বিবর্তন ও একটি ভবিষ্যৎবাণী -পর্ব ০৯

in hive-129948 •  2 years ago 


Copyright Free Image Source : Pixabay


প্রস্তরযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার গুলো হলো আগুন, দূরে ছুঁড়ে মারার অস্ত্র বর্শা ও তীর, কুকুর পোষা ও শিকারের কাজে ব্যবহার করা, নৌকো, কৃষিকাজ এবং মৃৎ শিল্প । আর একটি খুব বড় আবিষ্কার হলো চিত্রকলা । হ্যাঁ, মানুষের চিরন্তন শিল্পকলার সূত্রপাত সেই আদিম যুগ থেকেই । প্রস্তর যুগেই সর্বপ্রথম মানুষের শিল্পকলার সূত্রপাত ঘটে ।

সেই যুগে ভাষা ছিল নির্বাক, সংকেতময় । মনের ভাব প্রকাশের এক মাত্র মাধ্যম ছিল হাতের আঙুলের মাধ্যমে নানান রকমের সংকেত সৃষ্টি করে । সেই, যুগেই মানুষ কিন্তু চিত্রকলার দিকে ঝোঁকে । গুহার দেওয়ালে তারা গল্প বলতো, গল্প লিখতো, তাদের মনের ভাব ফুটিয়ে তুলতো । কী ভাবে ? চিত্রকলার মাধ্যমে ।

প্রস্তরযুগে রাতের বেলায় উদরপূর্তির পর মানুষের থাকতো বেশ খানিকটা লম্বা অখন্ড অবসর । প্রজ্জ্বলিত অগ্নিকুন্ডের সামনে বসে তারা তাদের অবকাশকালীন সময়টুকু উপভোগ করতো । আগুন আবিষ্কারের আগে মানুষ সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই একটা আশ্রয় খুঁজে ঘুমিয়ে পড়তো । মানুষের চোখ নিকষ কালো আঁধারে কিছুই দেখতে পায় না, অন্যান্য প্রাণীর মতো চোখ নয় তাদের । তাই আঁধার নামা মাত্রই তারা ঘুমিয়ে পড়তো ।

কিন্তু, আগুন আবিষ্কারের পরে রাতের আঁধার দূর হলো । অন্ধকারকে মানুষ আজীবন ভয় পায় । সেই ভয় দূর করতে পারলো । স্থায়ী বাসস্থান গুহা, ভরপেট খাওয়া আর আগুনের আলো ও ওম তাদের একটা ভারী নিশ্চিন্ত রাত উপহার দিতো । সকাল সকাল তাই তারা না ঘুমিয়ে নিজেদের মধ্যে আকারে ইঙ্গিতে গল্প করতো ।

শিল্পীসত্ত্বা প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে । কেউ সেটি প্রকাশ করতে পারে না, আর কেউ সেটি খুব সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারে । আদিম মানুষদের মধ্যেও এই শিল্পীসত্ত্বাটি ছিল । প্রত্যেকটি আদিম গোষ্ঠীতে একদল শিল্পী ছিল । তারা আগুনে পোড়ানো কয়লা কাঠ, চুনা পাথরের টুকরো, গেরুয়া খড়ি মাটি, ফুল ও লতাপাতা থেকে নিষ্কাশিত রঙ দিয়ে ছবি আঁকতো । গুহার দেয়াল জুড়ে ।

প্রায় অধিকাংশ চিত্রকর্ম হতো শিকারের ছবি ভিত্তিক বা উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ভিত্তিক । আর ছিল নানান প্রাণীদের চিত্রকর্ম । সেই আদিম যুগেও মানুষ নিজেদের ইতিহাস লিখে গিয়েছে ছবির মাধ্যমে । স্মরণীয় শিকারের দৃশ্যগুলো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছে পাথরের বুকে । তাদের চিত্রকর্মগুলো ছিল একাধারে গল্প, ইতিহাস আর স্মৃতির ডায়েরি । মনের মাঝের অব্যক্ত কথাগুলি কয়লা কাঠ বা চুনাপাথরের স্পর্শে ফুটে উঠতো কঠিন পাথুরে দেওয়ালে ।

আজকে মিউজিয়াম থেকে তোলা আমার কয়েকটি ফটোগ্রাফ এখানে শেয়ার করছি । প্রস্তর যুগের এগুলি । কিছু হলো প্রস্তর যুগের অস্ত্র-শস্ত্র আর কিছু হলো আদিম গুহাচিত্র ।


বিভিন্ন বিলুপ্ত প্রাচীন মানব প্রজাতির মাথার খুলি । এখানে আছে - হোমো সাপিয়েন্স (সবার উপরের তাকে), হোমো নিয়ান্ডারথাল (তার নিচের তাকে), হোমো ইরেক্টাস (তার নিচের তাকে), হোমো হাবিলিস (সব চাইতে নিচের তাকে)

