Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৮

in hive-129948 •  3 years ago 

Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৮


পূর্বের এপিসোড : Indian Museum ভ্রমণ -পর্ব ৪৭


হ্যালো বন্ধুরা,

শুভ দুপুর বন্ধুরা, কেমন আছেন সব ?

আশা করি সবাই ভালোই আছেন । গতকাল আমি সন্ধ্যার দিকে একটু বিজি ছিলাম তাই হ্যাংআউট-এ জয়েন করলেও ঠিকমতো উপভোগ করতে পারিনি । যেহেতু বাড়ির বাইরে যখন ছিলাম তখন হ্যাংআউট শুরু হয়েছিল তাই মিস করেছি অনেক কিছুই । তবে শেষের দিকে মোটামুটি সব কিছু উপভোগ করতে পেরেছি । ভালোই লেগেছিলো আমার গতকালের আয়োজন ।

যাই হোক চলুন আজকের মিউজিয়াম পর্ব শুরু করা যাক ।

"প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে ষোড়শতম পর্ব । এ পর্যন্ত মোট পনেরটি পর্বে আমি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছি । আশা করি খুব একটা খারাপ লাগেনি আপনাদের কাছে ।

আমাদের আজকের এপিসোডে যে সব antique বস্তুর ফোটোগ্রাফি থাকছে সেগুলো হলো :

১. লৌহ, ব্রোঞ্জ এবং তামার তৈরী প্রাচীনকালের দুটি মুষল বা গদা
২. সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী অসাধারণ কারুকার্যমন্ডিত একটি বাতিদান
৩. একটি প্রাচীন আমলের ফলের রেকাবি, তামা ও স্বর্ণ নির্মিত
৪. রাজস্থান থেকে প্রাপ্ত অসাধারণ নক্সাকাটা খুবই দামি একটি হুঁকার নিচের অংশ
৫. রাজস্থানী বাহারি নক্সাকাটা একটি ভাস
৬. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল
৭. সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি

তো বন্ধুরা চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের আয়োজন কি আছে ! আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না আজকের আয়োজন আপনাদের কাছে ।


লৌহ, ব্রোঞ্জ এবং তামার তৈরী প্রাচীনকালের দুটি মুষল বা গদা । এগুলো যুদ্ধাস্ত্র । হাতাহাতির যুদ্ধে গদা একটি খুবই কার্যকরী অস্ত্র ছিল । শত্রুর হাতে তলোয়ার থাকা সত্ত্বেও গদার আঘাত ঠেকানোর কোনো কার্যকরী উপায় ছিলো না । এ জন্য গদা যুদ্ধে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


এটি একটি বাতিদান । সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী অসাধারণ কারুকার্যমন্ডিত এই বাতিদানটি । বাতিদানটির উপরের দিকে ঝর্ণার মতো আর গোড়ার দিকে সিংহের আকৃতির মতো । বাতিদানটির মাথায় গোলাকৃতি অংশে রাখা হতো মোমবাতি । মোম গলে গলে নিচের বাটির মতো অংশে জমা হতো ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


একটি প্রাচীন আমলের ফলের রেকাবি । তামা নির্মিত এই রেকাবিটির গায়ের ফুল-লতা-পাতার যে ডিজাইন গুলি রয়েছে এগুলো আসল সোনার মিনে করা নকশা । প্রকান্ড এই থালাটিতে কম করে হলেও ৫০০ গ্রাম খাঁটি সোনা ব্যবহৃত হয়েছে ফুল লতা-পাতার নকশা তৈরী করতে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


