কলকাতা বই মেলা ও আমার কিছু ব্যক্তিগত ভাবনাsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

IMG_20220307_193227.jpg


প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষভাগে কলকাতার বুকে বই উৎসব হয়ে থাকে । এই উৎসবের পোশাকি নাম "কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তক মেলা", সংক্ষেপে "কলকাতা বই মেলা" । প্রায় ১০ দিন ব্যাপী এই মেলা চলে । প্রচুর স্টল আসে প্রত্যেক বছর । অসংখ্য বই, অসংখ্য ক্রেতা, দর্শক (এদের দর্শক বললাম এই কারণে যে এনারা জীবনেও বই কেনেন না, শুধু ঘুরে ঘুরে দেখেন), প্রেমিক জুটি (এনারা ১-২ টা বই কেনেন, আর বাকিটা সময় প্রেমেই মশগুল থাকেন), খাদ্যপ্রেমী (এনারা জীবনেও কোনো বুক স্টলের ধারও ঘেঁষেন না, সোজা চলে যান খাবারের স্টলে) - সোজা কথায় একদম সরগরম ।

প্রত্যেক বছর বইমেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই । কিন্তু, কিছু কিছু প্রব্লেম সত্যিই বিপাকে ফেলে । এত বিশাল একটি গ্রাউন্ড, ছোট বড় মিলিয়ে ৫০০ র উপরে স্টল আর দৈনিক লাখের উপরে ভিজিটর এর চাপ । এর ফলে মেলার গোলক ধাঁধায় কাঙ্খিত স্টল খুঁজে পাওয়া বিশাল কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ।



প্রত্যেক বছর কলকাতা বই মেলায় দুটো বড় প্রব্লেম ফেস করি আমি । এক. স্টলের গোলকধাঁধায় কাঙ্খিত স্টল খুঁজে না পাওয়া এবং দুই. বই কিনে UPI পেমেন্ট করতে গিয়ে নেটওয়ার্ক ফেল করা ।

আমার কাছে একটা বিষয় ক্লিয়ার নয়, এত বড় মেলা অথচ অল্প কয়েকটা ম্যাপ ছাপিয়ে নিজেদের চেনা পরিচিতদের ফ্রি তে বিলি করার যৌক্তিকতা কি ? এই মাপগুলো দস্তুরমতো পয়সা দিয়ে জেনারেল পাবলিকদের কেনার কথা । কিন্তু, কোনোদিনই কিনতে পারিনি । সব সময় কিনতে গিয়ে ফেরত চলে এসেছি - "ম্যাপ শেষ হয়ে গিয়েছে" । তখন এক মাত্র ভরসা কলকাতা বুক ফেয়ার এর ওয়েবসাইটে দেওয়া মাপটির ডিজিটাল ভার্সন । কিন্তু, জ্যামার বসানোর কারণে মেলার ভেতর নেট পাওয়া আর অমাবস্যায় চাঁদ দেখতে পাওয়া সেম ব্যাপার ।



যাই হোক এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে ম্যাপটি ডাউনলোড করে নিয়ে গিয়েছিলাম । কিন্তু, মেলায় গিয়ে মোবাইল থেকে ম্যাপে ঢুকতে গিয়ে আমার চক্ষু চড়কগাছ । ম্যাপটি জাস্ট ফটো হিসেবে পিডিএফ করা । জুম্ করতে গেলে মাথা খারাপ হওয়ার দশা, খুব স্লোলি জুম্ হয় । একটা রো দেখে পরের রো দেখতে গেলে সব গুলিয়ে যায় । একদম ইউজলেস ।

তাই বাঁশবনে ডোমকানা দশা। এত বড় মেলা, এত আয়োজন, অথচ গোড়ায় গলদ । প্রচুর পরিমাণে ম্যাপ ছাপিয়ে মেলার ভেতর বিভিন্ন সেক্টর এর প্রতিটা রো-র সামনে একটা করে ডেস্ক থেকে ফ্রি তে (দরকার হলে টাকা নিয়ে) বিলি করার ব্যবস্থা করা উচিত । আর, প্রত্যেকটা সেক্টরে একটা করে বোর্ড টানানো উচিত যেখানে বড় করে মেলার ম্যাপটা থাকবে ।

