কবিতা "আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা"

in hive-129948 •  4 months ago 

360_F_704563706_ktqud0Y6bZbRNoiCNO44cbErWhY3Nc01.jpg


"আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা "


আঠারো বছর বয়স অব্দি আমার ক্যালেন্ডারের পাতাগুলি
শুধু সাদাই রয়ে যেতো,
লাল রঙের কোনো বৃত্তে সম্পূর্ণ হয়নি কোনো ডেট,
তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে মনের ভেতরে কোথাও হয়নি কখনো ঠাঁই,
অতি সাধারণ ক্যালেন্ডারের মলিন পাতা যতো ।

শুধু দেখতাম মাঝে মাঝে আমার বাবাকে,
সন্ধ্যে হলেই পঞ্জিকা আর ক্যালেন্ডার নিয়ে তাঁর যতো ব্যস্ততা ।
কালির আঁচড়ে কোনো কোনো তারিখ জ্বলজ্বল করতো,
সাদা দেয়ালের বুকে ঝোলানো সাদা ক্যালেন্ডারের পাতা ।

ঊনিশ বছরে সদ্য তারুণ্য থেকে যৌবনে উত্তীর্ণ সেসময়,
বাঁধভাঙা যৌবনের উদ্দামতায় হঠাৎ ছন্দপতন !
প্রথমবার প্রিয়জন হারানোর ব্যাথায় শোকাতুর মন,
একটা চিহ্ন রাখার জন্য যখন আঁতিপাঁতি খুঁজছে,
সহসা দৃষ্টি গেলো সাদা দেয়ালের মাঝে ঝোলানো
অতি সাধারণ মলিন ক্যালেন্ডারের বিবর্ণ পাতায় ।

একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হলো, ক্যালেন্ডারের বুকে একটি চিহ্নের জন্ম,
আর হৃদয়ের গভীরে রক্তাক্ত এক ক্ষতচিহ্ন ।
তার পর কেটে গেলো সুদীর্ঘ পাঁচটি বছর,
ভাবিনি আবার কখনো কাঁপা হাতে চিহ্ন দেওয়ার সময় হবে,
চেয়েছিলাম ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো দাগহীন রয়ে যাক ।

কিন্তু, রক্তের বাঁধন আবার ছিন্ন হয়েই গেলো,
বিনা মেঘে বজ্রপাতে নিমেষের তরে সব তছনছ !
ঊনিশ বছরের শোকের মাত্রা চব্বিশে বেড়ে পাহাড়সম হলো,
অশ্রুমলিন মুখে শোকের ছায়া বিস্তৃতি পেলো,
ক্যালেন্ডারের পাতায় আরো একটি লাল বৃত্ত !

এরপরে আর কখনো ভাবার সাহস হয়নি যে আবার কখনো বসতে হবে,
ক্যালেন্ডারের পাতায় কালো তারিখের চারিপাশে বৃত্ত আঁকতে ।
সুদীর্ঘ দশটি বছর পরে বিশ্বাস আমার আবার বিচূর্ণ হলো,
সব চাইতে প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যাথায় ব্যাথাতুর এ হৃদয় !

এ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, থামবে না কখনো আর,
কালো তারিখের চারিপাশে রক্তাক্ত বৃত্তে শুধু এঁকেই চলেছি ক্যালেন্ডার ।
একটি দু'টি করে তারিখ শুধু বেড়েই চলেছে জানি,
প্রিয় মানুষের মৃতদেহ জমে জমে আজ আমার ক্যালেন্ডার মৃত শ্মশানভূমি !


»»——⍟——««
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



আসসালামু আলাইকুম 💗
আপনার ১০ টার ও বেশি পোস্টে আমি ভোট দিলাম আপনি একটু আমাকে সাপোর্ট করবেন 🥰

আপু, আপনি সম্ভবত জানেন না, কিছুদিন হয় উনার বাবা মারা গেছে।
তার চেয়ে বড় কথা উনি আপনার-আমার মত সর্বসাধারণের জন্য একটু দারুণ কমিউনিটি খুলেছে সাহায্যের জন্য। আপনি সেখানে জয়েন দিতে পারেন।

ভাইয়া কমিউনিটির নাম কি,,?

