো আনন্দে আত্নহারা হয়ে যেতাম। ছোট বেলার কথা মনে পরে গেলো আপনার ব্লগটি পড়ে। দাদা সবারই এরকম অনেক স্মৃতি রয়ে যায়। যার মধ্যে আমরা আর ফিরে যেতে পারি না। ছোটবেলাকার আম করানোর মজা ছিল আলাদা। শুধু একা নয় অনেকের সাথে দৌড়াদৌড়ি করে আম করানোর মজা এখুনো ভুলতে পারিনা। যা এখন স্মৃতি হয়ে গেছে। আপনার ছোটবেলার আম করানোর ঘটনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

ঝড় হলে আমরাও ভয় পেতাম না দাদা। ছোটবেলায় ঝড় হলে আমরা আম কুড়ানোর জন্য ঝড়ের আগে আগে দৌড়াতাম ।দেখতাম আকাশে অনেক মেঘ চারদিকে বাতাসের ঠেলা হালকা হালকা বৃষ্টি তাও সব সাথীরা মিলে আম কুড়াতে যেতাম ।ঠিক বলেছেন দাদা আমের গুঁটি কুড়ানোর মধ্যে দারুন এক উত্তেজনা কাজ করে ।আমরা ছোট আমের গুটি কুড়িয়ে নিয়ে সেগুলো অনেক সুন্দর ভাবে কেটে ঝাল দিয়ে মাখিয়ে সেগুলো খেতাম ।আমরাও সকালে ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে আম করানোর উদ্দেশ্যে চলে যেতাম ।কিন্তু কয়েকদিন যেয়ে দেখতাম আমগুলো নেই ।আমাদের আগে ঘুম থেকে উঠে অন্য জন আমগুলো করিয়ে নিয়ে গিয়েছে ।ধন্যবাদ দাদা ছোটবেলার এই স্মৃতিগুলো মনে করে দেওয়ার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Posted using SteemPro Mobile

恭喜,您的帖子已被@upex点赞,得票率为 40.39%。我们邀请您继续制作优质内容并加入我们的 Discord社区。保持良好的工作!

সত্যি দাদা এই কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানোর মজাটাই আলাদা। একদিকে ঝড় হচ্ছে আর অন্যদিকে আম গাছ থেকে আম পড়ছে এই বিষয়টি যারা সত্যিকারের উপলব্ধি অথবা সত্যিকারে দেখেনি তারা কখনো এই মজা শুনে পাবেনা। আর এই ঝিনুক তৈরির জন্য আমরা আগে থেকেই ঝিনুক সংগ্রহ করে সেই ঝিনুক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় আমের ছাল ছাড়ানোর জন্য তৈরি করতাম। কারণ পুরো আমের সময়টাতে এই ঝিনুক দিয়ে আমরা আমের খোসা ছাড়িয়ে লবণ দিয়ে সেই আম খেতাম। আজকের দাদা আপনার এই পোষ্টটি পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

দাদা আপনার লেখাগুলো পড়ে নিজের শৈশব জীবনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। তখন কোন ভয় ছিল না। কালবৈশাখী ঝড় হলেও বেরিয়ে পড়তাম আম কুড়ানোর জন্য। বড় হওয়ার সাথে সাথে ঝড় বৃষ্টি দেখলেই এখন ভয় লাগে। কিন্তু তখন ভিতরে কোন ভয় ছিল না। কাঁচা আম লবণ মরিচ এগুলো দিয়ে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগতো।

সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতাম না আমরা কারণ ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যাবে। তাই ঝড়ের তীব্রতা কিছুটা কমে আসলেই ছাতা নিয়ে অথবা গোসলের প্রস্তুতি থাকলে এমনিতেই বালতি নিয়ে বের হয়ে যেতাম। এক বিশাল প্রতিযোগিতা। চারপাশ থেকে সবাই চলে আসতো কার আগে কে আধাপাকা ও বড় আমগুলো কুড়াবে। সে এক অন্যরকম আনন্দের অভিজ্ঞতা ছিল।