এবার আসি দ্বিতীয় এবং সব চাইতে বিরক্তিকর অব্যবস্থাপনার কথাতে । মোদী সরকার এর আমলে ক্যাশ টাকার ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে । সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট । তাই স্বভাবতই মেলায় বই কেনার সময় পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে আমাদের সব চাইতে বড় ভরসা Paytm, Google Pay, Phone Pay বা UPI Payment । অথচ, মেলার চারিদিকে পুলিশ ব্যাটারা এই সময় জ্যামার লাগিয়ে বসে থাকে । তাদের দাবি তারা নিরাপত্তা দিচ্ছে ।

ফলশ্রুতিতে ডিজিটাল পেমেন্ট ফেল । বারবার চেষ্টা করতে করতে হঠাৎ করে পেমেন্ট সাকসেসফুল হলে মনে এত আনন্দ হয় যেন ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানকে কষে একখানা গোল দিলো । অর্থাৎ, রীতিমত যুদ্ধ করে বিল দিতে হয় । আমি প্রায়ই সময় কার্ডে দিই পেমেন্ট এ কারণে । কিন্তু, প্রব্লেম হলো আবার সব স্টলে কার্ডে পেমেন্ট করা যায় না । কি একটা অবস্থা ।

এই দু'টো প্রব্লেম কেনো যে বছরের পর বছর জিইয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ বুঝি না !




✡ ধন্যবাদ ✡



পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)


তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৩

টাস্ক ২৪১ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 066396c3d219100de3b07d5ea0a455799972c69254389c831a71e1d7e5179915

টাস্ক ২৪১ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বইমেলায় আমিও দর্শক হিসেবেই যাই। খিক খিক। তবে আমি তিনটে বই কিনেছি, সেগুলো নগদে। আরো কটা বই কেনার ইচ্ছে ছিল কিন্তু নেটওয়ার্ক জ্যামের জন্য UPI পেমেন্ট করতে পারিনি।

আমিও এটা বুঝিনা। যদি তোমরা UPI পেমেন্ট নাও তাহলে চারিদিকে জ্যামার কেন লাগিয়ে রাখো। আজব।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Hello @rme ! I'm relatively new to the Steemit platform and I'm still trying to figure things out. I've been following your posts and I really admire the way you engage with the community and create high-quality content. Would you be willing to share some tips or insights on how to use Steemit more effectively? I would really appreciate any guidance or advice you can offer. I hope to become as skilled and successful as you are on this platform. Thank you in advance!

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা বিরুক্তিকর দুটি সমস্যার কথা উল্লেখ করলেন। কলকাতা বই মেলা কতৃপক্ষ যদি এই দুইটি বিষয় মাথায় নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতো তাহলে অনেক সুবিধা হতো। প্রথম সমস্যটার সমাধান খুব সহজ শুধু একটু সদ ইচ্ছার দরকার। আর দ্বিতীয়টা সমাধানের জন্য উপর লেভেলে যেতে হবে। ধন্যবাদ দাদা।

Hallo friends I am new user please support me for follow me 🙏 🙏🙏🙏🙏🙏🙏

Check out my profile please 🙏🙏🙏
👇👇👇👇
@anisha03
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

হাহা দাদা আপনি তো বেশ লক্ষ্য করেছেন বইমেলায় যাওয়া লোকদের।আবার পার্থক্য করে ফেলেছেন তাদের।বেশিরভাগ দর্শক,প্রেমিক জুটি,খাদ্য প্রেমিকরা।আসলেই বই আর কয়জন কিনতে যায়।একদম ঠিক সাজিয়েছেন নামগুলো দাদা।ম্যাপ এবং পেমেন্ট সিস্টেম টা আসলেই ভালোনা মেলার।এই বিরক্তিকর সমস্যা গুলো হয়তো দ্রুতই ঠিক হবে,অভিযোগ করলে বা কোনো পদক্ষেপ নিলে।যেহেতু বড় একটি বই মেলা কোলকাতার।ধন্যবাদ দাদা সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

এই যা সব দেখি গোড়ায় গলদ অবস্থা।এমন হলে শান্তিতে বই কেনা যাবেই বা কিভাবে।বারবার ট্রাই করার পর কাজ না হলে মেজাজ তো খারাপ হবে। আর আমি তো এমনিতেই কম ধৈর্যবান 🤪।এমন হলে আমি তো আগে দোকান ভাঙবো,,তারপর সোজা হাটা দেব।যাইহোক এই অব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

