"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা ৩৬ : শেয়ার করো তোমার ইউনিক "ক্যান্ডেল তৈরির DIY প্রোজেক্ট"steemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

IMG_20230515_023657.jpg


খুব তাড়াহুড়ো করে এই পোস্ট লিখতে বসেছি । হাতে একদমই টাইম নেই । তাই খুব দ্রুত স্টেপগুলি শেয়ার করবো ।

যখন প্রথম এই প্রতিযোগিতাটি দেখি তখন আমার ছোটবেলাকার কথা মনে পড়ে যায় । খুব ছোটবেলায় আমার মনে আছে কালীপুজোর রাতে অর্থাৎ দীপাবলির সন্ধ্যায় যে সব মোমবাতি জ্বালানো হতো সেগুলো গলে গলে মাটিতে মোম জমাট বেঁধে থাকতো । পরের দিনে অতি প্রত্যুষে ঘুম থেকে উঠেই আমরা ছোটরা ছুটতাম সেই সব জমাট মোম সংগহের জন্য ।

যেহেতু দীপাবলির রাত, তাই প্রচুর পরিমাণে মোমবাতি জ্বালানো হতো, আর তাই আমরা জমাট বাঁধা গলানো মোম পেতাম প্রচুর পরিমাণে । সারা সকাল এই ভাবে মোম সংগ্রহ করতে করতেই কেটে যেতো । এরপরে শুরু হতো মোমবাতি বানানোর পালা ।

সকালে খাওয়ার পরেই আমরা ছোটরা আমবাগানে ভীড় করতাম । নারকোলের মালায় থাকতো মোম । এরপরে শুরু হতো নিজেদের হাতে মোমবাতি তৈরির প্রক্রিয়া । এই কাজের জন্য আমাদের দরকার পড়তো - ঝিনুক, ইঁট, পেঁপের ডগা, ফেট্টি সুতো আর দেশলাই ।

কি ভাবে বানাতাম মোমবাতি ? সেটাই আজ দেখাবো । আমার নস্টালজিয়া :)


উপকরণ :

IMG_20230515_014655.jpg


০১. স্টিলের বাটি - ১ টি

০২. কিচেন নাইফ -১ টি

০৩. আস্ত মোমবাতি - ১ প্যাকেট

০৪. পেঁপের ডগা - ৪-৫ টি

০৫. সুতোর বান্ডিল - ১ টি

০৬. দেশলাই - ১ টি


ধাপ ০১

IMG_20230515_015123.jpg


প্রথমে পেঁপের ডগাগুলো একটি একটি করে গোড়ার দিকের কিছুটা অংশ কেটে সমান করে নিলাম । এর ফলে মোমবাতিগুলো একদম পারফেক্ট দেখতে হবে । এটা না করলে মোমবাতিগুলো উপরের দিকে সরু ও নিচের দিকে মোটা হয়ে যাবে ।


ধাপ ০২

IMG_20230515_015247.jpg


এরপরে ফেট্টি সুতোর এক প্রান্ত ওই পেঁপের ডগার ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে ওপর প্রান্ত বেশ কিছুটা বার করিয়ে রাখতে হবে । এই সুতো হবে আমাদের তৈরী মোমবাতির সলতে । পেঁপের ডগার নিচের দিকের সুতোর প্রান্তের সাথে ছোট্ট একটা নারিকেলের পাতার শলাকা বেঁধে দিলে সুতো একদম মোমবাতির মাঝখানে থাকবে ।


ধাপ ০৩

IMG_20230515_015135.jpg


এরপরে ছোট্ট একটা স্টিলের পাত্রে কয়েকটা ভাঙা মোমের টুকরো নিয়ে সেগুলিকে গলিয়ে তরল মোমে পরিণত করতে হবে । আমি এখানে ভাঙা মোম না পাওয়াতে আস্ত মোম ভেঙে নিয়েছি । ছোটবেলায় আমরা ঝিনুকে করে মোম গলাতাম । ইঁটের তৈরী উনুনে । এখন আর সে সব পাবো কোথায় ? তাই স্টিলের বাটিতে মোমের টুকরো নিয়ে গ্যাস ওভেনে গলিয়ে তরল করে নিলাম ।


ধাপ ০৪

IMG_20230515_020531.jpg


এরপরে সেই তরল মোম ধীরে ধীরে পেঁপের ডগাটি খাড়া করে ধরে তার মধ্যে ঢালতে হবে । প্রথম অল্প একটু ঢেলে নিয়ে ২ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, এর ফলে পেঁপের ডগার নিচের দিকে তরল মোম জমাট বেঁধে দিব্যি ডগাটি নিজে নিজেই দাঁড়িয়ে থাকবে এবং নিচের ছিদ্র দিয়ে আর তরল মোম বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না ।

এরপরে বাকি মোমটুকু ধীরে ধীরে পেঁপের ডগার মধ্যে ঢেলে দিয়ে সুতোটি মাঝের দিকে টেনে এনে রেখে দিতে হবে । মনে রাখবেন এই ধাপটি একটু বিপজ্জনক । তরল মোম হাতে পড়লে উঃ আঃ করবেন কিন্তু । তাই এই সব বিপজ্জনক কাজ নিজের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর উপরে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম ।

আমি মোম গলিয়ে তরল করা আর পেঁপের ডগার মধ্যে ঢালার কাজটি তনুজার উপর ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে বসে ছিলাম । চিরকালই আমি একটু সাবধানী মানুষ । হে হে :)


ধাপ ০৫

IMG_20230515_020947.jpg


এই ধাপটি একেবারেই সহজ । বসে বসে অপেক্ষা করা আর নজর রাখা । যখনি সুতোটা সরে যাবে তখনি হালকা একটু টেনে ওটাকে ঠিক মাঝখানে নিয়ে আসবেন । ইটা করলে সুতোটা মোমবাতির একদম মাঝখানেই থাকবে, ফলে চমৎকার জ্বলবে । ৪-৫ মিনিটের মতো লাগবে তরল মোম ঠান্ডা হয়ে জমাট বাঁধতে । জমাট বাঁধার পরে ঠান্ডা জলে ১-২ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে পেঁপের ডগা শুদ্ধু ।


ধাপ ০৬

IMG_20230515_022833.jpg


ঠান্ডা হওয়ার পরে ছুরি দিয়ে সাবধানে পেঁপের ডগাটি চিরে মোমবাতিটি বের করে আনতে হবে । দেখবেন যেন মোমবাতির গায়ে ছুরির আঁচড় না পড়ে বা, মোমবাতি ভেঙে না যায় । আমি কাজটি একদম নিখুঁতভাবে করতে পেরেছিলাম ।


ধাপ ০৭

IMG_20230515_023044.jpg


উপরের দিকে একটু পেঁপের ডগা চিরে মোমবাতিটি বের করে ধরে একটু জোরে টান মারলেই পুরোটা বেরিয়ে আসবে ডগা থেকে । এই দেখুন ছবিতে । কি সুন্দর করে পেঁপের ডগা থেকে বের করে এনেছি আমি ।

IMG_20230515_023301.jpg


ধাপ ০৮

IMG_20230515_023450.jpg

IMG_20230515_023420.jpg


সব শেষে দিলাম নিজের তৈরী মোমবাতির সলতেতে আগুন জ্বালিয়ে । বাহ্! কি সুন্দর জ্বলছে নিজের তৈরী মোমবাতিটি ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)


তারিখ : ১৬ মে ২০২৩

টাস্ক ২৬৭ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 3ca506afb35d15d4315b286cd3a57c71e450f3d3dcdb3bb91954dc687b8b9fa8

টাস্ক ২৬৭ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শেষ পর্যন্ত বিপজ্জনক কাজে বৌদিকে ফাঁসিয়ে দিলেন দাদা 😅😅। বিপজ্জনক কাজ নিজের অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে করিয়ে নিলেন। তবে পেঁপের ডগা দিয়ে মোমবাতি তৈরি করার আইডিয়া আগে কখনো মাথায় আসেনি দাদা। ছোটবেলার সেই দারুন বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছেন। দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা।