আশা করি শ্রদ্ধেয় দাদা ভালো আছেন? আসলে সত্যিই কালবৈশাখী ঝড়ের দিনে আম কুঁড়ানোর অনুভূতি বেশ দারুন হয়ে থাকে। ঝড়ের আম নিচে পড়লে কে কত বেশি কুঁড়াতে পারে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম। আম কুঁড়ানোর আনন্দ বেশ দারুন । পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। শ্রদ্ধেয় দাদা ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন দাদা।

দাদা আপনার আজকের ঝড়ের দিনের আম কুড়ানোর গল্প পড়তে পড়তে হারিয়ে গিয়েছিলাম ছেলেবেলার স্মৃতির মাঝে। যদিও আমরা তখন আপনাদের মত এত মজা করে আম কুড়াতে পারিনি। তবুও কিন্তু আমরাও আম কুড়াতাম আর সেই আম মজা করে খেতাম। ধন্যবাদ দাদা এমন করে ছেলেবেলার স্বাদ এনে দেওয়ার জন্য।

শৈশবের দারুণ স্মৃতিগুলো সামনে এনে দিলেন দাদা, সত্যি তখন ভয়ানক এই ঝড় উপেক্ষা করে ঠিক ছুটে যেতাম এলাকায় থাকা বড় বড় আম গাছগুলোর তলায়, ভিজে ভিজে আম কুড়ানোর দারুণ মজা পেতাম তখন।

কালবৈশাখীর ঝড় আমার বেশ ভালোই লাগে, কারণ ঝড়ের পর ওয়েদার ঠান্ডা থাকে এবং আরামে ঘুমানো যায়। যাইহোক ছোটবেলায় আমরাও এভাবে আম কুড়াতাম। কালবৈশাখী ঝড়ের পর আম গাছের তলায় প্রচুর আম পড়ে থাকতো। তবে কাঁচা আমের চেয়ে পাকা আম, আমার সবসময়ই বেশি পছন্দ। তবে সবাই একসাথে আম কুড়ানোর পর, লবণ এবং মরিচের গুঁড়া মিক্সড করে কাঁচা আম দিয়ে খেতে দারুণ লাগতো। দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছে। সেই দিনগুলো আসলেই চমৎকার ছিলো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

আমার মনে হয় যারা গ্রামের জন্ম নিয়ে শৈশব কৈশোর কাটিয়েছে, তাদের সবার জীবনে কালবৈশাখীর দিনে আম কুড়ানোর স্মৃতি রয়েছে। আমরাও ছোট সময় এরকমভাবে আম কুড়িয়েছিলাম।। কালবৈশাখীর সময় আমরা যখন বাড়ির বাহিরে থাকতাম তখন আমাদের মা-বাবারা অনেক টেনশনে থাকতো। আসার পরে অনেক সময় আমাদেরকে মারতো,আমাদের দাদা তখন আমাদেরকে সেভ করতো। আপনার ব্লগ টি পড়ার পরে এসব স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে ছোট বেলায় যত কিছু পার করে এসেছি, প্রতিটি কাজই বর্তমান মনে পড়লে আবার ফিরে যেতে মন চায় সেই শৈশব কালে। বৈশাখ মাসে আম পরিপক্ক না হলেও সেই আম কুড়ানোর মাঝে অন্যরকম আনন্দ ছিল। কিন্তু বর্তমান আর সেই আনন্দ টি নেই। অপরিপক্ক আম গুলো কুড়িয়ে পকেট ভর্তি করে বাসায় ফিরতাম। তবে দাদা আপনার শৈশবের বৈশাখ মাসে আম কুড়ানোর সাথে আমার শৈশব কালে আম কুড়ানোর কিছু মিল রয়েছে।

