অনলাইনে আমার কাজের সাথে (freelancing) প্রথম পরিচয়ের স্মৃতিsteemCreated with Sketch.

in hive-129948 •  2 years ago 

_fb839b04-9373-4512-b29d-679eea8d1e27.png

Image Created with AI, powered by DALL·E (Microsoft Bing)


অনলাইনে আমার কাজের অভিজ্ঞতা নেহাৎ কম দিনের নয় । প্রায় ১১ বছর । ফিরে যাওয়া যাক ২০১০ সালের সেই অক্টোবরে । সেই মাসেই আমি সর্বপ্রথম অনলাইনে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করি এবং সামান্য কিছু অর্থ উপার্জন করি । তবে, তার আগে পটভূমিটা জেনে নেওয়া যাক ।

তার আগের বছর ২০০৯ সালে আমার বড় ভাইয়ের বিয়ে হয় । দাদার শালা অর্থাৎ বৌদির একমাত্র ভাই আমার চাইতে বয়সে বেশ কিছুটা ছোট । বিয়ের রাতে শুনেছিলাম তার নিজস্ব ল্যাপটপ আছে, শুনে একটু আধটু হিংসে হয়েছিল আমার । সেই সময় আমার একটি পুরোনো ডেস্কটপ, আমার ছোট ভাইয়ের একটি ডেস্কটপ এবং বহু পুরোনো মান্ধাতা আমলের একটা ল্যাপটপ ছিল আমার দাদার । শার্প ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ । উইন্ডোজ এক্সপি । বিয়ের পরে দাদার কাছ থেকে সেই ল্যাপটপটা প্রায় কেড়ে নিই আমি । নইলে মান ইজ্জত আর থাকে না ।

তো, বৌদির ভাইয়ের ল্যাপটপটি ছিল খুবই উন্নতমানের, প্রচুর দামি । উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল ছিল সেই ল্যাপটপে । সেভেনের অসাধারণ গ্রাফিক্স, অসংখ্য দারুন সব টুলস আমাকে মুগ্ধ করেছিল । তো বিয়ের রাতে আড্ডায় তার কাছে জানতে পারলাম সে নাকি ইন্টারনেটে কাজ করে এবং বেশ কিছু ডলার নাকি ইতিমধ্যে তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে উইথড্র করেছে । এসব শুনে আমার স্বপ্নের মতো মনে হলো । ইতিপূর্বে আমি কোনোদিন শুনিনি যে ইন্টারনেট থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় । আমার বাড়িতেও ইন্টারনেট এর কানেক্শন ছিল । কিন্তু, আমি সেটাকে আর্টিকেলস পড়া, ছবি ডাউনলোড করা, গান ডাউনলোড করা, মুভি দেখা, পিডিএফ ডাউনলোড করা এবং সর্বোপরি গেম্স্ ডাউনলোডের মাধ্যম হিসেবে ইউজ করে থাকি । কারণ, আমার ধারণা ছিল এসবের জন্যেই ইন্টারনেট ।

তবে ২০১০ সালে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং -এ ভর্তির পরে নেট থেকে প্রচুর কোড নামতাম আর বহু কোডিং টিউটোরিয়াল পড়তাম । তো, যা বলছিলাম - বিয়ের রাতেই আমি আমার বৌদির ভাইকে চেপে ধরি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য । তখন সে কথা দেয় যে বিয়ের পরে সে আমাকে শেখাবে কি করে অনলাইনে কাজ করা যায় ও অর্থ উপার্জন করা যায় । সেদিন প্রথম একটি শব্দ শিখলাম - "ফ্রীল্যান্সইং" । অর্থাৎ, অনলাইনে কাজে তুমি একদম স্বাধীন, এখানে কেউই তোমার উপরে ছড়ি ঘোরাবে না, তুমিই তোমার বস । বাঁধাধরা কোনো নির্দিষ্ট কাজ নেই, কাজের কোনো নির্ধারিত সময় নেই । বিভিন্ন বায়ারের থেকে কাজ পাবে কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে, আর সেগুলো ঠিকঠাকভাবে করে দিতে পারলে তোমাকে সেই কাজের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করবে সেই বায়ার ।

সে সময় এই জিনিসটি আমার কাছে খুবই অবিশ্বাসের মনে হয়েছিল । বিশেষ করে অর্থ প্রদানের বিষয়টি । কি ভাবে সুদূর কোনো বিদেশী লোক আমাকে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে অর্থ প্রদান করবে ? এক দেশ থেকে আরেক দেশের কাউকে অর্থ প্রেরণ এর একমাত্র মাধ্যম হলো ব্যাঙ্ক। কিন্তু, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কিভাবে সম্ভব এটি ?