প্রিয় মানুষের মৃতদেহ জমে জমে আজ আমার ক্যালেন্ডার মৃত শ্মশানভূমি !

দাদা আপনার পিতা হারোনোর শোক আমাদের সবার মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। পুরো কমিউনিটি একদমই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আপনাকে স্বান্তনা দেয়ার ভাষা নেই। শুধুমাত্র ধৈর্য্য ধারণ করতে বলবো। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও আমরা ভালোবাসি, সম্পর্কগুলো এগিয়ে নিয়ে যাই আর প্রিয়জনকে কথা দেই। মাঝে মাঝে ছেড়ে না যাওয়ার সংকল্প করি কিন্তু সবকিছু ছেড়ে হঠাৎ করেই পাড়ি জমাতে হয় পরপার নামক স্থায়ী ঠিকানায়। যেখানে হয়তো ধীরে ধীরে সবার সাথেই দেখা হবে, দুদিন আগে কিংবা পরে। তাই জীবনকে ক্ষণস্থায়ী হিসেবে বিবেচনা করে হাসিখুশি আর দায়িত্বের মিষ্টতায় এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। দাদা শোক কাটিয়ে উঠুন তাড়াতাড়ি এই কামনা করছি 🙏

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 100 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

কবিতা "আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা" একটি শিরোনাম যা গভীর দার্শনিক ও আবেগময় অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ। আমি এই শিরোনামের ওপর ভিত্তি করে একটি কবিতা লিখতে পারি:

আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা
দিনগুলি একে একে হারায়,
মৃত্যুর ছায়ায় ঢেকে যায় সব রঙিন আশা।
প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি তারিখে
লেখা আছে এক একটি বিদায়ের গান।

আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা,
প্রতিটি শীতল রাতের নিঃশ্বাসে,
যেন এক মরণবেদীর মিছিল।
প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি ক্ষণে
অন্ধকারে মিশে যায় জীবনের আলো।

তবুও, হাল ছেড়ে দেই না,
প্রত্যেক পাতায় খুঁজি জীবনের গান।
প্রতিটি ক্ষুদ্র আনন্দের স্পন্দনে,
মৃত্যুর মাঝেও দেখি বেঁচে থাকার কারণ।

এই উপত্যকা যদিও শূন্যতায় ভরা,
তবুও, আমার হৃদয়ে আশা জ্বলে।
মৃত্যুর এই প্রান্তে দাঁড়িয়ে,
জীবনের গান গাই, নির্ভয়ে, নিরন্তর।

Hi @rme,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

আজকে আপনার স্বরচিত কবিতাটি কাঁপা কাঁপা সুরে পড়লাম। এক কবিতার মধ্যেই কত ব্যথা,কত কষ্ট, কত স্মৃতি লুকিয়ে রয়েছে। ক্যালেন্ডার এখন ধীরে ধীরে মৃত্যু উপত্যকা হয়ে যাচ্ছে। ক্যালেন্ডারের গায়ে একটি চিহ্ন দেওয়া মানে হৃদয় থেকে এক সাগর রক্ত প্রবাহিত হওয়া। ধন্যবাদ।।

আপন মানুষ হারানোর কষ্ট খুবই বেশি। হয়তো এভাবেই পুরো ক্যালেন্ডারের পাতা জুড়ে কোন একদিন দাগ পড়ে যাবে। আর ধীরে ধীরে সবাই হারিয়ে যাবে। দাদা আপনাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই। তবে এতটুকুই বলবো ধৈর্য ধারণ করুন দাদা।