নিম্ন-প্রস্তর যুগের নানান প্রস্তর নির্মিত অস্ত্র শস্ত্র । বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হাত কুঠার, ছুরি, স্ক্র্যাপার, হারপুন । সবই যুদ্ধ ও শিকারে ব্যবহৃত হতো ।

মধ্য-প্রস্তর যুগের নানান প্রস্তর নির্মিত অস্ত্র শস্ত্র । বিভিন্ন আকার ও আকৃতির সেল্ট, রিংস্টোন, স্ক্র্যাপার, ক্লিভার ও হাত কুঠার । সবই যুদ্ধ ও শিকারে ব্যবহৃত হতো ।

উচ্চ-প্রস্তর যুগের নানান প্রস্তর নির্মিত অস্ত্র শস্ত্র । বিভিন্ন আকার ও আকৃতির সাইড স্ক্র্যাপার, টুলস ও হাত কুঠার। সবই যুদ্ধ, গৃহ নির্মাণ ও শিকারে ব্যবহৃত হতো ।


এগুলি হলো আদিম যুগের মানুষের গুহা চিত্র । ভীমবেটকা গুহার দেয়াল চিত্র থেকে প্রাপ্ত ।

[ক্রমশ ...]


পরিশিষ্ট


প্রতিদিন ১৫০ ট্রন করে জমানো এক সপ্তাহ ধরে - ৪র্থ দিন (150 TRX daily for 7 consecutive days :: DAY 04)


trx logo.png




টার্গেট ০৩ : ১,০৫০ ট্রন স্টেক করা


সময়সীমা : ৩১ জুলাই ২০২২ থেকে ০৬ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত


তারিখ : ০৩ আগস্ট ২০২২


টাস্ক ১৮ : ১৫০ ট্রন ডিপোজিট করা আমার একটি পার্সোনাল TRON HD WALLET এ যার নাম Tintin_tron


আমার ট্রন ওয়ালেট : TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx

১৫০ TRX ডিপোজিট হওয়ার ট্রানসাকশান আইডি :

TX ID : 187d7ac754933eb5d9f319de9ec51b6bfcc522f0c25b52a09f1b2a77e221dff5

টাস্ক ১৮ কমপ্লিটেড সাকসেসফুলি


এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তো যে কোনো এমাউন্ট এর টিপস আনন্দের সহিত গ্রহণীয়

Account QR Code

TTXKunVJb12nkBRwPBq2PZ9787ikEQDQTx (1).png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

RME, Thank You for sharing Your insights...

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Thank You for sharing...

বেশ ইন্টারেস্টিং লাগছে আপনার এই পর্বগুলো। অনেক নতুন নতুন কিছু জানতে পারছি। আজকে তো বেশ কিছু ছবিও দেখতে পেলাম। বিশেষ করে দেয়ালের গায়ের চিত্রগুলো খুব ভালো লেগেছে। এত আগেকার চিত্র এখনো কত স্পষ্ট রয়েছে।

আদিম যুগের মানুষের জীবনযাত্রা এবং বিভিন্ন চিত্রকর্মগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। দাদা আপনার এই পোস্টগুলো দেখে অনেক কিছু জানতে পারছি। যেগুলো অজানা ছিল। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি প্রতিটি বিষয়ে তুলে ধরেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা।

Thank You for sharing...

মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে দাদা। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রাচীন যুগের অনেক নিদর্শন দেখতে পেলাম এবং গুহা গুলোর ভেতরের শিল্পচিত্রকর্মগুলো দেখতে পেলাম। এত পুরনো চিত্রকর্ম অথচ দেখে মনে হচ্ছে যেন একেবারে নতুনের মত। খুবই ভালো লাগলো দাদা আপনার এই পোস্ট দেখে। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো।♥️♥️

Thank You for sharing Your insights...

দাদা আজকে আপনার মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছু জানতে পারলাম এবং দেখতে পারলাম। খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। আসলে আদিমকালে মানুষ গুহাচিত্র শিল্পগুলো করেছিল সেগুলো দেখতে পেলাম। সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে।

দাদা, আপনার পোস্ট পড়ে প্রস্তর যুগের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারলাম।

হোমো সাপিয়েন্স (সবার উপরের তাকে), হোমো নিয়ান্ডারথাল (তার নিচের তাকে), হোমো ইরেক্টাস (তার নিচের তাকে), হোমো হাবিলিস (সব চাইতে নিচের তাকে)

হোমো সাপিয়েন্স, হোমো নিয়ান্ডারথাল, হোমো ইরেক্টাস, হোমো হাবিলিস - এ গুলো মাথার খুলির নাম, নাকি অন্য কিছু বুঝতে পারিনাই।

এছাড়াও অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গুহাচিত্র দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Thank You for sharing...