যাই হোক আমি ভেবেছিলাম সে গুল মারছে । সেই কারণেই আর বিয়ের পরে আমি আর এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইনি । এরপরে কেটে গেলো একটি বছর । পরের বছর ২০১০ সালের অক্টোবরে দূর্গা পুজোতে দাদার সাথে দাদার শ্বশুরবাড়ি গেলুম । ৩ দিন কাটালাম বৌদির বাপের বাড়ি । আর সে সময়ে বৌদির ভাইয়ের সাথে আমার কিছুটা ঘনিষ্ঠতা হলো । অবশেষে খুঁটিনাটি সব জানতে পারলাম অনলাইনে কাজের সম্পর্কে । শেষমেশ বিশ্বাস করলাম ব্যাপারটা । এরপরে পুজো শেষে বাড়ি ফিরে কম্পিউটার অন করে শুরু হলো আমার গুগল সার্চ । এই একটি জিনিস আমি অসম্ভব ভালো পারতাম । গুগল সার্চিং । ফলে অতি দ্রুত এক এক করে সব ফ্রীল্যান্সইং সাইটগুলো বের করে ফেললাম ।

এরপরে শুরু হলো আমার দিন-রাত এর পিছনে পড়ে থাকা । ক্রমে ক্রমে সব বিষয়গুলো ক্লিয়ার হলো আমার । কিভাবে কাজ পাওয়া যায়, করা কাজ দেয়, পেমেন্ট কিভাবে নিতে হয় - সব জেনে গেলাম । Getacoder, Rentacoder, freelancer, odesk, guru এসব মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে পারলাম । একই সাথে GPT (Get Paid for Task) সাইটগুলোতে টুকটাক কাজ করা শুরু করলাম । কিন্তু প্রথম পেমেন্ট পেলাম Getacoder থেকে । তখন আমার ফার্স্ট সেমিস্টার । টুকটাক কোডিং পারি । সেজন্য এসব বড় বড় মার্কেটপ্লেসে কাজ পাচ্ছিলাম না । এরই মধ্যে Getacoder এ ছোট্ট একটা কোডিং এর কাজের জন্য বিড করলাম । C++ কোডিং । ভালোই পারতাম প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজটি । তাই কাজটিও সম্পন্ন করতে পারলাম খুব দ্রুত । এবার দেখি সাইটে আমার একাউন্টে Earnings এর ঘরে জ্বল জ্বল করছে কিছু ডলার ।

মনে আছে সেদিন রাতে ঘুমোতে পারিনি খুশিতে । এরপরে চিন্তা শুরু হলো কিভাবে এই অর্থ দেশে আনা যায় । এরই মধ্যে GPT সাইটগুলোতে ছোট ছোট টাস্ক কমপ্লিট করে বেশ কিছু ডলার জমিয়ে ফেললাম । অনলাইনে কাজ করতে দারুন লাগছে, ভীষণ এনজয়মেন্ট ফিল করছি । সেই সাথে বেশ কিছু ডলারের মালিকও আমি । তরুণ বয়সে এসব দারুণভাবে উৎসাহিত করেছিল আমায় । ডলার ইনকাম করেছি আমি, ডলার । সোজা কথা ? বন্ধুবান্ধবদের কাছে খাতির অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেলো । কিন্তু, একদিন আমার এক ফ্রেন্ড ঈর্ষা আর হিংসার বশবর্তী হয়ে বললো শুধু ডলার ইনকাম করে কি হবে যদি সে ডলার নিজের কাছে না আসে ? ওসব ডলার মিথ্যে, কোনোদিনও হাতে পাওয়া যাবে না ।

