ছোটগল্প "রক্তঝরা অভিশপ্ত রাত" - ০১

in hive-129948 •  3 years ago 

[ঐতিহাসিক সত্য ঘটনা অবলম্বনে নিচের গল্পটি রচনা করা হয়েছে । এর আগে একাধিক খ্যাতিমান লেখক এই রক্তজল করা সত্য ঘটনা অবলম্বন করে অনেক গুলি গল্প রচনা করে গিয়েছেন । তন্মধ্যে "সিংহ কবলিত যাত্রী ট্রেন", লেখক বীরু চট্টোপাধ্যায়, গল্পটির কিছু কিছু অংশ এখনো মনে আছে । খুব ছোটবেলায় শিশুসাথীর পূজাবার্ষিকীতে গল্পটি পড়েছিলুম।
তবে, আমার আজকের লেখাটি একেবারেই সত্য ঘটনা অবলম্বনে মৌলিক লেখা ]



কপিরাইট ফ্রী ইমেজ সোর্স : Pixabay


ফ্রিকা । অন্ধকারাছন্ন মহাদেশ তখন ব্রিটিশ রাজের আলোকবর্তিকার নিচে দীপ্তমান হচ্ছে একটু একটু করে । একদিকে যেমন দেশটি উন্নত হচ্ছে অন্যদিকে এর অধিবাসীদের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে দ্রুতগতিতে ।

অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে দিন দিন আফ্রিকার আদিম সন্তানেরা । তাদেরই রক্ত আর ঘামের উপর গড়ে উঠছে ইংরেজ আর ফরাসীদের স্বপ্ন ইমারত । সাদা চামড়ার মানুষেরা কালো চামড়ার এই সব নিগ্রোদের মানুষই জ্ঞান করে না । অন্ধকার আফ্রিকার ঘন অরণ্যের বুক চিরে সাপের মতো এঁকে বেঁকে সুদীর্ঘ অনেকগুলি রেল লাইন বসানো হয়েছে । সভ্যতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।

মোম্বাসা থেকে আফ্রিকার বিখ্যাত লেক ভিক্টোরিয়া অব্দি হাজার মাইল জুড়ে আদিম অরণ্য । সপ্তাহে দু'দিন এই রেল লাইনের বুক চিরে ঘন আদিম অরণ্যের মধ্যে দিয়ে ট্রেন ছুটে চলে । এমনই এক সন্ধ্যায় ভিক্টোরিয়া লেকের রেলওয়ে কমকর্তারা টাউন হলে এক মিটিঙে বসেছেন । খুবই জরুরি মিটিং । নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হলেও যে ট্রেনটা মোম্বাসা থেকে আসার কথা সেটি এখনো আসেনি । অথচ তার রওনা নির্ধারিত সময়েই হয়েছে । টেলিগ্রাম মারফত সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে ।

তাহলে ? কেন এলো না ট্রেন ? পুরো একটি দিন কেটে গিয়েছে এর মধ্যে । ট্রেনের দেখা নেই । শ'খানেক যাত্রী ছিল ট্রেনটাতে । কি হলো ? ট্রেন কি মাঝপথে ইঞ্জিনের গোলমালে পড়েছে ? যাই হোক, কর্তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেন যে আজ রাতেই রিলিফ ট্রেন রওনা হবে । উদ্ধারে নেমে পড়তে হবে যত দ্রুত সম্ভব ।

সন্ধ্যের একটু পরেই রিলিফ ট্রেন যাত্রা শুরু করলো । পরেরদিন দুপুরের দিকে লেক ভিক্টোরিয়া থেকে প্রায় পাঁচশত মাইল দূরে গভীর জঙ্গলের মধ্যে নিখোঁজ ট্রেনটির সন্ধান মিললো । দ্রুত রিলিফ ট্রেনটি থেকে স্বশস্ত্র গার্ডের একটা দল বেরিয়ে এসে নিখোঁজ ট্রেনটির চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লো । খুব দ্রুত হঠাৎই গার্ডেদের হুইসল বাজতে লাগলো । ঘন ঘন । বিপদের গুরুত্ব আঁচ করতে পেরে এবার রিলিফ ট্রেন থেকে সেনার একটি দল নেমে গেলো । দ্রুত তৎপরতার সাথে তারা ট্রেনটির চতুর্পাশে প্রহরায় নিযুক্ত হলো ।