আপনার মনের গভীর ব্যথা ও কষ্ট নিয়ে লেখা আজকের কবিতাখানি যখন পড়ছিলাম তখন চোখের কোণ আপনিই ভিজে গেল।আমার হারানো প্রিয়জনের কথাগুলোও মনে জেগে উঠছিলো।আসলে প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রনা মৃত্যুসম কষ্টের।যা মনকে রক্তাক্ত করে দিয়ে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।আর ক্যালেন্ডারগুলি রক্তময় কালিতে ছেয়ে যায় ধীরে ধীরে।তবুও এই কঠিন পরিস্থিতিকে আমাদের মেনে নিতে হবে।মনকে শক্ত করতে হবে অন্য প্রিয়জনকে আগলে রাখার জন্য।ধৈর্য্য ধারণ করুন দাদা,আমরা সবসময় আপনার পাশে আছি।এটা কখনোই ঠিক হওয়ার নয় জানি তবুও আশা করি সব কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে যাবে।।

দাদা আপনার মনের ব্যথা নিয়ে মনের অনুভূতি দিয়ে কবিতাটি লিখেছেন।কবিতাটি পড়ে খুব খারাপ লাগলো। চোখ আমার ছলছল হয়ে গেলো। প্রিয় মানুষ কে হারানোর কষ্ট কতোটা বুকের মধ্যে যন্ত্রনা দেয় তা বলে বোঝানো যায় না।আপনি পরিবারের কথা ভেবে বিশেষ করে আপনার মায়ের কথা ভেবে শক্ত হন দাদা।প্রিয় দাদা ভেঙ্গে পরবেন না।আপনি ই তো এখন সবাইকে সান্ত্বনা দিবেন।আল্লাহ আপনাকে কষ্ট সহ্য করার শক্তি দান করুন,আমিন।😔🙏

দাদা আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। তবুও বলবো এই কঠিন সময়ে আপনার মন অনেক শক্ত করতে হবে। কারণ আপনি ভেঙে পরলে, আন্টি সহ পরিবারের সবাই আরও বেশি ভেঙে পরবে। যদিও এই মুহূর্তে মন শক্ত করাটা খুব কঠিন। আসলে আমাদের জীবনটা একেবারে অদ্ভুত। চোখের সামনে পরিবারের একের পর এক সদস্য আমাদেরকে ছেড়ে পৃথিবী থেকে চলে যায়। আমাদের আসলে কিছুই করার থাকে না। এভাবে আমরাও একদিন পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিবো। কারণ মৃত্যু হচ্ছে চিরন্তন সত্য। তবে আপনার বাবা বেশ পরোপকারী মানুষ ছিলেন, সেটা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম। ভালো মানুষগুলো পৃথিবী থেকে খুব তাড়াতাড়ি বিদায় নেয়। আঙ্কেল যেনো ওপারে খুব ভালো থাকেন,সেই কামনা করছি। যাইহোক এতো কঠিন সময়েও আমাদের সাথে কবিতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনার কবিতাটির মধ্যে জীবনের ভয়াবহ কষ্টের মুহূর্ত গুলি ফুটে উঠেছে। পড়তে ভীষণ কষ্ট হয়েছে।কবিতার প্রতিটি লাইন পড়ে মনে হয়েছে বারবার প্রিয়জন হারিয়ে হৃদয় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়েছে আপনার। সত্যিই প্রিয়জন হারানোর ব্যথা তীব্র।খুব খুব কষ্ট হয়।তারপরেও ধৈর্য ধরে সবটা মেনে নিতে হয়। এটাই জীবনের নিয়ম।দোয়া করি আপনি যেন এই কষ্ট কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন । আপনার জন্য অনেক অনেক প্রার্থনা।

হৃদয়ে থাকা ভালোবাসার মানুষগুলোর প্রস্থানে আপনার ক্ষত বিক্ষত মনকে কিভাবে শান্তনা দিবো সেই ভাষা হয়তো আমার জানা নেই, শুভ্র দাদা ক্যালেন্ডারের তারিখগুলোর লাল বৃত্তের জমাট বাঁধা ব্যথা হয়তো নিবারণ করা যাবে না, কিন্তু তবুও শাশ্বত এই নীতির বাহিরে যাওয়ার সাধ্য নাহি মোদের। কঠিন পরিস্থিতির নির্মম যন্ত্রণার কিছু পাঠ করলাম আজ।

এমন করে আমাদের প্রতিটি মানুষের ক্যালেন্ডারে কালো দাগের পাশে লাল দাগ বসবে।এমন করে লাল দাগ বাড়তেই থাকবে।আসলে প্রিয় মানুষের মৃত্যু মানা যায় না,তবুও মানতে হয়।সবকিছু সইবার তৌফিক দান করুক ।

ক্যালেন্ডারের এই লাল দাগ গুলো কখনো মোচন করা সম্ভব হবে না। তবুও নিজেকে এই লাল দাগ গুলো কে মেনে নিয়ে জীবন পরিচালনা করতে হবে। জীবন চলার পথে অনেক বাধা বিঘ্নতা চলে আসে, আর প্রতিটি বাধা বিঘ্নতার মধ্যে বাবা হারানোর বেদনা মানুষ কে একটু বেশি ভেঙ্গে দিয়ে যায়।

দারুন লিখেছেন দাদা । জীবন থেকে প্রিয়জন হারিয়ে গেলে সে ক্ষতবিক্ষত হৃদয় আসলেই সহজে শুকাতে চায় না ,তারপরও কিন্তু জীবন জীবনের গতিতেই চলতে থাকে । এই কবিতার ভিতরে আপনার কষ্টগুলো ফুটে উঠেছে । ঠিকই বলেছেন যত দিন যায় আর ক্যালেন্ডারের দাগের পরিমাণও বারে আর এটা আসলেই অনেক কষ্টের । দোয়া রাখছি দাদা প্রিয়জন হারানোর ব্যথা যেন খুব তাড়াতাড়ি আপনি কাটিয়ে উঠতে পারেন ।

কবিতার প্রতিটি শব্দ আজ মনের ভেতর নাড়া দিয়ে গেলো। কি দারুন ভাবে নিজের মনের কষ্ট আর প্রিয়জন হারানোর বেদনা শব্দের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে এটাই আমাদের জীবন। এভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আর এভাবেই ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো নানারকম চিহ্নে পূর্ণ হয়ে যেতে থাকবে। সব ভুলে এগিয়ে যাওয়ার নামই জীবন।

এই জীবনটা কত না সুন্দরভাবেই আমাদের সাথে খেলা করে। কখনো রঙ্গিন করে ফুটিয়ে তুলে, আবার কখনো ধুসর। জীবন কখনো হাসায়, আবার কখনো কাঁদায়। হাসি কান্নার এই খেলায় জীবন চলে যাচ্ছে। আপনি আপনার ভিতরের কষ্টগুলো এমনভাবে তুলে ধরলেন দাদা, পড়ার পর নিজের ভিতরটাই কান্নায় ফেটে যাচ্ছে। আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মত কোনো শব্দ এখনো আমার কাছে নেই। তবে, একটা কথাই বলবো, মৃত্যু চিরন্তন সত্য। যেটা আমাদের সবাইকেই মেনে নিতে হবে।

আঙ্কেলের মৃত্যুর সংবাদটা শুনে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম দাদা। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি আপনাকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দেন। প্রিয়জন হারানোর ব্যথা যে কতটা কঠিন সেটা যে হারিয়েছে সেই বুঝতে পারে।

যে অনুভূতি আমরা চাই হারিয়ে যাক,
তা বার বার আঁছড় কাটছে হৃদয়ে।
গভীর থেকে আরও গভীরে,
গেঁথে যাচ্ছে বিভিন্ন সময়ে।
যতই চাই আর না আসুক শোক,
শোকের তাতে কোন দায় নেই।
একের পর এক বিষাদ আসে নেমে,
বিষাদের যাতাকলে হারিয়ে ফেলি খেই।