কিছুক্ষণের জন্য শৈশবে চলে গিয়েছিলাম দাদা। তবে দাদা আপনাদের মতো কিন্তু ঝগড়া করেনি, বলতে গেলে ফাকাঁ মাঠে গোল দিয়েছি। গাছের নিচে পড়ে থাকতো আর সেগুলো কুড়িয়ে চলে আসতাম। মজার ব্যাপার হলো, আমাদের গাছের আমই বেশি কুড়ানো হতে। লবণের সাথে খেতে যে মজা লাগতো! আপনার খাওয়ার বর্ণনা দেখে অলরেডি লোভ লেগে গিয়েছিল দাদা। 🙆‍♂️

আমি তো কালবৈশাখী ঝড়ের ভয়ঙ্কর রূপটি দেখে অনেক ভয় পেতাম । সবাই অনেক ভয় থাকত । হঠাৎ করে ঝড়ো বাতাস কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানোর মজাই আলাদা। যেটা ভালোই উপভোগ করেছি। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে সবার আগে গিয়ে আম কোড়ানো। যখন সবার থেকে বেশি আম কুড়িয়ে নিয়ে আসতাম সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট পড়ে দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

খুব সুন্দর একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন দাদা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে যেনো এই জিনিসগুলো জীবন থেকে হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। 😥

  ·  6 months ago (edited)

জি দাদা বৈশাখ মাস মানেই যেনো ঝড়ের মাস৷ কখনো গরম যার প্রেক্ষিতে মুষলধারে বৃষ্টি আর ঝড় ৷ তবে সবার শৈশব জীবনটা দারুন কাটে ৷ কারন এ ঝড়ের দিনগুলি তে বন্ধুরা মিলে আম কুড়ানোর আনন্দ টাই ছিল আলাদা ৷
যা হোক আপনার পোষ্ট টি শৈশব জীবনের কথা মনে পরলো ৷

Posted using SteemPro Mobile

ভাই বানানের দিকে একটু খেয়াল রাখো।আর লাইন গুলোর স্পেস ঠিকঠাক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করো।

Posted using SteemPro Mobile

দুঃখিত দাদা আসলে আমার হাতের সমস্যা লিখেত পারি না ৷ তাই ভুল করছি

Posted using SteemPro Mobile

এমন অভিজ্ঞতা আমারও আছে ভাই, ছোট বেলায় দাদু বাড়িতে গেলে বৈশাখ মাসে, লবণ আর মরিচ গুড়ো সঙ্গে নিয়েই ঘুরতাম আর সঙ্গে ছিল ছোট চাকু, আম পেয়ে গেলেই চলতো আম খাওয়া। উফ দারুণ ছিল সময় গুলো । এক নিমিষে যেন শৈশব স্মৃতি চোখের সামনে ভাসলো।

বেশ ভালো লাগলো লেখাটি।

তোমার ছোটবেলার সাথে আমার ছোটবেলার পুরোপুরি মিল রয়েছে দাদা। যখন কালবৈশাখী ঝড় হতো, তখন আমরাও বন্ধুরা মিলে আমের গুঁটি কুড়ানোর জন্য পাগল হয়ে যেতাম। তারপর ওই একই ভাবে ঝিনুক দিয়ে আমরা আমের গুঁটির ছাল ছাড়িয়ে নুন লংকা মাখিয়ে খেতাম। দাদা, তোমার পোস্ট পড়ছিলাম আর সেই কথাগুলোই মনে পড়ছিল এত বছর পরে।

কালবৈশাখি ঝড়ের আভাস দেখলে আমি কেন জানি ভয় পেতাম। এখনও কিছু টা ভয় করে। তবে মনের মধ্যে আম কুড়ানোর অনূভুতি টাও অবশ‍্য কাজ করত। কালবৈশাখি ঝড়ে আম কুড়ানো নিয়ে আমি তো বেশ কয়েক বার মারামারি করেছি দাদা। এবং আপনার সঙ্গে আমার স্মৃতিগুলো একেবারে মিলে গেছে। সেই ঝিনুক দিয়ে আমের খোসা ছাড়িয়ে নুন মাখিয়ে খাওয়া। আফসোস আর কী ফিরে পাব সেই জীবন।

Posted using SteemPro Mobile