আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক আজকের মূল পর্বে।
আমার কল্পনার শৈশব।
ফটোগ্রাফি - ১
আমার কেটে যাওয়া শৈশব, কৈশোর, আমার চির সবুজ গ্রাম, সোনালী ধানের ক্ষেত, মেঠোপথ, আর আমার সোনালী বাড়ি, সোনালী স্বপ্ন আর এটাই আমার নাড়ি।
আজকে আমি যখন অফিসে বসে বসে ভাবছি আজকে কি পোস্ট করা যায়। কোন কিছু ভেবে না পেয়ে বসে বসে চিন্তা করতে লাগলাম। হঠাৎ মনে পড়ে গেল শৈশবের কিছু স্মৃতি। তাই ভাবলাম বন্ধুদের সাথে শৈশবের কিছু কথা শেয়ার করি। তখনি লিখতে বসে গেলাম, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, মনোযোগ সহকারে পড়বেন বন্ধুরা।
ফটোগ্রাফি - ২
এই ছবিগুলো আমি আমার বাড়ির সামনে মেঠো পথে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা।
আমার শৈশব টা কেটে ছিল এক দুরন্তপনার মাঝে। শৈশবেই আমি খুব দুষ্টামি করতাম যা বলার মত নয়। আমার শৈশবে ছিল হাসি-আনন্দ কান্না সবকিছু মিলিয়ে শৈশবটা খুব মনে পড়ে। আমার মনে হয় আমার বয়স তখন ৬/৭ বছর হবে। তখন থেকেই স্কুলে যাওয়া আসা করি। আমার চাচাতো জেঠাতো ভাই আমরা সমবয়সী ছিলাম আট-দশজন সবাই দুষ্টুমিতে সেরা, মারামারি, ঝগড়া ঝাটি আবার দিন শেষে সবাই একসাথে ঘরে ফেরা যেতাম। এটাই ছিল আমাদের নিত্যদিনের কাজ।
ফটোগ্রাফি - ৩
সোনালী রোদ সোনালী ধান ক্ষেত।
আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমরা দুইজন ভাই ছিলাম সমো বয়শের মধ্য, ভাই আমার থেকে দুই বছরের বড়, কিন্তু সবাই আমাদেরকে জমজ পোলাপাইন বলতো। আমাদের এলাকার, বাড়ির পাশের যত কাকারা আছে সবাই দুষ্টুমি করতো। দেখলে আর ছাড়াছাড়ি নেই যে যমজ পোলা দুইটারে রশি দিয়ে বান। কই যাইতেছ,কেন আইছো, আবার ননু দরে টানে,বিয়া করবানি, কাকাদের নানান প্রশ্ন তখন দিশেহারা হয়ে এক দিকে না এক দিকে ছুটে যেতাম,হিহিহি।
আমি যখন ক্লাস টুতে পড়ি আমার খুব মনে আছে আমরা কাঠ দিয়ে ক্রিকেটের ব্যাট বানাতাম।এবং কি টেনিস বল দিয়ে আমরা ক্রিকেট খেলতাম। তখন বড়দের কাছে ঘেষতে পারতাম না অনেক ছোট ছিলাম। আমরা খেলাধুলা করতাম বাড়ির উঠোনে আর রাস্তায়। সবসময় চেষ্টা করতাম যে আমি নিজে নেতৃত্ব দিতাম। আবার সব সময় প্রথমে বলং দেওয়া লাগতো এবং কি প্রথমে ব্যাটিং আমি করতাম। অনেক সময় অনেকে মানতে চাইতো না। বন্ধুদের সাথে লেগে থাকতাম কিন্তু আবার খেলা শেষে সবাই খুশি মনে বাড়ী ফিরে যেতাম। তবে সন্ধ্যার একটু লেট হলে তখন আবার মায়ের বকুনি আর মার তখন একদম ফ্রি ছিল, হাহাহা।
সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এই যে আমি যখন অনেক ছোট। তখন থেকে মাছ ধরার খুব নেশা ছিল। এটা কে নেশা বলা যেতে পারে। আর আমার এমন একটা দিন ছিল না যে মাছ ধরা ছাড়া আমি থাকতে পারতাম।আমার ভালো লাগে আবার এমন কিছু অভ্যাস ছিল যা শুনলে অবাক লাগার মত। আমার ছোটবেলায় আমি কখনো শাকসবজি কি জিনিস আমি মুখে দিয়ে দেখি নাই। বিষ খাব কিন্তু শাক সবজি খাব না এমনটাই ছিলাম। এই জিনিসগুলো খুব বেশি মনে পড়ে। বর্তমান সময়ে এখন আমার শাকসবজি সবচাইতে প্রিয়। আর তখন শাকসবজি আমি টোটালি খেতাম না,হাহাহা।