দাদা আপনার মনের কষ্ট ও ব্যথাটা বুঝতে পারছি কারণ আমারও বাবা নেই আর বাবা হারানোর কষ্টটা যে কতটুকু যার বাবা নেই একমাত্র সে বুঝতে পারে।আপনার কবিতাটি পড়ে আমার চোখের কোণে পানি চলে আসছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিকে তবুও আমাদের মেনে নিতে হয় এবং মনকে শক্ত করতে হয়।আঙ্কেল যেন ওপারে ভালো থাকে এই কামনাই করি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা যেন আপনাকে ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দেয়।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এই কবিতার সারাংশে, তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।
একজন ব্যক্তির জীবনকালের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্যালেন্ডারের পাতায় বৃত্ত আঁকার মাধ্যমে প্রিয়জন হারানোর বেদনা ফুটে উঠেছে। কবিতার শুরুতে, আঠারো বছর বয়স অব্দি তার ক্যালেন্ডারের পাতাগুলি সাদাই ছিল, কিন্তু ঊনিশ বছর বয়সে প্রথম প্রিয়জন হারানোর ফলে প্রথমবার ক্যালেন্ডারের পাতায় একটি লাল বৃত্ত আঁকা হয়। এরপর চব্বিশ বছরে আরেক প্রিয়জন হারানোর ফলে আবার একটি লাল বৃত্ত আঁকা হয়। দশ বছর পরে, সবচেয়ে প্রিয়জনের মৃত্যুর ফলে ক্যালেন্ডারের পাতাগুলি আরও লাল বৃত্তে ভরে ওঠে, আর হৃদয় রক্তাক্ত হয়ে যায়। এইভাবে, ক্যালেন্ডারের পাতাগুলি তার জন্য মৃত শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়।

এই শোক কাটিয়ে উঠার সমস্ত ধর্য্য বিধাতা আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে দিন,,এটাই প্রার্থনা করি প্রিয় দাদা😭🤲

দাদা আপনাকে কি বলে সান্ত্বনা দেব সেই ভাষায় খুঁজে পাচ্ছি না। আসলে যার হারায় সে সঠিকভাবে বুঝতে পারে। আমরা যতই বলি আমরা আপনার কষ্ট বুঝতে পারছি আসলেই আপনার কষ্টটা অনুধাবন করার মত সামর্থ্য আমাদের কারোই নেই। আমরা সকলেই আপনার বাবার জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি, তিনি যেন ওপারে অনেক ভালো থাকেন।

জীবনটা আসলেই খুব কষ্টের, সকলের ক্যালেন্ডারেই রয়েছে লাল বৃত্তের ছাপ, কারও বেশি কারও কম।আর এই ছাপগুলো ক্ষত বিক্ষত করে তোলে আমাদেরকে।এভাবেই ক্ষতগুলো নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার নামই হচ্ছে জীবন।

বুঝতে পারছি এই মুহূর্তে আপনার মনের মধ্যে কি চলছে।বাবা হারানোর ব্যথা সহজেই মুছে যায় না, কিন্তু তারপরও ধৈর্য ধরতে হবে।অনেক অনেক দোয়া রইলো দাদা আল্লাহ যেন আপনাকে সহ্য করা শক্তি দান করেন।

জীবনের চলার পথটা সত্যি অনেক কঠিন। আপন মানুষগুলোকে হারিয়ে বাঁচা আরো বেশি কঠিন। আমরা কখনো নিজের মৃত্যুর ভয় করি না। অথচ আপন মানুষের মৃত্যুর ভয়ে সবসময় আতঙ্কে থাকি। হয়তো এভাবেই ক্যালেন্ডারের পাতাগুলো লাল, কালো কোন চিহ্নে ভরে উঠবে। সবকিছু বদলে যাবে। শুধু নীরবে সব কিছু মেনে নিতে হবে। দাদা আপনার কষ্ট বুঝতে পারছি। এই কষ্টের কোন সান্তনা নেই। এই কষ্টের কোন ভাষা নেই।