এই কথা শুনে ক্ষোভে দুঃখে লজ্জায় আমার চোখে জল চলে এসেছিলো । সেদিন বাড়ি ফিরে সারা রাত ধরে কম্পিউটারে গুগল সার্চ করে পেমেন্ট মেথড সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান অর্জন করে ফেললাম । কি করে পেমেন্ট গেটওয়েগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই ব্যাঙ্ক ছাড়াই ডলার, ইউরো, পাউন্ড এক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে অপর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে ট্রান্সফার করা যায়, কি ভাবে নিজের পেমেন্ট গেটওয়ে একাউন্ট থেকে সেই ডলার নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্টে উইথড্র করা যায় সে সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করলাম ।

পরবর্তী একটি সপ্তাহ আর কাজ করলাম না, শুধু এই পেমেন্ট গেটওয়ের পিছনে লেগে থাকলাম । এবং একে একে একাউন্ট খুললাম - পেপাল (Paypal), এলার্টপে (AlertPay), লিবার্টিরিজাৰ্ভ (Liberty Reserve), মানিবুকার্স (Moneybookers, Now Skrill), পারফেক্টমানি (Perfectmoney), ওয়েবমানি (Webmoney), ওকেপে (OKPay) এবং নেটেলার (Neteller) -এ । এর মধ্যে পেপাল, মানিবুকার্স এবং নেটেলার এ একাউন্ট ভেরিফাই করতে পারলাম না আমার নিজস্ব কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্ট না থাকায় । মুশকিল হলো তো । এখন কি করি ? Getacoder এ ডলার জমে আছে অনেকদিন ধরে । তুলতে গেলে পেপাল একাউন্ট চায় । সেটা আমার আছে । কিন্তু, পেপাল থেকে তোলার উপায় নেই । কারণ নিজের কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্টই নেই । কি করি, কি করি ? হঠাৎ একটা বুদ্ধি মাথায় খেললো । Getacoder সাইট এ গিয়ে Contact বাটনে প্রেস করে ওদের সাথে এ সমস্যা সম্পর্কে সাহায্য চেয়ে কন্টাক্ট করলাম ।

দু'দিন পরে রিপ্লাই পেলাম । তারা জানালো যে আমার একাউন্টে Moneygram নামে একটা রেমিট্যান্স সার্ভিস প্রোভাইডার এর অপশন এভেইলেবল করে দিয়েছে । আমি Moneygram এর মাধ্যমে ব্যাঙ্ক একাউন্ট ছাড়াই ডলার উইথড্র করতে পারবো । আমার শহরে তাদের যে এজেন্সী অফিস আছে সেখান থেকে অর্থ কালেক্ট করতে পারবো । আর দেরি না করে উইথড্র দিলাম Moneygram এর মাধ্যমে । একটা মেসেজ এলো - "সেখানে লেখা ৩-৫ কর্মদিবসের মধ্যে আমি আমার অর্থ পেয়ে যাবো" । খুশিতে আমি লাফিয়ে উঠলাম । সেই রাতেই একটি GPT সাইট থেকেও কিছু ডলার উইথড্র দিলাম । দেখলাম Liberty Reserve এর মাধ্যমে ডলার উইথড্র করা যাবে এবং সেটা ইনস্ট্যান্ট । ইনস্ট্যান্ট উইথড্রল ? বিশ্বাস হলো না ঠিক । দিলাম একটা টেস্ট উইথড্রয়াল । মাত্র $০.১০ ডলার । সঙ্গে সঙ্গে ১ সেকেন্ডের মধ্যে Liberty Reserve থেকে একটা fund received মেইল পেলাম আমার জিমেইল এ । নিজের চোখকেই যেনো বিশ্বাস করতে পারছিলাম না আমি । দ্রুত কম্পিত বক্ষে Liberty Reserve একাউন্টে লগইন করলাম । সেখানে জ্বল জ্বল করছে সবুজ কালিতে লেখা - "Dollar : $0.10 USD"

মনে আছে সেদিন খুশিতে বেশ কয়েকপাক নেচেছিলাম । এর ঠিক ৬ দিনের মাথায় একটা ফোন পাই Moneygram এর এজেন্সী অফিস থেকে । দ্রুত কম্পিতবক্ষে তাদের অফিসে গিয়ে কোড ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে হাতে পাই আমার বহু কাঙ্খিত সেই GetACoder থেকে উপার্জনকৃত আমার প্রথম ইনকাম । বাড়ি ফিরেই সবার আগে মায়ের হাতে তুলে দিই আমার জীবনের প্রথম উপার্জন ।

