🔺28 জুন
👉 মঙ্গলবার

কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।

নাটকটি মূলত তিন ছেলে এবং বাবা মধ্যে কাহিনী। তাদের বাবা হলো একদম সবচেয়ে বড় কৃপণ। কোন কিছুতে টাকা বের করতে চায় না। কিন্তু ছেলেগুলো জোর করে টাকা আদায় করতে চায় সব সময়। নাটকের শুরুতেই দেখা যায় যে ছেলেগুলো এইবার পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য আবদার করে। কিন্তু তার বাবা একদম নারাজ তা দিতে কারণ ওই যে আগেই বলেছি সে অনেক কৃপন আর ইলিশ মাছেরও তো অনেক দাম।

তাই অবশেষে সেই তিন ছেলেই ৩ হাজার টাকা জোগাড় করে বাজারে যায় ইলিশ মাছ কিনতে কিন্তু মাছের তো অনেক দাম। তাই তারা কিনতে না পেরে ফিরে আসে।

এদিকে তারা তাদের গার্লফ্রেন্ডের কাছে অনেক চাপা মারছিলো যে প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ তাদের বাড়িতে 100 টির মতো ইলিশ মাছ রান্না করা হয়। এইগুলো বলে তারা যাদের গার্লফ্রেন্ড কে আরো ইমপ্রেস করার চেষ্টা করে এবং হাইলাইটস হওয়ার চেষ্টা করে। তাছাড়া একজন তো তার গার্লফ্রেন্ডকে দাওয়াতই দিয়ে দিল তার বাসায় পহেলা বৈশাখে যাওয়ার জন্য। নিজেদেরই খাওয়ার মতো ইলিশ মাছ জোগাড় হয় না তার মধ্যে আবার দাওয়াত!! হাহাহা..

এদিকে তাদের বাবা পহেলা বৈশাখের আগের দিন একটি বড় রুই মাছ আনে বাসায়। এবং তার স্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে বলে পহেলা বৈশাখে এটি রান্না করার জন্য। এতে তার স্ত্রী এবং তার ছেলেরা সেই রুই মাছ দেখে রীতিমতো অবাক হন এবং চিল্লাচিল্লি শুরু করে কারণ তার বাবা এতটাই কৃপণ যে ইলিশ মাছ খাওয়ানোর মতো টাকা বের করতে চায়না।

তারপর বড় ছেলে সে রাতে ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে যে তারা পহেলা বৈশাখে মজা করে ইলিশ মাছ খাচ্ছে। এত সুন্দর স্বপ্ন যখন ভেঙে যায় এবং দেখে যে এটা শুধুই স্বপ্ন ছিল তখন তার মন একদম খারাপ হয়ে যায়।

এদিকে পহেলা বৈশাখের মাত্র একদিন বাকি। আর তারা একদম ভেঙে পড়ে কারণ তারা ভাবে এইবার হয়তো তাদের ইলিশ মাছ খাওয়া হবে না। তখন তাদের বাবা রুম থেকে এসে অনেক কষ্টে 3000 টাকা বের করে তাদের হাতে দেয়। আর ছেলেদের কাছে ছিল 3000। এই টোটাল 6000 টাকা নিয়ে তারা খুশি মনে বাজারে যায় কিন্তু বাজারে গিয়ে কোন মাছই পায় না,কারণ পহেলা বৈশাখের আগের দিন পর্যন্ত কোন মাছ অবশিষ্ট ছিল না। সব বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। তখন ছোট ভাইটি কান্না করে আবার বাসায় ফিরে আসে।

অতঃপর তারা ফেসবুকে স্ক্রলিং করছিল তখন ছোট ভাই অনিক হঠাৎ একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায় যে 4000 টাকার বিনিময়ে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে। তখন সে তার বড় ভাইদের সেটি দেখায় এবং অনেক খুশি মনে তারা সেটি এডভান্স পে করে অর্ডার দিয়ে দেয়। পহেলা বৈশাখের দিন সকালেই তাদের ডেলিভারি পাওয়ার কথা। তখন তারা নিশ্চিন্তে খুশি মনে একজন হারমনিয়াম, আরেকজন দোতারা ইত্যাদি বাজাতে থাকে।

অবশেষে যখন ডেলিভারি আসলো তখন বক্সটি খুলে দেখে তার ভিতরে ইলিশ মাছের বদলে পাঙ্গাশ মাছ। হাহাহা....অর্থাৎ অনলাইন শপিংয়ের সেই লোকটি পুরোটাই ভুয়া ছিল। তখন এটি দেখে বড় ছেলে অজ্ঞান হয়ে গেল। পরে পানি দিয়ে সুস্থ করার পর সেই পাংগাস মাছ দিয়েই তারা তাদের পহেলা বৈশাখ উদযাপন করলো এবং নিজেই নিজেদের সান্ত্বনা দিলো যে,ইলিশ মাছ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।পাঙ্গাশ মাছই ভালো, কোনো কাটা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। হাহাহা...

মানে বিষয়টা হলো,

আজকের মতো এই পর্যন্তই ।দেখা হবে আপনাদের সাথে নতুন কোন রেসিপি পোস্ট বা অন্য কোন পোস্টে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।❤

@robinsiddiqui