দাদা আপনার বই মেলা সম্পর্কে লেখাটা পড়ে বেশ মজা পেলাম । আসলে বইমেলায় অনেকেই যায় কিন্তু কজনই বা বই কিনে । একেকজন থাকে এক একজনের চিন্তায় । তাছাড়া এত বড় একটা মেলা অথচ ম্যাপের ব্যবস্থা সীমিত সেটা সত্যি বেশ ভাববার বিষয় । আসলে এ ধরনের মেলায় পর্যাপ্ত ম্যাপের ব্যবস্থা করা উচিত । যাতে যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে দেখতে পারে ।এছাড়া টাকা পেমেন্ট করার ক্ষেত্রেও দেখছি আপনাকে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয় । সত্যি এ দুটি ব্যবস্থাপনার বড়ই করুন অবস্থা ।আশা করি পরের বার এই সমস্যা গুলো থেকে পরিত্রাণ পাবেন । ধন্যবাদ ।

"বাঁশবনে ডোমকানা দশা" এই প্রবাদ বাক্যটি এর আগে কখনো শুনিনি দাদা। আজকে প্রথম শুনলাম। আসলে কিছু কিছু সমস্যা আছে যেগুলো কর্তৃপক্ষ বুঝতে চায়না। প্রেমেন্ট করা নিয়ে দেখি তাহলে বেশ ভালোই যুদ্ধ করতে হয়। এত বড় বইমেলায় নির্দিষ্ট স্টল খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুশকিল। আশা করছি ধীরে ধীরে সব কিছুর উন্নতি হবে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। সেদিন সত্যি সত্যি গোল দেওয়ার মতো আনন্দ হবে দাদা 😍।

আসলে সত্য কথা বলতে গেলে কি দাদা, আমি আপনার সমস্যা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছি, তবে আমার কাছে কোন সমাধান নেই। তবে কষ্ট করে যদি ছাপানো ম্যাপ আগে থেকেই সংগ্রহ করা যায়, তাহলে ভালো হয়। তাছাড়া মেলায় আগত দর্শকদের কথা আর নাই বলি। এমনটা আমাদের এখানেও।

Hiii , bro if any one view my blog than I will will his blog thanks

দাদা আমাদের এদিকেও বইমেলায় একই অবস্থা, মানুষ বই কেনা থেকেও ঘুরতে বেশি যায়। তবে মানুষের সমাগম দেখে কিছু বোঝার উপায় নেই কে ঘুরতে এসেছে আর কে বই কিনতে এসেছে। দাদা বই মেলার বেশ কিছু অব্যবস্থাপনা তুলে ধরেছেন। এগুলোর সমাধান করুক কর্তৃপক্ষ এই কামনা করছি।

বই মেলার কিছু অব্যবস্থাপনা বেশ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন দাদা। আর ঠিক দাদা এখনকার ছেলে মেয়েরা আর বই পড়ায় অভ্যস্ত নয় তারা মোবাইল প্রজন্ম। বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও কিছু বই কিনেছে সেটাই স্বস্থির বিষয় । বইমালা ঘুরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

বুঝতে পারছি আজ দাদার বেশ কষ্ট হয়েছে, তবে কথাগুলো বেশ যুক্তিক বলেছেন, সবই হয় কিন্তু ঐ যে গোড়ায় গন্ডগোলটা আমাদের থেকেই যায়। কিন্তু তবুও আপনার মতো বই প্রেমিকরা ঠিক পছন্দের বই খুঁজে খুঁজে কিনে ফেলেন। বইয়ের সুন্দর কিছু রিভিউ চাই দাদা। তবে ঐ দুই শ্রেণী সম্পর্কে কিছু না বলি, মাঝে মঝে আমিও তাদের মতো হয়ে যাই কিনা হা হা হা।