এবার রিলিফ ট্রেন থেকে তদন্তকারী দল, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং কিছু রেলওয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নামলেন । ভিক্টিম ট্রেনটির চালক, গার্ড এবং যাত্রীদের সাথে কথা বললেন । অবশ্য তার আগেই তারা আগের দুই রাতের ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার আঁচ করতে পেরেছেন । ইঞ্জিনটি লাইনচ্যুত হয়ে একদিকে হেলে রয়েছে, একটি কামরার কাঠের দরজা ভাঙা । আরেকটি কামরার কাঠের ছাদ ভেঙে পড়েছে। ট্রেনের প্রত্যেক কামরার চারপাশে চাপ চাপ রক্ত, শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মানব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আর ইতস্তত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অন্তত কুড়িটি সিংহের মৃতদেহ । এসব দেখে যা বোঝার আগেই বুঝে নিয়েছেন তদন্তকারী দল ।

এরপরে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হলো এক হৃদয় বিদারক ঘটনা ।

মোম্বাসা থেকে যাত্রা শুরু ঠিকঠাকই হয়েছিল একদম । ছ'টি বড় কামরা আর একটা ওয়াগন নিয়ে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি । যাত্রাপথ বেশ নির্বিঘ্নই ছিল বলা চলে । বিপত্তির সূত্রপাত হয় হঠাৎই একদল পোকাকে কেন্দ্র করে ।

"পোকা !!!", এক রেলওয়ে কর্মকর্তা অবাক বিস্ময়ে বলে ফেললেন ।

"আজ্ঞে হ্যাঁ, পোকা, শুঁয়োপোকা ।", বললেন ইঞ্জিন ড্রাইভার ।

"হঠাৎ দেখি স্যার, সামনে রেল লাইন নেই । সবুজ ঘাস বিছানো । আমি হতভম্ব হয়ে ব্রেক চাপি । ইঞ্জিনের গতি কমে আসতেই তখন বুঝতে পারি যে লাইন কেউ তুলে নেয়নি । সামনে শুঁয়োপোকার বিশাল একটি দল চলেছে রেল লাইন ঢেকে। আমি আর স্যার ট্রেন না থামিয়ে চালিয়ে দিলাম তাদের উপর দিয়েই । আর বিপদের সূত্রপাত সেখান থেকেই ।"

লক্ষ লক্ষ শুঁয়ো পোকা গাড়ির ভারী লোহার চাকার সাথে জড়িয়ে যেতে লাগলো । তাদের চটকানো দেহপিন্ডে অসম্ভব পিচ্ছিল হয়ে গেলো লাইন । চাকা বার বার হড়কে যেতে লাগলো । আরেকটু গতি বাড়ানো মাত্রই হঠাৎ ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে বিকট একটা শব্দ করে থেমে গেলো ।

যে ওয়াগনটা ট্রেনের সাথে যাচ্ছিলো সেটায় একটা ক্রেন ছিলো । তখন বিকেল বেলা । সব যাত্রী কামরা থেকে নীচে নেমে পড়লো । যুবক ও সমর্থ পুরুষেরা ক্রেনের সাথে ইঞ্জিনটাকে লোহার জয়েস্ট দিয়ে বাঁধার কাজে যোগ দিলো । মেয়েরা এক জায়গায় বসে গল্প করতে লাগলো, কেউ কেউ আশ পাশটা একটু ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলো ।

গার্ডরা এসে বারবার যাত্রীদের কামরায় ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করতে লাগলো । তাদের মনে কু গাইছে, ভাবগতিক সুবিধের নয় মোটেও । যাত্রীরা অবশ্য গার্ডদের কথায় মোটেও কান দিলো না । ফকফকে দিনের আলো, কি সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ । ভয় কিসের ?

