আর দেরি না করে চলুন যাওয়া যাক মূল পর্বে।
আমার কিছু কথা।
আমি আবার বাংলা ব্লগে আসার পর মোটামুটি এখন অনেক কিছু নিয়ে ভাবি। অনেক কিছু করার চেষ্টা করি, যেগুলো আমি কখনও কল্পনাও করিনি, এমনকি কখনো ভাবি নি, কখনো করিনি, কিন্তু এখন এই কাজগুলো করতে আমার কাছে খুব আনন্দ লাগছে। এবং কি আনন্দের পাশাপাশি আমরা নিজেদেরকে সক্ষমতা করার জন্য এখান থেকে ভালো মানের বেনিফিট দিচ্ছে "আমার বাংলা ব্লগ"। আমরা বেনিফিট কিন্তু আমি ওটাকে সাবজেক্ট মনে করছি না। কারণ এখানে বেনিফিটের চাইতে আমাদের আনন্দটা অনেকগুণ বেশি এবং কি জ্ঞান অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা মনে করছি।
কারন আমার বাংলা ব্লগ প্রতিটা মানুষের মেধা বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে আমি মনে করি। আর তারই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে দুই সপ্তাহ সময় ব্যয় করে একটি ওয়ালমেট তৈরি করেছি। যদিও এত সময় লাগে না, তবুও আমার কর্ম ব্যস্ততার কারণে আমার সময়টা একটু বেশি লেগেছে। এবং আমার বাংলা ব্লগের অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে অনেক সুন্দর সুন্দর ওয়ালমেট তৈরি করে। আমিও চেষ্টা করলাম নিজের মত একটা ওয়ালমেট তৈরি করি।
তাই আজকের এই রঙিন কাগজের ওয়ালমার্ট আপনারা উপভোগ করবেন। এবং আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। এবং আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন। ছলুন পর্যায়ক্রমে দেখে নেই আমার ওয়ালমেট তৈরি প্রক্রিয়া।
রঙিন কাগজের ওয়ালমেট তৈরি।
ওয়ালমেট তৈরি সম্পন্ন করে আমি একটা সেলফি নিলাম। ওয়ালমেট একটু বড় হওয়ার কারণে পুরো টা আমার সেলফি তে নিতে অনেক কষ্ট হয়ে গিয়েছে। তারপরও যতটুকু সম্ভব নিয়েছি।
ধাপ - ১
এখানে আমি কিছু রঙ্গিন কাগজ লম্বা লম্বা করে কেটে নিলাম। আর কাগজগুলো দিয়ে স্টিক বানাবো।
ধাপ - ২
এখানে আমি কলমের সাহায্যে স্টিক গুলো তৈরি করছি।
ধাপ - ৩
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমার স্টিক গুলো তৈরি হয়ে গেছে।
ধাপ - ৪
এখানে আমি অনেকগুলো রঙিন কাগজ ছোট ছোট করে টুকরা করে নিলাম।
ধাপ - ৫
এখানে আমি ছোটকাগজ গুলোকে ভাঁজ করে নিলাম।
ধাপ - ৬
এখন আমি বাজ করা কাগজ গুলোকে কেটে পাতার আকৃতি করে নিলাম এবং এ পাতা দিয়ে ফুল তৈরি করব।
ধাপ - ৭
এখানে আমি পাতাগুলো দিয়ে ফুল তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ৮
এখানে আমি স্কয়ার করে রঙিন কাগজ গুলো কেটে নিলাম। এখন কাগজগুলো চারভাগে ভাজ করলাম।
ধাপ - ৯
ভাঁজ করা কাগজটিকে আমি কেচি দিয়ে কেটে নিলাম।
ধাপ - ১০
এখানে আমি ভাঁজ করে কাটা কাগজ গুলোকে দিয়ে স্পৃংয়ের ফুল তৈরি করলাম।
ধাপ - ১১
এখানে আমি চার কোনার একটা স্কয়ার বানিয়ে নিলাম স্টিক গুলো দিয়ে।
ধাপ - ১২
এখানে আমি আরো কিছু স্টিক দিয়ে ত্রিভুজ বানিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৩
এখানে আমি স্টিক দিয়ে চার কোণের স্কয়ার বানানো প্রেম তার উপরে ফুলগুলো বসিয়ে দিলাম।
ধাপ - ১৪
এখানে দেখতে পাচ্ছেন ত্রিভুজের তিন কোণের আমি ফুল বসিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৫
এখানে দেখতে পাচ্ছেন স্কোয়ার বৃত্তের মাঝে কাগজের স্পৃংয়ের ফুলগুলো লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৬
এখানে দেখতে পাচ্ছেন আমি ত্রিভুজ গুলোর প্রতিটি মাথায় একটি করে ফুল দিলাম। এবং একটা ত্রিভুজের ভিতরে আর একটা ত্রিভুজ দিয়ে আমি এখানে নতুন একটা ডিজাইন করলাম।
ধাপ - ১৭
এখানে দেখতে পাচ্ছেন উপরের স্কয়ারের কাগজের যে স্পৃংয়ের ফুলগুলো লাগানো ছিল সেই ফুলের সাথে আমি ত্রিভুজ গুলা ঘাম দিয়ে লাগিয়ে নিলাম।
ধাপ - ১৮
এই ত্রিভুজ এর সাথে এড করে আমি নিচে আরও একটি ত্রিভুজ লাগিয়ে নিলাম।
আমার রঙিন কাগজের ওয়ালমেট এর কাজ আমি ধাপে ধাপে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এবং আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আমি আমার নিজের মতো করে নতুন ডিজাইনের একটা ওয়ালমেট তৈরি করেছি। আশাকরি সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। এবং আপনাদের সার্পোট পেলে আমি আরো নিত্যনতুন জিনিস তৈরি করতে উৎসাহ পাবো। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া ধাপ গুলো সবগুলো দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন আসেনি বুঝতে পারছিনা। আমি এডিট করে নিয়েছি দয়া করে যদি আবার দেখতেন খুশি হতাম। আপনার কমেন্টের জন্য ভালোবাসা অবিরাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রবিউল ভাই আমার মনে হয় আপনার পোস্টি মিস্টেক হয়েছে।আপনার পোস্টের ধাপ গুল উপস্থাপন করেন নাই একটু খেয়াল করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখছি আমি ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit