ছোটবেলাকার কিছু bizarre খাবারের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও রেসিপিsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

food-1898194_1920.jpg
Copyright & Royalty Free Image : Source - PixaBay


আজকে কিছু খুবই অদ্ভুত ধরণের খাবারের সাথে আপনাদের পরিচিত করাবো । এখন আর মনে হয় না কেউ এসব খাবারের নাম জানে, আর রেসিপি তো দূরের কথা । মজার ব্যাপার হলো এই সব খাবার কিন্তু বড়োরা তৈরী করে দিতো না আমাদের । এগুলো ছিল আমাদের ছেলেবেলার গোপন খাবারের রেসিপি । এগুলোর খোঁজ শুধুমাত্র ছোটদের কাছেই থাকতো ।

এই সকল খাবার তাই আমাদের ছোটবেলাকার জীবনেই সীমাবদ্ধ ছিল । যেই বড় হলাম অমনি সব হারিয়ে গেলো । জানি না এখনকার গ্রামের ছেলেপেলেরা এসবের খোঁজ এখন আর রাখে কি না । আমাদের সময়ে আমাদের চাইতে কিছুটা বড় যারা সদ্য বালকবেলা থেকে কিশোর বয়সে পদার্পণ করতো তারাই আমাদেরকে এই সব খাবারের রেসিপির খোঁজ দিয়ে যেতো ।

এর আগে তারাই আমাদেরকে খাবার গুলো তৈরী করে জাস্ট ভাগ দিতো , কিন্তু রেসিপির খোঁজ পেতাম না আমরা তখনও । তারা যখন বালক থেকে কিশোরে প্রোমোশন পেতো শুধুমাত্র তখনই খাবারগুলোর রেসিপি শিখিয়ে দিয়ে যেতো । যাই হোক চলুন জেনে নেওয়া যাক বালকবেলার সেই সব অচেনা অদ্ভুত সব মন মাতানো খাবারের রেসিপিগুলো ।


ডাব মাখা


উপকরণ :

০১. কচি ডাব - ৩ টে
০২. পুরোনো তেঁতুল - ১ মুঠো
০৩. কাঁচা লঙ্কা - ৪-৫ টি
০৪. শুকনো লঙ্কা পোড়া - ৩-৪ টি
০৫. গন্ধরাজ/পাতি লেবুর পাতা - ৫-৬ টি
০৬. চিনি - ৩ চামচ
০৭. সরষের তেল - ৪ চামচ
০৮. নুন - স্বাদমতো


প্রক্রিয়া :

০১. প্রথমে ডাব গুলো ভালো করে ধুয়ে কেটে ফেলতে হবে । একটা বড় পাত্রে বা গামলায় ডাবের জল ধরে রাখতে হবে ।

০২. এরপরে ওই ডাবের কচি শাঁস কুরনী দিয়ে কুরে কুরে বের করে নিতে হবে । সেই সাথে ডাবের শাঁসের ভেতরের কচি নরম ছোবড়াও ।

০৩. একটা বড় বৌল বা গামলায় ডাবের কচি শাঁস আর কচি নরম ছোবড়ার সাথে ডাবের জল ভালো করে এক সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ।

০৪. এরপরে কাঁচা লঙ্কা, লেবুর পাতা আর তেঁতুল দিয়ে ভালো করে শাঁসের সাথে মাখতে হবে ।

০৫. এরপরে নুন আর সর্ষের তেল দিয়ে ভালো ভাবে মেশাতে হবে ।

০৬. সব শেষে শুকনো লঙ্কা আর চিনি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে ।

ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো জিভে জল আনা স্বাদের রেসিপি "ডাব মাখা" ।


কদবেল কপকপা


উপকরণ :

০১. পাকা কদবেল - ৩ টি

০২. কাঁচা কদবেল - ১ টি

০৩. তেঁতুল - ২ ছড়া

০৪. সরষের তেল - ২ চামচ

০৫. গুড় - ৮-১০ চামচ

০৬. কাঁচা লঙ্কা - ৩ টি

০৭. সরষের তেলে ভাজা শুকনো লঙ্কা - ৪ টি

০৮. নুন - স্বাদমতো


প্রক্রিয়া :

০১. প্রথমে পাকা কদবেল গুলো ভেঙে শাঁসগুলো একটি চামচ দিয়ে বের করে নিতে হবে ।

০২. এরপরে কাঁচা কদবেল ভেঙে কুরনী দিয়ে তার ভেতরকার শাঁস কুরে কুরে বের করতে হবে ।

০৩. একটা পাত্রে নুন, গুড়, কাঁচা লঙ্কা আর তেঁতুল খুব ভালো করে ডলে ডলে মেশাতে হবে ।

০৪. এবার আরেকটা পাত্রে কাঁচা ও পাকা কদবেলের শাঁস নিয়ে তার সাথে সরষের তেল ও ভাজা শুকনো লঙ্কা নিয়ে ময়দা পেষার মতো করে পিষতে হবে ।

০৫. এরপরে দুটি পাত্রের সব উপকরণ অর্থাৎ নুন, গুড়, কাঁচা লঙ্কা আর তেঁতুলের মিশ্রনের সাথে কাঁচা ও পাকা কদবেলের শাঁসের সাথে সরষের তেল ও ভাজা শুকনো লঙ্কার ডেলা এক সাথে মিশিয়ে কিছুক্ষণ হাত দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মেশাতে হবে ।

ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় "কদবেল কপকপা " ।


নোল (অড় বড়োই) ছেঁচনি


উপকরণ :

০১. নোল (কাঁচা পাকা মিশ্রিত) - ৪০-৫০ টি

০২. তেঁতুল - ১ ছড়া

০৩. সর্ষের তেল - ২ চামচ

০৪. চিনি - ১ চামচ

০৫. কাঁচা লঙ্কা - ১ টি

০৬. সর্ষের তেলে হালকা ভাজা কুড়কুড়ে শুকনো লঙ্কা - ৫-৬ টি

০৭. নুন - স্বাদমতো


প্রক্রিয়া :

০১. প্রথমে নোলগুলো ভালো করে জলে ধুয়ে এরপরে বাটনা বাটা শিলে নোড়া দিয়ে হালকা ছেঁচতে হবে । তবে মনে রাখবেন এক একটা নোল মাত্র এক থেকে দু'বারের বেশি যেনো ছেঁচা না হয় এবং খুব জোরে যেন ছেঁচা না হয় । এই ছেঁচার পরেই রেসিপির স্বাদ নির্ভর করছে । এমন ভাবে ছেচঁবেন যাতে নোলের থেকে সব রস বেরিয়ে পড়ে না যায় । নোলের চারিপাশে কিনারের ধারে হালকা ফেটে গেলেই এনাফ ।

০২. এরপরে একটি পাত্র ছেঁচা নোল গুলো আলগোছে তুলে রাখতে হবে । আর তার সাথে নুন ও তেঁতুল মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে ।

০৩. ৫-৬ মিনিট পরে এবার এর সাথে কাঁচা লঙ্কা কুচি, ভাজা শুকনো লঙ্কা আর সর্ষের তেল মিশিয়ে ভালো করে হাত দিয়ে মাখতে হবে । সব শেষে চিনি যোগ করতে হবে ।

ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো সেরা স্বাদের নোল ছেঁচনি


কাঁচা সফেদার জাগ


উপকরণ :

০১. কাঁচা সফেদা - ৫-৬ টি বড় সাইজের

০২. তেঁতুল - ৩ ছড়া

০৩. সর্ষের তেল - ২ চামচ

০৪. শুকনো লঙ্কা পোড়া - ২ টি

০৫. চিনি - ১ চামচ

০৬. হলুদ গুঁড়ো - ১ চিমটি

০৭. নুন - স্বাদমতো

০৮. পাতি লেবুর পাতা - ৩-৪ টি


প্রক্রিয়া :