অসাধারণ নক্সাকাটা এই জিনিসটা কি বলতে পারবেন ? ফ্লাওয়ার ভ্যাস ? ভুল । এটি একটি প্রাচীন হুঁকার নিচের অংশ যেখানে হুঁকার জল রাখা হতো । হুঁকা কি করে কাজ করে জানেন তো ? হুঁকার মাথার উপরে থাকে তামাক ও আগুন । আগুনে তামাক পুড়ে যে ধোঁয়া তৈরী হয় সেটি সরু নলাকৃতি অংশ দিয়ে নিচের গোলাকৃতি অংশের জলে এসে মেশে । জলের ঠিক উপরে থাকে একটি নল বা পাইপ । এই পাইপ দিয়ে ধোঁয়া উদগীরণ হয় । আগুনের ধোঁয়া, তামাক পোড়া ধোঁয়া আর জলের বাষ্প মিলে একটি নেশাতুর ধোঁয়া তৈরী করে । সেটিকেই হুঁকাসেবনকারী মুখ দিয়ে গ্রহণ করে নাক দিয়ে বেরিয়ে দেয় । এই হুঁকার নিচের অংশটি স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা সহ বেশ কিছু দামী রত্ন দিয়ে ডিজাইন করা । এই বস্তুটি রাজস্থানের এক মহারাজার ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা থেকে প্রাপ্ত ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


রাজস্থানী বাহারি নক্সাকাটা একটি ভাস ।এটি রাজস্থানি এক ধরণের বেলে পাথর দিয়ে নির্মিত । রংবেরঙের নানা ধরণের ফুল, লতা-পাতার ডিজাইন করা ভ্যাসটির গায়ে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল । মডেলটি একেবারে হুবহু হয়েছে । অসাধারণ দেখতে, এত নিখুঁত তাজমহলের মডেল আমি এর আগে কোনোদিন দেখিনি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি । এই মডেলটি দেখে আমার একটি কথাই মনে হয়েছে যে এটি খুব সম্ভবত ধনী ব্যক্তিদের স্নানের সময় গাত্র-মার্জনা করার কাজে ব্যবহৃত কোনো একটি বস্তুই হয়ে থাকবে ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।


ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

শ্রদ্ধেয় দাদা♥

প্রাচীন ভারতের এন্টিক দ্রব্যসামগ্রীর প্রদর্শনী" পর্বের আজকে ষোড়শতম পর্ব দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম।সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি । দেখে বিস্মিত হয়ে গেলাম আমি।
এ পর্যন্ত আপনার মোট পনেরটি পর্বে দেখেছি কাঠ, ধাতু ও হাতির দাঁতের তৈরী অনেক antique দ্রব্যের ফোটোগ্রাফ শেয়ার করেছেন। যা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা দাদা♥♥

রাজস্থানী বাহারি নক্সাকাটা একটি ভাস

ভাস টি দেখে সত্যিই অনেক মুগ্ধ হয়ে গেলাম।কি সুন্দর নকশা কিভাবে জে এগুলা সম্ভব আমার মাথায় ঢুকে না।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল । মডেলটি একেবারে হুবহু হয়েছে । অসাধারণ দেখতে, এত নিখুঁত তাজমহলের মডেল আমি এর আগে কোনোদিন দেখিনি ।

আসলেই সৌন্দর্য যেন চোখের পলক ফেলতে দেয় না।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল । মডেলটি একেবারে হুবহু হয়েছে

একদমই অসাধারণ এটি ❣️
নিখুঁত কারুকাজ যাকে বলে 👌
হাতির দাঁতের তৈরি ভাবা যায় 😲
প্রতিবারের মতো অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম ♥️
শুভ কামনা রইল দাদা 💚
ভালো থাকুন ✨

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল । মডেলটি একেবারে হুবহু হয়েছে । অসাধারণ দেখতে, এত নিখুঁত তাজমহলের মডেল আমি এর আগে কোনোদিন দেখিনি ।
স্থান : Indian Museum, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

সত্যিই অসাধারণ কারুকার্য ভাই । যে দেখবে সেই অবাক হবে । বাকি ছবি গুলোও সুন্দর ছিল । বিশেষ করে গদার ব্যাপারটি প্রথম জানলাম। গতকাল প্রথম দিকে আমরাও আপনাকে হাংআউটে ভীষণ মিস করেছি । শুভেচ্ছা রইল ভাই ।

এটি একটি বাতিদান । সম্পূর্ণ রুপোর তৈরী অসাধারণ কারুকার্যমন্ডিত এই বাতিদানটি ।

রুপোর তৈরি এই বাতিদানটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর কারুকার্য করা। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে দাদা। এছাড়াও বাকি যে ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করেছেন সেগুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। মিউজিয়ামের ভেতরের সব ফটোগ্রাফিগুলো যতই দেখছি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি দাদা। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। দারুন সব ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

দাদা প্রতিদিনকার মত আজকের পর্বেও নতুন অনেক কিছু দেখতে পেলাম। যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে গদা কিভাবে ব্যবহার হতো এটা ভাবতেই অবাক লাগে। এত ভারি একটি জিনিস চালাতে চালাতেই শত্রুপক্ষ আঘাত করে দেয়ার কথা। এছাড়া তাজমহলের মিনিয়েচার টি এক কথায় অসাধারণ। এত সুন্দর একটি স্থাপত্য তাও আবার হাতির দাঁতের তৈরি না জানি কিরকম দাম। সম্ভবত এই ছবিটি আগেও একবার শেয়ার করেছিলেন। আর গাত্র মার্জনের জন্য ব্যবহৃত হাত দেখে অবাক হলাম। ভেবেছিলাম এটা বোধহয় আধুনিক যুগের সৃষ্টি।

হ্যা দাদা।হ্যাংগ আউটে আসলেই মজা হয়েছে কারণ ভিন্নতা ছিলো অনেক।
লাস্ট ছবিটি দেখে থমকে গেলাম!হাত ও বানিয়ে ফেলে কি করে!বাপরে বাপ।

দাদা আজকের পর্বের অ্যান্টিক সব দ্রব্য সামগ্রী দেখে আমি মুগ্ধ। বিশেষ করে হাতির দাঁতের তৈরি তাজমহলের মিনিয়েচার টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা আপনাকে আমাদের মাঝে আন্টিক সব দ্রব্যসামগ্রী গুলো পর্ব আকারে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

বাহ অসাধারণ একটি এপিসোড দাদা। আপনার এই ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম ভ্রমণটা আমরাও বেশ উপভোগ করলেন। আজকের লোহা ব্রঞ্জ এর সামগ্রী গুলো দারুণ ছিল। তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে হাতির দাতের তৈরি তাজমহল। বেশ সুন্দর নিখুত ছিল কারুকাজ টা।

লৌহ, ব্রোঞ্জ এবং তামার তৈরী প্রাচীনকালের দুটি মুষল বা গদা । এগুলো যুদ্ধাস্ত্র । হাতাহাতির যুদ্ধে গদা একটি খুবই কার্যকরী অস্ত্র ছিল ।

অনেক মুভিতে এরকম গদা দেখেছিলাম। তবে নাম যে গদা জানতাম না। হাতির দাতেঁর তৈরি মিনিয়েচার তাজমহলটি অনেক সুন্দর হয়েছে। একদম আগের তাজমহলটির মতোই নকশা করা একদম!

nice

  ·  3 years ago (edited)

@rme দাদা কেমন আছেন আপনি?? আমি ভেরিফাইড মেম্বার না । একজন সাধারণ মেম্বার। প্রথমে কয়েকদিন কাজ করেছিলাম। আমার পড়ালেখার চাপে কাজ করা অসম্ভব হয়ে গেছে। আর আমি এখন মোবাইল ও ব্যবহার করি না আমার বড় আপু মোবাইল পেয়ে আপনার কাছে শুধু একটা মেসেজে দেওয়ার জন্য আইডিতে ঢুকলাম । আমি আমার বাংলা বল্গ কমিউনিটিতে যে কয়দিন কাজ করেছি অনেক আনন্দ আর উল্লাসে কাজ করেছি। তবে একটা কথা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়। আপনি এখানে এই কমিউনিটির মালিক। আপনার ব্যবহার অত্যন্ত ভালো আর আপনার মাধ্যমে গরিব দুঃখী মানুষের উপকার হয় সেটা সবাই জানি ও দেখেছি ও। তবে আমাদের বাংলাদেশের এডমিন ও মডারেটরের ব্যবহার এত বাজে সেটা বলার ভাষা নেই বিশেষ করে রুপক আর শুভ এরা তো নিজেরা এখানকার মালিক মনে করেন তাদের কথাবার্তা আর ব্যবহারে বুঝা যায়।শুধু এটায় না তারা তাদের পরিচিতদের সাপোর্ট দিয়ে থাকেন। দাদা যাদের ব্যবহারে মানুষ দুঃখ প্রকাশ করে তাদের কমিউনিটির এডমিন ও মডারেটর রেখেছেন। সেটা বড় দুঃখের বিষয় । এদের থেকে ভালো মানের এডমিন ও মডারেটর রেখেছে যারা কঠোর পরিশ্রম করে দিন-রাত কাজ করে তাদের ব্যবহার ও ভালো ওদের কাছে আপনার কমিউনিটির এই এডমিন ও মডারেটর ধারের কাছে ও যেতে পারবে না। যাই ছোট মানুষ হয়ে অনেক কিছুই বলে ফেললাম। ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আপনি নতুন করে কাজ শুরু করতে পারেন । আর কোনো অভিযোগ থাকলে একটি সাপোর্ট টিকেট ক্রিয়েট করে আপনার অভিযোগ জানাতে পারেন যে কারো বিরুদ্ধে, তা তিনি কমিউনিটির অ্যাডমিন বা মডারেটর হন না কেন । আপনার অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হবে ।