দাদা আপনার এই পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমিও ছোটবেলায় বাড়িতে অবশিষ্ট পড়ে থাকা মোম দিয়ে পেঁপের ডগার মধ্যে মোম ভরে এরকম মোমবাতি তৈরি করতাম। আর খুব খুশি হতাম নিজের তৈরি মোমবাতি দেখে। আপনিও খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ।দারুন লাগছে দেখতে, আপনার তৈরি মোমবাতিটি।

অও,অসাধারণ হয়েছে দাদা মোমবাতিটি।ছোটবেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আপনি।আমরাও পেঁপের ডগায় এভাবে মোম গলিয়ে মোমবাতি বানাতাম।তাছাড়া দীপাবলির রাতের অপেক্ষা করতাম।তবে এটা খুবই রিস্ক কারন মোম গলে হাতে পড়ে ঠুলি কেটে উঠতো।যাইহোক আপনি সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপ সম্পন্ন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।এছাড়া আপনি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আমি মনে হয় প্রথমবার দেখছি আপনি কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে। বিশেষত এই মোমবাতির কাজগুলো করতে একটু সাবধানে করতে হয়। আর এই সাবধানতা অবলম্বন করে আপনি বৌদির হাতে দিয়ে দিলেন মোম গলানোর কাজটা,এটা তো ভালো ঠেকছে না দাদা। সত্যি বলতে এই প্রথমবার আপনাকে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করতে দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আর পেঁপের ডগা দিয়ে এভাবে যে মোমবাতি তৈরি করা যায় তা সত্যিই আমি জানতাম না আজকেই প্রথম দেখলাম। ইউনিকের বড় মাপের কাজ আপনি করেছেন দাদা।

তারমানে দাদা ছোটবেলা থেকেই মোমবাতি বানাতে এক্সপার্ট ছিলেন। যেহেতু দীপাবলির গলানো মোমবাতিগুলো কুড়িয়ে নিয়ে আবার পুনরায় বানাতেন। একটা কথা জানার ছিল দাদা যখন এই মোমবাতি গুলো বানাচ্ছেন তখন টিনটিন আমিও বানাবো আমিও বানাবো বলে ডিস্টার্ব করেছিলো। তবে দাদা এই প্রথমবার দেখলাম আপনাকে কোন কনটেস্ট এ জয়েন করতে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা পেলাম দাদা ধন্যবাদ।

আমারও গলা মোমবাতি দেখলেই কালী পুজার পরদিনের কথা মনে পড়ে যায়। কিভাবে ওগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তুলে নিয়ে এসে ভাঙ্গা চোড়া মোমবাতি বানানোর চেষ্টা চালাতাম। যদিও চেষ্টা ব্যর্থ হতো। খিক খিক

আইডিয়া কিন্তু দারুণ দাদা। ক্যান্ডেল তৈরির DIY প্রোজেক্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এধরনের ডাই প্রজেক্ট দেখতে অসাধারন লাগে। আপনি দাদা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভীষণ খুশি হলাম। অভিনন্দন আপনাকে দাদা। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

দাদা ব্লগটি পড়ে যেমন ভাল লেগেছে তেমন হাসিঁও পেয়েছে।সব বিপজ্জনক কাজ নিজের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর উপরে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম,হা হা,হা। আমরাও ছোট সময় এমন করে মোম বানিয়েছিলাম। আপনার পোষ্ট পড়ে স্মৃতি গুলো মনে পড়লো। ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনিও এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি ছোটবেলার স্মৃতি খুব সুন্দর ভাবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। পেঁপের ডগায় গলানো মোম রেখে খুব সুন্দর মোমবাতি বানিয়েছেন। আপনার এই মোমবাতি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। দাদা আপনার এই ডাই প্রজেক্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মোমবাতি জ্বালানোর পর দেখতে আরও বেশি ভালো লেগেছে।

আহ। সেই ছোটবেলায় কত বানানোর চেস্টা করতাম। সেই দিনগুলোই মনে পড়ে গেল। পারটিসিপেট করতে পারলে ভাল লাগত।

দাদা প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। দাদা আপনি এককথায় অলরাউন্ডার। আপনি পারেন না এমন কিছু পৃথিবীতে আছে বলে মনে হয় না আমার। ছোটবেলায় মোমবাতি বানানোর অভিজ্ঞতা ছিলো আপনার এবং সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে পেঁপের ডগা ও আরো কিছু উপকরণ দিয়ে দারুণ মোমবাতি তৈরি করেছেন। আপনার ক্রিয়েটিভিটি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। যাইহোক এতো সুন্দর ক্রিয়েটিভিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

দাদা আপনার পেপের ডাল দিয়ে মোমবাতি বানানো দেখে ছোট বেলায় ফিরে গেলাম। আমরাও ছোট বেলায় বন্ধুরা মিলে এভাবে মোমবাতি বানাতাম। প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ দাদা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি আপনাকে ইউনিক ক্যান্ডেল পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্ট দেখে আমারো ছোটবেলায় মোমবাতি তৈরির স্মৃতি মনে পড়ছে। পেঁপের ডাগর দিয়ে ছোট বেলায় মোমবাতি বনাতাম কালীপুজোর আগে। দাদা আজকে আপনি ক্যান্ডেল তৈরির পোস্টটি খুবই সুন্দরভাবে আমাদের সাথে বর্ণনা করেছেন। আপনার পোস্টটি দেখে খুবই খুশি হয়েছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দারুন তো দাদা আমিতো পুরোটাই মুগ্ধ। 🥰আপনার মোমবাতি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। 👌👌আপনি কি সুন্দর অভিনব কৌশলে মোমবাতিটি শেয়ার করলেন।সত্যি ই অসাধারণ হয়েছে।অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

হ্যাঁ দাদা ঠিক বলেছেন যে দীপাবলী রাতের পর সকালে অনেক মোমের শেষ গোলা টুকু পাওয়া যেত ৷ তবে যা হোক আপনি খুব শর্ট কার্ট হলেও অনেক সুন্দর করে মোম বানালেন যে অসাধারণ ছিল ৷ আর আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা ৷

আগে অবশ্য আমার আব্বুকে এভাবে পেঁপে ঢোগা দিয়ে ক্যান্ডেল বানাতে দেখেছি। একটা সময় আমাদেরকে এরকম করে পেঁপের ডগা দিয়ে ক্যান্ডেল তৈরি করে দেখিয়েছিল আমি তখন অনেকটা ছোট ছিলাম কিন্তু আপনার এই পোস্টে দেখে মনে পড়ে গেল। তবে দাদা, বৌদিকে অ্যাসিস্ট্যান্ট বানিয়ে গলানো মোম পেঁপে ঢোগার ভিতরে ঢালার সময় বৌদির যদি হাতে লেগে যেত আপনি কষ্ট পেতেন না?

দারুন ইউনিক একটি ডাইপোস্টি তো দাদা। এর আগে এভাবে পেঁপের ডগা দিয়ে ক্যান্ডেল বানাতে দেখিনি। ছেলেবেলায় দীপাবলীর অনুষ্ঠানের পুরানো মোম দিয়ে এবংঝিনুক, ইঁট, পেঁপের ডগা, ফেট্টি সুতো আর দেশলাই এর সাহায্যে অনেক মোমবাতি তো বানিয়েছেন দেখি। আর আজ প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট হওয়ার জন্য তাদের একটি টেকনিক ব্যবহার করলেন দাদা। ছেলেবেলা তো আপনার বেশ দুরন্তপানায় কেটেছে দাদা। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে আপনাকে বড় একটা ধন্যবাদ।