যেকোনো জিনিস প্রথম শুরুটাই যদি খারাপ হয় তারশেষটাও খারাপের মধ্যে দিয়েই যায় ।বইমেলার কিছু অব্যবস্থাপনা সুন্দরভাবে আপনি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। যেকোনো বড় সমস্যাই হোক সেটা সমাধান করার জন্য একটা ভালো পরিকল্পনায় যথেষ্ট। তারপরও কোন কিছু যদি প্রথম দেখে ভালো নাও হয় তবে চেষ্টা করলে শেষ পর্যন্ত ভালো কিছু করা সম্ভব। আপনি বিভিন্ন সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যে কিছু বই কিনেছেন এটা একটা স্বস্তির বিষয়। যাহোক দাদা ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছি কলকাতা বইমেলা থেকে বই ক্রয়ের সময় বেশ কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ উচিত ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রচুর পরিমাণে ম্যাপ এর ব্যবস্থা করা এবং পেমেন্টের বিষয়টা আরো সহজ করে তোলা। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা সম্পর্কে অনেক সুন্দর তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বই মেলায় গিয়ে দেখি বেশ প্রবলেমে পড়েছেন ৷ সর্বোপরি যেটা কথা সেটা হলো ডিজিটাল লেনদেনে মাধ্যম ভালো কথা ৷ কিন্তু তার সুবিধা টা তো নিশ্চিত করার দরকার ৷ বই কিনতে গিয়ে যদি ঝামেলার ভিতরে পরতে হয় এটা সত্যি বিরক্তিকর ৷ যা হোক বই মেলার আলোকচিত্র গুলো দেখে ভালো লাগলো ৷ সেই গোলকধাধা ট৷

মেলায় যেহেতু ৫০০ এর উপরে স্টল তাহলে কর্তৃপক্ষের উচিত কাস্টমাররা যেন খুব সহজেই কাঙ্খিত স্টল খুঁজে পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করা। আর বিশ্বের অনেক দেশেই নগদ পেমেন্ট করাটা অনেক কমে গিয়েছে। কার্ড বা ডিজিটাল পেমেন্ট বেশি হচ্ছে। এতে করে খরিদ্দারদের কষ্ট করে টাকা বহন করতে হচ্ছে না, আবার কেনার পর ভাংতি টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কোন ঝামেলা নেই। এত বড় মেলায় পেমেন্ট সিস্টেম আরও উন্নত করা দরকার। বইমেলায় গিয়ে তো বেশ ভালোই ঝামেলায় পড়েছিলেন দাদা। যাইহোক এই তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

কষ্টের হলেও আপনার লেখার ধরণে পড়ে বেশ মজা পেলাম দাদা।আসলে কার্ড সিস্টেমটা এখনো সব জায়গায় এভেইলেবল হয়নি।তবে এতো বড় একটা মেলা,এতে অন্তত ম্যাপের ব্যবস্থা থাকা উচিত।নাহলে অনেকে বিরক্ত হয়েই আর বই কিনবে না।

দাদা আপনার কথাগুলোর সঙ্গে আমি সহমত কারণ খুব কম লোকই যায় বই কিনতে আর যারা বই কিনতে যায় তারা আসলে সঠিক স্টল খুজে পাওয়া না কারন বইমেলার দর্শকদের ভিড়ে ।

Hi
240952215_1019341518807265_3342298261845772701_n.jpg

দাদা, আমিও একবার এই কলকাতার বই মেলায় গিয়েছিলাম। কিন্তু এত বিশাল ভিড় আর এত বিশাল এলাকা নিয়ে এই মেলা বসে যে সমস্ত কিছু ঘুরে দেখা মুশকিল। কোথা থেকে যে কোথায় চলে যাচ্ছিলাম বুঝতেই পাচ্ছিলাম না ।তবে আমরাও দেখেছিলাম গেটের সামনে থেকে একজন ম্যাপ দিচ্ছিলেন ,কিন্তু আমাদের সবার সেই ম্যাপ পাওয়ার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। অনলাইন পেমেন্ট এর ব্যাপারটা জানা ছিল না এই মেলায় কেমন কি ,তবে আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম। তবে দর্শক আর প্রেমিকের ব্যাপারটা অনেক মজার ছিল।

Hola আমি আপনার লেখার স্টাইল পড়ে উপভোগ করেছি, ইয়াং দাদা। আসলে ওই বড় মেলায় এখনও কার্ডের ব্যবস্থা নেই।
এইভাবে, লোকেরা আরও ভাল অবস্থান খুঁজে পাবে এবং আরও সহজে বই প্রকাশ ও বিক্রি করতে সক্ষম হবে।

দাদা বইমেলায় গিয়ে আমি নিজেও এই সমস্যাগুলো ফেস করেছি,বিশেষ করে ম্যাপ এর ব্যাপারটা। ভেতরটা এতটাই হিজিবিজি থাকে যে ম্যাপ তখন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। আর তারপরে আবার ইন্টারনেট সমস্যা। তবে আমার মনে হয় না এই সমস্যাগুলোর সমাধান খুব দ্রুত হবে।

  ·  2 years ago Reveal Comment