এর মধ্যে দুই ঘন্টার অমানুষিক পরিশ্রমে ইঞ্জিনের সাথে লোহার জয়েস্ট দিয়ে ক্রেন বাঁধা হলো । সবাই নিশ্চিন্ত । আর কয়েকটা মুহূর্ত । এক্ষুনি ক্রেন চালিয়ে ইঞ্জিন লাইনের উপরে তোলা হবে । আর কিছুক্ষনের মধ্যেই যাত্রা শুরু । সূর্যাস্তের সময় আসন্ন তখন। অনেকেই ক্যামেরা বাগিয়ে বনভূমির প্রান্তরে সূর্যাস্তের ছবি তোলায় ব্যস্ত । এমন সময় নিদারুন দুঃসংবাদ পাওয়া গেলো ।

ক্রেনে জ্বালানি অতি সামান্য আছে । ক্রেন চলবে না ।

দ্রুত ডিসিশন নেওয়া হলো সবাই মিলে যে, ক্রেন না চলুক যাত্রীরাই একসঙ্গে ধাক্কা দিয়ে ইঞ্জিন লাইনের উপর তুলে দেবে । সমর্থ পুরুষেরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লেগে গেলো ইঞ্জিন তোলার কাজে । আর মেয়েরা কাঠকুটো জড়ো করে তাতে অগ্নি সংযোগ করে ছোট ছোট অগ্নিকুন্ড রচনা করলো । সেই আগুনের পাশে বসে কেউ কেউ গল্প করতে লাগলো । আবার কেউ কেউ স্টোভ ধরিয়ে চা, কফি তৈরী করতে লাগলো । বেশ একটা পিকনিক পিকনিক মেজাজ ।

একটি বছর দশ বয়সের ইংরেজ বালক তার মায়ের পাশে বসে বিস্কুট খাচ্ছিলো । অগ্নিকুন্ডের দিকে পিছন ফিরে বসে তারা । এমন সময় একটা চাপা জান্তব গর্জন । হুশ করে একটা অস্পষ্ট আওয়াজ । মা পাশে ফিরে দিকে বাচ্চা নেই । এমন সময় হঠাৎ নিদারুন হৈ চৈ আর বাচ্চার আর্ত চিৎকারে সম্বিৎ ফিরে মা দেখে তার ছেলেকে বিশাল একটা সিংহ মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে ।

[ক্রমশ...]

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার ছোট গল্প "রক্তঝরা অভিশপ্ত রাত- ০১" খুবই ভয়ঙ্কর মনে হচ্ছে, বাকিগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। শুভকামনা আপনার জন্য।

@tipu curate 9

nice

সভ্যতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ।

এই লাইনের বর্ণনাভঙ্গি টি অসাধারন লেগেছে আমার কাছে।

বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে লেখা গল্প। সামনের পর্বে সিংহদের তাণ্ডব অপেক্ষা করছে নিশ্চয়। খুবই কষ্টদায়ক মর্মান্তিক ও হৃদয় স্পর্শী বেদনাদায়ক ঘটনা।

গভীর আদিম অরণ্যের মাঝে বিপদগ্রস্থ এতগুলো মানুষের অবস্থান। সিংহর তাণ্ডব। একটি অঘটন। তারপর আবার কি ঘটলো? ভীষণ আগ্রহ নিয়ে পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম।

মনে হচ্ছিল গল্পের ভেতর ঢুকে যাচ্ছিলাম।
ভীষণ খারাপ লাগলো বাচ্চাটাকে সিংহ মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে। আসলে তারা যদি সতর্ক থেকে গার্ডদের কথা শুনতো তাহলে এমনটা নাও হতে পারতো। যাক সামনে কি ঘটে জানার অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা অবশেষে গল্প লিখলেন তাহলে!! সত্যি বলতে কবিতার চাইতে আমার কাছে গল্পই বেশি ভালো লাগে। আর গল্প লেখার হাত আপনার অসাধারণ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। সবচাইতে বেশি ভালো লাগে সত্যি ঘটনা অবলম্বনে রচিত কাহিনী গুলো। অন্ধকারছন্ন এই আফ্রিকা মহাদেশকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাঁদের পাহাড় তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সিংহের বাচ্চা চুরির মধ্য দিয়ে ঘটনা বেশ জমে উঠেছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত মৌলিক গল্প শেয়ার করার জন্য।❤️👍

বর্ণবাদ নিযে আমরা সবাই মোটামুটি জানি কিন্তু আপনার আজকের লেখার শুরুতেই কথাগুলো পড়ে আবার ভেতরটা নাড়া দিয়ে উঠলো। যাই হোক দাদা আপনার গল্পটা তো আলিফ লায়লার স্টাইলে হয়ে গেল। এমন রোমাঞ্চকর মুহূর্তে আপনি শেষ করলেন যে পরবর্তী পর্বের জন্য আর অপেক্ষা সহ্য হচ্ছে না। মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে গল্পটি পড়তে বারবার হাত কেঁপে উঠছিল। লোমহর্ষক এই সত্য ঘটনাটি যেকোনো হলিউড মুভি কেও হার মানাবে। ধন্যবাদ দাদা আমাকে
গল্পটি শেয়ার করার জন্য আশা করি বাকী অংশটুকু দ্রুত পড়তে পারব।