বাহ দাদা আপনিও প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে ফেললেন। এই প্রতিযোগিতাটি আপনার সাথে মিলে গিয়েছে ছোটবেলার মোম সংগ্রহের ঘটনা এই কারণেই আপনি বানাতে বসে গিয়েছেন । আমি তো মনে করেছি এবারও ওভাবে গলানো মোম দিয়ে আপনি বানাবেন কিন্তু না আস্ত মোম গলিয়ে বানিয়েছেন। পেঁপের ডাটিতে এরকম করে মোম বানানো যায় সেটা তো কখনো দেখিনি ভাবিওনি কখনো। দারুন ভাবে বানিয়েছেন তো দাদা। আর দীপাবলীর সময় যখন মোম দিয়ে সারা বাড়ি সাজানো হয় তখন দেখতে ভালোই লাগে। আর তখন তো আসলেই অনেক মোম থাকে। সকালবেলা যখন আপনারা মোম সংগ্রহ করতে যেতেন তখন তো অনেক মোম হতো মনে হয়।

তাহলে তো দেখছি দাদা, আপনার ছোটবেলা থেকেই মোমবাতি তৈরি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি কিন্তু কখনো তৈরি করিনি, এবার প্রতিযোগিতা উপলক্ষে প্রথমবার তৈরি করলাম। তবে আপনার পেঁপের ডগার মধ্যে মোমবাতি তৈরি করার আইডিয়াটা অসাধারণ লেগেছে। দেখতেও খুবই সুন্দর হয়েছে মোমবাতিটা। এবারের প্রতিযোগিতায় আপনার জয়েন করা দেখে খুব ভালো লাগলো।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



প্রিয় দাদা, আপনি অতি চমৎকার ভাবে ক্যান্ডেল তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি ক্যান্ডেলটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে। আপনার এই ক্যান্ডেল তৈরিতে পেঁপের ডগার ব্যবহারটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। অসাধারণ সুন্দর ক্যান্ডেল তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য, আপনার অংশগ্রহণ দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। সত্যিই আপনার এই মোমবাতি তৈরি করার অনুভূতি জানতে পেরে খুবই ভালোলাগলো। আর এই পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে।

এত চমৎকার একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সেই সাথে নতুন একটি আইডিয়া পেলাম যে, আইডিয়াটি কোনদিন কখনো মাথায় আনিনি। পেঁপের ডগার ভিতর এত সুন্দর করে মম বানানো যায়। এটা কখনোই মাথায় আসেনি। নতুন একটি আইডিয়া পেলাম।
আর ছোটবেলার সেই সব স্মৃতি গুলো মনে পড়লে, এখনও হৃদয়ে দাগ কাটে। এরকম ছোটবেলায় অনেক দুষ্টুমি, অনেক কৌতুহল করেছি। তবে গলে যাওয়া মম নিয়ে আমারও কৌতুহলের শেষ ছিল না। মাঝেমাঝে ভাবতাম এই মম গুলো আগুনে জ্বলে গিয়ে, আবার কিভাবে জমাট বাধে, কেন বাধে-? ♥♥

This is very good technic to make long candle buy using small candles.

আসল এবং বিপদজনক কাজটা বৌদির উপর দিয়ে চালিয়ে দিলেন। এই না হলে সাহসী ছেলে। এমনভাবে মোমবাতি ছোটবেলায় আমিও বানিয়েছি। মনে ছিল না আপনার আজকের মোমবাতি বানানো দেখে মনে পড়ল। খুব চমৎকার হয় এরকম ভাবে মোমবাতি বানালে। আপনার মোমবাতি একদম বাজারে কেনা মোমবাতির মত লাগছে দেখতে।

ছোটবেলায় যখন গ্রামে থাকতাম তখন পেঁপের ডগা কেটে এনে অনেক মোমবাতি তৈরি করেছি দাদা। আমরা মোমবাতি তৈরি করার জন্য মৌচাকের সাদা মোম ব্যবহার করতাম। মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ির বাগানের বিভিন্ন গাছে মৌচাক দেখা যেত। সেই মৌচাক ভাঙ্গার পর যে সাদা মোম পাওয়া যেত সেইগুলো কাজে লাগিয়ে এই কাজ করতাম।তোমার মোমবাতি তৈরি করার প্রসেস দেখে সেসব স্মৃতিগুলো হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেল।

