দীপাবলি - আলোর উৎসব : পর্ব ০৩

in hive-129948 •  11 months ago 

একবার আতশবাজি আর একবার তুবড়ি, আবার আতশবাজি আবার তুবড়ি । এইভাবে চললো প্রায় আধা ঘন্টা ধরে । এরপরে শুরু হলো আমাদের বাজি পোড়ানো দ্বিতীয় রাউন্ড । এই রাউন্ডে আমরা আতশবাজি, তুবড়ি, রং মশাল, ফুলঝুরি আর তারাবাজি পোড়ালাম । আমি, আমার ভাই, ভাইপো, তনুজা, টিনটিন, আমার শালা, আমার মা, আমার শ্বশুর, শাশুড়ী মানে ফ্যামিলির প্রায় সবাই বাজি পোড়ানো শুরু করলাম ।

আমি নিজে অবশ্য শুধু রং মশাল, ফুলঝুরি আর তারাবাজি ফোটালাম । এগুলো নিরাপদ বাজি । আমার মা, তনুজা আর শাশুড়ি মিলে রং মশাল আর তারাবাজি পোড়ালো । টিনটিন চটপটি বাজি (আমি নাম দিয়েছিলাম লঙ্কা বাজি) ফোটালো । আর বাকি সবাই আতশবাজি, তুবড়ি, ঘটবাজি, চরকি এসব পোড়ালো ।

আমাদের বাড়ির আশেপাশের পাড়ার সকল বাড়ির ছাদেই তখন শুরু হয়ে গিয়েছে অলরেডি বাজি পোড়ানোর ধুম । কালো আকাশের বুক চিরে বিদ্যুদ্বেগে আতশবাজি উপরে উঠে শত সহস্র ধারায় ঝরে পড়ছে আলোর ফুলঝুরি ছড়িয়ে । অপূর্ব সেই দৃশ্য । প্রতি সেকেন্ডে বাজি ফাটছে ।

এরপরে আবার শব্দ বাজিরও উৎপাত আছে প্রচুর । রাস্তায় একদল ছেলে ছোকরা বেরিয়ে দুম ধাম শব্দে পটকা, চকলেট বোমা এসব ফাটাচ্ছে । শব্দের চোটে কান পাতাই দায় ।

অমাবস্যার নিকষ কালো আঁধার রাত এখন আলোয় ঝলমল করছে । বাড়ি বাড়ি প্রদীপ, মোমবাতি আর ইলেকট্রিক লাইটের সমারোহ । আকাশ আজ আলোয় ভরা । অসংখ্য আলো তার সঙ্গী । শেষরাতের দিকে সব থেমে যাবে । তখন একে একে সমস্ত দীপ নিভে যাবে । আকাশ আবার অন্ধকারে ঢেকে যাবে । আবার আকাশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে । বিষণ্ণ কালো আকাশ ।


রংমশালের লালচে আলোয় কালো রাত্রির অন্য রূপ ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সাদা আর সবুজ রংমশালও ছিল । এরপর সেগুলো জ্বালালাম ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ০০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


চরকা বা চরকি । এগুলো যখন মেঝেতে প্রচন্ড বেগে ঘুরতে থাকে আর সাদা, লাল, নীল, সবুজ আলোর ফুলঝুরি ছিটকোতে থাকে তখন দারুন সুন্দর দেখায় ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এরপর আবার কিছু আতশবাজি আর তুবড়ি পোড়ালাম ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ০৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


তারাবাজি আর ফুলঝুরি পোড়ানোও শুরু হলো এবার ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


তারাবাজি ও ফুলঝুরি ।
তারিখ : ১২ নভেম্বর, ২০২৩
সময় : সন্ধ্যা ৮ টা ১০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ



------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫৫৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 555 trx)


তারিখ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

টাস্ক ৪৫৬ : ৫৫৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫৫৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 84801e830c52f20c5fbe70f9e5bc32b9c94d343854418daf5b71d1b62922693d

টাস্ক ৪৫৬ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png


steempro....gif

»»——⍟——««

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আজকে যথারীতি হাজির হয়েছি আরো দু'টি NFT আর্ট নিয়ে । আজকের NFT আর্ট গুলো নৃত্যরত রাজকণ্যার । প্রত্যেকটা আর্টে একজন ভারতীয় রাজকণ্যা নৃত্যমুদ্রারত অবস্থায় রয়েছে ।

দু'টি আর্টই বিক্রির জন্য নয় । শুধুমাত্র কালেকশন এর উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে NFT আর্ট গুলো ।


Princess


Screenshot 2023-12-28 143619.png

Dancing Princess of India


Screenshot 2023-12-28 143747.png

Indian Classical Dancer (Princess)

This is a beautiful nft art of dancing princesses Dada, thanks for sharing with us, and I wish you all the best in the marketplace 😊

Onk sundor art dada.