কি বলব আর কি বলবো না সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না দাদা। আপনার এমন কষ্টের মধ্যে কি বললে একটু সান্ত্বনা পাবেন ? সেটাও আমার জানা নেই । তবে আপনার আবেগঘন কবিতাটি পড়েছিলাম , আর আপনার কষ্টগুলোকে অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম। বাবার এভাবে চলে যাওয়া যে কত ব্যাথার সেটা আমিও উপলব্ধি করছি দাদা । দোয়া রইল আপনার জন্য, আপনাদের পরিবারকে একটু শান্তির ব্যবস্থা করে দেন ।

প্রিয়জনের মৃত্যুতে সবসময় হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। শ্রদ্ধেয় দাদা আপনাকে সান্ত্বনা দেয়ার মতো জ্ঞান আমার ভেতরে নেই তবুও বলবো সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখুন। ক্যালেন্ডারের কালো তারিখের চারিপাশের লাল বৃত্ত চিহ্ন হৃদয়ের রক্তক্ষরণের কারণ। আমাদের সবাইকে একদিন এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে, এই সুন্দর পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়। আমাদের শ্রীমৎভাগবত গীতায় বলা আছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবকিছুই পরমাত্মার অংশ আর পরমাত্মায় জীবন, মৃত্যু কেবল ভ্রম মাত্র।

সুদীর্ঘ দশটি বছর পরে বিশ্বাস আমার আবার বিচূর্ণ হলো,
সব চাইতে প্রিয়জনের বিয়োগ ব্যাথায় ব্যাথাতুর এ হৃদয় !

এই স্থান এই বিয়োগ কখনও পূর্ণ হওয়ার না দাদা। আপনার অনূভুতি টা বুঝতে পারছি। নিজের কষ্টের অনূভুতি নিজের ক‍্যালেন্ডারের সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো যেন কবিতার ভাষায় তুলে ধরেছেন।

সব ঠিক হয়ে যাবে একথা বলতে পারি না৷ এই শোক তো ঠিক হবার নয়। তাও বলি আপনি শক্ত হোন৷ আপনার স্ত্রী আছেন সন্তান আছে৷ বাকি পুরো পরিবার আছে৷ তাদের সবাইকে নিয়ে সামলে উঠুন৷

এই বিয়োগের কোন যোগ নেই৷ কোন স্বান্তনা নেই৷ কিচ্ছু নেই ফাঁকা মরুভূমি ছাড়া৷ অত্যন্ত বেদনার। তাও কাটিয়ে উঠতে হবে। সামান্য হলেও। আপনাদের এমন অবস্থা দেখলে আপনার বাবা শান্তি পাবেন না৷ তাই সবার জন্যই সামলে উঠুন।

যে পথে যেতে হবে সে পথে তুমি একা
নয়নে আঁধার রবে ধেয়ানে আলোকরেখা।।

এই একমাত্র সত্য।

আপনি ও আপনার পরিবারের শুভ কামনা করি।

দাদা আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই, তবে একটা কথাই বলবো, মানসিকভাবে স্থির হওয়ার চেষ্টা করুন। ওপারে ভালো থাকুক আপনার বাবা, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন যত কষ্ট গুলো আছে , তার মধ্যে প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রণা সবচেয়ে বেশি কষ্টকর । কারণ আমিও আমার বাবা কে হারিয়েছিলাম ঠিক ১৯ বছর বয়সে। অনেক আঘাত পেয়েছিলাম। অনেক সময় লেগেছে সেই আঘাত কাটিয়ে উঠতে।

দাদা, সময় হয়তো সব কিছু স্বাভাবিক করে দিবে কিন্তু, তবুও মাঝে মাঝে এতো তীব্র যন্ত্রণা হবে যে , মুখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