দিলেন তো ভাই ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে, আপনার পোস্ট পড়ছিলাম আর সেই ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। তবে কালীপুজোর রাতে আমরা আরো একটা জিনিস করতাম, মোমবাতি সংগ্রহের পাশাপাশি মাটির দিয়ার সংগ্রহ করতাম।

বেশ ভালই লাগলো, আপনি ছোটবেলার স্টাইলে মোমবাতি বানিয়েছেন এটা দেখে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য 🙏

Haha, dada you reminded me of my childhood too, nowadays I forgot about it but in childhood me and my sister and brother do the same, and my sister first taught this to me.

মোমবাতি তো দারুণ বানিয়েছেন দাদা। আপনার ছোটবেলার গল্প শুনে বেশি ভালো লাগলো। কি একটা সময় ছিল!! জীবনের গোল্ডেন টাইম। সেই আনন্দ আর সেই মজা যদি একবার ফিরে পাওয়া যেত।

ছোটবেলায় অবশ্য আমরা কখনো মোমবাতি বানিয়ে এরকম খেলিনি। তবে মোমবাতি জ্বালিয়ে গলে যাওয়া মোম দিয়ে ছোট ছোট পাহাড় বানাতাম।

এই কাজের জন্য আমাদের দরকার পড়তো - ঝিনুক, ইঁট, পেঁপের ডগা, ফেট্টি সুতো আর দেশলাই

আমরাও ঠিক ছোটবেলায় এরকম উপকরণ দিয়ে মোমবাতি তৈরি করতাম দাদা। সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল হঠাৎ করে, তোমার এই পোস্ট দেখে।

আসলে আমরা তো মোমবাতির অবশিষ্ট অংশ কুড়িয়ে আবার নতুন করে মোমবাতি তৈরি করতাম। তবে আরও একটা উপায় অবলম্বন করতাম সেটা হল, মৌচাকের যে সাদা মোম গুলো থাকে ওগুলো গলিয়ে মোমবাতি তৈরি করতাম। সে ক্ষেত্রে দেখতে একটু কালো কালো লাগতো তবে খুব সুন্দর লাগতো তখন। আমার কাছে তোমার মোমবাতি তৈরীর প্রক্রিয়াটাই সব থেকে বেশি ইউনিক মনে হয়েছে দাদা।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

ছোট বেলায় যে আপনি কতোটা দূরন্ত ছিলেন সেটা আর বুঝতে বাকি রইলো না দাদা। কি চৎকার একটা কনসেপ্ট। আমি তো এই পেঁপের ডাল দিয়ে মেশিনের পাইপ বানিয়ে জল সেচ দিতাম। হিহিহিহি। তবে দাদা মোম বানানোটা এক কথায় অসাধারণ হয়েছে। এটা সত্যি যে এই কাজ গুলো করার সময় ছেলে বেলাকে বড্ড মিস করে ফেলি আমরা।

পেঁপের ডগা দিয়ে যে এই ভাবে মোমবাতি বানানো যায় এটা কখনো মাথায় আসে নি। দারুন একটি ইউনিক আইডিয়া শেয়ার করেছেন। যদিও এই আইডিয়াটা আপনার ছোটবেলার। তারপরেও বেশ পছন্দ হয়েছে। আপনি তো দেখছি ছোটবেলা থেকেই অনেক ক্রিয়েটিভ ছিলেন। ধন্যবাদ দাদা আমাদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।

দাদাতো শৈশবে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন, তবে আমরা কিন্তু এই মোম ব্যবহার করতাম না তখন, কাঁচা মোম পাওয়া যেতো তখন কিনতে বিশেষ করে স্বর্ণকাররা যেগুলো ব্যবহার করতো, সেগুলো দিয়ে আরো সুন্দর মোম তৈরী করা যেতো। দারুণ লাগলো দাদা।