এককথায় অসাধারণ nft এইগুলো।চোখ ফেরানোই যাচ্ছে না।কাজ এত নিঁখুত যেন বাস্তব দেখা যাচ্ছে।দারুণ দাদা,দারুণ।

So beautiful 🤩

ওয়াও! দাদা এনএফটি আর্ট গুলো দেখে তো চোখ ফেরানো যাচ্ছে না। এককথায় প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না দাদা। একেবারে নিখুঁত হয়েছে এনএফটি আর্ট দুটি। একেবারেই বাস্তব মনে হচ্ছে দেখে। ভারতীয় রাজকন্যার সাজটা খুব গর্জিয়াছ হয়েছে দাদা ❤️❤️। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

এই গ্যালারির সবগুলো আর্ট দারুন হয়েছে ও নিপুণতার সাথে অঙ্কন করা হয়েছে। এই ড্রেসের আরো একটি আর্ট দেখলাম গ্যালারিতে। নিত্য রত এই তিনটি আর্ট অনন্য হয়েছে তা একেবারে বাস্তবের প্রতিচ্ছবি।

NFT আর্ট দুটি অসাধারণ হয়েছে। মনে হচ্ছে যেন সত্যি সত্যি কোনো রাজকন্যা নিত্য করছে। দারুন ফুটিয়ে তুলেছেন। বেশ ভালো লাগলো দাদা। ধন্যবাদ।

জাস্ট এমেইজিং, আমি জাস্ট অবাক দাদা, কিভাবে? কিভাবে সম্ভব! সত্যি আমার কাছে যে কতটা ভালো লেগেছে বলে বুঝতে পারবো না।

আমি নিজে অবশ্য শুধু রং মশাল, ফুলঝুরি আর তারাবাজি ফোটালাম । এগুলো নিরাপদ বাজি ।

ঠিকই আছে দাদা মজা করার করবো, কিন্তু রিস্ক নিয়ে বাজি ফুটানোর কোনো দরকার নেই। সেইফ জোনে থাকতে আমিও খুব পছন্দ করি। যাইহোক সবাই মিলে বাজি ফুটানোর মজাই আলাদা। বেশ ভালোই বাজি ফুটিয়েছেন আপনারা এবং নিঃসন্দেহে খুব মজা করেছেন। বাজি ফুটানোর দৃশ্য গুলো বেশ উপভোগ করলাম দাদা। যাইহোক এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

আপনার বর্ণনা পড়ে মনে হচ্ছে আপনাদের ছাদের আতশবাজির পোড়ানো উৎসবটা দেখতে পারলে অনেক ভালো লাগতো। কল্পনায় দেখতে পাচ্ছি মনো মুগ্ধকর সেই দৃশ্য। ঝলমলে আকাশ আর উৎসবের খুশিতে ঝলমল করতে থাকা মুখগুলো। ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

This is a very fun-filled event and feel very excited read this post.

Thank you so much @rme Dada for sharing this events, the third episode of Diwali.

I look forward to learn more from you Dada ❤️❤️

Let's spread the love ❤️💪

রাউন্ডে রাউন্ডে বাজি পোড়ানো!! সবাই মিলে প্রচুর এনার্জি নিয়েই যে ছাদে নেমেছিলে বুঝতেই পারছি।

রঙ মশাল দেখে খুব মজা লাগে! কি সুন্দর, এক কাঠির মধ্যেই এক এক করে দারুন সব রঙ বেরিয়ে আসে।

রাত যত ঘন অন্ধকার হবে, বাজি ফুটিয়ে ততই মজা পাওয়া যায়। 😌
আহা আলো ঝলমলে পরিবেশ, কত্তো সুন্দর লাগছে! 🥰

Posted using SteemPro Mobile

Onk sundor lage atoshbazi ondhokar raat e, jolmol kore uthe sob kisu and utsob er moto lage.