সবার শেষে একটি কথা বলি । OKPAY নামক পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে আমার প্রথম পরিচিতি হয় বিটকয়েনের (Bitcoin) এর সাথে । প্রচুর পড়াশোনা করেছিলাম তখন বিটকয়েন এর টেকনোলজি নিয়ে । তখন ১ বিটকয়েনের দাম ছিল প্রায় ৩ সেন্টের মতো । আমি সেই সময় আমার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে বলেছিলাম বিটকয়েন এর মতো এমন টেকনোলজি বাপের জন্মে দেখিনি । পৃথিবীতে ব্যাঙ্ক নামক অর্থপিশাচদের দিন ফুরিয়ে আসছে । এক বিটকয়েন আসলে ১.০০০০০০০০ BTC । আমি বলেছিলাম সেদিন যে এই যে দশমিকের পরে আটটা শূন্য আছে এর প্রত্যেকটার ভ্যালু আছে । এমন একটা দিন আসবে তখন ০.০০০০০০০১ BTC = $১ ডলার হবে । শুনে সবাই পাগল ভেবেছিলো আমায় । আমি যখন এই কথাটি বলেছিলাম তখন ১ বিটকয়েন সমান ছিল $০.০৩৪ ডলার, অর্থাৎ, ০.০০০০০০০১ BTC = $০.০০০০০০০০০৩৪ ডলার ।


------- ধন্যবাদ -------


পরিশিষ্ট


আজকের টার্গেট : ৫১৫ ট্রন জমানো (Today's target : To collect 515 trx)


তারিখ : ০৯ জুন ২০২৩

টাস্ক ২৯০ : ৫১৫ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

৫১৫ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : de1caec4d36f8459ed9ca5ea25a9206abe06506ad9d7c14c1c6d33ff6335b4e2

টাস্ক ২৯০ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আপনার পুরো পোস্ট টি পড়ে আমার একটি কথাই বার বার মনে হচ্ছে। আর তা হলো জেদ আর ইচ্ছে শক্তি থাকলেই কিন্তু অনেক কঠিন কিছু শিখে নেওয়া যায়। আপনার ফ্রিল্যান্সিং জার্নি আর টাকা উত্তোলনের গল্প। আসলে সেদিন যদি আপনি আপনার দাদার শালার ল্যাম্পটপ এর দিকে হিংসে না করতেন তা হলে হয়তো অনলাইনের মাধ্যমে ডলার কামানো ইচ্ছেটা স্বপ্নই রয়ে যেত।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

দাদা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। বিশেষ করে আপনার অনলাইনে কাজ সম্পর্কে জানতে পেরে। সত্যি আপনার বৌদির দাদার কাজ থেকে শুনে আপনি মনোযোগ দিয়ে অনলাইন কাজের দিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন বলে হয়তো আজ এখানে আসতে পেরেছেন। সত্যি দাদা কোন কিছুর পিছনে লেগে থাকলে আসলে সফলতা অর্জন করা যায়। যাইহোক আপনি প্রথম ইনকাম আপনার মায়ের হাতে তুলে নিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল।ধন্যবাদ দাদা পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মুগ্ধ হয়ে পড়লাম পুরো লেখাটি দাদা, মনে হচ্ছে লেখাটা অনেক ছোট হয়ে গেছে অনুভূতির ছোঁয়া একটু বেশী দিলে ভালো হতো। সত্যি সেই সময়টায় অনেক কিছুই আমাদের কল্পনার বাহিরে ছিলো, যারা চিন্তা করতো এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে পারতো তাদের দ্বারাই কেবল সম্ভব হয়েছে বিটকয়েনের সাথে নিজেকে ধরে রাখার। আজ কিন্তু সেটা সত্যি হয়েছে, বিটকয়েনের ভেল্যু আর কোথায় চলে গেছে। ধন্যবাদ

দাদা কি বলবো পুরো ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরে নিজেকে অনেক ভালো লাগছে ৷ আপনি যে ধৈর্য সময় দিয়েছেন তার বড় উদাহরণ এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম৷ আপনার সেই কত দিন এর কথা বড় দাদার বিয়ের সময়ে বৌদির ভাই এর কাছ থেকে এই ইন্টারনেট থেকে ইনকাম করার সোর্চ জেনেছেন ৷
সর্বোপরি ধৈর্য সময় আর লেগে থাকলে এর ফল ভালো কিছুই হয় ৷ ভালো লাগলো শুনে ৷