ধন্যবাদ ম্যাডাম ।

  ·  3 years ago (edited)

প্রিয় @rme দাদা আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। দাদা আমি দুঃখিত এভাবে কথা বলে বিরক্তি করার জন্য। আসলে দাদা আমার ফোন নেই। আগে ছিল ফোন হারিয়ে ফেলছি। সেজন্য ডিসকোর্ড ও নেই। আমার বয়স ১৫ বছর। আমি সবার থেকে ছোট হব। আমি আরো কিছু কথা বলতে চাই। দয়া করে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন। আমি একজন মধ্যবৃত্ত ঘরের সন্তান। আমার বাবা একজন ধান ব্যবসায়ী। আমার কোন ভাই নেই। আমার বাবাই অনেক কষ্ট করে সংসার চালান। তার উপার্জন টাকায় আমাদের পরিবার চলে। আমার বাবা বিগত ৫-৬ বছর থেকে হাপানি /শ্বাসকষ্টে ভোগাচ্ছে । আমার ইচ্ছা ও স্বপ্ন ছিল আমি একজন ক্লাস দশম(নতুন)শ্রেণির মেয়ে হয়ে "আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করে সংসারে বাবার হাতে টাকা দিব। মেয়ে হয়ে ছেলের অভাব পূরন করব সেটা হলো না দাদা। আমার মতো হয়ত এইরকম অনেক জন সদস্য আছেন যারা বলার সাহস পায় না। বাংলাদেশের এডমিন ও মডারেটদের ভয়ে। যদি তারা সত্য কথা বলতে গিয়ে কমিউনিটি থেকে বাহির করে দেয়। আমি কারো উপর মন খারাপ বা রাগ করে কথাগুলো বলতে চাইনি। কথাগুলো কষ্টে বাহির হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের এডমিন ও মডারেট তারা তাদের ভাই -বোন,বন্ধু, প্রতিবেশী ও আত্নীয়স্বজনদের অনেকজন কে কোন না কোনভাবে তারা কমিউনিটিতে ঢুকিয়ে তাদের সহজেই একজন ভেরিফাইড মেম্বার করিয়েছেন। আবার কিউরেটর লিস্টে ও তাদের নাম তারা দিয়ে দেয়। তাহলে আমার কথা হচ্ছে দাদা যেখানে এডমিন ও মডারেট ভাই-বোনেরা বলেন নতুন-পূরাতন যে মেম্বার হোক তারা যদি মান সম্পন্ন পোস্ট করে তাহলে তাদের অবশ্যই সাপোর্ট দেওয়া হবে। আসলে কি সেটা দেওয়া হয় দাদা। সেটা কখনোই হয় না দাদা। সেগুলো পোস্ট অগোচরে থেকে যায়। আপনার কাছে কখনো বহিঃপ্রকাশ হয় না। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে এখানে অনেকে কাজ করেন যারা নিজের পড়ালেখার খরচ জোগানোর জন্য,কেউবা কাজ করেন পরিবারের লোকদের ভালো রাখার জন্য, কেউবা কাজ করেন শখের জন্য আবার অনেকে আছেন যারা গরিবদুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করার জন্য। কিন্তু কোথায় কি হচ্ছে সেটা তো বুঝে উঠা কঠিন হয়ে গেছে দাদা।আপনার মত যদি সবাই হত তাহলে অনেকের স্বপ্ন এভাবে আর অপূর্ণ হয়ে পড়ে থাকতো না। স্বপ্ন ভেঙে যেত না। মানুষ মানুষের জন্য। আপনি ভালোর জন্য এই কমিউনিটি চালাচ্ছেন দাদা সবার কষ্টের ফল তাদের দিচ্ছেন উপহার স্বরুপ পুরষ্কার। এটা সবার কাম্য। কিন্তু সবার জন্য না হচ্ছে না দাদা। হচ্ছে শুধু ধনীরাই ধনী আর গরিবরা গরিবে। এডমিন বা মডারেটর ভাই বোনদের কারো বউ,ভাই, বোন ও বন্ধুরা কাজ করে তারা সাপোর্ট পাবে। আর বাকিরা শুধু কাজ করে কষ্ট ও স্বপ্ন দেখেই যাবে। এটাই বাস্তব। আসলেই পৃথিবীটা এমনই দাদা। আপনি সবার উপকারের জন্য কমিউনিটিতে কাজ করতেছেন। আর অনেকে লোভী হয়ে কথায় ভুলিয়ে সব কিছু হাতিয়ে নিচ্ছে। একটাই অনুরোধ অবঞ্ছিত মানুষদের ও সুযোগ দেওয়া হোক। তারাও তাদের স্বপ্ন পূরনের আশায় বুক বেঁধে আছে। এটা নষ্ট হতে দিয়েন না। দুঃখিত দাদা আমি ছোট মানুষ হয়ে অনেক কিছুই বলে ফেলেছি। আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শেষ একটা কথা বলি আমি প্রথমে ২ সপ্তাহ কাজ করে অনেক কিছুই অর্জন করেছি। অনেক কিছুই শিখেছি। আর এখানে স্বজনপ্রীতি ও দেখেছি। আর আমার মতো এক অসহায় বাবার স্বপ্ন পূরন সেটা অপূর্নই থাক। 😭😭😭😭। ভালো মনের মানুষ হলে তার সব বৈশিষ্ট্যই ভালো হয়। সেটা আপনাকে না দেখলে বুঝতাম না কখনো।