দাদা গল্পটি সত্যিই খুবই হৃদয়বিদারক। সিংহটি যে বাচ্চাটিকে মুখে নিয়ে যাচ্ছিল এটা সত্যি খুবই কষ্টদায়ক, যেকোনো মায়ের পক্ষে এটা সহ্য করার মতো না।
আপনি গল্পটি এমন জায়গায় শেষ করলেন যে পরের পর্বের জন্য এখন আর সহ্যই হচ্ছে না দাদা। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

কতোদিন পর গল্প দিলেন দাদা!সত্যিই খুব ভালো লাগছে।দাদা অপেক্ষা করছি নেক্সট পর্বের জন্যে।ভয়ংকর হতে যাচ্ছে আশা করি।ঘটনার আঁচ ও পাওয়া যাচ্ছে অনেকটাই।

আমি গল্পটা পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল আমার চোখের সামনে সব ভেসে উঠছে। কি লোমহর্ষক সত্যি ঘটনা,
আমি কিছুটা এই ধরনের একটা মুভি দেখেছিলাম অসম্ভব ভয়ঙ্কর। দারুন লাগলো দাদা, আপনি ও অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা এর আগেও আপনার অনেক গল্প পড়েছি আপনি সব সময় শেষে এমন এক টুইস্ট রেখে দেন যা পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আশা করছি আপনার পরবর্তী পর্ব আগামীকালই পাবেন ধৈর্য্য ধরতে পারবো না। মনে হচ্ছে এই গল্পটাও অসাধারণ একটি গল্প হতে যাচ্ছে। আফ্রিকাতে সবথেকে বেশি রাজত্ব করছে ফরাসিরা। তারা পুরো আফ্রিকাকে শোষণ করছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে একটি জীবন্ত গল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন গল্পটি পড়ছি আর মনে হচ্ছে চোখের সামনে সবকিছু ঘুরছে। তবে শুয়োপোকা সম্পর্কে আজ নতুন তথ্য জানতে পারলাম। আর আমরা আগে থেকে জানি আফ্রিকান জঙ্গল এতে প্রচুর পরিমাণ সিংহ থাকে। এমন একটি জায়গায় খামখেয়ালি ভাবে তারা আমোদ ফুর্তি করছে যা কখনো কাম্য ছিল না। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।

এমন সময় হঠাৎ নিদারুন হৈ চৈ আর বাচ্চার আর্ত চিৎকারে সম্বিৎ ফিরে মা দেখে তার ছেলেকে বিশাল একটা সিংহ মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে ।

শুরুটায় দারুণ একটা আমেজ ছিলো, ভালো লাগার কিছু অনুভূতি কার্যকর হতে শুরু করেছিলো, কিন্তু শেষের দিকে এসে একটা অজানা ভয় এবং আতংক তৈরী হতে থাকে। আপনার গল্প মানেই একটু ভিন্ন রকম অনুভূতির সাথে শিহরণ তোলার ঢেউ। ঠিক শেষ প্রান্তে এসে এই রকম একটা ঢেউ মনের উপর দিয়ে চলে গেলো, পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ

দাদা গল্পটি অসাধারণ লিখেছেন এবং গল্পটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আফ্রিকার সভ্যতা উন্নতির সাথে সাথে আদিবাসীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি আমাকে মর্মাহত করেছে ।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি গল্প উপহার দেওয়ার জন্য।

গল্পটা বেশ দারুন শুরু করেছেন দাদা। খুবই মনোযোগ সহকারে পড়ছিলাম আর চিন্তা করছিলাম কখন কি যেন হানা দিবে।ঠিক তাই হলো। খুবই করুণ পর্যায়ে আপনি গল্প টাকে থামিয়ে দিলেন ।তাড়াতাড়ি পরের পার্ট লিখে ফেলুন দাদা ,অপেক্ষায় আছি।অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা সুন্দর একটি গল্প শুরু করার জন্য।