এগুলো বিভিন্ন মানব প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম । আধুনিক মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম হোমো স্যাপিয়েন্স ।

ধন্যবাদ দাদা। এখন বুঝতে পেরেছি।

"হোমো হাবিলিস" এই প্রজাতি টি মুখ ত মানুষের চেয়ে অনেক লম্বা।
গুহা চিত্র গুলো আঁকার সময় তারা কি পদার্থ ব্যাবহার করেছিল। এটা জানার আগ্রহ বোধ করছি। কালের বিবর্তন এ অনেক কিছু হারিয়ে গেছে তবু ও এর অস্তিত্ব বিদ্যমান।

Thank You for sharing...

আগুনে পোড়ানো কয়লা কাঠ, চুনা পাথরের টুকরো, গেরুয়া খড়ি মাটি, ফুল ও লতাপাতা থেকে নিষ্কাশিত রঙ দিয়ে ছবি আঁকতো

ধন্যবাদ দাদা । ছবি আঁকার বর্ণনা শুনেছি এর আগেও তবে এমন স্পষ্ট ছবি আজ ই প্রথম দেখার সুযোগ হলো । এতদিন পরেও এর উজ্জল্য দেখেই কৌতুহল জেগেছিল মনে । এখন দেখছি রঙ তৈরি তে ও ছিল প্রচুর কসরত ।

গুহাচিত্রগুলো ছিল মানুষের শিল্পকলার আদি রূপ সন্দেহ নেই। এই ছবিগুলো আগেও আমি বিভিন্ন জায়গায় দেখেছি। ভাবতে অবাক লাগে এত হাজার বছর পরেও এগুলো অক্ষত থাকে কিভাবে। আর ভারতের কোন অঞ্চলে প্রস্তর যুগের সবচাইতে বেশি নিদর্শন পাওয়া গেছে জানালে উপকৃত হব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

ভীমবেঠকা, ভারতের মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত । এখানে বেশ কিছু গুহায় প্রস্তরযুগের নানান নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে ।

https://en.wikipedia.org/wiki/Bhimbetka_rock_shelters

🔴 इस्लाम और हिंदू धर्म के बीच आम भाजक

🔵Common denominator between Islam and Hinduism

প্রস্তুর যুগের সম্পর্কে আজকে মোটামুটি অনেক কিছু জানতে পারলাম।মাথার খুলি,ও তাদের শিকার করার জন্য অস্ত্র ছবি দেখে অবাক লাগছে,পরিবর্তন হতে হতে কেমন হয়েছে অস্ত্র গুলো।ভালো ছিলো।

Thank You for sharing...

দাদা একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম।আদিমযুগের মানুষ গুলো ভালো না আঁকলে।যা একেছে একেবারে কোনো কাটা ছেঁড়া নেই।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

তাহলে আগুন আবিষ্কারের পর থেকেই মানুষের ঘুম কমে গিয়েছে 🤗‌
এই আগুন অনেক কিছুর মূলে রয়েছে। রাতে না ঘুমিয়ে সবাই বিভিন্ন আকার আকৃতিতে বুঝিয়ে একে অপরের সাথে কথা বলতো আর গুহায় সব চমৎকার ছবিগুলো আঁকতো। তবে যাই বলুন তাদের অংকন বেশ গভীর অর্থবহ ছিল। মাথার খুলি গুলো দেখে অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
যাক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Thank You for sharing Your insights...

কথা না বলে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য তবুও তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। গুহার ভেতরের দেয়ালের চিত্রকর্মগুলো কতটা নিখুঁত এঁকেছে তারা। মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি গুলো দেখেও অনেক কিছু দেখতে পেলাম যা এতদিন অদেখা ছিল।
ধন্যবাদ দাদা।

হোমো সাপিয়েন্স এই প্রকারের মানুষ গুলো মনে হয় অনেক বড় বিশাল দেহের অধিকারী ছিল। এখানে কয়েক প্রকার মানুষের মাথার খুলি মনে হয়। যায় হোক চিত্র দেওয়ায় খুব ভাল ভাবে বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ দাদা।

Thank You for sharing...