বাহ বাহ,শালাবাবুও ছিল সেদিন তাহলে। সবাই মিলে তো বেশ ভালোই মজা করেছেন দেখছি। ছবিতে শুধু বাজি আর বাজি। আর সেদিন নিশ্চয়ই সবাই শুধুমাত্র বাজি পোড়ানোতেই ব্যস্ত ছিল। সবার বাজি পোড়ানোর দৃশ্য দেখতে দারুণ লাগছে দাদা।এত এত বাজির নাম জানিও না,দেখিও নি। শুধুমাত্র তারাবাজি দেখেছিলাম ছোটবেলায়।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে তো চোখ ফেরানো বেশ দায় হয়ে পড়ছে। দারুন ছিল আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে এতটুকু বুঝতে পারছি যে সেদিন বাজি আর পটকায় পুরো ছাদটিই ছিল আপনাদের দখলে। সবাই তার পছন্দ মত করে দীপাবলির আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য মেতে উঠেছিলেন। দারুন ছিল দাদা আপনার পোস্টের কথা ‍গুলো।

সবাই মিলে তো দেখছি দারুন মজা করলেন দাদা। এতো এতো বাজির নাম আজই প্রথম শুনলাম।আর দেখাও হয়নি।চারিদিকে আলোয় আলোকিত।আলো ঝলমলে পরিবেশে সময়টা সকলের বেশ ভালোই কেটেছে।সকলের জীবন এমন আলোকিত হয়ে জ্বলে উঠুক এই কামনাই করি।

ভাই,
এমনভাবে লিখেছেন কথাগুলো মনে হচ্ছিল যেন আমরা পাশে থেকে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষে মুহূর্তটা উপভোগ করছি।

তবে এই লেখার মাঝেও কিছু বাস্তবতাও তুলে ধরেছেন, বিশেষ করে শেষ অংশটুকু।

শেষরাতের দিকে সব থেমে যাবে । তখন একে একে সমস্ত দীপ নিভে যাবে । আকাশ আবার অন্ধকারে ঢেকে যাবে । আবার আকাশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়বে । বিষণ্ণ কালো আকাশ ।

যা কিনা চরম সত্য ও বাস্তব।

সবাই একসাথে মিলে এ আয়োজনটি চমৎকার একটি দৃশ্যের অবতারণা করে নিশ্চয়ই কারণ আশেপাশের ছাদগুলোতেও আতশবাজির ছবি দেখা যাচ্ছে। ধন্যবাদ দাদা আরেকটি পর্বে আরো চমৎকার কিছু বর্ণনা এবং ছবি শেয়ার করার জন্য।

বাহ দাদা ব্যাপারটা বেশ চমৎকার লাগলো আমার কাছে ।বাড়ির ছোট থেকে শুরু করে বড়রা পর্যন্ত বাজি পোড়ায়।দারুণ একটি বিষয় ।পরিবারের সবাই মিলে যখন এরকম একটি উৎসব পালন করে তখন সত্যি অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। এই দিনে মনে হয় পুরো শহর আলোয় ভরে ওঠে ।সত্যিই চমৎকার লাগে।বাজি পোড়ানোর মুহূর্ত দারুন লাগলো ।ধন্যবাদ।

টিনটিনের পোড়ানো বাজির নাম আপনি দিয়েছেন লঙ্কা বাজি বেশ দারুণ তো। পরিবারের সবাই মিলে ছাদে বাজি পুড়িয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন দাদা। সত্যি চমৎকার বলতে হয়। আর এইদিনে পুরো কলকাতা জুড়ে বাজির শব্দ সঙ্গে সঙ্গে আকাশ জুড়ে আলোর ঝলকানি। বেশ দারুণ বলতেই হয়। বেশ চমৎকার ছিল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ দাদা।

Posted using SteemPro Mobile

আতশ বাজি ,তুবড়ি ,তারাবাজি ,ফুলঝুরি আসলে এগুলা কখনো করিনি দাদা,কিন্তু আজকে আপনি এগুলা দেখার সুযোগ করে দিলেন।দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগছে দাদা।আর আপনার NFT আর্ট গুলা এতটাই সুন্দর হইছে যে চোখ ফেরানো কঠিন।একদম অসাধারণ হইছে দাদা।

এতো রকমের যে বাজি হতে পারে সত্যিই জানা ছিলো না আমার!কতো রং এর আর কত নামের,বাবাহ!!
তবে আলোর ঝলকানিগুলো দেখতে সুন্দর ।