লেখাগুলো হৃদয়কে কেমন নাড়া দিলো।
আঙ্কেলের এই বিদায়ে আমি কিছুসময়ের জন্য খুব অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম।

আঙ্কেলের একটি ছবি দেখেছিলাম অনেকদিন আগে। ছবিটি চোখের সামনে ভেসে উঠছে মাঝে মাঝেই। নম্র ভদ্র সাদাসিধা মানুষটা।

পরম সুখের জায়গায় যেতে পারাটাই তো জীবনের সফলতা। আঙ্কেলে মহৎ কাজগুলো নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করবে উপকৃত হওয়া মানুষগুলোর হৃদয়ে।

এখন ভালোবাসার ঐ মানুষটি আমাদের কাছে দোয়া প্রার্থী।

আপনার এই কঠিন সময়ে বড্ড মন চাচ্ছে একটুখানি জরিয়ে ধরে বলি ভালো মানুষের কি মৃত্যু আছে!!! ধৈর্য ধরুন দাদা। 😔🤲🤲

আপন মানুষের বিচ্ছেদের যন্ত্রণা সহ্য করা খুবই কঠিন। আপনাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোন ভাষা আমার জানা নেয় দাদা। তবে একটি কথায় বলতে চাই মানুষ হিসাবে আমাদেরকে মৃত্যু স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। কেউ এই মৃত্যু নামক সত্য থেকে বাঁচতে পারবে না। সর্বশেষ একটি কথায় বলবো আপনার বাবাকে সৃষ্টিকর্তা যেন স্বর্গের উচ্চ মাকাম দান করেন। আর আপনি ধৈর্য ধারণ করুন কারণ সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য ধারণকারীকে পছন্দ করে।

আপনজন হারানোর কষ্ট আমিও বুঝি , দাদা। আপনার মনের কষ্টটাকে আমি অনুভব করতে পারছি। খুব ছোট থাকতেই বাবাকে হারিয়েছি। বাবাকে হারানোর কিযে কষ্ট যে হারিয়েছে সেই শুধু বুঝতে পারে। আল্লাহ যাতে আপনাকে ধৈর্য ধরার শক্তিদান করেন এটাই কামনা করি , দাদা।

মৃত্যুর কালান্তর

আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা,
দিন তারিখের হিসেব যেন অন্ধকারে ঢাকা।
কালো অক্ষরে লেখা সবকিছু, বেদনায় ভরা,
শুভ্র কাগজে জমে আছে নীরবতার ধারা।

সূর্যের আলো আসে না আর, আকাশ মেঘে ঢাকা,
সবুজ ঘাসের নরম ছোঁয়া, মনে পড়ে এখন।
স্মৃতির পাতায় ঘুরে ফিরে, অন্ধকারের গল্প,
হৃদয়ে বাজে বিষণ্ণতার এক একান্ত সুর।

সেই দিনগুলো ফিকে হয়ে গেছে, রঙ হারিয়ে ফেলে,
মৃত্যুর উপত্যকায় এখন ছায়া পড়েছে।
আলোর খোঁজে যাই যতবার, অন্ধকারের গাঁথা,
আলো-অন্ধকারের যুদ্ধে, প্রাণে বাজে যন্ত্রণা।

প্রতিদিনই দেখি আমি, শূন্যতার মায়া,
মৃত্যুর কালান্তরে পথ খুঁজি, বাঁচার আশা।
আলোর কণা যদি কোনোদিন, আসতো জীবনে,
মৃত্যুর উপত্যকায় দাঁড়িয়ে, বলতাম ভালোবাসা।

তবু আশায় থাকি, মনে জাগে একটুখানি আশা,
মৃত্যুর উপত্যকায় কোনোদিন, আলোর দেখা।
আমার ক্যালেন্ডার এখন মৃত্যু উপত্যকা,
তবু হৃদয়ে জেগে থাকে, জীবনের প্রত্যাশা।