আমরাই হোমো সাপিয়েন্স😅

This post has been upvoted by @pushpendra97 by business standards
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness

দাদা আপনার লেখার সিরিজ গুলো সব কয়টি পড়া সম্ভব হয়নি বিভিন্ন কারনে।লেখা গুলো খুবি তথ্যবহুল সত্যি মানুষ যখন ভাষা শেখেনি তখন আকার ইঙ্গিতে কথা বলতো। আরো একটি বিষয় দেখা যেতো তারা পাথরের গায়ে কিংবা গুহার ভিতর বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধের কিংবা চাষাবাদের ছবি খোদাই করে অংকন করে রাখতো । মূলত ছবির মাধ্যমে তারা তাদের কর্মকান্ড গুলো সংগ্রহ করে রাখতো । যেগুলো থেকে আজ আমরা প্রাচীন যুগের ইতিহাস জানতে পাই। প্রস্তর যুগের বির্বতনের ছবি এবং গুহার চিত্র গুলো দেখে তাই বোঝা যায় আদীম জন গোষ্ঠি কিভাবে দিনাতিপাত করতো। তাদের অস্ত্র-শস্ত্র গুলো দারুন কাজের ছিল। যা হোক দাদা ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।

Thank You for sharing Your insights...

বর্তমানে ভাষা ছাড়া একটি মুহূর্তও কল্পনা করা যায় না, যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে এই ভাষা। আদিমকালে মানুষ এরা ইশারায় কথা বলতো, চিত্রাংকনের মাঝে মনের ভাব প্রকাশ করতে, এই বিষয়টা সত্যিই অনেক অবাক করা। আপনি সবকিছু বিষয়ে অনেক গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন। তবে হ্যা রাতের আন্ধকারকে মানুষ আগে থেকেই ভয় পেত কিন্তু আগুন জ্বালানোর পর থেকেই তাদের এই ভয় দূর হয়। ধন্যবাদ দাদা আপনাকে এত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করার জন্য।।

Thank You for sharing...

আপনার বিবর্তন সংক্রান্ত লেখাগুলো পড়ে দাদা এক ধরনের romance অনুভব করছি। কিভাবে মানবজাতির বিকাশ হল ক্রমান্বয়ে কিভাবে আমরা আধুনিক থেকে আধুনিকতার হচ্ছে তা আপনার লেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে। গুহাচিত্রগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো সত্যিই অনেক বিষয়গুলো অনেক অজানা ছিল। আজ কিছুটা হলেও জানতে পারলাম। আশা রাখছি সামনের দিনগুলো তো আরো কিছু জানতে পারবো।

Thank You for sharing Your insights...

আলো ছাড়া যে কোন কিছুই দেখা সম্ভব না , তা নিজে একটু আগে একবার প্রমাণ করে নিলাম। পুরো ঘর অন্ধকার করে চেষ্টা করলাম দেখার তবে কিছুই তো দেখতে পেলাম না । অনুমানে লাইটের সুইচ খুঁজে নিয়ে লাইট জ্বালালাম ।

মানুষের চোখ নিকষ কালো আঁধারে কিছুই দেখতে পায় না

এইটা নিজেই প্রমাণ করলাম ভাই । এইভাবে কখনো ভেবে দেখি নি ।

Thank You for sharing...

আদিম যুগে মানুষ নানান রকম সংকেত ব্যবহার করে কি ভাবে যে মনের ভাব প্রকাশ করতো এটা ভাবলেই অবাক লাগে। আজ প্রথম বার আদিম যুগের মানুষের সেই গুহাচিত্র গুলো দেখলাম দাদা। সবগুলো ছবি খুব চমৎকার লাগলো। মনে মনে ভাবছিলাম আমাদের পূর্ব পুরষদের দেখানো নিশানা এগুলো।

Thank You for sharing...

আদিমকালে মানুষেরা চিত্রাংকনের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতো এই বিষয়টা জানতে পেরে আমি সত্যিই অনেক বিস্মিত হয়েছি। পাশাপাশি আদিম যুগের মানুষের চিত্র অঙ্কন গুলো দেখতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছি। সত্যিই, এই পোস্টটি পড়ে আদিম যুগের মানুষ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেয়ার জন্য আমার প্রিয় দাদাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।

Thank You for sharing Your insights...

দাদা গুহার দেয়ালে চিত্রকর্ম ও মাথার খুলি আনুমানিক কত হাজার বছর আগের হতে পারে ? এই ব্যাপারে মিউজিয়ামে কি কোন তথ্য দেয়া আছে। গুহার চিত্রকর্ম গুলো দেখে আমি অনেকটাই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। ভাবতেও খুব ভালো লাগছে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য কত পথ অবলম্বন করে। এটা থেকে একটা বিষয়ে স্পষ্ট হলো, মনের ভাব প্রকাশের জন্য শুধু মুখে কথা বলাই যথেষ্ট নয়। শিল্পীস্বত্বা দিয়েও অনেক না বলা কথাই স্পষ্ট করা যায়।

Thank You for sharing...