বহু দিন বাদে নতুন গল্প পড়ার স্বাদ, শুরুতেই যে এনার্জি পাচ্ছিলাম, হুট করে মনেহল নিজেই গল্পের চরিত্র গুলোতে প্রবেশ করেছিলাম । কিন্তু ভাই এমন করে ইতি টানলে কেমন করে হয়, বাকি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

এইটা কোন কথা? এমন জায়গায় কেউ গল্প শেষ করে। এখন তো বাকি গল্প না পড়া পর্যন্ত শান্তি পাওয়া যাবে না। গল্পের মধ্যে ডুবে গিয়েছিলাম । কখন শেষ হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। খুব ভালো লেগেছে দাদা।

nice

এটা কি হলো দাদা!! এভাবে থেমে দিলেন? আরেকটু এগিয়ে দিতেন। চোখের সামনে যেন সব ভেসে উঠছিল আর বুকটা একটু দুরদুর। খুব তাড়াতাড়ি যেন পরের পর্ব টা পাই দাদা। অপেক্ষায় রইলাম 🙏🙏🙏🙏

এই ঐতিহাসিক ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে আফ্রিকা সম্পর্কে অনেক বই পড়ে এটা বুঝতে পারছি নিছক শুয়োপোকা একটা ট্রেনকে বিপদে ফেলবে এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে সেই মা এর জন্য খারাপ লাগছে। সে বা তার সেই ছেলে কি কখনো ভেবেছিল এই ট্রেন ভ্রমণই তার জীবনের শেষ ভ্রমণ? নাকি এটাই ভাবতে পেরেছিল যে সে স্টেশন ত্যাগ করছে কিন্তু কখনো আর কোন স্টেশনে সে নামবে না? আমাদের জীবন কত অপ্রত্যাশিত ঘটনা অপ্রকাশিত রেখেছে সঠিক সময়ের জন্য।

এজন্যই হয়তো বলে ভয়ংকর আফ্রিকা। গল্পটার মাঝে একেবারে ঢুকে গিয়েছিলাম ঠিক সেই সময়ে ইতি টানলেন। আফ্রিকার ঐসব কালো চামড়ার মানুষদের জন্য ব্রিটিশ এতো উন্নত তাদের শাসন করে তাদের সম্পদ নিয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। আমাদের উপরও কম করেনি। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম দাদা।।

দারুন হয়েছে লেখাটি,,,
তবে যাত্রীদের জন্য মনে হয় ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।চতুর্দিকে বিপদ ঠেসে বসে আছে।যাইহোক পরবর্তীতে কি হয় সেটা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

দাদা,এখানে কেন শেষ করলেন কেন।😉😉।তারপর কি হলো।আর এতো শুয়োপোকা কোথা থেকে এলো।এটাও কিন্তু রহস্য।একে বারে চাকা পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। ধন্যবাদ

ইস দাদা এমন সময় আজকের পর্ব টা শেষ করলেন। আরেকটু লেখলে হতো না ? একদম ঠিক যেমন আমি পছন্দ করি গল্পটি ঠিক সেইরকম । পরবর্তী পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকলাম ।

হুশ করে একটা অস্পষ্ট আওয়াজ । মা পাশে ফিরে দিকে বাচ্চা নেই । এমন সময় হঠাৎ নিদারুন হৈ চৈ আর বাচ্চার আর্ত চিৎকারে সম্বিৎ ফিরে মা দেখে তার ছেলেকে বিশাল একটা সিংহ মুখে করে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের মধ্যে ।

দাদা, ছোট গল্প টি আমি পড়েছি পুরোটি। গল্প মধ্যে গার্ডরা বারবার সবাইকে সতর্ক করছিল যেন তারা কোথাও না যায় এখানে বিপদ ঘটতে পারে কিন্তু গার্ডদের কথা শুনে নাই তারা। তাই হয়তো এই বিপত্তি হয়েছে।ধন্যবাদ দাদা, আমাদের মাঝে এত সুন্দর ছোট গল্প শেয়ার করেছেন।তব পুরো গল্প টি পড়তে পারলে আরো ভালো লাগতো। ধন্যবাদ দাদা,ছোট গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

দাদা তোমার লেখা ছোটগল্প গুলো আমি এর আগেও পড়েছি I গল্পগুলো এতো ইন্টারেস্টিং হয় পরবর্তী পর্বে কি হবে এই জানার জন্য আগ্রহ সব সময় বেড়ে যায় I সিংহর তাণ্ডব, একটি অঘটন, বাচ্চাটাকে সিংহ মুখে করে নিয়ে যাওয়া সবকিছু মিলে এক মর্মান্তিক কৌতুহলী ছোট গল্পের বর্ণনা শুরু হয়ে গেছে ...এই গল্পের পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম দাদা I আশাকরি তাড়াতাড়ি এই ছোট গল্পের পরবর্তী পর্ব গুলো পড়ার সুযোগ পাবো I অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর ছোট গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য I

শুঁয়োপোকার রক্তে ভেসে যাওয়া ট্রেন টি লাইনে তোলার আগেই ক্রেনের তেল শেষ হয়ে গেল। ট্রেন ঠেলতে ঠেলতে হাঁপিয়ে উঠলো শক্তিশালী মানুষ গুলোও।
ট্রেন এখন লাইনে না উঠলেও চা কফির আড্ডাটা ঠিকই জমে ছিল। হঠাৎ করে ইংরেজ বালককে সিংহের মুখে দেখে সবাই আতঙ্কিত হলো নাকি পরবর্তী ঘটনা কিভাবে আসছে তা দেখার বিষয় রয়ে গেল। এবার দেখার অপেক্ষা পালা......

গল্প পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।আর গল্পটি চমৎকার লিখেছেন দাদা।আসলে আফ্রিকার মানুষের প্রতি ইংরেজদের ব্যবহার পশুদের তুলনায় কোনো অংশে কম ছিল না।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে।

অতঃপর এখন আমি নিজেই সেই সিংহের রাজত্ব আফ্রিকার জংগলে আটকা পড়ে গেলাম।
প্রিয় দাদা খুব দ্রুত উদ্ধারে আশা রাখছি। রইলো পরবর্তী পর্বের জন্য অধির আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা।

দাদা আপনার লাইন টা পড়ে আমার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো ।তবে গল্পটি অনেক সুন্দর ।পড়তে পড়তে কখন জানি শেষ হয়ে গেলে বুঝতে পারলাম না।মনটা খারাপ হলে বাচ্চাটাকে বাঘ মুখে করে কোথায় নিয়ে গেলে.......?পরের গল্পর অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ দাদা।

Darun

বাবাগো, যখন গল্পটি পড়ছিলাম মনে হচ্ছিল কোন অ্যাডভেঞ্চার মুভি স্ক্রিপ্ট পড়ছিলাম। সত্যি কথা বলতে প্রথমদিকে যেভাবে করে ঘটনাগুলো আপনি তুলে ধরেছেন সত্যিই ভালো লেখক না হলে এটা কখনোই করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে শুয়ো পোকা যখন সম্পূর্ণ রেললাইন ঢেকে ররেখেছিলো তখন আমার লোমগুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যে পরবর্তীতে কি হবে!!! তারপর আস্তে আস্তে যখন কাহিনী এগোতে লাগলো... একটি বড় সিংহ একটি বাচ্চাকে মুখে করে নিয়ে যাচ্ছিল। এই ঘটনা থেকে বুঝা যায় পরবর্তীতে পর্বে আরো কত অ্যাডভেঞ্চার লুকিয়ে আছে,, আমি আসলে অনেক এক্সাইটেড গল্পটির সম্পূর্ণ পড়ার জন্য কারণ অ্যাডভেঞ্চারের মুভি এবং গল্প পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে।।

যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই রাত হয়।
একটু দেড়িতে হলেও পড়া শুরু করেছি। ব্যস্ততার কারনে পোষ্ট দেখেও পড়তে পারিনি সাথে সাথে। যেখানে সবাই পিকনিক পিকনিক ভাবে চা কফি খাচ্ছিল । ঠিক সেই মূহুর্তে কারো বোঝার আগেই বাচ্চাটিকে নিয়ে যাচ্ছে জঙ্গলের দিকে, একটি শোকের ছায়া নেমে এল সকলের মধ্যে। পরবর্তী পর্বে চলে যাচ্ছি দাদা। ভাল থাকবেন ভালবাসা ও শুভেচ্ছা নিবেন।

ও মাই গড!! মুভির কাহিনীর মতো লাগলো দাদা। গুয়োপোকা থেকে ট্রেনের ইঞ্জিন নষ্ট তার পরে আবার ছেলেটিকে সিংহ নিয়ে যাচ্ছে মুখে করে! খুব ভালো লাগলো ১ম পর্ব পড়ে দাদা