দাদা আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো এবং আপনার প্রথম ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে উপার্জনকৃত টাকা উত্তোলনের মুহূর্ত সত্যিই অনেক আনন্দময় ছিল। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো আপনার প্রথম উপার্জনকৃত টাকা আপনার মায়ের হাতে তুলে দেয়াটা। আপনার বন্ধুদের মত আমার নিজেরও এরকম ধারণা ছিল অনলাইনে উপার্জনকৃত টাকা অনলাইনে থেকে যাবে পকেটে আনা সম্ভব নয়। কিন্তু সর্বশেষ আপনার বন্ধুদের ধারণা আপনি মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন। সর্বশেষ বিটকয়েন সম্পর্কে যে উক্তিটি দিয়েছেন অচিরেই সেটি বাস্তব হতে চলেছে ।

লেখাটি যতক্ষণ শেষ হয়নি ঠিক ততক্ষণে আর কোনো দিয়ে চোখ, কান না দিয়ে শুধুমাত্র এই লেখাটি পড়ে গিয়েছি।কারণ লেখার মাঝে অসম্ভব রকমের এক মুগ্ধতা ছিলো যেটা ছেয়েছিলো সম্পূর্ণ লেখাটি পড়া পর্যন্ত এবং এখনও। কারণ স্বপ্ন কি করে এত দারুণভাবে গড়ে ওঠে শুধুমাত্র নিজের প্রচেষ্টা এবং ধৈর্যের জন্য, তাই লেখায় সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে। খুব ভালো লাগলো দাদা পড়ে। বাজি ধরা থেকে যে মাঝেমধ্যে দারুণ কিছু হয় এটাই এর প্রমাণ।

দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। একটি কথা আছে ধৈর্য ধরলে অনেক কিছুই করা সম্ভব। আপনার বৌদির দাদার কাছ থেকে অনলাইন সম্পর্কে জ্ঞান নিয়ে ধৈর্য্য ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন বলেই আজ আপনি এতটা এগিয়ে আছেন।যেকোনো কাজ ধৈর্য্যও সময় নিয়ে লেগে থাকলে জীবনে সফলতা আসবেই। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার লেখাটি পড়ে মুগ্ধ হলাম। কিছু লেখা থাকে যে গুলো পড়তে এত ভালো লাগে যে শেষ হয়ে গেলে অনেকটা কষ্ট লাগে। যখন বিটকয়েন এসেছিল তখন আমাদের নেট সম্পর্কে অত ভালো ধারণা ছিল না। দাদা বিটকয়েন সম্পর্কে আপনি যে ভবিষ্যৎবাণী দিয়েছিলেন সেটা তো সত্যি হয়েছে এবং তা থেকে অনেক গুণ বেশি ছাড়িয়ে গেছে। আপনার দূরদর্শিতা দেখে আমি অবাক হলাম। নিজের প্রথম উপার্জনের টাকা মায়ের হাতে উঠিয়ে দিয়েছিলেন বলেই দাদা আপনি আজকে মায়ের আশীর্বাদে এত দূর আসতে পেরেছেন।

আপনার একটা বিষয় আমার অনেক ভালো লাগে দাদা, যেকোনো বিষয়ে আপনার জানার আগ্রহ খুব বেশি। আর জানার আগ্রহ থেকে আপনার এই উত্তরণ। এভাবে আপনি আরো অনেক অনেক দূরে এগিয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল দাদা।

দাদার এরকম অভিজ্ঞতাগুলো বরাবরই মজার হয় পড়তে ভাল লাগে। আমার অভিজ্ঞতা হয়ছিল ২০১৪ এর দিকে। ৩০ ডলার ২ মাস ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করেছিলাম। সে এক অন্য রকম অনুভূতি যা এখন অনেক ডলার ইনকাম করলেও আসবে না।

আমি সেই সময় আমার বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে বলেছিলাম বিটকয়েন এর মতো এমন টেকনোলজি বাপের জন্মে দেখিনি । পৃথিবীতে ব্যাঙ্ক নামক অর্থপিশাচদের দিন ফুরিয়ে আসছে ।

