আমার বাংলা ব্লগ। বড় বোনের বাড়ির আঙ্গিনা শাক সবজি এবং ফলের রেনডম ফটোগ্রাফি।

শীতের হিম শীতল উষ্ণ সকালের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের ব্লগিং। আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুবান্ধব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো। আছি হঠাৎ করে আজকে দুদিন যাবত আবার শরীরের নানান ধরনের অসুস্থতা প্রকোপটা বেড়ে গেছে। তাই পোস্ট এবং কমেন্ট খুব একটা মনোযোগী হতে পারছি না। তবুও আপনাদের মাঝে নিয়ে এলাম "বড় বোনের বাড়ির আঙিনার ও ফলের রেনডম ফটোগ্রাফি"। আশা করি সকলেরই ভালো লাগবে।

বড় বোনের বাড়ির আঙিনার শাকসবজি এবং ফলের রেনডম ফটোগ্রাফি।

ফটোগ্রাফি - ১

বোনের বাড়ির উঠানে ই সবজি বাগান। ইচ্ছে করছিল কাঁচা খেয়ে ফেলি। আর এতটাই সুন্দর লাগছিল যে ফটোগ্রাফি না নিয়ে পারলাম না। উঠুনের উপরে নেট দিয়ে খুব সুন্দর করে তৈরি করেছে সবজির মাচা।

---

---

বড় বোন মানেই অন্য এক অনুভূতি, ভাই বোনের ভালোবাসার কমতি কখনোই ছিল না। বাইকে এক নজর দেখলে মনে হয় যেন বোনের মনটা আকাশ ছোঁয়া বড় হয়ে যায়। মনে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়ে বাই কে কি খাওয়াবে কি করবে কিবা দিবে। আমিও যখনই গ্রামে যাই বোনের বাড়িতে সকাল বিকাল দুইবার না গেলে মনে হয় যেন আমার পেটের ভাত হজম হয় না। আমিও হেটে ঘুরে বেড়াতে আমার খুব ভালো লাগে এবং স্বাচ্ছন্দ মনে করি। ঘুরে বেড়াতে হঠাৎ করে বোনের বাড়ির আঙিনার শাকসবজি এবং ফলমূল দেখে ফটোগ্রাফি করতে আর ভুল করিনি। চিন্তা করলাম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা যাবে।

---

---

যেই চিন্তা সেই কাজ, উঠানে অথবা বাড়ির আঙিনায় যেই শাকসবজি গুলো লাগানো হয় এই শাকসবজি গুলোর মধ্যে তেমন একটা সার কীটনাশক ব্যবহার করে না। আর এই শাক সবজি গুলো খেতে এতটাই সুস্বাদু যা বলে বোঝানো মুশকিল। যারা বাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজি লাগায় তারাই একমাত্র বুঝতে পারবে এর স্বাদ সম্পর্কে। আর নতুন বাড়ি তৈরি করায় আরো বেশি শাকসবজি জন্ম। আপুর বাড়িতে এত পরিমান কলা যা বলে শেষ করা যাবে না। প্রচুর পরিমানে কলা ধরে, নতুন বাড়ির চতুরপাশে অনেক কলা গাছ লাগিয়েছিল। দেখতে অনেক ভালো লাগে।

---

---

আপুর বাড়িতে যাওয়ার পর এত ফল ফলাদি শাকসবজি দেখে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তখন ঝোপের মধ্যে ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছি। ঝোপের ভিতরে বসে বসে ফটোগ্রাফি করছিলাম তখনও কেউ টের পায়নি যে আমি আপুর বাড়ি এসেছি। অবশেষে ফটোগ্রাফি শেষ করে আপুর সাথে দেখা সাক্ষাৎ করলাম কথাবার্তা বললাম। ভাই বোনের ভালোবাসা থাকুক চির অটুট। প্রতিটি ভাই বোন সারা জীবন যেন একে অপরের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে থাকতে পারে।

---

---

তবে আমাদের সমাজে কিছু কিছু ভাই আছে, বোনের খোঁজ খবর পর্যন্ত নেয় না। আর আমি মনে করি এটা হচ্ছে আমাদের সমাজের নিচু মনের মানুষগুলো আসল পরিচয়। তারা বোনকে প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে এবং কি বোনের প্রাপ্য অংশটুকু অনেক সময় বুঝিয়ে দিতে নারাজ। যাইহোক ঐ দিকে আর যাচ্ছি না, পরবর্তীতে না হয় আরেকদিন গল্প করব এ নিয়ে। চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।

---

---

ফটোগ্রাফি - ২

গ্রাম্য বাসায় ডালিম, কিংবা বেদানা যাই বলুন না কেন ফল যেমন সুন্দর সুস্বাদু তেমনি গাছও অপরূপ সুন্দর লাগছে। ডালিমের পাতাগুলো যখন আস্তে আস্তে বড় হয় তখন আস্তে আস্তে সবুজ আকার ধারণ করে। আল্লাহর কি অপরূপ মহিমা তাকালেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়।

---

---

ফটোগ্রাফি - ৩

বাড়িতে ধুন্দুল গাছগুলো যদিও প্রচুর পরিমাণে ফল দেয় সবজি দেয়। কিন্তু গাছ ও প্রচুর নষ্ট হয় একবারে ঝোপের চাপে থাকে সব গাছ।

---

---

ফটোগ্রাফি - ৪

কলি থেকে চিচিঙ্গা বেরিয়ে আসছে। আর সবজিগুলো যখন হয়, মূলত গাছটা মুকুল যতটা বেরিয়ে যাবে সাথে সাথে ফুল বেরোবে এবং কি ফুলের সাথে ফল বাহির হবে, এটাই হচ্ছে এই ফল গাছের নিদর্শন।

---

---

ফটোগ্রাফি ৫

ঘরের সাথে পেঁপে গাছ লাগানো হয়েছে, পেঁপে গাছ মূলত একটু উঁচু জায়গায় লাগাতে হয়। আর ঘরের সাথে লাগানো গাছগুলোতে এতো পরিমান পেঁপে ধরেছে যা বলে বোঝাতে পারবো না। তবে এখন অনেকটা কমে গেছে, গাছ বড় হওয়ার সাথে সাথে ফলনটা কমে যায়।

---

---

ফটোগ্রাফি - ৬

এই গাছের পেঁপে গুলো অনেক বড় হয়। আর দেখতেও খুব সুন্দর লাগে, অনেক বড় হয়ে গেছে, এখন আর হাত দিয়ে পাড়া যায় না, কষ্ট হয়ে যায়।

---

---

ফটোগ্রাফি - ৭

ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে সিসিঙ্গার ফটোগ্রাফি টা দেখে কার না ইচ্ছে করে ছিড়ে রান্না করার জন্য।

---

---

ফটোগ্রাফি - ৮

কলার মোছাটা দেখে মনে হচ্ছে কোন নারীর চুলের বেনিতে পিতা বেঁধে রেখেছে। যদিও এই গাছটাতে কলা তেমন একটা বেশি আসে নাই। কিন্তু কলা এবং কি কলার মোছার মাঝখানে ফাঁকা জায়গাটুকু ঠিক নারীদের মাথার চুলের বেনীর মত লাগছিল, তাই ফটোগ্রাফি টা নিয়েছি।

---

---

ফটোগ্রাফি - ৯

উঠানের উপর লাল শাক, দেখলে কার না ইচ্ছে করে খেতে। তবে এই লাল সাগ গুলো অনেক মোটা এবং বড় হয়। এগুলো মুরগির মাংসের সাথেও রান্না করে খাওয়া যায়।

---

---

বন্ধুরা কেমন লেগেছে, বড় বোনের বাড়ির আঙিনায় শাকসবজি এবং ফলের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে। ভালো মন্দ কমেন্টে জানাবেন। সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।