০১. প্রথম কাঁচা সফেদাগুলো বেশ ভালো করে জলে রগড়ে রগড়ে ধুয়ে নিতে হবে । খেয়াল রাখতে হবে যেনো গায়ে কোনো আঠা লেগে না থাকে ।

০২. এরপরে একটা ছুরি দিয়ে একটার পর একটা সফেদার কাঁচা ছাল তুলে ফেলতে হবে ।

০৩. ছাল তোলা হয়ে গেলে আরো একবার জলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে । তারপরে ছুরি দিয়ে কেটে ৪-৮ টুকরো করে নিতে হবে এক একটা সফেদা ।

০৪. এবার একটি বাটনা বাটা শিলে ওই টুকরোগুলো হালকা ছেঁচে নিতে হবে ।

০৫. এরপর একটা পাত্রে সফেদার ছেঁচা টুকরো গুলো নিয়ে তার সাথে সর্বপ্রথম সরিষার তেল ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মাখতে হবে । তারপরে তেঁতুল মেশাতে হবে ভালো করে ।

০৬. ১০ মিনিট এভাবে রেখে দিতে হবে । এই প্রক্রিয়াই হলো জাগ দেওয়া ।

০৭. এরপরে শুকনো লঙ্কা পোড়া, চিনি ও নুন মিশিয়ে আরো একবার হাত দিয়ে ভালোভাবে সব উপকরণগুলো মেশাতে হবে । সব শেষে লেবুর পাতা গুলো কচলে নিতে হবে ।

ব্যাস তৈরী হয়ে গেলো স্বাদে গন্ধে মন মাতাল করা রেসিপি "কাঁচা সফেদার জাগ" ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫১০ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 510 trx)


তারিখ : ১৭ মে ২০২৩

টাস্ক ২৬৮ : ৫১০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫১০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : a05ffeb96938211fc3baceba8eef38354fbdc8734d5b5e63189e4d69ed37999b

টাস্ক ২৬৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এমন ইউনিক রেসিপিগুলো আগে দিলে হয়ত নয় ছয় করে আমরাও ইউনিক কিছু করতে পারতাম।দাদা আপনার শৈশবের সিক্রেট রেসিপিগুলো দারুণ ছিল।যদিও কখনো এরকম কিছু খাওয়া হয়নি।আর নামগুলোও বেশ ইউনিক দেখতেছি। জীবনে কখনো শুনিনি ডাব মেখে খাওয়া যায়। তবে রিসেন্ট দেখেছিলাম কচি ডাবের খোসা দিয়ে কিভাবে যেন মাখা হয়। যদিও কখনো খাওয়া হয়নি ভিডিওতেই দেখেছিলাম। যাইহোক নাম গুলো বেশ দারুন কিন্তু। দারুন দারুন রেসিপি গুলো হয়তোবা প্র্যাকটিক্যালি দেখালে খুবই ভালো হতো আপনার হাতের রেসিপি দেখার সৌভাগ্য হতো🤣।রেসিপিগুলো জেনে সত্যিই ভালো লাগছে যদিও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখিনি আর কি। মাল্টি লেভেলের ইউনিক আর ক্রিয়েটিভ লোকজন আপনারা নাইলে এরকম রেসিপি গুলো কিভাবে মাথায় আসে,হাহাহা।

দাদা আপনার ছেলে বেলা কার খাবারের রেসিপিগুলো পড়ছিলাম আর খিটখিট করে হাসছিলাম। কি অদ্ভুত ধরনের রেসিপি রে বাবা। যদিও জিনিসগুলো সবকিছুর নামই জানি ডাব, কদবেল, ওর বরই, সফেদা ইত্যাদি। কিন্তু এরকম আশ্চর্য এবং অদ্ভুতভাবে রেসিপি করে কখনো খাওয়া হয়নি। আবার এগুলো নাকি ছেলেবেলার খাবার। হাসিতে তো পেট ফুলে যাচ্ছে দাদা। যাক এত শত ছেলেবেলার খাবার গুলো ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারীদের জন্য সংরক্ষণ করে রেখে দিলাম। হিহিহি

দাদা আপনার সবগুলো রেসিপিতে তেঁতুল দেখছি অবশ্যই আছে।তেঁতুল আপনার কি পছন্দ তাতেই বোঝা যাচ্ছে। আর প্রতিটি রেসিপি পড়ার সময় মুখে পানি চলে আসছে। অবশ্য এরকম ভাবে কখনো এগুলো মাখিয়ে খাওয়া হয়নি। আজকেই প্রথম শুনলাম। কিন্তু আপনার বানানো শুনে মনে হচ্ছে খেতে অসম্ভব মজাদার ছিল এগুলো। লোভ লাগিয়ে দিলেন এই রাতের বেলায়।

দাদা আপনার ছেলেবেলা আর এমন বাহারি খাবার সত্যিই অসাধারণ জীবন কাটিয়েছেন।নাম তো আমার অজানা আছেন তার উপর নাম গুলো খুব মজার।সত্যি এমন রেসিপি এই জীবনে কেউ বলেনি। 💞😂 তবে খেতে যে খুব মজার হয় তা বুঝতে পারলাম।বেল কপকপা নাম পড়ে হাসছিলাম আর আপনার এই রেসিপির উপকরন বেলের সাথে মরিচ,নুন মাখানোর কথা পড়েই জিভে জল চলে আসছিল।😋 দাদা কি যে বলবো, ভাষা নেই। জাস্ট অসাধারণ। 👌ধন্যবাদ দাদা শেয়ার করলেন এজন্য।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

দাদা আপনি তো ছোটবেলায় অনেক মজা করেছেন দেখছি। এই রেসিপি গুলোর ব্যাপারে মনে হয় না আমাদের কমিউনিটির কেউ জানে। তবে আমরা ছোটবেলায় ঝোলা পাতি খেলতাম কয়েকজন ছেলে মেয়ে একসাথে। সবার বাসা থেকে অল্প অল্প করে চাল,ডাল আরও অনেক কিছু নিয়ে সবাই মিলে রান্না করে খেতাম। তখন অনেক আনন্দ লাগতো। যাইহোক এমন ইউনিক রেসিপি গুলোর নাম এবং রেসিপি তৈরির বিস্তারিত সবকিছু জানতে পেরে খুব ভালো লাগলো। ভাবছি একদিন তৈরি করে খাওয়া দরকার। যাইহোক এমন ইউনিক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

কদবেল কপকপা নামটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং 😅। আমার তো ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। আসলে ছোটবেলায় আমাদের কিছু সংকেত ছিল এগুলো শুনলেই বন্ধু বান্ধবীরা বুঝে যেত কি করতে চলেছি। কার গাছের পেয়ারা পেকেছে কার গাছের বড়ই সবকিছুই আমাদের নাগালের মধ্যে ছিল। আর সেসব দিয়ে সব মজার মজার রেসিপি তৈরি করে খেতাম। এর বাড়ি ওর বাড়ি থেকে লবণ মরিচ এনে চলত আমাদের খাওয়া দাওয়া। দাদা আপনার শেয়ার করা মজার রেসিপি গুলোর কথা জেনে সত্যিই ভালো লাগলো।

দাদা, আপনার পোস্টে থাকা খাবারের নাম গুলো সত্যিই বড়ই অদ্ভুত। খাবারের নাম শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছি। তার উপরে আবার এই খাবারগুলো যেভাবে তৈরি করেছেন তা সত্যি অবিশ্বাস্য। যদিওবা ফলগুলো বেশ পরিচিত, কিন্তু খাবারের প্রক্রিয়া একদমই ভিন্ন। দাদা আপনার ছোটবেলা বেশ আনন্দ উদ্দীপনায় কেটেছে, সেই সাথে রকমারি খাবারের স্বাদও গ্রহণ করেছেন। দাদা আপনার পোস্টে থাকা বাহারি খাবার তৈরীর প্রক্রিয়া দেখে সত্যিই খাওয়ার ভীষণ লোভ হচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় সুস্বাদু খাবার গুলো কিভাবে খাওয়া যায় তা শিখিয়ে দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা।

ছোটবেলার গোপন রেসিপি আজকে এসে ফাঁস হল। আমি ছোটবেলায় প্রায়ই লুকিয়ে ট্যাং এ ভিজিয়ে মুড়ি খেতাম। এটা ছিল আমার উইনিক। আপনাদেরগুলো ত আরো দুর্দান্ত বিশেষ করে কদবেল এর টা।

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো ভালো খাবারের নাম জানতে পারলাম। সত্যি এমন খাবারের নাম কখনো শুনিনি ও দেখিনি। দাদা ফল গুলোর নাম জানি কিন্তু এভাবে রেসিপি তৈরি করা যায় জানা ছিল না। আপনি প্রতিটি রেসিপি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। দেখি এভাবে কিছু একটা তৈরি করব।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

এ তো দেখছি জিভে জল আনা সব রেসিপি দাদা। তবে আমি ডাব মাখা বাদে এবং নোল ছেঁচনি বাদে সব গুলো খেয়েছি তাই বাকিগুলোর রেসিপি তৈরীর প্রক্রিয়া আমার জানা। তবে একটা বিষয় শুনে বেশ হলাম যে আপনাদের রেসিপি তৈরি করা শিখিয়ে দিত না, শুধু ভাগ দিত খেতে। হা হা হা...

আসলে এখনকার জেনারেশনের ছেলেপেলেরা এইসব খাবারের স্বাদ হয়তো কখন আর পাবে না। আমরাই হয়তো শেষবারের মতো এই খাবার গুলো খেয়েছিলাম।

দাদা যে সব খাবারের নাম বলছেন এসব খাবারের নাম জীবনেও শুনি নাই। আর খাওয়া তো দুরের কথা। আপনার বর্ণনা পড়েই জিহ্বে জল চলে আসলো। সব গুলো খাবারেই তেঁতুল ব্যবহার করতেন। আর সব গুলো খাবারই লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ দাদা।

ঠিকই বলেছেন দাদা, এখনকার ছেলেপেলেরা এইসব খাবারের খোঁজ রাখে না, এই যেমন জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে আমি নিজেই ,এইসব খাবারের নাম কখনো শুনিনি, তা আর খাব কোথা থেকে? ছোটবেলায় দেখছি দারুন কিছু টেস্টি খাওয়ার বানাতে পারতেন এবং তৈরি করে আপনারা বন্ধুরা মিলে সেটা খেতেনও। তবে এরকম সৌভাগ্য আমার ছোটবেলায় কখনো হয়নি। যাইহোক প্রত্যেকটি রেসিপি খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে।

এরকম খাবারের নামগুলো আমি আজকেই প্রথম জানতে পারলাম। নামগুলো একটু অদ্ভুত হলেও খাবারের বর্ণনা গুলো পড়ে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। যাইহোক আপনাদের ছোটবেলার গোপন খাবার গুলোর রেসিপি জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

প্রিয় দাদা, ছোটবেলারকার খুবই চমৎকার কিছু খাবার তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কদবেলের কপকপা তৈরীর প্রক্রিয়াটি খুবই চমৎকার মনে হয়েছে আমার কাছে। বালকবেলাকার খুবই চমৎকার কিছু খাবার তৈরির রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য প্রিয় দাদা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