বিটকয়েন ও মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ে গভীর পড়াশুনার জন্যই এমনটা অনুমান করা সম্ভব হয়েছিল।

  ·  2 years ago (edited)

Sapi88 : Jackpot progresif adalah hadiah yang terus meningkat seiring waktu. Setiap kali pemain memasang taruhan pada slot tertentu, sebagian dari taruhan tersebut ditambahkan ke jackpot. Jackpot progresif bisa mencapai jumlah yang menggiurkan, dan pemain memiliki kesempatan untuk memenangkannya secara acak.

Salute to you, in steemit, there are too many things to learn, and I look forward to the advice of the seniors.

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দাদা আপনার অনলাইন জীবনে আসার অভিজ্ঞতা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে।আসলে অনলাইনে যে ইনকাম করা যায়,এটা এখনও অনেকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য না।তবে এটার সাথে যারা লেগে থাকে, তারাই এর মূল্যটা বুঝতে পারে।আর আপনি প্রথমে আপনার বৌদির ভাইয়ের থেকে জেনে এরকমই ভেবেছিলেন।তারপর নিজে পুরো বিষয় স্টাডি করে জানলেন।চমৎকার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার পুরো পোস্ট পড়লাম আসলেই জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথম অনুভূতিটাই শ্রেষ্ঠ অনুভূতি হয়ে থাকে। যেমনটা আপনার অনলাইনে প্রথম কাজের অনুভূতি খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ করলেন। আপনার যে চেষ্টা যে অনুসন্ধান সেই প্রচেষ্টাই নিয়ে গিয়েছে সফলতার দ্বারপ্রান্তে। আমিও যখন অনলাইন প্লাটফর্মের সাথে যোগ দিই ২০-৩০ সেন্টের ভোট পেতাম অনেক খুশি হতাম। আপনার বন্ধুর ঈর্ষা বিষয়টি আপনাকে আরো কাজের প্রভাবিত করেছে সে জন্যই আপনি সফলতার মুখ খুব ভালোভাবে দেখতে পেয়েছেন। আপনার এই প্রথম অনুভূতি সত্যিই অনেকের অনুপ্রেরণা দেবে।

খুব মনোযোগ সহকারে আপনার লেখাটি পড়ছিলাম দাদা। ২০০৯-১০ সালের পটভূমি।তখন আমিও শুনেছিলাম আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় । ওই যে আপনার মত আমিও প্রথমে তেমন গুরুত্ব দিয়েছিলাম না। তবে আপনার বৌদির ভাইয়ের কাছ থেকে খুঁটিনাটি শিখে নিয়ে
ভালোই করেছেন দাদা। আসলে যে কোন কাজের শুরুটা এরকম গল্পের মতই হয়।

দাদা আপনার এই পোস্টটি পড়ে অসম্ভব ভালো লাগলো আমার ৷ শুরুটা তাহলে বৌউদির ভাইয়ের থেকেই ৷ এরপর নিজের ইচ্ছে শক্তি আর জেদ থেকে এতোদূর ৷ আসলে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এটা অবিশ্বাস্য আমার কাছেও লেগেছে ২০১৯ সালে এসেও , আপনার তো আরো কয়েক বছর আগে ৷ যাই হোক , শেষমেশ অনলাইন থেকে ইনকাম করা টাকা হাতে পাওয়ার অনুভূতি আসলেই অনেক আনন্দের ৷ প্রথম উপার্জিত টাকা মায়ের হাতে তুলে দিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে , আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷

ভাই, আপনার বিটকয়েন টেকনোলজি নিয়ে গভীর পড়াশোনা বৃথা যায়নি। যার জলজ্যান্ত প্রমান আপনি নিজেই। তবে যার মাধ্যমে আপনার ইন্টারনেটে হাতে খড়ি মানে বড় বৌদির ভাই, তার এখনকার অবস্থাটা জানতে ভীষণ মন চাচ্ছে।

আপনার পরবর্তী জীবনের প্রকল্পে সাফল্য. সর্বদা নিজের উপর আস্থা রাখুন এবং সমস্যা এবং বাধার মুখোমুখি হওয়ার শক্তি রাখুন।