আপনি আবার নতুন করে কাজ শুরু করুন, সাপোর্টবঞ্চিতদেরকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য দুই সপ্তাহ হলো একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে । আশা করছি ভবিষ্যতে আপনি ঠিকঠাকই সাপোর্ট পাবেন ।

আর আপনার অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । ধন্যবাদ ।

প্রাচীন জিনিসগুলো দেখতে আসলে ভালই লাগে ।আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম এর অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। তাজমহল টি অনেক বেশি সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। মানুষের হাতের প্রতিকৃতি টাও সুন্দর ছিল দেখতে ।হুবহু মানুষের হাতের মত লাগছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

দেখতে দেখতে ৪৮ পর্ব দেখছি। যুদ্ধাস্ত্র গদা নামে প্রথম কিছুর নাম জানলাম। সাথেই আছি।🌹

জাস্ট অসাধারণ দাদা আপনি প্রতিদিনের মত আজকেও আমাদের মাঝে মিউজিয়ামের অনেক সুন্দর সুন্দর তামার নানা ধরনের জিনিসপত্র উপস্থাপন করেছেন। আমরা আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রাচীন আমলের অনেক সুন্দর সুন্দর দর্শনীয় কিছু জিনিস দেখতে পেলাম। এই সবগুলোই আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে তবে বিশেষ করে হাতির দাঁতের তৈরি তাজমহল টি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। এটি দেখে আমি সত্যিই অবাক হলাম, ধন্যবাদ দাদা এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে অনেক চমৎকার ভাবে শেয়ার করার জন্য।

অনেক নতুন নতুন দুর্লভ ও আশ্চর্যজনক বিষয় শিখছি ও দেখতে পারছি এই ধারাবাহিক পোষ্টের মাধ্যমে। আমাদের সবার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মিউজিয়ামে না গিয়েও এর সম্বন্ধে একটা ভাল ধারণা অর্জন করতে পারছি সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কষ্ট করে আমাদের মাঝে ধারাবাহিকভাবে ছবিগুলো শেয়ার করার জন্য।

ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামে সংগ্রহিত শিল্প ঐতিহ্যের দৃশ্য পটভূমির সাথে পরিচিত হতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। কারণ এগুলো কখনো স্বচোখে গিয়ে দেখা হবে কিনা জানিনা যা আপনার ফটোগ্রাফি পর্বের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। এখানে খারাপ লাগার কোন প্রশ্নই আসে না দাদা। মুষল বা গদা আগের মানুষ যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করতো তা দেখতে পেলাম তাছাড়া সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী অসাধারণ কারুকার্যময় একটি মানুষের হাতের প্রতিকৃতি যা আমাকে অবাক করিয়েছে। হাতির দাঁত দিয়ে নিখুঁত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। সবগুলো শিল্প ঐতিহ্য নিখুঁতভাবে তৈরি করা হতো যা দেখে মুগ্ধ হলাম। পরর্বতী পর্বের আশায় রইলাম দাদা।❤️❤️

onek sundor blog.....history tells us about the past ancestor

প্রাচীনকালে এত সোনাদানা রূপা পিতল তামা কোথায় পেত এটা ভেবেই অবাক হয়ে যাই এক এক সময়। চমৎকার ছিল সবগুলো ছবি। হাতির দাঁতের তৈরি তাজমহল সবচেয়ে দারুণ একটি কাজ ছিল আমার মতে। অসাধারণ কারুকার্যের নিদর্শন ছিল এটি। ফলের রেকাবি টাও খুব সুন্দর নকশা করা। খুব পছন্দ হয়েছে।

দাদা আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি মধ্যে প্রতিনিয়ত একটা আর্কষিক ভালোবাসা থাকে ।তাই আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর আর দুর্দান্ত লাগে আমাদের সবার কাছে।অনেক ধন্যবাদ দাদা,এতে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

সম্পূর্ণ হাতির দাঁতের তৈরী, পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মিনিয়েচার মডেল । মডেলটি একেবারে হুবহু হয়েছে । অসাধারণ দেখতে, এত নিখুঁত তাজমহলের মডেল আমি এর আগে কোনোদিন দেখিনি ।

এটা দাদা সত্যি বেশ অবাক করার বিষয় ছিলো, এভাবে তাও আবার হাতির দাঁত দিবে, বাবা কি দারুণ দক্ষতা এবং যোগ্যতা ছিলো তাদের। সত্যি বেশ দারুণ এবং নিখুঁতভাবে পুরো কাজটি সম্পন্ন করেছে। ভালো লেগেছে আমার কাছেও দৃশ্যটি।

ভালো লাগে প্রাচীন জিনিস গুলো দেখতে ভালো লাগে সপ্তম আশ্চর্যের একটি আশ্চর্য তাজ মহলের একটি মডেল আমার কাছে খুব ভালো লাগেছে।বেলে পাথরের ভেস টা ও খুব সুন্দর। কত নিখুত কাজ।সব কিছুই সুন্দর ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনার প্রতিটি পর্ব যেন নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চার হচ্ছে আমার। দারুন কারুকার্য মন্ডিত তাজমহল , গদা , বাতিদান, হাত। এগুলো দেখে আমি হতবাক। তাজমহল টি দেখে আমার খুবি ভাল লেগেছে। বড় তাজমহলের ছোট মডেল। হাত টি দেখে মনে হয়েছে প্রাচীন কালেও পিঠ চুলকানোর প্রয়োজন ছিল। এখন প্লাস্টিকের হাত পাওয়া যায় পিঠ চুলকানোর জন্য। অসাধারন সব শিল্পকর্ম বস্তুু। ধন্যবাদ দাদা । শুভেচ্ছা নিবেন।

দেখতে দেখতেই ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফির বেশ কিছু পর্বই পার হয়ে গেল। আসলে প্রত্যেকটি পর্বের মাঝে রয়েছে নতুন নতুন আকর্ষণ। তেমনি আজকে আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন সেগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম দাদা। হাতির দাঁত দিয়ে তৈরি তাজমহলটি দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। নিখুঁতভাবে কারুকার্য করা। এছাড়া বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর লাগছে দেখতে। দাদা আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার দক্ষতায় দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।