কথাগুলো পড়েই যেন কান্না পাচ্ছে।আর ভাবতেই কেমন গা শিউরে উঠছে,শুভ্র ক্যালেন্ডারের পাতায় লাল কালির বৃত্ত কখন বসে যায়। প্রিয়জন হারানোর বেদনা কখনো কমে না, বরং দিনের পর দিন বেড়েই যায়। হৃদয়ের এই রক্তক্ষরণ তো আর বন্ধ করা যাবে না,কারণ এর কোনো ক্ষতিপূরণ নেই।এভাবেই জীবন চলবে। আসলে স্বান্তনা দেয়ার সামর্থ্য আমার নেই, জানি কোনো কিছুই হবে না তাতে।শুধুমাত্র আঙ্কেলের জন্য প্রার্থনা করি তিনি যেন ওপারে ভালো থাকেন।

এই রক্তক্ষরণ বড় বেদনার দাদা। এ ভোলবার নয়। জীবন যখন এই দিনগুলো ফিরিয়ে দেয় তখন আমাদের যেন এক প্রান্তিক বিন্দুতে এসে দাঁড়াতে হয়। নিজের কাছেই নিজে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, এ কোন দিনের অপেক্ষায় প্রতিদিন একটু একটু করে হেঁটে গেছি আমরা? আসলে জীবন নিজেই এক খেলাঘর। যেখানে ভাঙা-গড়ার খেলায় আমরা মেতে থাকি প্রতিনিয়ত। আপনার কাছে এই দিনটি সারা জীবনের জন্য একটি কালো দিন হয়ে রইল। তবে সবকিছুই তো মেনে নিতে হয়। জীবনের ওঠা পড়া এবং আলো অন্ধকার নিয়েই আমাদের বাধ্য হতে হয় জীবনের পথে হেঁটে যেতে। তাই মন খারাপ না করে বাবার আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলুন সামনের দিকে। আপনার মত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মানুষের হার নেই। আপনি জিততে এসেছেন এবং জিতেই যাবেন। আমরা সবসময় আপনার পাশে আছি।

প্রতিটি লাইন পড়ছিলাম আর যেন কষ্টে বুক ভেঙ্গে যাচ্ছিল। আসলে ছোটবেলায় সব থেকে ভালো সময় থাকে। তখন এত কাছের মানুষজনকে হারানোর খুব একটা ভয় থাকে না। হয়তো বুঝতে পারিনা। কিন্তু মানুষের মৃত্যুর যদিও কোন ভরসা নেই। তারপরও এই বয়সে এসে মনে হচ্ছে আমাদেরও ক্যালেন্ডারের পাতায় কালো দাগের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এই কষ্টের কোনো সান্ত্বনা হয় না দাদা। তারপরও দোয়া করি যেন সুস্থ মতো থাকতে পারেন।

কবিতার প্রতিটি ছন্দে যেনো এক বুক হাহাকার! সত্যিই কি মর্মান্তিক পরিস্থিতি। সত্যিই এ রক্তক্ষরণ আর থামবে না।কিন্তু তাও শক্ত থাকতে হবে।নিজেকে শক্ত করতে হবে।প্রিয়জনেরা এভাবেই ছেড়ে চলে যাবে।আমাদের অভ্যেস করে নিতে হবে!এটাই বাস্তবতা।

এমন পরিস্থিতিতে সান্তনা দেয়ার ভাষা খুঁজে পাই না। বন্ধন গুলো যখন ছিড়ে যায় হৃদয় টুকরো টুকরো হয়ে যায়। দেড় যুগ ধরে বয়ে চলেছি পিতা হারানোর শোক। কেউ না জানুক আমি জানি এ কেমন ব্যাথা। সান্ত্বনা দেয়ার নেই কোন ভাষা। এই কামনা করি, এমন শোকে আপনি ও আপনার পরিবার যেন ধৈর্য ধারণ করতে পারেন দাদা।

Sorry for the demised of your beloved father. Please accept 🙏 my condolence and may his soul rest in peace.