প্রিয় দাদা, আপনার অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করা পুরো ইতিহাসটি পড়ে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আসলে দাদা কিছু কিছু ফ্রেন্ড থাকে যারা ভালো কিছু শুনলে ঈর্ষান্বিত হয়ে নেগেটিভ কিছু কথা বলে। তবে দাদা আপনার ফ্রেন্ডের কথা শুনে ডলার উঠানোর ক্ষেত্রে আপনার উঠে পড়ে লাগাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে বিটকয়েন সম্পর্কে এত বছর পূর্বে আপনার ধারণা ঠিক নিঃসন্দেহে একটি ইউনিক ধারণা ছিল। অনলাইন প্লাটফর্মে আপনার কাজ করার পুরো ইতিহাস আমাদের মাঝে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদা অনলাইনে আপনার প্রথম ইনকাম এবং উইথড্র এর ব্যাপারে জেনে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। আসলে অনেকেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় এবং সেই অর্থ উইথড্র করা যায়, এটা বিশ্বাস করতে চায় না। এমনকি আমি যে স্টিমিট তথাপি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করে ইনকাম করছি,আমার অনেক বন্ধু বান্ধব বলে যে, এই ডলার নাকি উইথড্র করা সম্ভব নয়। আমি ওদেরকে অনেক উদাহরণ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তবুও তারা মানতে চায় না। আমি ওদের কথা শুনে হাসি। তবে বলেছি যে আগামী বছর থেকে উইথড্র করবো। কারণ আমি নিজে নিজেই প্রতিজ্ঞা করেছি যে ৫০০০ স্টিম পাওয়ার এর মালিক হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো স্টিম বিক্রি করবো না। যাইহোক দাদা পোস্টটি পড়ে বেশ উৎসাহিত হলাম। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনার গল্পটি শুনে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেশ উৎসাহিত হলাম। আপনি যেভাবে কোডিং এর মাধ্যমে একের পর এক ধাপ এগিয়েছেন নিজের সাফল্যের দিকে, তা সত্যই প্রশংসনীয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার পোস্টটি পড়ে জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনেক অনুপ্রেরণা পাইলাম৷ ছোট থেকে বড় কোন অবস্থানে যেতে হলে অবশ্যই জানার আগ্রহ, চেষ্টা, জ্ঞান ও ধৈর্য প্রয়োজন। আপনার জানার আগ্রহ ছিলো৷ চেষ্টা ছিলো, এরপর আপনি বই পড়েছেন এর থেকে জ্ঞান অর্জন করেছেন৷ এই সকল কিছু আপনার কাছে ছিলো বলেই আপনি সে সময় সফল হয়ে ছিলেন।

২০১০ সালে আমার কাছে বোতাম ফোন ছিলো। ঐটা দিয়ে আমরা অপেরামিনি দিয়ে ফেসবুক চালাইতাম৷ আমার বড় ভাই যখন ক্লাস ৮ এ পড়তো৷ উনি এই অনলাইনে কাজ ২০-৩০০০০ টাকা অর্জন করেছিলেন।

বিটকয়েন সর্বপ্রথম কয়েন ছিলো৷ আসলেই এই কয়েনটির প্রতি আপনার বিশ্বাস ছিলো৷ আপনি ধৈর্য ধরে ১০ বছর ওয়েট করার পরেই সফল হতে পেরেছেন৷ কয়েন মার্কেটে আসলেই ধৈর্য প্রয়োজন৷ ধৈর্য ধরলে যে কোন কাজেই সফলতা অর্জন করা সম্ভব৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। অনেক অনুপ্রেরিত হয়েছি৷

আপনার এই পোস্টটি আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। কিভাবে কোন কাজ নিয়ে লেগে থাকলে সফলতা পাওয়া যায় আপনার এই পোস্ট পড়ে সেটা খুব সহজে বোঝা যায়। আপনার মত আমিও একসময় বিশ্বাস করতাম না যে অনলাইন থেকে এভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে দাদা আপনার পোস্ট পড়ে একটা আফসোস হচ্ছে। শুরু থেকে যদি এমন কোন ফ্রিল্যান্সারের সাথে আমার পরিচয় হতো। তাহলে হয়তো কিছু বিটকয়েন এর মালিক থাকতে পারতাম। হা হা হা...