একা একাই হাসছিলাম ভাই, এখন আর এসব চাইলেও আগের মতো করে ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তবে অতীত যেন চোখের সামনে ভাসছিল।

ইশ দাদা, মনে হচ্ছিল খাবারের দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসছে হি হি হি। আহ! শৈশবের সাথে শৈশবের রেসিপিগুলোও দারুণ স্বাদের ছিলো। সেই সময় এগুলোর প্রতি দারুণ একটা আকর্ষণ এর সাথে সাথে উত্তেজনাও কাজ করতো।

পোস্টটা পড়তে গিয়ে কতবার যে জিভ দিয়ে জল পড়ে গেল আর কতবার যে আমি ঢোক গিললাম আমি জানি একমাত্র। কি লোভনীয় সব রেসিপি!
এখানে অনেকগুলো রেসিপি আছে যেগুলো এখনো বানানো যায়,ছোটবেলার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় না। তবে কিছু কিছু জিনিস এখন পাওয়াটাও মুশকিল। গ্রামের দিকে গেলে একটু খুঁজলে পাওয়া যেতে পারে।ডাবের রেসিপিটা সেরা লাগলো সব থেকে বেশি। আর সবেদারটাও ভালো লেগেছে। তবে কাঁচা সবেদা আমার খাওয়া হয়নি কখনো। কোথায় পাওয়া যায় খোঁজ নিতে হবে।

Loading...

দাদা ছোটবেলায় এত চমৎকার চমৎকার রেসিপি করে খেতেন যা শুনে দেখে জিভে জল চলে আসলো। আমি আপনার পরপর চারটি রেসিপি পড়তে গিয়ে, সত্যিই জিভের জল আটকাতে পারছিলাম না। কাঁচা সফেদার জাগ",
নোল ছেঁচনি, কদবেল কপকপা এবং ডাব মাখা। নামগুলো শুনি একটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল।তবে এখনকার গ্রামের ছেলেগুলোও এসব করে কি না আমার সন্দেহ আছে। সেই ছোটবেলার ইউনিক কিছু রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। তবে আমিও বাসায় ট্রাই করবো একটি একটি করে।♥♥

অদ্ভুত কিছু খাবারের নাম জানতে পারলাম৷ "কদবেল কপকপা" 🙂 কদবেল ফলটি আমার বেশ প্রিয়৷ আপনার বানানোর উপকরণ গুলোর নাম শুনেই তৈরি করতে মন চাইতেছে৷ তবে এখন বাজারে মনে হয় না কদবেল পাওয়া যাবে৷ তেঁতুল এর কথা বা লেখা দেখলেই যেকারো জীবে জল চলে আসে৷ আপনার শেয়ারকৃত ৪ টি খাবার বাড়িতে বানানোর চেষ্টা করবো৷ পোস্টটি রিস্টীম করে রাখি 🙂।

দারুন ইউনিক কিছু রেসিপি জানতে পারলাম দাদা। এই ফলগুলোর সাথে তো আমাদের সবারই কমবেশি পরিচয় রয়েছে। তবে এই ফলগুলো যে এভাবেও খাওয়া যায় সেটা জানা ছিল না। আর সবগুলি রেসিপি তৈরির যে উপকরণ গুলি সেগুলোর নাম পড়েই বোঝা যাচ্ছে খাবারগুলি আসলেই অনেক মজার ছিলো। ভিন্নধর্মী এই রেসিপিগুলোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

Investing Basics: How to Start Building Your Portfolio

আপনার খাবারের নাম গুলো পড়ে মনে হল জীবনে কখনো এ ধরনের খাবার খাইনি। তবে প্রতিটি খাবারের বর্ণনা পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। কারণ প্রতিটি খাবার অনেক মজার এবং টেস্টি ছিল আর বিশেষ করে প্রতিটি খাবারই অনেক মুখরোচক খাবার।