ফটোগ্রাফি - ৪
ছবিগুলো আমার আগের তোলা ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমি আমার বাড়ির সামনে মেঠো পথে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তখন কয়েকটা ফটোগ্রাফি করেছিলাম। তাই মনে চাইল এই ফটোগ্রাফি গুলো আমি ব্যবহার করতে পারি।
আমার খুব মনে আছে ঘরে যদি মাছ মাংস অথবা ডিম না থাকতো আমি ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতাম। আমার এমনও দিন গেছে আমি দুইদিনে ও ভাত খাইনি। নিজে গিয়ে মাছ ধরতাম বড়শি দিয়ে। নিজে নিজে মাছ ভাজি করছি। এরপরে ওই মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছি। সত্যি অকল্পনীয় আমার স্মৃতিগুলো।
আমার শৈশবের কিছু স্মৃতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। পরবর্তীতে আবার কোন এক সময় শৈশব ও কৈশোর স্মৃতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আমাকে সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
আল্লাহ হাফেজ।
আপনার শৈশব এর এসব পড়ে খুব ভালো লাগলো আমার।
তবে ভাইয়া আপনার লেখায় মোটামোটি কিছু বানান ভুল দেখা যাচ্ছে।বানান ভুল পোস্টের কোয়ালিটি কমিয়ে দেয়।
আর আপনার কয়েকটা মার্কডাউন দেওয়া ঠিক হয়নি মনে হচ্ছে। মানে **** গুলো আপনি এমনিতেই দিয়েছেন নাকি মার্কডাউন এর জন্য দিয়েছিলেন?আর আপনি পোস্টে কি একটা ছবিই দিয়েছেন নাকি আমার ফোনে দেখা যাচ্ছেনা?আর পোস্টে না ঢুকলে কভার এর ছবিটা দেখা যাচ্ছেনা আপনার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনার প্রশংসা শুনে খুশি হলাম অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনার প্রতি ভালোবাসা রইলো।
আপু আমি পোস্টটিতে একটা ছবি ব্যবহার করেছি। পোস্টে কি আরো ছবি ব্যবহার করতে হবে। আমি পোস্টটি করার আগে দু'বার পড়েছিলাম ভালো করে। তারপরও যেহেতু আপনি ভুল দেখেছেন আমি আবার দেখি বুলগুলো শোধরানো চেষ্টা করছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে ছবি ব্যবহারে পোস্টের সৌন্দর্য বাড়ে এবং পাঠক পাঠিকাদের পড়তে ভালো লাগে।এখনো কিছু ভুল রয়েছে। আস্তে ধীরে করবেন, খুব চিন্তার সাথে কাজ গুলো করলে ভুল হবে, রিলেক্স হয়ে করার চেষ্টা করবেন।প্রতিটি বানান একবার করে পড়বেন লেখা শেষ হওয়ার পরে।তবে অনেকটাই ঠিক করেছেন।তবে বানানের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে আপনার।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু বিষয়টা একটু দেখবেন যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি ঠিক করার জন্য। ভালোবাসা অবিরাম ম্যাডাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনার পোস্টে মার্ক ডাউনে একটু সমস্যা হয়েছে আর ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে না এই বিষয়টা একটু সমাধান করবেন। পরবর্তী পোষ্ট গুলোতে আশা করি বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit